ড্রপশিপিং বিজনেস কি ? Drop shipping ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়

ড্রপশিপিং বিজনেস কি – বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন ব্যবসার নাম। যেখানে আপনি কোনো প্রকার ব্যয় ছাড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

কি বিশ্বাস হচ্ছে না ভাই? না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

কারণ ড্রপশিপিং ব্যবসা সম্পর্কে এখনও অনেকেই তেমন জানে না। আর যারা একবার এই অনলাইন বিজনেস কে বুঝতে পেরেছে। তারা আজ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছে।

ড্রপশিপিং বিজনেস কি? Drop Shipping থেকে ইনকাম করার উপায়
ড্রপশিপিং বিজনেস কি?

শুধু তাই নয়, আপনাকে আমি এমন ডজন খানেক ব্যক্তির উদাহরন দিতে পারবো। যারা নিজের ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে একটা সফল ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছে।

কিন্তুু কে কত টাকা ইনকাম করছে, সেটা আজকের বিষয় নয়। বরং তারা কি কাজ করে এতো টাকা ইনকাম করতে পারলো। সেই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এর পাশাপাশি ড্রপশিপিং আসলে কি, এবং ড্রপশিপিং ব্যবসা এই কাজটি করার জন্য আপনাকে কোন বিষয় গুলো জানতে হবে। আপনি এই সব গুলো টপিক নিয়ে আজকে জানতে পারবেন।

তাই আপনিও যদি ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম করতে চান। তাহলে একটু সময় নিয়ে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

তাহলে Drop Shipping রিলেটেড সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আজকে জানতে পারবেন।

[💡PRO TIPS: আমার ভেতরে Drop Shipping রিলেটেড যেসব হিডেন ট্রিকস আছে৷ তার সবগুলো আজকের আর্টিকেলে শেয়ার করার চেস্টা করবো। যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য অনেক কাজে আসবে।]

ড্রপশিপিং কি?

এটি হলো মূলত অনলাইন এর মাধ্যমে এক প্রকার ব্যবসা করার পদ্ধতি। যেখানে আপনি মানুষের দৈনন্দিন পন্য গুলোর চাহিদা মেটাবেন। কিন্তুু আপনাকে কোনো প্রকার পন্য মজুদ করে রাখতে হবে না।

এর পাশাপাশি আপনি যে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের চাহিদা মেটাবেন ৷ সেই পন্য গুলো আপনি অন্য কোনো সোর্স থেকে কিনে আনতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে। এবং সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পন্যের ছবি দেওয়া আছে। এখন আমি আপনার ওয়েবসাইটে গিয়ে কোনো একটি পন্যকে পছন্দ করলাম।

আপনি আরো পড়ুন…

এবং সেই পন্যটি কিনে নেয়ার জন্য অর্ডার করলাম।

এখন আপনি অর্ডার করা সেই পন্যটি অন্য কোনো জায়গা থেকে অর্ডার করে আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেন। মূলত এই পদ্ধতিকে বলা হয় ড্রপশিপিং বিজনেস

বোঝেন নাই? তাহলে আরেকটু সময় দিন।

মনে করুন আপনি মোবাইল সামগ্রীর একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করলেন। যেখানে মোবাইলের বিভিন্ন সামগ্রীর ছবি ও দাম দেওয়া আছে। যেমন, হেডফোন, কাভার,চার্জার ইত্যাদি।

এখন আমি আপনার ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি হেডফোন পছন্দ করলাম। এবং সেই হেডফোনটি কিনে নেয়ার জন্য অর্ডার করলাম।

এখন আপনি আবার Daraz বা BDShop থেকে সেই হেডফোনের অর্ডার করবেন ৷ এবং ডেলিভারি করার জন্য সেই ঠিকানা দিবেন। যে ঠিকানায় আপনার ওয়েবসাইটে অর্ডার করা হয়েছিলো।

মূলত এই সম্পূর্ন কাজের প্রক্রিয়া কে বলা হয় ড্রপশিপিং।

[💡Short Cut: আপনি মানুষকে কোনো একটি পণ্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবেন। এবং তারা যখন সেই পন্যটি কিনতে আগ্রহী হবে। তখন আপনি অন্য কোনো জায়গা থেকে উক্ত পন্যটিকে কিনে এনে দিবেন।]

ড্রপশিপিং বিজনেস কি?

