সফটওয়্যার পাইরেসি কি – (What Is Software Piracy in Bengali)

সফটওয়্যার পাইরেসি কি : What Is Software Piracy. সফটওয়্যার পাইরেসি কিভাবে হয়? এবং কিভাবে এই ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধ করা সম্ভব?

সফটওয়্যার পাইরেসি কি – (What Is Software Piracy in Bengali)
সফটওয়্যার পাইরেসি কি

সে বিষয় গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। তো যদি আপনি সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান।

তাহলে আজকের এই আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ আজকে আমি সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে প্রত্যেক টা বিষয় নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করব।

তো চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে চলে যাওয়া যাক।

[su_highlight background=”#9b51e0″]পাইরেসি মানে কি?[/su_highlight]

সফটওয়্যার পাইরেসি কি সে বিষয়টি নিয়ে আজকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে, পাইরেসি কি বা পাইরেসি কাকে বলে।

আর যখন আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তখন আপনি আজকের পরবর্তী আলোচনা গুলো সহজেই বুঝতে পারবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তো চলুন সবার শুরুতে জেনে নেওয়া যাক, পাইরেসি মানে কি।

[su_highlight background=”#9b51e0″]সহজ কথায় বলতে গেলে, পাইরেসি হলো এক ধরনের চুরি। যেখানে চুরি করার জন্য মালিকের কোন ধরনের পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।[/su_highlight]

[su_highlight background=”#9b51e0″]ঠিক তেমনি ভাবে যখন কোন কিছুর সাথে পাইরেসি হয়। তখন সেখানেও মালিকের কাছ থেকে কোন ধরনের পারমিশন নেওয়া হয় না।[/su_highlight]

বরং অবৈধ ভাবে সেই মালিকের সম্পদ ব্যবহার করা হয়। চলুন বিষয় টা আরেকটু উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি।

মনে করুন, আমরা যে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা দেখি। এই সিনেমা গুলো নির্দিষ্ট একটি দিনে রিলিজ হয়। আর যেদিন এই সিনেমা টি রিলিজ হবে।

সেদিন বিভিন্ন হল মালিক এবং অনলাইন, অফলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলো। তাদের কাছ থেকে উক্ত সিনেমা টি প্রচুর পরিমাণ টাকা দিয়ে কিনে নিবে।

কিন্তু এক শ্রেণীর লোক আছে, যারা এই কাজটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে দিবে না।

বরং সেই মানুষ গুলো সিনেমা রিলিজ হওয়ার ডেট এর আগেই। উক্ত সিনেমা টি সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিবে।

যেমন, একজন হল মালিকের যদি একটি সিনেমা কিনতে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়।

তাহলে পাইরেসির কারণে এই সিনেমা গুলো মাত্র দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েই হলের মালিকরা কিনে নিতে পারে।

মূলত এই ধরনের কাজ গুলো কে বলা হয়ে থাকে, পাইরেসি। আর শুধুমাত্র সিনেমার জগতে পাইরেসি হয়না।

বরং আপনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে এই ধরনের পাইরেসি লক্ষ্য করতে পারবেন।

সফটওয়্যার পাইরেসি কি – (What Is Software Piracy)

আমরা শুরুতেই জানতে পেরেছি, পাইরেসি কি (Software Piracy ki)। তো এবার আমি সফটওয়্যার পাইরেসি কি বা সফটওয়্যার পাইরেসি কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

আমি উপরে আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম। সেটি হলো, আপনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পাইরেসি দেখতে পারবেন।

আর তারমধ্যে অন্যতম এক ধরনের পাইরেসি হল, সফটওয়্যার পাইরেসি।

এই পৃথিবীতে আপনি যতগুলো ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহারকারী দেখতে পারবেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০% মানুষ এই ধরনের পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করে।

এবং আপনি যদি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, তারা এই ধরনের পাইরেসির দিক থেকে আরও অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে।

সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে, যখন কোন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির অনুমোদন, অনুমতি না নিয়ে। তার সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

