প্রযুক্তি কাকে বলে | আধুনিক প্রযুক্তি কি । প্রযুক্তির সুবিধা এবং প্রকারভেদ

প্রযুক্তি কাকে বলে (What is technology in bangla) এবং আধুনিক প্রযুক্তি কি। তো আপনি যদি এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেতে চান।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, এবং এটি ছাড়া একটি বিশ্ব কল্পনা করা কঠিন।

প্রযুক্তি কাকে বলে | আধুনিক প্রযুক্তি কি । প্রযুক্তির সুবিধা এবং প্রকারভেদ
প্রযুক্তি কাকে বলে

মোবাইল ফোন থেকে কম্পিউটারে, প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাপন এবং কাজের পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছে।

এই আর্টিকেলে, আমরা প্রযুক্তি কী, আজ কী আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেইসাথে এর সুবিধাগুলি এবং প্রকারগুলি আলোচনা করতে যাচ্ছি।

প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের জীবনকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করেছে তাও আমরা দেখব। আজকের এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

কারণ আজকে আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে, প্রযুক্তি কি এবং আধুনিক প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায়।

তো চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

প্রযুক্তি কাকে বলে ? (What is technology)

দেখুন বিভিন্ন সময় আমাদের প্রযুক্তি কাকে বলে সে সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তো আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান।

তাহলে আপনাকে একটু বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে যেতে হবে। যেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে, প্রযুক্তি কাকে বলে।

আর আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে, [su_highlight background=”#9b51e0″]প্রযুক্তি হলো একটি বাংলা শব্দ। এবং এর ইংরেজি মিনিং হল, Technology. তবে এই টেকনোলজি নামক শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ টেকনে থেকে।[/su_highlight]

[su_highlight background=”#9b51e0″]এবং এই “টেকনে”- শব্দের অর্থ হলো, এমন এক ধরনের শিল্প যা মূলত নৈপুণ্যের সাথে বিশেষ ভাবে সম্পর্ক যুক্ত। এর পাশাপাশি “লোগিয়া”- শব্দটি এসেছে একটি এগ্রি শব্দ থেকে। যার অর্থ হলো, অধ্যায়ন এর সাথে যুক্ত এমন কিছু।[/su_highlight]

তবে প্রযুক্তি এই শব্দটির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত দুই শতাব্দী থেকে।

কেননা এই প্রযুক্তি এমন একটি শব্দ যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং রিসার্চ গুলোকে ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করতে পারি।

যেমন, আমরা এখন স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করি। এসব কিছুই কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

যদিও বা এগুলো হল এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য। তবুও এই সবকিছুই হলো আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পর্ক যুক্ত।

কিন্তু এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, আদিম সভতার মধ্যে মানুষ পাথরের তৈরি বিভিন্ন রকমের হাতিয়ার ব্যবহার করত। এর পাশাপাশি তারা লোহার ব্যবহার করত।

তাহলে কি তারা আধুনিক প্রযুক্তির অংশ নয়? হ্যাঁ! অবশ্যই, তারাও হলো আধুনিক প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কেননা তারা হলো আধুনিক প্রযুক্তির যুগের প্রাথমিক ধাপ। এবং তাদের যে উদ্ভাবন গুলো ছিল সেগুলো হলো মানব ইতিহাসের প্রযুক্তির ছোঁয়ার সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণ।

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, প্রযুক্তি কাকে বলে। তো এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলব যে, মানব জীবনে যে সকল বৈজ্ঞানিক জ্ঞান জীবন যাত্রা কে আরো বেশি আধুনিক এবং আধুনিকতর করেছে।

তাকে বলা হয়ে থাকে প্রযুক্তি। আশা করি, প্রযুক্তি কাকে বলে এবার আপনি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

আধুনিক প্রযুক্তি কি ? (Modern technology)

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন, প্রযুক্তি কাকে বলে। তবে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি। এবার আপনাকে আরো একটি বিষয় জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হল, আধুনিক প্রযুক্তি কি বা আধুনিক প্রযুক্তি কাকে বলে। চলুন এবার তাহলে এই আধুনিক প্রযুক্তি কাকে বলে সে সম্পর্কে একটু ধারণা নেয়া যাক।

