OTG কি | Otg ক্যাবল কি কাজে ব্যাবহার হয় | What is OTG in Bengali

ওটিজি কি : বর্তমান সময়ে আমরা যেসব স্মার্টফোন ব্যবহার করি সে সব গুলো স্মার্টফোনে ওটিজি (OTG) ব্যবহার করা হয়।

 আর এই ওটিজি এর কারণে আমরা আমাদের স্মার্টফোন গুলো কে আলাদা একটা লেভেলে পৌঁছে দিতে পেরেছি।

OTG কি | Otg ক্যাবল কি কাজে ব্যাবহার হয় | What is OTG in Bengali
OTG কি | Otg ক্যাবল কি কাজে ব্যাবহার হয়

যার কারণে আজকের দিনের স্মার্টফোন গুলো দিয়ে এমন সব কাজ করা যায়, যেগুলো অতীতের ফোন গুলো তে করা সম্ভব ছিল না।

তবে সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন গুলো তে ওটিজি ব্যবহার করা হলেও, আমাদের মধ্যে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা এই OTG কি (What is OTG in bangla) সেটি আসলে সঠিকভাবে জানে না।

কিন্তু যেহেতু আমরা বর্তমান সময়ে আমাদের ফোন গুলো তে ওটিজি (OTG) ব্যবহার করছেন।

সেহেতু ওটিজি কি (OTG ki) সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা আমাদের জন্য অতি জরুরি একটা বিষয়।

আর আজকের আর্টিকেলে মূলত সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে ওটিজি কি , OTG এর কাজ কি, ওটিজি সেটিং এবং কিভাবে আমরা ওটিজি কে ব্যবহার করব।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তো আপনি যদি OTG কি (What is OTG in Bengali) এবং OTG রিলেটেড যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার।

তাহলে আজকের পর থেকে আপনার ওটিজি রিলেটেড আর কোন অজানা বিষয় থাকবে না।

চলুন এবার তাহলে সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।

OTG কি (ওটিজি কাকে বলে)

ওটিজি (OTG) শব্দটি হল এক ধরনের শব্দ সংক্ষেপ এবং এই শব্দ সংক্ষেপ এর পূর্ণরূপ হল On The Go.

তো এখন জানতে হবে যে এই ডিভাইসটির নাম কেন ওটিজি রাখা হলো এবং On The Go বলতে আসলে কি বুঝাচ্ছে।

চলুন এবার সেই বিষয়ে একটু ধারণা নেওয়া যাক।

তো সহজ ভাবে বলতে গেলে ওটিজি এর মাধ্যমে আপনি কোন একটি ডিভাইস থেকে অন্য একটি ডিভাইসের ডাটা গুলো কে আদান প্রদান করতে পারবেন।

যেমন ধরুন আপনার কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন আছে এবং তার সাথে আপনার কাছে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ আছে।

এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার ল্যাপটপ এর কোন ডেটাকে আপনার মোবাইলে নিয়ে আসতে চান।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি ওটিজি (OTG) কে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই এই ডেটা ট্রান্সফার এর কাজটি করতে পারবেন।

Usb ক্যাবল কি  (What is usb cable in bengali)

USB কেবলগুলি সাধারণত অন্যান্য ডিভাইসের সাথে একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

সাধারণত ডিভাইসগুলির মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি ল্যাপটপ, ফোন এবং ক্যামেরার মতো ডিভাইসগুলির মধ্যেও ডেটা স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।

USB ক্যাবলের এক প্রান্তে একটি সংযোগকারী এবং অন্য প্রান্তে একটি প্লাগ রয়েছে ৷ সংযোগকারী সাধারণত A থেকে B হয়, তবে সেখানে মিনি-বি, মাইক্রো-বি এবং টাইপ-সি সংযোগকারীও রয়েছে।

OTG এর কাজ কি ?

যদি আপনি জানতে চান যে OTG এর কাজ কি। তাহলে আমি বলব যে আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন গুলো কে হোস্ট হিসেবে কাজ করার জন্য ওটিজি এর অবদান অপরিসীম।

তবে আপনি যদি ওটিজি (OTG) দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট একটি ওটিজি ক্যাবল থাকতে হবে।

সচরাচর আমরা বর্তমানে যেসব স্মার্টফোন ব্যবহার করি। সেই স্মার্ট ফোনের চার্জারে যে কেবল টি ব্যবহার করা হয় সেই কেবল গুলোই এখন অধিকাংশ সময় ওটিজি সাপোর্ট করে থাকে।

তবে এখন জানার বিষয় হল যে, এই ওটিজি ক্যাবল গুলোর মাধ্যমে কিভাবে আপনি একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসের ডেটা কে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

