লিনাক্স কি ? Linux এর কাজ কি এবং এর পরিচিতি

লিনাক্স কি : আমরা যারা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করি। তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি।

লিনাক্স কি ? Linux এর কাজ কি এবং এর পরিচিতি
লিনাক্স কি ? Linux এর কাজ কি এবং এর পরিচিতি

এর প্রধান কারন হলো, যদি আপনার ডিভাইসে কোনো ধরনের অপারেটিং সিস্টেম না থাকে ৷ তাহলে আপনি সেই ডিভাইস কে প্রোপারলি ভাবে রান করাতে পারবেন না।

যার কারনে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর মতো উন্নত ডিভাইস গুলো কে রান করার জন্য পূর্বে থেকেই একটি করে Operating System সেটআপ করে দেওয়া থাকে ৷

তবে বর্তমান সময়ে Windows নামক অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার অনেক বেশি রয়েছে। আর যার কারনে আমরা অনেকেই মনে করি যে, হয়তবা এই Windows ছাড়া আর কোনো অপারেটিং সিস্টেম নেই।

কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো, আজকের দিনে উইন্ডোজ ছাড়াও এমন অনেক ধরনের উন্নত Operating System আছে। যেগুলোর মাধ্যমে এই ধরনের কম্পিউটার গুলোকে Run করা হয়ে থাকে।

ঠিক এমনি একটি অপারেটিং সিস্টেম এর নাম হলো লিনাক্স। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এক বা একাধিক কম্পিউটার ডিভাইস গুলোকে খুব সহজে রান করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরো লেখা…

এবং আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে স্মুথলি পরিচালনা করতে পারবেন।

আজকের আর্টিকেলে আমি সেই বিষয় গুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো। মূলত লিনাক্স কি এবং আপনি যদি Linux Operating System ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই সবগুলো বিষয় নিয়ে আজকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

তাই আপনি যদি লিনাক্স কি, সে সম্পর্কে বিষদভাবে জানতে চান। তবে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন। 

Linux কি ? What is Linux in Bangla

যেহুতু আজকের আর্টিকেলে আপনি লিনাক্স সম্পর্কে বিষদভাবে জানবেন। সেহুতু সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, লিনাক্স কি।

যখন আপনি এই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে যাবেন। তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। তো চলুন সবার আগে Linux কি, তা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

যখন আপনি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কে চালু করে কাজ শুরু করবেন। তখন অপারেটিং সিস্টেম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মূলত এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম গুলো এতোটাই উন্নত যে, এগুলোর মাধ্যমে কোনো একটি ডিভাইস এর ভেতরে থাকা Software, Hardware এবং অন্যান্য কম্পোনেন্ট গুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।

তবে বর্তমানে অনেক গুলো অপারেটিং সিস্টেম আছে। তবে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি Operating System হলো লিনাক্স। যাকে তৈরি করা হয়েছে Linux Kernel এর উপর ভিওি করে তৈরি করা হয়েছে।

এবং এটি হলো একটি অপেন সোর্স সিস্টেম। যার কারনে আপনি এই অপারেটিং সিস্টেম কে একবারে ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন৷ সেজন্য আপনাকে বাড়তি কোনো টাকা পে করার দরকার হবেনা। 

কেন লিনাক্স ব্যবহার করবেন?

আমি শুরুতে একটা কথা বলেছি যে, বর্তমান সময়ে একটি কম্পিউটার ডিভাইস কে পরিচালনা করার জন্য অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম আছে।

তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, এত গুলো Operating System থাকার পরেও। কেন আপনি লিনাক্স ব্যবহার করবেন।

তো আপনি যদি আপনার ডিভাইসে Linux ব্যবহার করেন। তাহলে এমন অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। যেগুলো আপনি ব্যবহার করার সময় ভোগ করতে পারবেন।

মূলত এই সুবিধা গুলোর জন্য লিনাক্স এখন ক্রমেই জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম হয়ে উঠছে। যেমনঃ 

০১| বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় 

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি ৷ তাদের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ Windows এর মাধ্যমে এই ধরনের ডিভাইস গুলোকে রান করে থাকি।

কিন্তুু আপনি কি জানেন, এই উইন্ডোজ কে কিনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হয়? – হুমম! কথাটা শুনে আপনি হয়তবা অবাক হয়ে যেতে পারেন।

কিন্তুু এটা সত্যি যে, Windows ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে টাকা পে করার প্রয়োজন হবে।

কিন্তুু আমরা যেসব উইন্ডোজ ব্যবহার করি৷ সেগুলো মূলত Creck version. যার কারনে আপনার হাতে থাকা ডিভাইসটি যেকোনো সময় ভাইরাস দ্বাড়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