এর পাশাপাশি সেই সফটওয়্যার গুলো মডিফিকেশন, বিক্রয়, বিতরণ করা হয়। তখন তাকে বলা হয়ে থাকে, সফটওয়্যার পাইরেসি।

অর্থাৎ কোন একটি কোম্পানি তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে যখন একটি সফটওয়্যার তৈরি করে।

এবং সেই সফটওয়্যার গুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে। তখন একদল অসৎ ব্যক্তিরা সেই সফটওয়্যার কে অবৈধভাবে চুরি করে।

এবং তারা খুব অল্প পরিমাণ মূল্যে সেই কষ্টে অর্জিত সফটওয়্যার গুলো বিতরণ করে দেয়। আর একেই বলা হয়, সফটওয়্যার পাইরেসি।

সফটওয়্যার পাইরেসির সংজ্ঞা – (Definition of software piracy)

Software Piracy কি তা আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি।

তো এবার আমি আপনাকে সফটওয়্যার পাইরেসি এর সংজ্ঞা জানিয়ে দিব।

এতে করে আপনি আরো খুব সহজ ভাবে বুঝতে পারবেন যে, সফটওয়্যার পাইরেসি কাকে বলে। এবং সফটওয়্যার পাইরেসি কি।

আর উপরের আলোচনাতে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, একটি কোম্পানি যখন অনেক টাকা ব্যয় করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করে।

তখন তাদের অনুমতি ছাড়াই এই সফটওয়্যার টি চুরি করে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, সফটওয়্যার পাইরেসি।

আর সফটওয়্যার পাইরেসি সংজ্ঞার মধ্যে আপনি একই বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

কারণ যখন কোনটি সফটওয়্যার আইনগত ভাবে ব্যবহার করা হয় না।

এবং সফটওয়্যার এর আসল মালিকের অনুমতি ছাড়াই কপি তৈরি করা, বিতরণ করা এবং পরিবর্তন করে।

অসৎ উপায়ে বিক্রি করার সমগ্র প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, সফটওয়্যার পাইরেসি।

আর আমরা যারা সফটওয়্যার ব্যবহার করি বা সফটওয়্যার ডেভেলপ করার কাজ করি। তারা বেশ ভালো করেই জানি যে, একটি সফটওয়্যার তৈরি করার বেশ কিছু আইন রয়েছে।

আর যখন কোন একজন ব্যক্তি সেই সফটওয়্যার এর আইন গুলো অমান্য করে। অবৈধ ভাবে অন্য কোন আর একজন ব্যক্তির সফটওয়্যার ব্যবহার করবে, বিক্রি করবে।

তখন তা আইনের বিরুদ্ধে চলে যাবে। এবং এই বিশেষ ধরনের অবৈধ কাজকে বলা হয়ে থাকে সফটওয়্যার পাইরেসি।

আশা করি, আপনি এই স্বল্প আলোচনা থেকে পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন যে, সফটওয়্যার পাইরেসি কাকে বলে।

সফটওয়্যার পাইরেসির ধরণ-ধারণ

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, সফটওয়্যার পাইরেসি কি। তো এবার আমি আপনাকে সফটওয়্যার পাইরেসির ধরন ধারন জানিয়ে দিব।

অর্থাৎ আমরা যে সফটওয়্যার পাইরেসি নামক শব্দ শুনে থাকি। এই সফটওয়্যার পাইরেসি আসলে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু সফটওয়্যার পাইরেসির ধরন হলোঃ

  1. ইন্টারনেট পাইরেসি, 
  2. বুলেটিন বোর্ড পাইরেসি, 
  3. হার্ডডিস্ক লোডিং পাইরেসি,
  4. কাউন্টার ফিটিং পাইরেসি, 
  5. সফট লিফটিং পাইরেসি

