মাইক্রোসফট উইন্ডোজ (Windows) কি ? এর সুবিধা | উইন্ডোজ এর ইতিহাস 

Windowsকি : প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি (what is windows in bangla) বা উইন্ডোজ কাকে বলে সে সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা।

 (windows) কি ? এর সুবিধা | উইন্ডোজ এর ইতিহাস 
windows কি ? এর সুবিধা | উইন্ডোজ এর ইতিহাস

কারণ আজকের দিনে যারা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যাবহার করেন, তারা অবশ্যই কোন না কোন অপারেটিং সিস্টেম কে ব্যবহার করে থাকেন।

কিন্তু তাদের ব্যবহার করা অধিকাংশ অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাইক্রোসফট উইন্ডোজ।

আর সে কারণে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি (Windows কি) সেটি বর্তমানে অনেকের জানা একটি বিষয়।

কিন্তু এখন পর্যন্ত যারা জানেনা যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি তাদের জন্যই মূলত আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

মূলত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর কিছু অজানা বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

তো আপনি যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান তবে আজকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

হতে পারে এই আর্টিকেল থেকে আপনি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সম্পর্কে এমন কিছু জানতে পারবেন, যা আপনার আগে কখনোই জানা ছিল না।

সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের প্রায় 90% কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু এত বেশি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী থাকার পরেও এই উইন্ডোজ এর বেশ কিছু বিষয় আছে, যেগুলো এখনও অনেকের অজানা রয়েছে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করে এমন একটি ব্যক্তিকে দিয়ে জিজ্ঞেস করেন যে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ আসলে কিভাবে কাজ করে এবং এই windows-এর মালিক কে!

তাহলে দেখবেন অনেকেই সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দিতে পারবে না। কারণ তারা শুধু জানে যে কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই উইন্ডোজ ইন্সটল করে নিতে হয়।

এছাড়াও মাইক্রোসফট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সম্পর্কে আরও বেশ কিছু মজার মজার বিষয় আছে, যেগুলো আমাদের অবশ্যই জানা উচিত।

যেমন আমাদের দেশে ব্যবহার করা প্রায় অধিকাংশ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ গুলো ফ্রিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে একেকটি উইন্ডোজ কিন্তু অনেক চড়া দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

তবে প্রশ্ন উঠছে যে কিভাবে বাংলাদেশ এর মানুষ বিনামূল্যে এত দামি অপারেটিং সিস্টেমটি কে ব্যবহার করছে।

তবে এই বিষয় গুলো জানতে হলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে। তো চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

উইন্ডোজ (windows) কি ? (About Windows in Bangla)

যদি আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকে যে উইন্ডোজ কি, তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে উইন্ডোজ হলো এক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম।

যা মূলত কোন একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ডিভাইস এর মত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কে পরিচালনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কেননা এই ধরনের ডিভাইস গুলোকে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন না কোন অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মধ্যে উইন্ডোজ হল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম।

যা মূলত অধিক সংখ্যক কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কে পরিচালনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে শুধুমাত্র ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয় না, বরং বর্তমান সময়ে কিছু কিছু স্মার্টফোন আবিষ্কার হয়েছে যেগুলো তে এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

আর সময়ের সাথে সাথে সেই স্মার্টফোন গুলোতে এই ধরনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।

সত্যি বলতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের এত বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছেম সেটি হল যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হল সবচেয়ে পুরাতন একটি অপারেটিং সিস্টেম।

যাকে মূলত দীর্ঘদিন থেকে মানুষের বিশ্বাসের সাথে ব্যবহার করে আসছে।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কি?

