ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি – সুবিধা ও অসুবিধা (Types of credit cards)

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি : বর্তমান সময়ে আমরা একটি উন্নত প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। আর যেহেতু আমরা উন্নত প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি।

সেহেতু আমাদের জীবন যাত্রার মধ্যেও এই উন্নত প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। যেমন টা আগেকার দিনে আমরা আর্থিক লেনদেন করার জন্য হ্যান্ড ক্যাশ ব্যবহার করতাম।

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি – (Types of credit cards)
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি

কিন্তু এখন অনেকেই আমরা আর্থিক লেনদেন করার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকি। তো বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করা হলেও।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত এখন পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানে না যে, এই ক্রেডিট কার্ড কি। এবং ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার।

আর আপনি যদি সেই অজানা মানুষদের দলে হয়ে থাকেন। তাহলে আজকের এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে বিশেষ ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

তবে আরেক টা কথা না বললেই নয় সেটা হলো যে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন।

যারা মূলত ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড এই দুটো বিষয় কে একই মনে করে থাকেন। যদি কেউ এই দুটো কার্ড কে একই বিষয় মনে করে থাকে।

তাহলে বলব যে এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা এই দুটো কার্ড এটিএম কার্ড এর সমন্বয় হলেও। ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে।

এবং আমি আমার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা গত আর্টিকেল এর মধ্যে। একটি ক্রেডিট কার্ড এর সাথে একটি ডেবিট কার্ড এর কি পার্থক্য রয়েছে।

আপনি আরোও পড়ুন…

তা স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আর যেহেতু আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলো ক্রেডিট কার্ড কি, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম এবং ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার।

সেহুতু এখন আমি আপনাকে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব তার সাথে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি । চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ক্রেডিট কার্ড কি?

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার (Type of credit card) সে বিষয় টি সম্পর্কে আজকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে তার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, এই ক্রেডিট কার্ড কি। আর আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড কি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে খুব সহজ ভাষায় বলবো যে। এই ক্রেডিট কার্ড হলো বিশেষ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড।

যে কার্ড এর মাধ্যমে আপনি যাবতীয় পেমেন্ট এর কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

আর আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে যে পেমেন্ট গুলো করবেন। সেই পেমেন্ট এর অর্থ মূলত নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক থেকে প্রদান করা হবে।

আর যখন ব্যাংক থেকে আপনার পেমেন্ট করা সেই অর্থ গুলো প্রদান করবে। তার পরবর্তী সময়ে আপনি যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবেন।

তা আপনাকে নিজে থেকে শোধ করে দিতে হবে। মূলত এটি হলো ক্রেডিট কার্ড এর মূল প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে আমরা ক্রেডিট কার্ড এর সাহায্য আর্থিক লেনদেন এর কাজটি করতে পারি।

আপনি কি নতুন ক্রেডিট কার্ড করতে চাইছেন ?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত নতুন ক্রেডিট কার্ড করতে চাচ্ছেন। তো আপনি যদি নতুন ক্রেডিট কার্ড করতে চান।

তাহলে আপনাকে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যে গুলো মূলত একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কারীর জেনে নেওয়া টা তো জরুরী।

আর আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি আমি আপনাকে এইসব জরুরি বিষয় গুলো জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

প্রথমত আপনি জানতে পারবেন যে, এই ক্রেডিট কার্ড কি এবং তারপরে আপনি জানতে পারবেন এই ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি।

সেই সাথে এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

তো আপনি যদি এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে জানতে চান। তাহলে আজকের এই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার এই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা চলে আসবে।

ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কি করা যাবে?

ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আপনি যাবতীয় পেমেন্ট এর কাজ গুলো করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনি শপিং করতে গেছেন।

এবং শপিং করতে গিয়ে আপনার হঠাৎ করে ক্যাশ টাকা শেষ হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে আপনি এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উক্ত শপিং এর যাবতীয় পেমেন্ট গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

অপর দিকে যদি আপনার কাছে ক্রেডিট কার্ড থাকে। তাহলে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা খরচ করতে পারবেন।

কেননা আর সেই সময় আপনি যে পরিমাণ টাকা খরচ করবেন। সেই টাকা গুলো সম্পূর্ণ ব্যাংক থেকে প্রদান করা হবে।

এবং পরবর্তী সময়ে আপনি যে পরিমাণ বেশি টাকা খরচ করবেন। সেটি আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধ করে দিতে হবে।

