ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ? ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ | What is input device in Bengali

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে বা ইনপুট ডিভাইস কি : আমরা যারা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করি তারা অবশ্যই জানি।

 একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিজে থেকে কখনই কোন কিছু কাজ করে না। বরং এই ডিভাইস গুলো কে বাইরে থেকে কোন ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়।

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ? ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ | What is input device in Bengali
ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ? ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ

এবং তারা সেই ইনস্ট্রাকশন ফলো করে কাজ করে থাকে।

আর বাইরে থেকে যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে এসব একটি পিসি বা ল্যাপটপ কে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়, সহজ ভাষায় সেই সব ডিভাইস কে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস (Input Device).

যেমন ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটারে মাইক্রোসফট (MS Office) অফিস চালু করে আছেন।

এই মাইক্রোসফট অফিসে তখনই কোন শব্দ টাইপ করা হবে যখন আপনি কিবোর্ড এর মাধ্যমে কোন কিছুকে টাইপ করবেন।

এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার কিবোর্ড (Keyboard) কে একটি ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আহলে ইনপুট কি বা ইনপুট কি কাকে বলে বুঝতে পেরেছেন।

তবে শুধুমাত্র কিবোর্ড নয় বরং একটি কম্পিউটার কে সঠিক ইনস্ট্রাকশন দিয়ে কাজ করানোর জন্য এমন অনেক ধরনের ইনপুট ডিভাইস আছে।

যেমন মাউস, পেনড্রাইভ ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইস এর আওতায় পড়ে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই সমস্ত ইনপুট ডিভাইস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন। 

যে ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে,  ইনপুট ডিভাইস এর কাজ কি, input device ki এছাড়াও উদাহরণ হিসেবে বেশ কিছু ইনপুট ডিভাইস নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করবো।

আর আপনি যদি এসব তথ্য সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

তো চলুন তাহলে এবার ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ? | What is input device in bangla?

এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ( What is input device in Bengali ).

তাহলে আমি নিশ্চিত যে আপনি এই প্রশ্নের উত্তরটা দিতে পারবেন।

কারণ আর্টিকেলের শুরুতেই আমি ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে (input device ki) সে সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা দিয়েছি।

তবে আমি চাচ্ছি না যে আপনি এই স্বল্প ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন। আর সে কারণেই এবার আমি এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করবো।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে ইনপুট ডিভাইস হলো বিশেষ কিছু হার্ডওয়ারের সমন্বয়। যা মূলত ব্যবহারকারীর নির্দেশ কে গ্রহণ করে।

এরপর সেই নির্দেশ গুলোকে সিপিইউ (CPU) তে প্রদান করে। এরপর সিপিইউ উক্ত নির্দেশগুলো কে ফলো করে এবং আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজগুলো ডিসপ্লে তে দেখতে পাই।

যেমন ধরুন, আপনি কি বোর্ডে কোন কিছু টাইপ করলে সেটা কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখতে পান।

সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে কিবোর্ড হল একটি ইনপুট ডিভাইস। ঠিক একই ভাবে একটি কম্পিউটারে এমন অনেক ধরনের ইনপুট ডিভাইস আছে।

যেগুলো ব্যবহারকারীর ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য করে।

ইনপুট ডিভাইস এর সংজ্ঞা | Definition of input device 

উপরের আলোচনা থেকে ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তবে আপনার এই পরিষ্কার ধারণা কে আরো স্বচ্ছ করার জন্য এবার আমি ইনপুট ডিভাইস এর সংজ্ঞা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

যেন আপনার এই বিষয়ে কোন কিছুই অজানা না থাকে।

যেসব বিশেষ হার্ডওয়ার এর মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটার কে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়।

এবং সেই ইনস্ট্রাকশন বা নির্দেশ গুলো সিপিইউ (CPU) গ্রহণ করে এবং তার ফলাফল ডিসপ্লে তে প্রদর্শন করে।

মূলত এই ধরনের হার্ডওয়ারের সমন্বয়ে যুক্ত থাকা Device গুলো কে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস (Input Device).

ইনপুট ডিভাইস এর কাজ কি ?