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কি এই বিষয়টি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে।

কারণ যখন আপনি জানতে পারবেন যে অপারেটিং সিস্টেম কি, তখন আপনি খুব সহজভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কি সে বিষয়টি বুঝে নিতে পারবেন।

তো সহজ কথায় বলতে গেলে কোন একটি ডিভাইস কে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই কোন না কোন অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তবে এই অপারেটিং সিস্টেম কে আবার একটি সফটওয়্যার এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

মূলত অপারেটিং সিস্টেম নামের এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার, রিসোর্স ইত্যাদি পরিচালনা করে থাকে।

এর পাশাপাশি একটি কম্পিউটার কে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এই প্রোগ্রাম গুলোকে পরিচালনা করার জন্য মূলত অপারেটিং সিস্টেম নামে বিশেষ এই সফটওয়্যার গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

যেমন ধরুন, যে আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ গুলো কিন্তু মানুষের ভাষা বুঝতে পারে না। কেননা তারা শুধুমাত্র বাইনারি কোড এর মাধ্যমে ভাষা বুঝতে পারে।

কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম এখানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কারণ বাইরে থেকে যখন কোনো ইউজার তার কম্পিউটার কে নির্দেশ প্রদান করে, তখন সেই নির্দেশকে বোঝানোর জন্য কাজ করে থাকে অপারেটিং সিস্টেম।

এবং এর ফলে কিন্তু আমরা আমাদের নিজেদের পছন্দ মতো আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলো কে ব্যবহার করতে পারি। এবং আমাদের কম্পিউটার গুলো দিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করতে পারি।

উইন্ডোজ এর কাজ কি ?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি এবং অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন।

আশা করি আলোচিত সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন প্রকার প্রশ্নের অবকাশ নেই।

তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগে থাকতে পারে যে, আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলোতে যেসব উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি, আসলে সেই অপারেটিং সিস্টেম গুলোর কাজ কি।

অর্থাৎ সেই উইন্ডোজ গুলো আসলে কি কি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে Windows এর কাজ কি ?

  1. কোন একটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর মূল কাজ হলো একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর অভ্যন্তরে থাকা হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার এবং রিসোর্স গুলো কে পরিচালনা করা।
  2. কোন একজন ব্যবহারকারীর জন্য একটি কম্পিউটার কে সহজ ভাবে ব্যবহার করার বিশেষ একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা হল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর মূল কাজ।
  3. আমাদের কম্পিউটার গুলো তে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম থাকে। আর সেই প্রোগ্রাম গুলো কে কাজ করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  4. একটি কম্পিউটার এবং একটি ব্যবহারকারীর মধ্যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বিশেষ একটি সম্পর্ক সৃষ্টি করে থাকে।
  5. যার ফলে একজন ব্যবহারকারী তার চাহিদা এবং পছন্দ মতো তার কম্পিউটার কে ব্যবহার এবং পরিচালনা করতে পারে।
  6. যখন আমরা একটি কম্পিউটার ব্যবহার করি তখন সেই কম্পিউটারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়।
  7. যেমন, ফাইল ম্যানেজমেন্ট, মেমোরি মানেজমেন্ট, প্রসেস মানেজমেন্ট ইত্যাদি। এই সবগুলো কাজ কে কিন্তু মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পূর্ণ ভাবে পরিচালনা করে থাকে।

তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার গুলোতে ব্যবহার করা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি, সে সম্পর্কে আমি উপরে আলোচনা করলাম।

আশা করি উইন্ডোজ এর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

এখন চলুন তাহলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সম্পর্কিত অন্য বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট গুলো কি ?

আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।

তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, এমন অনেক ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে কিছু কিছু বৈশিষ্ট আছে, যেগুলো আমাদের সবার কমবেশি জেনে নেওয়া উচিত।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি সেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চান।

তবে নিচের আলোচিত আলোচনার নজর রাখুন। তাহলে আপনি সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে জেনে নিতে পারবেন।