তো এই ধরনের পেমেন্টের ক্ষেত্রে আপনি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করতে পারবেন। কেননা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন আপনি যদি থেকে অন্য দেশে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার যে বিমান ভাড়া দেয়ার প্রয়োজন হয়।

সেটিও আপনি এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। আর এইসব দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখতে পারবেন যে।

এই ক্রেডিট কার্ড মূলত বহুমুখী পেমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ক্রেডিট কার্ড কারা পায়?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ক্রেডিট কার্ড কি এবং ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কি কি করা যায়।

তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেটি হল যে, ক্রেডিট কার্ড কারা পায়।

অর্থাৎ এমন কোন ব্যক্তি আছেন। যারা মূলত এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। এখন আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, ইচ্ছে করলে যে কোন ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ড পাবে না। বরং ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।

যদি আপনার মধ্যে সেই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য সে যোগ্যতা গুলো থাকে।

তাহলে অবশ্যই আপনি এই ক্রেডিট কার্ড পাবেন। অন্যথায় আপনি এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।

তো এখন হয়তোবা আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে।

আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে বলব যে। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার অন্যতম একটি যোগ্যতা হলো আপনার ইনকাম সোর্স থাকতে হবে।

সেটা হতে পারে আপনি ভালো বেতনের কোন চাকরি করেন।

আবার সেটা হতে পারে আপনি অনেক বড় একজন ব্যবসায়ী। যদি আপনার এই ধরনের ইনকাম সোর্স থাকে। তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে শুধুমাত্র আপনার ইনকাম সোর্স থাকলেই হবে না। বরং আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। যেখানে আপনি নিয়মিত লেনদেন করতেন।

আর যখন আপনার এই যোগ্যতা গুলো থাকবে। তখন আপনি এই বিশেষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড পেতে কি কি লাগে?

দেখুন আমরা যখন একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যাই। তখন আমাদের বেশ কিছু ডকুমেন্ট দেয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর যখন আমরা সেই ডকুমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে দিতে পারি। তখন আমরা একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারি। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি ক্রেডিট কার্ড খোলার জন্য চেষ্টা করবেন।

তখন অবশ্যই আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর এবার আমি আপনাকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব যে।

আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে যাবেন। তখন আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. আপনার ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
  2. আপনাকে অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট সাবমিট করতে হবে।
  3. যদি আপনি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার এপয়েন্টমেন্ট লেটার প্রদান করতে হবে।
  4. কিন্তু আপনার কাছে যদি এপয়েন্টমেন্ট লেটার না থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি গত তিন মাসের চাকরির স্যালারির ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে পারবেন।
  5. কিন্তু আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ট্রেড লাইসেন্স এবং আপনার গত তিন মাসের ব্যাংকে ট্রানজেকশন এর স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।

তো একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন আপনি ক্রেডিট কার্ড নিতে যাবেন। তখন অবশ্যই আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।

আর আপনার যেসব ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সে গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যে ডকুমেন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনি ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ

ক্রেডিট কার্ড কি এবং ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। সে সম্পর্ক করে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

তবে আপনি কি জানেন এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে বেশি কিছু সুবিধা ভোগ করা যায়। যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে শুনে রাখুন।

একজন ব্যক্তি যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবে। তখন সেই ব্যক্তি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবে।

আর এবার আমি আপনাকে সেই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ সম্পর্কে বলার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন এবার সেই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।

সুবিধা নং-১: অনেক সময় আমরা হ্যান্ড ক্যাশ নিয়ে চলাফেরা করতে অনিরাপদ বোধ করি। কেননা রাস্তায় চলাচলের সময় যদি কোন দুর্ঘটনা বশত আপনার সেই টাকা গুলো হারিয়ে যায়।

তাহলে আপনি পরবর্তী তে সেই টাকা গুলো ফেরত পাবেন না। কিন্তু আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার এই ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন থেকে অনেকটা রেহাই পাবেন।

কারণ যখন আপনার নিকট ক্রেডিট কার্ড থাকবে। তখন আর আপনাকে মানি ব্যাগে কিংবা পকেটে টাকা নিয়ে ঘোরার প্রয়োজন হবে না।

সুবিধা নং-২: আপনার একটা কথা জেনে রাখা উচিত যে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি বাকি তে কেনাকাটা করতে পারবেন।

যেমন ধরুন আপনি মার্কেট করতে গেলেন। এবং মার্কেট করার সময় আপনি বুