পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরি – iPhone Buying Tips

সেকেনাল আইফোন কেনার আগে যা যা চেক করবেন। iPhone Buying Tips in Bengali বর্তমান সময়ে আপনারা হাতে যদি একটি স্মার্টফোন না থাকে।

পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরি - iPhone Buying Tips
পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরি

তাহলে আপনি অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন। আর সে কারণে এখন নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত। প্রায় সকলেই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা পুরাতন আইফোন কেনার কথা চিন্তা করে। কারণ  আইফোন হল বর্তমান সময়ে অন্যান্য কোম্পানির এর তুলনায় অধিক জনপ্রিয়।

কিন্তু যখন আপনিও পুরাতন আইফোন কেনার কথা চিন্তা করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে জেনে নিতে হবে।

আর আপনি যদি এই বিষয় গুলো জানার পরে পুরাতন আইফোন কিনতে চান। তাহলে আপনি পুরাতন আইফোন কেনার আগেই বুঝতে পারবেন।

আপনি আরোও লেখা দেখতে পারবেন…

সেই আইফোন এর মধ্যে কোন সমস্যা আছে কিনা। তাই এখন আমি আপনাকে পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরী সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। 

পুরাতন আইফোন কেনার আগে করনীয় কি?

Second hand iPhone buying guide in Bengali দেখুন আপনি যতই মোবাইল সম্পর্কে এক্সপার্ট হন না কেন।

আপনাকে অবশ্যই পুরাতন আইফোন কেনার সময়ে বেশ কিছু বিষয় কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। এবং আপনি যদি এই বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব না দেন।

তাহলে কিন্তু পুরাতন আইফোন কেনার পরে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তো আপনি যাতে করে পুরাতন আইফোন কেনার পরে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হন। সে কারণে, এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু করনীয় বিষয় জানিয়ে দিব। 

ব্যাটারি টেস্টিং করুন

আইফোন কিনছেন নাকি অন্য কোম্পানির ফোন কিনছেন সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিনতে যাবেন।

তখন অবশ্যই এই ফোনের ব্যাটারি চেক করবেন। কারণ একটি মোবাইলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অংশটি রয়েছে, সেটি হল ব্যাটারি।

আর আপনার আইফোন এর ব্যাটারি যদি খারাপ হয়। তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই আইফোন টি ব্যবহার করে সুবিধা পাবেন না।

তাই যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিনবেন। তখন অবশ্যই সেই আইফোন এর ব্যাটারি লেভেল চেক করে নিবেন।

এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। যে, কিভাবে পুরাতন আইফোন কেনার সময় ব্যাটারি চেক করবো। আর যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে শুনুন,, আপনি খুব সহজেই আপনার পুরাতন আইফোন এর ব্যটাারি চেক করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে।

  • আপনার পুরাতন আইফোন এর Setting অপশনে ক্লিক করুন। 
  • এরপর Battery নামক অপশন এর মধ্যে প্রবেশ করার সাথে সাথেই Battery Health চেক করতে পারবেন। 

তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো। যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিনবেন। তখন সেই আইফোন এর ব্যাটারি হেলথ 80% এর বেশি থাকলে বুঝবেন।

সেই আইফোনের ব্যাটারি টি এখনো ভাল রয়েছে। কিন্তু যদি সেই ব্যাটারির হেলথ 80 পার্সেন্ট এর কম হয়।

তাহলে বুঝতে হবে সেই আইফোনের ব্যাটারি অবস্থা খুব একটা ভাল না। 

সমস্ত উপলব্ধ পোর্ট টেস্ট করুন

প্রতিটা স্মার্টফোনের মধ্যে ভিন্ন ধরনের পোস্ট থাকে। যেমন, হেডফোন পোর্ট, চার্জিং পোর্ট সহ আরও বিভিন্ন ধরনের পোর্ট একটি স্মার্টফোনের সাথে যুক্ত থাকে।

তো যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিনবেন, তখন অবশ্যই আপনার পুরাতন আইফোন এর সকল পোস্ট গুলো চেক করে নিবেন।

