ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ? Cryptocurrency কিভাবে কাজ করে ? (What is Cryptocurrency in bengali)

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি :  What is Cryptocurrency in bengali? আজকের দিনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ? Cryptocurrency কিভাবে কাজ করে ? (What is Cryptocurrency in bengali)
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ? Cryptocurrency কিভাবে কাজ করে ?

আমাদের দেশ থেকে শুরু করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত পর্যন্ত Cryptocurrency বেশ বড়সড় একটা জায়গা দখল করতে পেরেছে।

তাই ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক এই ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। প্রতিনিয়ত মানুষ জানার চেস্টা করে আসছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক এভ ডিজিটাল কারেন্সি সম্পর্কে।

তবে আপনার মধ্যে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি কি, ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্থ কি? সে সম্পর্কে পরিস্কার কোনো ধারনা না থাকে।

আপনি যদি সেই সেই অজ্ঞাত ধারনা নিয়ে এই ডিজিটাল কারেন্সি এর সাথে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত থাকেন।

তবে আপনি আইনি সমস্যা থেকে শুরু করে নানাবিধ ঝামেলার সাথে জড়িয়ে পড়বেন। কেননা, ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ বাংলাদেশেও কিন্তুু Cryptocurrency নিয়ে বেশ কিছু আইন প্রবর্তিত হয়েছে।

হ্যালো পাঠক, Bangla it blog এর নতুন একটি আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। সহজ ভাষায় নির্মিত এই বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে আসছি।

আপনার জন্য আরো লেখা…

ঠিক তেমনিভাবে আজকে আমি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবো ক্রিপ্টোকারেন্সি এর সাথে। মূলত, ক্রিপ্টোকারেন্সি কি (Cryptocurrency ki) , বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী, কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে হয়।

এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ আইন নিয়েই আলোচনা করাই হলো আমাদের আজকের মূল বিষয়। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? | Cryptocurrency in Bangla 

Cryptocurrency কি ?  ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো, বিশেষ এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি। যাকে সহজ ভাষায় আপনি ডিজিটাল মুদ্রাও বলতে পারেন।

তবে অন্যান্য কারেন্সি গুলোতে যেমন রাষ্ট্রীয় সরকার কে জোগান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। অপরিদকে ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এমন এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি।

যা ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় সরকার কে কোনো প্রকার জোগান দেয়ার প্রয়োজন হয়না। আমরা যেভাবে আর্থিক লেনদেন করার জন্য টাকার ব্যবহার করি।

ঠিক তেমনিভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে লেনদেন করার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। যাকে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ইতিহাস | History of Crypto currency

মানুষের জীবন কে সহজ ও সাবলীল করার লক্ষ্যে উন্নত বিশ্ব প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ মানব জাতি ক্রমাগত ভাবে নানা রকম আবিস্কারের ফল ভোগ করতে পারছে।

আর Cryptocurrency হলো উন্নত বিশ্বের এক বিশেষ আবিস্কার। যা মানব ইতিহাসে জন্ম দিয়েছে নতুন এক ধরনের অনলাইন কারেন্সির৷ যাকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারবেন না।

অথচ এই কারেন্সি কে ব্যবহার করে অনলাইনের বিভিন্ন লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।

সত্যি বলতে Cryptocurrency এর আরো একটি বিশেষ নাম আছে। আপনি যদি একে গুপ্তমুদ্রা বলেন, তাহলেও কোনো রকম ভুল হবেনা।

এই ডিজিটাল কারেন্সি বা গুপ্ত মুদ্রার প্রথম সূচনা হয়েছিলো ১৯৮৩ সালে। সেই সময়ে ডেভিড চৌম নামক একজন মার্কিন গুপ্তলেখক ছিলেন।

মূলত সেই বিখ্যাত ব্যাক্তিটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এর সূচনা করেছিলেন। তবে আজকে আমরা যাকে Cryptocurrency বলে চিনি। সেই সময়ে ডেভিড চৌম নামের সেই ব্যক্তি এই কারেন্সির নাম দিয়েছিলো, ‘ক্যাশ’।

আর এই মার্কিন ব্যক্তিটি ১৯৯৫ পর্যন্ত এই অস্তিত্বহীন অদৃশ্য ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে কাজ করে গেছেন। মানুষ যেন এই ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে পারে।