যখন আপনি Drop Shipping কে কেন্দ্র করে অনলাইনের মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার চেস্টা করবেন। তখন তাকে বলা হবে ড্রপশিপিং বিজনেস।

যেখানে আপনাকে কোনো প্রকার সামগ্রীর মজুদ রাখতে হবে না। কোনো গুদাম ঘরের প্রয়োজন হবে না। অথচ আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য গুলোর চাহিদা মেটাতে পারবেন।

তবে শুধু পন্যের আদান প্রদান করে চাহিদা মেটানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং আপনি যে এই কাজটি করবেন। সেই কাজের বিনিময়ে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।

হুমমম এটা সত্য যে, বর্তমানে এখনও অনেকেই এই অলাইন বিজনেস সম্পর্কে জানে না। কিন্তুু যারা ইতিমধ্যে এই বিজনেস সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

তারা আজকে নিজের ঘরে বসে অনলাইন থেকে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করতে পেরেছে।

কেন Drop shipping বিজনেস করবেন ?

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বর্তমানে অনলাইনে এতো ধরনের ব্যবসা থাকার পরেও কেন আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা করবেন? কি আছে এই ব্যবসাতে?

দেখুন, সবার আগে একটা কথা জানা অত্যন্ত জরুরী। সেটি হলো অনলাইনে আপনি যে কোনো বিজনেস করেন না কেন। আপনি এইখানে অনেকদিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর ড্রপশিপিং ব্যবসা তাদের মধ্যে অন্যতম। কারন এই অনলাইন ব্যবসাতে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা দেখতে পারবেন। এবার সেই সবিধা গুলোকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

তো যদি আপনি Drop Shidding Business করেন। তাহলে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন, 

#১ঃ কোনো ইনভেস্টমেন্ট নেই 

হুমমম, আমরা সবাই জানি যে, যদি আপনি কোনো ব্যবসা করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। সত্যি বলতে এটি হলো কোনো ব্যবসার শুরুর মূল সূএ। 

কিন্তুু ড্রপশিপিং ব্যবসা হলো এমন এক ধরনের ব্যবসা। যেখানে আপনাকে কোনো প্রকার Investment করতে হবে না। অপরদিকে ইনভেষ্ট না করলেও আপনি সেই ব্যবসা থেকে ইনকাম ও করতে পারবেন। ব্যপারটা মজার না?

এখানে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই ব্যবসা করবো কিন্তুু ইনভেষ্ট করতে হবে না কেন?

এর কারন হলো, আপনাকে কোনো পন্য ক্রয় করতে হবে না। গ্রাহকরা আপনার কাছে যখন কোনো পন্যের অর্ডার করবে। তখন আপনি সেই পন্য অন্য কোনো Onlone Store থেকে অর্ডার করে দিতে হবে।

সেজন্য এই পদ্ধতিতে কাজ করতে হলে আপনাকে কোনো প্রকার ইনভেষ্টমেণ্ট করতে হবে না।

[💡Read This: দেখুন, এখানে বারবার ইনভেস্টমেন্ট লাগবে না বলার কারনে। আপনি আবার এটা ভাববেন না যে কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় করতেই হবে না।

হুমম এখানেও আপনাকে কিছু পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হবে, তবে তার পরিমান খুবই সীমিত।]

#২ঃ কোনো ঘর/জায়গা লাগবে না

ড্রপশিপিং বিজনেস করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখানে আপনাকে কোনো প্রকার ঘর ভাড়া বা গুদাম ভাড়া করতে হবে না ৷

কারন আপনি এখানে যে কাজ গুলো করবেন, তার সবগুলো কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।

