মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম ও সেরা কৌশল – Banglaitblog

এন্ডোয়েড মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম : একটা সময় ছিল, যে সময় আমরা মনে করতাম ভালো ছবি তোলার জন্য অবশ্য একটি ভালো স্মার্টফোনের প্রয়োজন হয়।

মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম ও সেরা কৌশল
মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম

এবং এটি ভালো ক্যামেরা এর প্রয়োজন হয়। তবে সেই দিন গুলোর তুলনায় বর্তমান সময়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে।

কেননা এখন আপনি যদি মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম অনুসারে কাজ করতে পারেন।

তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই আকর্ষণীয় সব ছবি তুলতে পারবেন।

আপনি যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে। বর্তমান সময়ে তৈরি হওয়া স্মার্টফোন গুলো তে এক বা একাধিক ক্যামেরা থাকে।

আর সেই ক্যামেরা গুলোর মাধ্যমে অনেক ভালো ভালো ছবি তোলা সম্ভব। কিন্তু আমরা অনেকেই সেই মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে।

আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী ছবি তুলতে পারি না। আর যাতে করে আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ভালো ছবি দিতে পারেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর যারা জানতে চান ছবি তোলার জন্য কোন ক্যামেরা ভাল, ছবি তোলার জন্য কোন মোবাইল ভালো।

সেসব কারণে এবার আমি আপনাকে মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো জানিয়ে দিব।

চলুন এবার তাহলে মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যাদের হাতে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু আপনার হাতে যত ভালো মানের স্মার্টফোন থাকুক না কেন।

আপনি যদি মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে না জানেন। তাহলে কিন্তু আপনি কোনভাবেই অন্যদের মতো আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারবেন না।

আর সে কারণে অবশ্যই আপনাকে মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো জেনে নিতে হবে।

মূলত সেই উদ্দেশ্যেই এবার আমি মোট ১৬টি সেরা কৌশল শেয়ার করব আপনার সাথে।

আর যখন আপনি এই কৌশল গুলো ছবি তোলার সময় অনুসরণ করবেন। তখন আপনি নিজে থেকে দেখতে পারবেন।

যে, অন্যদের থেকে আপনার তোলা ছবি গুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হবে। এবং সবাই আপনার তোলা ছবি গুলো দেখে প্রশংসা করবে।

আর সেই মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব। 

গ্রীডলাইন এর ব্যবহার করুন

যখন আমরা আমাদের স্মার্ট ফোন দিয়ে কোন ছবি তোলার চেষ্টা করি। তখন আমরা কম বেশি সবাই একটি সমস্যার মধ্যে পড়ি।

আর সেই সমস্যাটি হলো যে ছবি তোলার পর আমাদের ছবি গুলো একটু বেঁকে যায়। অর্থাৎ আমরা সোজা ভাবে ছবি তুলতে পারি না।

আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল গ্রীড লাইন ব্যবহার করা। বর্তমান সময়ে যে সকল স্মার্টফোন গুলো তৈরি করা হয়।

সেই স্মার্ট ফোন গুলোর মধ্যে গ্রীড লাইন নামক একটি অপশন যুক্ত করে দেওয়া হয়। এখন হয়তোবা আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

যে, একটি ছবি বাঁকা ভাবে তুলবো নাকি সোজাভাবে তুলব সেটা আসলে এই গ্রিড লাইন কিভাবে সনাক্ত করবে। এবং কিভাবে এই অপশন এর মাধ্যমে আমরা সোজা ভাবে ছবি তুলতে পারবো।

যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, আপনি যখন আপনার মোবাইলের ক্যামেরা চালু করবেন।

তখন আপনি একটি ছক দেখতে পারবেন। মূলত এই ছক গুলো তে যে ঘর থাকে। সেই ঘর গুলো সমান্তরাল এবং লম্বা ভাবে থাকে।

আর এর ফলে আপনি বুঝতে পারবেন যে। কোনো একটি ছবি তোলার সময় আপনার ছবি টি কতটুকু বেঁকে গেছে অথবা ছবিটি সোজা আছে কি না।

আর যখন আপনি এই বিষয়টি কে খেয়ালে রেখে ছবি তুলবেন। তখন আপনি ছবি তোলার পর দেখতে পারবেন।

আপনার প্রত্যেক টা ছবি সোজা ভাবে তোলা হয়েছে। এবং অন্যান্য মানুষ এর তোলা ছবি গুলোর চাইতে।

আপনার ছবি গুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হবে।

সঠিক ভাবে ক্যামেরার ফোকাস নেওয়া

দেখুন আমরা যখন কোন ছবি তুলি তখন অবশ্যই সেই ছবিতে নির্দিষ্ট কোন বস্তু বা বিষয় কে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।

