পেনড্রাইভ (Pendrive) কি | পেনড্রাইভ কত প্রকার | About Pendrive in bangla

Pendrive কি : What is Pendrive in bengali? যেহেতু বর্তমান সময়ে আপনি উন্নত টেকনোলজির যুগে বসবাস করছেন, সেহুতু অবশ্যই আপনি পেনড্রাইভ এর নাম শুনে থাকবেন।

পেনড্রাইভ (Pendrive) কি | পেনড্রাইভ কত প্রকার

এই পেনড্রাইভ হলো এমন একটি উন্নত প্রযুক্তি যার মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোন ধরনের ফাইল কে স্থানান্তরিত করা সম্ভব।

মূলত ডাটা ট্রান্সফার করার পাশাপাশি পেনড্রাইভ কে একটি স্টরেজ ডিভাইস হিসেবে ধরা যায়।

কলম আকৃতির এই ডিভাইসটি আগেকার দিনে শুধুমাত্র কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা হতো।

কিন্তু বর্তমান সময়ে বিশেষ এই উন্নত ডিভাইসটি কে আমরা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন গুলোতে ব্যবহার করতে পারছি।

এবং খুব সহজেই একটি ডিভাইস থেকে অন্য একটি ডিভাইসের ডেটা গুলো আদান-প্রদান করতে পারছি। আর আজকের আর্টিকেলটি মূলত পেনড্রাইভ নিয়ে লেখা হবে।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন পেনড্রাইভ কি (what is Pendrive in bangla), পেনড্রাইভ এর কাজ কি এবং বর্তমান সময়ে মোট কত প্রকার পেনড্রাইভ এর ব্যবহার হচ্ছে।

তো যদি আপনার এই পেন ড্রাইভ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

পেনড্রাইভ কি | What is Pendrive?

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পেন ড্রাইভ সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত জানব। তবে সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, Pendrive কি।

কারণ যখন আপনি এই বিষয়টি জানতে পারবেন তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। তো চলুন সবার আগে তাহলে জেনে নেয়া যাক পেনড্রাইভ কি

সহজ কথায় বলতে গেলে পেনড্রাইভ হলো একটি স্টরেজ ডিভাইস।

যে ডিভাইসটির মূলত কোন একটি কম্পিউটারে থাকা ডাটা গুলোকে অন্য আরেকটি কম্পিউটারে স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এই ধরনের ডিভাইস গুলো মূলত কলম এর সাইজের হয়ে থাকে। যা একটি লোকেশন এর ডাটা গুলো কে অন্য আরেকটি লোকেশনে স্থানান্তরিত করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তবে পেনড্রাইভের আরও একটি নাম আছে, সেটি হলো Commonly USB flash Bus. এবং এই নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হল USB.

মূলত একটি কম্পিউটারের সাথে কোন একটি পেনড্রাইভকে ইউএসবি পোর্ট এর মাধ্যমে কানেক্ট করা হয়ে থাকে।

তবে এই ধরনের ডিভাইস গুলো কে ব্যবহার করার জন্য কোন প্রকার পাওয়ার সাপ্লাই এর দরকার হয় না।

পেন ড্রাইভ এর সুবিধা কি ?

আপনি যদি পেনড্রাইভ নামক এই উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস টি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

তবে জানার বিষয় হল যে পেনড্রাইভ ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে। চলুন এবার তাহলে পেনড্রাইভ এর সুবিধাগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. পেনড্রাইভ আকারের দিক থেকে অনেক ছোট হয়ে থাকে। তাই আপনি খুব সহজেই এই উন্নত ডিভাইসটিকে বহন করতে পারবেন।
  2. এই ডিভাইস টি মূলত ডাটা স্টরেজ ক্যাপাসিটি হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  3. যদি কখনো আপনার ব্যবহার করে কম্পিউটারটি Boot করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনি পেনড্রাইভ কে Bootable ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  4. বিশেষ এই উন্নত ডিভাইসটিতে আপনি প্রায় 512gb থেকে 256gb পর্যন্ত আপনার প্রয়োজনীয় ডেটাকে স্টোর করে রাখতে পারবেন।
  5. পেনড্রাইভ নামক এই উন্নত ডিভাইস টি আপনি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারে ব্যাবহার করতে পারবেন।
  6. বর্তমান সময়ে যেসব উন্নত স্টোরেজ ডিভাইস আছে, সেইসব ডিভাইস এর তুলনায় একটি পেনড্রাইভ অনেক দ্রুত গতিতে ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।
  7. পেনড্রাইভ কে আপনি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর জন্য প্রাইমারি মেমোরি হিসেবে লাইফটাইম ব্যবহার করতে পারবেন।
  8. এই ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি কোন একটি কম্পিউটারের ভেতরে থাকা যেকোনো ধরনের ফাইল কে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য আরেকটি কম্পিউটারের ট্রান্সফার করতে পারবেন।
  9. বর্তমান সময়ে আপনি বিশেষ এই উন্নত ডিভাইসটিকে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন।
  10. আপনি চাইলেই পেনড্রাইভকে আপনার ডিভাইসের স্টোরেজ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