সেই নিমিত্তে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করার চেস্টা করে গেছেন। তবে সেই ব্যক্তির চেস্টাকে প্রানবন্ত করার লক্ষ্যে সাতোশি নাকামোতো নামের বিশেষ কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো একটি কোম্পানির উদয় হয়েছিলো।

যারা এই কারেন্সিকে অনেকটাই সফল করতে পেরেছেন।

কেননা, সর্বপ্রথম তারাই ডিজিটাল লেনদেন করার লক্ষ্যে বিশেষ এক ধরনের মুদ্রার প্রচলন করেন। যার নাম দেয়া হয়েছিলো, বিটকয়েন (Bitcoin).

এবং পরবর্তী সময়ে নানা রকম ক্রিপ্টো মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। আর সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ক্রিপ্টো মুদ্রা বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করতে পেরেছে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে? | How to work Cryptocurrency

সত্যি বলতে Cryptocurrency সাথে সংযুক্ত যতোগুলো ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। তার সবগুলোই মূলত ক্রিপ্টোগ্রাফি কিংবা তথ্য গুপ্তিবিদ্যা নামক ধারনার উপর কাজ করে থাকে।

যাকে সহজ ভাষায় বলা হয়, ব্লক চেইন। জেনে রাখা ভালো যে এই ব্লক চেইন পদ্ধতির সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ১৯৮০ সালে। আর সেই সময়ে যেসব ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারী ছিলো।

তারাও এই ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর যথেষ্ট আস্থা রাখতে পেরেছিলো।

এই Blockchain শব্দের অর্থ হলো, শিকল। আর শিকল বা চেইন আসলে কি, সেটা তো আমাদের কাছে অজানা কোনো বিষয় নয়।

একটি শিকলে যেমন একটি ব্লক অন্য একটি ব্লকের সাথে সংযুক্ত থাকে। ঠিক একইভাবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এর পদ্ধতিটাও কাজ করে থাকে।

কেননা, যখন Cryptocurrency তে নতুন কোনো লেনদেন হয়, তখন সেই ডাটা গুলোকে নিয়ে নতুন একটা একটা করে ব্লক তৈরি হয়। এবং একটি ব্লকের সাথে অন্য একটি ব্লক ক্রমাগত ভাবে যুক্ত হতে থাকে।

এসব জানার পাশাপাশি আপনার আরো একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার। সেটি হলো, ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক এই অনলাইন মুদ্রাটি হলো এক প্রকার অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রা ব্যবস্থা।

অর্থ্যাৎ, যে মুদ্রা ব্যবস্থাটি কেউ নিয়ন্ত্রণ করেনা। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার করা টাকা (Taka) গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা কিংবা ব্যাংক ব্যবস্থা গুলো সর্বদাই নিয়োজিত থাকে।

অপরদিকে, Crypto Currency কে নিয়ন্ত্রণ করবে এমন কোনো আর্থিক সংস্থা কে খুজেই পাবেন না।

কেননা, Cryptocurrency এর এই ব্লক চেইন পদ্ধতিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে আপনি যদি এই কারেন্সি তে বিনিয়োগ করে থাকেন ৷

তাহলে আপনার সেই কারেন্সির দায়বদ্ধতা শুধুমাত্র আপনি নিজেই থাকবেন। আর সেই কারনে ক্রিপ্টোকারেন্সি তে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে তেমন একটা নির্ভরতা পাওয়া যায়না।

কেননা, নিয়ন্ত্রণ হীন এই কারেন্সি ব্যবস্থাতে বিনিয়োগ করে অনেক মানুষ তার সর্বস্ব হারানোর সংখ্যাটাও নেহাৎ কম নয়। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি এর কাজ কি ? | ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে কি কি করা যায় ?