কারণ পুরাতন আইফোন কেনার পর যদি দেখেন যে আপনার হেডফোন পোর্ট কাজ করছে না। তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনাকে অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে।

এছাড়াও একটি মোবাইলের চার্জিং পোর্ট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আর যদি কোন কারণে আপনার কেনা পুরাতন আইফোনটির এই ধরনের পোস্ট নষ্ট থাকে। তাহলে কিন্তু  পরবর্তী সময়ে আপনার ফোনটি ব্যবহার করে সুবিধা পাবেন না।

তাই অবশ্যই পুরাতন আইফোন কেনার সময় এই বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন। 

IMEI নম্বর অবশ্যই চেক করুন

একটি স্মার্টফোনের মধ্যে অবশ্যই আইএমইআই নম্বর থাকবে। এবং এই নম্বরের মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোনের মালিকানার বৈধতা প্রদান করতে পারবেন।

আর যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিনবে। তখন অবশ্যই সেই আইফোন কেনার রশিদ আপনার পাশে থাকবেন।

এবং সেই রশিদ এর মধ্যে থাকা আইফোন এর পিন নম্বর টির সাথে। মোবাইলের মধ্যে থাকা নম্বরটি মিলিয়ে নিবেন।

যদি দেখেন যে সেই নম্বর গুলোর মধ্যে কোন ধরনের অমিল রয়েছে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, এই পুরাতন আইফোন থেকে না ঠিক হবে না।

কিন্তু আপনি যদি আপনার পুরাতন আইফোন এর আইএমইআই নম্বরের সাথে। আইফোন এর ভেতরের সেটিংস এর মধ্যে থাকা এক নম্বরের মিল থাকে।

তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, এই আইফোন টি পুরাতন হলেও কিনলে সমস্যা হবেনা। এর পাশাপাশি আপনি আপনার আইফোন এর নাম্বার খুব সহজেই অনলাইন থেকে চেক করে নিতে পারবেন।

আর সে জন্য আপনাকে www.imei.info  এই ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তাহলে আপনি সকল ধরনের ফোনের আইএমইআই নম্বর চেক করতে পারবেন। 

রশিদ দেওয়ার দাবি করুন

আপনি যে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনছেন। সেই আইফোন এর মালিকের বৈধতা প্রমাণ করার জন্য অবশ্যই আপনি সেই আইফোন কেনার রশিদ দাবি করবেন।

যদি তার কাছে আইফোন কেনার বৈধ রশিদ থাকে। তাহলে আপনি বুঝবেন যে. সেই পুরাতন আইফোন টি একবারে জেনুইন।

তো এই রশিদ এর মাধ্যমে আপনার আইফোনের মালিকানার বৈধতা প্রমাণ করার পাশাপাশি আরও বিশেষ বিষয় লক্ষ করতে পারবেন।

সেটি হল, এই পুরাতন আইফোন কত সাল আগে কেনা হয়েছে। এবং সেই আইফোন টি কতবার মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। তার সবকিছুই এই রশিদ থেকে জানতে পারবেন।

এর পাশাপাশি যখন আপনি এই রশিদ নিবেন। তখন অবশ্যই এর মধ্যে থাকা দিন, তারিখ গুলো পরিবর্তন করে নিবেন। কেননা এখন থেকে আপনি সেই পুরাতন আইফোন এর মালিক।

সে কারণে অবশ্যই সেই রশিদ এর মধ্যে আপনার নাম সহ সেই সময়এর তারিখ টি সঠিকভাবে উল্লেখ করে দিবেন।

যাতে করে পুরাতন আইফোন কেনার পরে আপনাকে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। 

যন্ত্রাংশের অকৃত্রিমতা যাচাই করুন

আপনি যখন কোন ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয় করবেন। তখন অবশ্যই সেই পণ্যের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশের পার্টস গুলো চেক করে নিবেন।

কারণ যখন ইলেকট্রনিক্স পণ্য গুলো কোন একটি কোম্পানি থেকে তৈরি করা হয়। তখন সেই কোম্পানি থেকে যে সকল পার্টস প্রদান করে।

