ভার্চুয়াল অফিস কি | Virtual Office এর কাজ কি (What Is Virtual Office in Bengali)

ভার্চুয়াল অফিস কি বা ভার্চুয়াল অফিস কাকে বলে? প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাকে Virtual Office ki  এর যাবতীয় বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।

ভার্চুয়াল অফিস কি | Virtual Office এর কাজ কি (What Is Virtual Office in Bengali)
ভার্চুয়াল অফিস কি

অর্থাৎ আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ভার্চুয়াল অফিস কি বা ডিজিটাল অফিস কি। এবং এই ভার্চুয়াল অফিস এর কাজ কি।

সেই সাথে আমরা অনেকেই ভার্চুয়াল অফিস এর উপকারিতা গুলো জানতে চাই।

তো আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

আর এই ধারণা গুলো পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

দেখুন বর্তমান সময়ে আমাদের মানব জীবনে এক আমূল পরিবর্তন চলে এসেছে। কেননা আমরা সবার সাথে সাথে নিজেকে অনেকটাই পরিবর্তন করে নিয়েছি। কারণ বর্তমান সময়ে হল ডিজিটাল যুগ।

এবং এই ডিজিটাল যুগ এর বিভিন্ন প্রযুক্তির কারণে আমরা এখন অনেক কাজ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারছি।

তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো, Virtual Office. যেখানে আপনাকে রাস্তায় শত শত গাড়ির ট্রাফিক জ্যাম পেরিয়ে অফিস যাওয়ার মতো কোনো প্রকারের চাপ থাকবে না।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

বরং আপনার নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার দিয়ে।

খুব সহজেই আপনার অফিসিয়াল এর কাজ গুলো করতে পারবেন। মূলত এই ধরনের ইন্টারনেট ভিত্তিক অফিস কে বলা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল অফিস (Virtual Office).

ভার্চুয়াল কি (What Is Virtual)

আমরা প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকি, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে আমাদের কাজের জীবনও অনলাইনে চলতে শুরু করেছে।

ভার্চুয়াল কাজ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কিন্তু এটা ঠিক কী? ভার্চুয়াল কাজ হল এমন কাজ যা অনলাইনে বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করা হয়।

এতে টেলিকমিউটিং থেকে শুরু করে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং পর্যন্ত যেকোনো কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

অনেক লোকের জন্য, ভার্চুয়াল কাজ তাদের পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবন পরিচালনা করার নিখুঁত উপায়।

ভার্চুয়াল অফিস কি ? (What Is Virtual Office in Bengali)

যদি আপনাকে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করা হয় যে, অফিস কাকে বলে। তাহলে হয়তোবা আপনার মনে বৃহৎ আকার এর কোন একটি ভবনের কথা মনে পরবে।

এবং সেই ভবনের মধ্যে অনেক মানুষ, অনেক রুম এবং সব মানুষ নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত রয়েছে এমন একটি পরিবেশের কথা মনে পড়বে।

আর বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর অফিস গুলো এই পরিবেশের মাধ্যমেই কাজ করে থাকে।

তবে সময় এর সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন এসেছে। আর সেই পরিবর্তন থেকে বাদ পড়েনি বাস্তব জীবনে থাকা অফিসের কার্যক্রম গুলো।

কেননা এখন আপনি চাইলে [su_highlight background=” #ffd4a1″]আপনার নিজের হাতে থাকা কম্পিউটার ল্যাপটপ অথবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে। অফিসে যাবতীয় কাজ গুলো ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করবেন। তখন তাকে বলা হবে, ভার্চুয়াল অফিস।[/su_highlight]

চলুন বিষয়টি কে আর একটু সহজ ভাবে আলোচনা করা যাক। যেমন ধরুন, আপনি কোন একটি অফিসে চাকরি করেন।

এবং আপনাকে প্রতিদিন সকালে সেই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। আর অফিসের যাবতীয় কাজ গুলো শেষ করে আপনাকে প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরতে হয়।

কিন্তু এই কাজটি যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে করবেন।

তখন আপনাকে আর ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বরং আপনি নিজের ঘরে বসে রিমোটলি অফিস এর সেই কাজ গুলো করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনার ঘরে একটি কম্পিউটার রয়েছে। এবং অফিস থেকে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদান করা হলো।

এখন আপনি নিজের ঘরে বসে সেই কাজ গুলো করলেন। এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই কাজ গুলো আপনার অফিসের মধ্যে জমা দিলেন।

