অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় | Make money by creating apps

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় : টানা ১৭ বছর পড়াশোনা করার পর যখন একটি মানুষ শিক্ষার সনদ নিয়ে চাকরি পেছনে ছুটতে থাকে।

ঠিক সেই সময়ে কিছু মানুষ আছেন, যারা নিজের ঘরে বসে হাতের কাছে থাকা কম্পিউটার দিয়ে অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করে আসছে।

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় | Make money by creating apps
অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়

কারণ আজকের দিনে অ্যাপ এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, আর সেই চাহিদা কে কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করা সম্ভব।

দেখুন, বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে। তবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো, অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করা

কারণ, আজকের দিনে একটি ফোন কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য অনেক Mobile Apps ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

যার কারণে, প্রতিনিয়ত এই মোবাইল অ্যাপ এর চাহিদা বেড়ে উঠছে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

তবে এখন জানার বিষয় হলো যে, কিভাবে সফটওয়্যার তৈরি করা যায় বা অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় ? – হুমম!

আজকের আর্টিকেল টি মূলত সেই কারণে লেখা হয়েছে। আমার সাইটের পূর্বের আর্টিকেল গুলোতে Online income করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে কথা বলেছি।

সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আমি আজকে আলোচনা করবো, অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়। 

তো যদি আপনি অ্যাপ বানিয়ে টাকা আয় করতে চান। তবে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন।

তাহলে আপনিও জনপ্রিয় এই অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

যেমন ধরেন, কিভাবে কিভাবে অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম করা যায়, কিভাবে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করা যায়, এবং মোবাইল দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করার উপায়।

আপনি আরো জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় , কোন এপস এর কি কাজ এবং অ্যাপ তৈরির খরচ।

তাহলে আর দেরী কেন, চলুন শুরু করা যাক। 

অ্যাপ কি ? What is app in bengali

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় সে নিয়ে আজকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করবো।

তবে অ্যাপ কি (What is app in bangla) – সে সম্পর্কে প্রথমে আপনার ক্লিয়ার ধারনা থাকতে হবে।

তো চলুন সবার আগে অ্যাপ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে Application শব্দের সংক্ষিপ্ত রুপ কে বলা হয়, App. আর এই ধরনের এপ্লিকেশন গুলো এক ধরনের সফটওয়্যার যেগুলোকে আলাদা আলাদা ডিভাইসে রান করা হয়ে থাকে।

যেমন কিছু Software আছে যেগুলো শুধু কম্পিউটার ডিভাইসে রান করা যায়।

আবার কিছু কিছু Software আছে যেগুলো আমাদের হাতে থাকা Android ডিভাইস গুলো তে রান করা যায়।

কিন্তুু যেসব সফটওয়্যার কে মোবাইলে রান করার জন্য তৈরি করা হয়। সেই ধরনের Software গুলো কে বলা হয়ে থাকে অ্যাপ।

আর যেহুতু এই অ্যাপ গুলো মোবাইল কে বেসড করে তৈরি করা হয়। সেহুতু এগুলোকে Software Lite ও বলা হয়ে থাকে।

যার অর্থ হলো, এগুলোও এক ধরনের সফটওয়্যার তবে ততোটা শক্তিশালী নয়।

Apps দিয়ে টাকা ইনকাম করা যাবে কি ?

অর্থ যদি হয় সকল স্বার্থের মূল, সেহুতু আপনার মনে এই প্রশ্নটা জাগা স্বাভাবিক যে, Apps দিয়ে টাকা ইনকাম করা যাবে কিনা।

তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলছি যে, হ্যাঁ! এখন আপনি Apps বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

এবং আপনাকে আমি এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো, যারা মূলত Apps বানিয়ে কি টাকা আয় করার উপায় গুলোর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করে আসছে।

কারণ বর্তমান সময়ে যেমন Android Apps গুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঠিক তেমনি Apps বানিয়ে কি টাকা আয় করার উপায় এর সংখ্যাটাও বাড়ছে।