তো উপরে আপনি বেশ কিছু প্রকারের সফটওয়্যার পাইরেসি এর নাম দেখতে পাচ্ছেন।

তো এই নাম গুলো দেখার পর এবার আপনাকে উক্ত পাইরেসির ধরন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, সফটওয়্যার পাইরেসি কি এবং সফটওয়্যার পাইরেসি কত প্রকার ও কি কি।

তো চলুন এবার উক্ত সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সফটওয়্যার পাইরেসির প্রকার

সবার শুরুতেই আমরা জানতে পেরেছি, সফটওয়্যার পাইরেসি কি। এরপর আমি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসির নাম জানিয়ে দিয়েছি।

তো এবার আমি আপনাকে সেই বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসি গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জানিয়ে দিব।

যেন আপনি সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানতে পারেন।

সফটলিফটিং পাইরেসি

আপনি মোট যত গুলো সফটওয়্যার পাইরেসি এর নাম জানতে পারবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হল, সফট লিফটিং পাইরেসি।

আর বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার গুলো তে। এই ধরনের পাইরেসির সাথে সম্পর্ক যুক্ত সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে থাকি।

আর এই কথাটি শোনার পর আপনার মনে হতে পারে যে, কিভাবে আপনি আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এই ধরনের সফট লিফটিং পাইরেসি যুক্ত সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করছেন।

তো যদি আপনার মনে এমনটা জেগে থাকে তাহলে শুনে নিন। এই ধরনের পাইরেসি করার জন্য, প্রথমত একজন ব্যক্তি একটি সফটওয়্যার কোম্পানি থেকে তার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার কিনে নেয়।

এরপরে তার কিনে নেওয়া সেই সফটওয়্যার টি বিভিন্ন মানুষের কাছে অল্প দামে বিক্রি করে দেয়।

এর পাশাপাশি যখন সেই ব্যক্তি মূল কোম্পানি থেকে সফটওয়্যার কিনে নেয়। তখন মূল কোম্পানি তাকে একটি লাইসেন্স প্রদান করে।

যার ফলে পরবর্তী সময়ে একজন ব্যক্তি একাধিক মানুষের কাছে সেই লাইসেন্স যুক্ত সফটওয়্যার টি বিক্রি করতে পারেন।

আর এই ধরনের বিশেষ সফটওয়্যার পাইরেসি কে বলা হয়ে থাকে, সফট লিফটিং পাইরেসি।

ক্লায়েন্ট সার্ভারের অতিরিক্ত ব্যবহার

দেখুন যেহেতু একটি কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি করে। সেহেতু অবশ্যই তার সফটওয়্যার এর যাবতীয় সুবিধা গুলো তার কাস্টমারদের দিতে হবে।

এক্ষেত্রে কোম্পানিরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তাদের কাস্টমারদের সফটওয়্যার রিলেটেড সকল ধরনের সুবিধা দেওয়ার।

আর এই বিশেষ সুবিধাটি ভোগ করতে গিয়ে অনেক মানুষ আছেন।

যারা অবাক করার মত এক ধরনের পাইরেসি করে থাকে। যাকে বলা হয়ে থাকে, ক্লায়েন্ট সার্ভার পাইরেসি।

যার ফলে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে।

কারণ তাদের সফটওয়্যার এর মধ্যে যখন পাইরেসি যুক্ত হয়ে যায়। তখন অধিক পরিমাণ ব্যবহারকারী তাদের সার্ভার এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়।

এর ফলে তাদের কে বাড়তি ব্যবহারকারীদের চাপ সহ্য করতে হয়। কেননা যখন একটি সার্ভারের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহারকারী বাড়বে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তখন সেই সার্ভার এর উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। আর এই বিশেষ সুবিধাটি ভোগ করে এক ধরনের অসৎ শ্রেণীর মানুষ।

যারা কোম্পানির থেকে একটি লাইসেন্স কিনে নিয়ে তাদের সফটওয়্যার টি বিভিন্ন মানুষের কাছে অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেয়।

