সিস্টেম সফটওয়্যার কি? সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ কি? 

সিস্টেম সফটওয়্যার:  গত আর্টিকেলে আমি সফটওয়্যার নিয়ে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছিলাম। সেই আর্টিকেলটি অনেক পড়েছেন।

সিস্টেম সফটওয়্যার কি? সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ কি? 
সিস্টেম সফটওয়্যার কি? সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ কি?

এবং আপনাদের মধ্যে অনেকেই সিস্টেম সফটওয়্যার কি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বলছেন। আর সে কারনেই মূলত আজকের আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

মূলত যদি আপনার একটি কম্পিউটার থাকে। কিংবা আপনি যদি প্রোগ্রামিং রিলেটেড কাজ করতে চান।

তাহলে আপনার সিস্টেম সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা, একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর প্রধান অংশ হলো এই System Software. 

কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত এই সিস্টেম সফটওয়্যার সম্পর্কে তেমন একটা ধারনা রাখেন না।

আর আপনার এই অজানা বিষয়টি কে জানানোর জন্যই আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

তাই কোনো প্রকার স্কিপ না করে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

সিস্টেম সফটওয়্যার কি? | সিস্টেম সফটওয়্যার কাকে বলে?

আমরা সফটওয়্যার নিয়ে লেখা আর্টিকেলে জেনেছি যে, কোনো একটি Software বিভিন্ন ধরনের Programming এর মাধ্যমে কোডিং করে তৈরি করা হয়ে থাকে।

কিন্তুু এই প্রোগ্রামিং এর ভাষা গুলো একটু আলাদা রকমের হয়ে থাকে। যেমন,আমরা কেউ বাংলাতে কথা বলি, আবার কেউ কেউ হিন্দি ভাষা তে কথা বলি।

অপরদিকে এই প্রোগ্রামিং এর ভাষা গুলো একটু অন্য রকমের হয়ে থাকে।

তবে সমস্যা এখানেই শেষ নয় বরং একটি কম্পিউটার এ যেসব Hardware থাকে। তারা কিন্তুু সব ধরনের ভাষা বুঝে উঠতে পারে না।

আপনার জন্য আরো লেখা…

যদি আপনি এসব ডিভাইস গুলো কে আপনার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করাতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাইনারি কোডের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে।

কিংবা এই Binary Code এর মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করতে হবে।

কিন্তুু মূল সমস্যাটি হলো, এই বাইনারি কোড গুলো আবার মানুষের জন্য সহজেই বোধগম্য হয়না। কেননা, এই ধরনের Language গুলো তে মানুষের বোঝার মতো তেমন কোনো বিষয় থাকে না।

তো সমস্যা নিরসন এর জন্য মূলত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংঙ্গুয়েজ গুলো কে মেশিন ল্যাংঙ্গুয়েজে কনভার্ট করে কোনো কম্পিউটার কে নির্দেশ প্রদান করার প্রক্রিয়া কে বলা হয় সিস্টেম সফটওয়্যার। 

সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ কি?

উপরের আলোচনা থেকে সিস্টেম সফটওয়্যার কাকে বলে সে নিয়ে একটা পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, এই সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ কি। তো চলুন এবার সেই System Software এর কাজ গুলো সম্পর্কে।

দেখুন, আমরা সবাই জানি যে একটি কম্পিউটারের ডিভাইস মূলত বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার এর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে।

কিন্তুু এই Hardware গুলো নিজে থেকে কোনো কাজ করতে পারে না।

বরং কোনো একটি ডিভাইস এর ভেতরে থাকা হার্ডওয়্যার গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করার কাজ করে থাকে।

বিষয়টা আরেকটু ক্লিয়ার করলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন ধরুন, আপনি আপনার কম্পিউটার ডিভাইস গান শুনতে চান।

সেক্ষেএে আপনি কম্পিউটারে কোনো মিউজিক প্লেয়ার অন করলেন। এবং গান শোনার জন্য আপনি কম্পিউটার কে নির্দেশ প্রদান করলেন।

এখন আপনার এই নির্দেশ মোতাবেক হার্ডওয়্যার কে সিগন্যাল পাঠানোর প্রক্রিয়াটি মূলত সিস্টেম সফটওয়্যার করে থাকে।

ঠিক এইভাবে আপনি আপনার কম্পিউটার ডিভাইস কে পরিচালনা করার কাজ গুলো ই মূলত System Software করে থাকে।

যেমন, কম্পিউটার এ থাকা অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে যতো প্রকার এর সফটওয়্যার রয়েছে। সেগুলোর সাথে হার্ডওয়্যার এর সম্পর্ক সৃষ্টি করার কাজ গুলো মূলত System Software করে থাকে।

এবং এটাই হলো সিস্টেম সফটওয়্যার এর মূল কাজ। 

সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য

উপরোক্ত আলোচনা গুলো দেখার পর আপনি বেশ দ্বিধায় পড়ে যেতে পারেন ৷ কেননা, আপনি যদি সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আপনি মূলত ২ ধরনের Software সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেমন একটি হলো System Software এবং অন্যটি হলো Application Software. 

