ওয়েব হোস্টিং কি ? | ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার | হোস্টিং নিয়ে A-Z

হোস্টিং কি? কেন হোস্টিং ব্যবহার করা হয়? যদি আপনি হোস্টিং সম্পর্কে কিছু জানতে চান। তাহলে আপনি একেবারে সঠিক জায়গাতে চলে এসেছেন। কারন আজকের এই আর্টিকেলে আমি হোস্টিং রিলেটেড যাবতীয় বিষয়গুলো স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো। 

ওয়েব হোস্টিং কি ? (Web hosting)
ওয়েব হোস্টিং কি ?

দেখুন, আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবেন। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ডোমেইন কিনতে হবে। এরপর আপনাকে হোস্টিং কিনে উক্ত হোস্টিংকে ডোমেইনের সাথে Connect করতে হবে।

তারপর আপনি কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে হোস্টিং ক্রয় করা ছাড়াই আপনার শুধুমাত্র একটি ডোমেইন ক্রয় করেন ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তো চুলুন এবার হোস্টিং নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ওয়েব হোস্টিং কি ?

সাধারন ভাষায়, যখন আপনি কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। সেই ওয়েবসাইটের যাবতীয় তথ্য যেমনঃ File, Audio,Video, Photo ইত্যাদি জমা রাখার স্থানকে বলা হয় হোস্টিং। ওয়েব সিস্টেমটা মূলত মেমোরি হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ অনলাইন মেমোরি।

কোনো কারনে যদি এই তথ্যগুলো আপনার ওয়েবসাইট থেকে হারিয়ে যায় বা মুছে যায়। তাহলে সেই তথ্যগুলো হোস্টিং থেকে আবার পুনরায় ফেরত আনতে পারবেন। তবে বিষয়টা আরেকটু ক্লিয়ার করে বললে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

দেখুন হোস্টিং হলো এক ধরনের বিশেষ কম্পিউটার। তো এই কম্পিউটারে সর্বদাই ইন্টারনেট কানেকশন এর সাথে যুক্ত থাকে। মজার বিষয় হলো, এই কম্পিউটারটি সদা সর্বদার জন্য চালু থাকে। তো এখন প্রশ্ন হলো, এই কম্পিউটার এমন কি আছে?

এই কম্পিউটারে থাকে বিশাল Storage এবং কিছু Advanced features. যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইটকে হোস্ট করা সম্ভব। এখন যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে হোস্ট করতে চান।

তাহলে এই বিশেষ কম্পিউটার থেকে কিছু পরিমান Storage আপনাকে কিনে নিতে হবে। আপনি যেটুকু Storage কিনে নিবেন। সেটুকু Storage এ আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় তথ্য গুলো জমা রাখতে পারবেন।

এবং এই Storage এর মাধ্যমেই আপনার ওয়েবসাইট কে সচল রাখতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলো, হোস্টিং শুধু কোনো ওয়েবসাইটের তথ্য জমা রাখে? – না, হোস্টিং তথ্য জমা রাখার পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটকে সচল রাখতে সহায়তা করে।

হোস্টিং কেন প্রয়োজন?

যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে। কারন যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। তখন সর্বপ্রথম হোস্টিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট লোড নিবে।

এরপর কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এক্সেস করতে পারবে। আমার দৃষ্টিকোন থেকে মূলত ৩ টি কারনে হোস্টিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যথাঃ

  1. সিকিউরিটি 
  2. স্টোরেজ
  3. একটিভ পারপাস

আমার স্বল্প জ্ঞান অনুযায়ী এই তিনটি কারনে হোস্টিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবার এই কারন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

সিকিউরিটি কি? (Security)

দেখুন অনলাইনে কাজ করার সিকিউরিটি কে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। আপনার ওয়েবসাইটে যেসব প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে। সেই তথ্য গুলো জমা রাখার পাশাপাশি, হোস্টিং সেই তথ্য গুলোর সিকিউরিটি ও প্রদান করবে। 

স্টোরেজ কি (Storage)

হোস্টিং ব্যবহার করার মূল কারন হলো, স্টোরেজ।কারন আপনার ওয়েবসাইট এর তথ্য গুলো যেখানে জমা করবেন। সেই জমা রাখার স্থানটি আসলে কত বড় হবে।

