মাল্টিমিডিয়া কি | মাল্টিমিডিয়ার বৈশিষ্ট্য এবং উপাদান গুলো কি (multimedia in Bengali)

 Multimedia কি :  (What is multimedia in Bengali) মাল্টিমিডিয়া হল দুটি শব্দের সমন্বয়, একটি হলো মাল্টি এবং আরেকটি হলো মিডিয়া।

আর আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে (Multi) মাল্টি শব্দটির অর্থ হলো দুই বা ততোধিক।

আর (Media) মিডিয়া শব্দের অর্থ হলো মাধ্যম।

মাল্টিমিডিয়া কি | মাল্টিমিডিয়ার বৈশিষ্ট্য এবং উপাদান গুলো কি (multimedia in Bengali)
মাল্টিমিডিয়া কি | মাল্টিমিডিয়ার বৈশিষ্ট্য

আরে দুটো শব্দ কে একত্রে যুক্ত করলে যে অর্থ দাঁড়ায় সেটি হল, যখন কোন দুই বা ততোধিক মাধ্যমকে একত্রে যুক্ত করা হয় তাকেই বলা হয় মাল্টিমিডিয়া (Multimedia).

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে Multimedia ki এর সংঙ্গায় আমি দুই বা ততোধিক মাধ্যম বলতে কোন বিষয়গুলো কে নির্দেশ করছি।

তো বলে রাখা ভালো যে, এখানে আমি বেশকিছু বিষয়বস্তু কি নির্দেশ করেছি। যেমন, Text, Image, Audio, Video ইত্যাদি।

মূলত সেই বিষয়বস্তু গুলোর যোগসুত্র থেকে যা কিছুই তৈরি হয় তাকেই সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে মাল্টিমিডিয়া।

আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই মাল্টিমিডিয়া এবং মাল্টিমিডিয়া শব্দের অর্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

যদি আপনি জানতে চান যে মাল্টিমিডিয়া কি, কেন আমাদের মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করা উচিত এবং এই মাল্টিমিডিয়া আমাদের বর্তমান প্রযুক্তিতে কি রকম প্রভাব ফেলছে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের লেখা এই পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ার।

তাহলে আপনি মাল্টিমিডিয়া রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।

মাল্টিমিডিয়া কি ? (Multimedia meaning in Bengali)

আজকের টপিক এর মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে মাল্টিমিডিয়া কি (What is Multimedia in bangla).

সহজ ভাষায় বলতে গেলে দুই বা ততোধিক বিষয়বস্তুর সংযোগের মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে মাল্টিমিডিয়া।

তবে এ ধরনের Multimedia Definition থেকে আপনার মনের তেমন একটা পরিস্কার ধারনা নাও আসতে পারে।

তাই চলুন এবার একটু উদাহরণসহ বুঝিয়ে নেয়া যাক।

যেমন ধরুন আপনি এখন যদি একটি ভিডিও গানকে প্লে করেন। তাহলে কিন্তু আপনি শুধুমাত্র ভিডিও দেখবেন না বরং সেই ভিডিওর পাশাপাশি সেই ভিডিওতে থাকা অডিও শুনতে পারবেন।

এবার একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন যে, এখানে কিন্তু দুটো মিডিয়াকে একত্রে যুক্ত করা হয়েছে।

যার ফলে আপনি ভিডিও তো দেখতে পারছেন আর এর পাশাপাশি আপনি অডিও শুনতে পারছেন। মূলত এটি হলো এক ধরনের মাল্টিমিডিয়া।

হাইপার মিডিয়া কাকে বলে

হাইপার মিডিয়া কি – হাইপারমিডিয়া এমন একটি শব্দ যা এক ধরনের মাল্টিমিডিয়া বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যাতে অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া ফাইলের লিঙ্ক থাকে।

এটি ব্যবহারকারীকে লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করে ফাইলগুলির মাধ্যমে নেভিগেট করতে দেয়। হাইপারমিডিয়া উপস্থাপনা, ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল পোর্টফোলিও তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া কাকে বলে

ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া হল এক ধরনের মিডিয়া যা ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন উপায়ে বিষয়বস্তুর সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে দেয়।

