কোডিং কি ? কিভাবে কোডিং শেখা যায় – What is coding in bengali (বিস্তারিত তথ্য)

কোডিং কি :  প্রযুক্তির বদৌলতে আমরা গোটা বিশ্বকে এখন হাতের মুঠোয় নিতে সক্ষম হয়েছি। একটু ভাবলেই আপনি নিজেও অবাক হয়ে যাবেন।

কারণ এখন আপনি চাইলেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনে মাত্র কয়েকটা ক্লিক করেই আপনার সামনে প্রয়োজনীয় খাবার এসে হাজির হয়ে যাবে।

কোডিং কি ? কিভাবে কোডিং শেখা যায়
কোডিং কি ? কিভাবে কোডিং শেখা যায়

আবার পৃথিবীর শেষ প্রান্তে থাকা প্রিয় মানুষটির সাথে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছেন।

তবে এই কাজ গুলো কিন্তুু এমনি এমনি হচ্ছেনা, বরং এর পেছনে মূল কলকাঠি নাড়ছে আজকের দিনের উন্নত টেকনোলোজি।

যার দরুন আমরা অনেক অসম্ভব কে সম্ভব করতে পেরেছি। তবে বর্তমান সময়ের উন্নত টেকনোলোজি কিন্তুু এমনি এমনি কাজ করছে না।

বরং এই টেকনোলজির কাজকে ত্বরান্বিত করার পেছনে যার বিরাট অবদান আছে, সেটির নাম হলো প্রোগ্রামিং ও কোডিং।

বর্তমানে হয়তবা আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন।

তো আপনার হাতে থাকা ডিভাইস এর মাধ্যমে আপনি যেভাবে ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত হওয়ার পর আমার এই সাইটে এসে লেখাটি পড়ছেন।

আপনার জন্য আরো লেখা…

এর পেছনেও কিন্তুু কোডিং এর অভাবনীয় অবদান রয়েছে। যা এই লেখার মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়।

তবে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কোডিং কি (What is coding in bengali) এবং কোডিং করে কি কি করা যায় ba কিভাবে কোডিং শেখা যায় তার প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

যদি আপনার  Coding কি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে, তবে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মন দিয়ে পড়ার চেস্টা করবেন। তাহলে আপনি Coding ki সে সম্পর্কে একবারে পরিস্কার ধারনা পেয়ে যাবেন। 

কোডিং কি (What is coding in Bangla)

আমরা যেভাবে একজন মানুষ অন্য কোনো মানুষের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে ভাষার ব্যবহার করি। ঠিক তেমনি ভাবে একজন মানুষের সাথে কম্পিউটার এর সাথে মানুষের ভাব প্রকাশ করার উপযুক্ত মাধ্যমকে বলা হয় কোডিং।

এই কোডিং কে আবার অনেকেই Programming Language বলা হয়ে থাকে। আর শুধুমাত্র কম্পিউটার নয় বরং এই ভাষাকে ব্যবহার করে আরো অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোকে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো, আমরা মানুষরা যে ভাষাতে কথা বলে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করি। সেই ভাষা কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলো বুঝতে পারেনা।

কারণ এই ডিভাইস গুলো শুধুমাত্র বাইনারি যুক্ত কোডের ভাষাকে বুঝতে পারে ৷

আর সে কারণে আমাদের মনের ভাষাকে বাইনারি কোডে কনভার্ট করে উক্ত ডিভাইস গুলো কে পরিচালনা করতে হয়।

তাই বলা যায়, আমরা এই ডিভাইস গুলোতে যা কিছু করি, বা যা কিছু দেখি তার সবগুলোই হলো Coding এর ফলাফল। 

ডিকোডিং কি ? (What is decoding)

এনকোডিং এবং ডিকোডিং হলো ভিন্ন ভিন্ন প্রসেস। আর Encoding এর বিপরীত প্রক্রিয়া কে বলা হয় ডিকোডিং।

আপনি যখন এনকোডিং এর মাধ্যমে একটি কাজ সম্পন্ন করবেন, সেই কাজ কে পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই হলো ডিকোডিং এর মূল কাজ।

কেননা, বেশিরভাগ কম্পিউটার ডিভাইস এর মধ্যে থাকা ডেটাকে স্থানান্তরিত, সরক্ষন করার জন্য Encoding কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো Decoding মূলত ট্রান্সমিট হওয়া এই ডেটা গুলো কে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করে থাকে। 

কোডিং করে কি কি করা যায় ?