সেটি একমাএ হোস্টিং এর মাধ্যমে নির্ধারন করা যায়।আর এই স্টোরেজকে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী বাড়িয়ে নিতে পারবেন। 

আপনার জন্য আরো পোস্ট…

একটিভ পারপাস (Active Purpose)

কোনো একটি ওয়েবসাইট কে সর্বদা সচল রাখার পেছনে,হোস্টিং মূল ভূমিকা পালন করে। অর্থ্যাৎ, কোনো ব্যক্তি তার প্রয়োজন অনুযায়ী যখন ইচ্ছা তখনি আপনার ওয়েবসাইট কে Access করতে পারবে। আর হোস্টিং মূলত এই সুবিধাটি প্রদান করে থাকে।

মনে রাখবেন, হোস্টিং সার্ভার হলো বিশেষ এক ধরনের কম্পিউটার। যা সর্বদাই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে। এবং সেই বিশেষ কম্পিউটারটি সর্বদাই চালু থাকে।

হোস্টিং কি এবং কেন হোস্টিং ব্যবহার করা হয়।আশা করি এই স্বল্প আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন। 

ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার?

ব্যবহারগত দিক থেকে হোস্টিং ২ প্রকারের হয়ে থাকে। যথা,

  1. ফ্রি হোস্টিং এবং 
  2. পেইড হোস্টিং 

আপনি চাইলে উপরে বর্নিত যেকোনো হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তুু এই ২ ধরনের হোস্টিং এর কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। যেগুলো আপনার জেনে নেয়া উচিত। 

ফ্রি হোস্টিং কি? (Free Hosting)

বর্তমান সময়ে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। যারা আপনাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হোস্টিং সুবিধা দিতে প্রস্তুুত। যদি আপনি ওয়েবসাইট সম্পর্কে শিখতে চান কিংবা প্রাকটিস করতে চান।

তাহলে আপনি এই Free Hosting ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করতে গেলে আপনি বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন,

  • নরমার সিকিউরিটি  
  • লিমিটেড ব্যান্ডউইথ
  • লিমিটেড ইমেইল একাউন্ট 
  • লোডিং স্পিডের সমস্যা 
  • বেশিরভাগ ফ্রি হোস্টিং প্রভাইডার Custom Domain যুক্ত করতে দেয়না। 
  • যেহুতু আপনি সেই হোস্টিং ব্যবহার করার জন্য কোনো টাকা দিবেন না। সেহুতু তারা আপনাকে কোনো প্রকার Support প্রদান করবে না। 
  • সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো,Free Hosting এ কোনো প্রকার Backup system নেই।তাই ভুলবশত আপনার ওয়েবসাইটের কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে গেলে।তা কোনোভাবে আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। 
  • এছাড়াও ফ্রি হোস্টিং এ সিকিউরিটি খুব দুর্বল হয়ে থাকে। যার কারনে যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। 

সহো আরও অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আপনি যদি প্রফেশনালি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চান৷ তাহলে Free Hosting ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার চেস্টা করবেন।

কিন্তুু যদি শিখতে চান,তাহলে এই ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করেই প্রাকটিস করতে পারবেন। এতোক্ষনে আপনি ফ্রি হোস্টিং কি এবং ফ্রি হোস্টিং এর কিছু অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার আমরা Free Hosting এর কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানবো। 

ফ্রি হোস্টিং এর সুবিধা

অসুবিধার পাশাপাশি ফ্রি হোস্টিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন, 

  • খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে Host করতে পারবেন। 
  • আপনি খুব সহজেই বিজনেস Email Account তৈরি করতে পারবেন। 
  • ওয়েবসাইট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ডিস্ক স্পেস পাবেন।
  • হোস্টিং নেয়ার জন্য কোনো প্রকার টাকা দিতে হবে না। 

এছাড়াও ফ্রি হোস্টিং এ আরও বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। যখন আপনি ব্যবহার করবেন, তখন নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন। এবার আমরা জানবো,Free Hosting প্রদান করে, এমন কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে। 