তো আমাদের ব্যবহার করায স্মার্টফোন গুলো তে চার্জার কেবল ব্যবহার করা হয়।

সেগুলো তে একপাশে ফোনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য এক ধরনের কানেক্টর (Connector) থাকে এবং অপর পাশে আরেকটি USB-A Connector থাকে।

এখন আপনি আপনার ফোনের সাথে যে Connector টি থাকে সেটা আপনার ফোনে সংযুক্ত করে অপর প্রান্তে যে ইউএসবি কানেক্টর

(USB Connector) টি থাকে সেটা আপনি আপনার কম্পিউটার ডিভাইস অথবা ল্যাপটপ ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।

আর এই কানেকশন এর মাধ্যমেই মূলত আপনি আপনার একটি ডিভাইস থেকে অন্য কোনো ডিভাইস এর প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে আবিষ্কৃত সব ধরনের OTG গুলো মূলত এই সিস্টেমে কাজ করে থাকে।

Otg কিভাবে ব্যবহার করব?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে ওটিজি কি (OTG কি) এবং কিভাবে ওটিজি কাজ করে। আশা করি এ বিষয়ে আপনি একবারে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আপনি আসলে কি ভাবর ওটিজি কে ব্যবহার করবেন।

চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে একটু আলোচনা করা যাক। তাহলে আপনি এই বিষয়টা পরিস্কার ধারণা পেয়ে যাবেন।

তো যদি আপনি ওটিজি কে ব্যবহার করতে চান তাহলে সবার আগে আপনার নিকট একটি ডিভাইস থাকতে হবে।

আর আপনার কাছে এমন একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে রে স্মার্ট ফোনে ওটিজি সাপোর্ট করে। এরপর আপনার ওটিজি সাপোর্ট একটি ফোন থাকার পাশাপাশি একটি ওটিজি ক্যাবল থাকতে হবে।

যখন আপনার নিকট উপরোক্ত জিনিস গুলো থাকবে, তখন আপনি ওটিজি ক্যাবলের মাধ্যমে আপনার মোবাইল থেকে অন্য কোন ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।

এবং কানেক্ট করার পরে আপনি যাবতীয় ডাটা গুলো কে ট্রানস্ফার করতে পারবেন। মূলত এই ক্যাবলের মাধ্যমে কানেক্ট করিয়ে ওটিজি ক্যাবল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

মোবাইলে otg support থাকলে কি কি করা যায়

OTG কি এবং কিভাবে আপনি ওটিজি ব্যবহার করবেন আশা করি উপরের আলোচনা থেকে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

কারণ উপরে আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে আপনার ফোনটি যদি ওটিজি সাপোর্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই ফোন দিয়ে কি কি কাজ করতে পারবেন।

মূলত যখন আপনার কাছে একটি ও টি জি সাপোর্টেড স্মার্ট ফোন থাকবে তখন আপনি সেই ফোন দিয়ে ওটিজি ক্যাবল এর মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে পারবেন।

আর সেই কাজ গুলো কে আমি এখন ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

০১| মাউস এর ব্যবহার 

একটি কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপ পরিচালনা করার জন্য মাউস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর সে কারণে আমরা প্রত্যেক কম্পিউটারের সঙ্গে একটি করে মাউস দেখতে পাই।

কিন্তু এখনকার দিনে আপনি চাইলে আপনার মোবাইল ফোনটি কে মাউস এর মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারবেন।

আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ওটিজি ক্যাবল এর সহায়তা নিতে হবে।

সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে এই ওটিজি ক্যাবলের এক প্রান্ত আপনার মোবাইলের সঙ্গে এবং অপর প্রান্তটি একটি মাউস এর সঙ্গে কানেক্ট করে দিতে হবে।

আর যখন আপনি এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারবেন তখন আপনি খুব সহজেই সেই মাউস এর মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোনটি কে কন্ট্রোল করতে পারবেন।

তবে এই কাজটি করার জন্য আপনার ফোনটি অবশ্যই ওটিজি সাপোর্ট হতে হবে।

০২| কিবোর্ড এর ব্যবহার 

একটি ল্যাপটপ অথবা একটি কম্পিউটারে বড় ধরনের একটা কিবোর্ড দেখতে পাওয়া যায়। যে কিবোর্ড গুলোর মাধ্যমে টাইপ করে উক্ত কম্পিউটারে কোন কিছু নির্দেশ করা যায়।

কিন্তু অতীতের দিন গুলো তে যেসব ফোন ছিল সেই ফোন গুলোতে এই ধরনের বাড়তি কিবোর্ড ব্যবহার করার কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা ছিল না।

