Ransom ware অ্যাটাক কি | Ransom ware থেকে বাঁচার উপায় কি

Ransom ware কি – আমরা যারা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মত ডিভাইস গুলো কে ব্যবহার করি।

তাদের সবার কাছে যান Ransom ware নামক এই ভাইরাস টি বেশ আতঙ্কের নাম।

Ransom ware অ্যাটাক কি | Ransom ware থেকে বাঁচার উপায় কি
Ransom ware অ্যাটাক কি | Ransom ware থেকে বাঁচার উপায় কি

একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে একজন অভিজ্ঞ  কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত, প্রায় সবাই এই  Ransom ware ভাইরাসটি নিয়ে বেশ চিন্তিত।

কারণ আপনি যত বড়ই আইটি এক্সপার্ট হয়ে থাকুন না কেন যদি কোন কারণে আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে Ransom ware  নামক এই ভাইরাসটি অ্যাটাক করে। তাহলে  আপনার আর কোন কিছু করার থাকবে না।

কারণ ভুলবশত যদি এই Ransom ware নামক এই ভাইরাস টি আপনার ডিভাইসকে অ্যাটাক করে।

তাহলে আপনি কোনো ভাবেই সেই ডিভাইসটি কে আপনার নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালনা করতে পারবেন না।

এর পাশাপাশি আপনার ওই কম্পিউটার ডিভাইসে যেসব পার্সোনাল তথ্য থাকবে, সেগুলোও আপনাকে হারাতে হবে।

সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো যে, যখন এই Ransom ware নামক ভাইরাসে আপনার ডিভাইস টি অ্যাটাক হবে।

তখন আপনি নিজে থেকেই সব কিছুই বুঝতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন। কিন্তু এই ভাইরাস টি এতটাই শক্তিশালী যে আপনার দেখে থাকা ছাড়া আপনার আর কোন কিছুই করার থাকবেনা।

তাহলে একবার ভেবে দেখুন যে এই ভাইরাস এর শক্তির পরিমাণ কতটুকু। আর আজকের আর্টিকেলে মূলত আমি এই ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

মূলত আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে,  Ransom ware কি (Ransom ware  ki), এবং কিভাবে আপনি ক্ষতিকর এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবেন।

যদি আপনি না জেনে থাকেন যে Ransom ware কি (what is Ransom ware in bangla), তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

এর পাশাপাশি যদি কোন কারণে আপনার ডিভাইসটি ক্ষতিকর এই ভাইরাসের অ্যাটাক হয়ে থাকে। তাহলে আপনি কিভাবে সেখান থেকে মুক্তি পাবেন সে নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা করব।

Ransom ware কি?

আপনি বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার ভাইরাসের নাম শুনে থাকবেন। আর সেগুলোর মধ্যে বেশ ভয়ঙ্কর একটি ভাইরাস এর নাম হল Ransom wareware.

মূলত এটি এক ধরনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস। যে ভাইরাস টি যদি কোন কারণে আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে অ্যাটাক করে।

তাহলে আপনার উক্ত কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে থাকা সকল প্রয়োজনীয় ফাইল গুলো লক হয়ে যাবে। এবং আপনি কোনোভাবেই সেই লক হওয়া ফাইল গুলোকে আনলক করতে পারবেন না।

অবাক করার মত বিষয় হলো যে এই ফাইল গুলো কে এত বড় key দিয়ে লক করা হয় যে আপনি প্রযুক্তিগত দিক থেকে সেই লক গুলো খোলা একে বারেই অসম্ভব হয়ে যাবে।

আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ধরনের লক খোলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। চলুন বিষয়টা আর একটু উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেয়।

মনে করুন আপনি আপনার বাসা থেকে কোথাও বাইরে ঘুরতে যাবেন। তো এই মুহুর্তে আপনি আপনার বাসায় তালা লাগিয়ে সেখানে চলে গেলেন।

কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসে দেখলেন যে আপনি আপনার বাসায় যে তালাটি লাগিয়ে গেছেন। কেউ সেই তালাকে ভেঙ্গে অন্য আরেকটি তালা লাগিয়ে রেখেছে।