  1. যদি আপনি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ডিভাইসে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বিশেষ একটি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
  2. সেটি হলো যে, আপনি এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ কাজ করতে পারবেন।
  3. প্রথমত একটি কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য অনেক ধরনের মাল্টিটাস্কিং কাজ, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার কে চালু করতে হয়। এর পাশাপাশি সেই সফটওয়্যার গুলো দিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হয়।
  4. তবে আপনি যদি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কে ব্যবহার করেন, তাহলে কিন্তু আপনি খুব স্মুথলি ভাবে আপনার কম্পিউটার দিয়ে কাজ করতে পারবেন।
  5. যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ নামক অপারেটিং সিস্টেমটি কে ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার সেই কম্পিউটার ডিভাইস টি অনেক হাই কনফিগারেশনের হওয়ার প্রয়োজন হবেনা।
  6. যদি আপনার কম্পিউটারে 4 জিবি র্যাম থাকে, এবং তাহলে আপনি খুব সহজ ভাবেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সকল ফিচার গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
  7. যদি আপনি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম গুলোর তুলনায় বাহ্যিক সৌন্দর্য তার দিক থেকে বিবেচনা করেন। তাহলে সবার আগে যে অপারেটিং সিস্টেমের নাম আসবে, সেটি হল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।
  8. কেননা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম গুলো অনেক অত্যাধুনিক এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং লুক দেখলে সবার নজর কাড়বে।
  9. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, ঠিক তেমনি ভাবে কাজ করার সময়ও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
  10. কেননা এগুলো তে কাজ করার জন্য তেমন বেশি কিছু জানার প্রয়োজন পড়ে না। বরং আপনার আমার বা আমার মত অনেক সাধারন মানুষ এই অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে একটি কম্পিউটার কে পরিচালনা করতে পারবে।
  11. আমাদের হাতে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকা মানেই সেই ডিভাইস গুলোতে ভাইরাস দ্বারা আক্রমণ হওয়ার ভয় সর্বদাই থাকে।
  12. কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হলো যে, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এই অপারেটিং সিস্টেম থাকলে আপনার ডিভাইসে ভাইরাস আক্রমণের হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।
  13. কারণ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর সিকিউরিটি প্রোটেকশন অনেক মজবুত।
  14. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য টি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সেই বৈশিষ্ট্যটি হল যে, আপনি অফিশিয়ালি ভাবে এই অপারেটিং সিস্টেম এর আপডেট পাবেন।
  15. যার মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন ফিচার দেখতে পারবেন, নতুন নতুন সিকিউরিটি অপশন দেখতে পারবেন। আর সে কারণেই এই অপারেটিং সিস্টেমটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

উপরের আলোচনা থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলো কে আমি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আশা করি এই আলোচনা থেকে কোন একটি অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন …

তবে এই বৈশিষ্ট্য গুলো বাদেও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের আরও অনেক অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো আমি পরবর্তী কোন আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

উইন্ডোজ কত প্রকার ?

প্রিয় পাঠক, উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আমি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি এবং মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এর বৈশিষ্ট্য গুলোকে পরিষ্কার ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

আশা করি সেই আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন। তবে এবার আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কত প্রকার (Windows কত প্রকার)।

অর্থাৎ আমরা আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে যেসব অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ ব্যবহার করি। সেই উইন্ডোজ গুলো আসলে কত প্রকারের হয়ে থাকে।

তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে উইন্ডোজ কত প্রকার ও কি কি

সত্যি বলতে উইন্ডোজ আসলে বৈশিষ্ট্যগত দিক এবং কার্যক্ষেত্রের দিক থেকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে একটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর প্রধান দুইটি ভাগ রয়েছে , সেই প্রধান দুটি ভাগ হলো:

01-Single user Windows OS

যখন কোন একটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সেই সব ওই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম গুলো কে বলা হয়ে থাকে Single user Windows OS, তবে অধিকাংশ মানুষরা এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম গুলো নিজের ব্যক্তিগত অফিসে থাকা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার গুলোতে ব্যবহার করে থাকে।

যেগুলো শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিটি ব্যবহার করবে এবং তিনি ছাড়া আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

02-Multiple user Windows OS 

এই ধরনের উল্টো সেগুলো মূলত নির্দিষ্ট একটি সময়ে একই সাথে অনেক গুলো ইউজার ব্যবহার করতে পারে।

