৮টি সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি ২০২৩

আসলেই কি অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব? – কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়? আর অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো কি কি? অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট কোন উপায় আছে কি ?

এসব গুলো প্রশ্নের উওর নিয়ে মূলত আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। যদি আপনি আপনার হাতের কাছে থাকা মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে চান।

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি
অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি

তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কারন, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে।

যারা এখনও সরকারি অনলাইন ইনকাম, অনলাইন আয় সম্পর্কে তেমন একটা জানে না। তো এই মানুষ গুলোর Zero নলেজ কে একেবারে Pro লেভেলে পৌঁছানোর জন্য।

যে কথা গুলো বলার দরকার। সেগুলো আজকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হবে।

তো আপনার মূল্যবান সময় কে আর নষ্ট করবো না। বরং আমরা একেবারে সরাসরি মূল আলোচনা তে চলে যাই। 

অনলাইন ইনকাম কি? 

সহজ কথায় আপনি অনলাইন থেকে যে টাকা ইনকাম করবেন। সেটাকেই বলা হয়, অনলাইন ইনকাম।

আমরা যেমন বাস্তবিক জীবনে টাকা ইনকাম করার জন্য চাকরি করি। ঠিক তেমনি একইভাবে আপনি অনলাইনে গিয়ে চাকরি করবেন। এবং তার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করবেন।

আপনি আরো দেখুন…

তবে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে। যারা মনে করে, অনলাইন থেকে বসে থেকেই টাকা আয় করা যায়। আসলে বিষয়টা কিন্তুু তেমন না। বরং এখানেও আপনাকে বিভিন্ন কাজ করতে হবে।

যেমন, আমরা যখন কোনো চাকরি করি। তখন যেভাবে আমরা অফিস বা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হয়। ঠিক তেমনি আপনি যখন অনলাইনে কাজ করবেন।

তখন আপনার মূল্যবান সময় গুলো ব্যয় করতে হবে। এখানেও আপনাকে যথেষ্ট শ্রম দিতে হবে। 

আসলেই কি অনলাইন ইনকাম সম্ভব?

এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। যারা মূলত অনলাইন জগতে প্রথম পা রাখে। এবং Online Income সম্পর্কে জানতে পারে। তাদের প্রত্যেকের মনে একটা প্রশ্ন জেগে থাকে।

সেটি হলো, “আসলেই কি অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব?

যদি আপনার মনেও এই প্রশ্ন জাগে। তাহলে আমি বলবো, হুমম! বর্তমানে সত্যিই অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব। যদি আপনি একটু খোজখবর নেন।

তাহলে এমন অনেক মানুষ পাবেন, যারা অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে আসছে।

আপনি জানলে অবাক হবেন, কারন বর্তমান সময়ে এমন অনেক অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি আছে। যেগুলো তে আপনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে, আপনিও লক্ষ টাকা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

তবে তার জন্য সবার আগে আপনাকে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আজকে আমরা সে বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করবো।

তবে এবার আমাদের জানতে হবে যে, online theke income করার জন্য কি কি জিনিস এর প্রয়োজন হবে। 

অনলাইন থেকে ইনকাম করতে কি কি লাগে? 

দেখুন, অস্ত্র ছাড়া যেমন যুদ্ধ করা যায় না। ঠিক তেমনি আপনি যদি Online Income করতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু Online Income Equipment এর প্রয়োজন পড়বে।

যেগুলো ছাড়া আপনি অনলাইন এ কোনো কাজ করতে পারবেন না। আর কাজ করতে না পারলে অনলাইন থেকে ইনকাম ও করতে পারবেন না।

তো অনলাইন এ জব করতে হলে আপনার বেশ কিছু ইকুইপমেন্ট এর দরকার হবে। যেমন, 

👉 Quality Full Device: দেখুন যেহুতু আপনি অনলাইন এ কাজ করবেন। সেহুতু আপনার হাতে একটি ভালো মানের কম্পিউটার বা মোবাইল থাকতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন এ কাজ করতে পারবেন।

আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যাদের হাতে Laptop বা Computer আছে। তারা ইচ্ছে করলেই এগুলো তে অযথা সময় ব্যয় না করে।

সেই সময় গুলোতে অনলাইন এ কাজ করতে পারবেন। তাহলে অন্ততপক্ষে আপনাকে আর চাকরির জন্য টেনশন করতে হবে না।

আবার এমন অনেকেই আছেন, যাদের হাতে শুধুমাএ একটি Smartphone (মোবাইল) আছে। কিন্তুু তাদের কোনো কম্পিউটার নেই। এখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,

মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব?

যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে বলবো, হ্যাঁ! আপনি মোবাইল থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে আপনাকে এমন অনেক মানুষ এর উদাহরন দিতে পারবো।

যাদের কাছে কোনো কম্পিউটার নেই। অথচ তারা মোবাইল দিয়েই অনলাইন ইনকাম করছে।

এখন তারা যদি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারে। তাহলে আপনি কেন পারবেন না? 

👉 Fast Internet Connection 

অনলাইন ইনকাম করার জন্য আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর দরকার হবে। সেটি হলো একটি ভালো মানের Internet Connection. যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন জগত এর সাথে কানেক্টেট হতে পারবেন।

একজন মানুষের যেমন এক জাগয়া থেকে অন্য জায়গাতে যাওয়ার জন্য দ্রুত গতির যানবাহন এর প্রয়োজন। ঠিক তেমনি আপনি যদি অনলাইন এর কাজ গুলো খুব কম সময় এর মধ্যে করতে চান।

তাহলে আপনার Device এ অবশ্যই একটি ভালো মানের নেট কানেকশন থাকতে হবে।

কারন আপনি অনলাইনে যতো বেশি কাজ করবেন। আপনার আয় এর পরিমান ঠিক ততো বেশি হবে। এখন আপনার যদি Internet Connection ভালো না হয়। তাহলে কিন্তুু আপনি বেশ মুশকিলে পড়ে যাবেন। 

👉 Be Serious 

দেখুন আপনি যদি অন্যান্য ব্লগ বা ইউটিউব ভিডিও দেখেন। তাহলে সবাই একটা কথা বলবে, সেটি হলো আপনি অনলাইনে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। 

এখন এই কথাটা শোনার পর অনেকেই মনে করে যে, অনলাইনে মনে হয় আরামে বসে থেকেই টাকা আয় করা যায়। কিন্তুু এটা আসলে সম্পূর্ন ভুল ধারনা ৷

কারন এখানেও আপনি কোনো সময় সফল হতে পারবেন। আবার কখনও সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন না। তবে সেই জন্য হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।

এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা অনলাইন ইনকাম করার শুরুতেই টাকা আয় করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। কিন্তুু এ পথ কখনই অনুসরন করা উচিত না ৷

সবার আগে আপনাকে কোনো না কোনো কাজ শিখতে হবে। এরপর আপনি সেই কাজ অনলাইন এ করবেন। এবং তার বিনিময়ে টাকা আয় করবেন।

তাই সবার আগে আপনাকে অনলাইন সম্পর্কে অনেক আগ্রহী হতে হবে। নিজেকে Online Job করার জন্য তৈরি করতে হবে। তাহলেই আপনি অন্যদের মতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো কি কি? 

সাধারনত বর্তমান সময়ে যে মানুষ গুলো অনলাইন থেকে টাকা আয় করছে। তারা সবাই মূলত দুইটি উপায়ে কাজ করে থাকে। এবং আপনি যদি তাদের মতো কাজ করে আয় করতে চান।

তাহলে আপনাকেও এই দুটি উপায়ের যেকোনো একটি কে বেছে নিতে হবে। যথাঃ 

  • Freelancing (ফ্রিল্যান্সিং)
  • Outsourcing (আউটসোর্সিং)

এখন আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন। তাহলে এই দুটি উপায় আপনার মাথার উপর দিয়ে যেতে পারে। তাই এই দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?

উওরঃ যখন আপনি অনলাইন এর কোনো একটি কাজ শিখবেন। এবং সেই কাজটির সার্ভিস অনলাইন এর মাধ্যমে প্রদান করবেন। তখন সেই কাজ কে বলা হবে ফ্রিল্যান্সিং।

যেমন, আপনি ওয়েব ডিজাইন এর সার্ভিস দিতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে Graphics Design এর সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন।

[Pro Tips: ফ্রিল্যান্সিং কি” আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন “কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করবেন“- সে নিয়ে অলরেডি একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা আছে।]

আউটসোর্সিং কাকে বলে?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা মূলত Freelancing এবং Outsourcing কে এক মনে করে থাকে। অনেকেই এই দুটো কাজ কে মুক্ত পেশা হিসেবে পরিচিতি দিয়ে থাকে।

