মার্কেটিং এর জনক কে | জেনে নিন মার্কেটিং এর ইতিহাস

মার্কেটিং এর জনক কে : (History of marketing in Bengali) মার্কেটিং বলতে কি বুঝায়অনেক সময় আমাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে।

মার্কেটিং এর জনক কে | জেনে নিন মার্কেটিং এর ইতিহাস
মার্কেটিং এর জনক কে

আর সেই প্রশ্ন টি হল, মার্কেটিং এর জনক কে। যদিও বা এই বিষয় টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু মার্কেটিং এর জনক কে সেটা জেনে নেওয়া আমাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

তো আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো মার্কেটিং এর জনক কে। সেই সাথে আমি আপনাকে মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয় এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

তো আপনি যদি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার তাহলে।

আজকের পর থেকে আপনার আর মার্কেটিং সম্পর্কে কোন কিছু অজানা থাকবে না।

তো আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। এবং মার্কেটিং এর বিস্তারিত বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

মার্কেটিং এর জনক কে?

তো আপনি যদি [su_highlight background=”#9b51e0″]মার্কেটিং এর জনক কে সে সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে শুনে রাখুন, মার্কেটিং এর জনক হল ফিলিপ কোটলার। এবং ইনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি যাকে গোটা বিশ্বের মধ্যে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলা হয়ে থাকে।[/su_highlight]

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তো এবার আপনি জানতে পারলেন যে, মার্কেটিং এর জনক হল ফিলিপ কোটলার। তবে এই বিষয় টি জানার পরে এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেটি হল, কেন ফিলিপ কোটলার কে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলা হয়।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে ফিলিপ কোটলার কে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলার কারণ গুলো কি কি।

কেন ফিলিপ কোটলার কে আধুনিক মার্কেটিং-এর জনক হিসেবে মানা হয় ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে। আধুনিক মার্কেটিং এর জনক হল, ফিলিপ কোটলার।

তবে এখন আমাদের মনে প্রশ্ন এটাই যে, কেন তাকে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলা হয়। আর আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলার কারণ গুলো কি কি।

তো ফিলিপ কোটলার কে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সে গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

দেখুন শুরু থেকে ফিলিপ কোটলার এর মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল।

আর সেটি হল, তিনি মনে করতেন মার্কেটিং মূলত অর্থনীতির মধ্যে অপরিহার্য একটি অংশ। অর্থাৎ এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থনীতি তে প্রভাব ফেলা সম্ভব।

এর পাশাপাশি তিনি আরও একটা বিষয় বিশ্বাস করতেন।

সেটি হল, কোন কিছুর চাহিদা শুধু মূল্যের মাধ্যমে নির্ধারণ করা ঠিক না। বরং কোন কিছুর চাহিদা বৃদ্ধি করার অন্যতম হাতিয়ার হল, বিজ্ঞাপন প্রচার করা।

এবং তার মধ্যে এই বিশ্বাস থাকার কারণেই তিনি বর্তমান সময়ে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক হিসেবে পরিচিত হতে পেরেছেন।

এছাড়াও তিনি মার্কেটিং এর বিশেষ কিছু নীতি নির্ধারণ করেছিলেন। এবং সে গুলোর মধ্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ ছিল।

যেমন, ক্রেতাদের আচরণ, ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত সহ ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে কাজ করার বিশেষ কিছু নীতি প্রদান করেছিলেন।

যে গুলো মূলত মার্কেটিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ফিলিপ কোটলার এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

মার্কেটিং এর জনক কে সেই আলোচনাতে আমরা জানতে পারলাম যে। মার্কেটিং এর জনক হল ফিলিপ কোটলার।

এবং কেন তিনি আধুনিক মার্কেটিং এর জনক সেই কারণ টি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

তো এবার আমি আপনাকে মার্কেটিং এর জনক ফিলিপ কোটলার এর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিব। যাতে করে আপনি সেই মানুষটির বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।

ফিলিপ কোটলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩১ সালের মে মাসের ২৭ তারিখে। এবং তিনি ছিলেন মার্কিন বিপণন বিশেষজ্ঞ।

আর সে কারণেই তিনি মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বই লিখেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি বই হল “মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট”। 

এর পাশাপাশি তিনি আরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে শিক্ষকতা করেছিলেন। আর একটা বিষয় জেনে রাখা উচিত।

সেটি হল, ১৯৯৮ সাল থেকে ফিলিপ কোটলার ব্যবসায় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সেরা ৫০ জনের তালিকার মধ্যে ছিলেন।

মার্কেটিং মানে কি?