এবং সেখানে একটি নোটিশ দিয়ে রেখেছে যে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিতে হবে তারপরে এই তালা আপনি খুলতে পারবেন।

হয়তোবা এই বিষয়টি শুনে আপনি একটু অবাক হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু অবাক হলেও মূলত এই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস।

যেখানে আপনার হার্ড ড্রাইভে থাকা ফাইল গুলোকে লক করে দেওয়া হবে এবং আপনি যদি সেই লক করা ফাইল গুলোকে আনলক করতে চান তাহলে আপনাকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে।

অ্যান্টি ম্যালওয়্যার কি

ম্যালওয়্যার হল এক ধরনের সফ্টওয়্যার যা আপনার কম্পিউটারকে সংক্রমিত করতে পারে এবং আপনার সেটিংস পরিবর্তন বা অক্ষম করতে পারে।

অ্যান্টি ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ভাইরাস এবং অন্যান্য  কাজের জন্য স্ক্যান করে আপনার কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ৷

অ্যান্টি ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার আপনাকে আপনার কম্পিউটার থেকে কোনো ক্ষতিকারক ফাইল মুছে ফেলতে সাহায্য করে।

ম্যালওয়্যার কি | ম্যালওয়্যার কত প্রকার?

যখন কোন অসাধু কার্যকলাপের নিমিত্তে কোন একটি কম্পিউটার এর ইউজার অনুমতি ছাড়াই যখন উক্ত কম্পিউটারের কোন ফাইল বা ডেটাকে এক্সেস নেওয়ার জন্য ক্ষতিকর সফটওয়্যার কিংবা প্রোগ্রাম কে বলা হয়ে থাকে ম্যালওয়্যার।

মূলত এই ধরণের ম্যালওয়্যার ভাইরাস গুলো কে বলা হয়ে থাকে কম্পিউটারের দূষন। যে গুলোর মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটারের অনেক বড় ক্ষতি করা সম্ভব।

তবে একটি অথবা দুটি ভাইরাস থেকে ম্যালওয়্যার বলা হয় না বরং এর বিভিন্ন রকমের প্রকারভেদ রয়েছে । যেমনঃ

  1. ভাইরাসঃ এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার এর ভেতরে থাকা কোনো প্রকার ফাইল অথবা ব্যক্তিগত তথ্য কে হ্যাক করা হয়ে থাকে।
  2. স্পাইওয়্যারঃ এই ধরনের ম্যালওয়্যার এর মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটারের ব্যক্তিগত তথ্য গুলো কে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
  3. কীটঃ কোন একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক কে নিজের আওতায় নিয়ে আসার জন্য এই ধরণের কীট নামক ম্যালওয়্যার ভাইরাসকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  4. রুটকিটঃ আপনার কম্পিউটারে যে সব সফটওয়ার গুলো ইন্সটল করা থাকবে। সেই সফটওয়্যার গুলোর এক্সেস নেওয়ার জন্য এই ধরনের রুটকিট নামক ম্যালওয়্যার ভাইরাস কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সত্যি বলতে ভয়ঙ্কর এই ম্যালওয়্যার ভাইরাসের বিভিন্ন রকমের প্রকারভেদ রয়েছে। যেহেতু আজকের আর্টিকেল এর মূল টপিক হল Ransom ware.

তাই ম্যালওয়্যার ভাইরাস নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করাটা ঠিক হবে না। যদি আপনি ম্যালওয়্যার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

র‌্যানসমওয়্যার (Ransomware) এর ইতিহাস

র‌্যানসমওয়্যার নামক এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসটির সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল হাজার 1989 সালে। কিন্তু এই ভাইরাসটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন জনভন নিউম্যান নামের একজন ব্যক্তি।

যে ব্যক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন। এবং এই ব্যক্তিটি 1949 সালে সর্বপ্রথম র‌্যানসমওয়্যার নামক কম্পিউটার ভাইরাস এর উদ্ভাবন করেন।

