শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় এবং টিপস গুলো

শেয়ার বাজারে লাভ করার উপায় : আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আমরা শেয়ার বাজার সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় জানবো।

শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় এবং টিপস গুলো
শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায়

যেমন, শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় কি, শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কৌশল সে সম্পর্কে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা।

তবে আপনি যদি শেয়ার বাজারের সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

আর আপনি যদি এই উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের এই আলোচনাটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

তাই চেষ্টা করবেন আজকের পুরো লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার। তাহলে আপনি শেয়ার বাজারে মাক্সিমাম লাভ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি দীর্ঘদিন থেকে শেয়ার বাজারের সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনার একটা বিষয় বেশ ভালো করেই জানা থাকবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

আর সেটি হলো সময় এর সাথে সাথে এখন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সবাই কিন্তু শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় গুলো জানে না।

আর সে কারণে অনেক সময় অধিকাংশ মানুষ শেয়ার বাজারে আশানুরূপ লাভ করতে পারে না। তো আপনি যাতে করে এই লস এর সম্মুখীন না হন।

সে কারণে এবার আমি শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায়, ভালো শেয়ার চেনার উপায়, শেয়ার কেনার সঠিক সময় এবং শেয়ার বাজার থেকে আয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

শেয়ার মার্কেট থেকে ম্যাক্সিমাম ইনকাম করার উপায়

দেখুন বর্তমান সময়ে মানুষের অর্থ বিনিয়োগ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো স্টক মার্কেট। যার মাধ্যমে মানুষ তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।

এর পাশাপাশি সেই অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। কেননা মানুষ এখন খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে যে, আজকে যখন কেউ বিনিয়োগ করবে।

তখন কিন্তু ভবিষ্যতে তার এই বিনিয়োগ করার মাধ্যমে লাভবান হতে পারবে। যদিও বা অতীতের দিন গুলো তে স্টক মার্কেট নিষিদ্ধ বিনিয়োগ এর তালিকায় ছিল।

তবে বর্তমান সময়ে মানুষের কাছে এই স্টক মার্কেট এক ধরনের বিশেষ শিল্পের ন্যায় রূপান্তর হতে পেরেছে।

আর সে কারণে আপনি বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত জানতে চায় যে, শেয়ার বাজারে কিভাবে অর্থ উপার্জন সম্ভব।

অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যদি শেয়ার বাজারের সাথে যুক্ত থাকে। তাহলে সে ব্যক্তি কিভাবে উপার্জন করতে পারবে এবং কিভাবে লাভবান হতে পারবে।

আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এবার আমি আপনাকে খুব ছোট্ট কিছু পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যে একজন ব্যক্তি কিভাবে শেয়ার বাজার থেকে উপার্জন করতে পারবে।

তো আমরা সবাই কমবেশি ফিক্সড ডিপোজিট এর কথা শুনেছি। এবং আমরা অনেকেই জানি যে, ফিক্সড ডিপোজিট এর মধ্যে আপনি যদি কোন ধরনের অর্থ রাখেন বা বিনিয়োগ করেন।

তাহলে আপনি প্রতি বছরে আপনার বিনিয়োগ করা অর্থের উপর ভিত্তি করে ৬% থেকে ৮% পর্যন্ত সুদ পাবেন।

যেখান থেকে আপনি আপনার বিনিয়োগ করা অর্থের উপর ভিত্তি করে বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন।

কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিট এর মধ্যে একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদের হারের উপর ভিত্তি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

অপর দিকে আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। তাহলে কিন্তু আপনার এই উপার্জন করার পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

কেননা এখানে আপনি সর্বনিম্ন ১০০% থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০% বা তারও বেশি লাভ করতে পারবেন। তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

শেয়ার বাজার বনাম ফিক্সড ডিপোজিট কোনটি তে সবচেয়ে বেশি লাভ করা সম্ভব।

তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, এক্ষেত্রে অবশ্যই শেয়ার বাজার এগিয়ে থাকবে।

কেননা অন্যান্য বিনিয়োগ এর তুলনায় আপনি যদি শেয়ার বাজারের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, শেয়ার বাজার হলো অনেক ফ্লেক্সিবল এক ধরনের পদ্ধতি।