এতক্ষণ এর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, মার্কেটিং এর জনক কে।

এবং সেই আলোচনা তে আমি আপনাকে বলেছি যে, ফিলিপ কোটলার নামক একজন ব্যক্তি ছিলেন। যাকে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলা হয়ে থাকে।

সেই সাথে কেন তাকে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলা হয়। সে নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

কিন্তু এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে। বলুন তো মার্কেটিং মানে কি? তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন?

হ্যাঁ! আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। তবে মার্কেটিং মানে কি সে বিষয়টি কে এবার আমি একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব।

মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে কোন একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি তার উৎপাদিত পণ্য গুলোর প্রচার করতে পারে।

যাতে করে অনেক মানুষ তার কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে। এবং তারা যেন এই প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়।

আর এই কাজ টি সম্পন্ন করার জন্য যে সকল ক্রিয়া কলাপ সংযুক্ত হয়। তাকে বলা হয়ে থাকে, মার্কেটিং।

যেমন ধরুন, আমরা যখন টেলিভিশন দেখি। তখন বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। মূলত এটি হলো এক ধরনের মার্কেটিং।

যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারছি। এবং যখন আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের বিজ্ঞাপন গুলো দেখি।

তখন কিন্তু আমাদের মনেও উক্ত প্রোডাক্ট গুলো কেনার আগ্রহ জন্মে। এবং একটা সময় আমরা সেই প্রোডাক্ট গুলো কে কিনে নেই।

মার্কেটিং এর ইতিহাস

মার্কেটিং এর জনক কে সে বিষয় টি জানার পাশাপাশি। এবার আমি আপনাকে মার্কেটিং এর ইতিহাস জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

অর্থাৎ একবারে আদিমকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত। কিভাবে মার্কেটিং আসলো এবং মার্কেটিং কিভাবে এতটা জনপ্রিয়তা পেল।

এবার আমি আপনাকে সেই বিষয় গুলো ধাপে ধাপে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তো চলুন এবার মার্কেটিং এর ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

সরল বাণিজ্য যুগ (Simple trade era)

যদি আপনি একবারে আদিম যুগের কথা চিন্তা করেন। তাহলে কিন্তু একটু ভিন্ন বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা সে সময় আজকের দিনের মতো অর্থের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করা হতো না। বরং বিনিময় প্রথার মাধ্যমে বাণিজ্য করা হতো।

আর সে সময় যে পণ্য গুলো উৎপাদন করা হতো। তার পরিমাণ ছিল খুবই সীমিত। কেননা সেই সময় শুধুমাত্র চাহিদার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য উৎপাদন করা হতো।

এবং সেই পণ্য গুলো কে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় প্রদান করা হতো।

এখন আপনি যদি সেই সময়ের মার্কেটিং এর কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন।

যে, উক্ত সময়ে মার্কেটিং বলতে শুধুমাত্র চাষীদের জমির সীমা এবং তার নিজস্ব গবাদি পশুর মালিকানা নির্ধারণের মাধ্যমে মার্কেটিং করা হতো।

এবং তখন থেকেই কিন্তু মার্কেটিং এর সূচনা হয়েছিল। যা বর্তমান সময়ে বিশদ ভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে।

উৎপাদন যুগ (Production era)

যখন মার্কেটিং এর সূচনা হয় তারপরই কিন্তু উৎপাদন যুগ এর শুরু হয়েছে। এবং এই উৎপাদন যুগের সময় টা হল ১৮৪০ সাল থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত।

মূলত এই সময়টা কে বলা হয়ে থাকে, উৎপাদনের যুগ। কেননা আদিম কালের তুলনায় এই সময়ে বসবাস করা মানুষেরা। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে উৎপাদন করতে শিখেছিল।

যার ফলে এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করা হতো। এবং সেই সময় এর বিশেষ একটি মার্কেটিং পরিচালনা করা হয়েছিল এবং একটি স্লোগান ছিল।

