সুপার কম্পিউটার কি | Super computer কিভাবে কাজ করে | Super computer in bangali

সুপার কম্পিউটার কি – সাধারণ অর্থে আমরা পিসি (PC) বলতে পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) কে বুঝিয়ে থাকে।

সুপার কম্পিউটার কি | Super computer কিভাবে কাজ করে | Super computer in bangali
সুপার কম্পিউটার কি | Super computer কিভাবে কাজ করে | Super computer in bangali

এই ধরনের পার্সোনাল কম্পিউটার গুলো মূলত আমরা আমাদের ব্যক্তিগত কাজে কিংবা অফিস-আদালতে ব্যবহার করে থাকি।

তবে এর বাইরেও কিন্তু এই ধরনের পার্সোনাল কম্পিউটার গুলো কে ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি কি জানেন সুপার কম্পিউটার কি (What is Super Computer in Bangla), আপনি কি জানেন সুপার কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে?

এবং কেন এই সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় ?

যদি আপনি এই বিষয় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি সুপার কম্পিউটার কি (Super Computer কি) –  সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সহজভাবে বলতে গেলে আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজে যেসব বা কম্পিউটার ব্যবহার করি সেগুলো কিন্তু অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি যদি এর থেকেও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার খুঁজে থাকেন, তাহলে আপনাকে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে।

কারণ সুপার কম্পিউটার আমাদের ব্যবহার করা পার্সোনাল কম্পিউটার গুলো থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এই কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অধিক কাজ করতে পারবেন।

এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলোর কার্যক্ষমতা এবং পারফরম্যান্স এতটাই বেশি যে, একজন সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী এর ক্ষমতা কার্যক্ষমতা দেখে রীতিমত অবাক হয়ে যাবে।

বর্তমান সময়ে যেসব মানুষদের টেকনোলজি সম্পর্কে জানার ইচ্ছা আছে, সেই মানুষ গুলো অবশ্যই সুপার কম্পিউটারের নাম শুনে থাকবেন।

কিন্তু আজকের দিনে আপনি এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাবেন, যারা মূলত এখনো জানেনা যে সুপার কম্পিউটার কাকে বলে।

তবে সব ক্ষেত্রে কিন্তু এই ধরনের সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় না, মূলত বিশেষ কোনো কাজে এবং এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলোকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

আপনি এমন অনেক মানুষকে দেখবেন যারা মূলত কম্পিউটার দিয়ে গেমিং করে এর পাশাপাশি অনেক এডভান্স লেভেলের কাজ করে থাকে।

তো এই মানুষ গুলোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত একটি ডিভাইস হবে সুপার কম্পিউটার।

তো যদি আপনি জানতে চান যে সুপার কম্পিউটার কি এবং সুপার কম্পিউটারের কাজ কি, তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার।

কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি এই অধিকার ক্ষমতাসম্পন্ন সুপার কম্পিউটার নিয়ে বিশদ ভাবে আলোচনা করব।

এবং আলোচিত এই আলোচনা থেকে আপনার মধ্যে থাকা সুপার কম্পিউটার নিয়ে সকল অজানা বিষয় গুলো আজকে জানা হয়ে যাবে। তাহলে আর দেরি কেন চলুন সরাসরি ফিরে যাওয়া যাক।

সুপার কম্পিউটার কি ? (About super computer in Bengla)

প্রযুক্তির এই যুগে আপনি এমন কোন মানুষকে খুজে পাবে না যারা কম্পিউটার কি সে সম্পর্কে জানেনা। কারণ বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর সাথে সাথে আমরা অনেকেই জানি যে একটি কম্পিউটার আসলে কিভাবে কাজ করে। তবে কম্পিউটার সম্পর্কে জানা মানুষদের সংখ্যা বেশি হলেও সুপার কম্পিউটার সম্পর্কে অজানা মানুষের সংখ্যাও কম নয়।

কারণ বর্তমান সময়ে এসেও কিন্তু সুপার কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়নি, যতটা একটি সাধারন কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদি একটি সাধারণ কম্পিউটার এর কথা চিন্তা করা যায় তাহলে একটি সাধারন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বলা যাবে যে এটি মূলত general-purpose মেশিন।