তবে বর্তমান সময়ের স্মার্টফোন গুলো কে এতটা স্মার্ট করা হয়েছে যে এই ফোন গুলো তে আপনি এখন কম্পিউটারের মত বাড়তি একটা কিবোর্ড কে ব্যবহার করতে পারবেন।

আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে আপনার ওটিজি ক্যাবলের এক প্রান্ত আপনার মোবাইলের সঙ্গে কানেক্ট করতে হবে এবং অপর প্রান্ত কে আপনার কিবোর্ডে সংযোগ দিতে হবে।

আর এর মাধ্যমে আপনি এই কিবোর্ডে টাইপ করে আপনার মোবাইলকে পরিচালনা করতে পারবেন।

০৩| পেন ড্রাইভ বা কার্ড রিডার এর ব্যবহার 

পেনড্রাইভ অথবা কার্ড রিডার এই জিনিস গুলো প্রথমত ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো।

যার মাধ্যমে সেই পেনড্রাইভ বা কার্ড রিডার থাকা কোন প্রকার ডাটা খুব সহজেই কম্পিউটারে আদান-প্রদান করা যেত।

কিন্তু আজকের দিনে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে এবং ওটিজি ক্যাবলের মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল ফোনকে একটি পেন ড্রাইভ অথবা কার্ড রিডার এর সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।

এবং খুব সহজেই আপনি এসব পেনড্রাইভ এর ডাটা গুলো কে আপনার মোবাইল ফোনে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

এমনকি প্রয়োজন হলে আপনার মোবাইল ফোনের ডাটা গুলোকেও উক্ত পেনড্রাইভে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

যার ব্যবহার বর্তমান সময়ে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর আপনার ফোনটি যদি ওটিজি সাপোর্টেট হয়ে থাকে তাহলে আপনিও খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন।

০৪| চার্জিং এর ক্ষেত্রে 

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন গুলো তে একটি ওটিজি ক্যাবল সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় চার্জিং এর ক্ষেত্রে।

কারণ একটি স্মার্টফোন কে ব্যবহার করতে হলে সেই ফোনে চার্জ থাকা অতি জরুরি একটা বিষয়।

আর এই কাজটি আপনি খুব সহজে এবং খুব দ্রুততার সাথে করতে পারবেন ওটিজি ক্যাবলের মাধ্যমে।

০৫| মিনি কুলিং ফ্যান

আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করার ফলে সেই ফোন গুলো বেশীরভাগ সময় অনেক হিট হয়ে যায়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ফোন গুলো হিট হওয়ার পরে তাকে ঠান্ডা করার মত কোন অপশন আমাদের ফোনে দেওয়া থাকে না।

আর সে কারণেই এই হিট হওয়া ফোন গুলো কে ঠান্ডা রাখার জন্য এক্সটার্নাল ভাবে একটি কুলিং ফ্যান লাগানো সম্ভব। 

যে ফ্যান এর মাধ্যমে আপনার হিট হয়ে যাওয়া ফোন টি খুব দ্রুততার সাথে আবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।

আর এই কুলিং ফ্যান টি আপনি তখনই ব্যবহার করতে পারবেন যখন আপনি একটা ওটিজি ক্যাবল ব্যবহার করবেন।

যে কেবল এর এক প্রান্ত আপনার মোবাইলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং অপর আরেক প্রান্ত সেই কুলিং ফ্যানের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

০৬| গেম কন্ট্রোলার

যদি আপনি একজন গেম প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ওটিজি ক্যাবল বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করবে।

কারণ আপনি যদি গেম খেলে থাকেন তাহলে আপনার জানা থাকবে যে একটি গেম খেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রোলার এর প্রয়োজন হয়ে থাকে

কিন্তু আগে কার দিনে এই ধরনের কন্ট্রোলার এর সঙ্গে মোবাইলের সংযোগ দেয়ার মত কোন প্রকার অপশন ছিল না।

তবে বর্তমান সময়ে আপনি ওটিজি ক্যাবল এর মাধ্যমে খুব সহজেই সেই গেম কন্ট্রোলার গুলো কে আপনার ফোনের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।

আর সেই কন্ট্রোলার দিয়ে আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গেমের আসল মজাটা নিতে পারবেন।

যা আপনার গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে একটা অন্য লেভেলে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।

০৭| সাউন্ড কার্ড

হাতে একটা স্মার্ট ফোন আছে অথচ হেডফোন দিয়ে গান শোনে না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম।

কিন্তু কষ্ট তো তখন লাগে যখন কোন এক দুর্ঘটনাবশত আপনার ফোনের সেই হেডফোন এর পোর্ট টি নষ্ট হয়ে যায়। আর যখন আপনার মোবাইলে থাকা হেডফোন এর পোর্ট নষ্ট হয়ে যাবে।