যে কারণে এই ধরনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে বলা হয়ে থাকে Multiple user Windows OS, তবে এই ধরনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম গুলো মূলত অনেক বড় বড় কোম্পানির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটারে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়। এবং এর মাধ্যমে সেই কোম্পানির বাকি সব মানুষ কাজ করতে পারে।

উইন্ডোজ এর ইতিহাস – (History of Windows)

যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে Windows এর জনক কে, তাহলে আপনি অবশ্যই বলবেন যে উইন্ডোজ এর জনক হল বিল গেটস।

হ্যাঁ যদি আপনার মনে এই নামটি আসে তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক। কারণ বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফটের যাত্রা শুরু হয় ৪ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে।

মূলত বিল গেটস এর হাত ধরেই উইন্ডোজ এর যাত্রা শুরু হয়। তবে শুরুর দিকে উইন্ডোজ-এর এতগুলো ভার্শন ছিলনা, যতগুলো আমরা আজকের দিনে দেখতে পারছি।

কেননা বর্তমান সময়ে আমরা উইন্ডোজ 10 অব্দি চলে এসেছি।  তবে এই উইন্ডোজ 10 এর আগে আরো অনেক গুলো ভার্সন ছিল।

যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে উইন্ডোজ এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর এবার আমি সেই উইন্ডোজ এর ইতিহাস গুলোকে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

তাই আপনি যদি উইন্ডোজ এর ইতিহাস জানতে চান, আপনি যদি উইন্ডোজ এর ইতিহাস মনে রাখতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো একটু হলেও মন দিয়ে পড়তে হবে।

তাহলে চলুন এবার তাহলে উইন্ডোজ এর ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

Windows 1.0 

যদি আপনি জানতে চান যে উইন্ডোজ এর সর্বপ্রথম ভার্সন এর নাম কি। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে উইন্ডোজ এর সর্বপ্রথম ভার্সন এর নাম হলো Windows 1.0,

মূলত এই প্রথম ভার্সনটি লঞ্চ করা হয়েছিল 1995 সালের নভেম্বর মাসে। তবে অবাক করার মত বিষয় হলো যে, উইন্ডোজ এর এই প্রথম ভার্সনটি তে বেসিক কিছু টুলস এবং বেসিক কিছু ফাংশন দেওয়া হয়েছিল।

যেমন, ক্যালেন্ডার, ক্যালকুলেটর, মাইক্রোসফট পয়েন্ট ইত্যাদি। যেগুলো দিয়ে খুব সাধারণ ভাবে একটি কম্পিউটার কে পরিচালনা করা যেত।

আর এর বাইরে এই প্রথম ভার্সনে কোন প্রকার এডভান্স ফিচার ছিল না।

Windows 2.0 

উইন্ডোজের সর্বপ্রথম ভার্সন লঞ্চ করার পরে 1987 সালে উইন্ডোজ তাদের দ্বিতীয় ভার্সন উন্মুক্ত করে দেয়।

আর সেই ভার্সনের নাম দেওয়া হয় উইন্ডোজ 2.0, মূলত আগের ভার্সনের চাইতে এই ভার্সনে উইন্ডোজ টি অনেক বেশি উন্নত ছিল। কেননা এই উইন্ডোজ এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের স্ক্রিন কে মিনিমাইজ যেত।

আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো যে উইন্ডোজের এই ভার্সন দিয়ে VGA গ্রাফিক্স ব্যবহার করা যেত।

এছাড়াও উইন্ডোজে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে এক্সেল, মাইক্রোসফট সহ আরও বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেত। এর পাশাপাশি আরও বেশকিছু জরুরী ফিচার এবং সেটিং যুক্ত করা হয়েছিল।

Windows 3.0

1990 সালে উইন্ডোজ এর আরও একটি নতুন ভার্সন আসে এবং সেই ভার্সনের নাম দেওয়া হয় Windows 3.0,

মূলত এই ভার্সনটি এতটাই সফলতা অর্জন করতে পেরেছিল যে 2001 সাল আসার পরেও এই ভার্সনটি ব্যাপক চাহিদা ছিল।

