মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় ২০২৩

ফ্রিল্যান্সিং কি“- ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে ? আমরা এ নিয়ে আমি অন্য একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেখানে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে,” মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব ?” 

মোবাইল দিয়ে কি আউটসোর্সিং করা যায় ? আর মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলো কি কি?

তো সেজন্যই মূলত আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আজকে আমি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার প্রত্যেকটি বিষয় কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

আর যদি আপনার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় এর প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

তাহলে আপনি আজকের পর থেকে Freelancing সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি ? (Freelancing in bangla)

সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, Freelancing আসলে কাকে বলে। কেননা, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারবেন না। ততক্ষণ আপনি পরবর্তী আলোচনা গুলোর কিছুই বুঝতে পারবেন না।

তো বাস্তবিক জীবনে আমরা যেমন বিভিন্ন ধরনের কাজ করি। এবং সেই কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করি।

ঠিক একইভাবে আপনি যখন অনলাইনে কোনো কাজ করবেন। এবং সেই কাজের বিনিময়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবেন ৷

তখন সেই কাজ করা শুরু করে টাকা ইনকাম করা পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া গুলো রয়েছে। মূলত সেগুলো কে বলা হয় Freelancing.

আপনার জন্য আর লেখা…

যেমন, কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে অনলাইন থেকে আয় করে। আবার কেউবা ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইন থেকে আয় করে।

আবার এমন অনেকেই আছেন, যারা মূলত কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করে। মূলত এই ধরনের কাজ গুলোকেই বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং।

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?

যদি আপনি কয়েক বছর আগে এই প্রশ্নটি করতেন। তাহলে এর উওরে বলতাম, না! মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব না। কিন্তুু আজকের দিনে যদি এই প্রশ্নটি করেন।

তাহলে এর উওরে বলবো, হ্যাঁ! এখন আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

কারন বর্তমানে মোবাইল ফোন গুলোতে অনেক উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে আপনি Freelancing রিলেটেড অনেক কাজ করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, যদি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তাহলে মানুষ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয় কেন?

দেখুন, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে একটু নজর দেন ৷ তাহলে আপনি এমন অনেক ধরনের Online Job দেখতে পারবেন। তার মধ্যে বেশিরভাগ কাজ আপনি কম্পিউটার দিয়ে করতে পারবেন।

কিন্তুু এমন অনেক Job আছে, যেগুলো মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব।

আর আপনাকে আমি এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো। যারা মূলত মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এবং মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং করে।

এবং এই কাজ গুলো করে তারা প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম করে আসছে। 

কারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং করতে পারবে?

আমি বরাবর একটা কথা বলে আসছি ৷ সেটি হলো সব মানুষকে দিয়ে কিন্তুু সব ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। বরং উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে কোনো কাজকে সম্পন্ন করা সম্ভব।

ঠিক তেমনি আপনি যদি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে চান। তাহলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু গুনাবলি থাকতে হবে। চলুন এবার সেই গুনাবলি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

👉যেকোনো কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ

অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন, আপনি যেখানেই কোনো কাজ করুন না কেন। আপনাকে অবশ্যই সেই কাজ শেখার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে। যদি আপনি কোনো কাজ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা মূলত কাজ না শিখে শুধু ইনকাম এর পেছনে দৌড়ায়। এটা কখনই করা উচিত নয়, বরং যখন আপনি কোনো কাজে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

তখন মানুষ আপনাকে নিজে থেকে খুজে নিবে।

তাই আপনার সবার আগে কোনো কাজ শেখার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে। অযথা ইনকাম করার পেছনে দৌড়ালে শুধু ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই পাবেন না।

👉কখনও হতাশাগ্রস্থ হওয়া যাবে না 

দেখুন আমরা যারা নতুন অনলাইনে ইনকাম করতে আসি। তারা অনেকেই মনে করি যে, অনলাইনে কাজ করলে মনে হয় রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায়। আসলে বিষয়টি সঠিক নয়, আর যদি সেটাই হতো।