অপরদিকে লিনাক্স হলো একটি অপেন সোর্স প্লাটফর্ম। যাকে ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোনো প্রকার টাকা দেয়ার প্রয়োজন হবেনা।

বরং আপনি একেবারে বিনামূল্যে এই সফটওয়্যার কে আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন। 

০২| লিনাক্স হলো Kernel Based সিস্টেম

মূলত এটি হলো OS (Operating System) এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান৷ যাকে কোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর Hardware গুলোর সাথে ডিরেক্টলি কানেক্ট করা থাকে।

যার কারনে আপনি এর মাধ্যমে আপনার ডিভাইস কে স্মুথলি ব্যবহার করতে পারবেন ৷ এছাড়াও আপনার পছন্দের কম্পিউটার ডিভাইসে যেসব Uper layer Components আছে।

সেগুলোর ক্ষেএেও Low level service প্রদান করে থাকে।

Linux এর মালিক কে ?

উপরের আলোচনায় আপনি জানতে পেরেছেন যে, লিনাক্স হলো একটি Open Source Platform. যা আপনি কোনো টাকা পয়সার বিনিময় ছাড়াই একবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন ৷

কিন্তুু এই অপারেটিং সিস্টেমটি ফ্রীতে ব্যবহার করা গেলেও ৷ এর কিন্তুু একজন মালিক আছেন, যিনি এই জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম কে তৈরি করেছেন।

কিন্তুু লিনাক্স এর যেসব Source Code আছে ৷ সেগুলোর কপিরাইট প্রায় অনেক লেখক এর কাছেই আছে। আর সেই কারনেই মূলত GPLv2 Licence এর আওতায় সম্বলিতভাবে লিনাক্স কে উদ্ভাবন করা হয়েছে।

তবে এর সূচনা হয়েছিলো Linus Torvalds এর হাত ধরে। যিনি একজন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার ছিলেন। এবং তার কাছেও এই অপারেটিং সিস্টেম এর Trademark আছে। 

লিনাক্স এর ইতিহাস – History of Linux in bangla

সময়টা ছিলো, ১৯৯১ সাল। সেই সময়ে একজন আমেরিকান ইন্জিনিয়ার সর্বপ্রথম এই অপারেটিং সিস্টেম এর সূত্রপাত সৃষ্টি করেছেন ৷

এই ব্যক্তির নাম ছিলো Linus Torvalds. যিনি পেশাগত ভাবে একজন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার ছিলেন। তার বয়স যখন ২১ বছর হয় ৷ এই সময়ে তিনি লিনাক্স নিয়ে Mester’s Thesis লিখেছিলেন ৷

তবে শুরুর দিকে লিনাক্স নামটি ছিলোনা। বরং এই অপারেটিং সিস্টেম কে বলা হতো Freax. তবে এর পরবর্তী সময়ে এসে জনপ্রিয় এই অপারেটিং সিস্টেম টি Linux নামে পরিচিতি লাভ করে।

আর তখন থেকে এখন অবধি এই লিনাক্স নিয়ে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে ৷ এবং নানাবিধ সুযোগ সুবিধার কারনে এখন লিনাক্স এর ব্যবহার ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করছে। 

Windows এবং Linux এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

বর্তমান সময়ে আমাদের ব্যবহার করা অধিকাংশ কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে Windows ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তুু আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহার না করে Linux ব্যবহার করেন ৷

তাহলে কিন্তুু আপনি লিনাক্স এর সাথে উইন্ডোজ এর বেশি কিছু পার্থক্য খুজে পাবেন। এবার সেই পার্থক্য গুলো নিয়ে একটু ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