ফ্রি হোস্টিং এর ওয়েবসাইট 

বর্তমানে FREE Hosting প্রদান করে, এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মধ্যে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যাদের হোস্টিং সার্ভিস একটু ভালোমানের। আপনার সুবিধার জন্য আমি সেই ওয়েবসাইট গুলোর একটা লিস্ট করেছি। যেমন,

  • ProFreeHost 
  • 000WebHost 
  • FreeWebHostingArea
  • Googiehost
  • AtSpace

এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু Free Hosting এর ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি একটু খুজলেই সেই ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। শুধু একটা কথা মনে রাখবেন যে, এই হোস্টিং গুলো কখনোই আপনার প্রফেশনাল কাজের জন্য ব্যবহার করবেন না। 

পেইড হোস্টিং কি ? (Paid Hosting)

যখন আপনি টাকার বিনিময়ে কোনো হোস্টিং ব্যবহার করবেন। সেই হোস্টিংকে বলা হয় পেইড বা প্রিমিয়াম হোস্টিং। এই পেইড হোস্টিং কে আবার ৬ ( ছয় ) ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন,

  1. শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting)
  2. ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং (WordPress Hosting)
  3. ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting)
  4. ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting)
  5. ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting)
  6. রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting)

পৃথিবীতে যতো প্রকার প্রিমিয়াম হোস্টিং রয়েছে। সেগুলোকে মূলত এই চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এবার চলুন, এই চার প্রকার হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

শেয়ারড হোস্টিং কি? (Shared Hosting)

যখন কোনো হোস্টিং সার্ভারকে বিভিন্ন ব্যক্তি কিনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করে ৷ তখন তাকে শেয়ারড হোস্টিং বলা হয়।অর্থ্যাৎ, এই পদ্ধতিতে একই সার্ভারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কে হোস্ট করা হয়ে থাকে।

মনে করুন, আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। সেই ওয়েবসাইটে খুব অল্প পরিমানে ভিজিটর আসে। এখন আপনার জন্য ১ জিবি অথবা ২ জিবি হোস্টিং হলেই যথেস্ট। সেক্ষেত্রে আপনি শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন। 

তবে Shared Hosting ব্যবহারের ক্ষেএে বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

শেয়ারড হোস্টিং এর সুবিধা কি কি?
  • যেহুতু অনেকজন মিলে একটি হোস্টিং সার্ভার কিনবেন। সেহেতু আপনাকে খুব কম টাকা ব্যয় করতে হবে।
  • শেয়ারড হোস্টিং এ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সাবডোমেইন যুক্ত করতে পারবেন। 
  • আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিজনেস ইমেল Create করতে পারবেন। 
  • দেখুন প্রত্যেকটি পেইড হোস্টিং এ কন্ট্রোল প্যানেলের সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই আপনি শেয়ারড হোস্টিং এ C-panel ফুল কন্ট্রোল পাবেন। 
  • SSL এর সুবিধা পাবেন। 

শেয়ারড হোস্টিং এর অসুবিধা কি?

  • সবচেয়ে বড় ইস্যু হলো, Loading Speed. যেহুতু একটি সার্ভারে একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে। সেহুতু আপনার ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কম হবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। 
  • শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের মাঝে মাখে Site Down হতে পারে। এর মূল কারন হলো, একটিমাত্র Hosting Server এ একাধিক ওয়েবসাইট কে হোষ্ট করা হয়ে থাকে। 

আশা করি শেয়ারড হোস্টিং কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা কি, সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনি জানবেন, যে কখন আপনার এই হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত। 

কেন শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করবেন?

