কিভাবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট জমা দিতে হয়

গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট জমা দেওয়ার নিয়মঃ যদি আপনার একটি নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে সেই নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে অবশ্যই Google Search Console এ সাবমিট করতে হবে।

কারন একটি ওয়েবসাইট এর প্রান হলো, ভিজিটর। আর কোনো ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য সবচেয়ে উওম মাধ্যম হলো, গুগল সার্চ ইঞ্জিন।

ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে জমা দেওয়ার নিয়ম
ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে জমা দেওয়ার নিয়ম

আমরা সবাই জানি, বর্তমানে Google এর যতো বেশি অনুসারী রয়েছে। তা পৃথিবীর অন্য কোনো সোশ্যাল প্লাটফর্মে নেই। আর আপনার এটাও জেনে রাখা উচিত, যে গুগলে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন বার সার্চ করা হয়ে থাকে।

এখন আপনার নতুন ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর নিয়ে আসতে চান। তাহলে আপনার প্রধান টার্গেট হতে হবে, Google Search Engine থেকে ভিজিটর নিয়ে আসা।

গুগলের যে মিলিয়ন মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে। সেখান থেকে যদি কিছু পরিমান ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারেন।

তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে Grow করতে পারবেন। এবং আপনার সেই ছোট্ট নতুন ওয়েবসাইট থেকেই ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

তো কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসবেন। এবং কিভাবে আপনি গুগল থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইতিমধ্যে সে বিষয় গুলো নিয়ে আমার ওয়েবসাইটে অনেক গুলো আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে।

আপনি সেগুলো দেখে নিতে পারেন।

তবে আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করবো, একজন ব্লগার কিভাবে তার নতুন ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ কনসোল এ Submit করবে।

তো কিভাবে একটি নতুন ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করবেন। এবং এর ফলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করবেন। সে সবগুলো বিষয়ে আজকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

কিন্তুু তার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, Google Search Console আসলে কি? এবং কেন আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ কনসোলে সাবমিট করা উচিত?  

গুগল সার্চ কনসোল

আমরা Google এ যা লিখে সার্চ করিনা কেন। গুগল কিন্তুু সর্বদাই সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে। এবং এটা আমরা সবাই জানি।

তবে একজন ব্লগার হিসেবে আপনাকে একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে। আপনাকে ভাবতে হবে যে, “গুগল কিভাবে এই তথ্য গুলো দিয়ে থাকে “? এবং গুগল এই তথ্যগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করে? 

আমরা সবাই জানি, গুগল হলো একটি বিশাল তথ্যভান্ডার৷ কিন্তুু আমি যদি বলি Google কিছুই জানেনা কিংবা গুগলকে যদি মূর্খ বলি ৷ তাহলে কি আপনি খুব অবাক হবেন?

কথাটা অবাক করার মতোই, তাইনা?

আপনি আরো পড়ুন…

তাহলে শুনুন, সত্যি বলতে Google কিছুই জানেনা ৷ Google আমাদের সেইসব তথ্য গুলো দেখায়। যেগুলো আপনার মতো মানুষ কিংবা আমার মতো মানুষ আগে থেকেই কোনো না কোনো প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছে।

যখন আমরা গুগলে কোনো বিষয়ে জানার জন্য সার্চ করি। তখন গুগল খুজতে থাকে যে, অনলাইনে আপনার সার্চ করা বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত এমন কি কি তথ্য অনলাইনে আছে।

এবং অনলাইনে খোজা খুজির পরে গুগল যে তথ্য গুলো পায়। মূলত সেগুলোই আমরা দেখতে পাই।

আপনি জানলে অবাক হবেন, Google এই সবগুলো কাজ একটি মাএ প্রোগ্রামিং রোবটের মাধ্যমে করে থাকে। এবং সেই Programming Robot এর নাম হলো, গুগল সার্চ কনসোল।  

গুগল সার্চ কনসোল কি?