কারণ, অ্যাপ হলো মোবাইলের জন্য এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ যাকে ছাড়া আপনি একটি এন্ড্রয়েড ফোন কে কখনই স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না।

যেমন ধরুন, যখন আপনি কোনো গান শুনতে চাইবেন, তখনও কিন্তুু আপনাকে কোনো না কোনো অ্যাপস চালু করতে হবে।

আর এখন যে আপনি এই লেখাটি পড়ছেন, সেটাও কিন্তুু একটি Browser Apps এর মাধ্যমেই পড়তে পারছেন ৷ 

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়

উপরে আলোচনায় আমি আপনাকে দেখিয়ে দিলাম যে, অ্যাপ বানিয়ে টাকা আয় করার যায় কিনা।

তো সেটি জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়।

তাহলে চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক, How to earn money by app making সম্পর্কে।

তাহলে এ বিষয়ে আপনার পরিস্কার ধারনা চলে আসবে। 

দেখুন আপনি যদি আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন গুলোর জন্য একজন দক্ষ Apps Maker হয়ে থাকেন ৷

তবে আপনার সামনে এমন অনেক উপায় আসবে, যে উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি অ্যাপ বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। 

এই আর্টিকেল আপনি জনাতে পারবেন, প্লে স্টোর থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

০১| Google Admob থেকে ইনকাম

আমার সাইটে পাবলিশ হওয়া পূর্ববর্তী আর্টিকেলে গুগল এডমোব কি – সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ কারণ এটি হলো, Google এর নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট।

যার মূল উদ্দেশ্যে যারা মূলত অ্যাপ নিয়ে কাজ করে ৷ তাদের তৈরি করা সেই অ্যাপ গুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদান করা।

যেন, তাদের তৈরি করা Apps গুলোতে Add Show করে এবং সেখানে যেন তারা পাবলিশার হিসেবে কাজ করতে পারে।

তাছাড়া যেহুতু এটি গুগল এর নিজস্ব একটি প্লাটফর্ম, সেহুতু এখানে আপনি বিশ্বস্ততার সাথে অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

মূলত, এই ভাবে প্লে স্টোর থেকে  ইনকাম করা যায়

০২| Earning App বানিয়ে ইনকাম

যদি আপনি গুগল কিংবা ইউটিউবে “ইউটিউব” কিংবা “গুগলে” গিয়ে online income bd লিখে সার্চ করেন ৷ তাহলে আপনার সামনে বেশ কিছু অ্যাপ এর বিস্তারিত চলে আসবে।

যেগুলো কে বলা হয় Earning Apps. তো যদি আপনি ফোনের অ্যাপ তৈরি করতে দক্ষ হয়ে থাকেন ৷ তবে আপনিও এই ধরনের আর্নিং অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।

এবং আপনার তৈরি করা সেই Apps গুলো থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন। 

০৩| Advertisement করে ইনকাম

যখন আপনি কোনো অ্যাপ তৈরি করবেন এবং সেই অ্যাপে পর্যাপ্ত পরিমান ইউজার থাকবে। তখন আপনি সেই Apps থেকে বিভিন্ন Advertising থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

কারণ, যখন আপনার নিকট হিউজ পরিমানে ইউজার থাকবে ৷ তখন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আপনাকে অফার করবে যেন আপনি আপনার প্লাটফর্মে তাদের তৈরি করা প্রোডাক্টের প্রচার করেন।

এর ফলে তারা তাদের তৈরি করা পন্যের প্রচার করতে পারবে। এবং এই কাজটি করার বিনিময়ে আপনিও একটা মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। 

০৪| Affiliate marketing করে ইনকাম

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি – সে নিয়ে আমি একটি আলাদা আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য হলো, বিভিন্ন অনলাইন শপ বা সার্ভিস দেয় এমন কোম্পানির প্রোডাক্ট কে আপনি সেল করে দিবেন।

আর সেখান থেকে সেল করার বিনিময়ে কোম্পানি আপনাকে কিছু পরিমান টাকা কমিশন হিসেবে দিবে।

আর এই কাজটি আপনি তখনি করতে পারবেন যখন আপনার তৈরি করা প্লাটফর্মে অনেক বেশি ইউজার থাকবে ৷

