ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি – (Types of digital marketing)

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি : (Types of digital marketing) আমরা যারা অনলাইন এর মধ্যে কোন কাজ করতে চাই।

কিংবা অনলাইন ইনকাম শুরু করার কথা চিন্তা করি। তখন সবার প্রথমে আমরা এক ধরনের মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে পারি। আর সেটি হল, ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি – (Types of digital marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি

যদিও বা এই ডিজিটাল মার্কেটিং কি এই বিষয় টি নিয়ে আমি পূর্বের আর্টিকেল গুলো তে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি, ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়।

তো চলুন, এবার ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? 

অনেকেই জিজ্ঞাসা করে ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করুন।

সহজ কথায় বলতে গেলে, যখন আমরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া কে ব্যবহার করে। নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করি।

তখন তাকে বলা হয়, ডিজিটাল মার্কেটিং। যেমন, বর্তমান সময়ে একটি কোম্পানি চাইলে অনলাইনে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলো তে। তার প্রোডাক্টের প্রচারণা করতে পারবে।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

এর পাশাপাশি অফলাইন এর মধ্যেও এই প্রচারণার কাজ টি করতে পারবে। যেমন, টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদির মধ্যেও নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্টের প্রচারণা করা সম্ভব।

তো যখন আপনি এই মাধ্যম গুলো কে কাজে লাগিয়ে। আপনার কোন প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করবেন। তখন তাকে বলা হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করা হয়?

উপরের স্বল্প আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে।

তো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে করতে হয়। মূলত আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান।

তাহলে আপনার সামনে ডিজিটাল মার্কেটিং করার অনেক গুলো উপায় চলে আসবে।

যেমন, বর্তমান সময়ে আমরা এখন অনলাইনের বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবো।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপায় নিয়ে এই লেখা দেখুন কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়?

যেখানে নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করা সম্ভব।

এর পাশাপাশি আমরা চাইলেই এখন রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে। বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রচারণা করতে পারব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

আমরা এতক্ষনের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি, ডিজিটাল মার্কেটিং কি। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করা হয়।

তো এবার আমরা মূল বিষয় টি সম্পর্কে জানব। আর সেটি হল, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি।

তো বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং দেখতে পারবেন। তবে এ গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ নিয়ে।

এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব। যাতে করে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকে।

Digital Marketing কত প্রকার (Types of digital marketing in Bengali.)

আমি শুরুতেই আপনাকে বলেছি যে, বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং দেখতে পারবো। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলা হচ্ছে।

  1. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)
  2. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং / পে-পার-ক্লিক
  3. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  4. বিষয় বস্তু বিপণন বা কন্টেন্ট মার্কেটিং
  5. ইমেইল মার্কেটিং
  6. মোবাইল মার্কেটিং
  7. এফিলিয়েট মার্কেটিং
  8. বিপণন অটোমেশন
  9. ভিডিও মার্কেটিং

উপরে তালিকায় আপনি বেশ কয়েক প্রকারের ডিজিটাল মার্কেটিং এর নাম দেখতে পাচ্ছেন।

তবে এই নাম গুলো জানার পাশাপাশি কিভাবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ গুলোর প্রয়োগ করতে হয়। সে সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

আর আমি সেই ধারনা গুলো সম্পর্কে নিচের আলোচনা তে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)

আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা এটি হলো এমন একটি মাধ্যম।

যার সাহায্য ডিজিটাল মার্কেটিং করার পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন।

তখন অবশ্যই আপনি আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করার চেষ্টা করবেন।

তো আপনি যখন আপনার এই মার্কেটিং প্রক্রিয়ার সকল কাজ গুলো অপটিমাইজ করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি অর্গানিকভাবে অনেক মানুষের নিকট।

আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে পারবেন। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষ যখন কোন কিছু কিনতে চায়। তখন সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে গুগলের বিভিন্ন রিভিউ দেখে নেয়।

আর সেই সময় যদি আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচারের জন্য ভালো ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই অর্গানিক ভাবে কাস্টমারদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে পারবেন।

আর এই ধরনের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কোন ধরনের অর্থের প্রয়োজন হয় না।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং / পে-পার-ক্লিক

তো আমরা অনেকেই অর্থ ব্যয় করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাই। তো আপনি যদি পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান।

তাহলে আপনার জন্য এই ধরনের সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অথবা পেপার ক্লিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যে প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে মার্কেটিং করতে চান।