এবং তারপরেই জোসেফ পোপ নামক আরো একজন ব্যক্তি এই ধরনের ভাইরাস কে কাজে লাগিয়ে “AIDS”- নামক নতুন আরো একটি র‌্যানসমওয়্যার  ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হন।

মূলত শুরুর দিকে ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসটি মূলত PC Cyborg কোম্পানি নামে পরিচিত ছিল। আর উক্ত সময়ে যখন কোনো একটি কম্পিউটার এর প্রয়োজনীয় ফাইল গুলোকে এনক্রিপটেড করা হতো।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তখন ওই ফাইল গুলো ওপেন করার সময় একটি নোটিফিকেশন দেখা যেত। এবং সেখানে লেখা থাকতো যে “আপনার ব্যবহার করা সফটওয়্যার টির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এবং আপনি যদি পুনরায় সেই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে PC Cyborg নামক কোম্পানির নিকট 189 মার্কিন ডলার প্রদান করতে হবে”।

তবে এটি ছিল র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস এর আক্রমনের সর্বপ্রথম ধাপ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ভাইরাসের প্রকোপ আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ 2010 সাল থেকে র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাসের প্রভাব আরো বেশি করে লক্ষ্য করা যায়।

এই সময়ে একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী কে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ছবি দেখে সেই ছবিতে ক্লিক করার জন্য একপ্রকার জোর করা হতো।

এবং যদি কোন কারণে সেই ব্যক্তি উক্ত ছবিতে ক্লিক করতো তাহলে তাৎক্ষণিক ভাবে তার ডিভাইসে থাকা সকল ফাইল গুলো লক হয়ে যেত। আর উক্ত সময়ে যখন সেই লক হওয়া ফাইল গুলো কে আনলক করার চেষ্টা করা হতো।

তখন তার কাছ থেকে 10 মার্কিন ডলার দাবি করা হতো। আর এই পদ্ধতিতে মূলত রাশিয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ মিলে মোট 16 মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছিল।

Ransom ware অ্যাটাক কি?

Ransom ware কি এটি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় জেনে নিতে হবে। আর সেটি হল যে Ransom ware অ্যাটাক কি ।

মূলত যখন আপনি একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়ে কোন দূর্ঘটনা বশত এই ধরনের ভাইরাস আক্রমণের শিকার হয়ে যান। মূলত সেটিকেই বলা হয়ে থাকে Ransom ware অ্যাটাক।

যে অ্যাটাক এর মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে থাকো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো এনক্রিপটেড হয়ে যাবে এবং আপনি যদি সে গুলোকে ডিক্রিপটেড করতে চান।

সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হবে।

Ransomware হল এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা ভিকটিমের কম্পিউটারে ফাইলগুলিকে এনক্রিপ্ট করে এবং ফাইলগুলি প্রকাশ করার জন্য অর্থ প্রদানের দাবি করে ৷

ব্যবহারকারী মুক্তিপণ পরিশোধ না করলে, ম্যালওয়্যার এনক্রিপ্ট করা ফাইল  ওপেন করতে পারবে না।

Ransom ware অ্যাটাক করলে কি ধরনের ক্ষতি হবে?

Ransom ware কি সেটি আপনি উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো এই আলোচিত আলোচনা থেকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার পর এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

যে, কোন একটি ডিভাইসের যখন র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস অ্যাটাক করবে তখন আসলে উক্ত ডিভাইসে কি কি ক্ষতি হবে।

মূলত যদি কোনো কারণবশত আপনার শখের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস দ্বারা অ্যাটাক হয়।

তাহলে তাহলে আপনার সেই কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। চলুন সেই ক্ষতি সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা নেওয়া যাক।

প্রথমত আমাদের ব্যবহার করা প্রতিটা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ বিভিন্ন ধরনের ফাইল থাকে। তো এই ফাইল গুলোর মধ্যে এমন কিছু কিছু ফাইল থাকে যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আর যদি কোনো কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই ফাইল গুলো আপনি হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনাকে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