উপরের আলোচনা থেকে আমি কোডিং কি – সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং এর পাশাপাশি ডিকোডিং কাকে বলে সে নিয়েও ধারনা দেয়ার চেস্টা করেছি।

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন আপনি কোডিং শিখবেন। আর একজন মানুষ যদি নিজেকে কোডিং বিষয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে ৷ তাহলে সেই ব্যক্তি কি কি কাজ করতে পারবে।

আসলে বর্তমান সময়ে আপনি যদি কোডিং নলেজ এর দিক থেকে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন।

আর এটি হলো এমন একটি প্লাটফর্ম। যেখানে দক্ষ ব্যক্তিরা এই কোডিং এর কাজ গুলো করে হিউজ পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

তো এবার চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আসলে কোডিং করে কি কি করা যায়। 

০১| Apps Making 

আমরা যারা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি তারা সবাই জানি যে, এই ফোন গুলো ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের Apps ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কিন্তুু কখনও কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে, আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার করা এই Mobile Apps গুলো আসলে কিভাবে তৈরি হয়।

আর কারা এই এপস গুলো তৈরি করে। ভাবেননি তাইতো! শুনুন তাহলে…..

এই ধরনের মোবাইল অ্যাপস গুলো মূলত আপনার বা আমার মতো মানুষ তৈরি করে থাকে। আর যার মাধ্যমে এগুলো তৈরি করা হয়, সেই মাধ্যম কে বলা হয় কোডিং।

তো যদি আপনি এই Coding Knowledge কে নিজের মধ্যে আয়ত্ত করে নিতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনিও ভিন্ন ধরনের Android Apps Make করে নিতে পারবেন।

এবং সেগুলো কে আপনি নিজেই নিজের ফোনে ব্যবহার করতে পারবেন৷ 

০২| Software Making

আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি, সেই কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের Software ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

কারণ, যদি আপনার কম্পিউটারে কোনো ধরনের Software না থাকে, তবে সেই কম্পিউটার কে আপনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।

আর এই ধরনের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো তৈরি করার জন্যও কিন্তুু Coding এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তো যদি আপনি একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হতে পারেন। তবে এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কিন্তুু আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন।

এবং আপনার নিজের কাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য মানুষের কাজেও আপনার তৈরি করা Software গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনার Make করা সফটওয়্যার গুলো বিক্রিও করতে পারবেন। 

০৩| Website Making 

আপনি কি জানেন, আপনি চাইলে প্রোগ্রামিং বা কোডিং এর মাধ্যমে একটি সুন্দর এবং আর্কষনীয় ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

যদি আপনার না জানা থাকে তাহলে শুনুন, যদি আপনার কোডিং নলেজ ভালো থাকে। তাহলে সেই নলেজ কে কাজে লাগিয়ে আপনি অনেক মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

যে কাজটি এখন থেকে নয় বরং অনেক আগে থেকে মানুষ Coding এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করে আসছে।

আমাদের পরিচিত Facebook, YouTube বা Google এর মতো বড় বড় ওয়েবসাইট গুলোও কিন্তুু কোডিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

যে ওয়েবসাইট গুলো এখন আপনার বা আমার মতো মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করে আসছে। তবে আপনি যদি এমন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মধ্যে কোডিং সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা থাকতে হবে। 

০৪| Website Development 

কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার সেই ওয়েবসাইট কে পরবর্তী সময়ে Develop করার দরকার হয়ে থাকে।

কারণ যখন আপনি নতুন কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। তখন আপনার সেই সাইটে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে।

তো এই নতুন ফিচার যুক্ত করার কাজ কে বলা হয় ডেভলপমেন্ট। তো এই Website Development করার জন্য কোডিং এর প্রয়োজন হবে।

আর আপনার যদি ভালো Coding Knowledge থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজে ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট এর কাজ করতে পারবেন৷ 

প্রোগ্রামিং শেখা কেন প্রয়োজন ?