এতকিছু জানার পর হয়তবা আপনার মনে বিশেষ একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটি হলো, এই ক্রিপ্টো কারেন্সির কাজ কি।

আর যদি আপনার নিকট এই ক্রিপ্টো মুদ্রা থাকে, তাহলে আপনি এগুলো দিয়ে কি কি কাজ করতে পারবেন। তো চলুন এবার সে নিয়ে একটু ধারনা নেয়া যাক। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। 

  1. মনে করুন, আপনি বাংলাদেশে অবস্থান করে আছেন। এখন আপনি চীন থেকে কোনো পন্য কিনতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি এই Crypto currency কে ব্যবহার করতে পারবেন। 
  2. কারন, ক্রিপ্টোকারেন্সি এর বিশেষ একটি কাজ হলো, অনলাইন এর মাধ্যমে লেনদেন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আইনগত অনুমিত নিতে হবে। 
  3. বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে টাকা আদান প্রদান করতে পারি। ঠিক তেমনিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কে আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে আদান প্রদান করতে পারবেন। 

যেহুতু, Cryptocurrency এর সাথে অর্থের একটা বিস্তর সম্পর্ক রয়েছে। সেহুতু সেই সম্পর্কের সাথে বিবেবচনা করলে আপনি এই ডিজিটাল কারেন্সি দিয়ে উপরোক্ত কাজ গুলো করতে পারবেন। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি এর সুবিধা কি? 

বর্তমান সময়ে ব্যাপক হারে ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে মানুষ কোনো ছাড়াই এই ডিজিটাল কারেন্সি কে ব্যবহার করছেনা।

বরং আপনি যদি Crypto currency এর সাথে সংযুক্ত থাকেন। তবে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন, 

  1. আমার যখন হ্যান্ড ক্যাশ (টাকা) ব্যবহার করি। সেই টাকা গুলোর মধ্যে জাল টাকা কিংবা ছেঁড়া নোট থাকার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তুু Cryptocurrency তে এমটা হওয়ার কোনো প্রকার সম্ভাবনা নেই। 
  2. আজকের দিনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মানি ট্রান্সফার করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমানে চার্জ (Vat) দেয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  3. আর এই চার্জ কত হবে, তা আপনার অর্থের পরিমান এর উপর নির্ভর করে। কিন্তুু Cryptocurrency তে এমরকমটা হয়না। 
  4. যদি আপনি খুব দ্রুতগতিতে বিশ্বের একস্থান থেকে অন্য স্থানে মানি ট্রান্সফার করতে চান। তবে সেক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি হবে অন্যতম একটি মাধ্যম।
  5. কারন, এই ডিজিটাল কারেন্সি গুলোকে খুব দ্রুততার সাথে একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা সম্ভব। 
  6. আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, ক্রিপ্টো কারেন্সি এর নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান নেই। সেই কারনে এখানে স্পেসিফিক কোনো নীতি নির্ধারক নেই।
  7. এখানে মূলত সবাই সমান। তাই যে কেউ এখানে একই নিয়মে কাজ করতে পারবেন। 
  8. ক্রিপ্টোকারেন্সি এর আরো একটি বিশেষ সুবিধা আছে। সেটি হলো আপনি এই ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলো কে নিজের ATM Card এর মাধ্যমে ক্যাশ টাকায় রুপান্তর করতে পারবেন। 

তো আমি প্রতিনিয়ত বলি যে, প্রতিটা সৃষ্টির পেছনে কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আমরা যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করি। তাহলে উপরে উল্লেখিত সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবো। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ কি?

উপরের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি ডিজিটাল কারেন্সি যুক্ত Cryptocurrency নিয়ে অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা রাখা উচিত। সেটি হলো, আমাদের বাংলাদেশে কি এই ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি যুক্ত মুদ্রার সাহায্য লেনদেন করা বৈধ নাকি অবৈধ।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

কেননা, যদি আপনি এই কারেন্সির সাহায্য লেনদেন করতে চান ৷ তবে আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বাংলাদেশ সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা রাখতে হবে।

কারন, আপনি যদি সেই আইন সম্পর্কে না জানেন। তাহলে আপনার নানা রকম আইনি ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর আমি চাইনা যে, আমার ব্লগে আসা ভিজিটর এ বিষয়ে অজ্ঞাত থাকুক।

দেখুন, পূর্ববর্তী সময় গুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কোনো প্রকার আইন না থাকলেও এখন কিন্তুু এই নিয়ে আমাদের দেশে নতুন আইন প্রণিত হয়েছে।

যেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে যে, আমাদের বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি এর সাহায্য লেনদেন করা একেবারেই অবৈধ। আর এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো দেশ থেকে বৈধ করা ইস্যু নেই। এবং যেহুতু কোনো দেশ থেকে এই কারেন্সি কে স্বীকৃতি দেয়নি।

সেহুতু আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক Cryptocurrency কে স্বীকৃতি দিতে সম্মতি দেয়নি। কোনো অপরাধমূলক কিংবা সন্ত্রাসবাদ এর সাথে জড়িত আর্থিক লেনদেন রুখতে এই ধরনের আইন প্রনয়ন করা হয়েছে।

তাই এই ধরনের কারেন্সি ব্যবহার এর পূর্বে অবশ্যই বিষয়টা মাথায় রাখবেন। 

ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়া যায় কি?

জাতি হিসেবে আমাদের ফ্রি বস্তুুর প্রতি একটা আলাদা রকমের মোহ কাজ করে। আর সে কারনেই হয়তবা একটি কথা প্রচলিত আছে।

সেটি হলো, বাঙ্গালী নাকি ফ্রী পাইলে আলকাতরাও খায়। তো এই ধরনের মানুষের মনে আরো একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়া যায় কিনা।

তো চলুন এবার এই বিষয়টাও ক্লিয়ার করা যাক।

দেখুন, যখন এই Cryptocurrency নতুন এসেছিলো। তখন এই ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি গুলোর চাহিদা তেমন একটা ছিলোনা।

যার কারনে এই কারেন্সির প্রসার এবং প্রচার করার জন্য ফ্রীতেই Cryptocurrency পাওয়া যেত। কিন্তুু এখন আর সেই সোনালি দিন নেই।

কেননা, এখন এই ধরনের অনলাইন ক্রিপ্টো মুদ্রার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবং আর্থিকভাবে এই মুদ্রা গুলোর দাম হয়েছে একেবারে আকাশচুম্বী।

তো আজকের দিনে আপনি যদি একবারে ফ্রীতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেতে চান। তবে সেই ইচ্ছে পূরন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।

তবে হ্যাঁ! এমন বেশ কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম আছে। যেখানে আপনি নিয়মিত কাজ করার মাধ্যমে স্বল্প পরিমানে এই ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি যুক্ত ক্রিপ্টো মুদ্রা আয় করতে পারবেন।

আর আপনি যদি সেই ফ্রীতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করার মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। 

কত ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে ? 

বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক ধরনের Crypto currency দেখতে পারবেন। তবে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি আজকের দিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। যেমন, 

০১| বিটকয়েন 

আজকের দিনে আপনি যতো প্রকারের ক্রিপ্টোকারেন্সি দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অধিক জনপ্রিয় হলো, বিটকয়েন। কেননা, অনলাইনে এই ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে লেনদেন করতে বিটকয়েন হলো সুরক্ষিত একটি মাধ্যম।

যেখানে আপনাকে কোনো হ্যাকিং নিয়ে টেনশন করতে হবে না। আর এখন একটি বিটকয়েন এর মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার।

০২| ইথোরিয়াম 

ব্লকচেইন পদ্ধতিতে কাজ করে এমন আরো একটি Crypto currency এর নাম হলো ইথোরিয়াম। অতীতের দিন গুলো তে ইথোরিয়াম এর মূল্য তেমন বেশি ছিলোনা ৷

তবে সময় পরিবর্তন এর সাথে সাথে ইথোরিয়াম এর বাজারদর বেড়ে গেছে। এখন একটি ইথোরিয়াম কয়েন এর মূল্য হলো ৩ হাজার মার্কিন ডলার। 

০৩| বিন্যান্স কয়েন 

বর্তমান বিশ্বের আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ শক্তপোক্ত অবস্থান করা একটি Cryptocurrency এর নাম হলো বিন্যান্স কয়েন। বলা বাহুল্য যে, এই ধরনের কয়েন এর নানাবিধ ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

যেমন, আপনি ট্রেডিং থেকে শুরু করে ভ্রমনের বুকিং করার কাজেও এই ধরনের কয়েন কে ব্যবহার করতে পারবেন ৷ 

০৪| কার্দানো

আজকের দিনে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মতো বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করা কয়েন এর নাম হলো কার্দানো। আর ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে এই ধরনের কারেন্সির ব্যাপক ব্যবহার হওয়ার কারনে এটি বেশ আলোচিত পর্যায়ে রয়েছে।