যদি আপনি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন। অথবা আপনার নতুন কোনো ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন ৷ কারন নতুন ওয়েবসাইট সাধারনত ভিজিটর অনেক কম থাকে।

আর ভিজিটর কম থাকার কারনে আপনার ওয়েবসাইটের Data transfer এবং Website Load দুটোই তুলনামূলক ভাবে কম হবে।

এছাড়াও এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা শুরুর দিকে তেমন ইনভেস্ট করতে চান না। তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হোস্টিং হিসেবে প্রথম সারিতে থাকবে শেয়ারড হোস্টিং।

আপনার জন্য আরো আর্টিকেল…

এরপর যখন আপনার ওয়েবসাইট ধীরে ধীরে গ্রো করতে শুরু করবে। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর পরিমান বাড়বে।

তখন আপনি আপনার হোস্টিং প্ল্যান আপগ্রেড করতে পারবেন। আমাদের দেশে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা দিয়ে শেয়ারেড হোস্টিং কিনতে পাওয়া যাবে।

ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং কি (WordPress Hosting)

শেয়ার হোস্টিং এর থেকে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং একটু ভালো। কিন্তু শেয়ার হোস্টিং এর চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং বেশি ফাস্ট হয়ে থাকে এবং সিকিউর হয়। এর কারনে আপনার ব্লগ বা ওয়েবটি ফাস্ট হবে। হোস্টিং সার্ভার ডাউন হওয়ার পরিস্থিতে খুব একটা হয় না।

এখানে আপনি শুধু ওয়ার্ডপ্রেসের স্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করা যাবে। আর আলাদা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা যাবে না। শেয়ার হোস্টিং থেকে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং এর দাম বেশিই।  এর দাম ১৫০০ থেকে ৪০০০ টাকার ভিতরে হয়ে থাকে।

ক্লাউড হোস্টিং কি? (Cloud Hosting)

যে সময় আপনার সাইটের ভিজিটর বেড়ে যাওয়ার জন্য আর আপনার ওয়েবসাইট লোড হচ্ছে না । সেই সময় আপনি ক্লাউড হোস্টিং নিতে হবে।

ক্লাউড হোস্টিং অন্য সব হোস্টিং এর চেয়ে বেশি ফাস্ট কাজ করবে। কারন  ওয়েবসাইটের সকল ফাইলগুলোজমা হবে ক্লাউডে অর্থাৎ ইন্টারনেটে। যেরকমটা গুগল ড্রাইভে  আমরা ফাইল রাখি। এর দাম সঠিক নাই কারণ আপনি যেমন চালাবেন তেমনি বিল আসবে। 

ভিপিএস হোস্টিং কি? (VPS Hosting)

ভিপিএস হোস্টিং, শেয়ারড হোস্টিং থেকে একটু আলাদা। VPS এর পূর্নরুপ হলো, Virtual Private Server. আমি আর্টিকেলের শুরুতে একটা কথা বলেছিলেন।

যে হোস্টিং হলো এক ধরনের বিশেষ কম্পিউটার। যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর যাবতীয় তথ্য জমা করে রাখা হয়। যখন এই বিশেষ কম্পিউটারকে ভিন্ন ভিন্ন সার্ভারে বিভক্ত করা হয়।

বিভক্ত করা প্রত্যেকটি সার্ভার হলো এক একটি VPS (ভিপিএস)। আর যখন আপনি এই VPS সার্ভারের আওতায় কোনো হোস্টিং প্ল্যান কিনবেন। তখন সেই প্ল্যানকে বলা হয়, ভিপিএস হোস্টিং।

তবে VPS Hosting সাধারনত শেয়ারড হোস্টিং থেকে একটু আলাদা। শেয়ারড হোস্টিংয়ে যেমন একটি সার্ভারে একাধিক ওয়েবসাইটকে হোস্ট করা হয়ে থাকে।

অপরদিকে ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করলে, আপনাকে সবকিছু আলাদা দেয়া হবে। যেমন, আপনার জন্য পারসোনালি CPU দেয়া হবে, আলাদা Ram দেয়া হবে এবং Hard Disk ও আলাদা থাকবে।

এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের কোনো প্রকার সিকিউরিটি ইস্যু থাকবে না। এবং সাইটের লোডিং স্পিড মানসম্মত থাকবে। তারমানে এটা ভাববেন না যে শেয়ারড হোস্টিং খারাপ। না, Shared Hosting ও ভালো, তবে এর থেকেও ভালো VPS Hosting.