আর ক্যামেরার ভাষায় এই বিষয়টি কে বলা হয়ে থাকে ফোকাস। মূলত যখন আপনি ছবি তুলবেন এবং আপনি নির্দিষ্ট কোন বিষয় কে। সেই ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাইবেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে ছবি তোলার সময় ক্যামেরার মধ্যে সেই বিষয়টি কে ভালোভাবে ফোকাস রাখতে হবে।

যদিও বা বর্তমান সময়ে তৈরি হয় স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে থাকা ফোকাস নামক এই বিশেষ অপশন টি।

নিজে থেকেই একটি ছবির বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো কে ফোকাস করে নেয়।

তবে আপনি চাইলে এই কাজ টি মেনুয়ালি ভাবে করতে পারবেন। মনে করুন আপনি আমার একটি ছবি তুলছেন।

এবং আমার ছবি তোলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক গুলো গাছপালা রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে আপনি ছবি তোলার সময় আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরার মধ্যে যদি আঙ্গুলের স্পর্শ দিয়ে। আমার চেহারার মধ্যে বারবার ট্যাপ করেন।

তাহলে দেখবেন যে, ক্যামেরা তে আমার চেহারা টি ফোকাস থাকছে। এর ফলে উক্ত ছবি তোলার পরে পেছনে থাকা ব্যাকগ্রাউন্ড দেখার পাশাপাশি।

আমার ছবিটি একবারে পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাওয়া যাবে। আর এই বিষয় টি ছবি তোলার সময় আপনাকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে।

ছবির বিষয়বস্তু (Subject) নির্বাচন করা

দেখুন একটা ছবির মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বিষয় থাকে। কিন্তু যখন আপনি কোন ছবি তুলবেন। তখন অবশ্যই আপনার টার্গেট করা বিষয়টি কে ফোকাস রাখার চেষ্টা করবেন।

এবং একটি ছবিতে অতিরিক্ত বিষয় যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। কারণ আপনি যদি কোন পেশাদার কিংবা অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার এর কথা চিন্তা করেন।

তাহলে তাদের ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ একটি বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর সেটি হল যে, তারা যখন ছবি তোলে। তখন তাদের একটি ছবির মধ্যে খুব বেশি বিষয় কে কাউন্ট করে না।

বরং এক বা একাধিক কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় কে কাউন্ট করার পরে। বাকি অংশ গুলো ফাঁকা রেখে দেয়। এর ফলে তাদের ছবির আকর্ষণীয়তা আরো অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।

তবে আপনি আপনার ছবির মধ্যে যে বিষয় গুলো কে ফুটিয়ে তুলতে চান। সেই বিষয় গুলোর উপর অবশ্যই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে ফোকাস রাখতে হবে।

না হলে দেখা যাবে ছবি তোলার পরে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো ফোকাস না থেকে। অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় বিষয় গুলো ফোকাসে এসেছে।

যার ফলে আপনার তোলা ছবি টি আকর্ষণীয়তা হারিয়ে ফেলবে। তাই অবশ্যই আপনি ছবির বিষয়বস্তু নির্বাচন করার সময় একটু সতর্ক থাকবেন।

নেগেটিভ স্পেস রাখা

আর্টিকেলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমি আপনাকে মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো জানিয়ে দেওয়ার সময়। বিশেষ একটি শব্দের ব্যবহার করেছি।

আর সেই শব্দটি হল, নেগেটিভ স্পেস। হয়তোবা নতুন ব্যক্তির কাছে এই শব্দটি একবারে অপরিচিত মনে হতে পারে।

আর তাদের উদ্দেশ্যে এবার আমি এই বিষয় টি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত আলোচনা করব। দেখুন একটি ছবির মধ্যে আপনার ফোকাস রাখা বিষয় টি বাদে।

অন্যান্য যে সকল ফাঁকা জায়গা থাকে। সে গুলো কে বলা হয়ে থাকে, নেগেটিভ স্পেস। আর আপনি একটি ছবির নেগেটিভ স্পেস এর মাধ্যমে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

সেই ছবির মূল বিষয় বস্তু কে একবারে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। বর্তমান সময়ে যারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তারা এই বিষয়টি কে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এই বিষয়টি কে আরো একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য এবার আমি আপনাকে একটা উদাহরণ দিব।

মনে করুন, আপনি একটি খোলা মাঠের মধ্যে আমার ছবি তুলছেন।

সেক্ষেত্রে খোলা মাঠ কে বলা হয়ে থাকবে নেগেটিভ স্পেস। কেননা যখন আপনি আমার ছবিটি তুলবেন। তখন শুধুমাত্র আমার ছবিতে আমাকেই বেশি ফোকাস করা হবে।