সে গুলোর কার্যক্ষমতা অনেক বেশি হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যদি সেই পার্টস গুলো নষ্ট হয়ে যায়। এবং পুনরায় নতুন করে পার্টস কেনার পরে তা মেরামত করা হয়।

তাহলে কিন্তু তার কার্যক্ষমতা অনেকাংশেই কমে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি যখন পুরাতন আইফোন কিনবেন। এবং সেই আইফোন টি তে যে সকল পার্টস রয়েছে।

সে গুলোর সব গুলোই অ্যাপেল কোম্পানি থেকে প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যদি সেই আইফোনের মধ্যে থাকা কোন পার্টস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এবং নিম্নমানের কোম্পানির পার্টস কিনে মেরামত করা হয়। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার সেই পুরাতন আইফোন থেকে তেমন আশানুরূপ পারফরম্যান্স পাবেন না।

এর পাশাপাশি এই ধরনের স্বল্পমূল্যের পার্টস দিয়ে মেরামত করার ফলে। আপনার সেই পুরাতন আইফোন এর মেয়াদকাল আরো অনেক গুণ কমে যাবে।

তাই অবশ্যই আপনি পুরাতন আইফোন কেনার সময় সেই আইফোনের মধ্যে থাকা যন্ত্রাংশের অকৃত্রিমতা যাচাই করে নিবেন।

টাচস্ক্রিন ও ফিজিকাল বাটন টেস্ট করুন

বর্তমান সময়ে যে সকল স্মার্টফোন রিলিজ করা হচ্ছে। তার প্রত্যেক টি স্মার্টফোনের মধ্যে টাচস্ক্রিন এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল বাটন প্রদান করা হয়।

যেমন, আপনার ব্যবহার করা স্মার্টফোনের মধ্যে অবশ্যই একটি বড় সাইজের টাচস্ক্রিন থাকবে। এর পাশাপাশি ভলিয়ম আপ, ভলিয়ম ডাউন সহ পাওয়ার বাটন থাকবে।

তো যখন আপনি কোন ধরনের পুরাতন মোবাইল কেনার কথা চিন্তা করবেন। তখন অবশ্যই সেই মোবাইল এর এই ধরনের বাটন গুলো চেক করার পাশাপাশি।

তার টাচস্ক্রিন অবশ্যই ভালো ভাবে চেক করে নিবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি পুরাতন আইফোন কেনার কথা ভাবেন।

তাহলে অবশ্যই আইফোন কেনার আগে  তার বাটন গুলো বারবার প্রেস করুন। যদি দেখেন যে সে গুলো ঠিক মতো কাজ করছে।

তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে, সেই আইফোন বাটন গুলো ঠিক আছে।

এর পাশাপাশি পুরাতন আইফোন এর টাচ স্ক্রিন ঠিকমত কাজ করছে কিনা সেটাও কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

কারণ পুরাতন আইফোন কেনার পরে আপনাকে এই টাচস্ক্রিন এর মাধ্যমেই সেই ফোন টি ব্যবহার করতে হবে। 

মাইক্রোফোন টেস্ট করুন

যেহেতু আপনি আইফোন কিনবেন, সেহেতু অবশ্যই সেই পুরাতন আইফোন টি দিয়ে আপনি আপনার প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে ফোনে কথা বলবেন।

কিন্তু পুরাতন আইফোন কেনার পরে যদি আপনি বাড়িতে এসে দেখেন যে, তার মাইক্রোফোন ঠিকমতো কাজ করছে না। তাহলে কিন্তু আপনাকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।

কারন আইফোনের মধ্যে থাকা পার্টস গুলোর দাম অনেক বেশি হয়। তো এই ধরণের ঝামেলার মধ্যে পড়তে না চাইলে।

যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিনবেন, তখন অবশ্যই সেই আইফোন এর মধ্যে থাকা মাইক্রোফোন টি টেস্ট করে নিবেন।

আর সেজন্য পুরাতন আইফোন কেনার আগে সেই আইফোন দিয়ে আপনি আপনার কাছের মানুষদের সাথে কথা বলে মাইক্রোফোন টেস্ট করে নিবেন।