তাই আপনার তৈরি করা অ্যাপ এ যদি অনেক বেশি ইউজার থাকে। তবে আপনি খুব সহজেই সেই App থেকে Affiliate করে টাকা আয় করতে পারবেন। 

০৫| Sponsorship করে ইনকাম

ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে স্পন্সরশীপ (Sponsorship) হলো অন্যতম একটি মাধ্যম।

যেখানে আপনি কোনো অনলাইন বা অফলাইন কোম্পানির পণ্যকে স্পন্সর করার মাধ্যমে অনেক টাকা অনলাইন থেকে আয় করে নিতে পারবেন ৷

তো ঠিক একই নিয়মে যদি আপনার তৈরি করা Android Apps টি ব্যবহার করার মতো হিউজ পরিমানে ইউজার থাকে।

তাহলে আপনিও খুব সহজ ভাবে স্পন্সরশীপ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। 

০৬| Referral marketing করে ইনকাম

অনলাইন ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো রেফার করা। যেখানে আপনি যতো বেশি মেম্বার কে অন্য কোনো প্লাটফর্মে যুক্ত করতে পারবেন।

আপনার ইনকাম এর পরিমান ঠিক ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। অর্থ্যাৎ, এখানে আপনার মূল কাজ হলো যে পরিমান অডিয়্যান্স আপনার নিকট থাকবে।

সেই অডিয়্যান্স গুলো কে অন্য কোনো টার্গেটেট প্লাটফর্মে শিফট করে দেয়া। আর এই কাজটি করে আপনি আপনার তৈরি করা Apps থেকে আয় করতে পারবেন ৷ 

কিভাবে Android app তৈরি করা যায় ?

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় – আশা করি উপরের আলোচনা থেকে সে বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় হলো, আপনি তখনি app থেকে আয় করতে পারবেন, যখন আপনি নিজে থেকে কোনো Android App Make করতে পারবেন।

আর সে কারনে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, কিভাবে Android App তৈরি করা যায়।

তো বর্তমান সময়ে আপনি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে অ্যাপ তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে সব গুলো উপায়ে আপনি একবারে প্রফেশনাল মানের App তৈরি করতে পারবেন না।

কারণ যখন আপনি প্রফেশনাল মানের কোনো Android App Making করতে যাবেন। তখন আপনাকে অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে।

তবে যখন আপনি কোনো এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে যাবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ 

০১| Reason For Making App

উদ্দেশ্যে বিহীন কোনো কাজে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। কারণ, উদ্দেশ্য ব্যাতীত কোনো কাজে শেষ অবধি পৌঁছানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন কোনো Android App Make করবেন। তখন আপনাকে নিজে থেকে খুজে নিতে হবে যে আপনি আসলে কি উদ্দেশ্যে অ্যাপ তৈরি করবেন।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

যেমন ধরুন, আপনি গান শোনার জন্য একটি Audio Player App তৈরি করতে চান৷ সেক্ষেত্রে আপনাকে সেই মানুষ গুলো কে টার্গেট করে সেই অ্যাপ টি তৈরি করতে হবে।

যারা মূলত অডিও প্লেয়ার এর সাহায্য গান শুনতে অভ্যস্ত। 

০২| Audience Target 

কোনো একটি অ্যাপ তৈরি করার পূর্বে আপনাকে আপনার তৈরি করা Apps এর অডিয়্যান্স কে টার্গেট করতে হবে।

কারণ, প্রতিটা প্লাটফর্ম নির্দিষ্ট কিছু অডিয়্যান্স কে টার্গেট করেই তৈরি করা হয়ে থাকে।

এবং এই Audience এর উপর নির্ভর করেই পরবর্তী ধাপ গুলো অনুসরন করে এগিয়ে যেতে হয়। যেমন, আপনি যদি বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা একটি App এর মধ্যে কোনো পেইড ফিচার যুক্ত করেন ৷

সেক্ষেত্রে কিন্তুু আপনি কোনো লাভ করতে পারবেন না। কারণ, আপনার অ্যাপ ব্যবহার করার পেছনে টাকা খরচ করার মতো সামর্থ্য ঐ বাচ্চাদের মধ্যে থাকবে না। 