এতে বোতাম ব্যবহার করা, আইটেম নির্বাচন করা এবং স্ক্রিনে ঘুরে বেড়ানো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে, সেইসাথে বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া হল একটি বিস্তৃত এবং ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র যা ভিডিও গেম, টেলিভিশন শো, চলচ্চিত্র এবং অনলাইন সামগ্রী সহ বিস্তৃত মিডিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে।

ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, বিজ্ঞান এবং ইতিহাস সম্পর্কে শিশুদের শেখানো থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন দেওয়া পর্যন্ত।

এটি প্রচারমূলক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন পণ্য বিক্রয় প্রচার করা বা একটি কোম্পানির ওয়েবসাইটে নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা।

মাল্টিমিডিয়া কি ধরনের যন্ত্র ?

মাল্টিমিডিয়া হল এমন এক ধরনের যন্ত্র যা মূলত বিভিন্ন প্রকার মিডিয়াকে একত্র করে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে।

এখন উপাস্থাপিত মিডিয়া গুলো হতে পারে কোনও চিত্র (Picture) কোন ভিডিও (Video), কোনো এনিমেশন (Animation) বা অন্য কিছু।

তবে এই মাল্টিমিডিয়া শুধুমাত্র উপস্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কেননা এর সাহায্য কোন ইলেকট্রিক মাধ্যমকেও বোঝানো হতে পারে।

যেমন মাল্টিমিডিয়া রিলেটেড কোন তথ্য সংরক্ষণ করা, ধারণ করা কিংবা ব্যবহার করাকে বোঝানো হয়।

মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কাকে বলে ?

সহজ কথায় বলতে গেলে বর্তমান সময়ে আমরা যেসব আধুনিক প্রজেক্টর গুলো দেখতে পাই সেই সবগুলোকেই মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর আওতায় ফেলা সম্ভব।

কেননা আজকের দিনের উন্নত প্রযুক্তির প্রজেক্টর গুলো মূলত এই মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সমন্বয়ে কাজ করে থাকে।

কারণ বর্তমান সময়ের প্রজেক্টর গুলো কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মিডিয়াকে একত্রে যুক্ত করে তারপরও প্রদর্শন করে।

আর সে কারণে আজকের দিনের আধুনিক প্রজেক্টর গুলোকেও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বলা হয়ে থাকে।

মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর কাজ কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে মাল্টিমিডিয়া কি, এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কাকে বলে।

এবার আপনাকে জানতে হবে যে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর কাজ কি। Multimedia এর কাজ বা প্রজেক্টর নিয়ে জানি।

 চলুন এবার তাহলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর কাজগুলো সম্পর্কে একটু ধারনা নেয়া যাক।

Multimedia কি – এই আলোচনায় আপনি জানতে পেরেছেন যে, মাল্টিমিডিয়া হলো এক ধরনের ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল যন্ত্র।

যার সাহায্যে আপনি কোন একটি ছবি অথবা ভিডিও কে বড় স্ক্রিনে দেখাতে পারবেন।

সাধারণ ভাবে কোনো বড় অনুষ্ঠান অথবা কোন সমাবেশে থাকা হাজার হাজার মানুষের সামনে কোন কিছু কি উপস্থাপন করার জন্য এই ধরনের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো চলুন এবার তাহলে মাল্টিমিডিয়া এর কাজগুলো সম্পর্কে একটু পরিষ্কার ভাবে জেনে নেয়া যাক।

কেননা উপরোক্ত কারণ গুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিভিন্ন কাজে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর গুলোকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. আপনি যখন কোন কিছু মিডিয়া কে অনেক মানুষ এর সামনে প্রদর্শন করবেন। তখন মূলত এই ধরনের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।
  2. যখন কোন ধরনের সভা, সমাবেশ অথবা কোন সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তখন এই ধরনের প্রজেক্টর এর প্রয়োজন হয়।

আসলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর গুলো কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সে সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। চলুন এবার তাহলে অন্য টপিকে আলোচনা করা যাক।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কাকে বলে ?