দেখুন, আপনি যদি বিগত কয়েক বছরের প্রযুক্তির দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে বেশ ভালো করেই দেখতে পারবেন যে। প্রযুক্তি ক্রমাগত ভাবে উন্নতির দিকে ধাবিত হয়ে থাকে।

অর্থাৎ আজ থেকে দশ বছর আগে আমরা যে প্রযুক্তির যুগে বসবাস করতাম। তার থেকে বর্তমান সময়ে আমরা অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি।

কেননা এতদিনে প্রযুক্তির নিজেকে আরও বেশি উন্নতির দিকের অগ্রসর হয়েছে।

আর এই ধারণা থেকে এটা সহজেই বলা যায় যে। আধুনিক প্রযুক্তি হল পুরনো প্রযুক্তির মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি প্রদান করা। সেই সাথে উক্ত প্রযুক্তির সাথে আরও নতুন সংযোজন করা।

যাকে বলা হয়ে থাকে, আধুনিক প্রযুক্তি। আর এই আধুনিক প্রযুক্তি কে আমরা আমাদের জীবন যাত্রার মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকি।

যেমন ধরুন, বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হওয়া পণ্যের নাম হলো, মোবাইল ফোন।

যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে থাকা মানুষের সাথে কয়েক সেকেন্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি।

আর সে কারণে আধুনিক প্রযুক্তির উদাহরণ হিসেবে মোবাইল ফোন কে সবার প্রথম সারিতে রাখা হয়।

যার মাধ্যমে অতীতের তুলনায় বর্তমান সময়ে যোগাযোগ এর মাধ্যম অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে?

আমরা আলোচনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সেটি হল, প্রযুক্তি কাকে বলে।

এর পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি কি সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তো এবার আমরা জানবো, তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে তথ্য প্রযুক্তি হলো এমন এক ধরনের মাধ্যম। যাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি।

এর পাশাপাশি সেই তথ্য গুলো অন্যান্য মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারি। আর যে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা এই ধরনের কাজ গুলো করতে পারি। তাকে বলা হয়ে থাকে, তথ্য প্রযুক্তি।

আর আপনার জেনে রাখা উচিত। আমরা তথ্য বলতে যে শব্দের ব্যবহার করি। ইন্টারনেটের ভাষায় তাকে বলা হয়ে থাকে, ডেটা।

আর এই ধরনের ডেটা গুলো প্রয়োজন অনুসারে সংগ্রহ করা। এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করার কাজ টি অনেক সহজ করে দিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি।

প্রযুক্তি কত প্রকার – (Types of technology)

তো আমরা এতক্ষণ ধরে জানতে পারলাম, প্রযুক্তি কাকে বলে। এবার প্রযুক্তি কত প্রকার সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কারণ আমরা বর্তমান সময়ে যে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। এই প্রযুক্তি কে আবার বেশ কয়েক টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক প্রযুক্তি কত প্রকার ও কি কি।

  1. তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি
  2. জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি
  3. পারমাণবিক প্রযুক্তি বা নিউক্লিয়ার টেকনোলজি
  4. যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কম্যুনিকেশন টেকনোলজি
  5. ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি
  6. চিকিৎসা প্রযুক্তি বা মেডিক্যাল টেকনোলজি
  7. যান্ত্রিক প্রযুক্তি বা মেকানিক্যাল টেকনোলজি
  8. উপকরণ প্রযুক্তি বা মেটেরিয়ালস টেকনোলজি

উপরের তালিকায় আপনি বিভিন্ন প্রকারের প্রযুক্তি দেখতে পারছেন। এবার আমি আপনাকে এই প্রযুক্তি এর প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিব।

আপনি যদি সে সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচনায় নজর রাখুন।

তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি

ইনফরমেশন যাকে ইন্টারনেটের ভাষায় ডাটা বলা হয়ে থাকে। যেগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ধরনের ডেটা গুলো কে খুব সহজেই কালেক্ট করা যায়।