আসলে তাদের ধারনাটি সম্পূর্ন ভুল।

কারন যারা অনলাইনে কাজ করে, তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। আর যে মানুষ গুলো কাজ ফ্রিল্যান্সার এর সাহায্য কাজ করিয়ে নেয়। তাদের বলা হয়ে থাকে আউটসোর্সার।

অর্থ্যাৎ, একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে কোনো অনলাইন ভিওিক কাজ করিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় আউটসোর্সিং।

 [Inportant Article: আউটসোর্সিং কি“- এবং “কিভাবে আউটসোর্সিং থেকে ইনকাম করবেন”- সে নিয়ে আমি একটি ডেডিকেটেড আর্টিকেল পাবলিশ করছি পড়ে নিয়েন।]

যাক, আশা করা যায় আপনি অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে উপরের লেখাটি আরেকবার পড়ুন।

তাহলে পরবর্তী আলোচনা গুলো আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। 

অনলাইনে আয় এর সবচেয়ে সহজ উপায়

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো জানার পর হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় কোন গুলো।

যার মাধ্যমে আপনি Online Job করবেন। এবং তার বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে সহজ উপায় বলতে এমনটা নয় যে আপনি সেই উপায় গুলো তে বসে থেকে ইনকাম করবেন।

বরং এই উপায় গুলো অবলম্বন করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা পরিচয় দিতে হবে। তাহলে আপনি এখানে সফলতা পাবেন।

আর বর্তমান সময়ে এমন অনেক সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি আছে। যেগুলো তে আপনি খুব দ্রুত অনেক টাকার মালিক হয়ে যেতে পারবেন।

তো এবার চলুন জেনে নেয়া যাক, অনলাইনে ইনকাম করার কিছু সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে। 

০১ঃ- ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম (Blogging)

বর্তমান সময়ে যতগুলো অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো ব্লগিং করা। যেখানে আপনি ঘরে বসে কাজ করে অনলাইন থেকে বিপুল পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

কারন যদি আপনার একটি ব্লগ থাকে, তাহলে আপনি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যারা মূলত লেখাপড়া করছেন, সেইসব ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার জন্য উপযুক্ত একটি কাজ হলো ব্লগিং করা। যেখানে আপনি পড়াশোনা করার পাশাপাশি বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ব্লগিং আবার কি জিনিস ? এখানে আপনি কিভাবে কাজ করবেন? তাহলে শুনুন…

সাধারনত লেখালেখি করার কাজকে বলা হয় ব্লগিং। যেমন, আপনি বর্তমানে যে ওয়েবসাইট এ এই লেখাটি পড়ছেন। সেটিও কিন্তুু একটা ব্লগ, যেখানে আমি বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখালেখি করি।

এবং আপনার মতো পাঠকরা এসে সেই লেখাগুলো পড়ে। 

তো এবার আপনাকে জানতে হবে যে, কিভাবে আপনি ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করবেন। চলুন এবার সে নিয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করা যাক। 

একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরিঃ

যদি আপনি ব্লগিং করতে চান, তাহলে সবার আগে আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে। আজকের দিনে এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে,

যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ডোমেইন কিনতে হবে। এরপর উক্ত ডোমেইন এর সাথে হোস্টিং যুক্ত করতে হবে।

এরপর আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কে লাইভ করতে হবে। 

[Read Full Article: Domain কাকে বলে? এবং Hosting কাকে বলে ? এগুলোর কাজ কি? – সে নিয়ে আমি অন্য ২টি আর্টিকেলে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।]

এখন জানার বিষয় হলো যে, শুধু কি একটি ব্লগ তৈরি করলে সেখান থেকে আয় করা যাবে? 

উওরে বলবো না! বরং একটি ব্লগ তৈরি করার পর আপনাকে আরও অনেক কাজ করতে হবে। যেমন,

ব্লগে ভিজিটর আনতে হবেঃ- 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যদি আপনি ব্লগিং থেকে আয় করতে চান। তাহলে আপনার তৈরি করা ব্লগটিকে অবশ্যই হিউজ পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে।

যেমন ধরুন, আমি আমার এই ব্লগটি তৈরি করেছি। এবং সে ব্লগে অনেক বিষয়ে লেখালেখি করেছি। এখন সেই লেখা গুলো যদি কেউ না পড়ে।

তাহলে কিন্তুু আমি এখান থেকে কোনো প্রকার আয় করতে পারবো না। তো সেজন্য আপনাকে ভিজিটর এর দিকটা বেশ গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে।