সেই প্ল্যাটফর্ম কে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি গুগলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে গুগল কে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। এবং গুগল আপনার অর্থের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ মানুষের নিকট।

আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। যার ফলে কাস্টোমার আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং আপনার সেই প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে।

তবে শুধুমাত্র গুগল এর ক্ষেত্রে নয়, বরং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর ক্ষেত্রেও। আপনি এই ধরনের পেইড বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি অংশ হলো, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

কেননা সময়ের সাথে সাথে মানুষ এখন ব্যাপক পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে। আর আপনি যদি আপনার কোন প্রোডাক্টের প্রচার করার জন্য।

এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো কে বেছে নেন। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের খুব সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন।

আর সে কারণেই ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কে অধিক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য।

বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার চিন্তাভাবনা করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে একটা বিষয় ভাবতে হবে। সেটি হল, আপনার যে প্রোডাক্ট রয়েছে।

সেই প্রোডাক্ট কেনার জন্য কাস্টমাররা আসলে কোন প্লাটফর্ম গুলো বেশি ব্যবহার করে।

আর এটি খুঁজে পাওয়ার পর আপনাকে উক্ত প্লাটফর্মের মধ্যে। আপনার কাছে থাকা প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে হবে।

এর ফলে আপনি আশানুরূপ কাস্টমার এর নিকট আপনার প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন। এবং আপনার প্রোডাক্ট এর সেল বৃদ্ধি করতে পারবেন।

বিষয়বস্তু বিপণন বা কন্টেন্ট মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং করার অন্যতম একটি প্রকার হলো, কন্টেন্ট মার্কেটিং। মূলত এই ধরনের পদ্ধতি তে ডিজিটাল মার্কেটিং করার সময়।

কনটেন্ট কে অধিক পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের যথাযথ ভাবে রিসার্চ করতে হবে।

অর্থাৎ তারা কোন ধরনের মাধ্যম গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে সেটা খুঁজে নিতে হবে। এবং সেই মাধ্যম গুলো তে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড নিত্য নতুন আপডেট কনটেন্ট প্রচার করতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনার টার্গেট করা কাস্টমাররা যদি নিউজ পেপার পড়তে অভ্যস্ত হয়।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিউজ পেপার এর মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট প্রদান করতে হবে।

আর যখন আপনার কাস্টমাররা এই ধরনের কনটেন্ট থেকে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।

ঠিক তখনই কিন্তু আপনার সেই প্রোডাক্ট সেল বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে। কেননা যখন তারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানবে।

তখন তারা আপনার এই প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে।

ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং যা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অপরিহার্য একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সময়ের সাথে সাথে আমরা এখন প্রত্যেকেই এক বা একাধিক ইমেল একাউন্ট ব্যবহার করি।

আর আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট এর টার্গেট করা কাস্টমারদের ইমেইল একাউন্ট গুলো সংগ্রহ করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজে আপনার প্রোডাক্টের সকল ধরনের বিজ্ঞাপন গুলো তাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারবেন।

আর এভাবে আপনি যখন ক্রমাগত ভাবে আপনার প্রোডাক্টের বিভিন্ন আপডেট গুলো কাস্টমারদের ইমেইল একাউন্টের মধ্যে প্রচার করবেন।

তখন কিন্তু আপনার প্রোডাক্টের সেল বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

আপনি আরোও দেখুন…

তবে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং কে বেছে নেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে বেশ কিছু বিষয় দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

যেমন, প্রথমত আপনার ইমেইল ফরমেট ঠিক রাখতে হবে। এর পাশাপাশি অল্প টেক্সট এর মাধ্যমে, আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে হবে।

তাহলেই আপনি আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারবেন।

মোবাইল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি প্রকারভেদ হল, মোবাইল মার্কেটিং। মূলত সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে, ঠিক তত বেশি মোবাইল মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কেননা বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ এখন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি মোবাইল ব্যবহার করে না এমন মানুষকে আপনি খুব কম খুঁজে পাবেন।

আর সে কারণে আপনি যদি সেই মোবাইল গুলো তে। আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড যাবতীয় বিজ্ঞাপন গুলো এসএমএস বা কল করার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন।

তাহলে কিন্তু অনেক মানুষ আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।

তবে এই ধরনের মোবাইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

তার মধ্যে অন্যতম হলো আপনার প্রোডাক্ট এর জন্য দক্ষ কপিরাইটিং এর প্রয়োজন হবে।

এর পাশাপাশি আপনি আপনার প্রোডাক্ট সেল করার জন্য যে মানুষ গুলো কে টার্গেট করেছেন। তাদের সম্পর্কে যথেষ্ট রিসার্চ করতে হবে।

তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো মোবাইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সঠিক ভাবে করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

যেহেতু আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হল, এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটি খুব সহজেই করা সম্ভব।

তবে সে জন্য অবশ্যই আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে।

যদি আপনি সেই সব এফিলিয়েট মার্কেটারদের ভালো কমিশন দেন। তাহলে কিন্তু অনেকেই আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচারের কাজ করবে।

যেমনটা আমরা বর্তমান সময়ে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটারদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে পারি।

তো আপনিও যদি আপনার কোম্পানিতে থাকা প্রোডাক্টের প্রচার করতে চান। এবং এই কাজটি করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পদ্ধতি কে বেছে নেন।

তাহলে অবশ্যই যারা আপনার আন্ডারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবে। তাদের কমিশনের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।

কারণ আপনি যত বেশি কমিশন দিতে পারবেন। আপনার প্রচারের পরিমাণ ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

ভিডিও মার্কেটিং

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও মার্কেটিং এর উপর যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হবে।

কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের রুচিবোধের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আর সে কারণে মানুষ এখন ভিডিও দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে।

আর আপনার যদি একটি কোম্পানি থাকে অথবা আপনার যদি কোন ধরনের প্রোডাক্ট থাকে।

এবং আপনি যদি সেই প্রোডাক্টের ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার পণ্য রিলেটেড ভিডিও কনটেন্ট এর তৈরি করতে হবে।

এবং এবং সেই কনটেন্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে প্রচার করতে হবে। আর এভাবে আপনি যত বেশি প্রচার করতে পারবেন।

আপনার প্রোডাক্টের পরিচিতি ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। তো যখন আপনি এই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করবেন।

তখন তাকে বলা হবে ভিডিও মার্কেটিং। তবে এই ধরনের ভিডিও মার্কেটিং করার জন্য পেইড বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুফল

আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি।

এবং সেখানে আমি আপনাকে বেশ কয়েক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।

তো এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এবার আমি আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুফল গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তো চলুন, এবার সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুফল সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এমন অনেক সুফল দেখতে পারবেন।

কেননা আগেকার দিনে কোন একটি পণ্যের প্রচার করার জন্য টেলিভিশন বা রেডিও ছাড়া আর অন্য কোন মাধ্যম ছিল না।

যদিও বা সেই সময়ে খবরের কাগজ এর মাধ্যমেও প্রচার করা যেত। কিন্তু এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আশানরূপ কাস্টমারদের নিকট বিজ্ঞাপন প্রচার করা সম্ভব হতো না।

আর বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করতে পারবেন।

কারণ বর্তমান সময়ে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। যে প্ল্যাটফর্ম গুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজে আপনার প্রোডাক্টের প্রচার করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, এখন আপনি চাইলে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ কিংবা ইউটিউবের মধ্যে। খুব সহজেই স্বল্প পরিমাণ ব্যয় করার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের প্রচার করতে পারবেন।

এবং এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি শুধুমাত্র সেই সকল কাস্টমারদের টার্গেট করতে পারবেন।

যে সকল কাস্টমারদের আপনার প্রোডাক্ট কেনার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থাৎ এখানে আপনি আপনার নির্ধারিত কাস্টমারদের নিকট আপনার প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

তো উপরের আলোচনা তে আমি আপনাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

আর এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পরে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হল, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি। 

তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি বলব যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।

কারণ সময় এর সাথে সাথে এই ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সেই সাথে আপনি আমার বা আপনার মত এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে নিয়েছে।

কেননা এই ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ইনকাম করার সম্ভব। আর যেহেতু বর্তমান সময়ে হল ডিজিটাল যুগ।

এই ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে কোন প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হলো, ডিজিটাল মার্কেটিং।

আর সে কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি তা জানার প্রয়োজন হয়।

মূলত সে জন্যই আজকের আলোচনায় আমি আপনাদের। খুব সহজভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আশা করি, আজকের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

আর আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অনলাইন ইনকাম রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করি। যদি আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান।

অনলাইনে মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়বেন।

সেই সাথে আমাদের এই লেখা গুলো সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে।

তাহলে অবশ্যই তা নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য।

2 thoughts on “ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি – (Types of digital marketing)”

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top