তাহলে পৃথিবীতে কেউ আর গরিব থাকতো না।

সত্যি বলতে অনলাইনে কোটিপতি হওয়া সম্ভব ৷ কিন্তুু আপনাকে সঠিক উপায়ে কাজ করে যেতে হবে। হয়তবা দেখা যাবে আপনি শুরুর দিকে তেমন সফলতা নাও পেতে পারেন।

তাই বলে কোটি টাকা আয় করার স্বপ্নকে ছেড়ে দিলে চলবে না। বরং আপনাকে প্রতিনিয়ত চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।

যখন আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে সঠিকভাবে চেস্টা চালিয়ে যাবেন ৷ তখন আপনি কোনো একটা সময়ে গিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আর আপনি যদি হাল ছেড়ে দেন, তাহলে অনলাইন কে আপনি অনেক কিছু দিলেও অনলাইন আপনাকে কিছুই দিতে পারবে না।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায় সে নিয়ে আমরা একটু পরে আলোচনা করবো। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে, যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান।

তাহলে আপনার কি কি ইকুইপমেন্ট এর প্রয়োজন পড়বে।

A Smart Device 

যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে আয় করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনার কাছে একটি ডিভাইস থাকতে হবে। সেটা হতে পারে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা একটি ভালো মানের স্মার্টফোন।

যেখানে আপনি কাজ করতে পারবেন। এবং সেই কাজের বিনিময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

A Fast Internet Connection 

এরপর আপনার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের প্রয়োজন হবে। সেটি হলো একটি দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন। কারন আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত অনলাইন এর সাথে যুক্ত হতে পারবেন না।

যতক্ষন না আপনার কাছে একটি ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে। আপাততো আপনার কাছে যদি এই দুটো ইকুইপমেন্ট থাকে।

তাহলে ধরে নিবেন আপনি অনলাইনে কাজ করার জন্য একেবারে প্রস্তত। এবং আপনি চাইলেই অনলাইন জগতে পা রাখতে পারবেন।  

মোবাইল দিয়ে কি কি ফ্রিলান্সিং কাজ করা যায়?

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি – যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে আসে। তাদের প্রত্যেকের মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে। আসলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সব কাজের সমান ডিমান্ড রয়েছে।

এখন আপনি আসলে কোন কাজে কেমন দক্ষ সেটা সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে।

যেমন, এমন অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ কাজ। অথচ এই সহজ কাজ গুলো করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আয় এর পরিমান দেখলে আপনি রিতীমতো অবাক হয়ে যাবেন।

আবার এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের কাছে কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। অথচ তারা তাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। 

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা কিছুটা কঠিন তবে করা যায়। এরপরও তারা প্রচুর টাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে থাকে।

আবার একদল মানুষ আছে, যারা মনে করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা একেবারেই সম্ভব নয়। আসলে বিষয়টি সত্য নয়, বরং আংশিক সত্য।

আপনার জন্য আরো…

যেমন, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যেগুলো আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করতে পারবেন না। এবং অবশ্যই আপনার কম্পিউটারটি অনেক ভালো মানের হতে হবে।

আবার এমন অনেক কাজ রয়েছে, যেগুলো আপনি সব ডিভাইস দিয়ে করতে পারবেন। এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার কম্পিউটার থাকতেই হবে।

আসলে বিষয়টা তেমন নয়, বরং এই কাজ গুলো আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। তো এবার আমরা জানবো যে, যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেন। তাহলে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন।  

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়

মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায় ? যদি আপনার হাতে কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে।

এবং আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান ৷ তাহলে আপনি এমন অনেক কাজ দেখতে পারবেন।

যেগুলো কাজ করে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন।

তবে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে পারবে কিনা অনেকেই জানতে চান।

আসলে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা অনেক কঠিন কারণ আপনাকে এমন কিছু ফাইল দিতে হবে যা মোনাইল থেকে দিতে পারবন না।

০১ঃ ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ

নিজের কাজকে সহজ করার জন্য বাস্তবিক জীবনে মানুষ যেমন পারসোনাল এসিস্ট্যান্ট রাখে৷ ঠিক তেমনি এখন অনলাইন এর মাধ্যমেও এমন কাজ পাওয়া যায়।

যাকে বলা হয় Virtual Assistant. যে কাজটি করে আপনি বেশ ভালো পরিমান টাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বাস্তবিক জীবনে মানুষ এসিস্ট্যান্ট রাখে তাদের অফিশিয়াল কাজকর্ম করার জন্য ৷ কিন্তুু মানুষ ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কি কাজে ব্যবহার করে? তাহলে শুনুন…

আমরা সবাই জানি যে, দিন দিন আমরা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার ফলে আমরা পুরোপুরি ভাবে অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি।

তাই দৈনন্দিন কাজের মতো এখন আমরা অনলাইন এর মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সম্পন্ন করে থাকি।

আর যারা মূলত ব্যস্ত মানুষ, যারা অনলাইনে তেমন একটা সময় দিতে পারে না। তারাই মূলত এই অনলাইনের কাজ গুলো করার জন্য এক বা একাধিক মানুষকে Virtual Assistant হিসেবে রেখে দেয়।

আর এই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বেশি পরিমানে দেখা যায়। যে কাজ গুলো আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।

এবং এই কাজের বিনিময়ে আপনি অনেক টাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। 

০২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজ

মনে করুন আপনি একটি Samsung Mobile কিনতে চান। এখন আপনি কি কোনো দিক বিবেচনা না করেই হুট করে একটা মোবাইল কিনে নিবেন? -নিশ্চই না, বরং আপনি অনেক দিক বিচার বিবেচনা করার পরে একটা ফোন কিনবেন, তাইনা?

যেমন, সবার আগে আপনি Samsung এর ডিটেইল গুলো জানার জন্য তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করবেন ৷

ফোনটির কোয়ালিটি কেমন, দাম কিরকম, মার্কেটে আপনার পছন্দের ফোনটি আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো যখন আপনি এই বিষয় গুলো জেনে নেয়ার জন্য স্যামস্যাং এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে নক দিবেন ৷ তখন সাথে সাথে আপনার প্রশ্নের উওর গুলো সেই ফেসবুক পেজ থেকে জেনে নিতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হলো, আপনি যে এই প্রশ্নের উওর গুলো জানতে পারলেন ৷ সেগুলো আপনাকে কে বললো? -কোনো রোবোট কি এই প্রশ্নের উওর গুলো দিলো? – না, বরং একজন মানুষ হাতে টাইপ করে আপনার প্রশ্নের উওর গুলো দিয়েছে।

আর যে ব্যক্তি এই কাজটি করেছে, সে এই কাজের বিনিময়ে স্যামস্যাং কোম্পানি থেকে প্রচুর পরিমানে টাকা নিয়ে থাকে। তো আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান।

তাহলে আপনি এই কাজটি করেও বেশ ভালো পরিমান টাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। 

০৩ঃ গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ

Freelancing সেক্টরে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হলো গ্রাফিক ডিজাইন। আপনি কি জানেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়? – যদি আপনি একজন ডিজাইনার এর আয় দেখেন, তাহলে আপনি রিতীমতো অবাক হয়ে যাবেন ৷

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে তো অনেক উন্নতমানের ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। এখন এই কাজটি আপনি কিভাবে মোবাইল দিয়ে করবেন?

দেখুন আপনি যদি শুধুমাএ গ্রাফিক ডিজাইন কে আলাদা একটি সেক্টরে ভাগ করেন। তাহলে আপনি এমন অনেক বিষয় পাবেন ৷

যেগুলো মূলত Graphic রিলেটেড। যেমন, Logo Design, Png Design, Vector Design,  Banner Design সহো অনেক গুলো অংশে বিভক্ত করতে পারবেন।

তো আপনি যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে চান। তাহলে আপনি অনেক ভালো ভালো সফটওয়্যার দিয়ে এই কাজ গুলো করতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি মোবাইল দিয়ে Graphic Design এর কাজ গুলো করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু এপস বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এই কাজ গুলো করতে পারবেন। যেমনঃ-

  • Pixlab
  • Picsart 
  • Canva Pro
  • Adobe Photoshop Touch 
  • illustrator (Mobile Version)