মূলত এটাই হলো এক ধরনের, ভার্চুয়াল অফিস বা ভার্চুয়াল কোম্পানি বলে।

ভার্চুয়াল অফিস এর কাজ কি?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ভার্চুয়াল অফিস কি (Virtual Office ki) সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তো এই বিষয় টি জানার পরে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। আর সে প্রশ্ন টি হল যে, ভার্চুয়াল অফিসের কাজ কি।

অর্থাৎ যখন আপনি এই ধরনের ভার্চুয়াল অফিসের মধ্যে কাজ করবেন। তখন আপনাকে কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

এবং কোন পদ্ধতি গুলো মেনে কাজ করতে হবে। চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এবং ভার্চুয়াল অফিস এর কাজ সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক।

Virtual Office কি এই আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম। আর সেই কথা টি হলো যে, মনে করুন আপনি কোন একটি অফিস এর মধ্যে কাজ করেন।

আর যখন আপনি এই অফিস এর মধ্যে কাজ করবেন। তখন আপনাকে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে।

এবং তারপরে আপনাকে রাস্তার শতশত গাড়ির ট্রাফিক জ্যাম পেরিয়ে আপনাকে অফিসে পৌঁছাতে হবে। তারপর সেই অফিসের মধ্যে আপনার যে সকল কাজ থাকবে।

সে গুলো সঠিক ভাবে করতে হবে। যখন আপনার অফিসের সময় শেষ হবে। তখন আপনাকে পুনরায় বাড়িতে ফিরতে হবে।

আর এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনাকে মাসের প্রতিটা দিন একই ভাবে চলতে হবে। কিন্তু ভার্চুয়াল অফিসের ক্ষেত্রে আপনি অনেকটা ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

কারণ যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে কাজ করবেন। তখন আপনাকে আর ঘরের বাইরে যাওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন পড়বে না।

এর মূল কারণ হলো ভার্চুয়াল অফিসের সাথে যুক্ত থাকলে। আপনি যাবতীয় কাজ গুলো রিমোটলি করতে পারবেন।

যেমন, অফিস থেকে আপনাকে কাজ দেওয়া হবে। এবং সেই কাজ গুলো আপনি নিজের ঘরে বসে করতে পারবেন। আর যখন সে কাজ গুলো সম্পন্ন হবে।

তখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার মূল অফিসে সেই কাজ গুলো জমা দিবেন। আর যখন আপনি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করে।

আপনার সেই কাজ গুলো অফিসে জমা দিবেন। তখন সে গুলো ভার্চুয়াল অফিসের আওতায় পড়বে। আর এটাই হলো ভার্চুয়াল অফিসের মূল কাজ।

এর পাশাপাশি অফিসিয়াল মিটিং, আলোচনা, পরিকল্পনা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ গুলো তখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অফিসের জন্য কি প্রয়োজন ?

আলোচনার শুরু থেকে এই পর্যন্ত আপনি ভার্চুয়াল অফিস সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় জেনে নিতে পেরেছেন।

যেমন সবার শুরুতেই আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে ভার্চুয়াল অফিস কি। এর পাশাপাশি এই ভার্চুয়াল অফিসের কাজ কি সে সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছি।

এখন এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেনে নিতে হবে। সেটি হল যে, ভার্চুয়াল অফিসের জন্য কি কি প্রয়োজন হয়।

অর্থাৎ যখন আপনি এই ভার্চুয়াল অফিস করতে চাইবেন। তখন আপনার নিকট কি কি প্রয়োজন হবে। চলুন এবার তাহলে সে বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

  1. মূলত যে অফিস থেকে ভার্চুয়াল অফিস এর আয়োজন করা হবে। সেখানে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
  2. তবে শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে হবে না। বরং ভার্চুয়াল অফিস করার জন্য যে সকল ডিভাইস প্রয়োজন হয়। সে গুলো দরকার হবে। যেমন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ইত্যাদি।
  3. একটি অফিসে যে সকল কর্মচারী রয়েছে। সে সকল কর্মচারীর নিকট ইন্টারনেট কানেকশন এবং নির্দিষ্ট ডিভাইস থাকতে হবে। যে গুলোর মাধ্যমে তারা এই ভার্চুয়াল অফিসের সাথে কানেক্ট হতে পারবে।
  4. যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিসের আয়োজন করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে একটি কনফারেন্স করার জন্য নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে।
  5. বর্তমান সময় আপনি বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম দেখতে পারবেন। যে প্ল্যাটফর্ম গুলো কে কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়াল অফিসের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করা যায়।

