QR code কি | জেনেনিন কিউআর কোড এর ব্যবহার এবং সুবিধা

QR code কি : সহজ ভাষায় বলতে গেলে বারকোড এর উন্নত সংস্করণ কে বলা হয়ে থাকে কিউআর কোড।

আর এই ধরনের কিউআর কোড গুলো আমরা প্রায় সময় দেখে থাকি।

QR code কি | জেনেনিন কিউআর কোড এর ব্যবহার এবং সুবিধা
QR code কি

কোন খবরের কাগজ থেকে শুরু করে বৈদুতিক বিলের কাগজ পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখন এই ধরনের কিউআর কোড (QR Code) গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার সাহায্য আপনি খুব সহজেই উক্ত কোড এর মধ্যে থাকা তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মূলত এই কিউআর কোড গুলোর মধ্যে বিভিন্ন তথ্য লুকায়িত থাকে। যা আমরা খালি চোখে যেমন কোন কিছুই দেখতে পাই না।

তাছাড়া এই ধরনের কোড এর ভিতর আসলে কি তথ্য দেওয়া আছে সেটা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। কেননা এই ধরনের কোড গুলো শুধুমাত্র মেশিন দ্বারা স্ক্যান করা সম্ভব।

কারণ একটি মেশিনের সাহায্যে এই কোড এর ভিতরে থাকা লুকায়িত তথ্য গুলো কে দেখতে পাওয়া যায়।

তবে জানার বিষয় হল যে এই কিউআর কোড গুলো আসলে কিভাবে কাজ করে থাকে। আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে QR code কি (what is qr code in bangla) এবং এই ধরনের কিউআর কোড গুলো কিভাবে কাজ করে থাকে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তো যদি আপনি QR code কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

তাই কোন প্রকার স্কিপ না করে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।

তাহলে আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে কিউআর কোড সম্পর্কিত অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

QR code কি | What is QR code in Bengali ?

যখন কোন অসংখ্য বিন্দুর সমন্বয়ে কালো রঙ্গের বর্গক্ষেত্র আকৃতির বিশেষ এক ধরনের গোপন কোড কে বলা হয়ে থাকে কেউ আর কোড।

এই ধরনের কিউআর কোড গুলো তো মূলত বিভিন্ন তথ্য লুকায়িত থাকে।

যেমন সেটা হতে পারে আপনার মোবাইল নম্বর, হতে পারে কারো বাড়ির ঠিকানা কিংবা সেই qr code গুলোতে থাকতে পারে কোন প্রোডাক্ট এর নম্বর।

যেমন ধরুন বর্তমান সময়ে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর কথা।

আগেকার দিনগুলোতে আমরা যখন ক্যাশ আউট করতে যেতাম তখন ওই এজেন্ট এর নম্বরটি আমাদের মোবাইলে টাইপ করতে হতো।

কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে যেকোন এজেন্ট এর সামনে থাকা কিউআর কোডটি স্ক্যান করলেই সেই এজেন্টের  বিকাশ নম্বরটি পেয়ে যাবেন।

এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

তবে শুধুমাত্র বিকাশ নয় বরং বিকাশ বাদে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট পর্যন্ত এই ধরনের কিউআর কোড গুলো ব্যবহার করে থাকে।

এবং আপনি আপনি মেশিনের মাধ্যমে সেই qr code গুলোকে স্ক্যান করতে পারবেন। এবং সেই কিউ আর কোড এর ভেতরে থাকা তথ্য গুলোকে জানতে পারবেন।

বার কোড কি? | What is barcode?

যেহেতু আপনি QR code কি সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু আপনার মনে আরেকটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে qr-code যদি কালো রঙ্গের বিন্দুর বর্গক্ষেত্রের সমন্বয় হয়ে থাকে, তাহলে বারকোড কাকে বলে।

আর বারকোড এবং কিউ আর কোড এর মধ্যে পার্থক্যটা কি। চলুন এবার তাহলে সেই বিষয়ে একটু পরিস্কার ধারণা নেওয়া যাক।

দেখুন উপরে আপনি QR code কি এই আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে কিউআর কোড হল বারকোড এর উন্নত ভার্সন।

যেখানে কিউ আর কোড এর মধ্যে অসংখ্য কালো রঙ্গের বিন্দুর বর্গক্ষেত্রের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।