কিন্তুু যদি কোনো দুর্ঘটনাবশত আপনার কম্পিউটারটি র‌্যানসমওয়্যার নামক ভয়ংকর ভাইরাস এর মাধ্যমে অ্যাটাক হয়। তাহলে আপনার সেই ফাইল গুলো নিমিষেই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

কারণ যখন এই ভাইরাস টি আপনার ডিভাইসে অ্যাটাক করবে, তখন আপনার সেই দরকারি ফাইল গুলো কে একেবারে লক করে দেওয়া হবে।

এবং এগুলো কে পুরো পুরিভাবে এনক্রিপটেড করা হবে। যার ফলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে যখন উক্ত ফাইল গুলো কে ওপেন করতে যাবেন, তখন মূলত আপনি একটা নোটিফিকেশন দেখতে পারবেন।

এবং সেই নোটিফিকেশনে আপনার কাছে  নির্দিষ্ট পরিমাণের ডলার প্রদান করার কথা বলবে।

এবং সেই নোটিফিকেশনে স্পষ্ট উল্লেখ করা থাকবে যে আপনি যদি তাদের উল্লেক্ষিত ডলার প্রেরণ না করেন, তাহলে আপনি কোনোভাবেই সেই ফাইল গুলিকে ফেরত পাবেন না।

কিন্তু সমস্যা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকলে মেনে নেওয়া যেত।  মূল সমস্যাটা হলো তারা যে টাকা দেয়ার কথা বলে, আপনি যদি সেই টাকা তাদের কে প্রদান করেন।

এরপরেও যে তারা আপনার সেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলোকে ব্যাক দিবে কিনা সেটার মধ্যেও কিন্তু এক প্রকার সন্দেহ কাজ করে।

কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এবং আপনি আপনার ফাইল গুলো কে ফেরত পাবার আশায় তাদেরকে টাকা দিলেন।

কিন্তু এর পরে দেখা গেল যে তারা আপনার ফাইল গুলো কে ডিক্রিপ্টেড করলো না। তখন কিন্তু আপনার কোন কিছুই করার থাকবেনা।

কিভাবে Ransom ware অ্যাটাক হয়?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি এই ভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সবার শুরুতেই আপনি জেনেছেন যে, Ransom ware কি?

এর পাশাপাশি ম্যালওয়্যার ভাইরাস কাকে বলে সে সম্পর্ক আমি একটু হলেও ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তো এবার আসলে আপনাকে আরো একটা বিষয় জেনে নিতে হবে সেটি হলো যে, Ransom ware ভাইরাস কখন এবং কিভাবে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ অ্যাটাক করে থাকে।

চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নেওয়া যাক।

মূলত এই র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস বিভিন্নভাবে আপনার ডিভাইসে অ্যাটাক করতে পারবে। প্রথমত এই ধরণের ম্যালওয়্যার ভাইরাস গুলো ভিন্নরকম ওয়েবসাইটে থাকে।

এখন আপনি যদি আপনার প্রয়োজন অনুসারে এরকম কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম এক্সেস দিয়ে থাকেন।

সেক্ষেত্রে কিন্তু তারা খুব সহজেই আপনার ডিভাইসে এই ধরনের র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাসের মাধ্যমে এটা করতে পারবে।

আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি আপনার ডিভাইসে যখন কোন ম্যালওয়্যার যুক্ত সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন। সে সময় কিন্তু এই ধরনের র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

কারণ এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো ডেভলপ করার সময় পূর্বে থেকেই ম্যালওয়্যার সেটাপ করা থাকে।

আর যখন আপনি এই ধরণের ম্যালওয়্যার যুক্ত সফটওয়্যার কে আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করবেন তাৎক্ষণিকভাবে কিন্তু এ ধরনের র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস দ্বারা অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হ্যাকিং অথবা ক্রাকিং রিলেটেড সফটওয়্যার গুলোতে এই ধরনের ম্যালওয়্যার এর সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কিভাবে বোঝতে পারবো কম্পিউটারে Ransomware অ্যাটাক হয়েছে?