যদিও বা বাস্তবিক জীবনে একটি অফিস তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক সময় এবং শ্রম সেই সাথে অর্থ ব্যয় করতে হয়। অপরদিকে যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিস করতে যাবেন।

তখন আপনার খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়বে না। বরং একটি ভার্চুয়াল অফিসের কার্যাবলী গুলো সম্পন্ন করার জন্য।

ইন্টারনেট কানেকশন এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইস থাকলে আপনি ভার্চুয়াল অফিসের আয়োজন করতে পারবেন।

এবং আপনি ভার্চুয়ালি অফিসিয়াল কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অফিসের উপকারিতা (BENEFITS)

ভার্চুয়াল অফিস কি এবং ভার্চুয়াল অফিসের প্রয়োজনীয়তা কি। সে বিষয় গুলো জানার পরে এবার আমি আপনাকে ভার্চুয়াল অফিসের উপকারিতা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

দেখুন বাস্তবিক জীবনে অফিস করার ক্ষেত্রে যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিসের দিকে লক্ষ্য করবেন।

আপনি আরোও পড়ুন…

তখন আপনি বেশ কিছু উপকারিতা দেখতে পারবেন। আর সেই উপকারিতা গুলো আপনি তখনই ভোগ করতে পারবেন।

যখন আপনি সরাসরি এই ভার্চুয়াল অফিসের সাথে যুক্ত থাকবেন। তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, ভার্চুয়াল অফিসের উপকারিতা গুলো কি কি।

চলুন এবার তাহলে সেই ভার্চুয়াল অফিসের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিশদভাবে জেনে নেওয়া যাক।

  1. ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে কর্মী নিয়োগ দেয়া যায়। এবং তার সাথে খুব কম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করা যায়।
  2. একটি অফিসে কর্মরত ব্যক্তি যদি ভৌগোলিক দিক থেকে অনেক দূর এ অবস্থান করে। তাহলে সেই কর্মচারীর সাথে ভার্চুয়ালি ভাবে অনেক সহজেই তথ্য আদান প্রদান করা যাবে।
  3. একটি ফিজিক্যালি অফিস পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ব্যয় কর্মচারীদের পেছনে করতে হয়। তার অনেক কম ব্যয় হবে যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে এইসব কাজ গুলো সম্পন্ন করবেন।
  4. যখন আপনি ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে আপনার কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। তখন সেই কর্মচারীরা তাদের যাবতীয় বিষয় গুলো আপনাকে নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিতে পারবে।
  5. অবাক করার মতো বিষয় হলেও সত্য যে। ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করলে। আপনার উৎপাদন অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

উপরে আপনি যে বিষয় গুলো দেখতে পাচ্ছেন। সে গুলো হলো ভার্চুয়াল অফিস এর উপকারিতা।

তো এই বিষয় গুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে। যে গুলো ভার্চুয়াল অফিস এর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

আর সে,গুলো নিয়ে নিচে আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব। যেখান থেকে আপনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন যে, ভার্চুয়াল অফিসের উপকারিতা গুলো কি কি।

ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা (ADVANTAGES)

ভার্চুয়াল অফিস কি এর সুবিধা ? দেখুন আলোচনার শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমি আপনাকে ভার্চুয়াল অফিস কি এবং ভার্চুয়াল অফিসের উপকারিতা গুলো জানিয়ে দিয়েছি।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকবেন যারা আসলে জানতে চাইবেন যে। ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা গুলো কি কি।

অর্থাৎ যখন একটি ফিজিক্যাল অফিস ভার্চুয়াল অফিসে রূপান্তর হবে। তখন তারা আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে বলব।

যে, এমন অনেক ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা রয়েছে। যে গুলো দেখলে আপনিও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন।

আর এবার আমি সেই ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা গুলো কে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

নমনীয়তা

দেখুন যেহেতু এটা ভার্চুয়াল অফিস সেহেতু এখানে আপনি কোন প্রকারের ভৌগোলিক সীমারেখা দেখতে পারবেন না।

অর্থাৎ আপনার এই ভার্চুয়াল অফিস এর কার্যক্রম ঢাকার মধ্যে চললেও। আপনি দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন মানুষ কে আপনার সেই ভার্চুয়াল অফিসে যুক্ত করতে পারবেন।

এবং তাদের সাথে অফিসের যাবতীয় মিটিং, আলোচনা এবং পরিকল্পনা করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে এই ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে।