সেটি হল, “যদি আপনি এই পণ্য তৈরি করেন, তবেই ক্রেতা আসবে”। অর্থাৎ আপনি যদি চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি করেন। তাহলে কিন্তু ক্রেতা অবশ্যই আপনার উক্ত পণ্যটি কিনতে আসবে। 

আর অবাক করার মত বিষয় হলো। এই মার্কেটিং তত্ত্বের উপর বিশ্বাস করে অনেক কোম্পানি ব্যাপক ভাবে উন্নতি করতে পেরেছিল।

এর পাশাপাশি উক্ত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল। যার ফলে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কে ব্যাপক ভাবে মজুদ করা শুরু করেছিল।

যার ফলে উক্ত সময়ে মানুষ অস্বাভাবিক ভাবে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছিল।

বিক্রয় যুগ (Sales era)

যখন অস্বাভাবিক ভাবে উৎপাদন করা শুরু হয়েছিল। তারপরে অর্থাৎ ১৯২০ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত বিক্রয়ের যুগ এর সূচনা হয়েছিল।

যদিও বা এই সময়টা কে বিক্রয়ের যুগ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এর পাশাপাশি এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি অত্যাধুনিক মার্কেটিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

কেননা সেই সময় অধিকাংশ কোম্পানি মার্কেটিং এর ধারণা পেয়েছিল। এবং তারা এটা বুঝতে পেরেছিল যে, মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি কোম্পানি কে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

কিন্তু যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। তখন মানুষ ব্যাপক ভাবে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কে মজুদ করে রেখেছিল। আর পণ্যের এত বেশি চাহিদা হওয়ার কারণে।

উক্ত সময়ে ব্যাপক পরিমাণে নতুন নতুন কোম্পানির সূচনা হয়েছিল।

যার ফলে একটা সময় মানুষের চাহিদা মিটে গিয়েছিল। এবং সেই সময় কোম্পানির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যে কারণে তাদের কোম্পানি তে উৎপাদন হওয়া পণ্য গুলো বিক্রি করার জন্য একবারে মরিয়া হয়ে উঠে পড়েছিল। আর তখন থেকেই মূলত অত্যাধুনিক মার্কেটিং এর সূচনা হয়েছিল।

যে সময়টা কে বিক্রয় এর যুগ বলা হয়ে থাকে। কারণ সেই সময়ে প্রতি টা কোম্পানি চেয়েছিল যেন মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষ তাদের পণ্য গুলো সম্পর্কে জানতে পারে।

মার্কেটিং বিভাগের যুগ (Marketing department era)

যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় তার পরবর্তী সময়ে। অর্থাৎ ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মার্কেটিং বিভাগের যুগ শুরু হয়েছিল।

কেননা এই সময় মার্কেটিং এতটা উন্নতি করতে পেরেছিল যা আসলে কল্পনার বাইরে। এবং প্রতিটা কোম্পানি এটা বুঝতে পেরেছিল

 একটি কোম্পানি কে টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই তাদের কে মার্কেটিং অনুসরণ করতে হবে।

এছাড়াও সেই সময়ে সেই আদিম কালের পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য গুলোর আশানুরূপ বিক্রি দেখতে পাচ্ছিল না।

সে কারণে তারা চিন্তা করে যে, এখন থেকে তাদের পণ্য গুলোর মার্কেটিং করবে। আর উক্ত সময়ে তারা বিশেষ একটি বিভাগ চালু করে, যাকে এক কথায় বলা হয় মার্কেটিং বিভাগ।

মূলত এর প্রধান কাজ হল, একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলোর প্রচার করা ও বিজ্ঞাপন দেখানো।

যার মাধ্যমে মানুষ যেন প্রোডাক্ট গুলো কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।

তবে যখন বিভিন্ন কোম্পানি এই মার্কেটিং প্রক্রিয়া শুরু করে। তখন তাদের একটা বাড়তি খরচ করার প্রয়োজন হয়েছিল। এতে করে তাদের লাভ্যাংশে অনেকটাই প্রভাব পড়েছিল।

মার্কেটিং কোম্পানির যুগ (Marketing company era)

যখন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে মার্কেটিং বিভাগ চালু হয়েছিল। তখন এমন অনেক কোম্পানি ছিল, যারা এটা বুঝতে পেরেছিল।