কেননা উইন্ডোজ এর এই ভার্সনে অনেক নতুন নতুন ফিচার এবং নতুন নতুন আইকন যুক্ত করা হয়েছিল। যা এই উইন্ডোজ এর আলাদা একটা আকর্ষণীয় তা সৃষ্টি করেছিল।

তবে এই ভার্সনের উইন্ডোজ ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন হয়েছিল হার্ড ড্রাইভের। এই উইন্ডোজ এর ভার্সন এর মধ্যে ভার্চুয়াল মেমোরি, ইমপ্রুভমেন্ট গ্রাফিক্স, মাল্টিটাস্কিং ক্ষমতা ছিল।

যার কারনে সেই সময়ে উইন্ডোজের এই ভার্সনের ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা ছিল।

Windows 3.1

1992 সালে উইন্ডোজ তাদের আরও একটি নতুন ভার্সন নিয়ে হাজির হয়। আর সেই ভার্সনের নাম দেওয়া হয় Windows 3.1,  উইন্ডোজ তাদের এই ভার্সনে আরো অধিক পরিমাণে ফিচার এবং টুলস যুক্ত করে।

প্রথমত উইন্ডোজ এর এই ভার্সনে সেই সময়ে ফন্ট পরিবর্তন করার সুযোগ ছিল।

উইন্ডোজ 3.1 প্রথম সত্যিকারের মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ জিইউআই অপারেটিং সিস্টেম। পরবর্তীতে উইন্ডোজ 95 দ্বারা সফল হয়েছিল।

নাম থাকা সত্ত্বেও উইন্ডোজ 3.1 উইন্ডোজের প্রথম সংস্করণ ছিল না। এই পার্থক্যটি উইন্ডোজ 1.0 এর অন্তর্গত যেটি 20 নভেম্বর 1985-এ প্রকাশিত হয়েছিল।

উইন্ডোজ এর এই ভার্সনে মাল্টিমিডিয়া সাপোর্টেড ছিল যেখানে এক্সটার্নাল মিউজিক কানেক্ট করার সুযোগ সুবিধা ছিল।

Windows 95 

পূর্বের আবিষ্কার করা উইন্ডোজ এর সকল ভার্সন এর চাইতে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন এবং অনেক উন্নত একটি ভার্সন লঞ্চ করা হয় 1995 সালের আগস্ট মাসে।

মূলত উইন্ডোজ এর এই ভার্সনের সাহায্য বেশকিছু ফিচার যুক্ত করা হয়, যেখানে মূলত স্টার্ট বাটন এবং স্টার্ট মেনু কে যুক্ত করা হয়েছিল।

এই উইন্ডোজ এর ভার্সন এর মধ্যে অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করা হয়েছিল। যা মূলত 32bit এপ্লিকেশন গুলোকে সাপোর্ট করতো।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে, এই অপারেটিং সিস্টেমকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করা হয়, যেগুলো মূলত 32 বিটের ছিল।

এর পাশাপাশি উইন্ডোজ এর মাধ্যমে অফিশিয়ালি ভাবে আপডেট দেওয়ার সুযোগ ছিল। যার মাধ্যমে নতুন নতুন ফিচার গুলো কে আপডেট দেয়ার মাধ্যমে ব্যবহার করা যেত।

Windows 98 

1998 সালে উইন্ডোজ এর বিশেষ একটি ভার্সন রিলিজ করা হয়। যে ভার্সন এর মধ্যে USB সাপোর্ট কে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

উইন্ডোজ 98 একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম যা 1998 সালে মাইক্রোসফ্ট দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছিল। এটি উইন্ডোজ 95 এর উত্তরসূরী এবং উইন্ডোজ এমই দ্বারা সফল হয়েছিল।

আর এই ভার্সনের মাধ্যমে সেই সময়ে থাকা কম্পিউটার গুলোতে ইউএসবি কানেক্ট করা হয়েছিল।

এর পাশাপাশি উইন্ডোজ এর এই ভার্সনের মধ্যে আরও এক্সট্রা কিছু ফিচার ছিল, যা সেই সময়ের মানুষদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল।