Multimedia কি – সেই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে মাল্টিমিডিয়া হল বিভিন্ন মিডিয়া এর সমন্বয়।

এবং এই মিডিয়া গুলো হতে পারে কোনো ভিডিও কোন চিত্র অথবা কোন এনিমেশন।

 এই মিডিয়ার সমন্বয়কে যখন আপনি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন। তখন তাকে বলা হবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।

যেমন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আমাদের হোয়াইটবোর্ড অথবা ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু যখন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করার উদ্দেশ্যে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করা হবে।

সহজ ভাষায় সেই পরিচালিত হওয়া শিক্ষার কার্যক্রম কেই বলা হবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।

মাল্টিমিডিয়ার বৈশিষ্ট গুলো কি ?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা গুলো থেকে আপনি মাল্টিমিডিয়া কি এবং এই রিলেটেড আরও অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তো এবার আপনাকে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো মাল্টিমিডিয়া এর বৈশিষ্ট্য কী কী তা জেনে আপনার জন্য অতি জরুরী একটি বিষয়। তো চলুন এবার তাহলে মাল্টিমিডিয়া এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাক।

  1. যদি আপনি আপনার প্রয়োজনে মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম গুলো কে ব্যবহার করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ডিভাইস থাকতে হবে।
  2. মাল্টিমিডিয়া হলো এমন এক ধরনের সিস্টেম যেখানে বিভিন্ন প্রকার মিডিয়া গুলো কে একত্রে সংযুক্ত করে প্রদর্শন করা হয়।
  3. মাল্টিমিডিয়া হলো এক ধরনের ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল যন্ত্র যার সাহায্যে ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়কে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।
  4. একটি মাল্টিমিডিয়া মূলত বিভিন্ন Media Format কে সাপোর্ট করে থাকে। যেমনঃ Avi, Jpeg, Wav, Doc, Gif, Png ইত্যাদি।
  5. মাল্টিমিডিয়া গুলো মূলত ইনপুট এবং আউটপুট এর ক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন এবং খুব দ্রুত গতি সম্পন্ন হতে হয়।
  6. একটি মাল্টিমিডিয়া কে পরিচালনা করার জন্য যেসব অ্যাপ্লিকেশন এর প্রয়োজন হয়। সেগুলো মূলত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর সাহায্য কোডিং করার মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।

একটি মাল্টিমিডিয়ার অভ্যন্তরীণ যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার সেগুলো আমি উপরে আলোচনায় বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি।

আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি মাল্টিমিডিয়া এর বৈশিষ্ট্যগুলো খুব সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা | Advantage of multimedia 

বর্তমান সময়ে মাল্টিমিডিয়া এর ব্যবহার ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার এই বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।

আর এই মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করায় কি কি সুবিধা পাওয়া যায়, এবার সে বিষয়গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করব।

তো চলুন এবার তাহলে সেই Advantage of multimedia সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. যদি আপনি কিছুই শিখতে চান অথবা কোন কিছু শেখাতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
  2. যেমন ধরুন আপনি একজন শিক্ষক এবং আপনি আপনার ছাত্রদের কোন কিছুকে শিখার জন্য ভিজুয়াল ইফেক্ট এর মাধ্যমে বড় স্ক্রিনে কোন বিষয়কে বুঝিয়ে দিতে পারবেন।
  3. মাল্টিমিডিয়া হল এমন এক ধরনের উন্নত প্রযুক্তি, যার সাহায্য একসাথে অনেকগুলো মানুষের সামনে কোন কিছুকে উপস্থাপন করা সম্ভব। এর সাহায্য আপনার সময় এবং শ্রম দুদিকেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
  4. এর সাহায্য আপনি নিজের কমিউনিকেশন দক্ষতাকে অনেক উন্নত করতে পারবেন। অনেকগুলো মানুষের সামনে কিভাবে কোন বিষয়কে প্রেজেন্ট করা যায় সে সম্পর্কে আপনার বেস্ট দক্ষতা অর্জন হবে।
  5. যেহেতু মাল্টিমিডিয়া সাহায্য আপনি বড় একটা স্ক্রিন এর মাধ্যমে একসাথে অনেকগুলো মানুষকে কোন কিছুকে উপস্থাপন করতে পারবেন।
  6. সে ক্ষেত্রে আপনার কোন একটি কাজ করতে তেমন একটা বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। এর ফলে কোন কাজের পেছনে ব্যয় করা অনেক গুলো সময় বেঁচে যাবে।