সচারচর যখন আপনি অনলাইনের মধ্যে কোনো ই-কমার্স ব্যবসা করতে চাইবেন। তখন আপনাকে গ্রাহকদের পন্য গুলোকে গুদামঘরে রেখে দিতে হবে।

এবং যখন কাস্টমার আপনার কাছে অর্ডার করবে। তখন আপনি সেই পন্যটিকে ডেলিভারি করবেন।

কিন্তুু ই-কমার্স এর সাথে Drop shidding এর মিল থাকলেও ড্রপশিপিং এ কিন্তুু আপনাকে কোনো পন্য মজুদ করতে হবে না। কারন আপনি তো আর নিজের কোনো পন্য কে সেল করবেন না।

আপনি অন্য কোনো ই-কমার্স শপ থেকে পাঠিয়ে দিবেন। 

#৩ঃ এটি অনলাইন বিজনেস

আমি উপরে একটা কথা বলেছি, সেটি হলো “অনলাইনে বিজনেস করলে তুলনামূলক ভাবে বেশি বেনিফিট পাওয়া যায়”। এখন আপনি এই কথার সাথে একমত হতে পারবেন কিনা।

সেটি আমার জানা নেই। কিন্তুু আপনি যদি একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করেন৷ তাহলে আপনিও আমার সাথে একমত হবেন।

কারন, অনলাইন এ বিজনেস করতে হলে আপনার দৈনন্দিন জীনবে অনেক দিক থেকে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন, আপনি যে কাজ গুলো করবেন ৷ সেগুলো করার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না।

বরং আপনি ঘরে বসে পিসি বা ল্যাপটপের সামনে থেকেই সবকিছু মেইনটেইন করতে পারবেন।

তাছাড়া বর্তমান সময়টা হলো প্রযুক্তির যুগ। তাই আপনি যদি বিজনেস করার জন্য অনলাইন কে বেছে নেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুত আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্স এর নিক পৌঁছাতে পারবেন। 

কিভাবে ড্রপশিপিং বিজনেস করবেন?

ড্রপশিপিং ব্যবসা নিয়ে এতো কিছু জানার পর এখন আপনার মনেও এই ব্যবসা করার ভুত চাপতে পারে। তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কিভাবে আপনি এই Dropshipping Business শুরু করবেন।

তো এবার সে নিয়ে আলোচনা করা যাক।

তো যদি আপনি ড্রপশিপিং বিজনেস করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে বেশি কিছ বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। সত্যি বলতে আপনি যদি এই বিষয় গুলোকে তেমন কোনো গুরুত্ব না দেন ৷

আপনার জন্য আরো লেখা…

তাহলে আপনি এই বিজনেস চলাকালে মাঝপথে হোঁচট খেয়ে যাবেন।

তো এবার প্রশ্ন হলো, কি সেই বিষয়! যেগুলো না জানলে ড্রপশিপিং ব্যবসা তে সফলতা পাওয়া অসম্ভব? 

#No-1: Targated Product

যেহুতু Drop Shopping এবং E-commerce এই দুটোই একই প্রক্রিয়াতে কাজ করতে। সেহুতু আপনাকেও সেই কাজ গুলো করতে হবে। যেগুলো একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে করা হয়ে থাকে।

আর সবগুলো কাজের মধ্যে অন্যতম হলো, Product Selection করা। কারন আপনি আসলে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন। সেটি যদি নির্বাচন করতে না পারেন। তাহলে আপনি অডিয়্যান্স টার্গেট করতে অনেক সময় ভুল করে থাকবেন।

তবে এখানে কোনো বাধাধরা নেই যে আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো পন্য নিয়ে বিজনেস করতে হবে। বরং আপনি যে পন্য গুলোকে ভালো মনে করবেন। আপনি সেই পন্যের উপর ভিওি করে ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন।

যেমন, আপনি যদি চান তাহলে Electronics পন্য দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