[NOTE: যদি আপনি নতুন ব্লগে/ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইও (SEO) সম্পর্কে জানতে হবে।

কিভাবে এসইও করতে হয় জানতে এই আর্টিকেল পড়ুন।]

তো যখন আপনার ব্লগটিতে সঠিকভাবে এসইও করবেন। যখন আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর আসবে। তখন আপনি অনেক উপায়ে ব্লগ থেকে অনলাইন আয় করতে পারবেন। যেমন,

গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে ইনকাম 

ব্লগ থেকে ভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত একটি উপায় হলো, গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা।

আপনি আমার ব্লগে একটু সময় ব্যয় করলে অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন। এই বিজ্ঞাপন গুলো কিন্তুু সরাসরি গুগল এর মাধ্যমে দেখানো হয়ে থাকে।

আর এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানোর ফলে আমি যে টাকা ইনকাম করবো। সেগুলো আমার Google AdSense একাউন্টে জমা হবে। এবং সেখান আমি আমি সেই টাকা গুলো উওলন করতে পারবো।

এফিলিয়েট লিংক বা প্রমোশন থেকে আয়

একটি ব্লগ থেকে আয় করার আরও একটি সহজ উপায় আছে। সেটি হলো এফিলিয়েট লিংক বা প্রমোশন থেকে আয় করা।

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এফিলিয়েট করে বিপুল পরিমান টাকা ইনকাম করে আসছে।

আজকের দিনে অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অনলাইন শপ তৈরি হচ্ছে। এখন আপনি যদি তাদের কোনো প্রোডাক্ট কে সেল করে দিতে পারেন।

তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু পরিমান কমিশন পাবেন। মূলত এটিই হলো Affiliate Marketing করার মূল প্রক্রিয়াএকটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার আরও একটি জনপ্রিয় উপায় রয়েছে।

আপনি আরো পড়ুন…

সেটি হলো ব্যানার বিজ্ঞাপন বা স্পন্সর বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা৷ যেখানে আপনি ছোট একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

তো উপরে আমরা জানতে পারলাম যে, Google Adsense থেকে আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন।

এখন এটি ছাড়াও আপনি অন্যান্য থার্ড পার্টি বা অন্য কোনো পন্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন গুলো Paid Sponsor এর মাধ্যমে প্রচার করেও ব্লগ থেকে বাড়তি আয় করতে পারবেন ৷

[💡NOTE: ব্লগ থেকে আয় করা নিয়ে একটি ডেডিকেটেড আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি যদি ব্লগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।]

০২ঃ- ই-কমার্স এর মাধ্যমে আয়

যেহুতু আমরা ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করা নিয়ে জানলাম। সেহুতু ই-কমার্স নিয়েও বিস্তারিত জানাটা অতি আবশ্যক একটি বিষয়।

কারন বর্তমানে E-commerce এর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার মাধ্যমে অনেক মানুষ লাখো টাকা ইনকাম করতে পেরেছে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ই-কমার্স বিজনেস এটা আবার কি জিনিস? এখানে আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন? তাহলে শুনুন….

সহজ কথায় আপনি যে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইন এ কেনাকাটা করতে পারবেন। মূলত সেইসব ওয়েবসাইট কে বলা হয়, ই-কমার্স ওয়েবসাইট।

আর অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়, E-commerce Business.

বর্তমানে বিশ্বের উন্নত তথা উন্নয়নশীল দেশ গুলোতেও অনলাইনে কেনাকাটা করার প্রবনতা অনেক গুন বেড়ে গেছে। সেই দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।

আমাদের দেশেও অনেক ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, BDShop, Daraz ইত্যাদি।

এখন আপনি যদি অনলাইনে বিজনেস করার মাধ্যমে আয় করতে চান। তাহলে আপনি কোনো দিক চিন্তা না করে সরাসরি অনলাইনে একটি শপ তৈরি করে দিতে পারবেন।

এবং ই-কমার্স এর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ৷ কেননা আপনি এর থেকে অনলাইনে আয়ের সহজ পদ্ধতি আর খুজে পাবেন না।

 [Read More:E-Commerce কি “- এবং ” কিভাবে ই-কমার্স বিজনেস এ সফলতা পাবেন”- সে নিয়ে অলরেডি আমার ওয়েবসাইট আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে এখান থেকে দেখে নিন। ] 