যার মূল কাজ হলো ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদান করার ডাটা গুলোকে গ্রহণ করা এবং তার অভ্যন্তরে ডেটা গুলো কে প্রসেসিং করা।

এবং প্রসেসিং শেষে সেই গুলো থেকে যে ফলাফল আসবে, সেই ফলাফল গুলো বিভিন্ন আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদর্শন করা। এটি হলো মূলত এটি হলো একটি সাধারন কম্পিউটারের বিশেষ গুণ, যার মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

কিন্তু আপনি যদি সুপার কম্পিউটার এর দিকে তাকান তাহলে কিন্তু বেশ ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা গঠনগত দিক থেকে একটি সুপার কম্পিউটার কোন সাধারণ কম্পিউটার এর মতো হলেও, সুপার কম্পিউটার গুলো মূলত অনেক বেশি পরিমাণে কার্য ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

যার মাধ্যমে আপনি অনেক বড় বড় কাজ গুলোকে খুব অনায়াসেই করতে পারবেন। মূলত এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলো অনেক ফাস্ট এবং পাওয়ারফুল হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি একটি সুপার কম্পিউটার কোন একটি সাধারণ কম্পিউটারের থেকে আকারের দিক থেকেও অনেক বড় হয়ে থাকে।

কেননা একটি সাধারণ কম্পিউটার কিন্তু সিরিয়াল প্রসেসিং এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। অপরদিকে একটি সুপার কম্পিউটার কাজ করে থাকে প্যারালাল প্রসেসিং এর মাধ্যমে।

সুপার কম্পিউটারের কাজ কি ?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি সুপার কম্পিউটার কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো এই আলোচনা থেকে সুপার কম্পিউটার সম্পর্কে জানার পরে এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, একটি সাধারণ কম্পিউটার তো আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকি।

তবে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার কম্পিউটার গুলো আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়। তো যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে তাহলে আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনায় একটু নজর রাখতে হবে।

কেননা এবার আমি সুপার কম্পিউটার এর কাজ কি সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে আলোচনা করব। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে সুপার কম্পিউটারের কাজ কি।

০১| সময় বাঁচানো

সুপার কম্পিউটার কি এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে এই ধরনের কম্পিউটার গুলো মূলত অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন এবং শক্তি সম্পন্ন হয়ে থাকে।

যার মাধ্যমে আপনি অনেক বড় বড় কাজ গুলো কে খুব কম সময় মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।

আর যেহুতু যদি আপনি একটি সাধারণ কম্পিউটার এর থেকে এই ধরনের কম্পিউটার গুলোর মাধ্যমে খুব কম সময়ে কাজ করতে পারবেন।

সেহুতু একটি সাধারণ কম্পিউটারের কাজ করতে আপনার যে পরিমাণ সময় ব্যয় হবে, তার থেকে অনেক কম সময়ে আপনি অনেক বড় বড় কাজ গুলোকে সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে পারবেন।

আর সে দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখতে পারবেন যে এই ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে আপনার যে সময় ব্যয় হয় সে সময় ব্যয় এর পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।

০২| সুরক্ষিত ডিভাইস

যখন কোন একটি কম্পিউটারে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করবেন তখন সেই কম্পিউটারটি অবশ্যই সুরক্ষিত হতে হবে।

অর্থাৎ উক্ত কম্পিউটারে থাকা সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক মজবুত হতে হবে।

কেননা আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত ডেটা রাখি, যে ডেটা গুলো কোন প্রকারে বাইরে চলে গেলে আমাদের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তবে আপনি যদি সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হবেনা।

কারণ আপনি যদি সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার ডাটা গুলোকে সবচেয়ে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

০৩| দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা

আমরা ব্যক্তিগত কাজে যেসব সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহার করি সেই কম্পিউটার গুলো আসলেই যত দ্রুত একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারে তার থেকে অনেক কম সময়ে বড় বড় কাজগুলো সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব।

যার ফলে আপনি এইধরনের সুপারকম্পিউটার বলতে বাড়তি একটা সুবিধা পাবেন।

কেননা সাধারণ কম্পিউটারগুলোতে যেসব কাজ করতেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগে সেই একই কাজগুলো আপনি অনেক কম সময়ের মধ্যে সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে পারবেন।