একটি পেনড্রাইভ ব্যবহার করলে আপনি যে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই সুবিধা গুলো নিয়ে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে আপনি যদি সেই সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট একটি পেন ড্রাইভ থাকতে হবে।

পেন ড্রাইভ এর কাজ কি?

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই উন্নত ডিভাইসটি মূলত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিওবা এই ডিভাইস টি আমরা আমাদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতে পারবো।

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেনড্রাইভ নামক এই ডিভাইসটি কে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়।

যখন আপনি দ্রুত গতিতে আপনার কম্পিউটারে থাকা কোন ডাটাকে অন্য আরেকটি কম্পিউটারের ট্রান্সফার করতে চাইবেন। তখন মূলত এই পেনড্রাইভ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

কারণ একটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে কোন একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটাকে স্থানান্তর করা যায়।

পেনড্রাইভ কত প্রকার?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি পেনড্রাইভ কি এবং পেনড্রাইভ ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা ভোগ করা যাবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তবে আপনার আরও একটি বিষয় জেনে রাখা উচিত যে পেনড্রাইভ কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এবার আমি সেই পেনড্রাইভ এর প্রকারভেদ গুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।

যদি আপনি পেনড্রাইভ এর পোর্ট দিক থেকে বিবেচনা করেন তাহলে আপনি তিন প্রকারের পেনড্রাইভ দেখতে পারবেন। আর সেই তিন প্রকার পেনড্রাইভ হলোঃ

USB 3.1 & 3.2 Ports 

সবচেয়ে আধুনিক এবং খুব দ্রুত গতিসম্পন্ন পেনড্রাইভ হল USB 3.1 এবং USB 3.2 Port. যার মাধ্যমে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে অধিক বড় বড় ফাইল গুলোকে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

USB 3.1 এবং 3.2 পোর্ট হল কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য USB (ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস) স্ট্যান্ডার্ডের সর্বশেষ সংস্করণ।

USB 3.1 এবং USB 3.2 এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল ডেটা স্থানান্তর হার; USB 3.1-এর ডেটা স্থানান্তর হার 10 Gbps (গিগাবিট প্রতি সেকেন্ডে), যেখানে USB 3.2-এর ডেটা স্থানান্তর হার 20 Gbps।

ইউএসবি 3.1 এবং ইউএসবি 3.2 উভয়ই ইউএসবি স্ট্যান্ডার্ডের পুরানো সংস্করণগুলির সাথে পিছিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই এগুলি পুরানো USB পোর্ট রয়েছে এমন ডিভাইসগুলির সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মূলত এই ধরনের পেনড্রাইভ গুলো যে কোন ফাইল আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।

USB 3.0 Flash Drive 

USB 2.0 এর তুলনায় অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন পেনড্রাইভ এর নাম হলো USB 3.0 এই ধরনের পেনড্রাইভ গুলোর কোন একটি ফাইলকে Read এবং Write করতে অনেক কম সময় এর প্রয়োজন হয়।

আমার বর্তমান সময়ে এই ধরনের পেনড্রাইভ গুলোকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।

USB 2.0 Flash Drive 

পেনড্রাইভ আবিষ্কারের শুরু থেকে যে ধরনের ব্যবহার হতো সেটি হলো USB 2.0 Flash Drive.

ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস 2.0 ফ্ল্যাশ ড্রাইভ একটি বহুমুখী, উচ্চ-গতির স্টোরেজ ডিভাইস যা বিভিন্ন সেটিংসে ব্যবহার করা যেতে পারে।

একটি USB 2.0 সংযোগ সহ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ দ্রুত ডেটা স্থানান্তর হার অফার করে, এটিকে বড় ফাইল সংরক্ষণ এবং স্থানান্তর করার জন্য একটি আদর্শ পছন্দ করে তোলে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি পুরানো USB 1.1 সংযোগের সাথেও পশ্চাদমুখী সামঞ্জস্যপূর্ণ।

যেহেতু এটি পেনড্রাইভ এর প্রথম সংস্করণ, তাই এই ধরনের পেনড্রাইভ গুলো ঠিক ততটা উন্নত ছিল না যতটা আমরা আজকের দিনের ব্যবহার করতে পারছি।

পেনড্রাইভ এর ব্যবহার কেন করা হয়?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে পেনড্রাইভ কি, পেনড্রাইভ কত প্রকার ও কি কি এবং পেনড্রাইভ ব্যবহার করলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আশাকরি পেনড্রাইভ নিয়ে আলোচিত এই বিষয় গুলো আপনি খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন। তো এবার আমি আলোচনা করব যে পেনড্রাইভ আসলে কি কারনে ব্যবহার করা হয়।

চলুন এবার তাহলে পেনড্রাইভ ব্যবহার করার কারণ গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

যদিওবা একটি পেনড্রাইভ মূলত কোন একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর ডেটাকে স্থানান্তর করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু এর পাশাপাশি আরো ভিন্ন ভিন্ন কাজে এই উন্নত ডিভাইস কে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

Use For Transfer File

যখন আপনি আপনার কম্পিউটারে থাকা কোনো ডেটাকে অন্য আরেকটি কম্পিউটার এর মধ্যে স্থানান্তর করতে চাইবেন। তখন পেনড্রাইভ নামক এই ডিভাইস টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কারণ পেনড্রাইভ নামক এই ডিভাইসটি এতটাই উন্নত মানের যে, এর সাহায্য আপনি একইসাথে অধিক পরিমাণে ডাটা কে খুব কম সময়ের মধ্যে ট্রান্সফার করার কাজটি করতে পারবেন।

Use For Portability 

আমি উপরেই পেনড্রাইভ এর সুবিধা গুলো বর্ণনা করার সময় একটা কথা বলেছি যে পেনড্রাইভ গুলো অনেক ছোট আকারের একটা ডিভাইস।

যেটি মূলত আমাদের ব্যবহার করা কলম এর আকৃতির হয়ে থাকে। যার কারণে আপনি কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই এই ডিভাইসটি কে বহন করতে পারবেন।

আর উন্নত এই ডিভাইসটিতে যেসব ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অনেক শক্ত হওয়ার কারণে আপনি যেকোন কম্পিউটারে এই ডিভাইস টি কে সংযোগ করতে পারবেন।

Use For Backup 

আমাদের প্রত্যেকের ব্যবহার করা পার্সোনাল কম্পিউটার গুলোতে নিজস্ব ব্যক্তিগত কিছু ডাটা থাকে।

কিন্তু যদি কোনো কারণবশত আমাদের সেই কম্পিউটার গুলো নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমাদের জমা রাখা সেই ডাটা গুলো হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কিন্তু এই হারিয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করার জন্য পেনড্রাইভ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি আপনার সেই ডাটাগুলোকে ব্যাকআপ হিসেবে রেখে দিতে পারবেন।

পেনড্রাইভ এর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি কত?

পেনড্রাইভ নিয়ে নানা বিষয়ে জানার পরে এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। আর সেটি হল যে একটি পেনড্রাইভে সর্বোচ্চ কত জিবি স্টোরেজ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।

তো চলুন এবার তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে একটু ধারনা নেওয়া যাক। তাহলে আপনার নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে।

তাহলে আপনার নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে।

মূলত আগেকার দিনে যেসব পেনড্রাইভ আবিষ্কার করা হয়েছিল সেগুলো ছিল অনেক কম ক্যাপাসিটি সম্পন্ন এবং সেগুলোর ডাটা ট্রান্সফার রেট অনেক ধীর গতি ছিল।