আপনার অজানা বিষয় কি জানিয়ে দেওয়ার জন্য উপরের আলোচনায় আমি ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট ডিভাইস এর সংঙ্গা নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি।

আশা করি এই বিষয়ে আপনার মনে আর কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু এবার আপনাকে আরও একটি বিষয় জানতে হবে।

সেটি হলো আমাদের ব্যবহার করা এই ইনপুট ডিভাইস গুলোর কাজ কি।

অর্থাৎ আমরা কি কারণে এই ইনপুট ডিভাইস গুলো আমাদের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপে ব্যবহার করি। তো চলুন এবার তাহলে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নেয়া যাক।

আর্টিকেল এর শুরুতেই আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলাম। সেটি হল কম্পিউটার দিয়ে অনেক কিছু করা গেলেও কম্পিউটার কখনোই নিজে থেকে কোন কাজ করবে না।

বরং এই ডিভাইস গুলো কে আপনাকে বাইরে থেকে ইনস্ট্রাকশন দিতে হবে। এবং আপনার নির্দেশ অনুযায়ী এই প্রোগ্রামিং রোবটগুলো কাজ করতে থাকবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে এরা তখনই কোন কাজ করবে যখন তারা আপনার ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশকে বুঝতে পারবে।

আর এই প্রোগ্রামিং রোবট গুলো কে আপনার নির্দেশকে বুঝিয়ে দেওয়াই হলো ইনপুট ডিভাইস এর মূল কাজ।

কেননা, একটি কম্পিউটার যতক্ষন না পর্যন্ত আপনার নির্দেশনা কে বুঝতে পারবে ততক্ষণ সে কোন প্রকার ফলাফল প্রদান করবে না।

যেমন আপনি আপনার কম্পিউটারের মাউস লাগিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু আপনার কম্পিউটারে থাকা সিপিইউ যদি এটার ডিটেক্ট করতে না পারে।

তাহলে আপনি সেই মাউস দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করলেও তার কোন আউটপুট ফলাফল পাবেন না।

ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার গুলো কি কি ?

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট ডিভাইস এর কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ।

ঠিক তেমনিভাবে ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখাও বেস্ট জরুরি একটা বিষয়। আর আমি চাই না যে এই জরুরী বিষয়টি আপনার অজানা থাকুক।

তো চলুন এবার তাহলে ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার সম্পর্কে বিশদভাবে জেনে নেয়া যাক।

তবে আপনি আসলে কী কারণে এই ইনপুট ডিভাইস গুলোর ব্যবহার করবেন, সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।

কিন্তু বর্তমান সময়ে যে কাজগুলোর জন্য ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার করা হয় সেগুলো এবার আমি পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করবো। যেমনঃ

  1. যেমন ধরুন আপনি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। আর এই লেখালেখি করার কাজটি করতে হলে আপনাকে ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।
  2. আপনি যদি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ কোন ধরনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা করে রাখতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার করতে হবে।
  3. মনে করুন আপনি ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর থেকে কোন একটি ছবিকে কাস্টমাইজ করতে চাচ্ছেন। আর এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে।
  4. আপনি যদি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থেকে কোন ইনফরমেশন খুঁজতে চান। তাহলেও আপনার ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে।

সত্যি বলতে ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার গুলো সম্পর্কে আমি যদি একটি একটি করে উদাহরণ দিয়ে বলি।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তাহলে আমাকে শুধু বলেই যেতে হবে, কেননা এর ব্যবহারের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।

শুধু এটুকু জেনে রাখুন যে কম্পিউটারকে আপনার নির্দেশমতো চলার জন্য অবশ্যই অবশ্যই ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার করতে হবে।

৫ টি ইনপুট ডিভাইসের নাম লেখ | 5 input Device Name

আপনি একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ডিভাইস দেখতে পারবেন। আর এই প্রত্যেকটা ইনপুট ডিভাইস আলাদা আলাদা ব্যবহার রয়েছে।

তবে ব্যবহারিক দিক থেকে  এবার আমি আপনাকে মোট পাঁচটি ইনপুট ডিভাইসের নাম বলবো। যেগুলোর জনপ্রিয়তার দিক থেকে সবার শীর্ষে রয়েছে।

তো চলুন এবার ধাপে ধাপে সেই পাঁচটি ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

০১| কিবোর্ড (Keyboard)

আপনার মনে যদি প্রশ্ন জাগবে যে কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইসের নাম কি। তাহলে সবার আগে যে নামটি আসবে সেটি হল কিবোর্ড (Keyboard).

কারণ কিবোর্ড হল এমন এক ধরনের সুইচিং ডিভাইস যার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট প্রদান করা সম্ভব।

কারণ একটি কিবোর্ড মূলত বিভিন্ন ধরনের অংশের সমন্বয়ে তৈরী হয়ে থাকে। যেমন, নাম্বার (Number), লেটার (Letter), সেম্বল (Symbol).