দেশ এবং বিদেশের মধ্যে থাকা ট্যালেন্ট কর্মচারীদের আপনার অফিসে যুক্ত করতে পারবেন।

স্থায়ী অফিসের তুলনায় কম ভাড়া

দেখুন, আপনি যেহেতু ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অফিস তৈরি করবেন। সেহেতু এখানে আপনাকে কোন ধরনের অফিস ভাড়া দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

যেমন, বাস্তবিক জীবনে আপনি যদি কোন অফিস দেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে জমি কিনতে হবে। তারপরে সেই জমির উপরে বহু তল ভবন নির্মাণ করতে হবে।

আর এই কাজ গুলো করার সময় আপনার অনেক টাকা ব্যয় করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ভার্চুয়াল অফিস করেন।

সে ক্ষেত্রে আপনার এই টাকা গুলো ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না।

অর্থাৎ এখানে আপনি অফিসিয়াল পরিকল্পনা, মিটিং করতে পারবেন। এবং আপনার অফিসের জন্য উপযুক্ত কর্মী নির্বাচন করতে পারবেন।

পেশাদারি অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করা

বর্তমান সময়ে যা কিছু হচ্ছে, তা অনলাইন এর উপর প্রচুর পরিমাণে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যেমন ধরুন, আপনার যখন কোন অফিস থাকবে।

এবং আপনি যদি বিদেশি কোন ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলতে চান। তাহলে আপনাকে আর নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মের সাহায্যে। বিদেশি ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলতে পারবেন। আর আপনি যদি আপনার ভার্চুয়াল অফিসের কার্যক্রম সঠিক ভাবে করতে পারেন।

এবং আপনি যদি আপনার অফিসের নাম টি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিণত করতে পারেন।

তাহলে আপনি এই ভার্চুয়াল অফিস এর মাধ্যমে নিজের পেশাদারী অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

রক্ষণাবেক্ষণ এর দ্বায়িত্ব নেই

একটু ভেবে দেখুন তো। মনে করুন, আপনার একটি অফিস রয়েছে। এখন সেই অফিস টি আপনাকে অবশ্যই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

সে জন্য আপনার অফিস এর মধ্যে সিকিউরিটি গার্ড রাখতে হবে। এবং তারা আপনার অফিস এর যাবতীয় দেখভাল করবে।

এর পাশাপাশি আপনার অফিসের মধ্যে থাকা যন্ত্রাংশ গুলো যদি খারাপ হয়ে যায়।

তাহলে আপনাকে সে গুলো পুনরায় ঠিক করতে হবে। মূলত এ গুলো কে বলা হয়ে থাকে, রক্ষণাবেক্ষণ।

আর আপনি যদি ভার্চুয়াল অফিস করেন। তাহলে আপনাকে এই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি যখন ইচ্ছা তখন এই ধরনের ভার্চুয়াল অফিস এর মধ্যে। যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

এবং আপনার কাজ শেষ হওয়ার পরে। আপনাকে আর সেই ভার্চুয়াল অফিস রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে না।

নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

দেখুন, আমাদের প্রত্যেকটা ব্যক্তির জন্য তার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন ভার্চুয়াল অফিস করবেন।

তখন আপনি আপনার সকল নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দিতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনার ভার্চুয়াল অফিসের মধ্যে যারা কাজ করবে।

তাদের যাবতীয় তথ্য গুলো সুরক্ষিত থাকবে। যেমন ধরুন, আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স কি, আপনার এড্রেস কোথায়।

আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় কি ইত্যাদি ছাড়াই আপনি একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট খুলতে পারবেন।

এবং সেই ভার্চুয়াল একাউন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত ভার্চুয়াল অফিস এ যুক্ত হতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অফিসের অসুবিধা (DISADVANTAGES)

ভার্চুয়াল অফিস কি এবং ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা গুলো জানার পরে। এবার আপনাকে এই ভার্চুয়াল অফিসের অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

তো অন্যান্য সব অসুবিধা গুলোর মধ্যে। সবচেয়ে বড় ভার্চুয়াল অফিসের অসুবিধা হলো, স্পেস এবং টাইম লিমিট।

অর্থাৎ যখন আপনি আপনার কাজের জন্য ভার্চুয়াল অফিস এর কার্যাবলী শুরু করবেন।

তখন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। এবং উক্ত সময়ের মধ্যে আপনাকে আপনার অফিস এর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

এর পাশাপাশি একটি ভার্চুয়াল অফিসের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইউজার একটিভ থাকতে পারবে। আর এখানে আপনি বিশেষ একটা সীমাবদ্ধতা দেখতে পারবেন।

তো ভার্চুয়াল অফিসের খুব বেশি একটা অসুবিধা না থাকলেও। যে গুলো ছিল সে গুলো আমি আপনাকে জানিয়ে দিলাম।

আশা করি আপনি বিষয় টি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

প্রথম ভার্চুয়াল অফিস কত সালে শুরু হয়?