আশা করি VPS Hosting কি, তা বুঝতে পেরেছেন। এবার আমরা জানবো এই হোস্টিং প্ল্যানের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। 

তবে এর বিল প্রতি মাসে মাসে দেওয়া লাগে। এর দাম হচ্ছে  প্রায় ৪০০০-৬০০০ টাকার ভিতরে।

ভিপিএস হোস্টিং এর সুবিধা

যখন আপনি আপনার কোনো ওয়েবসাইটের জন্য, এই হোস্টিং ব্যবহার করবেন। তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন,

  • দেখুন শেয়ারড হোস্টিং এ একটা সমস্যা হয় যে, আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড একটু কম থাকে। কিন্তুু যদি আপনি ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করেন।
  • তাহলে সাইটের লোডিং স্পিড নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হবে না। অর্থ্যাৎ আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমান লোডিং স্পিড থাকবে। 
  • ভিপিএস হোস্টিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো,আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য পারসোনালি একটি কম্পিউটার বরাদ্দ থাকবে।
  • যেখানে শুধুমাএ আপনি একজন সেই কম্পিউটারের Ram, CPU, Hard Disk ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। 
  • আরেকটি বড় সুবিধা হলো, সিকিউরিটি ইস্যু। যেহুতু আপনার জন্য পারসোনালি Hard Disk থাকবে।
  • সেহুতু সেই Hard Disk এ শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইট এর ডাটা গুলো জমা থাকবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর কোনো প্রকার সিকিউরিটি ইস্যুর ভয় থাকবে না। 

এছাড়াও আরও বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যখন আপনি এই হোস্টিং ব্যবহার করবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই তা বুঝতে পারবেন।

তো এই VPS Hosting এর সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এই অসুবিধা গুলো যে সবার ক্ষেএেই হবে, সেটা নয়।

আমার কাছে এই বিষগুলো অসুবিধার মনে হয়েছে। তাই আমি সেগুলো বিষয় এখানে উল্লেখ করেছি। 

ভিপিএস হোস্টিং এর অসুবিধা

  • দেখুন শেয়ারড হোস্টিং এর দাম অনুযায়ী, ভিপিএস হোস্টিং এর মূল্য আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে।
  • এক্ষেত্রে যারা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন কিংবা যারা স্টুডেন্ট। তাদের পক্ষে এই হোস্টিং ব্যবহার করা রিতীমতো বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়। 
  • যদি আপনি ডেডিকেটেড হোস্টিং ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনার জানা থাকবে যে, এই হোস্টিং প্ল্যানে আপনাকে একটি কম্পিউটার এর পুরোটাই আপনার পারসোনালি সার্ভারের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
  • সেদিক থেকে যদি বিবেচনা করি, তাহলে হোস্টিং এর মূল্য অনুযায়ী ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মতো ভিপিএস হোস্টিং এ সেরকম সুযোগ সুবিধা দেয়া উচিত ছিলো। যা আমার কাছে মনে হয়েছে। 

আশা করি এই স্বল্প আলোচনায়, ভিপিএস হোস্টিং কি এবং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো বুঝতে পেরেছেন। এবার আমরা জানবো যে, কেন আপনি ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করবেন। 

কেন ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করবেন?

যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আসবে। এবং সেই ওয়েবসাইট থেকে মোটামুটি লেভেল এর ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

তখন আপনি আপনার সেই ওয়েবসাইট কে ভিপিএস হোস্টিং এ Host করতে পারবেন। অথবা আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে শুরু থেকেই প্রফেশনালি ভাবে কাজ করতে চান।

তাহলেও আপনি এই হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আমি রেকমেন্ড করবো, যারা একেবারে নতুন তাদের Shared Hosting ব্যবহার করার জন্য। 

ডেডিকেটেড হোস্টিং কি? (Dedicated Hosting)

যখন আপনি কোনো হোস্টিং কোম্পানির পুরো একটি কম্পিউটার কে আপনার পারসোনাল সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলা হবে, Dedicated Hosting.