একটু চিন্তা করে দেখুন, আপনি যদি গুগলে ” Bangla New Natok”- লিখে সার্চ করেন। তাহলে গুগল আপনাকে শুধু নতুন নতুন নাটক দেখাবে।

ঠিক একইভাবে যদি আপনি “New Movie”- লিখে সার্চ করেন, তাহলে গুগল আপনাকে শুধুমাএ নতুন নতুন সিনেমা সম্পর্কিত তথ্য দেখাবে।

কিন্তুু প্রশ্ন হলো, New Natok লেখার পর গুগল কেন নাটক রিলেটেড তথ্য দিলো? কোনো সিনেমা রিলেটেড তথ্য কেন দেখালো না?

এর একটাই উওর হবে, সেটি হলো Google search console এর কারনে।

Search Console হল গুগলের এমন একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস। যার মাধ্যমে গুগল ভিন্ন ভিন্ন তথ্যকে নিজের কাছে জমা রাখে। এবং এই সার্চ কনসোলের মাধ্যমেই গুগলে কোনো বিষয়ে সার্চ করলে, তার সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে।

এই সার্চ কনসোল মূলত ৩ (তিন) টি বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত। যথাঃ-

  1. Google Crowler
  2. Google Indexer এবং
  3. Google Spider

হ্যাঁ! এই তিনটি বিষয়ের মাধ্যমে গুগল যেকোনো তথ্যকে জমা রাখে। এবং প্রয়োজনের তাগিদে সেই তথ্য গুলোকে আমাদের কাছে শো করে।

তো চলুন এবার সার্চ কনসোলের এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

Google Crowler কি?

গুগল ক্রলার এর প্রধান কাজ হলো, ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘোরাঘুরি করা। এবং এর পাশাপাশি সেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা।

যদি আপনার নতুন কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে। এবং সেই ওয়েবসাইট কে গুগল সার্চ কনসোলে জমা দিবেন। তখন এই Crowler প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিট করবে।

এবং আপনি যখন নতুন কোনো কনটেন্ট পাবলিশ করবেন। তখন এই ক্রলার আপনার সেই কন্টেন্টকে গুগলের Server এ জমা করে রাখবে।

শুধু নতুন কন্টেন্ট নয়, বরং আপনার ওয়েবসাইটে আপনি যা কিছুই করুন না কেন। তার সবগুলো আপডেটকে প্রতিনিয়ত দেখাশোনা করবে, Google Crowler.

Google Indexer কি?

গুগল ক্রলার যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে নতুন কোনো আপডেট পাবে। সেই আপডেট গুলোকে জমা করার দায়িত্ব হলো, Google Indexer এর।

যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো নতুন কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। তখন গুগল ক্রলার সেই কন্টেন্টকে ডিটেক্ট করে দেয়।

এরপর ক্রলার যে তথ্য গুলোকে ডিটেক্ট করে দেয়। সেই তথ্য গুলোকে Indexer গুগল এর নিজস্ব সার্ভারে জমা করে রাখে। 

Google Spider কি?

সার্চ কনসোল এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, Google Spider. কারন আমরা যখন গুগল এ কোনো কিছু লিখে সার্চ করি। তখন এই Spider আমাদের সঠিক তথ্য পেতে সহায়তা করে।

ধরুন, আপনি “New Mobile Phone”- লিখে গুগলে সার্চ করলেন। এখন এই Spider এর কাজ হলো, ইনডেক্সার New Mobile Phone রিলেটেড যে তথ্য গুলো জমা করে রেখেছে। সেই তথ্য গুলোকে খুজে বের করা এবং সেগুলো সার্চ রেজাল্টে শো করা।

আর এইজন্যই আমরা গুগলে ” Bangla Natok”- লিখে সার্চ করলে শুধুমাএ নাটক রিলেটেড তথ্য দেখতে পাই। এবং “New Movie”- লিখে সার্চ করলে, নতুন সিনেমা রিলেটেড তথ্য দেখতে পাই।

আশা করি Search Console এর গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। এবার আমরা জানবো যে, Google Search Console এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। 

গুগল সার্চ কনসোল এর প্রয়োজনীয়তা কি?