এবং প্রয়োজন অনুসারে সেই ডেটা গুলো ব্যবহার করা সম্ভব। কারণ সময়ের সাথে সাথে যখন আমরা আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পৌঁছে গেছি।

তখন আমাদের নিজের মধ্যেও অনেকটা পরিবর্তন চলে এসেছে। কারণ আমরা এখন প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছি।

যেমন ধরুন, আমাদের মাথার উপর রয়েছে স্যাটেলাইট। এবং আমাদের হাতের কাছে রয়েছে মোবাইল ফোন।

এখন আমরা চাইলেই আমাদের মোবাইল থেকে সরাসরি আকাশের উপরে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি।

এর পাশাপাশি আমাদের ঘরে থাকা টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির অবদান।

তবে যখন আমরা এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করি। তখন কিন্তু আমাদের বিভিন্ন ধরনের ডেটা ট্রান্সফার হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, আমরা এখন ফেসবুক কিংবা ইউটিউব ব্যবহার করে থাকি। তো এগুলো ব্যবহার করার জন্য আমাদের মোবাইল নম্বর অথবা জিমেইল একাউন্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আপনি আরোও দেখুন…

আর এভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষের ডাটা গুলো স্থানান্তর হয়ে থাকে।

কিন্তু এই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি সময়ের সাথে সাথে আরও বেশি আপডেট হচ্ছে।

কারণ এখন ব্যবহৃত হচ্ছে AI টেকনোলজি। যার মাধ্যমে সে একটি রোবট নিজে থেকেই তার প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো শিখতে পারবে। এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।

যেমন, আমরা একটি মানুষ যেভাবে ছোট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শেখার পরে তারপর সে গুলোর প্রয়োগ করতে পারি।

ঠিক তেমনি ভাবে এখন AI টেকনোলজি এর মাধ্যমে এমন কিছু রোবট এর আবিষ্কার হয়েছে। যারা নিজে থেকে কোন একটি বিষয় কে বুঝতে পারবে।

এবং এই বিষয় গুলো কে ডেটা হিসাবে নিজের কাছে জমা রাখবে। আর প্রয়োজন অনুসারে সেই ডেটা গুলোর ব্যবহার করবে।

জৈব প্রযুক্তি বা বায়ো টেকনোলজি

আমরা অনেকেই মনে করি যে, আধুনিক প্রযুক্তি শুধুমাত্র তথ্য আদান প্রদান এর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে। তো আপনি যদি এমন টা ভেবে থাকেন।

তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম হলো, জৈব প্রযুক্তি।

যাকে আমরা অনেকেই বায়ো টেকনোলজি বলে থাকি। আর আপনি যখন জানতে পারবেন যে, এই ধরনের জৈব প্রযুক্তিতে কি কি পরিবর্তন এসেছে। তখন আপনিও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন।

যেহেতু আপনি এই প্রযুক্তির মানুষ, সেহুতু অবশ্যই আপনার একটা বিষয় জানা থাকবে। সেটি হল, জেনেটিক টেকনোলজি।

যার মাধ্যমে একটি জীবন্ত প্রাণীর ডেটা গুলো কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং প্রয়োজন অনুসারে সেই ডেটা গুলো পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।

তবে জৈব প্রযুক্তি শুধুমাত্র জেনেটিক পরিবর্তন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কারণ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে।

যেমন, ওষুধ তৈরিতে, পুষ্টির যৌগ এর ক্ষেত্রে এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক, ফার্মাসিটিক্যাল কৃষি এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার রয়েছে।

পারমাণবিক প্রযুক্তি বা নিউক্লিয়ার টেকনোলজি

পারমাণবিক প্রযুক্তি সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। কারণ যখন একটি দেশের সাথে অন্য আরেক টি দেশের দ্বন্দ্ব হয়।

তখন এই ধরনের পারমাণবিক হামলা হওয়ার আভাস পাওয়া যায়। সে কারণে এই ধরনের পারমাণবিক হামলা কতটা ভয়াবহ হতে পারে।