আবার আপনি যদি চান তাহলে মোবাইল এক্সেসারিজ নিয়েও ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। মোটকথা এটা সম্পূর্ন আপনার উপরেই নির্ভর করবে।

[💡PRO TIPS: দেখুন Product Selection করার সময় কোন পন্যের প্রতি কাস্টমারদের চাহিদা বেশি। সেটির উপর নির্ভর করে আপনাকে আপনার ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে হবে।]

#No-2: Targeted Audience

আপনি আসলে কোন পন্য নিয়ে কাজ করবেন। যখন আপনি সেই বিষয়টি সিলেক্ট করতে পারবেন। তখন আপনার দ্বিতীয় কাজ হলো অডিয়্যান্স এর কাছে পৌঁছানো।

কারন যতোক্ষন না আপনি আপনার Target করা Audience এর কাছে পৌঁছাতে পারবেন না। ততোক্ষণ আপনি কোনো প্রকার সফলতার মুখ দেখতে পারবেন না।

এখানে টার্গেটেড অডিয়্যান্স বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে, আপনি যে পন্যের উপর ভিওি করে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করবেন ৷

আসলে আপনার সেই পন্যের কাস্টমার কে, তাদের বয়স কিরকম হবে,  তারা আর্থিকভাবে কেমন স্বচ্ছল হবে ইত্যাদি বিষয় গুলো বিবেচনা করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় Targeted Audience.

[💡NOTE: সবার আগে আপনার কাস্টমারকে বুঝতে হবে। কারন আপনার সফলতা কিংবা অসফলতা এ দুটোই নির্ভর করবে আপনার কাঙ্খিত কাস্টমার এর উপর।]

#No-3: Promotion You Drop Shidding Business

একটা কথা চিন্তা করে দেখুন, মনে করুন যে মার্ক জাকারবার্গ Facebook তৈরি করলো। কিন্তুু এই কথাটা কাউকে জানালো না। তাহলে কি কেউ ফেসবুক ব্যবহার করবে? -না, কারন আপনি তো জানেন ই না যে Facebook নামে কিছু একটা আছে।

ঠিক একইভাবে এবার আপনার দিক থেকে চিন্তা করে দেখুন। আপনি সদ্য নতুন একটা ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করলেন ৷ কিন্তুু আপনি বাদে অন্য মানুষ গুলো জানতে পারলো যে, আপনার কোনো বিজনেস আছে।

তাহলে কিন্তুু আপনি কোনো প্রকার বেনিফিট পাবেন না।

আর একথা তো মিথ্যা নয়, যে প্রচারেই প্রসার। কারন আপনি টিভি চালু করলেই দেখতে পারবেন যে বিশ্বের কত নামীদামী ব্রান্ডগুলো কিভাবে তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

ঠিক একইভাবে আপনাকেও আপনার ব্যবসার প্রচার করতে হবে।

এরফলে যারা আপনার টার্গেটেড কাস্টমার। তারা আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং আপনার কাছ থেকে পন্য নেয়ার জন্য আগ্রহী হবে।

[💡PRO TIPS: কিভাবে নিজের ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার করতে হয়৷ সে নিয়ে আমার অন্য একটি আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়ে। আপনি চাইলে সেই “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং“- নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারবেন।

ড্রপশিপিং শিপিং ব্যবসা করতে কি কি লাগে?

এবার আমরা আরও একটি নতুন টপিক সম্পর্কে জানতে পারবেন । হয়তবা এতোক্ষণ ধরে আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনিও ড্রপশিপিং বিজনেস করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেতে পারেন।

আর এই সময়ে আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, উক্ত বিজনেজ টি করার জন্য কি কি জিনিসের প্রয়োজন হয়।

তো যদি আপনি ড্রপশিপিং বিজনেস করতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন পড়বে। যেমন,

#L-1: Device & Other’s

দেখুন, যেহুতু এটি একটি অনলাইন বিজেনস। সেহুতু এখানে আপনি যা করবেন না কেন। তার সব গুলো কাজ আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে করতে হবে৷ আর অনলাইনে কাজ করার জন্য প্রয়োজন হলো উপযুক্ত ডিভাইজ।