আর সেক্ষেত্রে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই খুব কম খরচ হবে।

০৪| একইসাথে অধিক কাজ করা সম্ভব

আমাদের ব্যবহার করা সাধারণ কম্পিউটার গুলোর মাধ্যমেও কিন্তু আপনি একই সাথে ভিন্ন কাজ করতে পারবেন।

কারণ বর্তমানে আসা সাধারণ কম্পিউটার গুলোর মাধ্যমে মাল্টিটাস্কিং করা যায়। কিন্তু একটি সাধারন কম্পিউটারে যখন আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে মাল্টিটাস্কিং কাজ করতে যাবেন।

তখন কিন্তু সেই কম্পিউটারটি একটা সময়ে গিয়ে হ্যাং অথবা ল্যাগ করতে শুরু করবে। অপর দিকে আপনি যদি সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি অনেক অনেক পরিমাণে মাল্টিটাস্কিং কাজ করতে পারবেন।

এবং এই মাল্টিটাস্কিং কাজ করার জন্য আপনার সুপার কম্পিউটার হ্যাং অথবা ল্যাগ করার সমস্যা তেমনটা লক্ষ করা যাবে না।

কি কি কাজে সুপার কম্পিউটার এর ব্যবহার করা হয় ?

সুপার কম্পিউটার কি এবং সুপার কম্পিউটার এর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আশা করি এই বিষয় গুলো বুঝতে আপনার কোন সমস্যা হয়নি। কারণ উপরে আমি খুব সহজ এবং সাবলীল ভাবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

তো এগুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে, যে অধিক কার্যক্ষম সম্পন্ন এই সুপার কম্পিউটার আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

কারণ আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলি অনেক কার্যক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তবে এই প্রশ্নটিই জেগে থাকা স্বাভাবিক যে কি কি কাজে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। তো চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  1. আপনি বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স কিংবা এনিমেশন দেখে থাকবেন। মূলত এই ধরনের কাজ গুলো করার জন্য অনেক ভাল মানের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। যদিও বা সাধারণ কম্পিউটারের মাধ্যমে এই ধরনের গ্রাফিক্স বা এনিমেশনের কাজগুলো করা সম্ভব। তবে এই কাজগুলো করার জন্য সুপার কম্পিউটারের অবদান অপরিসীম।
  2. যখন ভূগর্ভস্থ তে থাকা তেলের খনি অথবা গ্যাসের খনির সন্ধান করা হয়ে থাকে, তখন কিন্তু এ ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে কোথায় তেল অথবা গ্যাসের খনি রয়েছে।
  3. বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কিংবা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য মূলত সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহার করার পাশাপাশি এই ধরনের অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  4. বিভিন্ন ধরনের তরল গতিশীলতা গণনা করার জন্য মূলত এ ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলো কে ব্যবহার করা হয় যা থেকে কোন তরলের গতিশীলতা কে খুব সহজেই গণনা করা সম্ভব।
  5. আপনি হয়তো বা কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান এর নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন, মূলত এ ধরনের কাজের জন্য সুপার কম্পিউটার কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো উপরে আলোচিত বিষয়গুলো ছাড়াও কিন্তু আরো ভিন্ন ভিন্ন কাজে একটি সুপার কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন, জিনতত্ত্ব বিশ্লেষণ, কোড ব্রেকিং, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইত্যাদি কাজে কিন্তু সুপার কম্পিউটার কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আশা করি একটি সুপার কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা চলে এসেছে। তো চলুন এবার তাহলে অন্যান্য বিষয় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

সুপার কম্পিউটারে কোন অপারেটিং সিস্টেম (OS) ব্যবহার হয় ?

অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে যদি আপনার মনে তেমন কোন ধারণা না থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলে লেখা অপারেটিং সিস্টেম কি সে সম্পর্কিত সেটি অবশ্যই পড়ে নিবেন।

কেননা সেখানে আমি অপারেটিং সিস্টেম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আর যখন আপনি সেই আর্টিকেলটি পড়বেন তখন আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন যে, এই ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো কিন্তু কোন না কোন অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

সেটা হোক আপনার মোবাইল ফোন অথবা আপনার কোন কম্পিউটার।

তো এখন জানার বিষয় হল যে সুপার কম্পিউটার যেহেতু সাধারণ কম্পিউটার থেকে একটু আলাদা, তাহলে এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলো তে আসলে কোন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

যেহেতু এ ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলো অবশ্যই কোন না কোন অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন এই সুপার কম্পিউটার গুলোতে মূলত লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।

এবং এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটারে থাকা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার গুলো কাজ করে থাকে।

তবে এখন হয়তবা আপনি ভাবছেন যে বর্তমান সময়ে তো আরো ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে, তাহলে কেন এই সুপার কম্পিউটারে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমকে ব্যবহার করা হয়।

যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে তাহলে আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

শুনুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম গুলো কে ব্যবহার করে থাকি।

যেমন, Windows, Android, Mac ইত্যাদি। তবে কোন একটি সুপার কম্পিউটারের লিনাক্স (Linux) অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার মূল কারণ হলো যারা মূলত ডেভলপিং এর কাজ করে থাকেন, তাদের জন্য লিনাক্স হল উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম।

যার মাধ্যমে তারা তাদের ডেভলপিং দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারবে। কেননা লিনাক্স নামক এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডিং এর সাহায্য উক্ত সিস্টেমটি কে পরিচালনা করা সম্ভব।

তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে প্রতিটা সুপার কম্পিউটারের শুধুমাত্র লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

কারণ লিনাক্সে বাদেও কিন্তু আরো ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমকে এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সুপার কম্পিউটারের উদ্ভাবক কে?

যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে কম্পিউটারের জনক কে। তাহলে আপনি খুব সহজেই বলে ফেলবেন যে কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ।

কিন্তু আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় সে সুপার কম্পিউটারের জনক কে! কিংবা সুপার কম্পিউটারের উদ্ভাবক কে তাহলে কিন্তু আপনি বেশ হিমশিম খেয়ে যাবেন।

কারণ কম্পিউটারের জনক এর কথা আমাদের সবার জানা থাকলেও সুপার কম্পিউটার এর উদ্ভাবক কে সে সম্পর্কে আমরা কিন্তু অনেকেই জানি না।

তবে যদি এই বিষয়টি আপনার অজানা থাকে তাহলে শুনে রাখুন, যে সুপার কম্পিউটারের জনক এর নাম হলো জন ভন নিউম্যান

তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি কিনা সর্ব প্রথম সুপার কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেছিলেন এবং যার সুবিধা আমরা আজও ভোগ করে আসছি।

সুপার কম্পিউটারের দাম কত ?

সুপার কম্পিউটার কি এবং সুপারকম্পিউটার আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় এই সব বিষয় গুলো জানার পর হয়তোবা আপনার মাথায় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে যে, সুপার কম্পিউটার গুলো যেহেতু সাধারণ কম্পিউটার থেকে একটু ভিন্ন।

সে ক্ষেত্রে এ ধরনের কম্পিউটার গুলোর দাম কেমন হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি এই ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলো কিনতে চান তাহলে আপনাকে মোট কত টাকা ব্যয় করতে হবে।

তো চলুন এবার তাহলে সুপার কম্পিউটারের দাম কত সে সম্পর্কে একটু ধারনা নেওয়া যাক। যাতে করে আপনার সুপার কম্পিউটার রিলেটেড কোন বিষয়ে অজানা থাকে।

তো যদি আপনি সুপার কম্পিউটারের দাম এর নির্দিষ্টতা চান, সেক্ষেত্রে কিন্তু আমি সেরকম কোনো দাম বলতে পারব না।

কারণ একটি সুপার কম্পিউটারের দাম কিরকম হবে সেটা কিন্তু আপনার চাহিদা এর উপর নির্ভর করবে।

কারণ একটি সাধারণ কম্পিউটার যেমন বিভিন্ন কনফিগারেশনের হয়ে থাকে, ঠিক তেমনিভাবে কিন্তু একটি সুপার কম্পিউটারের ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশন হয়ে থাকে।

এবং এই কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করবে যে উক্ত সুপার কম্পিউটার দাম কিরকম হবে।

তবে আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে হাই কনফিগারেশনের সুপার কম্পিউটার তৈরি করে মূলত 200 মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছিল।

এ থেকে আপনি অনুমান করতে পারবেন যে এ ধরনের সুপার কম্পিউটার গুলো আসলে কত টাকা ব্যয় করে কিনতে হবে।

বিশ্বের সব থেকে দ্রুত সুপার কম্পিউটার কোনগুলো ?