কিন্তুু আপনি যদি সঠিকভাবে বিস্তারিত না জানেন। তাহলে কিন্তুু আপনার এই দুই ধরনের সফটওয়্যার নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাবেন।

তো চলুন এবার এই দুই ধরনের সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য জেনে নেয়া যাক।

দেখুন উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, System Software মূলত যে কোনো ধরনের ভাষা কে অর্থ্যাৎ প্রোগ্রামিং ল্যাংঙ্গুয়েজ কে মেশিন ল্যাংঙ্গুয়েজে কনভার্ট করে থাকে।

এবং আপনার কম্পিউটারে থাকা যেসব হার্ডওয়্যার থাকে। সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করে থাকে।

অপরদিকে Application Software কিন্তুু আপনি ভিন্ন রুপ দেখতে পারবেন।

কেননা, সিস্টেম সফটওয়্যার এ যুক্ত থাকা সফটওয়্যার গুলো শুধুমাএ স্পেসিফিক কাজ এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটারে একটি মিউজিক প্লেয়ার ইনস্টল করছেন।

এখন ঐ মিউজিক প্লেয়ার দিয়ে আপনি শুধু গান ই শুনতে পারবেন। এছাড়া আপনি বাড়তি কোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন।

তো সফটওয়্যার এর মধ্যে এই দুটো ভাগের মূল পার্থক্য কিন্তুু এখানেই।

একটি হলো আপনার নির্দেশ মোতবেক যে কোনো ধরনের Language কে Machine Language এ কনভার্ট করবে। এবং আপনার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করার জন্য ডিভাইসে থাকা হার্ডওয়্যার গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।

এবং আরেকটি তে শুধুমাএ স্পেসিফিক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

সিস্টেম সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি ?

সিস্টেম সফটওয়্যার কি আশা করি উপর এর আলোচনা থেকে বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তো এবার আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তা হলো এই সিস্টেম সফটওয়্যার কত প্রকার ও এই সব প্রকার। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

তো কাজের সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্যের উপর ভিওি করে এই সিস্টেম সফটওয়্যার কে প্রধানত ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. Operating System 
  2. Device Driver
  3. Firmware 
  4. Translator 
  5. Utility 

চলুন এবার এই প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। তাহলে এই প্রকারভেদ গুলো আপনার বুঝতে অনেক বেশি সুবিধা হবে। 

০১| Operating System কাকে বলে? 

কোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই Operating System. যাকে ছাড়া একটি কম্পিউটার ডিভাইস কে পরিচালনা করা সম্ভব না।

এটি মূলত একজন ইউজার এর সাথে কম্পিউটার ডিভাইস এ সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। চলুন বিষয়টা আরেকটু খোলাসা ভাবে আলোচনা করি।

উপরে আমি ইউজার বলতে আপনাকে বুঝিয়েছি। এখন আপনি যখন আপনার কম্পিউটার কে ব্যবহার করবেন।

তখন আপনি আপনার কম্পিউটার কে বিভিন্ন ধরনের কাজের নির্দেশনা দিবেন।

যেমন, আপনি যদি গান শুনতে চান। তাহলে আপনি কোনো মিউজিক প্লেয়ার চালু হওয়ার নির্দেশ প্রদান করবেন।

আবার আপনি যদি Internet Use করতে চান। তাহলে আপনি কোনো একটি ব্রাউজার চালু করার জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন।

এবার আপনি একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন তো। আপনি যে এই নির্দেশ গুলো দিচ্ছেন। সেই নির্দেশ গুলোকে একেবারে সঠিকভাবে কম্পিউটার কিভাবে পালন করতে পারছে?