যে, বর্তমান সময়ে একটি কোম্পান এর মূল বিষয় হলো, মার্কেটিং করা। যার মাধ্যমে একটি কোম্পানি কে সফলতার দিকে ধাবিত করা যায়।

আর সে কারণে অনেক কোম্পানি শুধুমাত্র মার্কেটিং করে কিভাবে সফলতা পাওয়া যায়। সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে শুরু করে দেয়।

কেননা উক্ত সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ মার্কেটার দের যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়েছিল।

আর এই সম্মান পাওয়ার লক্ষ্য পূরণ করার জন্যই। অনেক কোম্পানি এই মার্কেটিং প্রক্রিয়ার দিকে আরো বেশি জোর দেয়।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো, সেই সময় এমন অনেক কোম্পানি ছিল। যারা মূলত মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের কে অনেকটাই উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পেরেছিল।

আর এইসব বিবেচনা করার পরে অনেক কোম্পানি মার্কেটিং কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে। এবং সেই সময় শুরু হয়, মার্কেটিং কোম্পানির যুগ।

সম্পর্ক গঠনের মার্কেটিং যুগ (Relationship marketing era)

যখন মার্কেটিং এর রমরমা অবস্থা চলছিল। ঠিক সেই সময় প্রযুক্তি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কেননা আপনি যদি ৯০ দশকের কথা চিন্তা করে দেখেন।

তাহলে আপনি স্পষ্ট ভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন যে। সেই সময় মানুষ সর্বপ্রথম ইন্টারনেটের কথা জানতে পারে।

এবং উক্ত সময়ে এমন অনেক মানুষ ছিলেন। যারা মূলত ইন্টারনেট ব্যবহার করেছিলেন।

আর যখন মানুষ ক্রমাগত ভাবে এই ইন্টারনেট এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময়ে যারা দক্ষ মার্কেটার ছিল।

তারা এটা বুঝতে পেরেছিল যে, মানুষ যেহেতু এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

সেহেতু অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত ডেটা গুলো নির্দিষ্ট সার্ভার এর মধ্যে জমা থাকবে। আর সে কারণে তারা মার্কেটিং এর দক্ষতা কে ইন্টারনেট এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত করেন।

এবং পরবর্তী সময়ে তারা ইন্টারনেট এর মধ্যে মার্কেটিং করার চিন্তা করেছিল। আর সে কারণে এই সময়টা কে বলা হয়ে থাকে সম্পর্ক গঠনের মার্কেটিং যুগ।

কোলাবরেশন এর যুগ (Collaboration era)

যখন ইন্টারনেট এর যুগ পুরোপুরি ভাবে শুরু হয়। তখন কিন্তু মার্কেটিং এর কোলাবরেশন এর যুগ শুরু হয়েছিল। এবং এই যুগটি ধরা হয় 2014 সাল থেকে।

কেননা সেই সময়ে মানুষ তাৎক্ষণিক ভাবে একে অপর এর সাথে যোগাযোগ করতে পারতো। এবং এই যোগাযোগ এর মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হতো।

যেখানে একজন মার্কেটার যদি তার কথার মাধ্যমে মানুষ কে এটা বোঝাতে পারে

যে, তাদের কোম্পানি থেকে উৎপাদিত হওয়া প্রোডাক্ট গুলো মানুষের জন্য ভালো। তাহলে কিন্তু তার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো ব্যাপক ভাবে বিক্রি হওয়া শুরু হতো।

এবং সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবং আপনি যদি বর্তমান সময়ে এর দিকে যদি লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করা হয়ে থাকে।

যার ফলে মানুষ এখন অনলাইন এর মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন এর সাহায্যে বিভিন্ন কোম্পানি এবং তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারছে।

মার্কেটিং এর কাজ কি?