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের এপস রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড অনেক কাজ করতে পারবেন। এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। 

০৪ঃ কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যতো ধরনের কাজ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক একটি পেশা হলো, কন্টেন্ট রাইটিং। যে কাজটি করে আপনি খুব স্বল্প পরিশ্রমে অনেক বেশি টাকা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আপনি এই কাজটি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েও করতে পারবেন। কেননা, এই কাজের জন্য আপনার ফোনে শুধুমাএ একটা Text Editor App থাকলেই যথেষ্ট।

এবং আপনি সেই এপস এর মাধ্যমে খুব সহজেই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন।

তো আপনি যদি ফোনের মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে চান। তাহলে আপনি নিচের এপস গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ

  • Google Docs
  • Wps Office 
  • Microsoft Office Word

এগুলো ছাড়াও আপনি গুগল প্লে স্টোরে অনেক ধরনের নোটপ্যাড দেখতে পারবেন। আপনি আপনার সুবিধা মতো যে কোনো এপস কে ব্যবহার করতে পারবেন। 

০৫ঃ ওয়েব ডিজাইন এর কাজ  

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আরও একটি ডিমান্ডেবল কাজ রয়েছে। সেটি হলো Web Design এর কাজ। যে কাজটি করে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে বিপুল পরিমান টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে একটা কথা না বললেই নয়। সেটি হলো আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে চান ৷ তাহলে আপনি শুধুমাএ ব্যাসিক বিষয় গুলো করতে পারবেন।

যেমন, html, css. কিন্তুু আপনি যদি প্রফেশনালি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে চান। তাহলে আপনার কাছে অবশ্যই একটি পিসি বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

তো মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন এর ব্যাসিক কাজ গুলো করার জন্য আপনি Google Play Store এ অনেক গুলো এপস দেখতে পারবেন। যেমন,

  • FreeCodeCamp
  • W3schools
  • Programming Hero
  • Solo Learn ইত্যাদি। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফিল্যান্সিং করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে ৷ আর দক্ষতা অর্জন করতে হলে সবার আগে আপনাকে যে কোনো বিষয় সম্পর্কে শিখে নিতে হবে।

তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।

তো যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখতে চান। তাহলে আপনার সামনে এমন অনেক উপায় চলে আসবে। যেমন,

👉ইউটিউব এর মাধ্যমেঃ বর্তমানে ইউটিউব এ অনেক ধরনের চ্যানেল রয়েছে। তবে এমন অনেক Channal আছে যেখানে খুব সুন্দরভাবে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আপনি চাইলে সেই চ্যানেল এর ভিডিও গুলো দেখে দেখে শিখে নিতে পারবেন ৷

👉ব্লগ সাইট থেকেঃ আপনি বর্তমানে যে লেখাটি পড়ছেন। সেটিও কিন্তুু একটা ব্লগ থেকে পড়ছেন। তো এমন অনেক ধরনের ব্লগ রয়েছে। যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখে নিতে পারবেন।

আমি মনে করি আপনি এখন মোবাইল থেলে এই লেখা পড়তেছেন। আর হ্যা মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। এবং অনেকেই করতেছে।

👉কোর্স এর মাধ্যমেঃ অনলাইন থেকে কোনো কাজ শেখার আরও একটি সহজ মাধ্যম আছে ৷ সেটি হলো কোর্সের মাধ্যমে শেখা। তো আপনি চাইলে Paid অথবা Free কোর্সের মাধ্যমে এই কাজ গুলো শিখে নিতে পারবেন। 

কিভাবে ফ্রিলান্সিং কাজ পাবেন?

যাক এবার আসবো মুল টপিকে। এবার আপনাকে জানতে হবে যে, কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাবেন। কারন আপনি যতক্ষন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারবেন না।

ততক্ষন আপনি কোনো ধরনের ইনকামও করতে পারবেন না। তো যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে। যেমন,

STEP-1: সবার আগে আপনাকে খুজে নিতে হবে যে কোন কোন ওয়েবসাইট গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজ করা হয়।

STEP-2: এরপর আপনাকে সেই ওয়েবসাইট গুলো তে একটি করে একাউন্ট (Account) তৈরি করতে হবে।

STEP-3: যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে একাউন্ট তৈরি করবেন। এরপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুজতে হবে। যে কাজ গুলো করার বিনিময়ে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন৷ 

আমরা কি কি শিখলাম? 