কিন্তু যখন আপনি বারকোড এর দিকে তাকাবেন তখন কিন্তু একটু হলেও ভিন্নতা খুঁজে পাবেন। তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে এই ভিন্নতা আসলে কোথায়।

তাহলে শুনুন, বার করে মূলত সাদা এবং কালো রঙের সমান্তরাল রেখা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এবং এই রেখা গুলো পরস্পর একে অপরের সাথে লাগানো থাকে। যে কারণে এই ধরনের বারকোড গুলোকে মোর্স কোড বলা হয়ে থাকে।

তবে কিউ আর কোড এর ভেতরে থাকা তথ্যকে জানার জন্য যেমন মেশিন এর প্রয়োজন হয়।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন বার কোড এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইবেন, তখনও কিন্তু আপনাকে মেশিনের ব্যবহার করতে হবে।

কিউআর কোডের ইতিহাস | History of QR Code

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, QR code কি।

আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনার মনে qr code কি সে সম্পর্কে আপনি একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

এর পাশাপাশি কিউ আর কোড এর সঙ্গে বারকোডের কি পার্থক্য সে সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছেন। তবে এবার আপনাকে কিউআর কোড এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

মূলত কিভাবে এই ধরনের কিউআর কোড গুলো উৎপত্তি হয়েছিল। সে সম্পর্কে ধারণা রাখাটা আপনার জন্য বেশ জরুরি একটা বিষয়।

কিউআর কোড নামক এই উন্নত প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার হয়েছিল জাপানে। সেই সময়ে জাপানে অনেক শিল্পের পরিকল্পনা পরিচালনা করার জন্য এই ধরনের দ্বিমাত্রিক বারকোড এর ব্যবহার করা হয়েছিল।

মূলত এটি ছিল কোন পণ্যের উপরে থাকা ট্রেডমার্ক এর অবস্থান। যার সাহায্য কোন একটি প্রডাক্ট কে সহজেই সনাক্ত করা যেত।

আর এই কাজ গুলোর জন্য qr-code এতটাই উপযুক্ত ছিল যে বর্তমান সময়েও কিন্তু এই ধরনের কিউআর কোড গুলোর ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে।

তবে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়া জনপ্রিয় এই কিউ আর কোড এর উদ্ভাবন করেছিলেন ভেসনো ওয়েব নামে একটি বিখ্যাত মোটর গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা।

আর এই বিখ্যাত সংস্থাটি মূলত জাপানে অবস্থিত। বিখ্যাত এই সংস্থা থেকে সর্বপ্রথম 1994 সালে কিউ আর কোড এর নকশা তৈরি করা হয়। এবং এই নকশা পরবর্তীতে পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসে।

তবে শুরুর দিকে এই কিউআর কোডের নকশা গুলো মূলত অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে ব্যাপকহারে ব্যবহার হতো।

কিন্তু বর্তমান সময়ে তাদের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এখন এই ধরনের কিউআর কোড গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারন এই ছোট ছোট qr-code গুলোর মাধ্যমে অনেক বড় বড় তথ্য কে সঞ্চয় করা সম্ভব।

আবার আপনি একটি কিউআর কোড এর মাধ্যমে যত বড়ই তথ্য লুকিয়ে রাখুন না কেন। সেগুলো খুব সহজেই মেশিনের মাধ্যমে জানতে পারা যায়।

আর সে কারণেই মূলত কিউআর কোড আবিষ্কারের পর এখন অব্দি এই ধরনের কোড গুলোর অধিক হারে ব্যবহার করে আসছে।

QR Code-এর প্রকার

যেহেতু আপনি আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসতে পেরেছেন সেহেতু আপনার এতক্ষণে QR code কি সে সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারনা চলে এসেছে।

তবে এগুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো বেশ কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হল কিউআর কোড এর প্রকারভেদ সম্পর্কে।

কারণ বর্তমান সময়ে আপনার চোখের সবগুলো qr-code একই রকম হলেও এই ধরনের কোড গুলোর মধ্যে থেকে দুই প্রকারের ভাগ আছে। যেমনঃ

০১| স্ট্যাটিক কিউআর কোড

সহজ কথায় বলতে গেলে ওয়ান টাইম কিউ আর কোড গুলোকে বলা হয়ে থাকে স্টাটিক কিউআর কোড।

মূলত যখন আপনি এই ধরনের কোডের ভিতরে কোন তথ্যকে প্রদান করবেন তখন সেই তথ্যগুলোকে পরবর্তী সময়ে আর কোনভাবেই পরিবর্তন করা যায় না।