সে সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা রয়েছে। তো এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে নিউক্লিয়ার কে বিশেষ ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে নিউক্লিয়ার কে এক ধরনের ভয়াবহ শক্তিতে রূপান্তর করা হয়ে।

তবে শুধুমাত্র প্রলয়কারী এই পারমাণবিক প্রযুক্তি নিউক্লিয়ার শক্তিতে থেমে থাকেনি। বরং সময়ের সাথে সাথে এর মধ্যে ব্যাপক পরিমাণে উন্নতি হয়েছে।

এবং তার মধ্যে অন্যতম হলো, রেডিওথেরাপি, স্মোক ডিটেক্টর সহ। মহাকাশ এর মধ্যে যে অভিযান গুলো হয়।

সে গুলো তে ব্যবহার করা, রেডিও আইসোটোপ, থার্মাল, জেনারেটর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তি এর উন্নতি হয়েছে। যা আমরা এখন নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি।

যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কম্যুনিকেশন টেকনোলজি

যোগাযোগ ব্যবস্থা এর পরিবর্তন এর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম। কারণ এই আধুনিক প্রযুক্তি আসার কারণে আমরা এখন খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারি।

যেমন ধরুন, আপনি বাংলাদেশে বসে থেকে ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্লাটফর্ম থেকে। খুব সহজেই অন্যান্য দেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনার যে সকল তথ্য গুলো রয়েছে। সে গুলো কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আদান প্রদান করতে পারবেন।

তো এ জন্যই বলা হয়ে থাকে, আধুনিক প্রযুক্তি যতটা এই পৃথিবী কে বদলে দিয়েছে।

তার মধ্যে অন্যতম এবং হল যোগাযোগ প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে এখন মানুষ খুব সহজেই কমিউনিকেশন করতে পারে।

নিজের মনের ভেতরে থাকা অজানা কথা গুলো আরেক জনের সাথে শেয়ার করতে পারে। সেই সাথে দূরবর্তী মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে কোন ধরনের ঝামেলা হয় না।

আর এই সব কিছুই হলো যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির অবদান।

ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি

দেখুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে ইলেকট্রনিক্স এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ আপনি বর্তমান সময়ে যে ডিভাইস দিয়ে আমার এই লেখা টি পড়ছেন।

সেটা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর এই ধরনের যন্ত্রাংশ গুলো তৈরি করার জন্য যার অবদান রয়েছে। তার নাম হলো, ইলেকট্রনিক্স।

আর আধুনিক প্রযুক্তি ফলে ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি ক্রমাগত ভাবে আরো আধুনিকতর হয়েছে।

কারন আমরা এখন সময়ের সাথে সাথে এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির পণ্য গুলো কে ব্যবহার করছি।

যেমন, মাল্টিমিটার, ক্যামেরা, কম্পিউটার, পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি। যন্ত্রাংশ গুলো আমরা ক্রমাগত ভাবে ব্যবহার করছি।

আর আধুনিক প্রযুক্তির ফলে এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির অনেকটা উন্নতি হওয়ার ফলে। এই ধরনের প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের কোন ধরনের সমস্যা হয় না।

চিকিৎসা প্রযুক্তি বা মেডিক্যাল টেকনোলজি

চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির অবদান কতটুকু সেটা তো আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।

কারণ আমরা এখন নিজে থেকেই দেখতে পাই যে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আগের তুলনায় আধুনিক প্রযুক্তির ফলে কতটা উন্নতি সাধন হয়েছে।

কারণ এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের দেহের রোগ শনাক্ত করতে পারি। এর পাশাপাশি কোন প্রকার কাটা ছেঁড়া ছাড়াই বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছি।

যেমন, আমরা এখন যদি এক্সরে কিংবা আলট্রাসনোগ্রাফ করি। তাহলে একজন ব্যক্তির দেহের ভিতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের রোগ গুলো শনাক্ত করা সম্ভব।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই রোগের চিকিৎসা নিতে পারি। তো এভাবেই আরো বিভিন্ন দিক থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক পরিমাণে অবদান রয়েছে। যার ফলে মানুষ এখন উন্নত চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছে।