যদি আপনি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন। এবং যদি আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে সেই ওয়েবসাইট কে গুগলের কাছে জমা দেয়ার জন্য Search Console এর গুরুত্ব অপরিসীম।

কারন আমি আগেই বলেছি যে, কোনো একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ হলো, ভিজিটর। আপনার একটি থাকতে পারে, কিন্তুু সেই ওয়েবসাইটে যদি কোনো ভিজিটর না থাকে।

তাহলে আপনার সাইট থেকে আপনি কোনো প্রকার বেনিফিট পাবেন না।

অপরদিকে যদি আপনি ব্লগিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে চান। এই সেক্টরে কাজ করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে।

আর আপনি এতোক্ষনে জেনে গেছেন যে, পৃথিবীতে যতো প্রকার Online Platform আছে। তাদের মধ্যে গুগল এর  সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।

তাই কোনো একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য। সবচেয়ে উওম মাধ্যম হলো, Google Search Engine.

গুগলের মিলিয়ন মিলিয়ন ভিজিটর থেকে যদি আপনি কিছু পরিমান ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন। তাহলে আপনার ইনকাম করার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে।

তবে সার্চ ইঞ্জিন গুলো ভিজিটর নিয়ে আসার আগে সর্বপ্রথম আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের কাছে জমা দিতে হবে।

তাই চলুন এবার জেনে নিবো, “কিভাবে নতুন একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে সাবমিট করা যায়”।

কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে জমা দিবেন?

আপনি মাএ কয়েকটি স্টেপ ফলো করে, খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের কাছে সাবমিট করতে পারবেন।

এমন অনেকেই আছেন, যাদের ওয়েবসাইট Blogger এর মাধ্যমে তৈরি করা। এখন তারা কিভাবে তাদের ব্লগকে গুগলে ইনডেক্স করবেন। সেটি স্টেপ বাই স্টেপ দেখাবো।

এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট যদি WordPress এ তৈরি করা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল এ ইনডেক্স করবেন। সেটিও স্টেপ বাই স্টেপ দেখানোর চেস্টা করবো। 

[Disclaimer:- আপনি যদি নিচে আলোচিত কোনো স্টেপকে Skip করে যান। তাহলে আপনার অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। তাই মনোযোগ সহকারে প্রত্যেকটি স্টেপ ফলো করার চেস্টা করবেন]

Step-1: Submit your url in search console

সবার আগে আপনাকে Google Search Console এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এবং অবশ্যই আপনার একটি Gmail Account থাকতে হবে।

এরপর সেই Gmail থেকে আপনাকে Search Console এ লগ ইন করতে হবে। 

search console
google search console

যখন আপনি সঠিকভাবে Log In করবেন। তখন আপনি উপরের পিকচারের মতো দুটো অপশন দেখতে পারবেন। একটি হলো, Domain এবং আরেকটি হলো url prefix.

এবং সবার উপরে আপনি “Welcome to search console”- নামের একটি welcome text দেখতে পারবেন।

মূলত উপরের পিকচারে দেখানো ২ টি অপশন থেকেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে ইনডেক্স করতে পারবেন। তবে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, Url Prefix এর মাধ্যমে সাবমিট করা।

তাই আপনার সুবিধার কথা চিন্তা করে, আমি url prefix এর মাধ্যমে কিভাবে ওয়েবসাইটকে ইনডেক্স করা যায়। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

Step-2: Place your website url

যেহুতু আমরা url prefix এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট কে ইনডেক্স করাবো। সেহুতু আপনাকে ২য় অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