আপনি আরো পড়ুন…

– হুমম! এই কাজটি মূলত আপনার কম্পিউটারে থাকা অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।

যেমন আপনি যখন আপনার কম্পিউটার কে কোনো প্রকার নির্দেশনা দিবেন।

তখন কিন্তুু আপনার সেই নির্দেশ গুলো Hardware এর নিকট পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে এই অপারেটিং সিস্টেম।

তো বর্তমানে আপনি আপনার কম্পিউটার এর জন্য এমন অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার হলোঃ

  1. Microsoft Windows (7/8/9/10)
  2. Linux 
  3. Mac Os

উপরে আপনি বেশ কিছু সিস্টেম সফটওয়্যার এর নাম দেখতে পাচ্ছেন।

তো এগুলোর মধ্যে আপনাকে অবশ্যই কোনো না কোনো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যুক্ত হতে হবে।

অন্যথায় আপনি আপনার কম্পিউটার কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। 

০২| Device Driver কাকে বলে? 

একটি কম্পিউটার কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো Device Driver.

যার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার এর সিস্টেম সফটওয়্যার এর যাবতীয় কাজ গুলো করার জন্য ব্যাপক ভাবে সহায়তা করে থাকে।

এবং কম্পিউটার এর কম্পোনেন্ট গুলো কে উজ্জীবিত করে থাকে।

আমরা সবাই জানি যে, আমরা যেসব কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করি। সেগুলো মূলত বিভিন্ন ধরনের Component এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।

তো এই যে কম্পোনেন্ট গুলো কে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো কাজ করতে হয়।

আর তারা যেন আপনার নির্দেশনা মতো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। সেজন্য মূলত Device Driver ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনি কম্পিউটারে ব্যবহার করা এমন অনেক ধরনের ডিভাইস ড্রাইভার দেখতে পারবেন। যেমন:

  1. Keyboard 
  2. Mouse
  3. SoundCard
  4. Network Card
  5. Display 
  6. Print

এখন একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন। যদি আপনার কম্পিউটার এ উপরোক্ত বিষয় গুলোর মাধ্যমে আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে চান।

তাহলে কি Device Driver ছাড়া এগুলো সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে? -না! পারবে না।

বরং অবশ্যই সব ধরনের কম্পোনেন্ট কে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য Device Driver এর প্রয়োজন হবে। 

০৩| Firmware কাকে বলে? 

আপনার কম্পিউটার এ থাকা যত প্রকারের হার্ডওয়্যার আছে। তার প্রায় সব ধরনের Hardware এর যাবতীয় কার্যক্রম কে পরিচালনা করে থাকে এই Firmware.

আর সে কারনেই একে বলা হয়ে থাকে Pice of Hardware. এবং এটিকে হার্ডওয়্যার এর মধ্যে এমবেড করে রাখা হয়।

মানে আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে যেসব Rom, Flash আছে। সেগুলোর মধ্যে ফ্রিমওয়্যার কে এমবেড করে রাখা হয়।

এর ফলে আপনার কম্পিউটারে যেসব Activities রয়েছে। তার প্রায় বেশিরভাগ একটিভিটিস কে পরিচালনা করে থাকে। 

০৪| Translator কাকে বলে? 

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারন সিস্টেম সফটওয়্যার এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম হলে Translator.

বলা বাহুল্য যে, এই ট্রান্সলেটর কে ছাড়া সিস্টেম সফটওয়্যার একেবারে অর্থহীন।

কেননা, আপনি আর্টিকেলের শুরুতেই যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জটিলতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেই জটিল কাজটি কে একেবারে সহজ করে থাকে এই Translator নামক সফটওয়্যার টি।

আমরা যেমন বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাষা তে কথা বলে থাকি৷ ঠিক তেমনি ভাবে কম্পিউটার কে নির্দেশ মতো কাজ করার জন্যও এমন অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা আছে ৷

কিন্তুু আপনি তো ভালোভাবে ই জানেন যে, কম্পিউটার কিন্তুু সব ধরনের ভাষা কে বুঝে উঠতে পারে না।

কারন কম্পিউটার শুধু বাইনারি কোডের ভাষা কে বুঝতে পারে ৷ এখন মানুষের ক্ষেএে এই Binary Language বুঝে উঠা সহজ হয় না ৷

আর এই জটিলতা কে অনেক বেশি সহজ হয়েছে Translator নামক সফটওয়্যার এর মাধ্যমে.

কেননা, আপনি যেকোনো ভাষাতে প্রোগ্রামিং করুন না কেন। এই Translator আপনার যে কোনো ল্যাংঙ্গুয়েজ কে Machine Language এ কনভার্ট করে হার্ডওয়্যার এর নিকট সিগন্যাল প্রদান করবে। 

০৫| Utility কাকে বলে? 

কোনো একটি কম্পিউটার এর রক্ষণাবেক্ষণ করার কাজ গুলো করে থাকে Utility Software.