আপনি যদি আপনার কোন কাজের জন্য মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করবেন সেগুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হলো।

আশা করি এই সুবিধাগুলো আপনি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন।

তবে এই সুবিধাগুলো পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন এবার তাহলে সেই মাল্টিমিডিয়ার অসুবিধা গুলো জেনে নেয়া যাক।

মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের অসুবিধা | Disadvantage of multimedia

উপরের আলোচনায় আমরা মাল্টিমিডিয়া এর বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

কিন্তু আপনার জানা উচিত যে মাল্টিমিটার ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি আরও কিছু অসুবিধা রয়েছে।

এবং যখন আপনি কোন কাজের জন্য মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই এই অসুবিধা গুলোর সম্মুখীন হবেন। যেমনঃ

  1. একটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর স্থাপন করা বা সাজানোর জন্য অনেকটা সময় ব্যয় করা প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  2. সেক্ষেত্রে আপনার যদি কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকে তাহলে আপনার এইসব ডিভাইস গুলো কে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করতে বেশ সময় ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে।
  3. যদি আপনি মাল্টিমিডিয়ার প্রয়োগ শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে একটু নজর রাখেন, তাহলে একটা বিষয় আপনি নিশ্চয়ই দেখবেন যে বর্তমান সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের ফলে পাঠ্যবই থেকে একবারে বিমুখ হয়ে গেছেন।
  4.  এটা তো আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না যে যতক্ষণ পর্যন্ত একজন ছাত্রর পাঠ্যবইয়ের প্রতি আগ্রহ না থাকবে, ততক্ষণ সে কোন পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে না।
  5. এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে একটার পর একটা পিকচার অথবা ভিডিও কে স্লাইডিং করে নিয়ে যান এবং নিজের বক্তব্য পেশ করেন। এক্ষেত্রে আপনি যাকে এই বক্তব্য গুলো বলছেন, সে ব্যক্তির আপনার এই বক্তব্য শোনার আগ্রহ আছে কিনা তা বোঝা খুব মুশকিল হয়ে যায়।
  6. অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কিছু মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে যখন কোনো কিছুকে উপস্থাপন করা হয়, তখন উক্ত প্রেজেন্টেশনে অনেক বেশি এনিমেশন ব্যবহার করা হয়।
  7. আর এই এনিমেশন গুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লাগলে ও দর্শকদের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে, সেজন্য এই এনিমেশন গুলো বিরক্তির কারন হতে পারে।

বর্তমান সময়ের আলোচিত মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর সুবিধার পাশাপাশি যে অসুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো আমি উপরে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

তবে আধুনিক প্রযুক্তির এই ডিভাইস গুলো আপনি যদি ভালোভাবে ব্যবহার করতে জানেন তাহলে মনে হয় না এরকম কোন অসুবিধার সম্মুখীন হবেন।

মাল্টিমিডিয়া কত প্রকার? | Kind of multimedia? 

উপরের আলোচনায় আপনি মাল্টিমিডিয়া রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

যেমন সবার শুরুতেই আপনি জেনেছেন যে মাল্টিমিডিয়া কি এরপর আপনি জানতে পেরেছেন যে আমাদের কেন মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহার করা উচিত।

এবং সবশেষে আমি মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের কিছু সুবিধাজনক দিক এবং অসুবিধাজনক দিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে মাল্টিমিডিয়া আসলে কত প্রকার (types of multimedia) এবং এই প্রকারভেদ গুলো কি কি।

চলুন এবার তাহলে মাল্টিমিডিয়া এর প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। কারণ আমি শুরুতেই বলেছি যে মাল্টিমিডিয়া মূলত বিভিন্ন প্রকার মিডিয়া এর সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে। যেমনঃ

০১| Text 

মাল্টিমিডিয়ার ক্ষেত্রে টেক্সট (Text) একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া। কেননা একটি মাল্টিমিডিয়াকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতেই এই Text গুলো কে বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে প্রদর্শিত করা হয়ে থাকে।

কেননা Text হলো কোন কিছুকে উপস্থাপন করার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম।