Add website to google search
Add website to google search

এরপরে আপনাকে উপরের পিকচারের মতো আপনার Website Url কে paste করতে হবে। মনে রাখবেন এখানে আপনার কোনো প্রকার ভুল করা যাবে না।

আপনি আরো দেখুন…

যখন আপনি সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইট এর url কে Paste করবেন। তখন আপনাকে Continue Option এ ক্লিক করতে হবে। 

Step-3: Need To Verify Your Ownership

যখন আপনি আপনার website এর url দেয়ার পরে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করবেন। তখন আপনি নিচের পিকচারের মতো একটি অপশন দেখতে পারবেন। 

how to add website to google
google এ ওয়েবসাইট যুক্ত করার নিয়ম

যেখানে আপনাকে Ownership Verify করতে হবে। অর্থ্যাৎ আপনি যে ওয়েবসাইটের লিংকটি দিয়েছেন। সেই ওয়েবসাইটের মালিক আপনি কিনা। সেটি আপনাকে Proved করতে হবে।

এখন আপনি যে সেই ওয়েবসাইট এর মালিক, তা প্রমান করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন, 

  • Download Html File
  • Html Tag
  • Google Analytics 
  • Google Tag Manager 
  • Domain Provider

আপনি উপরে উল্লেখিত এই ৫ টি উপায়ে আপনার Ownership Verify করতে পারবেন।

কিন্তুু এখানে সমস্যা হলো, যারা একেবারেই নতুন। তাদের ক্ষেএে ownership verify করার কিছু কিছু উপায় বেশ কঠিন মনে হতে পারে।

তবে উপরে আলোচিত এই ৫ টি উপায়ের মধ্যে, সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, 

  • Html file এর মাধ্যমে ভেরিফাই করা এবং 
  • Html tag এর মাধ্যমে ভেরিফাই করা। 

কিন্তুু এটা ভাববেন না যে, আপনাকে Ownership verify করার জন্য এই দুইটি পদ্ধতিই অবলম্বন করার লাগবে।

আমি শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছি যে, আপনি উপরের দুইটি উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অনুসরন করতে পারেন। 

কিভাবে Blogger থেকে ভেরিফাই করতে হয়?

যদি আপনার ওয়েবসাইটটি Blogger.com এ তৈরি করা হয়ে থাকে। তাহলে আপনাকে Html tag এর মাধ্যমে আপনার ব্লগের Ownership verify করতে হবে।

কিভাবে আপনার ব্লগকে ভেরিফাই করবেন। এবার সে নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

গুগলে ওয়েবসাইট ভেরিফাই করার নিয়ম
গুগলে ব্লগার ওয়েবসাইট ভেরিফাই করার নিয়ম
  • Step-1: সবার আগে আপনাকে Html Tag নামের অপশনে  হবে। 
  • Step-2: html tag option এ যাওয়ার পরে আপনি কিছু এইচটিএমএল কোড দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই কোড গুলো কপি করে নিতে হবে। 
  • Step-3: এরপর আপনাকে সরাসরি আপনার Blogger Dashboard এ যেতে হবে। 
  • Step-4: ব্লগার ড্যাশবোর্ড থেকে Theme অপশনে গিয়ে Edit html নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে।

blogger ওয়েবসাইট গুগলে ভেরিফাই করার নিয়ম

    blogger ওয়েবসাইট গুগলে ভেরিফাই করার নিয়ম
  • Step-5: উপরে  2 লেখার স্থানে ক্লিক করলে Edit html অপশনে যাওয়ার পরে আপনি আপনার ব্লগের সমস্ত কোড দেখতে পারবেন। সেই কোডগুলো থেকে আপনাকে <Head> কোথায় লেখা আছে তা খুজে নিতে হবে। 
  • Step-6: যখন আপনি <Head> অপশনকে খুজে পাবেন। তখন আপনি যে html tag টি কপি করেছেন। সেই কোডটি <Head> এর ঠিক নিচে Paste করতে হবে। 
submite verification code
submite verification code
  • html tag টি Paste করার পর Save icone অপশনে ক্লিক করে সেভ করতে হবে। 

আপনি এই কাজ গুলো সঠিকভাবে করতে পেরেছেন কিনা। তা চেক করার জন্য পুনরায় আপনাকে Search Console এ আসতে হবে।

সার্চ কনসোলে আসার পর Verify Option এ ক্লিক করার পর যদি উপরের পিকচারের মতো দেখতে পান। তাহলে বুঝে নিবেন আপনি সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে Verify করতে পারবেন।

একটি Google Blogger website কে কিভাবে সার্চ কনসোলে সাবমিট করবেন। আশা করি সে সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

গুগলে ওয়েবসাইট ভেরিফিকেশন হয়েছে কিনা বোঝার নিয়ম
ভেরিফিকেশন হয়েছে কিনা দেখুন

এবার আমরা দেখবো যে কিভাবে একটি WordPress Website কে সার্চ কনসোলে ইনডেক্স করা যায়। 

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে গুগলে ভেরিফাই করতে হয়?

গুগল সার্চ কনসোল এ কিভাবে WordPress Website কে Ownership Verify করতে হয়। এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আপনি একটু আগে যেভাবে Html tag এর মাধ্যমে Ownership verify করেছেন। ঠিক একইভাবে এবার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে ভেরিফাই করবো।

সেজন্য আপনাকে নিচে উল্লেখ করা স্টেপ গুলো সর্তকার সহিত ফলো করতে হবে। 

  • Step-1: সর্বপ্রথম আপনাকে সার্চ কনসোল থেকে html tag টি কপি করতে হবে আগের মতই। 
  • Step-2: এবার আপনাকে সরাসরি WordPress Dashboard এ যেতে হবে। 

[NOTE: ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে Ownership verify করার জন্য আপনাকে একটি Plugin Install করতে হবে ]

  • Step-3: এরপর আপনাকে Plugin অপশনে যেতে হবে এবং Add a new plugin অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
  • Step-4: এবার আপনাকে “Insert Header & Footer”- নামের একটি প্লাগিন ইনস্টল করার পরে সেটিকে Active করে নিতে হবে। 
install Insert Header and Footer plugin
install new WordPress plugin
  • Step-5: Plugin ইনস্টল করার পরে আপনি Setting Option থেকে Insert Header & Footer নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে Click করতে হবে। 
গুগল ভেরিফিকেশন করার জন্য প্লাগিন সেটাপ
গুগল ভেরিফিকেশন করার জন্য প্লাগিন সেটাপ
  • Step-6: Insert Header & Footer সেই অপশনে ক্লিক করার পর আপনি নতুন ৩টি Box দেখতে পারবেন। 
  • Step-7: আপনি যে html tag গুলো কপি করেছিলেন। সেই কোড গুলো উক্ত Scripts in Header বক্সে এ Paste করে দিতে হবে। 
wordpress ওয়েবসাইট প্লাগিন দিয়ে ভেরিফাই করার নিয়ম
wordpress ওয়েবসাইট প্লাগিন দিয়ে ভেরিফাই করার নিয়ম
  • Step-8: কোডগুলো Paste করার পর সবশেষে নিচে আপনাকে Save Option এ ক্লিক করে সেভ করতে হবে। 

এবার আপনাকে পুনরায় Google search console এ যেতে হবে। এবং সেখানে Verify Option এ ক্লিক করার পর যদি নিচের পিকচারের মতো দেখতে পান। তাহলে বুঝে নিবেন আপনি সঠিকভাবে সবগুলো স্টেপ সম্পন্ন করতে পেরেছেন। 

গুগলে ওয়েবসাইট ভেরিফিকেশন হয়েছে কিনা বোঝার নিয়ম
এই লিখা থাকলে ভেরিফিকেশন হয়েছে

তো কিভাবে ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে Google search console এ Ownership Verify করবেন। আশা করি সে সম্পর্কে ষ্পষ্ট ধারনা পেয়ে গেছেন।

এবার আমরা জানবো, ” কিভাবে সার্চ কনসোলে আপনার ওয়েবসাইট এর সাইটম্যাপ সাবমিট করবেন “?