কারণ এখানে আপনি শুধুমাত্র একবার তথ্য প্রয়োগ করতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আর যেহেতু এই ধরনের কিউআর কোড গুলো ওয়ানটাইম ব্যবহার করার জন্য কাজ করে থাকে সেহেতু এই ধরনের কিউআর কোড গুলোকে বলা হয়ে থাকে স্ট্যাটিক কিউআর কোড।

০২| ডাইনামিক কিউআর কোড

স্ট্যাটিক কিউ আর কোড এর ভিন্ন হল ডায়নামিক কিউআর কোড। যেখানে আপনি একের অধিক বার আপনার প্রয়োগ করা তথ্য গুলো কে পরিবর্তন করতে পারবেন।

মূলত এ ধরনের কিউআর কোড গুলো তে কোন ওয়েবসাইটের ইউ আর এল দেওয়া থাকে।

যেখানে আপনি স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এ ধরনের কোড গুলো কে কোন প্রকার আপডেট করার প্রয়োজন হলে তেমন কোন কিছুর পরিবর্তন করার দরকার হয় না।

QR code গুলোর কাজ কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি কিউআর কোড কি (QR code কি)এবং বারকোড কাকে বলে সে সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

এর পাশাপাশি কিউআর কোড কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি qr-code রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন।

তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে এই কিউআর কোড গুলো আসলে কিভাবে কাজ করে থাকে।

চলুন এবার তাহলে Qr code এর কাজ কি সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

এই ধরনের QR code গুলো মূলত গুরুত্বপূর্ণ শিল্প থেকে উৎপাদিত পণ্যের মন যাচাই এবং দাম নির্ধারণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এছাড়াও এই ধরনের বড় বড় শিল্প থেকে উৎপন্ন কোন পণ্যে শনাক্ত করার কাজে মূলত QR code ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

চলুন বিষয়টা আর একটু উদাহরণ সহকারে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

মনে করুন আপনি কোন একটি পণ্য কিনতে বাজারে গেছেন।

এবং সে পণ্যটি কেনার সময় আপনি লক্ষ্য করলেন যে উক্ত পণ্যের যে দাম তার থেকে দোকানদার সেই পণ্যের অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে চাচ্ছে।

তো সেই মুহুর্তে আপনি যদি উক্ত পণ্যের প্যাকেটের উপরে থাকা কিউআর কোডটি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করেন।

তাহলে কিন্তু আপনি উক্ত পণ্যটির সঠিক দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তবে শুধুমাত্র দামের ক্ষেত্রেই নয় বরং আপনি আরও আলাদা আলাদা কাজেই কিউআর কোড গুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনি বিশ্বখ্যাত কোন বড় একটা কোম্পানির কোন প্রোডাক্ট কে কিনতে গেছেন।

কিন্তু কেনার সময় আপনার মনের সন্দেহ হচ্ছে যে উক্ত পণ্যটি আসল নাকি নকল।

সেক্ষেত্রেও আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেই পণ্যের বক্সে থাকা কিউআর কোডটি স্ক্যান করেন। তাহলে কিন্তু আপনি সেই পণ্যে টি আসল অথবা নকল এর পার্থক্যটা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

QR কোড কিভাবে কাজ করে ?

কিউআর কোড কি কাজে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন।

তো এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে এই কিউআর কোড গুলো আসলে কিভাবে কাজ করে থাকে।

কারণ আপনি একটি কিউআর কোড কে কোন মেশিনের মাধ্যমে স্ক্যান করলে সেখানে কিভাবে আপনি তার ভেতরে থাকা তথ্যগুলোকে জানতে পারবেন।

চলুন এবার তাহলে এ বিষয়ে একটু ধারণা নেওয়া যাক।

দেখুন বর্তমান সময়ে আপনি আপনার মোবাইল ফোন হোক কিংবা অন্য কোন মেশিনের মাধ্যমে হোক যখন আপনি এই কিউআর কোড গুলোকে স্ক্যান করবেন।

তখন আপনি উক্ত কোড এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।

কিন্তু জানার বিষয় হল যে কেন এবং কিভাবে এই কিউআর কোড গুলো কে স্ক্যান করলে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারা যায়।

আসলে এই কিউআর কোড গুলো ভেতরে যে তথ্য গুলো দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো কিন্তু পূর্ব থেকেই ইনপুট করতে হয়।