উপর আলোচনা গুলো জানার পর এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে যখন আপনার কম্পিউটারটি Ransom ware ভাইরাস অ্যাটাক হবে তখন আপনি আসলে বুঝবেন কিভাবে।

তো এই বিষয়টি বোঝার জন্য আপনাকে তেমন কোন রকেট সাইন্স এর প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কম্পিউটারটি ইতিমধ্যেই Ransom ware ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত।

কারণ যখনই আপনি আপনার হার্ডডিক্স এর হার্ড ড্রাইভে প্রবেশ করবেন তখন কোনো যেকোনো ধরনের ফাইল ওপেন করার সময় দেখতে পারবেন যে সেই ফাইল গুলো আর ওপেন হচ্ছে না।

এর পাশাপাশি কোন একটি ফাইল এর যে শেষে ফরমেট উল্লেখ করা থাকে সে ফরমেটটি একটু ভিন্ন রকমের দেখতে পারবেন।

এবং প্রতিটা ফাইল ওপেন করার সময় আপনি একটা পপ-আপ এসএমএস দেখতে পারবেন।

যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা থাকবে যে আপনি যদি এই ফাইলগুলো পুনরায় ফেরত পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে 10 মার্কিন ডলার অথবা 50 মার্কিন ডলার প্রদান করতে হবে।

যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে এই ধরনের কোন সমস্যা ফেইস করেন, তাহলে বুঝবেন যে আপনার কম্পিউটার টি ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস দ্বারা অ্যাটাক হয়েছে।

Ransom ware অ্যাটাক এর পর করনীয় কি?

যদি কোনো দুর্ভাগ্যবশত আপনার শখের কম্পিউটার ডিভাইস টি র‌্যানসমওয়্যার নামক ভয়ংকর এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায়।

তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। তবে জানার বিষয় হল যে দুর্দান্ত এই ভাইরাস দ্বারা আপনার ডিভাইস আক্রান্ত হওয়ার পরে আপনাকে আসলে কি কি কাজ করতে হবে।

চলুন এবার তাহলে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  1. প্রথমত তারা যে আপনার কাছে 10 মার্কিন ডলার অথবা 50 মার্কিন ডলার দেয়ার কথা বলবে। আপনি ভুলেও তাদেরকে এই টাকা দিতে যাবেন না। 
  2. কারণ আপনি ভালো মানুষ হয়ে তাদেরকে টাকা দিবেন। কিন্তু আপনার হারানো সেই ফাইল গুলো কে ফেরত পাবেন কিনা তার কোন প্রকার নিশ্চয়তা থাকবে না।
  3. যদি দেখেন যে আপনার কম্পিউটারে আপনার অজান্তেই কোন সফটওয়্যার ইন্সটল হচ্ছে বা অন্য কোন কাজ হচ্ছে। তাহলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ করে রাখবেন।
  4. মনে রাখবেন এই মুহূর্তে কোন ভাবেই আপনার কম্পিউটারটি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত রাখবেন না।
  5. এর পাশাপাশি আপনার হার্ড ড্রাইভে যেসব প্রয়োজনীয় ফাইল আছে, সেগুলো দ্রুততার সাথে অন্য কোথাও ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন।
  6. যদি এর মধ্যেই আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল গুলো কে এনক্রিপটেড করে দেওয়া হয়। তাহলে আপনি অনলাইনে এমন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট পাবেন, যেগুলো মাধ্যমের সেই ফাইল গুলো কে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।
  7. যদি আপনি কোনো ভাবেই আপনার সেই হারিয়ে যাওয়া ফাইল গুলোকে ফিরিয়ে আনতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশের আইটি এক্সপার্ট এর কোনো ডাটা রিকভারি টিম এর সহায়তা নিতে হবে।

আপনার শখের কম্পিউটার ডিভাইস টি যদি কোনো কারণবশত এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনার উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।

তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফাইল গুলোকে খুব সহজেই ফিয়ে পাবেন।

Ransom ware অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় কি?