হার্ড ডিস্ক লোডিং পাইরেসি

আমি উপরে আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম। সেই কথাটি হল, আমাদের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত কম্পিউটার গুলো তে অধিকাংশ সময় পাইরেসি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু তখন আমি বলিনি যে, কিভাবে আমরা নিজের অজান্তে এই ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসির সাথে যুক্ত হয়ে যাই।

এবার আমি আপনাকে এই বিষয় টি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা দিব।

যেন আপনি জানতে পারেন যে, আমরা কিভাবে সফটওয়্যার পাইরেসির সাথে অন্তর্ভুক্ত আছি।

দেখুন আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার গুলো অন্য আরেকটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে কপি করে নেই।

এবং এভাবে একটি কম্পিউটার থেকে আরও বিভিন্ন কম্পিউটারে এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো। কোন ধরনের লাইসেন্স না নিয়েই ব্যবহার করা হয়।

যার ফলে যে কোম্পানি গুলো এই সফটওয়্যার তৈরি করে। তারা তাদের সফটওয়্যার তৈরি করার বিনিময়ে কোনো ধরনের ইনকাম করতে পারেনা।

যার ফলে সফটওয়্যার আইনের ভাষায় এই ধরনের কাজ গুলো কে বলা হয়ে থাকে, হার্ডডিস্ক লোডিং পাইরেসি।

জালিয়াতি বা কাউন্টার ফেইটিং পাইরেসি

আপনি এতক্ষণ ধরে যে, সকল সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তার মধ্যে সবচেয়ে জঘন্যতম এক ধরনের পাইরেন্সি হল, জালিয়াতি বা কাউন্টার ফিটিং পাইরেসি।

কেননা এই ধরনের অবৈধ কাজ গুলো বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মানুষ করে থাকে। দেখুন সফটওয়্যার পাইরেসি করার জন্য কোন ধরনের কোডিং জানার প্রয়োজন হয় না।

সফটওয়্যার পাইরেসি করার জন্য কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না।

যার ফলে মানুষ ক্রমাগত ভাবে এই ধরনের কাউন্টার ফিটিং পাইরেসির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কেননা যখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানি কোন একটি সফটওয়্যার তৈরি করে।

তখন কিন্তু সেই কোম্পানি কে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার ডেভেলপ করা ব্যক্তিদের হায়ার করতে হয়।

এবং তাদের কে প্রচুর পরিমাণ অর্থ দিয়ে একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়ম কিন্তু এমন অনেক ব্যক্তি আছেন।

যারা মূলত তাদের পরিশ্রম করে প্রোগ্রাম এবং কোডিং দিয়ে তৈরি করা সফটওয়্যার গুলো।  হুবহু কপি করে দেয় অর্থাৎ তারা তাদের সফটওয়্যার গুলো তে যে প্রোগ্রাম ব্যবহার করে।

সেই প্রোগ্রাম গুলো কপি করে আরো একটি সিমিলার সফটওয়্যার তৈরি করে। আর এই কাজটি করার জন্য তাদের কে কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না।

এর পাশাপাশি প্রোগ্রাম জানারও প্রয়োজন হয় না। সে কারণে তারা শুধুমাত্র কপি করে এই ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করে।

এবং খুব অল্প দামে মানুষের কাছে সেই সফটওয়্যার গুলো বিক্রি করে দেয়।

আর এর কারণে এই ধরনের জঘন্যতম সফটওয়্যার পাইরেসি কে বলা হয়ে থাকে, জালিয়াতি পাইরেসি।

ইন্টারনেট পাইরেসি

বর্তমান সময় হল ইন্টারনেট এর যুগ। আর সে কারণে সফটওয়্যার পাইরেসির প্রবণতা একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

আর এই ইন্টারনেট সফটওয়্যার পাইরেসির পরিমাণ যে কতটা ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গেছে। তা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।

কারণ ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা হওয়ার কারণে আমরা অধিকাংশ মানুষ এখন ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করি।