1996 সালে, নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম ভার্চুয়াল অফিস শুরু হয়। এটি ব্যবসা করার একটি নতুন উপায় ছিল যেখানে আপনি একটি শারীরিক স্থান ছাড়া একটি অফিস করতে পারেন।

এটি ইন্টারনেট এবং ইমেল দ্বারা সম্ভব হয়েছে। আপনি অনলাইনে মিটিং করতে পারেন এবং সারা বিশ্বের লোকেদের সাথে সহযোগিতা করতে পারেন।

ভার্চুয়াল কোম্পানি কী?

একটি ভার্চুয়াল কোম্পানি হল এক ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যা শুধুমাত্র সাইবারস্পেসে বিদ্যমান।

এই ব্যবসাগুলি সাধারণত উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয় যারা বাড়ি থেকে বা দূরবর্তী অবস্থান থেকে কাজ করে।

ভার্চুয়াল কোম্পানিগুলি প্রায়শই ছোট ব্যবসা বা স্টার্ট-আপ হয় যাদের ঐতিহ্যগত ইট-ও-মর্টার ব্যবসার তুলনায় ওভারহেড খরচ কম থাকে।

ভার্চুয়াল কোম্পানি চালানোর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

  • প্রথমত, কোন শারীরিক অফিস স্থান বা সরঞ্জাম খরচ নেই.
  • দ্বিতীয়ত, আপনার একটি বিশ্বব্যাপী গ্রাহক বেস আছে যেহেতু আপনার ব্যবসা অনলাইনে বিদ্যমান।
  • অবশেষে, আপনি অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই দ্রুত এবং সহজে আপনার ব্যবসাকে উপরে বা নিচে স্কেল করতে পারেন।

ভার্চুয়াল কোম্পানি চালানোর ক্ষেত্রেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

প্রথমত, গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাস তৈরি করা কঠিন হতে পারে। কারণ তারা আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখতে বা যোগাযোগ করতে পারে না।

দ্বিতীয়ত, কর্মচারীদের নিয়োগ এবং ধরে রাখতে আপনার অসুবিধা হতে পারে কারণ তারা একটি ঐতিহ্যগত অফিস পরিবেশে কাজ করছে না।

ভার্চুয়াল ক্লাসরুম কি

একটি ভার্চুয়াল ক্লাসরুম হল একটি অনলাইন শিক্ষার পরিবেশ যা একটি ঐতিহ্যগত শ্রেণীকক্ষকে অনুকরণ করে।

এটি শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের রিয়েল-টাইমে যোগাযোগ করতে, সংস্থানগুলি ভাগ করে নেওয়ার এবং প্রকল্পগুলিতে সহযোগিতা করার সাহায্য করে।

ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষ ঐতিহ্যগত শ্রেণীকক্ষের তুলনায় অনেক সুবিধা প্রদান করে। এগুলি নমনীয়, সুবিধাজনক এবং বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে ৷

সহজভাবে বলা যায়, অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনার সময় ছাত্র-ছাত্রী ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস দ্বারা ক্লাসে যুক্ত হয়ে ক্লাস করাকেই অনলাইন ক্লাস বলে।

আর যেখানে ক্লাস পরিচালনা করে তাকেই অনলাইন ক্লাস রুম বলে।

ভার্চুয়াল অফিস নিয়ে কিছু কথা

বর্তমান সময়ে মানুষ ভার্চুয়াল অফিস করে থাকে। কারণ ভার্চুয়াল অফিস এর অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

তবে আপনি এমন অনেক মানুষ খুঁজে পাবেন। যারা আসলে এখনও জানে না যে, ভার্চুয়াল অফিস কি। এবং ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা গুলো কি কি।

আর এই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে আমি আপনাকে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি যে, ভার্চুয়াল অফিস কি।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

এবং আপনি যদি ভার্চুয়াল অফিস প্রতিষ্ঠা করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর আপনি যদি আজকের পুরো আর্টিকেল টি পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে। এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা চলে এসেছে।

সবশেষে বলবো যে, আপনি যদি এই ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড। সকল আপডেট গুলো সবার আগে পেতে চান।

তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত টেক নিউজ গুলো এই ওয়েব সাইটে পাবলিশ করে থাকি।

দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top