এর বাইরে যে ফাঁকা মাঠ থাকবে সেই মাঠ কে কেউ তেমন পরখ করে দেখবে না। এ ক্ষেত্রে সেই ছবিতে আমাকে ফোকাস রাখার কারণে।

উক্ত ছবিটির আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি পাবে। আর সে কারণে বলা হয়ে থাকে। যে, আপনি যখন কোন ছবি তুলবেন, তখন অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে নেগেটিভ স্পেস রাখার চেষ্টা করবেন।

এতে করে আপনার তোলা ছবির মাধুর্যতা বৃদ্ধি পাবে।

এক্সটার্নাল লেন্স ব্যবহার করা

সহজ কথা বলতে গেলে, আপনার কাছে থাকা স্মার্টফোন এর ক্যামেরা কতটা ভালো। সেটা কিন্তু নির্ভর করবে সেই ক্যামেরার মধ্যে থাকা লেন্স এর উপর।

কারণ লেন্স এর কোয়ালিটি ভালো থাকলে সেই ক্যামেরা দিয়ে অনেক ভালো ছবি তোলা যাবে। আর লেন্সের কোয়ালিটি খারাপ থাকলে আপনার ক্যামেরা যত দামি হোক না কেন।

সেটা দিয়ে আর ভালো ছবি তোলা সম্ভব হবে না। মূলত সে কারণে বর্তমানে আপনি অনেক দামী দামী এবং ভালো কোয়ালিটির লেন্স দেখতে পারবেন।

আর আপনি যদি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে অন্যদের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ছবি তুলতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এক্সটার্নাল লেন্স ব্যবহার করতে হবে।

আর যখন আপনি এই ধরনের এক্সটার্নাল লেন্স ব্যবহার করবেন। তখন আপনার তোলা ছবির মধ্যে নতুন একটা আকর্ষণীয়তা যুক্ত হবে।

যার ফলে আপনার তোলা ছবি গুলো দেখে অনেকেই প্রশংসা করবে।

বর্তমান সময়ে আপনি আপনার মোবাইলের কোয়ালিটি এবং ক্যামেরা অনুযায়ী মার্কেট থেকে লেন্স কিনতে পারবেন।

আর এই ধরনের লেন্স গুলোর কোয়ালিটি এর উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির লেন্স নেন।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। এবং এই ধরনের কোয়ালিটি সম্পন্ন লেন্স দিয়ে আপনি অনেক ভালো ভালো ছবি তুলতে পারবেন।

অপরদিকে আপনি যদি নরমাল কোয়ালিটির লেন্স কিনে নেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ছবির মধ্যে কিছুটা ঘাটতি থাকবে।

তাই অবশ্যই আপনি আপনার মোবাইল এর মডেল অনুযায়ী ভালো কোয়ালিটির লেন্স কিনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

যাতে করে আপনার সেই মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি গুলোর আকর্ষণীয়তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।

ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার রাখা

যেহেতু উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে এক্সটার্নাল লেন্স ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছি। সেহেতু আপনাকে একটা কথা বলে রাখা উচিত।

আর সেই কথা টি হল, যখন আপনি দীর্ঘদিন ধরে লেন্স ব্যবহার করার মাধ্যমে ছবি তুলবেন। তখন আপনি একটি বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। যে, লেন্স এর মধ্যে অনেক সময় ধুলাবালি জমা হয়ে থাকে।

আর এই ধুলো বালির পরিমাণ যখন অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে। তখন কিন্তু আপনার সেই লেন্স আর আগের মত কাজ করবে না।

অর্থাৎ ছবি গুলো তেমন একটা কোয়ালিটি ফুল হবে না। তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর আপনাকে আপনার সেই লেন্স গুলো কে পরিস্কার রাখতে হবে।

আর এই কাজটি করার জন্য আপনি নরম কাপড় দিয়ে সেই লেন্সকে মুছে নিতে পারবেন।

এবং সর্বদাই আপনার লেন্সকে পরিষ্কার রাখতে পারবেন। যার ফলে আপনার সেই লেন্স দিয়ে তোলা ছবি গুলো আগের মতই কোয়ালিটি ফুল হবে।

মোবাইল ট্রাইপড এর ব্যবহার

যখন আপনি মোবাইল দিয়ে অনেক ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে চাইবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে ছবি তোলার জন্য মোবাইল ট্রাইপড ব্যবহার করতে হবে।

কেননা আমরা যখন মোবাইল হাতে রেখে ছবি তুলি। তখন অনেক সময় মোবাইল নড়াচড়া হয় এবং যার ফলে আমরা আমাদের পছন্দমত ছবি তুলতে পারি না।

কিন্তু যখন আমরা মোবাইল দিয়ে ট্রাইপড ব্যবহার করব। তখন কিন্তু সে ট্রাইপড আমাদের মোবাইলের ব্যালেন্স রক্ষা করবে।