০৩ঃ ইউটিউব (YouTube) থেকে অনলাইন আয়

আমরা সবাই জানি যে, বর্তমান সময়ে গোটা পৃথিবীর মধ্যে Youtube হলো সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম।

যেখানে একজন মানুষ জন্মের পর থেকে যদি মৃত্যু পর্যন্ত একটানা ইউটিউব এ শুধু ভিডিও দেখে। তারপরও সেই মানুষটি ভিডিও দেখে শেষ করতে পারবে না।

সত্যি বলতে যখন আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি। তখন আমিও আপনার মতো খানিকটা অবাক হয়ে গেছিলাম।

আর Youtube তাদের জনপ্রিয়তা কে বজায় রাখার জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দের জন্য Partner Programme এ ব্যবস্থা করেছে। যার মাধ্যমে আপনি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন? 

যদি আপনি ইউটিউব এ কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে।

এবং সেই কাজের বিনিময়ে আপনি অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। যেমনঃ

STEP-1: সবার আগে আপনার Gmail Account দিয়ে ইউটিউব এ একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

STEP-2: এরপর আপনাকে একটি YT Channel তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

STEP-3: এরপর আপনার সদ্য তৈরি করা চ্যানেলটি কে সঠিকভাবে কাস্টমাইজড করে নিতে হবে। যেন আপনার চ্যানেল এ প্রবেশ করলে একটা Professional লুক থাকে।

STEP-4: এরপর আপনাকে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং সেই ভিডিও গুলো অবশ্যই ইউটিউব এর Terms And Condition মেনে আপলোড করতে হবে।

STEP-5: সবশেষে আপনি যদি সঠিকভাবে ইউটিউব এর নিয়ম মেনে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনাকে ইউটিউব এর Partner Programme এ অংশগ্রহণ করতে হবে। এবং এরপর থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। 

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

যদি আপনি সঠিকভাবে ইউটিউব এ কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। যেমনঃ-

 [Read More: “ইউটিউব কি” এবং আপনি ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন। সে নিয়ে আমি একটা ডেডিকেটেড আর্টিকেল পাবলিশ করেছি আমার ব্লগে। ]

০৪ঃ আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

সত্যি বলতে স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম থেকে শুরু করে চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা, অনলাইন এর এই কাজটিতে আপনি স্বপ্ল পরিশ্রম দেয়ার বিনিময়ে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

আমরা সবাই জানি যে, বর্তমানে বিশ্বের অনলাইন শপ এর মধ্যে এমাজন শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করে আছে ৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য এমাজন এর উপর নির্ভর করে থাকে।

আর এতো বেশি কাস্টমার পেয়ে এমাজন এর কর্তৃপক্ষ আমাদের মতো সাধারন মানুষদের জন্য ইনকাম করার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। এবং এই সুযোগ কে বলা হয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং।

আপনি যদি কোনো ভাবে এমাজনের পন্যকে সেল করে দিতে পারেন। তাহলে আপনি তাদের পন্য সেল করার বিনিময়ে কিছু পরিমান কমিশন পাবেন।

এখন আপনি যতো বেশি পন্য সেল করিয়ে দিতে পারবেন। আপনার আয় এর পরিমান ঠিক ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, যদি আপনি এমাজন এফিলিয়েট করতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে?

তো চলুন এবার সে বিষয় নিয়ে হালকা আলোকপাত করা যাক। 

কিভাবে এমাজন এফিলিয়েট করতে হয়?

যদি আপনি এমাজন এফিলিয়েট থেকে Online Income করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে।

STEP-1: সবার আগে আপনার কাছে হিউজ পরিমানে অডিয়্যান্স থাকতে হবে। যেমন, আপনি যদি ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে এফিলিয়েট করতে চান। তাহলে আপনার সেই সাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে।

অথবা আপনি যদি আপনার YT Channel থেকে এমাজন এফিলিয়েট করতে চান। তাহলে আপনার চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে দর্শক থাকতে হবে।

STEP-2: এরপর আপনাকে এমাজনে Affiliate করার জন্য যে যে শর্ত গুলো আছে। সেই সব গুলো শর্ত পূরন করতে হবে। এবং যখন আপনি তাদের দেয়া টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো মেনে চলতে পারবেন।