যেখানে আপনি সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন।

শেয়ার বাজারে লাভ করার উপায় এবং টিপস

তো যেহেতু আজকের আলোচনার মূল টপিক হল, শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।

সেহেতু এবার আমি আপনাকে শেয়ার বাজারে লাভ করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব। এর পাশাপাশি আপনাকে বেশ কিছু গোপন টিপস দিব।

যেগুলো অনুসরণ করে আপনি অন্যান্য বিনিয়োগ কারির তুলনায়। শেয়ার বাজার থেকে অধিক পরিমাণ লাভ করতে পারবেন।

আর আপনি যদি এই লাভের অধিকার হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় এবং শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে এগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

সবার আগে শেয়ার বাজার শিখুন

আপনি যদি শেয়ার বাজারে মেক্সিমাম লাভ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, [su_highlight background=”#9b51e0″]আপনি যখন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই সব দিক বিচার বিবেচনা করবেন। যদিও বা শেয়ার বাজার হলো বিনিয়োগ করার অন্যতম একটি মাধ্যম। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার উপযুক্ত একটি উপায়।[/su_highlight]

তবে একজন ব্যক্তি চাইলেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবে না। কেননা সবাই যদি এমনটা করতে পারতো।

তাহলে কোন মানুষ আর টাকার অভাবে থাকতো না। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানতে হবে, শেয়ার বাজার কি সে সম্পর্কে বুঝতে হবে।

তবে যে সকল মানুষ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লস এর শিকার হয়। তাদের অধিকাংশ মানুষ শেয়ার বাজার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এমন লস এর শিকার হয়।

কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার মধ্যে শেয়ার বাজার সম্পর্কে অজ্ঞতা থাকবে। ততক্ষণ আপনি এই মাধ্যমে অর্থ বিনিয়োগ করে কোন ধরনের লাভের মুখ দেখতে পারবেন না।

তাই সবার আগে আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লাভ করার সম্ভাবনা গুলো কে নিজের মধ্যে ধরে রাখুন। তবেই আপনি শেয়ার বাজার থেকে লাভ করতে পারবেন।

আপনি কোন ধরণের ট্রেডার সেটা ঠিক করুন

যেহেতু আপনি শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনার একটি বিষয় জানা থাকবে।

সেটি হলো মার্কেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং স্টাইল রয়েছে। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী চাইলে যে কোনো ধরনের ট্রেডিং স্টাইল ব্যবহার করে তার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে।

তবে যখন আপনি শেয়ার বাজারের মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই নিজেকে একটা প্রশ্ন করবেন।

আর সেই প্রশ্ন টি হল, আপনি কি ট্রেডার হতে চান নাকি একজন ইনভেস্টর হতে চান। এক্ষেত্রে আপনি যদি ট্রেডার হতে চান।

তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এবং সেই বিনিয়োগের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন।

অপরদিকে আপনি যদি একজন ইনভেস্টর অথবা একজন বিনয়কারী হতে চান। তাহলে কিন্তু আপনি দীর্ঘ সময় ধরে শেয়ার মার্কেটের মধ্যে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এবং দীর্ঘ সময় পরে বড় মাপের একটা লাভ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজেকে একজন ট্রেডার হিসেবে চিহ্নিত করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার বিনিয়োগ করার লক্ষ্য গুলো কে স্থির করবেন। এবং সেই লক্ষ্য গুলো নিয়ে ঠান্ডা মস্তিষ্কে ভাববেন।

তারপর আপনি আপনার ট্রেডার অনুযায়ী আপনার অর্থ বিনিয়োগ করা শুরু করবেন। তাহলে আপনি শেয়ার বাজার থেকে মুনাফা উপার্জন করতে পারবেন।

অন্যথায় আপনাকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লস স্বীকার করে নিতে হবে।

আপনার লক্ষ্য গুলো স্থির করুন

একজন মানুষ যখন কোন একটি কাজ শুরু করে তখন অবশ্যই তার মধ্যে একটা লক্ষ্য থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি শেয়ার বাজারের মধ্যে বিনিয়োগ করবেন।

তখন আপনাকে আপনার লক্ষ্য গুলো স্থির রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে হবে যে, আপনি কি লং টাইম বা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে চান।

