অপারেটিং সিস্টেম কি | অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি | What is Operating system in Bengali

অপারেটিং সিস্টেম কি :  (What Operating system in Bengali) যারা মূলত কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যাবহার করেন তারা অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জেনে থাকবেন।

অপারেটিং সিস্টেম কি | অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি | What Operating system in Bengali
অপারেটিং সিস্টেম কি ও কত প্রকার ও কি কি

কারণ আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ গুলো দিয়ে নানা ধরনের প্রোগ্রাম এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এবং ভিন্ন ভিন্ন কাজে ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম কে ব্যবহার করা হয়। আর এই প্রোগ্রাম গুলো কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করে অপারেটিং সিস্টেম।

যেহুতু বর্তমান সময়টা হল প্রযুক্তির যুগ সেহেতু আমরা অনেকেই এই অপারেটিং সিস্টেমের নাম শুনে থাকবেন ।

কেননা বর্তমান সময়ে কোনো ক্রমাগত ভাবে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর ব্যবহার বেড়ে গেছে।

আর একটি কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপ কে পরিচালনা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অংশটি এর প্রয়োজন হয় সেটি হল অপারেটিং সিস্টেম।

যদি অপারেটিং সিস্টেম না থাকতো তাহলে আমরা কোন ভাবেই আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলো কে ব্যবহার করতে পারতাম না।

আর সে কারণেই মূলত এই ধরনের প্রত্যেকটা ডিভাইসে ব্যবহার করা হয় অপারেটিং সিস্টেম।

যার মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটারে থাকা প্রোগ্রাম গুলো কে অপারেট করা হয়ে থাকে। আর আজকে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

হ্যালো পাঠক, স্বাগতম আপনাকে Bangla it blog এর নতুন একটি এপিসোডে।

আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে থাকি। ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আমাদের আলোচনার মূল টপিক হল অপারেটিং সিস্টেম (Operating system ki) ।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

মূলত অপারেটিং সিস্টেম কি (What is Operating system in Bangla) এবং অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি সে নিয়ে আজকে ধাপে ধাপে আলোচনা করব।

অপারেটিং সিস্টেম কি/ OS কি 

তো আজকের আর্টিকেলে আমরা অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

তবে সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে অপারেটিং সিস্টেম কি (Operating system ki).

যখন আপনি জানতে পারবেন যে অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে (Operating system in Bengali) তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

এবার তাহলে Operating system কি তা জেনে নেয়া যাক।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, অপারেটিং সিস্টেম হল বিশেষ এক ধরনের সফটওয়্যার, যা মূলত একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়ার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।

মূলত এই সফটওয়্যার টি বিশেষ সিস্টেমে একটি কম্পিউটার কে অপারেট করে থাকে।

তো কোনো একটি কম্পিউটার এর  যত গুলো প্রোগ্রাম থাকে সেই সবগুলো প্রোগ্রাম কে পরিচালনা করে থাকে অপারেটিং সিস্টেম।

Operating system কি?

অপারেটিং সিস্টেম হল বিশেষ এক ধরনের সফটওয়্যার যা মূলত ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারে থাকা হার্ডওয়ার এর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।

যার ফলে একজন ইউজার তার কম্পিউটার কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের প্রোগ্রাম গুলো কে পরিচালনা করার জন্য বিশেষ এক ধরনের অপারেটর এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর একটি কম্পিউটারে ব্যাবহার করা সমস্ত প্রোগ্রাম কে পরিচালনা করার জন্য বিশেষ এক ধরনের উন্নত প্রোগ্রামের সমন্বয় কে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম।

অপারেটিং সিস্টেম কি আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি তা খুব সহজ ভাবেই বুঝতে পেরেছেন।

অপারেটিং সিস্টেম কি নামে পরিচিত ?

কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম (OS) হল প্রোগ্রাম এবং ফাইলের সেট যা আপনার কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করে।

বিভিন্ন কম্পিউটার বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, তবে সবচেয়ে সাধারণ হল Windows, macOS এবং Linux।

অপারেটিং সিস্টেম কে সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে OS. আর এই OS হল বিশেষ এক ধরনের সিস্টেম সফটওয়্যার  যা মূলত কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার এর সমন্বয় সাধনের সেবা প্রদান করে থাকে।

এই অপারেটিং সিস্টেম গুলো মূলত কোন একটি কম্পিউটারের ভিতরে থাকা প্রোগ্রাম গুলো কে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা প্রদান করে।

এছাড়াও ইনপুট থেকে প্রদত্ত ডিরেকশন গুলো কে সিস্টেম এর মধ্যে প্রদান করা এবং তা আউটপুটে প্রদর্শন করাতে ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম কি | What is mobile operating system?

অপারেটিং সিস্টেম কি তা আপনি উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে মোবাইলে কি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় কিনা।

আর যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জাগে তাহলে বলব যে, আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার করা মোবাইল ফোন গুলোতে ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে এ বিষয়টি আরেকটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

দেখুন একটি মোবাইল অথবা একটি কম্পিউটার এ ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোতে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন হয়ে থাকবে।

কারণ একটি কম্পিউটার এ যেমন বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমান সময়ে স্মার্ট ফোন গুলোতে ও বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যখন কোন একটি ডিভাইস এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়, তখন সেই প্রোগ্রাম গুলো কে অপারেট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর আমরা চাইলেও কিন্তু বাইরে থেকে এই ডিভাইসের ভেতরে থাকা প্রোগ্রাম গুলো কে অপারেট করতে পারবোনা।

সেক্ষেত্রে এই ধরনের প্রোগ্রাম গুলো কে অপারেট করার জন্য বিশেষ এক ধরনের সিস্টেম প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই ধরনের সিস্টেম গুলো কে বলা হয়ে থাকে অপারেটিং সিস্টেম।

তবে বর্তমান সময়ে কম্পিউটার এর মতো ডিভাইস গুলো তে যেসব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় সেগুলো কিন্তু আমাদের স্মার্টফোন গুলো তে ব্যবহার করা হয় না।

কারণ একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে windows, Mac, Linux ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অপরদিকে একটি স্মার্টফোনে থাকা প্রোগ্রাম কে অপারেট করার জন্য যেসব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো, Android, IOS ইত্যাদি।

কিভাবে একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে ?

একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (OS) হল মোবাইল ডিভাইস, যেমন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলির জন্য একটি সফ্টওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ৷

ওএসগুলি ডিভাইস হার্ডওয়্যার এবং ব্যবহারকারীরা তাদের ইনস্টল করা অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে একটি ইন্টারফেস প্রদান করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ৷

তারা নির্মাতাদের একাধিক ডিভাইস এবং অ্যাপ স্টোর জুড়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা তৈরি করার অনুমতি দেয়।

অপারেটিং সিস্টেমের কাজ কি ?

সত্যি বলতে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় সেগুলো বিভিন্ন কাজ করে থাকে।

যে কারণে একটি অপারেটিং সিস্টেম কি কাজ করে তা আপনাকে একটি কথা বা দুটি কথায় বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়।

সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে আপনাকে একটু বিস্তারিত আলোচনায় যেতে হবে। চলুন এবার তাহলে অপারেটিং সিস্টেমের কাজ কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

০১| Memory Management

কোন একটি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমোরি এবং সেকেন্ডারি মেমোরি কি ম্যানেজ করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে মেমোরি মানেজমেন্ট।

মূলত একটি কম্পিউটার এর ডাটা গুলো ফোন মেমোরিতে গিয়ে জমা হবে সেটা নির্ধারণ করে দেয় অপারেটিং সিস্টেম।

এছাড়াও কোনো একটি কম্পিউটারে থাকা স্টোরেজ গুলো কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হবে সেটাও কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে দেয়। 