তবে কিভাবে Sitemap Submit করতে হয়, সে সম্পর্কে অবশ্যই আলোচনা করবো। তবে তার আগে জানতে হবে, সাইটম্যাপ কি এবং কেন আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করা উচিত। 

সাইটম্যাপ কি?

Sitemap হলো এমন একটি ফাইল। যেখানে কোনো একটি ডোমেইন এর সমস্ত ডাটা জমা করা থাকে। এবং উক্ত ডোমেইনের নতুন কোনো আপডেট গুলো পর্যায়ক্রমে সাইটম্যাপ জমা করে থাকে। 

বিষয়টি আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি।

মনে করুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। এবং সেই ওয়েবসাইটে অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন Category রয়েছে, অনেকগুলো আর্টিকেল রয়েছে।

এখন আপনি যদি চান যে, আপনার ওয়েবসাইটের এই সমস্ত ডাটা গুলোকে কোনো একটি ফাইলে গিয়ে জমা হোক। তাহলে এই কাজের জন্য সবচেয়ে উওম মাধ্যম হলো, সাইটম্যাপ।

এছাড়াও Sitemap তৈরি করা থাকলে আপনি আরও অনেক দিক থেকে বেনিফিট পাবেন। যেমন আপনি Google Map এর কথাই চিন্তা করে দেখুন।

গুগলের একটি ম্যাপের মাধ্যমে আমরা যেভাবে পুরো বিশ্বের মানচিএকে দেখতে পাই। ঠিক একইভাবে কোনো একটি ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটা গুলো যদি একটি ফাইলের মাধ্যমে দেখতে চান। তাহলে তার জন্য Sitemap এর কোনো বিকল্প নেই। 

কিভাবে ব্লগার থেকে সাইটম্যাপ তৈরি করবেন?

মাএ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই আপনার গুগল ব্লগার থেকে তৈরি করা ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারবেন। 

  • Step-1: সর্বপ্রথম আপনাকে Google search console এ যেতে হবে। 
  • Step-2: এরপর আপনি Sitmap নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • Step-3: এবার আপনি সাইটম্যাপ সাবমিট করার একটি Box দেখতে পারবেন। এবং সেই বক্সের শুরুতে লেখা থাকবে, https://www.yourdomainname.com/ এরপরে আপনি একটা ফাঁকা বক্স দেখতে পারবেন। 
blogger সাইট্ম্যাপ সাবমিট করার নিয়ম
blogger সাইট্ম্যাপ সাবমিট করার নিয়ম
  • Step-4: সেই ফাঁকা বক্সে আপনাকে নিচে দেওয়া কোড গুলো Paste করতে হবে। 

[su_box title=”Blogger Sitemap code” box_color=”#081f93″]atom.xml?redirect=false&start-index=1&max-results=500[/su_box]

  • Step-5: এবার আপনাকে Submit sitemap অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

ব্যাস! আপনার কাজ শেষ। এরপর কিছুক্ষন পরে আপনি Search console এ আপনার তৈরি করা সাইটম্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখতে পারবেন। 

PRO TIPS: উপরে আপনি যে সাইটম্যাপ তৈরি করার কোডগুলো দেখতে পাচ্ছেন। সেটি শুধুমাত্র আপনার প্রথম ৫০০ আর্টিকেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কিন্তুু যখন আপনার কন্টেন্টের পরিমান ৫০০ এর বেশি হয়। তখন আপনি কি করবেন?