  1. লিনাক্স হলো একটি অপেন সোর্স প্লাটফর্ম। অর্থ্যাৎ, আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে এই অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় করার দরকার হবে না ৷ 
  2. অপরদিকে Windows কিন্তুু ওপেন সোর্স না। যার ফলে আপনি যদি এই সফটওয়্যার কে আপনার ডিভাইসে ব্যবহার করতে চান। তবে আপনাকে বেশ ভালো পরিমান টাকা এর পেছনে ব্যয় করার দরকার হবে। 
  3. আমরা যারা Windwos ব্যবহার করি। তারা বেশ ভালো করেই জানি যে, আমাদের HDD তে অনেক গুলো পার্টিশনে ভাগ করতে পারি ৷
  4.  C Drive, E Drive,  D Drive ইত্যাদি। কিন্তুু আপনি যদি লিনাক্স ব্যবহার করেন। তবে আপনি এতো গুলো Drive দেখতে পারবেন না। 
  5. যারা উইন্ডোজ ব্যবহারকারী, তারা Account User হিসেবে Guest, Standard এবং Administrator এই তিনটি অপশন দেখতে পারবেন।
  6. অপরদিকে আপনি যদি লিনাক্স ব্যবহার করেন ৷ তাহলে আপনি Service account, Regular এবং Root নামের এই ৩ টি অপশন দেখতে পারবেন ৷ 
  7. একজন কম্পিউটার ইউজার যদি তার ডিভাইসে লিনাক্স ইনস্টল করে। তাহলে তাকে পরবর্তী সময়ে সেই ডিভাইস কে পরিচালনা করার জন্য Code বা Commend দেয়ার প্রয়োজন হবে।
  8. কিন্তুু আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহার করে থাকেন ৷ তবে আপনাকে এই ধরনের কোনো কোড ব্যবহার করার দরকার হবে না। 
  9. উইন্ডোজ শুধুমাত্র একজন user এর জন্য বরাদ্দ করা থাকে। যার কারনে এটি শুধু Single user এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তুু লিনাক্স হলো একটি Multi user প্লাটফর্ম। যা অধিক ইউজার সাপোর্ট করে থাকে।

তো উইন্ডোজ এবং লিনাক্সের মধ্যে কি কি পার্থক্য আছে। সেগুলোর মূল মূল টপিক নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি।

তবে একটা কথা বলতে হবে যে, ব্যবহারগত দিক থেকে দুটোই অপারেটিং সিস্টেম হলেও। এই দুটো OS এর মধ্যে আপনি কাজের দিক থেকে অনেক পার্থক্য খুজে পাবেন। 

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য – (Features of Linux OS)

একটা কথা আপনাকে বেশ গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে। সেটি হলো, অপারেটিং সিস্টেম এর নানা প্রকার থাকলেও। এদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কিছু গুন আছে।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

ঠিক তেমনিভাবে আপনি যদি এই লিনাক্স নামক অপারেটিং সিস্টেম টি ব্যবহার করেন ৷ তাহলে আপনি Linux এর আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমনঃ

  1. লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো, Portability. অর্থ্যাৎ, আপনার কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত থাকা সকল হার্ডওয়্যার এর মধ্যে একেবারে সমানভাবে কাজ করতে পারবে ৷
  2. এই সফটওয়্যার টি সকল প্রকার Hardware কে সাপোর্ট করে থাকে। 
  3. যেহুতু আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করেন। সেহুতু আপনার জানা থাকবে যে, আমরা যেসব Windows ব্যবহার করি। সেগুলো কিন্তুু অনেক টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়।
  4. তবে Linux হলো একটি অপেন সোর্স সফটওয়্যার। যা ব্যবহার করতে আপনাকে কোনো টাকা খরচ করার দরকার হবে না ৷ 
  5. লিনাক্স এর অবাক করার মতো একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি Multi user support. অর্থ্যাৎ, আপনি একই সাথে অনেকজন মিলে সিস্টেমে থাকা রিসোর্স কে ব্যবহার করতে পারবেন।
  6. যেমন : Ram,Rom, Application ইত্যাদি। 
  7. আপনি যদি একটি ডিভাইস থেকে একই সাখে অনেক গুলো কাজ করতে চান। তবে আপনার জন্য উপযুক্ত OS Software হবে লিনাক্স।
  8. কেননা, এর মাধ্যমে আপনি একই সাথে অধিক এপ্লিকেশন কে রান করতে পারবেন। 
  9. সিকিউরিটির দিক থেকে আপনি লিনাক্স ব্যবহারে আলাদা কিছু বেনিফিট পাবেন ৷ যেমন, আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারে থাকা File গুলোকে আলাদা আলাদা করে Password দিয়ে প্রটেক্ট করতে পারবেন।

তো আপনি যদি জনপ্রিয় এই Linux অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি অবশ্যই এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর আমার বিশ্বাস যে, এই বৈশিষ্ট্য গুলো অবশ্যই আপনারও অনেক ভালো লাগবে। 

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর বিশেষত্ব

লিনাক্স কি এবং কেন আপনি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন। সে নিয়ে আমি উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

তো এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় আছে। যেগুলো Linux এর সাথে গভীর সম্পর্কযুক্ত। এবার আমি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনাকে একটু ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