আর সে কারণেই কিবোর্ড কে মাল্টি ইনস্ট্রাকশন ইনপুট ডিভাইস বলা হয়ে থাকে।

০২| লাইটপেন (Light Pen)

সচরাচর হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ গুলোতে লাইট পেন (Light Pen) নামক বিশেষ এক ধরনের ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।

আর এই ইনপুট ডিভাইস দিয়ে মূলত টাচপ্যাড এর মতো কাজ করা হয়ে থাকে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে আপনি ডিসপ্লের উপর কোন কিছু আঁকতে পারবেন।

যারা মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ লাইট পেন নামক এই বিশেষ ধরনের ইনপুট ডিভাইস টি ব্যবহার করে থাকে।

যে ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে তে কোন কিছু আঁকবেন।

এবং হুবহু সেটি কম্পিউটার এর ডিসপ্লে তে আকার ধারন করবে।

০৩| স্ক্যানার (Scanner)

বর্তমান সময়ে এ স্ক্যানার চিনে না এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

কারণ এখন কম্পিউটারের দোকান থেকে শুরু করে  অফিস আদালতের কাজের জন্য প্রায় সব ক্ষেত্রেই স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্ক্যানার নামক বিশেষ এই ইনপুট ডিভাইস এর কাজ হল, কোন ধরনের হার্ড কপি কে সফট কপি তে রুপান্তর করা। এবং তা কম্পিউটার ডিসপ্লে তে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

স্ক্যানার কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। তবে এর কিছু বিশেষ কারণ আছে যেমন, যখন কোনো একটি ডকুমেন্ট স্ক্যান স্ক্যান করা হয় পরবর্তী সময়ে উক্ত ডকুমেন্টস কে আর লেখার প্রয়োজন পড়ে না।

বরং সরাসরি উক্ত ডকুমেন্টস কে এডিট করা যায়। আর সে কারণেই মূলত স্ক্যানারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস বলা হয়ে থাকে।

০৪| মাউস (Mouse)

যদি আপনি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মধ্যে জনপ্রিয় কোন ইনপুট ডিভাইসের নাম জানতে চান। তাহলে সবার আগে যে নামটি আসবে সেটি হল মাউস (Mouse).

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ইন ইনপুট ডিভাইস দিয়ে আরও একটি নাম আছে।

সেই নামটি হল পয়েন্টার, অর্থাৎ আপনি কম্পিউটারের স্কিনের কোন কোন অংশের কাজ করবেন তা পয়েন্ট করে দেওয়াই হলো মাউস এর প্রধান কাজ।

মনে করুন যে আপনি আপনার কম্পিউটারের কোন একটি নির্দিষ্ট ফাইল কে ওপেন করতে চান।

সে ক্ষেত্রে আপনি মাউস নামক এই পয়েন্টার এর মাধ্যমে পয়েন্ট করে তা আপনার কম্পিউটার কে ইনস্ট্রাকশন দিতে পারবেন।

আর ঠিক তখনি কম্পিউটার আপনার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে।

যেহেতু মাউসের বিষয়টা আমরা কম বেশি সবাই জানি। তাই এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।

০৫| মাইক্রোফোন (Microphone) 

একটি কম্পিউটারের জন্য মাউস এবং কিবোর্ড যেমন গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। সেই গুরুত্বপূর্ণতার দিক থেকে মাইক্রোফোন কোন অংশেই কম নয়।

বরং এটি একটি জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস। যা মূলত বিশেষ ধরনের সেন্সর হিসেবে কাজ করে থাকে।

মাইক্রোফোন নামক এই ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি বাইরে থেকে কোন শব্দ করে তার রেকর্ড করতে পারবেন।

কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস গুলি কি কি

উপরে আমি মোট ৫ (পাঁচ) টি ইনপুট ডিভাইস এবং কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ভাই, একটি কম্পিউটার এর তো অনেক ধরনের ইনপুট ডিভাইস আছে।

তাহলে কেন আমি শুধুমাত্র পাঁচটি ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করলাম?- যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় তাহলে শুনুন…..