কিন্তু বর্তমান সময়ের পেনড্রাইভ গুলো দিয়ে আপনি খুব দ্রুত গতিতে যেকোনো ধরনের ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি একান্তভাবেই পেনড্রাইভের স্টরেজ ক্যাপাসিটি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমি বলব যে বর্তমান মার্কেট গুলোতে আপনি 512mb থেকে শুরু করে 256 জিবি পর্যন্ত পেনড্রাইভ পাবেন।

তবে সময়ের সাথে সাথে এই পেনড্রাইভ এর আকার আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে একটি পেনড্রাইভ এর স্টরেজ ক্যাপাচিটি কত বেশি হবে, সেটা মূলত কাস্টমারদের চাহিদার উপর নির্ভর করবে।

পেনড্রাইভ এর দাম কত?

যেহেতু আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে বর্তমান মার্কেটে ভিন্ন ভিন্ন স্টরেজ ক্যাপাসিটি সম্পন্ন পেনড্রাইভ পাওয়া যায়।

এখান থেকে সহজেই অনুমান করতে পেরেছেন যে সাইজের উপর ডিপেন্ড করে কিন্তু একটি পেনড্রাইভের দাম নির্ধারণ করে থাকে।

তবে আপনি যদি কম স্টরেজ ক্যাপাসিটি সম্পন্ন কোন পেনড্রাইভ কিনতে চান, তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন 200 টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার প্রয়োজন হবে।

কিন্তু আপনি যদি একটু ভালো মানের পেনড্রাইভ কিনতে চান, তাহলে আপনাকে 2500 থেকে 5000 টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে।

ভালো পেনড্রাইভ চেনার উপায়

পেনড্রাইভ কি এবং পেনড্রাইভ নিয়ে সমস্ত বিষয় জানার পরে এবার আপনার মনেও পেনড্রাইভ ব্যবহার করার ইচ্ছা জেগে থাকতে পারে।

এই সময় হয়তোবা আপনি ভাবছেন যে ভালো পেনড্রাইভ চেনার উপায় গুলো কি কি। অর্থাৎ যখন আপনি একটি প্রিন্টার কিনতে যাবেন তখন আপনাকে কি কি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে।

চলুন এবার তাহলে পেনড্রাইভ কেনার আগে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. শুরুর দিকে কম স্টোরেজ সম্পন্ন পেনড্রাইভ কেনা থেকে বিরত থাকবেন। যেসব পেনড্রাইভে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যাপাসিটি আছে সেগুলো কেনার চেষ্টা করবেন।
  2. যখন একটি পেনড্রাইভ কিনবেন তখন সেটির গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কতদিনের আছে সেটা অবশ্যই চেক করে নিবেন।
  3.  কোন একটি পেনড্রাইভ কেনার সময় অবশ্যই একটি ভালো কোম্পানি দেখে সেটি কেনার চেষ্টা করবেন।
  4. প্রত্যেকটি পেনড্রাইভ লক করার সিস্টেম থাকে। কিন্তু যখন আপনি কোন একটি পেনড্রাইভ কিনবেন তখন এই ফিচারটি আছে কিনা সেটা অবশ্যই জেনে নেবেন।
  5.  ভুল করেও লোভনীয় অফারে কম দামে পেনড্রাইভ কেনা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এই ধরনের পেনড্রাইভ গুলো খুব কম সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়।

যেহেতু পেনড্রাইভ এর মাধ্যমে আপনি আপনার ডেটাকে স্থানান্তর করবেন। এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার সেই ডাটাগুলোকে উক্ত পেনড্রাইভে জমা করে রাখবেন।

কিন্তু কোন কারণে যদি আপনার কেনা সেই পেনড্রাইভ টি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু আপনার জমা করার সবগুলো ডাটা একবারে হারিয়ে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকবে।

তাই একটি পেনড্রাইভ কেনার সময় অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করবেন।

কিভাবে মোবাইলে পেনড্রাইভ ব্যবহার করা যায়?