আর এই ধরনের প্লাটফর্ম গুলো দিয়ে খুব সহজেই যেকোনো ধরনের সফটওয়্যার কিংবা ফাইল।

একটি ডিভাইস থেকে অন্য আরেক টি ডিভাইসের মধ্যে ট্রান্সফার করা সম্ভব।

এর ফলে আমরা নিজের অজান্তেই সফটওয়্যার পাইরেসির সাথে যুক্ত হয়ে যাই। কেননা আমরা যারা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করি।

তাদের বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাবেন।

যারা তাদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা সফটওয়্যার গুলোর জন্য কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করেনি।

অর্থাৎ অধিকাংশ ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার গুলো তে যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সেগুলো তারা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নেয়।

মূলত একে বলা হয়ে থাকে ইন্টারনেট সফটওয়্যার পাইরেসি।

সফটওয়্যার পাইরেসি এর বিপদ সমূহ

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন পাইরেসি কি এবং সফটওয়্যার পাইরেসি কাকে বলে।

তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে। সেটি হল, যদি এই ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসি ক্রমাগত ভাবে চলতে থাকে।

তাহলে কি কি বিপদ হতে পারে তা জেনে নেয়া আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। কেননা এই ধরনের কারণে বিভিন্ন ধরনের বিপদ সংঘটিত হয়।

আর এবার আমি আপনাকে এই বিপদ গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। চলুন এবার সফটওয়্যার পাইরেসির বিপদসমূহ জেনে নেওয়া যাক।

  1. সফটওয়্যার এর মধ্যে ত্রুটির পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। কেননা যারা সফটওয়্যার পাইরেসি করে। তারা অবৈধ ভাবে এই সফটওয়্যার গুলো বিক্রি করে থাকে।
  2. পাইরেসি যুক্ত সফটওয়্যার গুলো অবৈধ হওয়ার কারণে। এই ধরনের সফটওয়্যার গুলোতে আপগ্রেড বা নতুন সংযোজন করার সুযোগ থাকে না।
  3. সফটওয়্যার পাইরেসির পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে একটি ভাল সফটওয়্যারের মধ্যে। অনেক ধরনের ভাইরাস থাকতে পারে। যেমন, ম্যালওয়্যার, র‍্যামসম হোয়ার ইত্যাদি।
  4. এই ধরনের পাইরেসি সফটওয়্যার ব্যবহার করার কারণে কম্পিউটারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে।
  5. কম্পিউটার হ্যাকিং হওয়ার অন্যতম কারণ হলো সফটওয়্যার পাইরেসি। কারণ যে সফটওয়্যার গুলো আমরা ব্যবহার করি। সেই সফটওয়্যার গুলো তেই ভাইরাস যুক্ত করে দেওয়া হয়।
  6. এই ধরনের বেআইনি সফটওয়্যার গুলো আমাদের কম্পিউটার কে অনেক স্লো এবং হ্যাং করে দেয়।
  7. সফটওয়্যার পাইরেসি এর কারনে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি তাদের নির্ধারিত অর্থ উপার্জন করতে ব্যর্থ হয়।
  8. সফটওয়্যার পাইরেসির মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি কে পুরোপুরি ভাবে ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।

তো সফটওয়্যার পাইরেসির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কি ধরনের বিপদ হতে পারে। সে গুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

আর আলোচিত এই আলোচনায় আপনি স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছেন। সফটওয়্যার পাইরেসির মাধ্যমে কি কি অসুবিধা হতে পারে।

চলুন এবার সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধ এর উপায় গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।

সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধের উপায়

আমরা সফটওয়্যার পাইরেসি কি সে সম্পর্কে জেনেছি। এর পাশাপাশি কত ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

আর আমরা এখন এটাও জানি যে, সফটওয়্যার পাইরেসির কারণে কি কি ধরনের বিপদ হতে পারে।

কিন্তু কেমন হয় যদি সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধের উপায় গুলোর মাধ্যমে এই ধরনের অবৈধ কাজ গুলো রোধ করা যায়?