হ্যাঁ! তখন আপনাকে পুনরায় সাইটম্যাপ তৈরি করতে হবে । যখন প্রথম ধাপে আপনার সাইটম্যাপের লিমিট অভার হয়ে যাবে। তখন পুনরায় আপনাকে নিন্মোক্ত কোডগুলো দিয়ে Submit করতে হবে।

[su_box title=”Blogger Sitemap code 500+ post” box_color=”#081f93″]atom.xml?redirect=false&start-index=501&max-results=1000[/su_box]

কিভাবে গুগল ব্লগার থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করবেন। আশা করি সে সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন।

এবার আমরা জানবো, কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য Sitemap তৈরি করবেন ৷ 

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে সাইটম্যাপ তৈরি করবেন?

আপনি ২ টি পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার WordPress Website এর জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারবেন। যথাঃ 

  1. ম্যানুয়ালি এবং 
  2. প্লাগইন এর মাধ্যমে 

হ্যাঁ, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য আপনি উপরের যে কোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন। আপনার কাছে যে পদ্ধতিটি সহজ মনে হবে। আপনি সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

তবে আমার দৃষ্টিকোন থেকে Plugin এর মাধ্যমে খুব সহজেই সাইটম্যাপ তৈরি করা যায়। তাই আমি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

Create Sitemap with Plugin

যদি আপনি Plugin ব্যবহার করে সাইটম্যাপ তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে Yeost SEO  প্লাগইন টি ইনস্টল করতে হবে।

এবং নিচের পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে। তবে আপনি যদি RankMath ব্যবহার করেন তাহলে সেম উপায়ে করতে পারবেন হাল্কা পরিবর্তন থাকবে।

  • Step-1: Log in to your WordPress website.
  • Step-2: Click on ‘SEO’
  • Step-3: Click on ‘General’.
  • Step-4: Click on the ‘Features’ tab.
  • Step-5: Toggle the ‘XML Sitemaps’ switch.
  • Step-6: Click ‘Save Changes’

এখন আপনার ওয়েবসাইটের সাইট্ম্যাপ হয়েছে কিনা দেখা জন্য এই ভাবে লিখে ব্রাউজারে ইন্টার দিলেই আপনার সাইটম্যাপ দেখতে পারবেন।

[su_box title=”Check Your Sitemap” box_color=”#081f93″]https://youdomainname/sitemap_index.xml[/su_box]

আপনি মাএ ৬ টি স্টেপ ফলো করেই, আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারবেন ৷ 

আমাদের শেষকথাঃ

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারলাম, গুগল সার্চ কনসোল কি? কেন আমাদের গুগল সার্চ কনসোলের প্রয়োজন রয়েছে? এছাড়াও, গুগল ক্রলার,ইনডেক্সার এবং স্পাইডার সম্পর্কে জানতে পেরেছি ৷

সবশেষে আমরা দেখেছি, কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে জমা করবেন। এবং সাইটম্যাপ সাবমিট করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এছাড়াও কিভাবে ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করা যায়।

সে সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা দিয়েছি এরপরও যদি আপনার কোনো প্রকার সমস্যা হয়। তাহলে অবশ্যই একটা ছোট্ট করে Comment করবেন। আমি চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার ৷ 

4 thoughts on “কিভাবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট জমা দিতে হয়”

    1. স্বাগতম বাংলা আইটি ব্লগে … আমরা এসইও এর সব কিছু বাংলাই আলোচনা করেছি … আপনি বাকি এসইও নিয়ে লেখা পড়তে … এসইও গাইড থেকে দেখে নিতে পারেন ।।

  1. ভাই Google search console website submit করার কতোদিন পর Google search এ আসবে আমার website, ডটকম লিখা ছাড়া শুধু ডোমেইন লিখে সার্চ করলে Google search এ আসতে কতেদিন সময় নিবে।
    আশা করি আমার প্রশ্নের উত্তর পাবো।

    1. ৭ দিনের মাঝে আপনার সাইট গুগলে পাবেন এবং গুগলে সার্চ কলসলে পাবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top