Microsoft Windows ME 

উইন্ডোজ এর এই ভার্সনটি কে 2000 সালে লঞ্চ করা হয়েছিল। যেখানে মূলত ডিজিটাল মিডিয়া এর উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল।

এবং এই উইন্ডোজ এর মাধ্যমে ডিজিটাল মিডিয়াতে বিশেষ সাপোর্ট প্রদান করা হয়েছিল।

তবে বলা বাহুল্য যে এই ভার্সনটি ছিল সর্বশেষ MS Dos Kernel এর উপর তৈরি করা ভার্সন। কেননা এর পরবর্তীতে MS Dos Kernel কে উইন্ডোজ এর কোন ভার্সনে ব্যবহার করা হয়নি।

Windows 2000 

Microsoft-এর এই ভার্সনের মাধ্যমে plug-and-play করা সম্ভব ছিল। কেননা মাইক্রোসফট তাদের এই উইন্ডোজ ভার্সন এর মধ্যে এক্সটার্নাল ডিভাইস কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিল।

এটি ছিল মূলত বিজনেস অরিয়েন্টেড সিস্টেম। তবে পরবর্তী সময়ে মাইক্রোসফট তাদের এই উইন্ডোজ ভার্সনকে প্রায় আলাদা আলাদা ৮ টি ভার্সনের লঞ্চ করেছিল।

Windows XP 

মাইক্রোসফট 2001 সালে উইন্ডোজ এর এই ভার্সনটি রিলিজ করে। মূলত এটি ছিল ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম, যা সহজেই ব্যবহার করা যেত।

তবে এই ভার্সনটি 2001 সালে রিলিজ করা হলেও। এর পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ 2014 সালের এপ্রিল মাসে এই ভার্সনের জন্য সর্বশেষ আপডেট প্রদান করা হয়।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যে Windows XP তে থিম চেঞ্জ করার মতো সুযোগ ছিল। এবং এই ভার্সনে যেসব ডিফল্ট ভাবে থিম ছিল সেগুলো দেখতে অনেক আকর্ষণীয় ছিল।

এর পাশাপাশি স্টার্টমেনু, টাস্কবার, ভিজুয়াল লুক, ওয়াল পেপার ইত্যাদি অনেকের কাছেই নজর কেড়েছিল।

Windows Vista 

Windows XP লঞ্চ করার পর 2006 সালে মাইক্রোসফট তাদের নতুন একটি উইন্ডোজ ভার্সন নিয়ে হাজির হয়।

এবং সেই ভার্সনের নাম দেওয়া হয় Windows Vista, তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে microsoft-এর এই উইন্ডোজ ভার্সনটি ততটা ইউজার ফ্রেন্ডলি ছিলনা।

যার কারণে এই ভার্সনটি কম্পিউটারে ব্যাবহার করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। তবে যদিও বা উইন্ডোজ এর এই ভার্সনটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ছিলনা, কিন্তু এর মধ্যে সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক মজবুত ছিল।

তবে পরবর্তী সময়ে এই ভার্সনের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এবং যার ফলে উইন্ডোজ এর এই ভার্সনটি ব্যবহারিক দিক থেকে মানুষের মধ্যে একটা অনীহা সৃষ্টি হয়েছিল।

Windows 7 

উইন্ডোজ এর ইতিহাসে সর্বাধিক যে ভার্সনটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটির নাম হল Windows 7, মাইক্রোসফট তাদের জনপ্রিয় এই উইন্ডোজ-এর ভার্সনটি লঞ্চ করে 2009 সালে।

অবাক করার মত বিষয় হল সেই সময়ে লঞ্চ হওয়া উইন্ডোজ-এর এই ভার্সনটি এখন পর্যন্ত মানুষ ব্যবহার করে আসছে।

মূলত এই উইন্ডোজ এর ভার্সন টি অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল। এছাড়াও এর মাধ্যমে খুব দ্রুত গতিতে কম্পিউটারের সাহায্য কাজ করা যেত।