নাকি আপনি একজন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী হিসাবে খুব স্বল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে চান।

কেননা আপনি যদি শেয়ার বাজার থেকে অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে।

যেমন ধরুন, আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা মূলত খুব ছোট ছোট মুনাফার দিকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে।

আর আপনি যদি এমন মুনাফা অর্জন করার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে শর্ট টাইম বা স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগ করতে হবে।

তাহলে আপনি খুব দ্রুত অল্প করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি লং টাইম এর জন্য বিনিয়োগ করতে চান।

যদি আপনার লক্ষ্য অনেক অর্থ উপার্জন করার দিকে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে লং টাইম এর জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগ এর উপর উপার্জিত অর্থের পরিমাণ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

আপনার ঝুঁকির নেওয়ার ক্ষমতাটা বুঝে নিন

দেখুন আপনি যেকোন মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন না কেন। অবশ্যই সেই মাধ্যমের মধ্যে ঝুঁকি থাকবে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি শেয়ার বাজার এর মধ্যে এমন কোথাও দেখতে পারবেন না।

যে এখানে বিনিয়োগ করলেই আপনি শতভাগ লাভবান হতে পারবেন। কেননা শেয়ার বাজারের মধ্যে যারা বিনিয়োগ করে তারা যেমন মুনাফা অর্জন করে।

ঠিক তেমনি ভাবে এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ লস করে ফেলেছে।

আর এখান থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, শেয়ার বাজার এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ঝুঁকি রয়েছে।

আর সে কারণে অবশ্যই আপনাকে আপনার ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বুঝে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন।

এবং দুর্ঘটনা বশত যদি আপনি আপনার সেই বিনিয়োগ করা অর্থ লস করে ফেলেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি সেই ঝুঁকি সামলাতে পারবেন কিনা।

তা অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই বুঝতে হবে। আর এটি বোঝার পর যদি আপনার মনে হয়, আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যদি লস খান।

তাহলে আপনি সেই ঝুঁকি সামলে নিতে পারবেন। তবে আপনি নিশ্চিন্তে শেয়ার বাজারের মধ্যে বিনিয়োগ করুন।

আপনার বিনিয়োগের বিকল্প গুলো জানুন

সত্যি বলতে যখন কোন একজন ব্যক্তি স্টক বাজারের মধ্যে প্রবেশ করে। তখন সেই ব্যক্তির অর্থ বিনিয়োগ করার বিভিন্ন রকম মাধ্যম সৃষ্টি হয়।

তো এই অর্থ বিনিয়োগ করার অন্যতম কিছু মাধ্যম হলো মিউচুয়াল ফান্ড, ইকুইটি ইত্যাদি। এখন আপনাকে ভাবতে হবে যে, আপনি শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি।

আর অন্য কোন মাধ্যম গুলো তে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করলে অধিক পরিমাণ লাভবান হতে পারবেন।

আর সে কারণে যখন আপনি শেয়ার মার্কেটের মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই এর বিকল্প উপায় গুলো সম্পর্কে জানবেন।

আপনি আরোও দেখুন…

এবং ঠান্ডা মস্তিষ্কে ভাববেন যে, আপনি আসলে কোন মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

এবং কোন মাধ্যম গুলো তে আপনি ভালভাবে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার মনে হয় যে, আপনি শেয়ার বাজার থেকে অধিক লাভবান হতে পারবেন।

তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করুন। নতুনবা শেয়ার বাজার এর বিকল্প উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে।

একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও নির্মাণ করুন

একটা সহজ বিষয় চিন্তা করে দেখুন। মনে করুন আপনি বিভিন্ন স্টক এর মধ্যে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।

সেক্ষেত্রে যদি আপনার কোন একটি স্টক এর মধ্যে বিনিয়োগ করা অর্থ লস হয়ে যায়। তাহলে কিন্তু আপনি অন্যান্য স্টক থেকে আয় করা অর্থের মাধ্যমে। এই লস এর পরিমাণ পুষিয়ে নিতে পারবেন।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনার লস এবং লাভের সামঞ্জসতা বিদ্যমান থাকবে। কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র একটি স্টকে এর মধ্যে আপনার সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করে দেন।