আজকের দিনে আমরা উন্নত টেকনোলোজির যুগে বাস করছি। আর এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আমরা যা কিছু দেখতে পাচ্ছি তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং এর অবদান অতুলনীয়।

তাছাড়া আপনি যদি জানতে চান যে, প্রোগ্রামিং শেখা কেন প্রয়োজন। তাহলে বলবো যে, আজকের দিনে একজন দক্ষ প্রোগ্রামার এর ব্যাপক পরিমান চাহিদা রয়েছে।

চলুন বিষয়টা নিয়ে একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

দেখুন কোনো একজন মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পরেই কিন্তুু সবার আগে তার নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে।

আর আপনি তো উপরেই জেনে গেছেন যে, আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী এই স্মার্টফোন গুলোতে যেসব Apps ব্যবহার করা হয়।

সেগুলো কিন্তুু Programming এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। আর সে কারণে বিভিন্ন Apps Making কোম্পানিরা সবসময় দক্ষ প্রোগ্রামার কে খুজে থাকে।

আর আপনি যদি সেরকম কোনো দক্ষ প্রোগ্রামার হতে পারেন ৷ তাহলে এসব কোম্পানি তে চাকরি করে প্রচুর টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, Programming বা Coding হলো এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম।

যাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনেক বড় বড় Website Make করতে পারবেন। এখন এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো আপনি নিজের জন্য তৈরি করে সেই সাইট গুলোতে কাজ করে আপনি প্রচুর পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনার তৈরি করা আর্কষনীয় সব ওয়েবসাইট গুলো মানুষের কাছে বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

তো মোটকথা হলো, বর্তমান সময়ে আমাদের প্রতিটা কাজের পেছনে একটাই উদ্দেশ্যে থাকে। আর সেই উদ্দেশ্যে টি হলো টাকা ইনকাম করা

আর প্রোগ্রামিং হলো টাকা আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম। তবে আপনি যদি এই প্রোগ্রামিং কে নিজের শখ হিসেবে ধরে নেন। তাহলে তো সেটা আলাদা বিষয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

তাছারা আপনার সন্তানকে যদি কোডিং শিখাতে চান তাহলে বাচ্চাদের কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে অনেক আইটি অফিস আছে যারা বাচ্ছাদের কোডিং শিখান।

আর উপরোক্ত কারন গুলোর জন্য আপনার অবশ্যই প্রোগ্রামিং শেখা প্রয়োজন। 

কোডিং এবং প্রোগ্রামিং মধ্যে পার্থক্য কি ? 

আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কোডিং এবং প্রোগ্রামিং কি এক জিনিস ? উত্তর না এক না what is Difference Between Coding & Programming ?

আজকের কোডিং কি – নিয়ে লেখা আর্টিকেল এর শুরু থেকে এখন অবধি আমি দুটো শব্দের বিশেষ ব্যবহার করেছি।

সেই শব্দ দুটো হলো, Programming এবং Coding. তো কখনও কি আপনার মনে হয়েছে যে এই দুটো প্লাটফর্ম কি এক নাকি ভিন্ন? – হয়তবা আপনি বিষয়টা কে তেমন ভাবে গুরুত্ব দেননি ৷

তবে এই দুটো শব্দের অর্থগত এবং বৈশিষ্ট্যর দিক থেকে কিছুটা পার্থক্য আছে৷ চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