Windows 8 

2012 সালে মাইক্রোসফট তাদের নতুন একটি উইন্ডোজ ভার্সন নিয়ে হাজির হয়। মূলত পূর্বের যেসব পুরনো উইন্ডোজ এর ভাষণ ছিল সেগুলোর থেকে অনেক বেশি উন্নত ছিল এই ভার্সন টি।

কেননা উইন্ডোজ এর এই ভার্সনে স্টার্ট বাটন ও  স্টার্ট মেনু থেকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেওয়া হয়েছিল।

বলাবাহুল্য যে এই ভার্সনের মাধ্যমে খুব দ্রুত গতিতে কম্পিউটারে সাহায্য কাজ করা যেত। এর পাশাপাশি এই উইন্ডোজ এর ভার্সনে দ্রুত গতি সম্পন্ন ইউএসবি 3.0 সাপোর্ট করতো।

Windows 10

2014 সালের এই উইন্ডোজ এর এই ভার্সন টিকে লঞ্চ করা হয়। বলা যায় যে মাইক্রোসফট তাদের যতগুলো উইন্ডোজ ভার্সন রিলিজ করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে আপডেট ভার্সন হল এটি।

কেননা এই ভার্সনের মধ্যে অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে একজন ইউজার অনেক সহজ ভাবে এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে তার কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে কাজ করতে পারবে।

এবং বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এই উইন্ডোজ-এর ভার্সনটি সবার শীর্ষে অবস্থান করে আছে।

Windows 11

 

কোন উইন্ডোজ ভালো | কোন ভার্সন ব্যবহার করবো ?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি, এর পাশাপাশি উইন্ডোজ এর ইতিহাস থেকে আপনি জানতে পারলেন।

 অতীতের দিনগুলো থেকে বর্তমান সময়ে পর্যন্ত উইন্ডোজ এর কতগুলো ভার্সনকে রিলিজ করা হয়েছে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি উইন্ডোজ সম্পর্কিত অনেক অজানা বিষয় গুলোকে জানতে পেরেছেন।

তবে এই বিষয় গুলো জানার পর আপনাদের মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ গুলোতে কোন উইন্ডোজ ব্যবহার করা ভালো হবে।

এবং কোন ভার্সন ব্যবহার করা ভালো হবে। যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে তাহলে আপনাকে নিজের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে দেখতে হবে।

দেখুন আসলে উইন্ডোজ এর কোন ভার্সনটি ব্যবহার করা ভালো হবে সেটা কিন্তু নির্ভর করবে আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন কিরকম।

যদি আপনার  কম্পিউটারের কনফিগারেশন একটু লো কোয়ালিটির হয়, তাহলে আপনার উচিত হবে Windows 7 ব্যবহার করা।

কেননা যদি আপনি আপনার লো কনফিগারেশন এর কম্পিউটারে Windows 7 ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাবেন।

কিন্তু আপনার হাতে থাকা কম্পিউটার ডিভাইস টি যদি অনেক হাই কনফিগারেশনের হয়ে থাকে, এবং আপনি যদি সেই ডিভাইসে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে চান।

এর পাশাপাশি আরো নতুন নতুন ফিচার এর সুবিধা উপভোগ করতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলব Windows 10 ব্যবহার করার কথা।

কারণ Windows 10 এর মাধ্যমে আপনি অনেক নতুন নতুন ফিচার পাবেন।

হয়তোবা এর পরবর্তীতে নতুন কোন ভার্সন আসবে, কিন্তু বর্তমান সময়ে পর্যন্ত এই ভার্শন 3 সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।

তবে বর্তমানে তাদের Windows 11 beta version হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে ।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর সুবিধা – (Advantages of Windows OS)

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

জানার বিষয় হল যে আমরা যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করি, তাহলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারব।