০৩| Understand Your Competitor 

কোনো কাজে সফলতা পাওয়ার পেছনে প্রথম যে বাধা আসে, সেটি হলো আপনার প্রতিযোগী৷ অর্থ্যাৎ, আপনি কোনো একটি অ্যাপ তৈরি করার পরেই হুট করে সেখানে সফলতা পাবেন না।

কারণ এখানেও আপনাকে যথেষ্ট প্রতিযোগীতা করেই টিকে থাকতে হবে।

আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আপনি সেই প্রতিযোগীদের কাছে টিকে থাকতে পারবেন কিনা কারণ যদি আপনি তাদের সমতুল্য হতে না পারেন ৷

তবে এই সেক্টর থেকে আপনাকে ছিটকে পড়তে হবে। 

কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করা যায় ?

How to make andoid app ? দেখুন আপনি মোট ২ ধরনের এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন ৷

যেমন, প্রথমটি হলো Professional Apps Making এবং অন্যটি হলো non-professional Apps Making.

কারণ, আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে কোনো অ্যাপ তৈরি করতে চান।

তবে যখন আপনি কোনো অ্যাপ প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করতে যাবেন। তখন আপনাকে নিচে আলোচিত পদ্ধতিটি অনুসরন করতে হবে। 

০১| Android Studio

Make android app using Android Studio. আজকের দিনে অ্যাপ ডেভলপ করা এবং অ্যাপ তৈরি করা হলো নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম একটি মাধ্যম।

যে সেক্টরে দীর্ঘদিন থেকে অসংখ্য মানুষ কাজ করে আসছে। তো যখন আপনি এই সেক্টরে কাজ করতে যাবেন তখন সবার প্রথমে আপনি Android Studio এর নাম শুনে থাকবেন।

কারণ টি হলো এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যার মাধ্যমে আপনি একেবারে প্রফেশনাল মানের Android Apps তৈরি করতে পারবেন।

Android Studio হলো এন্ড্রয়েড এর অফিসিয়াল আইডিই (IDE). যার সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ২০১৩ সালে।

এর মধ্যে বিশেষ কিছু টুলস এবং ফিচার আছে যার সাহায্য আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো ধরনের Android Apps তৈরি করে নিতে পারবেন ৷

তবে আপনি যদি এর সাহায্য এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমনঃ

  1. প্রথমত আপনি যদি Android Studio ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনার নিকট একটি ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে। 
  2. এরপর আপনার সেই কম্পিউটার এর মধ্যে Java Development Kit (JDK) কে ইনস্টল করে নিতে হবে। 
  3. যখন আপনি Java Development Kit (JDK) কে ইনস্টল করবেন। তারপরে আপনাকে এন্ড্রয়েড স্টুডিও সফটওয়্যার কে ইনস্টল করে নিতে হবে।  
  4. তো যখন আপনি উপরের কাজ গুলো করা শেষ করবেন। তখন আপনি Android Studio কে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার পছন্দমতো এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন। 

তো কিভাবে আপনি প্রফেশনাল ভাবে এন্ড্রয়েড স্টুডিও এর মাধ্যমে Android App তৈরি করবেন ৷

তার ব্যাসিক ধাপ গুলো নিয়ে আমি উপরের দিকে আলোচনা করেছি।

আর এর পরবর্তী ধাপ গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রয়োজনীয় কোর্স কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে শিখে নিতে হবে।

যা একটি আর্টিকেলে লিখে বোঝানো সম্ভব না। 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানানোর ওয়েবসাইট

তো Android Studio দিয়ে যেমন প্রফেশনাল মানের এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি নন প্রফেশনাল বা মাঝারি মানের কোনো Android App Create করতে চান ৷

তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানানোর ওয়েবসাইট এর উপর নির্ভর করতে হবে।

তো বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের App Making Website আছে। যেগুলো মাধ্যমে আপনি কোনো প্রকার কোডিং নলেজ ছাড়াই সুন্দর সুন্দর অ্যাপ তৈরি করে নিতে পারবেন। Android App making website list

০১| Andromo

বিভিন্ন রকম প্রজেক্ট এর সমন্বয়ে আপনি যদি ভালো মানের এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে চান। তাহলে আপনার জন্য ভালো একটি App Making Website হবে Andromo.