এখন শুরুতে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, প্রোগ্রামিং কি । তো সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো একটি কম্পিউটার কে নির্দেশমতো কাজ করানোর জন্য যে ভাষার ব্যবহার করা হয়।

সেই ভাষা কে বলা হয় Programming. যাকে অনেক মানুষ কম্পিউটার  প্রোগ্রাম বা কম্পিউটার এপ্লিকেশন বলে থাকে।

অপরদিকে প্রোগ্রামিং এর তুলনায় ছোট্ট একটা অংশ হলো কোডিং। যখন আপনি কোনো কোনো একটি প্রোগ্রাম করার কথা চিন্তা করবেন।

তখন সেই Programme কে কোনো Code দিয়ে তৈরি করবেন। মূলত প্রোগ্রাম করার জন্য যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট কোড কে নির্বাচন করে উক্ত প্রোগ্রাম কে সম্পন্ন করবেন।

তখন সেই কোড কে বলা হবে, Coding. তো সত্যি বলতে, প্রোগ্রামিং এবং কোডিং এর মধ্যে তেমন আহামরি কোনো পার্থক্য নেই।

বরং এই দুটোই কিন্তুু একে অন্যের পরিপূরক। তবে কিছু বৈশিষ্ট্যগত এবং অর্থগত কারনে যে পার্থক্য লক্ষনীয়, তা নিয়ে আমি উপরে স্বল্প আকারে আলোচনা করেছি।

আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি Difference Between Programming and Coding সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

কোডিং কত প্রকার ? | Kind Of Coding

কোডিং কি – আশা করি এই নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই। কারণ উপরে আমি Coding কি তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

তো এখন আপনাকে আরো একটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। সেটি হলো কোডিং কত প্রকার। তো চলুন এবার তাহলে kind of coding সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

বর্তমান সময়ে কোডিং জানার প্রয়োজনীয়তা অতুলনীয়। আর এই Coding কে আবার মোট ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ 

  1. Web Language Coding এবং 
  2. Windows Coding 

এখন এই দুই প্রকার কোডিং এর নাম জেনে আপনি তেমন কিছুই জানতে পারবেন না ৷ কেননা, আপনি যতোক্ষন পর্যন্ত না এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, ততোক্ষন আপনি পরিস্কার ভাবে তেমন কিছুই বুঝতে পারবেন না ৷

আর সে কারনে এবার এই ২ প্রকার কোডিং নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

Web Language Coding কাকে বলে ? 

Web Language Coding কি ? তো কোডিং জগতের প্রাথমিক যে ধাপ আছে সেই ধাপ গুলো কে যে Coding এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। তাকে বলা হয়, ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ কোডিং।

এই ধাপ গুলোতে মূলত সাধারন কাজ গুলো করা হয়ে থাকে। যেমন, HTML, CSS এবং JAVASCRIPT এর সাহায্য সাধারন কোনো একটি ওয়েবসাইট এর ডিজাইন, ল্যান্ডিং পেজ ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন ৷ 

Windows Coding কাকে বলে ? 

উইন্ডোজ কোডিং কে যদি সহজ ভাবে উল্লেখ করি, তাহলে বলতে হবে যখন আপনি VBA Project এর মাধ্যমে কোনো কোডিং কে সম্পন্ন করবেন।

তখন তাকে বলা হবে, Windows Coding. আর বলা বাহুল্য যে কাজের সুবিধা ও চাহিদার দিক থেকে উইন্ডোজ কোডিং এর যথেষ্ট পরিমান গুরুত্ব রয়েছে।

কেননা, এই ধরনের কোডিং গুলো করার জন্য Windows Application এর দরকার হয়ে থাকে। যেমনঃ CSS, C++, JAVASCRIPT,. NET ইত্যাদি। 

প্রোগ্রামিং কত প্রকার ? | Kind Of Programme 

প্রোগ্রামিং কি – তা আপনি উপরের আলোচনা করেছি। তো এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, প্রোগ্রামিং আসলে কত প্রকার। কারন, বর্তমানে আপনি মোট ৩ প্রকারের প্রোগ্রাম দেখতে পারবেন। যেমনঃ 

  1. ফাংশনাল প্রোগ্রামিং
  2. মডুলার প্রোগ্রামিং
  3. অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং

তো কোডিং এর মতো এই তিন প্রকারের প্রোগ্রাম সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। কারন, বিস্তারিত না জানলে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না৷ 

ফাংশনাল প্রোগ্রামিং কাকে বলে ? 