কারন, ঘরে বসে কাজ করার জন্য আপনার হাতে কোনো ল্যাপটপ / পিসি / মোবাইল থাকতে হবে। আর এই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে যাবতীয় কাজ গুলো করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি সেই ডিভাইস গুলোতে অবশ্যই পর্যাপ্ত ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। কেননা, আপনি যা করবেন, তা সবগুলো কাজ ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে করতে হবে।

অন্যথায় আপনি এই বিজনেসের কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না। 

#L-2: Business Websites 

ড্রপশিপিং ব্যবসা করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো, Website. যদি আপনি অনলাইনের এই ব্যবসার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে চান ৷

তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আর এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার অনলাইন বিজনেস এর যাবতীয় কাজগুলো পরিচালনা করতে হবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই আমি তো ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে অনলাইন এ বিজনেস করবো। তো আমার জন্য ওয়েবসাইট এর দরকার পড়বে কেন?

দেখুন, যখন আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে। তখন আপনি সেই Website এ বিভিন্ন পন্যের ছবি এবং দাম লিখে দিয়ে একটি অনলাইন শপের মতো সাজিয়ে নিতে পারবেন।

এরপর কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট এ আসবে এবং বিভিন্ন পন্য দেখবে। যখন তাদের কোনো পন্য ভালো লাগবে, তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটে এসে Order করবে।

[💡NOTE: একটি ওয়েবসাইট অনেক গুলো বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। যেমন Domain, Hosting, Web Design ইত্যাদি। তো যদি আপনি ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে নিচের লিংক গুলোতে ক্লিক করুন।

#L-3: Creativity & Improvement  

দেখুন, আপনি যেখানেই কাজ করুন না কেন। উক্ত কাজে অবশ্যই আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। যদি আপনি সেই Creativity কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন।

তাহলে আপনি সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। অন্যথায় আপনাকেও ব্যর্থতার ঝুলি বহন করতে হবে।

ঠিক তেমনিভাবে যখন আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা তে নিজেকে যুক্ত করবেন। তখন এখানেও আপনাকে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে হবে। আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যা অন্যরা এখনও করতে পারেনি।

যেমন, সবার আগে আপনাকে কাস্টমারদের টার্গেট করতে হবে। এখন আপনি কিভাবে কাস্টমারকে টার্গেট করবেন। সেটা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনার উপর।

আবার কোন কাস্টমার এর কি কি পন্য গুলোর প্রতি চাহিদা বেশি। সেগুলো আপনাকে নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে খুজে নিতে হবে। 

কিভাবে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করবেন?

অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে আমি উপরের দিকে ছোট্ট করে আলোচনা করেছি। তাই এবার সেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যেন Drop Shidding business নিয়ে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা না থাকে।

তো যখন আপনি এই অনলাইন বিজনেস এর শুরুর ধাপ গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। যেমন, Product Selection, Audience ইত্যাদি কাজ গুলো সম্পন্ন করবেন।

তখন আপনার পরবর্তী ধাপ হবে একটি আর্কষনীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা।

হুমমম, কারন এই বিজনেস এর যে কাজ গুলো করা হবে। তার সবগুলো কাজ এই ওয়েবসাইট থেকে পরিচালনা করতে হবে।

[💡NOTE: আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা করার জন্য যে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। সেটি অবশ্যই প্রফেশনাল হতে হবে। নাহলে কাস্টমার আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারবে না।]

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই আমি তো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারিনা। তাহলে আমি কিভাবে ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করবো?