চলুন এবার তাহলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর সুবিধা গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  1. আপনি এই অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে খুব সহজ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  2. অর্থাৎ আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমকে ব্যবহার করার জন্য তেমন বেশি কিছু জানতে হবে না।
  3. যদি আপনি গেম প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ব্যবহার করা উচিত।
  4. কেননা আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের জন্য অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনি গেমিং এর দিক থেকে বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
  5. মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ ব্যবহার করলেই আপনি plug-and-play এর সুযোগ সুবিধা পাবেন। যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কম্পনেন্ট কে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।
  6. মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ এর ভার্সন গুলোর জন্য প্রতিনিয়ত কোনো-না-কোনো আপডেট নিয়ে আসে।
  7. যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন ফিচার এবং টুলস কে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং সেই ফিচার গুলোকে উপভোগ করতে পারবেন।

যদি আপনি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে microsoft-এর উইন্ডোজকে ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি আসলে যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন, সেগুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

তবে আপনি যদি এই সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে ব্যবহার করতে হবে।

উইন্ডোজ এর অসুবিধা – (Disadvantages of Windows)

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নানাবিধ সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন এবার সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

যাতে করে আপনার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে কোন বিষয়ে অজানা না থাকে। তো চলুন এবার তাহলে উইন্ডোজ এর অসুবিধা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  1. মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর দাম অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম গুলোর তুলনায় অনেক বেশি, যা সবার পক্ষে কিনি নেওয়াটা সম্ভব হয় না।
  2. যদিওবা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর সিকিউরিটি অনেক মজবুত। কিন্তু তারপরেও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম থাকার পরেও কম্পিউটার হ্যাক হয় এমন অনেক উদাহরন দেওয়া যাবে।
  3. বর্তমান সময়ে উইন্ডোজ অটোমেটিকলি আপডেট হয়। যার কারণে এই অটোমেটিক আপডেট হওয়ার ফলে কাজ চলাকালীন অবস্থায় রিস্টার্ট দেওয়ার বিষয়টা আসলেই খুব বিরক্তিকর।

তবে উইন্ডোজ এর সুবিধার দিকের তুলনায় অসুবিধা দিকগুলো খুবই নগণ্য।

এবং সিকিউরিটি সিস্টেমের দিক থেকেই আপনি যদি একটু সজাগ থাকেন, আপনি যদি সতর্ক থাকেন, তাহলে কিন্তু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার পরেও আপনার কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

Windows কি ধরনের সফটওয়্যার?

উইন্ডোজ কম্পিউটারের জন্য একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। এটি মাইক্রোসফ্ট দ্বারা তৈরি এবং ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।

উইন্ডোজের একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস রয়েছে এবং এতে অনেক বিল্ট-ইন বৈশিষ্ট্য এবং প্রোগ্রাম রয়েছে।

উইন্ডোজ একটি সুপরিচিত অপারেটিং সিস্টেম যা প্রচুর সংখ্যক ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়।

এটি 30 বছরেরও বেশি সময় ধরে মাইক্রোসফ্ট দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি এখনও বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম।

উইন্ডোজ বিভিন্ন আকারে আসে, যেমন Windows 10, Windows 8.1, এবং Windows 7।

উইন্ডোজ 2007 কি ধরনের সফটওয়্যার

Windows 2007 একটি শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম যা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার চালানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এতে Windows Media Player, Windows Live Messenger, এবং Windows Movie Maker-এর মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

উইন্ডোজ সার্ভার কাকে বলে

উইন্ডোজ সার্ভার হল এক ধরনের সার্ভার সফ্টওয়্যার যা নেটওয়ার্ক কম্পিউটিং এর জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম এবং ইউটিলিটি প্রদান করে।

এতে Windows PowerShell স্ক্রিপ্টিং ভাষা, অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি এবং Microsoft Exchange ইমেল মেসেজিং সিস্টেমের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

উইন্ডোজ সার্ভার বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ভরযোগ্য কর্মক্ষমতা এবং নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

আমাদের শেষকথা 

প্রিয় পাঠক, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।

আশাকরি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সম্পর্কিত আমাদের যেসব অজানা বিষয় গুলো, রয়েছে সেগুলো এই আর্টিকেল থেকে সহজভাবে জেনে নিতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এমন অত্যাধুনিক বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব সহজ ভাষায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top