ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি | ওয়ালটন এর মালিক কে বিস্তাতির জানুন

ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি : আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর সবচেয়ে বৃহৎ কোন ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম খোঁজ করেন।

ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি | ওয়ালটন এর মালিক কে বিস্তাতির জানুন
ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি

তাহলে সবার আগে যেটি জানতে পারবেন, সেটি হল ওয়ালটন। কারণ ওয়ালটন বর্তমান বাংলাদেশ এর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ এবং বিশ্বস্ত একটি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

আর এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন রকমের পণ্য আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত।

প্রায় সবখানে এই ওয়ালটন কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর সে কারণেই আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান।

আপনি আরোও দেখুন…

যে, ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি, ওয়ালটন অর্থ কি এবং এই ওয়ালটন কোম্পানির মালিক কে। মূলত আজকে আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলব।

যেখানে আপনি ওয়ালটন কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুলো জানতে পারবেন।

ওয়ালটন কি ?

Walton কোন দেশের কোম্পানি সে সম্পর্কে আজকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে তার আগে আপনাকে ওয়ালটন কি সে বিষয়ে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

সহজ কথায় বলতে গেলে ওয়ালটন হলো বাংলাদেশ এর মধ্যে আকারে বৃহৎ এবং বিশ্বস্ত একটি ব্রান্ড।

আর এই ওয়ালটন কোম্পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করা হয়ে থাকে। যে পণ্য গুলো আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করে থাকে।

যেমন, ঘরের টিভি থেকে শুরু করে এসি, ফ্রিজ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে। আমরা ওয়ালটনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি।

আর এই ওয়ালটন নামক কোম্পানি থেকে যে সকল প্রোডাক্ট উৎপন্ন করা হয়। সেই সকল প্রোডাক্ট কে Walton নামে পরিচিত করা হয়ে থাকে।

ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি। তো যারা এই বিষয়ে জানতে চান।

তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে। [su_highlight background=” #ffd4a1″]ওয়ালটন হলো আমাদের দেশীয় একটি কোম্পানি। বাংলাদেশ এর মধ্যে ওয়ালটন নামকরা একটি ব্রান্ড। এবং বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত। walton এর বিভিন্ন রকম পণ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যখন এই ওয়ালটন কোম্পানির সূচনা হয়েছিল।[/su_highlight]

তখন এই কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য ছিল ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠা করা যার কাজ শুরু করেছিল  1970 সালে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে 1977 সালে উক্ত কোম্পানি টি আরও বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে থাকে।

ধীরে ধীরে এই কোম্পানির প্রোডাক্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে walton তাদের পণ্যের কোয়ালিটির উপর গুরুত্ব দিয়ে।

পরবর্তী সময় 2000 সালে তারা বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রনিক্স মালামাল এর প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং একটি মানসম্মত গ্রুপ হিসেবে বাংলাদেশের উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

গোটা বাংলাদেশ এর মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। 

ওয়ালটন কোম্পানির মালিক কে?

ওয়ালটন এর মালিক কে? যেহেতু আপনি জানতে এসেছেন যে, ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি।

সেহেতু এই ওয়ালটন কোম্পানির যাবতীয় বিষয় গুলো আপনার জেনে নেওয়াটা অতি প্রয়োজনীয়। আর এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিব।

যে, ওয়ালটন কোম্পানির মালিক কে। তো এই ওয়ালটন কোম্পানি মূলত এস এম নুরুল আলম রিজভী নামক এক ব্যক্তির হাত ধরে walton কোম্পানির সূচনা হয়েছে।

কিন্তু তিনি এই কোম্পানি এর মূল প্রতিষ্ঠাতা নন। বরং এস এম নজরুল ইসলাম নামক একজন ব্যক্তি ছিলেন।

তিনি হলেন এই ওয়ালটন কোম্পানির মূল প্রতিষ্ঠাতা। আর বর্তমান সময়ে এস এম নুরুল আলম রিজভী পুরো ওয়ালটন কোম্পানি কে পরিচালনা করে আসছে।

 

ওয়ালটন এ কি কি পণ্য আছে ?

আমি আলোচনার শুরুতেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো যে। ওয়ালটন কোম্পানির বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট রয়েছে।

সেই কারণে ওয়ালটন কে গোটা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ একটি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

তো এবার আমি আপনাকে ওয়ালটন কোম্পানির যাবতীয় প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার ওয়ালটন কোম্পানির পণ্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার

আপনি ওয়ালটন কোম্পানির মধ্যে মোট যতগুলো প্রোডাক্ট দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অধিকাংশ স্থান দখল করে আছে রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার।

এটা বলা বাহুল্য যে, আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকে।

এবং ব্যবহারিক দিক থেকে হিসাব করলে আপনি দেখতে পারবেন যে। ৬৬ শতাংশ মানুষ ওয়ালটন এর ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকে।