তখন আপনি কোনো ভাবেই আপনার মোবাইলের সাথে কোন হেডফোন কে সংযুক্ত করতে পারবেন না। আর ঠিক এই সময়ে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওটিজি ক্যাবল এর।

কারণ বর্তমান সময়ে আপনি ওটিজি ক্যাবলের মাধ্যমে একটি হেডফোন কে আপনার মোবাইলের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।

এবং আপনার মোবাইলের হেডফোন এর পোর্ট নষ্ট হওয়ার পরেও আপনি হেডফোন দিয়ে গান শুনতে পারবেন। যা আমার কাছে অনেক ভালো একটা দিক মনে হয়েছে।

০৮| DSLR কন্ট্রোলার

বর্তমান সময়ে তরুণ তরুণীদের মধ্যে DSLR হল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস।

যার কারণে আপনি এখনকার দিনে অনেক হাই কোয়ালিটি ফটো তুলতে পারবেন এর সাথে সাথে অনেক এসডি ফরমেটে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।

আর ওটিজি ক্যাবল এর মাধ্যমে আপনি এখন সেই DSLR কে আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারবেন।

০৯| ব্রডব্যান্ড এর ব্যবহার 

যদিও বা বর্তমান সময়ের ফোন গুলো তে ওয়াইফাই সিস্টেম চালু করা আছে।

যার কারণে আপনি সেই মোবাইল ফোন গুলো তে কোন প্রকার সিম ব্যবহার না করেই ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে এর বাইরেও কিন্তু আপনি ওটিজি ক্যাবলের মাধ্যমে কানেক্ট করে আপনার মোবাইলের সিম না থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট  কানেকশন এর সাথে সংযুক্ত করতে পারবে, এবং সিম ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

OTG দিয়ে কি করা যায়? 

OTG কি এবং ওটিজি এর কাজ সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে এই আলোচনার পরেও অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, OTG দিয়ে কি করা যায়? – সত্যি বলতেছি আপনি ওটিজি দিয়ে অনেক কিছুই কাজ করতে পারবেন। যেমনঃ

  1. ওটিজি দিয়ে আপনি আপনার ফোনে মাউস ব্যবহার করতে পারবেন।
  2. এর মাধ্যমে আপনার ফোনে কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
  3. পেনড্রাইভ অথবা কার্ড রিডার ব্যবহার করতে পারবেন।
  4. চার্জিং এবং মিনি কুলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারবেন।
  5. গেম কন্ট্রোলার এবং সাউন্ড কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
  6. DSLR  কন্ট্রোলার এবং ব্রডব্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

তো একটি ওটিজি ক্যাবল কে আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিয়েই উপরে আলোচনা করা হলো। আশা করি সে সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা হয়ে গেছেন।

OTG কি সব phone এ কাজ করে ?

OTG কি  এবং ওটিজি এর ব্যবহার সম্পর্কে জানার পরে আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে।

সেটি হল যে বর্তমান সময়ে কি সব ফোনে ওটিজি সাপোর্ট করে কিনা। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে বলব যে, বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ফোন গুলো তে ওটিজি সাপোর্ট করে থাকে।

তবে আপনি যখন কোনো একটি নতুন ফোন কেনার কথা ভাববেন। তখন সেই ফোনটি ওটিজি সাপোর্ট কিনা তা অবশ্যই যাচাই বাছাই করে নিবেন।

ওটিজি ক্যাবলের দাম কত ?

একটি ফোনের বিভিন্ন ফিচার এর উপর ডিপেন্ড করে যেমন সেই ফোনের দাম নির্ধারণ করা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে একটি ওটিজি ক্যাবল এর ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী সেই কেবল এর দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

তবে বর্তমান সময়ে আপনি 50 টাকা থেকে শুরু করে 500 টাকা পর্যন্ত ওটিজি ক্যাবল কিনতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি এর থেকে আরো ভালো মানের ওটিজি ক্যাবল কিনতে চান তাহলে আপনাকে আরো বেশি টাকা প্রদান করতে হবে এটাই স্বাভাবিক।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

 OTG কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

নানাবিধ সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ফোনে একটি করে ওটিজি ক্যাবল দেওয়া হয়ে থাকে।

আর সে কারণেই বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করতে গেলে আমাদের ওটিজি ক্যাবল সম্পর্কে ধারণা থাকাটা বেশি জরুরি একটা বিষয়।

আর আজকের আর্টিকেলে আমি সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

কেননা গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পেরেছেন OTG কি এবং ওটিজি ক্যাবল আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আশা করি এই ওটিজি কি সে সম্পর্কে আপনি খুব ভালো ভাবেই ধারণা পেয়ে গেছেন। আর এমন সব অজানা বিষয় গুলো কে সহজ ভাষায় জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top