এই হোস্টিং প্ল্যানের সবচেয়ে ভালো সুবিধা হলো। আপনি পুরো একটি সার্ভারকে আপনার নিজের দখলে নিতে পারবেন। এই Dedicated Hosting এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে ।

আমাদের দেশে ডেডিকেটেড হোস্টিং বাবদ প্রতি মাসে ১৫০০০- ২৫০০০ টাকা বিল দিতে হয়।

ডেডিকেটেড হোস্টিং এর সুবিধা

যদি আপনি এই হোস্টিং প্ল্যান ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনি অনেক রকমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন, 

  • যেহুতু পুরো একটি সার্ভার আপনার নিজের দখলে থাকবে। 
  • এই হোস্টিং প্ল্যানে আপনার চুল পরিমান সিকিউরিটি ইস্যু থাকবে না। কারন এই পুরো Server টিকে আপনি একাই পরিচালনা করবেন।
  • সেদিক থেকে বলা যায়, আপনার ভুলের কারনে যদি কোনো ক্ষতি না হয়। তাহলে ডেডিকেটেড হোস্টিংয়েও কোনো প্রকার সিকিউরিটি ইস্যু খুজে পাবেন না। 

আর এই হোস্টিং এর কোনো প্রকার অসুবিধা নেই। তবে সুবিধা অনুযায়ী দাম একটু বেশি। কিন্তুু এটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। 

রিসেলার হোস্টিং কি? (Reseller Hosting)

Reseller শব্দটির অর্থ হলো, পুনরায় বিক্রি করা। যখন কোনো ব্যক্তি একটি হোস্টিং প্ল্যান কেনার পরে, পুনরায় সেই হোস্টিং কে বিক্রি করে। তখন তাকে রিসেলার হোস্টিং বলা হয়। বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করে বলি। যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয়।

ধরুন আপনি একটি 2GB এর একটি হোস্টিং প্ল্যান কিনলেন। এরপর আপনি দুজন ব্যাক্তির মধ্যে 1GB+1GB করে ভাগ করে দিলেন। আপনার এই ভাগ করে দেওয়ার পদ্ধতিটি হলো রিসেলার হোস্টিং।

অন্যন্য হোস্টিং এর মতো, রিসেলার হোস্টিং এ বেশ কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। এবার আমরা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। 

রিসেলার হোস্টিং এর সুবিধা

  • যেহেতু আপনি নিজেই একটা Hosting Plan কিনবেন। সেহুতু আপনি নিজের মতো করে সেটিকে ভাগ করতে পারবেন। অর্থ্যাৎ, আপনার পছন্দমতো Storage Plan সাজিয়ে নিতে পারবেন। 
  • রিসেলার হোস্টিং এ আপনি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী আপনার Plan কে যে কোনো সময় আপগ্রেড করতে পারবেন।
  • আপনি আপনার ইচ্ছামতো C-Panel, Name Server এবং গ্রাহকের একাউন্ট মনিটরিং করতে পারবেন। 
  • এছাড়াও আপনার কাছে Server restart এবং SSL ইনস্টল করার ক্ষমতা থাকবে। তাই আপনি যেকোনো সময় এই গুলোর ব্যবহার করতে পারবেন। 

রিসেলার হোস্টিং এর অসুবিধা

Reseller Hosting এর বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন, 

  • যদি আপনি রিসেলার হোস্টিং কে শেয়ারড হোস্টিং এর সাথে তুলনা করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, রিসেলার হোস্টিং অনেক ব্যয়বহুল।
  • অর্থ্যাৎ এখানে আপনাকে বেশি পরিমান টাকা ব্যয় করতে হবে। 
  • আরেকটা বিশেষ অসুবিধা হলো, যখন আপনি রিসেলার হোস্ট করবেন ৷ তখন আপনাকে আপনার গ্রাহকের সকল প্রকার দায়িত্ব নিতে হবে।
  • কাস্টমারের বিভিন্ন সমস্যা, তারা আপনার হোস্টিং ব্যবহার করার কারনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সাপোর্ট ভালো পাচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনাকে মেইনটেইন করতে হবে। 
  • যখন আপনার গ্রাহক বাড়বে, তখন আপনাকে আপনার হোস্টিং প্ল্যানকে প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করতে হবে। 

কেন রিসেলার হোস্টিং ব্যবহার করবেন?