একটি পেনড্রাইভ হল একটি ছোট, বহনযোগ্য USB ফ্ল্যাশ ড্রাইভ যা ডেটা সঞ্চয় ও স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। আপনি  গান, ফটো, এপ্স, এবং অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণ করতে একটি পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার মোবাইল ফোনে একটি পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে, আপনার একটি OTG (অন-দ্য-গো) অ্যাডাপ্টারের প্রয়োজন হবে।

বেশিরভাগ আধুনিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন OTG অ্যাডাপ্টার সমর্থন করে। আপনার মোবাইল ফোনে একটি পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে, আপনার ফোনের মাইক্রো USB পোর্টে OTG অ্যাডাপ্টার সংযুক্ত করুন।

তারপর, পেনড্রাইভটিকে OTG অ্যাডাপ্টারের সাথে সংযুক্ত করুন। আপনার ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনড্রাইভ সনাক্ত করবে এবং আপনি এর বিষয়বস্তু  ব্যবহার করতে  পারবেন।

পেনড্রাইভে কোন ধরনের রম ব্যবহৃত হয়

ROM হল রিড-অনলি মেমরির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি কম্পিউটার মেমরি চিপগুলিকে বোঝায় যেগুলি থেকে শুধুমাত্র পড়া যায় এবং লেখা যায় না ৷

এই ধরনের মেমরি ডেটা সঞ্চয় করতে ব্যবহৃত হয় যা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না, যেমন একটি কম্পিউটার মাদারবোর্ডে BIOS কোড।

পেন ড্রাইভগুলি সাধারণত ফ্ল্যাশ রম ব্যবহার করে, যা মুছে ফেলা যায় এবং পুনরায় লেখা যায়।

পেনড্রাইভ এর “জনক” কে

পেন ড্রাইভটি 2000 সালের এপ্রিলে ইসরায়েলি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ডভ মোরান দ্বারা উদ্ভাবিত হয়। প্রথম পেন ড্রাইভটি 2000 সালের ডিসেম্বরে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পায়।

মোরান পরে এম-সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেন, যা 2006 সালে সানডিস্ক দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল।

পেনড্রাইভ একটি কি ডিভাইস?

পেনড্রাইভ হলো একটি স্টরেজ ডিভাইস, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ডেটা কে জমা রাখতে পারবেন এবং প্রয়োজনের সময় সেই ডাটা গুলোকে একটি ডিভাইস থেকে আরেকটি ডিভাইসে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

একটি পেনড্রাইভ আধুনিক বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস যা আপনাকে একটি ছোট এবং বহনযোগ্য ডিভাইসে প্রচুর পরিমাণে ডেটা সঞ্চয় এবং বহন করতে দেয়।

পেন ড্রাইভগুলি সঙ্গীত, ভিডিও, ছবি, এপ্স এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি প্রায়শই কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।

পেন ড্রাইভগুলি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় এবং সেগুলি বেশিরভাগ অফিস, দোকান বা পড়াশুনার কাজে বেশি ব্যবহার হয়।

১২৮ জিবি পেনড্রাইভ এর দাম কত?

যদি আপনি 128gb স্টরেজ এর পেনড্রাইভ কিনতে চান তাহলে আপনাকে 700 থেকে 1500 টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে।

এটি স্যান্ডিস্কের মতো জনপ্রিয় । অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলি সস্তা বা আরও ব্যয়বহুল হতে পারে। একটি 128 জিবি পেনড্রাইভের দাম ব্র্যান্ড, ক্ষমতা এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।

৬৪ জিবি পেনড্রাইভ এর দাম কত?

যদি আপনি 64gb স্টোরেজ ক্যাপাসিটি সম্পন্ন কোন পেনড্রাইভ কিনতে চান তাহলে আপনাকে 500 থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে।

একটি 64GB পেনড্রাইভের দাম ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে তবে সাধারণত 500 থেকে 1500Tk এর মধ্যে থাকে। আরও কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে সানডিস্ক, লেক্সার এবং কিংস্টন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

পেনড্রাইভ কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

পেনড্রাইভ আমাদের ডেটা গুলোকে স্থানান্তর এবং জমা রাখার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

যার কারণে বর্তমান সময়ে একটি বাড়তি স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে ব্যাপক হারে পেনড্রাইভ এর ব্যবহার করে আসছে।

আজকের আর্টিকেলে আমি সেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মূলত আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি পেনড্রাইভ কি এবং পেনড্রাইভ ব্যবহার করে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করবেন সে বিষয়ে step-by-step আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের আলোচিত এই বিষয়গুলো থেকে আপনি পেনড্রাইভ কি তা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এমন অজানা বিষয় গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top