সাধারন অর্থে LISP কে বলা হয় ফাংশনাল প্রোগ্রাম। কেননা, ফাংশনাল প্রোগ্রামিং বলতে মূলত কোনো সফটওয়্যার তৈরির জন্য প্যালিনড্রোম ফাংশনের ব্যবহার করা হয়।

এই প্রোগ্রামের কোনো প্রকার সাইড ইফেক্ট থাকেনা। আর এই ধরনের প্রোগ্রাম কে বলা হয়, ফাংশনাল প্রোগ্রামিং। 

মডুলার প্রোগ্রামিং কাকে বলে ? 

যখন আপনি কোনো প্রোগ্রামে দুই বা ততোধিক ফাংশন এর সমন্বয়ে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। তখন সেই ধরনের প্রোগ্রাম কে বলা হয়, মডুলার প্রোগ্রাম।

বেশিরভাগ সময় সাধারন এপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য এই ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়।  

অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং কি ? 

আজকের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রাম হলো অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং। এটি হলো মডুলার প্রোগ্রামিং এর থেকে অনেকখানি উন্নত।

তবে আপনি যদি এর মাধ্যমে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে চান। তবে আপনাকে একেবারে নির্ভুলভাবে কোডিং করতে হবে।

কারণ যদি এই প্রোগ্রামে কোনো প্রকার ত্রুটি থাকে, তাহলে আপনি সেটিকে রান করতে পারবেন না। 

কোডিং শেখার উপায় কি ? 

যখন আপনি কোনো কিছু শিখতে যাবেন, তখন অবশ্যই আপনাকে ধাপে ধাপে শিখতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে কোডিং শিখতে গেলেও আপনাকে বিশেষ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে।

তবে আপনি যদি সেই ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই কোডিং শিখতে পারবেন। অনেকেই আছে কোডিং শেখার বই PDF থেকে coding শেখার চেষ্টা করে।

চলুন এবার কোডিং শেখার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

  • প্রথমত আপনি আসলে কোন ধরনের Programming Language শিখতে ইচ্ছুক তা আপনি নির্বাচন করতে হবে। 
  • এরপর শেখার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট মাধ্যম নির্ধারন করে নিতে হবে। যেমন, Google, Youtube ইত্যাদি।
  • তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন কোর্স কিংবা কোনো বিশস্ত আইটি সেন্টার থেকেও শিখতে পারবেন। 
  • এরপর আপনাকে প্রচুর পরিমানে প্রাকটিস করতে হবে। কারণ আপনি যতো বেশি চর্চা করবেন৷ আপনার শেখার ভিত্তি ঠিক ততো বেশি মজবুত হবে। 
  • সবশেষে প্রোগ্রামিং শেখার জন্য আপনাকে একটা প্রোপার প্ল্যানিং করতে হবে। 
  • আর ফ্রিতে কোডিং শেখার উপায় হচ্ছে ইউটিউব যেখানে হাজার হাজার ফ্রি ভিডিও পাবেন।

তো প্রোগ্রামিং শেখার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের চেস্টা থাকতে হবে। কারণ এগুলো এতোটাই সেনসিটিভ বিষয় যে আপনার নিজের আগ্রহ না থাকলে কেউ আপনাকে জোর করে শেখাতে পারবে না। 

বিশ্বের প্রথম কোডিং কি ?