উপরে আলোচিত সুপার কম্পিউটার রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার পরে এবার আপনাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

যে বর্তমান বিশ্বের সবথেকে দ্রুত সুপার কম্পিউটার কোনগুলো। কারণ ইতিমধ্যে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের দ্রুত ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার কম্পিউটার আবিষ্কার করা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজ গুলোকে খুব সহজভাবে এবং অল্প সময়ে করা সম্ভব।

আর বর্তমান বিশ্বের তেমনি হাই কনফিগারেশনের সুপার কম্পিউটারের নাম হলো, “Summit”,”Sierra”.

মূলত এই ধরনের হাই কনফিগারেশনের সুপার কম্পিউটার গুলোকে তৈরি করতে প্রায় 200 থেকে 300 মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

যা মুলত আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ধরনের সুপার কম্পিউটার কিনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

সেরা সুপার কম্পিউটারের তালিকা

এতক্ষণ আপনি সুপার কম্পিউটার কি এবং সুপার কম্পিউটারের দাম কত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি আপনি বর্তমান বিশ্বের সেরা দুইটি সুপার কম্পিউটারের নাম সম্পর্কে জেনেছেন।

তো এখন অনেকেই মনে করতে পারেন যে বর্তমান বিশ্বে শুধুমাত্র ওই দুটি Super Computer  ছাড়া আর অন্য কোন সুপার কম্পিউটার নেই।

তবে যদি আপনি এটি ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ বর্তমান সময়ে কিন্তু এই দুটি সুপার কম্পিউটার ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের সুপার কম্পিউটার রয়েছে যেমন:

  1. Summit
  2. Sierra
  3. Tianhe-2
  4. Sunway Taihulight
  5. Piz Daint
  6. Frontera
  7. Trinity
  8. Lassen
  9. SuperMUC
  10. Al Bridging Cloud Infrastructure

বর্তমান বিশ্বে মোট কতগুলো সুপার কম্পিউটার হয়েছে তার তালিকাটি আমি উপরে উল্লেখ করে দিয়েছি।

এবং এই তালিকা থেকে আপনি গোটা বিশ্বের সুপার কম্পিউটারের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের প্রথম সুপার কম্পিউটারের নাম কি ?

উপরের আলোচনায় আপনি বেশ কিছু সুপার কম্পিউটারের নাম জানতে পেরেছেন। এবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমাদের বাংলাদেশ কি কোন ধরনের সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় কিনা।

আর বাংলাদেশের যদি কোন সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেই সুপার কম্পিউটারের নাম কি।

যদি আপনার মনে প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে শুনে রাখুন যে বাংলাদেশের প্রথম সুপার কম্পিউটারের নাম হল “নয়ন”।

আমাদের শেষকথা

সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের উন্নত বিশ্বের উন্নত টেকনোলজি অনেক উন্নত হচ্ছে।

আর সেই সাথে সাথে বাড়ছে বিভিন্ন উদ্ভাবন, বিভিন্ন আবিষ্কার। ঠিক তেমনি ভাবে সুপার কম্পিউটার হলো কম্পিউটার এর থেকে অনেক বড় একটি আবিষ্কার।

যার সাহায্য একটি সাধারণ কম্পিউটার থেকে অধিক পরিমাণে সুবিধা লাভ করা সম্ভব। আর আজকের আর্টিকেলে আমি সুপার কম্পিউটার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি থেকে আপনি সুপার কম্পিউটার কি এবং সুপার কম্পিউটার রিলেটেড অজানা বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

যদি আপনি এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে অবশ্যই সুপার কম্পিউটার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা চলে আসবে।

আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজভাবে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top