দেখুন উপরের পাঁচটি বাদেও আরো অনেক ধরনের ইনপুট ডিভাইস আছে।

এখন আমি যদি প্রত্যেকটা ডিভাইসকে আলাদা আলাদা ভাবে আলোচনা করি, তাহলে এই আর্টিকেল টি অনেক বড় হয়ে যাবে।

তাই এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু ইনপুট ডিভাইস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। যেগুলোর বর্তমান সময়ে অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে। যেমনঃ

  1. ট্র্যাক বলঃ বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত তাদের ল্যাপটপ বা টাচপ্যাডে মাউস এর পরিবর্তে ট্রাকবল নামক এই ইনপুট ডিভাইস টির ব্যবহার করে থাকেন।
  2. ওয়েবক্যামঃ আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ সরাসরি ভিডিও চ্যাট, বা ভিডিও ধারণের জন্য এই ধরনের ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার করা হয়।
  3. সেন্সরঃ সংকেত কে শনাক্ত করার জন্য একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, লাইট সেন্সর, সাউন্ড সেন্সর ইত্যাদি।
  4. জয়স্টিকঃ যারা মূলত গেম প্রিয় মানুষ তাদের জন্য বিশেষ একটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইসের নাম হল জয়স্টিক। মূলত গেমিং কন্ট্রোল করার জন্য এই ধরনের ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  5. বারকোড রিডারঃ খানিকটা চওড়া ভাবে লম্বা আকৃতির রেখা কে বলা হয় বারকোড। আর কম্পিউটারের মধ্যে থাকা বিশেষ এক ধরনের আলোক ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে এই বারকোড এর ভেতরে থাকা তথ্যগুলোকে স্ক্যান করা সম্ভব।

এগুলো ছাড়াও একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মধ্যে আরো ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ইনপুট ডিভাইস আছে।

তবে যে ইনপুট ডিভাইস গুলো নিয়ে কথা বলার জরুরি ছিলো। সেগুলো নিয়ে আমি অলরেডি উপরে আলোচনা করেছি।

আশাকরি আলোচিত এই ইনপুট ডিভাইস গুলো সম্পর্কে আপনি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে ?

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে ( input device কি ) এ নিয়ে আমি আর্টিকেল এর শুরুতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তাই পুনরায় আবার সে বিষয়ে তেমন কোনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না। কিন্তুু এসব তথ্য জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেনে নিতে হবে ৷

সেটি হলো, আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে ৷ তো চলুন এবার সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

আমরা আমাদের কম্পিউটারে যখন কোনদিন এক্সট্রাকশন বা নির্দেশ প্রদান করি। সে নির্দেশ গুলোর ফলাফল আমরা যে ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে দেখতে পারি।

মূলত সেই ডিভাইস গুলো কে বলা হয়ে থাকে আউটপুট ডিভাইস। যেমন, আপনি আপনার কম্পিউটারকে একটি ভিডিও গান প্লে করার নির্দেশ দিলেন।

এরপর আপনি মনিটরের মধ্যে সেই গানটি দেখতে পারবেন। তাহলে এখানে মনিটর হলো একটি আউটপুট ডিভাইস।

10 টি আউটপুট ডিভাইসের নাম| 10 Output device name

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে সেটি জানার পাশাপাশি আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলেন যে আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে।

তো এই জানার আগ্রহকে দ্বিগুণ করতে এবার আমি বেশ কিছু আউটপুট ডিভাইস এর সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবো। যেমনঃ

  1. মনিটর
  2. প্রিন্টার
  3. স্পীকার
  4. প্রজেক্টের
  5. ইয়ারফোন
  6. জিপিএস
  7. ভিডিও কার্ড
  8. ব্রেইল রিডার
  9. প্রজেক্টর
  10. প্লোটার

যদিও বা আজকের আর্টিকেলে আমাদের মুল বিষয় হলো ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে।

কিন্তু তারপরও আপনার বোঝার সুবিধার জন্য উপরে আমি মোট 10 টি আউটপুট ডিভাইসের নাম উল্লেখ করেছি।

আউটপুট ইউনিট কাকে বলে ?| What is Output Unit?

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং আউটপুট ডিভাইস কি সে সম্পর্কে আশাকরি আপনার মনে আর তেমন কোন প্রশ্ন নেই ৷

এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে আউটপুট ইউনিট কাকে বলে ? তাহলে আপনি কি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? ঠিক আছে উত্তরটা আমি দিচ্ছি।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যে ইউনিট মূলত Processing unit (প্রসেসিং ইউনিট) এর সকল কার্যক্রম ও তার ফলাফল প্রকাশ করে। তাকে আউটপুট ইউনিট (Output Unit) বলে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

 ইনপুট ডিভাইস নিয়ে আমাদের শেষকথা 

আধুনিক যুগের যেমন আমাদের সবার কাছে একটা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকা জরুরি।

ঠিক তেমনিভাবে কম্পিউটারে থাকা ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং আউটপুট ডিভাইস কোনগুলো সে সম্পর্কেও ধারণা রাখা টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

আর আজকের আর্টিকেলে আমি সেই বিষয়গুলো নিয়েই বিশদভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top