আজকের আর্টিকেলে আমরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এর পাশাপাশি আপনি ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়। সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

এগুলো ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

আপনি আরো পড়ুন…

এবং কি কি বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং সবশেষে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর উপকারিতা সম্পর্কেও জানতে পেরেছি। 

আমাদের শেষকথা 

আশা করি আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন। অনেকেই জানতে চান কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব ?

আসলে একাউন্ট খুলা অন্য সব একাউন্টের মতই তবে সব কিছু সঠিক তথ্য দিলে পরে অঙ্ক সুবিধা পাবেন।

 মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আমাদের অনেক গুলা আর্টিকেল আছে আপনি চাইলে আমার সাইট থেকে পড়ে নিতে পারেন।

এরপরও যদি আপনার মনে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড আরও কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনার কমেন্ট এর অপেক্ষায় থাকবো।

বাংলা আইটি ব্লগ (Banglaitblog) এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

38 thoughts on “মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় ২০২৩”

    1. Mohammad Nur Nobi

      আমি আপনার লিখা গুলো পড়ে অনেক কিছু শিখলাম আরো কিছু শিখার আশাবাদী

      1. আর্টিকেল এর ভিতরে বিস্তারিত আলোচিনা করেছি ভাল করে পড়ুন… এ ছাড়া আরো আর্টিকেল আছে আমার ব্লগে পড়ে নিন।

      1. আমি টাকা ইনকাম করতে চাই, আমি কিভাবে প্রথমে শুরু করবো

  1. আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক আগ্রহ জাগলো আউটসোর্সিং এ

  2. শিখতে চাই কিন্তু, শিখতে পারা যাচ্ছে না, আমার যেহেতু কাজ আমি অনলাইনে ইন্টারনেট এ-র মাধ্যমে কাজ করে ইনকাম করতে পারবো আয় হবে, তারপরও শিখতে পারছি না কাজ করতে পারি না, ত এখন আমি কি করবো, একবারে না পারিলে চেষ্টা কর শতবার, কিন্তু কোটি বার চেষ্টা করেও আমি পুরোপুরি শিখতে পারি না, তাহলে আমাকে কি করতে হবে, হ্যাঁ এসব আমার সাইট আমার প্রোফাইল আমার একাউন্ট,

    আমার যখন একাউন্ট প্রোফাইলের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়ে যায় তখন সেটা কিভাবে সমাধান পাব, হতাশ হয়ে যায় উদ্বিগ্ন হয়,মন ছটফটিয়ে উঠে কেন আমার একাউন্ট বা সাইট ব্লগ সাইট প্রোফাইল এসবের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে, তখন ঠিক করে পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকে, কিন্তু আমি,

    যেখানে আয় ইনকাম করতে পারবো সেটা ত আমার আরও লোভ হচ্ছে আশা জাগছে মনে আনন্দ লাগছে যে অনেকেই, এ-ই ইন্টারনেট অনলাইনের মধ্যে গুগল ফেসবুক ইউটিউব মেসেঞ্জার ইমো হোটসঅ্যাপস ইনস্টাগ্রাম এভাবে করে যতো সব একাউন্ট সাইট বা ব্লগ সাইট রয়েছে, সেগুলোর থেকে আয় করছে ইনকাম করছে, ত

    আমি কি চাইছি না যে আমি ও ইনকাম করবো, ত শিখতে কাজ করতে পারি না এবং জানি না এবং বুঝি না, ভুল হয়ে গেছে ভুল হচ্ছে ত তাহলে আমি কি করবো, তাহলে আমার এ-ই ইন্টারনেট অনলাইনের মধ্যে আয় ইনকাম ভাগ্য জুটবে না, আমার আশা করে কি লাভ আছে, আমাকে বারবার শিখতে দেওয়া হয় জানতে দেওয়া হয়, তারপরও ভুল ত,তাহলে আমি কি করবো,