কেননা বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাইরেসির প্রতিরোধ এর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেমনঃ

  1. আমাদের সকলের উচিত দেশের প্রচলিত আইন কে সম্মান জানানো এবং দেশের আইন মেনে চলা।
  2. যখন আপনি কোন ধরনের সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন। তখন অবশ্যই সেই সফটওয়্যার এর মধ্যে থাকা টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন।
  3. যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন এই ধরনের পাইরেসি সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার না করার।
  4. কারণ যখন মানুষ অবৈধভাবে সফটওয়্যার ব্যবহার করবে না। তখন কেউ এই কাজে আগ্রহী হবে না।
  5. যদি কোন একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করার সময় আপনি দেখতে পান। যে উক্ত সফটওয়্যার টি কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করছে। তাহলে আপনি সেই সফটওয়্যার টি ইন্সটল করবেন না।
  6. অবৈধভাবে সফটওয়্যার কিনে বিনামূল্যে ব্যবহার করব এমন চিন্তা ধারা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

দেখুন আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে সফটওয়্যার পাইরেসি রোধ করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।

কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ যদি এই সফটওয়্যার পাইরেসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। তাহলে কিন্তু খুব সহজেই এই ধরনের অবৈধ কাজ গুলো রোধ করা সম্ভব হবে।

তবে তার জন্য অবশ্যই আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে এই ধরনের পাইরেটেড সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।

কপিরাইট কি

কপিরাইট হল মেধা সম্পত্তি আইনের একটি রূপ যা একটি মূল কাজের স্রষ্টাকে একচেটিয়া অধিকার প্রদান করে।

এটি সাহিত্যিক, নাটকীয়, বাদ্যযন্ত্র, শৈল্পিক কাজ এবং অন্যান্য ধরণের বৌদ্ধিক সম্পত্তি সহ প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত উভয় কাজই কভার করে।

একটি কপিরাইট মালিককে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের কাজ পুনরুত্পাদন, বিতরণ বা প্রদর্শনের একচেটিয়া অধিকার দেয় ৷

কপিরাইট আইন কি?

যেহেতু আজকে আমি সফটওয়্যার পাইরেসি কি সে বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেহেতু এবার আপনাকে এই রিলেটেড একটা অজানা বিষয় জানিয়ে দিব।

সেটা হল, কপিরাইট আইন কি। হয়তোবা আমরা অনেকেই জানিনা যে, কপিরাইট আইন কি।

তো সে কারণে এবার আমি আপনাকে এই কপিরাইট সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। কারণ এর সাথে সফটওয়্যার পাইরেসির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

আপনি আরোও পড়ুন…

আর কপিরাইট আইন হলো এমন এক ধরনের বিশেষ আইন। যেখানে অনুমতি ছাড়াই অন্য কোন ব্যক্তির লেখা, ছবি, ভিডিও কিংবা তার কোন ধরনের উপাদান ব্যবহার করেন।

তাহলে তা কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করা হবে। আর আপনি যখন এই ধরনের কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করবেন।

তখন আপনার আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি হতে পারে। আর এই ধরনের বিশেষ আইন কে বলা হয়ে থাকে, কপিরাইট আইন।

সফটওয়্যার পাইরেসি সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের যতটা সহজলভ্যতা বাড়ছে। তেমনি ভাবে এই ইন্টারনেটের মধ্যে অবৈধ কাজের প্রবণতা ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর সেই সকল অবৈধ কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, সফটওয়্যার পাইরেসি। যার চাহিদা এখন তুঙ্গে।

কিন্তু এই সফটওয়্যার পাইরাসির কারণে আমরা সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

একটি সফটওয়্যার কোম্পানি কতটা লস এর শিকার হচ্ছে। আজকে আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তো আশা করি, আজকের এই স্বল্প আলোচনা থেকে আপনি সফটওয়্যার পাইরেসি কি। এবং সফটওয়্যার পাইরেসি রিলেটেড যে সকল বিষয়ে আছে।

সে বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য জেনে নিতে চান। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।

আর ধন্যবাদ! এতক্ষণ থেকে আমাদের পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top