তবে একটি নতুন কম্পিউটার ডিভাইস কেনার আগেই এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো দেওয়া থাকে।

তবে আপনি যদি আপনার ডিভাইস কে আরও বেশি পরিমানে সুরক্ষিত রাখতে চান। তাহলে আপনি আরও অন্যান্য সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

তো Utility এর আন্ডারে পড়ে এমন বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে। যেমনঃ

  1. Different Type Of Antivirus 
  2. Data Compressor 
  3. Disk Cleaner 
  4. Backup 
  5. Network Management

উপরোক্ত এই সফটওয়্যার গুলো Utility software এর আওতাভুক্ত।

এবং আপনি যদি আপনার কম্পিউটার ডিভাইস কে সুরক্ষিত রাখতে চান। তাহলে এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। 

সিস্টেম সফটওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য

যেহুতু আমাদের আর্টিকেল এর মূল টপিক হলো সিস্টেম সফটওয়্যার কি ৷ সেহুতু সিস্টেম সফটওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য গুলো আপনার জেনে নেয়া উচিত।

কেননা আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে না জানেন। তাহলে আপনার System Software সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান টুকু অসম্পূর্ন থেকে যাবে।

তো চলুন এবার সেই বৈশিষ্ট গুলো সম্পর্কে একেবারে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। 

💡High Speed: আপনি যদি কোনো দ্রুতগতির সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে সবার আগে আসবে System Software এর নাম। কেননা, এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো অনেক দ্রুততার সাথে কাজ করতে পারে।

💡Adjust With Hardware: এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো বেশিরভাগ সময় হার্ডওয়্যার এর সাথে সংযুক্ত থাকে।

যার ফলে কাজ করতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। এবং তুলনামূলক ভাবে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে ৷

💡 Low Level: সিস্টেম সফটওয়্যার গুলোতে লো লেভেল ল্যাংঙ্গুয়েজে লেখা হয়ে থাকে।

যার ফলে CPU এই ধরনের ল্যাংঙ্গুয়েজ কে সহজেই ডিটেক্ট করতে পারে।

যার ফলে আপনার ডিভাইসে যে কোনো ধরনের Language কে মেশিন ল্যাংঙ্গুয়েজে ট্রান্সলেট করা সম্ভব হয়। 

💡 Small Size: সিস্টেম সফটওয়্যার গুলোর সাইজ অন্যান্য সফটওয়্যার এর তুলনায় অনেক বেশি ছোটো হয়ে থাকে।

যেমন আপনি যদি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোর দিকে তাকান। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে Application Software গুলোর সাইজ অনেক বড় হয়ে থাকে।

সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আপনি দেখতে পারবেন যে, System Software গুলো অনেক ছোট আকারের হয়ে থাকে। 

💡 Hard Design: সমস্যা হলো আপনি যদি এই ধরনের সফটওয়্যার গুলোকে ডিজাইন করতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ বিপাকে পড়ে যেতে হবে।

কেননা, যখন আপনি এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কে ডিজাইন করতে যাবেন।

তখন আপনি দেখতে পারবেন যে, এই System Software গুলো ডিজাইন করাটা অনেক বড় কঠিন কাজ। 

💡 No Excuse: সত্যি বলতে এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো তে কোনো প্রকার এদিক সেদিক করার সুযোগ থাকে না।

কারন এই ধরনের সিস্টেম সফটওয়্যার গুলো সরাসরি ইউজার এর সাথে Intarect করা থাকেনা।

যার ফলে আপনি যদি প্রোগ্রামিং করার সময় একটু এদিক সেদিক করে ফেলেন। তাহলে আপনাকে বেশ বিপাকে পড়ে যেতে হবে।

আপনি আরো দেখুন…

তাছাড়া System Software গুলো অনেক কঠিন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। 

সিস্টেম সফটওয়্যার কি? এ নিয়ে আমাদের শেষকথা 

সিস্টেম সফটওয়্যার কি – তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি আজকের সিস্টেম সফটওয়্যার নিয়ে আলোচিত বিষয় গুলো আপনি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার কোথাও বুঝতে সমস্যা হয়। কিংবা আমার লেখাতে কোনো ভুল থাকে।

তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি তাৎক্ষণিক আপনার কমেন্ট এর রেসপন্স করবো।

আর এমন সব ইন্টারেস্টিং টপিক সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের Bangla It Blog এর সাথে থাকবেন।

আজ আর নয়! দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

এতোক্ষন সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top