ঠিক তখনি আপনি তাদের Affiliate Programme এ যুক্ত হতে পারবেন।

STEP-3: সবশেষে আপনার প্রধান টার্গেট হবে এমাজন এর প্রোডাক্ট গুলোকে সেল করা। কারন আপনি যতো বেশি এমাজন এর প্রোডাক্ট সেল করবেন।

আপনার কমিশন এর পরিমান ঠিক ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

০৫ঃ ফ্রীল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আয়

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি এর মধ্যে সবচেয়ে বহুল আলোচিত পদ্ধতি হলো, Freelancing থেকে অনলাইন ইনকাম করা। কারন এখন অনেক ধরনের অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে।

যেগুলো তে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে বিপুল পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে আমাদের দেশ বাংলাদেশে যতো ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তাদের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ তিনটি অনলাইন ইনকাম সাইট এ কাজ করে থাকে। সেই দুটি সাইট এর নাম হলোঃ- 

  • Freelancer 
  • Upwork
  • Fiverr

আপনি জানলে অবাক হবেন, কারন বর্তমান সময়ে এই দুটি অনলাইন ইনকাম সাইটে প্রচুর পরিমানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে। আর এই সাইট গুলোতে দেশি বিদেশি অনেক ক্লায়েন্ট আছে।

যারা মূলত আপনার বা আমার মতো Freelancer এর মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেয়।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই সাইট গুলোতে কি কি কাজ করা হয়ে থাকে? কেননা, শুধু টাকা আয় করা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে হবে না।

বরং আপনাকে জানতে হবে যে, এই অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোতে কি কি কাজ করা হয়ে থাকে। 

অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোতে কি কি কাজ করা হয়?

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আমরা যেমন দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করি। যেমন, কেউবা চাকরি করি, কেউ ব্যবসা করি।

ঠিক তেমনি আপনি এই অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোতেও বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

যে কাজ গুলো আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে করতে পারবেন। এবং উক্ত কাজের বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

তো অনলাইনে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০৬ঃ আর্টিকেল রাইটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম 

অনলাইনে যতো প্রকারের কাজ আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক একটি কাজ হলো আর্টিকেল রাইটিং করা।

যদি আপনি ছাএ হয়ে থাকেন, তাহলে পড়াশোনা করার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার জন্য Article Writing Job গুলো করতে পারবেন।

[💡NOTE: যদি আপনি “আর্টিকেল আর্টিকেল রাইটিং“- সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য একটি পূর্নাঙ্গ আলোচনা করা হয়েছে।

০৭ঃ ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট থেকে অনলাইন ইনকাম

যদি আপনার অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, বর্তমানে ওয়েবসাইট এর কি পরিমান চাহিদা রয়েছে।

ব্যবসা বানিজ্যে থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ এবং ব্যক্তিগত কাজ পর্যন্ত। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখন ওয়েবসাইট এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর এই ওয়েবসাইট গুলো আপনি বা আমি তৈরি করতে না পারলেও যারা মূলত Web Design এবং Development নিয়ে কাজ করে। তারা এই ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করে থাকে।

আর এগুলো হলো অনলাইন এর মধ্যে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল একটা কাজ। যে কাজের মাধ্যমে তারা প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করে থাকে।

তাই আপনার ইচ্ছে থাকলে এই কাজের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।

[💡Inportant Note: ওয়েব ডিজাইন কি? ওয়েব ডিজাইন করে কিভাবে ইনকাম করা যাবে। এই নিয়ে আমার ব্লগে অন্য একটি আর্টিকেল আছে পড়ে নিয়েন।]

০৮ঃ এসইও করে অনলাইন ইনকাম

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি এর প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেএে আপনাকে এসইও সম্পর্কে জানতে হবে। কারন যখন আপনি Search Engine Optimization (SEO) সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা নিতে পারবেন।

তখন আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার অডিয়্যান্স কে বৃহৎ আকার প্রদান করতে পারবেন। আর সেই কারনে বর্তমানে অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোতে একজন এসইও এক্সপার্ট এর প্রচুর পরিমানে চাহিদা রয়েছে।

তাই যদি আপনিও নিজেকে একজন দক্ষ এসইও এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনি SEO Service প্রদান করেই বেশ ভালো পরিমানে অনলাইন থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

[Read More: এসইও কি? কিভাবে এসইও শিখা যায় বিস্তারিত নিয়ে এই আর্টিকেল পড়ে নিতে পারেন।

আমি অনলাইন থেকে কত টাকা আয় করি?