কারণ, এই সাইট থেকে আপনি কোনো প্রকার কোডিং নলেজ ছাড়াই অনেক ভালো মানের অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারবেন।

মজার বিষয় হলো, এই সাইটের মাধ্যমে আপনি Android এর পাশাপাশি IOS এর জন্যও অ্যাপ তৈরি করে নিতে পারবেন।

তো যদি আপনি এই সাইটে কাজ করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে Andromo এর অফিসিয়াল সাইটে যেতে হবে।

এরপর তাদের সাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আর তারপর থেকে আপনি বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। 

০২| Appypie

অন্যান্য সাইটের মতো আরো একটি জনপ্রিয় অ্যাপ তৈরি করার ওয়েবসাইট এর নাম হলো Appypie.

যেখানে আপনি নানা ফিচার কে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার পছন্দ মতো এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে নিতে পারবেন।

এখানে আপনি মূলত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন।

যেমন, আপনি আপনার প্রজেক্ট গুলোতে অফলাইনে কাজ করতে পারবেন। এটিতে আপনি আপনার ফাইল গুলোর যথেষ্ট পরিমান নিরাপত্তা পাবেন।

যেকোনো ধরনের আপডেট পেয়ে যাবেন এবং এটি ব্যবহারিক দিক থেকেও অনেকটা সহজ। 

Android app তৈরি করার ফ্রি ওয়েব সাইট

উপরে আমি এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করার অন্যতম দুটি ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করেছি। তো এই সাইট গুলো তে কাজ করতে গেলে টাকা খরচের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কিন্তুু সবার পক্ষে এই টাকা ব্যয় করা সম্ভব হবে না। তাই এবার আমি আপনাকে কিছু Free App Making Website নিয়ে কথা বলবো।

যেগুলো থেকে আপনি একবারে ফ্রিতে Apps Create করে নিতে পারবেন। যেমনঃ 

  1. Apphive 
  2. Mobiroller 
  3. ibuildapp
  4. Appinstitute 
  5. Appmysite 

তো আপনি যদি বিনামূল্যে অ্যাপ তৈরি করার কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যই উপরে আলোচিত ওয়েবসাইট গুলো তে চেস্টা করে দেখবেন ৷ 

আপনি কি কি শিখলেন ? 

আজকের আর্টিকেল এর মূল টপিক হলো অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়। তবে এর পাশাপাশি আমি আরো বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। যেমনঃ 

  1. কিভাবে সফটওয়্যার তৈরি করা যায়
  2. কিভাবে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করা যায়
  3. মোবাইল দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি
  4. মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
  5. কোন এপস এর কি কাজ
  6. প্লে স্টোর থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
  7. ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

তো আপনি যদি উপরোক্ত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। 

আমাদের শেষকথা 

Android App এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়ে উঠছে। আর সেই সাথে অ্যাপ তৈরি করে নিজের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে উঠছে।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

আর সেই কারনে আজকে আমি আলোচনা করেছি অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়।

আশা করি আজকের আলোচিত বিষয় গুলো আপনি বেশ ভালো করে বুঝতে পেরেছেন। Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

2 thoughts on “অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় | Make money by creating apps”

  1. কেউ আমার app download করলে আমি টাকা পাবো বুঝলাম,,, কিন্তু সেই টাকা কোথায় জমা হবে এবং কীভাবে তুলবো ,,সেটা kindly একটু বলে দিলে ভালো হতো 🥺

    1. প্লেস্টোরে আপলোড দিতে হবে তার পর এডমোব এ আবেদন করবেন। আর আবেদন গ্রহন করলে আপনি সেই এডমোবে একাউন্ট দেখতে পারবেন।
      তার পর ব্যাংকের মাধমে টাকা নিতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top