এবং দুর্ঘটনা বশত আপনার সেই বিনিয়োগ করা অর্থ লস হয়ে যায়। তাহলে কিন্তু আপনি একেবারেই পুরো মূলধন হারিয়ে ফেলবেন।

এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি লাভবান হতে পারে, যে ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্টক এর মধ্যে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে।

কেননা তারা ভালো করেই বুঝতে পারে যে, স্টক মার্কেট হলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটি মার্কেট। আর আপনি এই ধরনের স্টক মার্কেট থেকে শতভাগ লাভবান হতে পারবেন।

এই বিষয়ে কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না। মূলত সে কারণে আপনি যদি বিভিন্ন স্টক এর মধ্যে আপনার মূলধন বিনিয়োগ করেন।

তাহলে একটি স্টক থেকে লস করার পরে। আপনি অন্যান্য স্টক থেকে লাভ করতে পারবেন।

এবং আপনি যে পরিমাণ টাকা লস করবেন। তার মধ্যে সামঞ্জসতা নিয়ে আসতে পারবেন।

কখনওই শেয়ার মার্কেটকে অগাধ সময় দেবেন না

যারা মূলত স্টক মার্কেট এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করে। তাদের প্রত্যেকের একটি স্বপ্ন রয়েছে। আর সেই স্বপ্নটি হল, তারা কম দামে স্টক কিনে নিবে।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই কিনে নেওয়া স্টক গুলো অনেক চড়া দামে বিক্রি করবে। তবে সবার মনের মধ্যে এই ধরনের স্বপ্ন থাকলেও।

সবাই কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। কেননা আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা মূলত শেয়ার মার্কেটের দাম কমার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।

আর এই অপেক্ষার প্রহর এতটাই দীর্ঘ হয়। যার ফলে অনেকেই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার সুযোগ হারিয়ে ফেলে।

কারণ সব ক্ষেত্রেই আপনি কম দামে স্টক কিনে সেটি চড়া দামে বিক্রি করতে পারবেন বিষয়টা এমন হবে না। তাই আপনাকে মিনিমাম রেটে স্টক কিনে নিতে হবে।

এবং সেগুলো পরবর্তীতে আপনি বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র স্টক এর দাম কমার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকেন।

তাহলে কিন্তু আপনি অধিক সময় ভালো ভালো স্টক গুলো তে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হবেন।

তাই সঠিক সময় থাকতে আপনি মিনিমাম রেটে স্টক কিনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু ভুলেও স্টক এর দাম কমে যাওয়ার অপেক্ষায় অগাধ সময় দিবেন না।

সঠিক স্টক নির্বাচন করুন

যারা মূলত শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করে। তারা সবাই চায় এমন এক ধরনের স্টক কিনে নিতে।

যে স্টক কিনে নেওয়ার পর পরবর্তী সময়ে বিক্রি করে অধিক পরিমাণে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে আপনি যদি এই কাজ টি করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিশেষ একটি বিষয় দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর সেটি হল, আপনাকে অবশ্যই সঠিক স্টক নির্বাচন করতে হবে।

অর্থাৎ যখন আপনি কোন একটি স্টক কিনে নিবেন। তখন আপনাকে ভাবতে হবে যদি আপনি এই স্টক কিনে নেওয়ার পরে পরবর্তী সময়ে বিক্রি করেন।

তাহলে আপনি লাভ করতে পারবেন নাকি এই স্টক বিক্রি করার সময় আপনাকে লস এর সম্মুখীন হতে হবে।

আর আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বুঝতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্টক মার্কেট নিয়ে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

আর যখন আপনার অর্থ বিনিয়োগকারী এই মাধ্যম গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান থাকবে। তখন আপনি সঠিক স্টক নির্বাচন করতে পারবেন।

এছাড়াও যখন আপনি কোন স্টক কেনার চিন্তা করবেন। তখন অবশ্যই আপনি এই বিষয় গুলো নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে রিসার্চ করতে পারবেন।

তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই ধরনের শেয়ার বাজার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। নতুবা আপনি সঠিক স্টক নির্বাচন করতে ব্যর্থ হবেন।