এবার আমি আপনাকে ভিন্ন একটা টপিক সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সেটা হলো, মার্কেটিং এর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দিব।

কারণ যেহেতু আপনি মার্কেটিং এর জনক কে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেই সাথে মার্কেটিং কাকে বলে সে সম্পর্কে জেনেছেন।

সেহেতু অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং এর কাজ কি সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

০১- পণ্যের প্রচার করাঃ মার্কেটিং এর মূল কাজ হল, একটি কোম্পানি থেকে উৎপাদিত হওয়া পণ্যের প্রচার করা। যেমন ধরুন, আপনার একটি কোম্পানি আছে।

এবং আপনি নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট উৎপাদন করেন। এখন আপনি মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার কোম্পানি থেকে উৎপাদিত হওয়া পণ্যের প্রচার করতে পারবেন।

০২- ক্রেতাদের জানিয়ে দেওয়াঃ অফলাইন কিংবা অনলাইন এর মাধ্যমে আমরা যখন কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখি।

তখন কিন্তু আমরা সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারি। ঠিক একই ভাবে মার্কেটিং এর মূল কাজ হল। নির্দিষ্ট এক বা একাধিক কোম্পানির পণ্য গুলো সম্পর্কে ক্রেতাদের জানিয়ে দেওয়া।

০৩- পণ্যের প্রতি আগ্রহ তৈরি করাঃ দেখুন যখন আপনি প্রতিনিয়ত কোন একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখবেন।

তখন অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হলে উক্ত প্রোডাক্ট টি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন। কেননা মার্কেটিং এর মূল কাজ হল, কোন একটি প্রোডাক্ট কেনার জন্য ক্রেতাদের মনের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করা।

FAQ – Marketing 

Q: সেলস এর জনক কে?

A: সেলস এর জনকের নাম হল, জন প্যাটারসন। মূলত ইনি হলেন সেই ব্যক্তি। যাকে বলা হয়ে থাকে, আধুনিক সেলস ম্যানেজমেন্ট এর জনক।

Q: 4p এর জনক কে?

A: 4p এর জনক হল, ই.জে মেকাথী।

Q: মার্কেটিং ও সেলস এর পার্থক্য কি?

A: মার্কেটিং কে গ্রাহক ভিত্তিক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। অপর দিকে সেলস কে পণ্য ভিত্তিক হিসেবে ধরা হয়। কারণ কোম্পানির প্রয়োজনে সেল করা হয়ে থাকে।

অপরদিকে মার্কেটিং করা হয় গ্রাহকের চাহিদার উপর নির্ণয় করে। যদিও বা সেলস খুব স্বল্পমেয়াদি হয়ে থাকে। কিন্তু মার্কেটিং অনেক দীর্ঘমেয়াদী হয়।

Q:মার্কেটিং বলতে কি বুঝায়?

A: মার্কেটিং হল নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার ও কোম্পানির প্রসারের জন্য যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। তাকেই বলা হয়ে থাকে, মার্কেটিং।

Q: ব্যাংকিং এর জনক কে?

A: ব্যাংকিং এর জনক হল, আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন।

Q: নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনক কে?

A: নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনক হল, ফিলিপ কোটলার।

Q: Philip kotler এর সেই বিখ্যাত বইটির নাম কী?

A: ফিলিপ কোটলার এর বিখ্যাত বইয়ের নাম হলো, মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট।

Q: মার্কেটিং কত প্রকার?

A: বর্তমান সময়ে মোট দুই ধরনের মার্কেটিং লক্ষ্য করা যায়। তার মধ্যে প্রথম টি হল, ট্রেডিশনাল মার্কেটিং। এবং দ্বিতীয় টি হল, ডিজিটাল মার্কেটিং।

মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, যারা মূলত জানতে চেয়েছিলেন যে মার্কেটিং এর জনক কে। তাদের কে আমি এটা স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছি যে। মার্কেটিং এর জনক হল ফিলিপ কোটলার।

মূলত তাকে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক বলা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি আজকে আমি আপনাকে মার্কেটিং এর ইতিহাস জানিয়ে দিয়েছি।

যেখান থেকে আপনি এটা জানতে পারবেন যে। কিভাবে মার্কেটিং এর শুরু হয়েছিল এবং বর্তমানে মার্কেটিং কি অবস্থানে রয়েছে।

তো আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের মার্কেটিং রিলেটেড অজানা বিষয় গুলো এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করে থাকি। যদি আপনি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চান।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

তাহলে আমাদের আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়বেন। আর আমাদের এই লেখা গুলো সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধরনের মতামত থাকে।

তাহলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। এতক্ষণ ধরে পুরো লেখা টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

1 thought on “মার্কেটিং এর জনক কে | জেনে নিন মার্কেটিং এর ইতিহাস”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top