০২| Processor Management

আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে যখন কোন একটি কম্পিউটারে কোন কাজ করা হয়ে থাকে। তখন সেই কাজ গুলো কিন্তু প্রসেসর এর মাধ্যমে প্রসেস করা হয়ে থাকে।

আর একটি প্রসেসর এর মোট অংশের কতটুকু অংশ কোন কাজে ব্যয় করা হবে সেটা কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে দেয়।

পাশাপাশি যখন কম্পিউটারে একটি কাজ শেষ হয়ে যায় তার পরবর্তীতে কোন কাজটি আগে করতে হবে সেটাও কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম থেকেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ে থাকে।

০৩| File Management

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা অবশ্যই জানি যে একটি কোন একটি ফাইল কে অনেক গুলো ডিরেক্টরি এর মধ্যে রাখা হয়ে থাকে।

তো একটি ফাইল এর ভেতরে থাকা এই রিসোর্স গুলো আসলে কোন অংশে কতটুকু জায়গা নেবে সেটাও কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

যে কাজটি কে এককথায় বলা হয়ে থাকে ফাইল ম্যানেজমেন্ট।

০৪| Device Management

কোন একটি কম্পিউটার কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভ এর প্রয়োজন হয়।

এবং আমাদের ব্যবহার করা প্রতিটা কম্পিউটারে আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভ ব্যবহার করি।

যেমন সাউন্ড এর জন্য sound Drive, ভিডিও দেখার জন্য Graphic Drive, নেটওয়ার্কে ব্যবহার করার জন্য Network Drive ইত্যাদি।

তো এই ড্রাইভ গুলো মূলত নিজে থেকে কোন কাজ করতে পারে না।

বরং এগুলো কে কোন সফটওয়ার এর মাধ্যমে অপারেট করতে হয়। আর এই ড্রাইভ গুলো কে পরিচালনা করার কাজটিও মূলত অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

০৫| Security Improve

যখন আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি তখন আমরা আমাদের বিভিন্ন পাসওয়ার্ড আমাদের কম্পিউটার গুলো মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি।

যেগুলো মূলত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কেননা এই ধরনের পাসওয়ার্ড গুলো কোন ভাবে হ্যাকারদের হাতে চলে গেলে তা আমাদের বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বে।

আর একটি কম্পিউটারে ব্যবহার করা আমাদের পাসওয়ার্ড গুলো যেন কোনো ভাবেই হ্যাকারদের হাতে না পড়ে। সেই সিকিউরিটি সিস্টেমের কাজটিও অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে

০৬| System Performance

একটি অপারেটিং সিস্টেমে এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি কাজ হল এটি মূলত কোন একটি কম্পিউটার এর Performance কে আরো ইমপ্রুভ করে দেয়।

অর্থাৎ একটি কম্পিউটার ডিভাইস আসলে কি কি কাজ করবে এবং কোন কাজ গুলো উক্ত কম্পিউটারের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে তা ডিটেক্ট করে দেয়।

তার পাশাপাশি এটি সিস্টেম পারফরমেন্সকে আরো ইমপ্রুভ করতে সহায়তা করে।

একটি অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি সেগুলো নিয়ে উপরে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যারা আসলে অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ সম্পর্কে জানতে চান।

তাদের জন্য উপরোক্ত আলোচনা গুলো বেশি হেল্পফুল হবে। তাই অবশ্যই উপরে আলোচিত 6 টি পয়েন্ট একটু মনোযোগ সহকারে দেখবেন।

অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?