আর এই ওয়ালটনের ফ্রিজ শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

বরং আমাদের দেশ ছাড়াও পৃথিবীর বাইরের বিভিন্ন দেশের মধ্যে, walton ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

এয়ার কন্ডিশনার

যারা মূলত নিয়মিত এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকেন। তারা বেশ ভালো করে জানবেন যে। আমাদের বাংলাদেশে ওয়ালটন এর এয়ার কন্ডিশনার অনেক সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।

আর আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে এয়ার কন্ডিশন এর দিক থেকে। ওয়ালটন যে রাজত্ব করছে, এ নিয়ে কোন প্রকারের সন্দেহ নেই।

আর আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে অন্যান্য কোম্পানির এয়ার কন্ডিশনারের দিক থেকে। ওয়ালটন এর এয়ার কন্ডিশনার এর তুলনা করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, গুণগত মানের দিক থেকে। ওয়ালটন এর এয়ার কন্ডিশনার গুলো অনেক ভালো এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন।

তাই ওয়ালটন থেকে উৎপাদিত হওয়া এই পণ্যটির চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওয়ালটন টেলিভিশন

বর্তমান সময়ে আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে প্রায় প্রত্যেক টি ঘরেই এখন টেলিভিশন রয়েছে।

আর এই টেলিভিশন গুলো মধ্যে এখন অধিকাংশ সময় ওয়ালটন এর পণ্য অর্থাৎ টেলিভিশন কিনতে অনেক বেশি পছন্দ করে।

আর অবাক করার মতো বিষয় হলো যে। বর্তমান সময় অনুযায়ী walton আমাদের বাংলাদেশের টেলিভিশনের অধিকাংশ চাহিদা মেটাতে পারছে।

কারণ বাংলাদেশের মধ্যে ওয়ালটন ইতিমধ্যেই ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর দিক থেকে বেশ বড়সড়ো জায়গা করে নিতে পেরেছে।

ওয়ালটন মোবাইল

আমরা সবাই জানি যে, ওয়ালটন কোম্পানি থেকে মোবাইল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। আর আমরা এই বিষয়েও নিশ্চিত যে। বর্তমান সময়ে মোবাইল মার্কেট গুলোতে ওয়ালটন এর মোবাইল গুলো।

বেশ ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এখন অন্যান্য কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করার পাশাপাশি।

ওয়ালটন কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করা শুরু করেছে। আর আপনি যদি এই ওয়ালটন কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি দেশীয় পণ্যের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।

Walton computer

Walton শুরুর দিকে বিভিন্ন প্রকারের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করলেও। সময়ের সাথে সাথে তারা তাদের কোম্পানি থেকে উৎপাদিত হওয়া প্রোডাক্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আর সে কারণে তারা প্রথমত ইস্পাত শিল্প হিসেবে কাজ করতে চাইলেও। পরবর্তী সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট তৈরি করে।

এবং ২০১৮ এর শেষের দিকে ওয়ালটন কোম্পানি থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে। তারা এখন ওয়ালটন কম্পিউটার তৈরি করবে।

এবং বর্তমান সময়ে তারা ওয়ালটন কম্পিউটার তৈরির কাজ করছে। আশা করি অন্যান্য প্রডাক্ট গুলোর মত ওয়ালটন কম্পিউটার অনেক ভালো ফলাফল করতে পারবে।

ওয়ালটন মোটরসাইকেল

বিষয়টা সত্যিই খুব অবাক করার মতো। কারণ ওয়ালটন কোম্পানি যখন শুরু হয়েছিল। তখন তারা ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিল।

তার পরবর্তী সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট নিয়ে তৈরি করে থাকে। এবং বর্তমান সময়ে তারা মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার তৈরি করার পরেও।

এখন মোটরসাইকেল তৈরি করা শুরু করেছে। আর আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির মোটর সাইকেল রয়েছে।

কিন্তু চলমান সময়ে অন্যান্য কোম্পানির মত। আমাদের বাংলাদেশ থেকে তৈরি হওয়া ওয়াল্টন মোটর সাইকেল গুলো ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Article information from wikipedia.com

ওয়ালটন কোম্পানির নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকেই জানি যে ওয়ালটন হলো আমাদের বাংলাদেশের একটি কোম্পানি।

কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন মানুষ এই বিষয়টি না জানার কারণে ইন্টারনেটের মধ্যে সার্চ করে। তো সেই সব মানুষদের উদ্দেশ্য করেই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি যে। ওয়ালটন হল বাংলাদেশের একটি কোম্পানি।

এবং এই কোম্পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়।

আর বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে ওয়ালটন কোম্পানি থেকে। তৈরি হওয়া প্রোডাক্ট গুলোর ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা রয়েছে।

সেই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ওয়ালটন এর প্রোডাক্ট গুলো সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

তো আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে হলে।

অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।

5 thoughts on “ওয়ালটন কোন দেশের কোম্পানি | ওয়ালটন এর মালিক কে বিস্তাতির জানুন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top