মনে করুন আপনার একটি বড় কোম্পানি আছে এবং সেই কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট আছে।

এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার এই প্রোডাক্ট গুলোর সঠিক দাম এবং সেই প্রোডাক্ট গুলো আসল নাকি নকল সে সম্পর্কে জানো কাস্টমাররা পরিষ্কার ধারণা পায়।

সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রোডাক্টের গায়ের উপরে অথবা আপনার প্রোডাক্টের বক্সের গায়ের উপরে এই ধরনের কিউআর কোডে পূর্ব থেকেই তথ্যগুলো ইনপুট করে দিতে হবে।

আর তারপরেই মূলত কাস্টমাররা আপনার সেই কোডটি স্ক্যান করে উক্ত তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। মূলত সহজ এই পদ্ধতিতে qr-code কাজ করে থাকে।

QR code-এর সুবিধা কি ?

এই পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রত্যেকটি সৃষ্টির কোনো-না-কোনো সুবিধাজনক দিক আছে। ঠিক তেমনিভাবে আপনি যদি কিউ আর কোড এর ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি নানা দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে জানার বিষয় হল যে এই ধরনের qr-code গুলোতে মূলত কি ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

চলুন এবার তাহলে সেই সুবিধাজনক দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. যদি আপনি বারকোড এর সঙ্গে কিউ আর কোড এর তুলনা করেন তাহলে একটা বিরাট পার্থক্য দেখতে পারবেন। কারণ একটি বারকোডে শুধু মাত্র 10 থেকে 12 টি ক্যারেক্টার কে ইনপুট করা যায়।
  2. অপরদিকে আপনি যদি কিউ আর কোড এর ব্যাবহার করেন তাহলে এই ধরনের কোড গুলোর মধ্যে আপনি প্রায় 2000 টাকার ইনপুট করতে পারবেন।
  3. সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো আপনি কিউআর কোড এর মধ্যে যেসব তথ্যকে ইনপুট করবেন। সেই তথ্যগুলো সহজেই নষ্ট হয়ে যাবে না।
  4. কোন একটি বর্গাকৃতির কিউআর কোড এর কোন অংশ যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনি খুব সহজেই তার ভেতরে থাকা তথ্য গুলোকে ফিরে পাবেন।
  5. যদি আপনি বারকোড এর ভেতরে থাকা তথ্যকে জানতে চান, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে।
  6. কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হলো এই ধরনের কিউআর কোড গুলো তে থাকা তথ্যকে জানার জন্য তেমন কোন এপ্লিকেশন এর প্রয়োজন হয় না।
  7. কিউআর কোড ব্যবহারের সবচেয়ে বড় একটা ভালো দিক হলো যে এই ধরনের কোডগুলো থেকে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে সুরক্ষা পাবেন।
  8. কারণ একটি কিউআর কোড কে বাইরে থেকে দেখলে এর ভেতরে থাকা তথ্যকে কোনভাবেই অনুমান করা সম্ভব নয়। এবং এর ভিতরে থাকা তথ্য গুলোকে আপনি তখনই জানতে পারবেন যখন আপনি এটিকে স্ক্যান করবেন।

তো একটি কিউআর কোড থেকে আপনি আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেগুলো নিয়ে আমি উপরে আলোচনা করেছি।

আশা করি এই আলোচনায় আলোচিত বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কিভাবে qr কোড বানানো যায়?

QR code কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে কিভাবে এই কিউআর কোড গুলো বানানো যায়।

যদি আপনার মনে হয় ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে বলব যে বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজেই এ ধরনের qr-code গুলোকে বানাতে পারবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

কেননা বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল এপ্লিকেশন আছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই কিউআর কোড তৈরি করা সম্ভব।

আপনি চাইলে সেই ওয়েবসাইট এবং এপ্লিকেশন গুলোকে ব্যবহার করে কিভাবে তৈরি করতে পারবেন।

QR কোড কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

বর্তমান সময়ে কিউআর কোড ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হচ্ছে। খবরের কাগজ থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই ধরনের QR code  গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণেই মূলত আপনার কিউআর কোড কি (QR code কি) সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি একটা বিষয়।

আজকের আর্টিকেলে মূলত আমি QR code কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আপনি যদি গুরুত্বপূর্ন এই আর্টিকেল টি মন দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনার qr-code কি সে সম্পর্কে আর কোন বিষয়ে অজানা থাকবে না।

তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top