যান্ত্রিক প্রযুক্তি বা মেকানিক্যাল টেকনোলজি

সর্বদাই একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। সেটি হলো, যান্ত্রিক প্রযুক্তির যতটা উন্নতি হয়েছে। মানুষ ততটাই সুবিধা ভোগ করতে পারছে।

যেমন ধরুন, এখন বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক রোবট বের হয়েছে। যে গুলোর সাহায্য মানুষের কাজের চাপ অনেকটাই কমে গেছে।

কারণ মানুষ কোন একটি কাজ করতে যে এতটা শ্রম এবং সময় ব্যয় করে।

সেই কাজ গুলো একটি রোবট কোন প্রকার কষ্ট ছাড়া করতে পারছে। এবং তুলনা মূলক ভাবে সময় অনেক কম ব্যয় হচ্ছে।

উপকরণ প্রযুক্তি বা মেটেরিয়ালস টেকনোলজি

যেহেতু বর্তমান সময়ে হল আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। এর পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে এখন ইলেক্ট্রনিক্স থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে।

সেহেতু বর্তমান সময়ে যে সকল উপকরণ এর প্রয়োজন হয়। সে গুলোর ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে এটাই স্বাভাবিক।

তো এক্ষেত্রে আপনি যদি কাঁচামাল থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার উপকরণ গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে আপনি এই উপকরণ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন

প্রযুক্তির সুবিধা – (Advantages of technology)

প্রযুক্তি কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। আর এবার আমি আপনাকে প্রযুক্তির সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

অর্থাৎ এই প্রযুক্তির ফলে আমরা কি কি সুবিধা পাচ্ছি। সে সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার। চলুন এবার তাহলে জেনে নেই প্রযুক্তির সুবিধা গুলো কি কি।

  1. বিভিন্ন ধরনের তথ্য কে খুব সহজেই এক্সেস করা যায়।
  2. এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তির ফলে যখন আমরা কাজ করি। তখন আমাদের কাজ গুলো খুব দ্রুত হয়।
  3. আর যেহেতু উন্নত প্রযুক্তির ফলে আমাদের কাজ দ্রুত হয়। সেহেতু আমাদের মূল্যবান সময় গুলো বেঁচে যায়।
  4. কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই দূর দুরান্তে থাকা মানুষের সাথে যোগাযোগ  অব্যাহত রাখা যায়।
  5. যে কাজটি মানুষের করতে যে পরিমাণ ব্যয় হয়। তার থেকে অনেক কম খরচে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ গুলো করা সম্ভব।

তো এগুলো ছাড়াও আপনি আরো প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা দেখতে পারবেন। তবে তার মধ্যে যেগুলো অন্যতম সেগুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি। যেন প্রযুক্তির এই সুবিধা গুলো সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকে।

অন্য আর্টিকেলে আপনি জনাতে পারবেন

ডিজিটাল প্রযুক্তি কাকে বলে
আধুনিক প্রযুক্তি কাকে বলে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাকে বলে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে
রাসায়নিক প্রযুক্তি কাকে বলে
কৃষি প্রযুক্তি কাকে বলে

প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের কিছু কথা

মানব জীবন এখন প্রযুক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে সংযুক্ত। আর প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ এর জীবন পূর্বের তুলনায় আরো অনেক বেশি সাহজ দেখে সহজতর হয়ে গেছে।

সে কারণে এই প্রযুক্তি কি বা প্রযুক্তি কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা আমাদের অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

আপনি আরোও পড়ুন…

সে কারণে আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, প্রযুক্তি কি। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি কত প্রকার এবং কি কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি প্রযুক্তি সম্পর্কে এই বিষয় গুলো জানতে পেরেছেন। আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান।

তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।

2 thoughts on “প্রযুক্তি কাকে বলে | আধুনিক প্রযুক্তি কি । প্রযুক্তির সুবিধা এবং প্রকারভেদ”

  1. মানুষ দিন দিন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে এটা ভালো দিক

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top