সাধারনত নিজের একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই হোস্টিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, আপনার নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করার পাশাপাশি, যখন আপনি নিজের একটা ছোটো-খাটো বিজনেস দাঁড় করাতে চাইবেন।

তখন আপনি এই হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, অন্যান্য Hosting Provider দের মতো এখানে আপনার নিজস্ব কিছু কাস্টমার থাকবে। তারা অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় পড়বে। তাদের এই সমস্যার সমাধান করার মতো আপনার মানসিকতা থাকতে হবে। এবং সেই কাস্টমার গুলো যেন, যথাসময়ে সঠিক Support পায়। সে দিকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হতে হবে। 

কোথায় হোস্টিং কিনবেন?

এবার আসবো মূল বিষয়ে, আপনি এতোক্ষন ধরে হোস্টিং সম্পর্কে জানলেন। কিন্তুু প্রশ্ন হলো যে, আপনি এই হোস্টিং কোথা থেকে কিনবেন।

তাহলে শুনুন,হোস্টিং কেনার জন্য দেশি ও বিদেশি অনেক Provider রয়েছে। আপনি তাদের রিভিউ এবং সাপোর্টের দিক বিবেচনা করে কিনে নিতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নাহলে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। যা কখনোই কাম্য নয়।আপনি কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন,তা আমরা অবশেষ জানবো।

তবে এর আগে আপনাকে জানতে হবে, হোস্টিং কেনার আগে আপনার কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। 

হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে

মনে রাখবেন, হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইট এর ফুসফুস ৷ আপনার ওয়েবসাইটের কাস্টমাইজেশন বাদে অন্যান্য যে বিষয় গুলো রয়েছে যেমনঃ

  • আপনার ওয়েবসাইট এর স্পিড কেমন হবে
  • মাসে ব্রেন্ডউইথ কত
  • রিনিউ ফিস কত
  • কি রকম সাপোর্ট দেয়
  • কি পরিমান ভিজিটরের লোড নিতে পারবে ইত্যাদি বিষয়গুলোর সম্পূর্ণ নির্ভর করবে হোস্টিং এর উপর। 

তাই আপনাকে হোস্টিং কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

হোস্টিং এর দাম

এটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য উপযুক্ত হোস্টিং কিনবেন। এখন সেটির মূল্য কেমন হবে, সেটি আপনাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।

এই দিকটি বিবেচনা করা জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে এনালাইস করতে হবে। যে আপনি দৈনিক কিরকম ভিজিটর পাচ্ছেন, কি পরিমান ব্যান্ডউইথ খরচ হচ্ছে, সাইটের কিরকম লোডিং স্পিড প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়গুলো আগে ভালোভাবে এনালাইস করতে হবে।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

যখন আপনি এই কাজটি সঠিকভাবে করবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন যে, আপনার কোন ধরনের হোস্টিং নেয়া উচিত। এরপর আপনার চাহিদা অনুযায়ী হোস্টিং Plan কিনবেন।

তবে কেনার আগে অবশ্যই তার মূল্যটি মাথায় রাখবেন। কারন Provider ভেদে দামের তারতম্য হয়ে থাকে। অনেক প্রভাইডার আছে, যারা কমদামে ভালো হোস্টিং দিয়ে থাকে।

আবার অনেক প্রভাইডার দাম বেশি নিলেও মানসম্মত হোস্টিং দেয়না। তাই এই দিকটা বিশেষভাবে নজরে রাখবেন। 

ব্যান্ডউইথ ও স্পেস

আপনার যে প্রভাইডারের কাছে হোস্টিং কিনবেন। তারা আপনাকে আপনার প্রাপ্যতা অনুযায়ী Bandwidth & Space দিচ্ছে কিনা। তা আপনার সিপ্যানেলে গিয়ে ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন।

এমন অনেক প্রভাইডার আছে যারা আনলিমিটেড ব্যন্ডউইথ দেয়ার বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তুু হোস্টিং কেনার পর দেখা যায় কথার সাথে কাজের মিল নেই। তাই অবশ্যই এই বিষয়টি সতর্কতার সহিত নজরে রাখবেন। 

উপযুক্ত কাস্টমার সাপোর্ট

এই দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি হোস্টিং কেনার পরে যখন আপনার ওয়েবসাইটকে হোস্ট করবেন ৷ এরপর থেকে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।

এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য তারা আপনাকে কিরকম সাপোর্ট দিচ্ছে। আপনার সমস্যা জানিয়ে দেয়ার সাথে সাথে তারা সমাধান করছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো আগে থেকেই ধারনা নিবেন। 