    আসলে এসব বিষয় গুলি অনেকের জন্য বুঝতে সুবিধা ও সহজ হচ্ছে না যেমনটি হয়েছে আমার ক্ষেত্রে, আমি কোটি চেষ্টা করে ও বুঝতে পারি না এবং বুঝি ও না শিখতে ও পারি না, আমার ইনকাম করা র আশা জাগে না,অবশ্যই মনে চাইছি কিন্তু কুলিয়ে উঠতে পারি না, আমার সংসার আছে পরিবারের লোকজন আছে, তাদের জন্য যেমন আমি, বিভিন্ন কাজ করে বেড়ায় দেখি যে কোন মালিকের কাজ করে বেশি টাকা বেতন বা মজুরি পাব,

    এসেছি চিন্তা ভাবনা ত করতে ই আছি এবং চেষ্টা করছি বার ঘন্টার চুক্তি নিয়েও ষোল ঘন্টা কাজ করি, কিসের জন্য, যে আমার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারলে আমার সন্তানের স্ত্রী র পিতামাতার ভাইবোনের আর কিছু চাহিদা আশা মিটবে এ-ই আশায় আমি হাড় ভেঙ্গে কাজ করি, যেন আমার পরিবারের সাধ্য অনুযায়ী চাহিদা মিটাতে পারি, তাহারা

    কেন আমি চাইব না যে এ-ই ইন্টারনেট অনলাইনের মধ্যে থেকে আয় ইনকাম করবো না, অবশ্যই চাই কিন্তু এ-সব ইন্টারনেট অনলাইনের ব্যবহার এ-র নিয়ম নীতি এবং নিয়ম কানুন মেনে বুঝতে পারি শিখতে পারি না ত আমার কি করার আছে, বিধায় আমার এসব বুঝতে পারা কার্যকলাপ দেখা ও বুঝতে পারা যায়, যে সে কোন ধরনের কাজ করতে পারে এবং বুঝতে পারে, পিতামাতা ই বোঝে এবং জানে যে আমার কোন সন্তান কতটা কাজ করতে পারবে, বা কোন সন্তানের দিয়ে কোন কাজ হয়, বা কোন সন্তান কতটা শিখবে জানবে এবং বুঝতে পারবে, ত ঠিক আমার

    অবস্থা সেই রকম আমি কোটি চেষ্টা করে ও বুঝতে পারি না কাজ করতে পারি না ত আমি কি করবো, ত ঠিক আছে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ। লেখা লেখি ভুল হতেই পারে, কারণ আমি আগেই বলেছি যে আমি কম লেখা পড়া জানি।

    1. আপনাকে ইচ্ছা শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে আর আপনি যদি এডাল্ট কিছু নিয়ে কাজ করেন তাহলে ব্লগসাইট রিমভ হয়ে যাবে। আবার আপনি যদি ক্রাক বা ইললিগাল কিছু নিয়ে কাজ করেন তাহিলেও আপনার ব্লগ বন্ধ হয়ে যাবে।

  3. এগুলোর মধ্যে কোন কাজটি মোবাইল দিয়ে ভালো ভাবে করা যায় একটু জানাবেন। আমার অনেক আগ্রহী আছে কাজ শেখার

  4. আমার একটা ব্লগ সাইট আছে।আমার ব্লগ সাইটে আমি আর্টিকেল পোস্ট করতে জানি কিন্তু সেটা থেকে আয় করব কিভাবে সেটা জানি না কারণ আমি মাত্র নতুন ব্লগ খুললাম।দয়া করে জানাবেন।

    1. আগে আপনার ব্লগে ভাল ভাল পোস্ট করতে থাকুন এবং অরগানিক ভিসিটর আনুন নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় এই লিখাটি পড়ুন তার পর Google adsense কি ? গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় তার পর এটা দেখুন বুঝতে পারবেন।

  5. মুলত আমরা মধ্যবিত্ত না পারি কিছু করতে না পারি ছারতে,,টাকা মেনেজ করেও যেন হয় না,,,আমার কথা হল:-ফ্রিতে কাজ শিখা যায় এমন কিছু থাকলে যদি বলতেন খুবই উপকার হত।
    thank you…!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top