যার ফলে মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার সময় আর কাঁপাকাঁপি করবে না।

এবং কোনো ধরনের বাঁকা ছবি তুলবে না। আর বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ট্রাইপড দেখতে পারবেন।

তবে চেষ্টা করবেন মার্কেটে যে সকল ভালো কোয়ালিটির ট্রাইপড রয়েছে, সে গুলো কিনে নেওয়ার।

যাতে করে এই ট্রাইপড গুলো ব্যবহার করে আপনি অনেক ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারেন।

ডিজিটাল জুম্-ইন ব্যবহার না করা

দেখুন উপরে আমি মোট যত গুলো মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম শেয়ার করেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Zoom in না করা।

কারণ যখন আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলবেন। তখন অবশ্যই আপনার ফোকাস রাখা বস্তুটির সাথে আপনার দূরত্ব এর বিষয় টি মাথায় রাখবেন।

কারণ যখন আপনি অনেক দূর থেকে ছবি তুলবেন। তখন আপনাকে জুম ইন করতে হবে। আর যখন আপনি একটি ক্যামেরার মধ্যে জুম করে ছবি তুলবেন।

তখন সেই ছবির কোয়ালিটি অনেক খারাপ হবে।

তাই আপনাকে আপনার ফোকাস রাখা বস্তুটির কাছাকাছি থাকতে হবে। সেই সাথে যখন আপনি জুম ইন না করে ছবি তুলবেন।

তখন আপনার ছবির কোয়ালিটি অনেক ভালো থাকবে। মূলত আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হন কিংবা নতুন ফটোগ্রাফার। আপনাকে অবশ্যই এই বিষয় টি গুরুত্ব সাথে খেয়াল করতে হবে।

তাহলেই আপনি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়েই খুব ভালো মানের ছবি তুলতে পারবেন।

এবং অন্যরা আপনার মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি দেখার পরে অনেক প্রশংসা করবে।

প্রয়োজনে ছবি এডিট করা

আমরা যখন ফেসবুক কিংবা instagram ব্যবহার করি। তখন দেখতে পাই সেই প্ল্যাটফর্ম গুলো তে যারা ছবি শেয়ার করে।

তাদের ছবি গুলো অনেক ভালো দেখায়। আর তখন আমরা বেশ অবাক হয়ে যাই। এবং ভাবতে থাকি যে, আমরা কেন তাদের মত এত আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারি না।

তো আপনি যদি এই বিষয় টি ভেবে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে। এই ছবি গুলো সরাসরি ক্যামেরা থেকে তুলে। তারপর ফেসবুকে আপলোড দেওয়া হয়নি।

বরং এই ছবি গুলো তোলার পরে। সে গুলো কে বিভিন্ন প্রকার ইফেক্ট এবং কালার এর সমন্বয়ে এডিট করা হয়েছে। মূলত এটা কে বলা হয়ে থাকে, ফটো এডিট।

আর যখন আপনি কোন একটি সাধারণ ফটো কে সঠিক ভাবে এডিট করতে পারবেন। তখন আপনার সেই ছবি গুলোর আকর্ষণীয়তা, কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

আর যখন এই আকর্ষণীয় ফটো গুলো ফেসবুক কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে শেয়ার করবেন।

তখন সেই এডিট করা ছবি গুলো দেখে অন্যরা অবাক হয়ে যাবে। আর সে কারণেই যখন আপনি ছবি তুলবেন। তখন ছবি তোলার পরবর্তী সময়ে।

অবশ্যই আপনাকে সেই তোলা ছবি গুলো এডিট করে নিতে হবে।

ভালো ছবি তোলার নিয়ম নিয়ে কিছু কথা

দেখুন বর্তমানে আমরা অধিকাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। আর সে কারণে বিভিন্ন সময় আমাদের স্মার্ট ফোন দিয়ে ছবি তোলার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কিন্তু যখন ছবি তোলার পরে আমরা দেখি। যে, অন্যদের থেকে আমাদের তোলা ছবির কোয়ালিটি অনেক খারাপ হচ্ছে।

তখন আমরা ভাতে থাকি, কিভাবে তারা এত সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারল।

আর এই প্রশ্নের উত্তর টি দেওয়ার জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আমি আপনাকে মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো জানিয়ে দিয়েছি। আর আপনি যদি এই মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম গুলো মেনে ছবি তোলেন।

তাহলে আশা করি, আপনার তোলা ছবি গুলো। অন্যদের থেকে আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে।

আমরা প্রতিনিয়ত এই ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন টিপস এন্ড ট্রিক্স গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করে থাকি। আর আপনি যদি সেই টিপস গুলো সবার আগে জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আর পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top