যদিও আমরা কম্পিউটারকে নতুন কিছু মনে করার প্রবণতা রাখি প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামটি অ্যাডা লাভলেস লিখেছিলেন।

এটি একটি সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম ছিল না তবে এটি  একটি প্রোগ্রাম ছিল। তিনি চার্লস ব্যাবেজের বিশ্লেষণাত্মক ইঞ্জিনের কোড লিখেছিলেন যা ছিল আধুনিক কম্পিউটারের প্রাথমিক মডেল।

১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে একজন জার্মান ব্যক্তি বিশ্বের প্রথম হাইলেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ তৈরি করেন। আর এই ব্যক্তির নাম হলো কনরাড জুসে।

তিনি মূলত ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কম্পিউটার Z1 এ বিশ্বের প্রথম কোডিং করেন। এবং সেই কোডিংটি অনেক ছোট ছিলো। যেখানে লেখা হয়েছিলো, “Hello World”. আর সেই বিশ্বের প্রথম কোডিং টি হলো, 

main(){

printf(” Hello,World\n”);

প্রোগ্রামিং কোড কি ?

প্রোগ্রামিং কোড হল সেই ভাষা যা কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহার করে। কোড নিজেই মূলত সি++ এবং জাভা-এর মতো প্রোগ্রামিং ভাষায় লিখিত নির্দেশাবলী এবং কমান্ডের একটি সেট।

প্রতিটি প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন সঠিকভাবে ব্যবহার করা কম্পিউটারে সঠিকভাবে চালানোর জন্য সঠিকভাবে লিখতে হবে। আর এই ব্যবহারকেই প্রোগ্রামিং কোড বলে।

কম্পিউটার কোডিং কি

কম্পিউটার কোডিং হল কম্পিউটারকে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশাবলীর একটি সেট লেখার কাজ।

আপনি কম্পিউটারটি কী কাজে ব্যবহার করতে চান তার উপর নির্ভর করে এই নির্দেশাবলী অত্যন্ত সহজ বা খুব জটিল হতে পারে।

কীভাবে কোডিং করতে হয় তা শিখতে কম্পিউটারগুলি কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে সেগুলি প্রোগ্রাম করা হয় সে সম্পর্কে আপনার কিছু প্রাথমিক জ্ঞানের প্রয়োজন হবে ৷

কোডিং ভাষাগুলি মূলত নিয়মের মধ্যে হয়ে থাকে যা একটি কম্পিউটারকে বলে যে এটি দ্বারা কী  করতে চান।

সবচেয়ে জনপ্রিয় কোডিং ভাষার মধ্যে রয়েছে এইচটিএমএল (হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ) সিএসএস (ক্যাসকেডিং স্টাইল শীট) জাভাস্ক্রিপ্ট পাইথন এবং জাভা।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

আপনি কোডিং কি নিয়ে কি কি  শিখলেন ? 

আজকের আর্টিকেলে আপনি কোডিং কি তা নিয়ে পূর্নাঙ্গ ভাবে জানতে পেরেছেন। তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে জানতে পেরেছেন। যেমনঃ

  • কোডিং শেখার উপায়
  • কোডিং এবং প্রোগ্রামিং কি
  • বাচ্চাদের কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ
  • কোডিং শেখার বই PDF
  • কোডিং করা প্রোগ্রামিং এর কোন ধাপ
  • কোডিং এর মূল উদ্দেশ্য কি
  • কম্পিউটার কোডিং কি
  • প্রোগ্রামিং কি
  • প্রোগ্রামিং কোড কি

তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে উপরের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন। 

আমাদের শেষকথা 

বর্তমান সময়ে এই টেকনোলোজি কে ত্বরান্বিত করতে কোডিং যে কতটা অবদান রাখছে। তা আসলে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।

তাই আজকে আমি কোডিং কি এ নিয়ে ব্যাসিক ধারনা দেয়ার চেস্টা করেছি। আশা করি এই লেখা থেকে আপনি Coding কি তা সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top