  1. এই অপারেটিং সিস্টেমের বিশেষ বিশেষত্ব হলো Hardware Layer. যার মধ্যে একটি হার্ডওয়্যার এর নানা ডিভাইস সংযুক্ত করা থাকে। যেমন, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ ইত্যাদি। 
  2. আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, Kernel হলো OS এর মূল উপাদান। যার কারনে একে Core Component বলা হয়ে থাকে।
  3. এছাড়াও লিনাক্স মূলত আপার লেয়ার কম্পোনেন্ট গুলোকে Low লেভেল সার্ভিস প্রদান করে থাকে। 
  4. আমরা সবাই জানি যে, লিনাক্স ব্যবহার করার জন্য কমান্ড এর দরকার হয়ে থাকে। আর Shell এইসব কমান্ড গুলোকে গ্রহন করে। এরপর সেই কমান্ড গুলোকে Kernel function গুলো কে এক্সিকিউট করে। 
  5. এই অপারেটিং সিস্টেম যারা ব্যবহার করে। তারা সবাই Utilities এর নাম শুনে থাকবেন৷ এটি সর্বদা ইউজারদের সুযোগ সুবিধার জন্য কাজ করে থাকে।

তো এগুলো হলো লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বিশেষ বিশেষত্ব। যা আমি পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দেয়ার চেস্টা করেছি। আশা করি এই বিশেষত্ব গুলো সম্পর্কে পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন।

এবার চলুন অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

Linux distribution মানে কি ?

যেহুতু আজকের আর্টিকেলে আমি লিনাক্স কি তা নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি। সেহুতু আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে। সেটি হলো, Linux Distribution.

কেননা, যদি আপনি Os হিসেবে লিনাক্স ব্যবহার করেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

Linux Distribution হলো এই অপারেটিং সিস্টেম এর আপডেট একটি ভার্সন। যেখানে আলাদা আলাদা কম্পোনেন্ট গুলোকে যোগ করে থাকে।

যেমন, টুলস, সফটওয়্যার, ইনস্টলেশন ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে এমন অনেক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন আছে। যেগুলো আজকের দিনে অনেক বেশি জনপ্রিয়। যেমনঃ

  • Manjaro
  • Mx Linux 
  • Ubuntu
  • Debian 
  • Fedora 
  • Linux mint

এগুলো ছাড়াও কিন্তুু আরও অনেক ধরনের Linux Distribution আছে। আপনি যদি গুগলে এ নিয়ে সার্চ করেন। তাহলে আপনি আরও অনেক ধরনের Distribution দেখতে পারবেন। 

লিনাক্স এর অসুবিধা কি কি? 

উপরের আলোচনায় আমি লিনাক্স কি এবং এই অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেছি। এবং এই অপারেটিং সিস্টেম এর সুবিধা গুলো নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

তবে আপনি যদি Linux Operating System ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হবেন।

হয়তবা কথাটা শুনে আপনার মনে হতে পারে যে, ভাই আপনি শুরু থেকে লিনাক্স এর শুধু প্রসংশা করলেন। কিন্তুু এখন এসে বললেন যে, এটি ব্যবহারে অনেক অসুবিধা রয়েছে।

আপনি আরো পড়ুন…

তাহলে কি এই Os টি ব্যবহার করা যাবেনা? – যদি আপনার মনেও এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে লিনাক্স ব্যবহার করার অসুবিধা গুলো জেনে নিতে হবে।

  1. আমরা সবাই জানি যে, একটি ডিভাইস কে ভালোভাবে রান করার জন্য Driver এর দরকার হয়ে থাকে। কিন্তুু আপনি যদি লিনাক্স ব্যবহার করেন। তাহলে এই ড্রাইভার গুলো খুজতে বেশ বিপাকে পড়তে হবে।
  2. কারন এই অপারেটিং সিস্টেম এর ড্রাইভার গুলো সহজে পাওয়া যায়না। 
  3. যদি আপনি গেম পাগল মানুষ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম তেমন একটা সুবিধা দিতে পারবে না।
  4. কারন, এই সফটওয়্যার টি গেম খেলার দিকে ফোকাস রেখে তৈরি করা হয়নি। তাই আপনি উইন্ডোজ এর মতো এই সিস্টেমে তেমন একটা সুবিধা পাবেন না।

তবে Linux এর যে পরিমান অসুবিধা রয়েছে। তার চাইতে আপনি অনেক বেশি পরিমানে সুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

যার কারনে আপনার অবশ্যই এই Operating System কে ব্যবহার করা উচিত। 

লিনাক্স নিয়ে আমাদের শেষকথা

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি লিনাক্স কি সে বিষয়কে স্টেপ বাই স্টেপ বুঝিয়ে দেয়ার চেস্টা করেছি। আশা করি আপনার মনে আর এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না।

তবে আপনি যদি Linux সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান। তাহলে নিচে একটা কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনার সমস্যার সমাধান করার চেস্টা করবো।

এর এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই Bangla it blog এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top