সি-প্যানেল এক্সেস

এটা আমরা সবাই জানি যে, হোস্টিং কেনার পরে একটি C-panel দেয়া হয়। এখন কথা হলো যে, তারা এই সি-প্যানেলে আপনার সম্পূর্ন স্বাধীনতা দিবে কিনা। আপনি সেটিকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবেন কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে নিবেন।

এছাড়াও সেই হোস্টিং এ কতগুলো ডোমেইন যুক্ত করতে পারবেন, কতগুলো ইমেইলের ফিচার থাকবে এইসব বিষয়গুলো জেনে নিবেন। 

জনপ্রিয়তা ও বিশ্বস্ততা

আপনি যে কোম্পানি বা প্রভাইডার এর কাছ থেকে হোস্টিং কিনবেন। তাদের সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই ভালোভাবে ধারনা নিতে হবে।

যেমন, সেই কোম্পানিটি বিশ্বস্ত কিনা, কতদিন ধরে এই কোস্পানিটি এই ব্যবসার সাথে যুক্ত আছে, অনলাইনে তাদের রিভিউ কেমন, তাদের সাপোর্ট কেমন ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে খুটিনাটি আগে থেকেই জেনে নিবেন।

আপগ্রেড করার সুবিধা

ধরুন আপনি শুরুর দিকে একটি 2GB Hosting Plan কিনলেন। কিন্তুু একটা সময় আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেড়ে গেলো। সেই সময়ে আপনার হোস্টিং প্ল্যানকে Upgrade করতে হতে পারে।

এখন আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনবেন, তারা আপনাকে এই আপগ্রেড করার সুযোগ সুবিধা দিবে কিনা। সেটি সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিবেন। 

হোস্টিং কেনার সেরা ওয়েবসাইট

বর্তমানে হোস্টিং সার্ভিস দেয়ার মতো অনেক কোম্পানি রয়েছে। অনেক সময় খুব কম দামে হোস্টিং দেয়ার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আপনি ভুলেও এইসব প্রভাইডারের ফাঁদে পা দিবেন না।

সর্বদাই চেস্টা করবেন, কোনো মানসম্মত সুনামধারী কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেয়ার জন্য। বর্তমানে সেরকম কিছু জনপ্রিয় দেশি-বিদেশি হোস্টিং প্রভাইডারের নাম হলো, 

  1. Namecheap
  2. Bluehost
  3. HostGator
  4. Hostinger
  5. SiteGround
  6. Dreamhost
  7. Exonhost
  8. HosterPlan

শুধুমাএ যে এই প্রভাইডার গুলোই ভালো, সেটা নয়। এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু হোস্টিং প্রভাইডার রয়েছে। তবে আমার দৃষ্টিকোন থেকে উল্লেখিত এই কোম্পানি গুলো জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত। 

আমাদের শেষকথা 

আশা করি এই স্বল্প আলোচনার মাধ্যমে হোস্টিং সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এরপরও যদি আপনার হোস্টিং রিলেটেড কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই Comment করে জানাবেন।

আমি যথাসাধ্য চেস্টা করবো আপনার হেল্প করার জন্য। ধন্যবাদ

6 thoughts on “ওয়েব হোস্টিং কি ? | ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার | হোস্টিং নিয়ে A-Z”

  1. নাইমুল ইসলাম

    ভাই ক্লাইড হোস্ট নিবো কিভাবে? দাম কি বেশি?, একটু জানান।।

    1. ক্লাইড হোস্ট এর দাম বেশি হবে… নতুন অবস্থায় আপনি শেয়ারেড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন।

  2. নাইমুল ইসলাম

    শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য কোনটা ভালো জানেন? বাংলাদেশে কি Hostever ভালো? দৈনিক ৬০০ পেজ ভিউ হলে কি ১ জিবি এসএসডি, ৬০ জিবি ব্যান্ডউইডথ ভালো হবে?,
    অগ্রিম ধন্যবাদ।

    1. ১ জিবির বেশি নিতে হবে…১ জিবি প্রেক্টিসের জন্য… বাংলাদেশের জন্য exonhost দেখতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top