তো যদি আপনার ভেতরে ড্রপশিপিং বিজনেস করার একান্ত আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনার সামনে যতোই সমস্যা আসুক না কেন। আপনি তুফান গতিতে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করতে পারবেন ৷

আর বর্তমানে খুব সহজেই যেকোনো টাইপের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। যদি আপনার অর্থ ব্যয় করার মতো সামর্থ্য থাকে।

তাহলে আপনি কোনো অভিজ্ঞ ওয়েব ডিজাইনারকে দিয়ে একটি Professional Drop Shipping Website তৈরি করে নিতে পারবেন।

অথবা আপনি যদি ফ্রীতে একটি আর্কষনীয় ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। তাহলে আপনার সামনে অনেক গুলো পথ খোলা থাকবে। আপনি চাইলে যেকোনো একটি পথ অবলম্বন করতে পারবেন।

সেজন্য আপনাকে সরাসরি Google এ গিয়ে সার্চ করতে হবে “Best Free Website Making Platform”. তাহলে আপনার সামনে এমন ডজন খানেক প্লাটফর্ম এর লিষ্ট চলে আসবে।

যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই আর্কষনীয় ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। 

ড্রপশিপিং ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়

এবার আমরা মূল টপিকে ফিরে আসবো। আপনি এতোক্ষন ধরে ড্রপশিপিং সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনে গেছেন। কিন্তুু এই বিজনেস করে আপনি কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন এবং কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

এবার সে বিষয়ে কথা বলা যাক। যার জন্য আপনি অধির আগ্রহে বসে আছেন ৷

তো আপনি আসলে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন ৷ সেটি বোঝার জন্য আপনাকে কিছু উদাহরন দিতে হবে।

দেখুন, আপনি যে ড্রপশিপিং ওয়েবসাইটটি তৈরি করবেন। তো ধরে নিলাম আপনি মোবাইলের যাবতীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে বিজনেস করছেন। তো আমি আপনার ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি হেডফোন অর্ডার করলাম। যার বাজেট হলো ৫০০/- 

এখন আপনি সেই হেডফোন অন্য কোনো Online Shop থেকে ৪০০/- দিয়ে কিনে তারপর আমাকে ডেলিভারি দিলেন। তো এই কাজের বিনিময়ে আপনার একটি হেডফোন সেল করেই ১০০/- ইনকাম করতে পারলেন।

ঠিক এইভাবে আপনি যে পন্য গুলো আপনার কাস্টমারকে সেল করবেন ৷ সেই পন্যের বাজার দর থেকে আপনি একটু বেশি পরিমানে চার্জ নিবেন। মূলত এখান থেকেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

এখন আপনি দিন শেষে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন৷ তা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আসলে আপনি কি পরিমান পন্য সেল করতে পারবেন তার উপর। আপনি যতো বেশি পন্য বিক্রি করতে পারবেন। আপনার কমিশন ঠিক ততোই বৃদ্ধি পাবে। 

ড্রপশিপিং বিজনেস এর সুবিধা 

যদি আপনি এই বিজনেস এ নিজেকে যুক্ত করেন। তাহলে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন, 

  1. ড্রপশিপিং বিজনেস খুব কম মুলধন দিয়ে শুরু করা যায়। অর্থ্যাৎ, আপনি যদি বাড়িতে অযথা বেকার বসে না থেকে কিছু একটা করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে এই বিজনেস দিয়েই ক্যারিয়ার গড়া। 
  2. এই বিজনেসে কম মূলধন দিয়ে শুরু করা হলেও এখান থেকে আপনি বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। অর্থ্যাৎ, আপনি কম মূলধন দিয়েও বেশি পরিমানে মুনাফা লাভ করতে সক্ষম হবেন ৷
  3. এই বিজনেসে লস খাওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনি এই ব্যবসা থেকে তেমন ইনকাম আসছে না ৷ তাহলে আপনি যখন ইচ্ছা তখনি এই বিজনেস থেকে ফিরে আসতে পারবেন।
  4. এই বিজনেস আপনি যেকোনো জায়গা থেকে করতে পারবেন। আপনার কাছে শুধু একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন।
  5. সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনাকে এই বিজনেস করার জন্য তেমন মাথা খাটানোর প্রয়োজন পড়বে না। কারন এখানে আপনাকে কোনো পন্যের গুদাম লাগবে না এবং গুদামঘর পরিচালনাও করতে হবে না। 