০২| Audio files

একটি মাল্টিমিডিয়ায় ধাকা বিভিন্ন রকমের শব্দের সংযোজনকে বলা হয় অডিও ফাইল।

আর যদি আপনি মাল্টিমিটার ব্যবহার করে কোন কিছুকে উপস্থাপন করতে চান তাহলে এই অডিও ফাইলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা এই অডিও ফাইলগুলো মূলত কোন টেক্সট ইমেজ অথবা ভিডিও এর ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড (Background Sound) দিতে সহায়তা করে।

০৩| Video Presentations

মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করা কোন প্রেজেন্টেশনের চলমান কোন দৃশ্য কেই বলা হয় ভিডিও ফাইল।

আর এই ভিডিও হল এমন এক ধরনের মিডিয়া যার সাথে আরো অনেক ধরনের মিডিয়াকে সংযুক্ত করা সম্ভব।

এবং এই সংযুক্ততার ফলে কোন বিষয়কে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝিয়ে দেওয়া যায়।

০৪| Images and Photographs

মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রদর্শিত কোন প্রেজেন্টেশনকে আরো বেশি তথ্যবহুল করার জন্য ব্যবহার করা হয় ইমেজ অথবা ফটোগ্রাফ কে।

এর পাশাপাশি এই ধরনের মিডিয়া৷ গুলোর সংঙ্গে টেক্সট নামক মিডিয়াগুলো যুক্ত করা হয়ে থাকে।

০৫| Animation, GIFs

সহজ ভাষায় বলতে গেলে যখন আপনি কোন একটি স্থির চিত্রকে বিভিন্ন প্রকার কাজের মাধ্যমে চলমান রূপ প্রদর্শন করবেন তাকে বলা হয় এনিমেশন।

আর একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনে এনিমেশন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কি কাজে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করা হয় – Uses of multimedia

মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আমরা আসলে কি কি কাজে মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারি।

তো চলুন এবার তাহলে use of multimedia সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

০১| ব্যবসা (business): কোন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকারের কাজ আছে।

যেমন তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য কে প্রমোশন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে, এই পণ্যগুলোর মার্কেটিং করার প্রয়োজন হয়ে থাকে,  এছাড়াও নেটওয়ার্ক এবং কমিউনিকেশন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এইসব কাজগুলোর জন্য মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম।

০২ শিক্ষা (Education) : বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা ক্ষেত্রের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। আর সে কারণেই আজকের দিনে পাঠদান করার জন্য বেছে নেয়া হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোকে।

আর অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য মাল্টিমিডিয়া এর ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

যার ফলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষা কার্যক্রম গুলোকে এখন মাল্টিমিডিয়া এর দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে।

০৩| এন্টারটেইনমেন্ট (Entertainment): আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এই মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করে থাকে।

কেননা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর গুলোতে অনেক বড় স্ক্রিনের সামনে প্রদর্শিত হয়ে থাকে।

যার ফলে অনেক মানুষ বর্তমান সময়ে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এই ধরনের বড় স্ক্রিনের প্রজেক্টর কে ব্যবহার করছে।

FAQ About Multimedia 

Q:1- মাল্টিমিডিয়ার আভিধানিক অর্থ কি?

Ans: মাল্টিমিডিয়া এর অভিধানিক অর্থ হল “বহুমাধ্যম”।

Q:2- ভিডিও গেম কি ধরনের মাল্টিমিডিয়া?

Ans: ভিডিও গেমস এক ধরনের ইন্টারাঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া।

Q:3- মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কাকে বলে?

Ans: যখন কোন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহার করে। তখন সেই পরিচালিত হওয়ার শিক্ষার কার্যক্রম কেই বলা হয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।

মাল্টিমিডিয়া কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

মাল্টিমিডিয়া কি (Multimedia কি) এবং মাল্টিমিডিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতটা প্রভাব ফেলছে, সে নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

এর পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের ফলে আমাদের কি কি সুবিধা হবে এবং এর পাশাপাশি আরো কি কি অসুবিধা হবে সেগুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার চেস্টা করেছি।

আশা করি আজকের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি মাল্টিমিডিয়া কি সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে গেছেন।

আর এমন সব অজানা বিষয় সম্পর্কে সহজ ভাষায় ধারণা পেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top