যদি আপনি সুরক্ষার জন্য ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস থেকে আপনার কম্পিউটার ডিভাইস কে রক্ষা করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে চলতে হবে।

আর আপনি যদি সে পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে চলেন, তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনার কম্পিউটারটি কোন ভাবেই এই র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবে না। যেমনঃ

  1. আপনি আপনার ডিভাইসে যে অপারেটিং সিস্টেম টি ব্যবহার করছেন সেটি অবশ্যই আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন।
  2. আপনি যদি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার না করে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। তাহলে কিন্তু আপনার এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।
  3. যদি আপনার জিমেইলে অপরিচিত কোন মেইল আসে এবং সেই মেইলে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন সফটওয়্যার বা কোন লিংক থাকে। তাহলে ভুলেও সেখানে ক্লিক করতে যাবেন না।
  4. আপনার কম্পিউটারে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন সেই সফটওয়্যার গুলো অবশ্যই লিগ্যাল ভাবে ডাউনলোড করার চেষ্টা করবেন। কখনোই বিনে পয়সায় ইল্লিগ্যাল সফটওয়্যার ডাউনলোড করার চেষ্টা করবেন না।
  5. যখন আপনি হ্যাকিং অথবা ক্রাকিং রিলেটেড ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন তখন না জেনে আপনার কম্পিউটারের এক্সেস দিতে যাবেন না।

তো যদি আপনি উপরের এই পাঁচটি বিষয় মেনে চলেন। তাহলে আপনার এই ধরনের ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

কারণ একটি কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার পেছনে উক্ত কম্পিউটারের ইউজারের বেশ ভূমিকা থাকে। আপনি যদি নিজের অজান্তেই তাদের ফাঁদে পা দেন তাহলে আপনার পরবর্তী সময়ের কিছু করার থাকবে না।

প্রচলিত কিছু Ransomware এর নাম

ভাইরাসগুলি ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ফাইলগুলিকে এনক্রিপ্ট করে এবং তারপর ফাইলগুলিকে ডিক্রিপ্ট করার জন্য মুক্তিপণ প্রদানের দাবি করে৷

Ransomware হল এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যা একটি কম্পিউটার সিস্টেম দখল করে নেয় এবং মুক্তিপণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত এতে অ্যাক্সেস সীমিত করে।

সবচেয়ে সাধারণ রানসমওয়্যার বিটকয়েন আকারে অর্থপ্রদানের দাবি করে, একটি বেনামী ক্রিপ্টোকারেন্সি।

বিভিন্ন ধরনের র‍্যানসমওয়্যার রয়েছে, তবে সাধারণ কিছুর মধ্যে রয়েছে ওয়ানাক্রাই, পেটিয়া এবং ক্রিপ্টলোকার।

এই র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণগুলি বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে ৷

রানসমওয়্যার থেকে নিজেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হল আপনার কম্পিউটার সিস্টেমগুলিকে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা প্যাচগুলির সাথে আপ-টু-ডেট রাখা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং নিয়মিত আপনার ডেটা ব্যাক আপ করা।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আপনি যদি র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হন তবে আপনি ব্যাকআপ থেকে আপনার ফাইলগুলি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারেন বা সাহায্যের জন্য একজন পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আর্টিকেল নিয়ে আমাদের শেষকথা 

কোন একটি কম্পিউটার হ্যাক হওয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস প্রবেশ পর্যন্ত যেসব কার্যক্রম এর প্রয়োজন হয় সেগুলো কিন্তু আমাদের নিজের ভুলের কারণেই হয়ে থাকে।

কারণ প্রতিটা হ্যাকার একটি করে ফাঁদ পেতে দেয়। আর কোন ভুলবশত যদি আপনি সেই ফাঁদে পা দেন তাহলে আপনি নিজের অজান্তেই আপনার কম্পিউটারটি হ্যাক করার জন্য হ্যাকারদের সহায়তা করে থাকেন।

আর বর্তমান সময়ে হ্যাকারদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল Ransom ware ভাইরাস।

যে ভাইরাসের কারণে তারা খুব দ্রুততার সাথে আপনার ডিভাইসটিকে হ্যাক করতে পারে। আর সে কারণেই মূলত আপনার Ransom ware কি তা জেনে নেওয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

মূলত আজকের আর্টিকেলে আপনি Ransom ware কি  সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top