অপারেটিং সিস্টেম কি এবং অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি আশা করি উপরের আলোচনা থেকে এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।

তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় জেনে নিতে হবে। সেটি হলো যে একটি অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।

চলুন এবার তাহলে অপারেটিং সিস্টেম এর সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. একটি অপারেটিং সিস্টেম মূলত প্রাইমারি মেমোরি কে ট্রাক করে থাকে। অর্থাৎ কোনো একটি কম্পিউটারে থাকা প্রাইমারি মেমোরি গুলো কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কোন একটি ফাইল কে মেমোরিতে কোন অংশে সেভ করা হবে সেটি মূলত অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে দেয়।
  2. কম্পিউটারে থাকা প্রসেসর গুলোর মাধ্যমে হার্ডওয়ার কে ম্যানেজ করার কাজটি করে থাকে।
  3. আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলো তে বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি। আর এই পাসওয়ার্ড গুলো কে সুরক্ষা প্রদান করার কাজটি অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে।
  4. একটি অপারেটিং সিস্টেম এর প্রধান কাজ হল ইউজার এবং হার্ডওয়ার এর মধ্যে সম্পর্ক বা যোগসূত্র স্থাপন করা।
  5. যদি কোনো একটি কম্পিউটারে কোন ধরনের Error থাকে তাহলে সেই Error গুলো কে সলভ করা হলো অপারেটিং সিস্টেম এর মূল কাজ। 

একটি অপারেটিং সিস্টেমের কি কি বৈশিষ্ট্য আছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

যদি আপনি অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের আলোচনা গুলো মন দিয়ে পড়বেন।

অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার?

অপারেটিং সিস্টেম কি তা আপনি উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। কারণ operating system কি তা নিয়ে আমি উপরের আলোচনায় একে বারে বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার। চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি।

তো বর্তমান সময়ে আপনি মোট ৫ (পাঁচ) প্রকার এর অপারেটিং সিস্টেম দেখতে পারবেন। যথাঃ 

০১| Single-user Operating System

যেসব অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র একই সময়ে একজন ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারে সেই সব অপারেটিং সিস্টেম কে বলা হয়, Single user operating system.

এবং এই সিস্টেম গুলো কখনোই একসাথে দুজন ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর কথা।

এই সিস্টেম টা শুধুমাত্র একই সময়ে একজন ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবে।

একটি একক-ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম (SUOS) হল একটি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম যা একটি একক ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।

প্রথম SUOS 1984 সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি সমাবেশের ভাষায় লেখা হয়েছিল। সফ্টওয়্যারটির আসল নাম ছিল একক প্রোগ্রামার অপারেটিং সিস্টেম (এসপিওএস)।

০২| Multi-user Operating System

এই ধরনের সিস্টেম গুলো কে একসাথে অনেক গুলো মানুষ ব্যবহার করতে পারে। আর সে কারণে এগুলো কে বলা হয় Multi-user Operating System.

মাল্টি-ইউজার অপারেটিং সিস্টেম একাধিক ব্যবহারকারীকে একই সাথে কম্পিউটার সিস্টেম অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।

এই ধরনের সিস্টেমটি প্রায়শই সার্ভারে পাওয়া যায়, যেখানে এটি একাধিক ব্যবহারকারীদের জন্য শেয়ার করা সম্পদ প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়।

একটি মাল্টি-ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব ফাইল এবং অ্যাপ্লিকেশন রাখার অনুমতি দেয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর কথা। Linux অপারেটিং সিস্টেম কে একই সময়ে হাজার হাজার মানুষ ব্যবহার করতে পারবে।

০৩| Multitasking Operating System

এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট একটি ডিভাইস একসাথে অনেক গুলো কাজ করা যায়।

মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম আপনাকে একসাথে বেশ কিছু কাজ করতে দেয়, যেমন ওয়েব ব্রাউজ করা, আপনার ইমেল চেক করা এবং গান শোনা।

এটি আপনার কম্পিউটারকে দ্রুত চালাতেও সাহায্য করে, কারণ এটি বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে কাজকে ভাগ করতে পারে।, আবার এর সাথে কোন কিছু লিখতেও পারবেন।

কারণ এটি বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে কাজকে ভাগ করতে পারে।

একটি মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম একাধিক ব্যবহারকারীকে একই সাথে কম্পিউটার সিস্টেম অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার করতে দেয়।

এই ধরনের সিস্টেমটি এমন ব্যবসার জন্য উপযুক্ত যেগুলিতে একই সময়ে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে এমন অনেক কর্মী রয়েছে।

একটি মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম একাধিক শিশুর পরিবারগুলির জন্যও সহায়ক হতে পারে যারা তাদের স্কুলের কাজের জন্য বা গেম খেলার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চায়।

মূলত এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমগুলো কি বলা হয়ে থাকে Multitasking Operating System.