এখন আপনার মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে। সেটি হলো, আমি তো আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে টিপস দিলাম। কিন্তুু আমি বর্তমানে অনলাইন থেকে কত টাকা আয় করি?

তাহলে এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

দেখুন, আমি অনলাইন থেকে মোট কত টাকা আয় করছি। সে সম্পর্কে আপনাকে কোনো ধারনা দিবো না। বরং আমি অনলাইনে কি কি কাজ করি। সে সম্পর্কে জানলে আপনার অনেক বেশি উপকার হবে।

কারন আমি যদি লক্ষ টাকা আয় করি, তাতে আপনার কোনো লাভ বা ক্ষতি হবে না। বরং আমি কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করি, সে সম্পর্কে জেনে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

তো আমি মূলত দীর্ঘদিন থেকে ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি। আর সেই সুবাদে আমি বেশ কয়েকটি বিষয়কে বেশ ভালো ভাবে রপ্ত করতে পেরেছি। যেমন ,

১| এসইও সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তাই আমি এখন SEO Service প্রদান করে আয় করি।

২| ব্লগিং এর জন্য আমাকে নিয়মিত কন্টেন্ট লিখতে হয়। আপনি বর্তমানে যে লেখাটি পড়ছেন, সেটি আমি নিজের হাতে লিখেছি। আর এই কন্টেন্ট রাইটিং করেও আয় করে থাকি।

৩| যেহুতু আমি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি। সেহুতু আমার ওয়েবসাইট তৈরি করা নিয়েও বেশ পাকাপোক্ত ধারনা রয়েছে। তাই আমি এখান থেকেও বেশ ভালোই ইনকাম করে থাকি। 

অনলাইন ইনকাম করার জন্য প্রতিদিন কতটুকু সময় কাজ করতে হয়?

যারা মূলত নতুন অনলাইনে কাজ করা শুরু করে। তাদের প্রায় প্রত্যেকের মনে একটা প্রশ্ন জাগে। সেটি হলো, আপনাকে দৈনিক কত ঘন্টা কাজ করতে হবে।

যদি আপনার মনেও এই প্রশ্ন জেগে থাকে৷ তাহলে নিচের আলোচিত বিষয় গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

দেখুন আপনি যখন অনলাইনে কাজ করবেন ৷ তখন আপনি আসলে কত ঘন্টা কাজ করতে পারবেন ৷ তা কিন্তুু সম্পূর্ন আপনার উপরে নির্ভর করবে। তবে একটি কথা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

সেটি হলো আপনি যতো বেশি সময় দিয়ে কাজ করতে পারবেন। আপনার অনলাইন ইনকাম এর পরিমান ঠিক ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

আপনি অবশ্যয় পড়বেন…

কেননা, এখানে আপনার আয় নির্ভর করবে আপনি আসলে কত বেশি কাজ করছেন। কারন এগুলো হলো প্রোডাকশন টাইপ কাজ। আপনি যদি দৈনিক ১০ টা কাজ করেন।

তাহলে আপনি শুধু সেই ১০ টি কাজের বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

আবার আপনি যদি এর থেকে বেশি কাজ করতে পারেন ৷ তাহলে তার বিনিময়ে বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন। তবে আমার দৃষ্টিকোন থেকে যদি আপনি প্রফেশনালি কাজ করতে চান।

তাহলে আপনার দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা কাজ করা উচিত। 

আমাদের শেষকথাঃ

আজকের আর্টিকেলে আমরা অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। কারন বর্তমান সময়ে যতগুলো অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি আছে। তার সবগুলো কে আমি স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি।

এরপরও যদি আপনার অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি নিয়ে আরও কিছু জানার থাকে। তাহলে প্লিজ কমেন্ট করো জানাবেন।

বাংলা আইটি ব্লগ (Banaitblog) এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

6 thoughts on “৮টি সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি ২০২৩”

  1. নাইমুল ইসলাম

    আমার দেখা সবচেয়ে বেস্ট বাংলাদেশি ব্লগার। অনেক ভালো লিখেন। শুভকামনা রইলো

    1. আর্টিকেলে আমরা বলেছি কিভাবে করতে হয় । এর এর থেকে আরো ভালো বোঝার জন্য ইউটিবের কিছু ভিডিও দেখলে আরো ভালো বুঝতে পারবেন।

  2. Earnschool.org

    খুবই সুন্দর পোস্ট- পোস্ট দাতাকে ধন্যবাদ- আপনার অভিজ্ঞতা share করার জন্য

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top