এতে করে আর যদি দেখেন যে, সেই আইফোন এর মাইক্রোফোন এখনো ভালো রয়েছে। তাহলে আপনি এই ধরনের ভালো কন্ডিশনের সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার কথা ভাববেন। 

রিয়ার ও ফ্রন্ট ক্যামেরা টেস্ট করুন

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা একটি স্মার্টফোন এর চাইতে। সেই ফোনের মধ্যে থাকা ক্যামেরা কে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়।

তো বর্তমান সময়ে আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন থাকা মানে। আপনারও বিভিন্ন সময়ে সেই স্মার্টফোন দিয়ে ছবি তোলার শখ জাগবে।

আর এই শখ পূরণ করার জন্য আপনি যদি পুরাতন আইফোন কিনে থাকেন। তাহলে অবশ্যই সেই আইফোন এর মধ্যে থাকা ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ব্যাক ক্যামেরা কোয়ালিটি চেক করে নিবেন। 

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

কারন আমরা সবাই জানি যে, অ্যাপল কোম্পানি তাদের আইফোন এর মধ্যে যে ক্যামেরা গুলো দিয়েছে। সে গুলো অনেক হাই কোয়ালিটির।

অর্থাৎ আইফোনের ক্যামেরা দিয়ে অনেক উচ্চ মানের ছবি তোলা সম্ভব। কিন্তু আপনার কিনে নেওয়া পুরাতন আইফোন এর যদি ক্যামেরা ভাল না হয়।

তাহলে কিন্তু আপনি আপনার ছবি তোলার শখ পূরণ করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই পুরাতন আইফোন কেনার আগে তার মধ্যে থাকা ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ব্যাক ক্যামেরা কোয়ালিটি চেক করে নিবেন। 

স্পিকার কোয়ালিটি চেক করুন

আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন আছে মানে অবশ্যই আপনি সেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন।

এবং ইন্টারনেট দিয়ে আপনি ফেসবুক সহ ইউটিউবে বিভিন্ন প্রকারের ভিডিও দেখবেন। কিন্তু ভিডিও দেখার পাশাপাশি আপনাকে তো সাউন্ড শুনতে হবে।

আর আপনার পুরাতন আইফোন এর স্পিকার খারাপ হয়। তাহলে কিন্তু আপনি কোন ধরনের ভিডিও অডিও শুনে মজা পাবেন না।

সে ক্ষেত্রে পুরাতন আইফোন কেনার আগে এই বিষয়টির দিকে অনেক গুরুত্ব দিবেন। আর আপনি যখন কোন সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনবেন।

অবশ্যই সেই আইফোন এর মধ্যে থাকা স্পিকার কোয়ালিটি চেক করবেন। আর স্পিকার চেক করার জন্য সেই আইফোনের মধ্যে বিভিন্ন গান প্লে করবেন।

যদি দেখেন যে সব ধরনের গান থেকে মানসম্মত সাউন্ড পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে বুঝবেন সেই পুরাতন আইফোন এর স্পিকার কোয়ালিটি এখনো ভালো রয়েছে।

সেকেন্ড-হ্যান্ড আইফোন কেনার ঝুঁকি কি কি ?

সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে করণীয় কি সে বিষয় গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে পুরাতন আইফোন কেনার আগে এই করণীয় কাজ গুলো দিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি। আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে হবে।

আর সেই বিষয় টি হলো সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। অর্থাৎ আপনি একটি পুরাতন আইফোন কেনার পরে কি কি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন।