অনুসন্ধান করা অতি গুরুত্বপূর্ণ

যখন আপনি শেয়ার বাজারের মধ্যে আপনার অর্জিত অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন সর্বদাই একটা কথা মাথায় রাখবেন।

আর সেই কথাটি হল, আপনি কিন্তু আপনার কষ্ট করে অর্জন করা টাকা গুলো এখানে নষ্ট করার জন্য আসেন নি। তাই যখন আপনি বিনিয়োগ করবেন, তখন সব দিক বিচার বিবেচনা করবেন।

তারপর কোন স্টক এর মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু এই বিচার বিবেচনা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অনুসন্ধান করা শিখতে হবে।

আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনি যে সকল স্টক কিনে নেয়ার কথা ভাবছেন। সেগুলো কি আদৌ কিনে নিয়ে লাভ করতে পারবেন।

নাকি এই ধরনের স্টক গুলো তে বিনিয়োগ করলে আপনার লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তাই আপনার মধ্যে যতটা শক্তি আছে, ততটা শক্তি দিয়ে আপনি স্টকের মধ্যে বিনিয়োগ করার আগে অনুসন্ধান করুন।

আর আপনি যত বেশি অনুসন্ধান করতে পারবেন, আপনি ততো বেশি শিখতে পারবেন।

মূলত এই অনুসন্ধান এর মাধ্যমে আপনি যে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। সেটা কিন্তু আপনাকে অন্য কেউ শিখিয়ে দিতে পারবে না।

এভাবে আপনি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে যত অনুসন্ধান করবেন, তত জানতে পারবেন।

আর এভাবে একটা সময় আপনি স্টক এর মধ্যে বিনিয়োগ করার আগে থেকেই বুঝতে পারবেন।

যে কোন ধরনের স্টক গুলোতে বিনিয়োগ করা উচিত। আর কোন ধরনের স্টক গুলো এড়িয়ে চলা ভালো হবে।

স্টক বিক্রির সঠিক সময় নির্ধারণ করুন

শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্টক বিক্রির সঠিক সময় নির্ধারণ করা।

অর্থাৎ আপনি যে স্টক এর মধ্যে বিনিয়োগ করেছেন। সেটি কখন বিক্রি করলে আপনি লাভবান হতে পারবেন। তা আপনাকে যথেষ্ট বিচার বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হবে।

কেননা স্টক কেনার পর বহুদিন ধরে সেই স্টক পড়ে থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে আপনি সেই স্টক পুরোপুরি ভাবে বিক্রি করে দিবেন না।

বরং আপনাকে ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। এবং যথেষ্ট ধৈর্যের সাথে আপনার বিনিয়োগ করা স্টক বিক্রি করতে হবে।

হয়তোবা আপনার কাছে নগদ অর্থ ছিল। যার কারণে আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে কোন একটি স্টক এর মধ্যে বিনিয়োগ করেছেন।

কিন্তু যখন আপনি কোন একটি স্টক বিক্রি করতে যাবেন। তখন অবশ্যই একটু দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভাববেন। তারপর সেই স্টক বিক্রি করার কথা চিন্তা-ভাবনা করবেন।

কিন্তু হুট করেই স্টক বিক্রি করার চিন্তা ভাবনা মাথায় আনবেন না। কেননা আপনি যদি সঠিক সময়ে আপনার স্টক বিক্রি করতে না পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনার মধ্যে বিনিয়োগ করা অর্থ লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা শেয়ার বাজারের মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করেন। তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, শেয়ার বাজারে মেক্সিমাম লাভ করার উপায় গুলো কি কি। তো আপনি যদি আজকের এই উপায় গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তাহলে কিন্তু আপনার শেয়ার বাজার থেকে লাভ করার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

এবং আশা করি আপনি আজকের আলোচিত শেয়ার বাজারে ম্যাক্সিমাম লাভ করার উপায় গুলো সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আর আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের স্টক মার্কেট এবং ট্রেডিং বিষয় গুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি।

যদি আপনি নিয়মিত শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করেন। এবং শেয়ার বাজার এর সকল আপডেট তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে চেষ্টা করবেন আমাদের সাথে থাকার জন্য। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার লেখা এই আর্টিকেল টি করার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top