আর এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ হলো Android. 

০৪| Multi Processing Operating System

এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম গুলো কে ব্যবহার করার জন্য আলাদা আলাদা ডিভাইস এর CPU ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণেই এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমকে বলা হয়ে থাকে Multi Processing Operating System.

মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম একাধিক ব্যবহারকারীকে একই সাথে একটি কম্পিউটারের রিসোর্স অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার করতে দেয়।

এই ধরনের সিস্টেম একটি মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম হিসাবেও পরিচিত।

মাল্টিটাস্কিং ব্যবহারকারীদের একই সময়ে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালানোর অনুমতি দেয়, যখন মাল্টিপ্রসেসিং প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনকে তার নিজস্ব প্রসেসরে চালানোর অনুমতি দেয়।

মাল্টিটাস্কিং এবং মাল্টিপ্রসেসিং একই লক্ষ্য অর্জনের দুটি ভিন্ন উপায়: একই সময়ে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালানো।

এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরন হলো, XP, Windows NT.

০৫| Real Time Operating System

কোন একজন ব্যবহারকারীর দেওয়া ইনপুট কে সাথে সাথে গ্রহণ করে এবং ইনপুট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা আউটপুটে প্রদর্শন করে। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমকে বলা হয়ে থাকে Real Time Operating System.

একটি রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS) হল এক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম যা কাজগুলি পরিচালনা করে এবং ইভেন্টগুলির ক্রম সম্পর্কে গ্যারান্টি প্রদান করে।

শিল্প নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ডিভাইস, বিমান এবং মহাকাশযান, স্মার্ট ফোন এবং ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স সহ অনেকগুলি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে RTOS ব্যবহার করা যেতে পারে।

আর এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ হলো, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। 

Short Note of : Operating System 

এবার আমি অপারেটিং সিস্টেম রিলেটেড অনেক প্রশ্ন শুরু করেছি। যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর সংক্ষেপে দেয়ার চেষ্টা করবো।

০১| অপারেটিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য কি? 

অপারেটিং সিস্টেম এর মূল উদ্দেশ্যে হলো, একজন ব্যবহারকারীর সাথে হার্ডওয়্যার এর যোগসূত্র স্থাপন করা।

একটি অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সংস্থান পরিচালনা করে।

এটি সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে এবং ফাইল পরিচালনা, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগের মতো মৌলিক সিস্টেম ফাংশনগুলিকেও সমর্থন করে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

মাইক্রোসফ্ট থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে সাধারণ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম। অন্যান্য জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অ্যাপল এবং লিনাক্সের ম্যাক ওএস।

০২| ৩ টি অপারেটিং সিস্টেমের নাম কি? 

তিনটি প্রধান ধরণের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে:

  • উইন্ডোজ,
  • ম্যাক এবং
  • লিনাক্স

০৩| মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম আছে কি ? 

হুমম, আজকের দিনের স্মার্টফোন গুলোতেও অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার করা হয়। 

অপারেটিং সিস্টেম কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

প্রিয় পাঠক, আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ডিভাইস গুলোতে অপারেটিং সিস্টেম এর গুরুত্ব কতটা বেশি তা আমি আজকের আর্টিকেলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

এর পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেম কি সেটি আমি পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের আলোচিত এই অপারেটিং সিস্টেম কি নিয়ে লেখা আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আর প্রযুক্তি বিষয়ক অজানা বিষয় গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top