এবার আমি আপনাকে সে সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। চলুন. এবার তাহলে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার ঝুঁকি কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • একটা কথা মাথায় রাখবেন, আইফোন এর মধ্যে থাকা আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করা যায় না। আর সে কারণে আপনার পুরাতন আইফোন এর মালিক যদি আগে কোন অবৈধ কাজের সাথে লিপ্ত থাকে।
  • কিংবা সেই আইফোন কোন ধরনের বেআইনি কাজ করে। তাহলে কিন্তু তার খেসারত আপনার মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
  • বর্তমান সময়ে নকল ডিভাইস প্রস্তুত কারক কোম্পানির পরিমাণ অনেক গুন বেড়ে গেছে। যার ফলে আপনি যখন সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনবে।
  • তখন সেটা পরখ করা খুব কষ্টকর হয়ে যাবে যে আপনার পুরাতন আইফোন অ্যাপল কোম্পানি থেকে তৈরি, নাকি লোকাল কোন কোম্পানি থেকে তৈরি।
  •  আই ফোনের ডিসপ্লে অনেক উন্নত হয়। আর সে কারণে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন গুলোর মধ্যে থাকা ডিসপ্লে তে যদি কোন ধরনের দাগ কিংবা সমস্যা থাকে।
  • তাহলে কিন্তু হুট করেই সেই সমস্যা টা ধরতে পারা যায় না। এবং পুরাতন আইফোন কেনার পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা টি নজরে পরে।
  • এখন অবৈধ ভাবে আইফোন কেনাবেচা করার রশিদ তৈরি করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনার কিনে নেওয়া পুরাতন আইফোন টি যদি কোনো চুরি করা আইফোন হয়।
  • এবং যদি আইফোন এর মালিক আপনাকে ভুয়া রশিদ দেয়। তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনার বিভিন্ন আইনি ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

মূলত বর্তমান সময়ে আপনি যদি সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনে নেওয়ার ফলে আপনার কি কি ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।

সে গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই যখন আপনি পুরাতন আইফোন কিংবা পুরাতন মোবাইল কেনার কথা ভাববেন।

তখন অবশ্যই এই বিষয় গুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। না হলে কিন্তু আপনাকে পুরাতন আইফোন কেনার হলে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। 

অনলাইনে সেকেন্ড-হ্যান্ড আইফোন কেনার বিকল্প উপায়

দেখুন আলোচনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা পুরাতন আইফোন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছি।

কারণ সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে করণীয় বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি।

এর পাশাপাশি আপনি যদি সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনে নেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার কি ধরনের সমস্যা হতে পারে, সে গুলো নিয়ে পরিষ্কার ধারণা বিরোধী দিয়েছি।

তো এবার আমি আপনাকে অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার বিকল্প উপায় সম্পর্কে বলব। আর আপনি যদি এই উপায় টি অনুসরণ করে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনে নেন।

তাহলে কিন্তু আপনার পরবর্তী সময়ে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আর আপনি যদি অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার বিকল্প উপায় খুঁজে থাকেন।

তাহলে আপনি সরাসরি চলে যাবেন অ্যাপেল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মধ্যে। কারন যখন আপনি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করবেন।

তখন অ্যাপল কোম্পানি থেকে প্রস্তুত করা বিভিন্ন ধরনের রিফারবিশড আইফোন এর তালিকা দেখতে পারবেন।

আর সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন গুলো অফিশিয়ালি ভাবে কিনে নিতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

মূলত আপনি যদি এই পদ্ধতি টি অনুসরণ করে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনে নেন। তাহলে কিন্তু আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবেনা।

এর পাশাপাশি আপনি অরিজিনাল আইফোন কিনে নিতে পারবেন। 

পুরাতন আইফোন  নিয়ে আমাদের শেষকথা 

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি পুরাতন আইফোন কেনার কথা ভাবেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে বিশেষ কিছু বিষয় এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আর সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে করণীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি একজন ব্যক্তি যখন পুরাতন আইফোন কিনবে।

তখন সেই ব্যক্তি এই আইফোন কেনার পরে কোন কোন ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। সে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

এবং আপনি যাতে করে কোনো ধরনের পুরাতন আইফোন কেনার পরে সমস্যায় না পড়েন।

সে কারণে আপনাকে এমন একটি সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার উপায় জানিয়ে দিয়েছি। যে টি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি একবারে জেনুইন সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনতে পারবেন।

আশা করি, আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন।

এর পাশাপাশি আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করি। যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আপনাকে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। আর এতক্ষণ ধরে  আমাদের ওয়েবসাইটে সমাজের করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top