কেননা, এখনকার দিনে এক একটি কার্দানো কয়েন এর মূল্য প্রায় ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মূল্য ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে। 

০৫| টেথার 

আপনি যদি ব্লক চেইন পদ্ধতিতে সুরক্ষিত কোনো ক্রিপ্টো কারেন্সি খুজে থাকেন। তবে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ডিজিটাল কারেন্সি হবে টেথার ৷

এটি হলো একটি স্থিতিশীল কয়েন। যার বাজারমূল্য হলো, ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এটি হলো নির্ভরযোগ্য একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি। 

০৬| ইউএসডি কয়েন 

ইথোরিয়াম কয়েন এর দ্বাড়া পরিচালিত আরো একটি কয়েন এর নাম হলো, ইউএসডি কয়েন। এটি হলো এক প্রকারের স্থিতিশীল কয়েন।

যার বাজারদর প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সচারাচর আপনি যখন কোনো ধরনের গ্লোবাল ট্রানজেকশন করবেন। তখন এই ধরনের কয়েন গুলো বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 

০৭| ডোজ কয়েন 

প্রথম দিকে শখের বশে এই ধরনের কয়েনটি তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তুু নানাবিধ সুযোগ সুবিধা থাকার কারনে আজকের দিনে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

আপনি জানলে অবাক হবেন কারন, ২০১৭ সালে ডোজকয়েনের মূল্য ছিল ০.০০০২ মার্কিন ডলার। কিন্তুু বর্তমান সময়ে এর বাজারদর এসে পৌঁছেছে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ০.৩১ মার্কিন ডলারে। 

জনপ্রিয় কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকা

উপরে আমি মোট ৭ প্রকারের ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিন্তুু ঐগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। যেমন, 

  1. Bitcoin
  2. Cardano
  3. Litecoin
  4. Dogecoin
  5. Bitcoin Cash
  6. Tether
  7. Binance Coin
  8. XRP
  9. Ethereum Classic
  10. TRON
  11. Polkadot
  12. Stellar
  13. Monero
  14. USD Coin
  15. Cosmos

তো বর্তমান সময়ে যে ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর প্রচলন বেশি রয়েছে ৷ সেগুলোর একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা উপরে দেয়া হলো ৷ আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারবেন। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কিছু জানা অজানা বিষয় 

এবার আমি আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি রিলেটেড কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবো। আশা করি এই প্রশ্নের উওর গুলো আপনার অনেক কাজে দিবে। 

০১| বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ? 

উত্তর : না! বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশের জন্য একবারে অবৈধ। 

০২| ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা করা সম্ভব? 

উত্তর : হুমমম, এই ধরনের Cryptocurrency তে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে এগুলোতে বিনিয়োগ করে সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছে, এমন মানুষ সংখ্যা মোটেও কম নয়। 

০৩| ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ?

উত্তর : ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ এর নাম হলো, সালভেদর।

০৪| ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা? 

উত্তর : ১ বিটকয়েন সমান ৩,৩৮৫,৫৩১.২৩ টাকা। 

০৫ । বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ ?

উত্তর : এটা সঠিক ভাবে বলা যাবে না । কারণ এটি গুপ্ত অনলাইন মুদ্রা যার জন্য সঠিক তথ্য বলা যাবে না।

০৬। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা যায় কি ?

উত্তর : ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ইনকাম করা যায়

উত্তর : বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ তা সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দেওয়া যাবেনা। কারণ এটা একটি গুপ্ত অনলাইন মুদ্রা।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রিপ্টোকারেন্সি এর চাহিদা এবং বাজারদর হলো আকাশচুম্বী।

তবে বেশ কিছু কারনবশত জনপ্রিয় এই ডিজিটাল কারেন্সি কে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে ৷

তাই আপনি যদি এই ধরনের Cryptocurrency ব্যবহারে আপনি যদি কোনো আইনি সমস্যায় পড়ে যান। তাহলে আমি বা আমাদের টিম কোনোভাবে দায়ী থাকবো না। 

Cryptocurrency ki নিয়ে আপনার কিছুর জানার থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করেন।

2 thoughts on “ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ? Cryptocurrency কিভাবে কাজ করে ? (What is Cryptocurrency in bengali)”

  1. তোফায়েল

    কীভাবে ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়া যায় ? তা জানাবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top