ড্রপশিপিং বিজনেস এর অসুবিধা 

এই অনলাইন বিজনেস এর অনেক রকম সুবিধার পাশাপাশি আপনি বেশ কিছু অসুবিধাও দেখতে পারবেন। যেগুলো সম্পর্কেও আপনার জেনে নেয়া উচিত। যেন পরবর্তীতে আপনি কোনো প্রকার সমস্যাতে না পড়েন।

তো ড্রপশিপিং ব্যবসা করার সময় আপনি বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন,

  1. যেহুতু এই বিজনেস করতে হলে খুব কম মূলধন এর প্রয়োজন হয় না। সেহুতু অনেকেই এই বিজনেস এ যুক্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে এ বিজনেস করার সময় আপনাকে প্রচুর পরিমানে প্রতিযোগীতা করতে হবে। এবং এই প্রতিযোগীতায় আপনাকে টিকে থাকতে হবে।
  2. হুম, এই বিজনেস শুরু করার পর পুনরায় এই বিজনেস বন্ধ করার মূল কারন হলো, অনেক কম মুনাফা পাওয়া ৷ আপনি পরিশ্রম করে অনেক সময় কম মুনাফা লাভ করতে পারবেন। যা আপনার হতাশার মূল কারন হয়ে দাড়াবে।
  3. যেহুতু আপনি নিজের কোনো পন্য সেল করবেন না। সেহুতু কোনো কাস্টমার আপনার কাছ থেকে পন্য কেনার পর যদি তাদের ভালো না লাগে।
  4. পুনরায় সেই পন্যটি আপনার কাছে ব্যাক করে। তাহলে এর লোকসান আপনাকেই গুনতে হবে। 

Pro Tips For Drop Shipping Business 

এটি হল মূলত আপনার জন্য বোনাস টিপ। আপনি যখন এই বিজনেস শুরু করবেন কিংবা অলরেডি এই বিজনেস শুরু করে দিয়েছেন। তাহলে এবার আলচিত টিপস গুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। যেমন, 

TIPS-1: আপনি এই বিজনেস করার জন্য যে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। সেই ওয়েবসাইট টি যেন একেবারে প্রফেশনাল হয়। এর Design থেকে শুরু করে Domain, Hosting এ যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয়।

TIPS-2: আপনার ওয়েবসাইটে যেসব পন্যের ছবি রাখবেন। চেস্টা করবেন সেই ছবি গুলো যেন আর্কষনীয় হয়। যেন কাস্টমাররা সেই পন্যের ছবি দেখার পর সেটি কিনতে আগ্রহী হয়।

TIPS-3: এই বিজনেস শুরু করার পর আপনাকর লাগাতার প্রমোট/প্রচার করতে হবে ৷ আর এই কাজের জন্য আপনি বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা Social Media গুলোকে বেছে নিতে পারবেন।

TIPS-4: আপনি যে পন্য নিয়ে ড্রপশিপিং ব্যবসা করবেন। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ঐ পন্যটি নিয়ে আর কোথায় কোথায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে কিনা।

আপনি তাদের সাথে কথা বলুন, সেই পন্য গুলো আপনাকে আরও কম রেটে দেয়ার জন্য অনুরোধ করুন। 

আমাদের শেষকথা 

আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার ড্রপশিপিং বিজনেস সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। এরপরও যদি আপনার ড্রপশিপিং ব্যবসা সম্পর্কে আরও কোনো জানার থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

তবে সবশেষে এটাই বলবো যে, জীনবে ঝুঁকি নিতে শিখুন, তাহলেই আপনি সফলতার স্থানে যেতে পারবেন।

নিয়মিত অনলাইন ইনকাম নিয়ে আরো পোস্ট পড়তে আমাদের বাংলা আইটি ব্লগ ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top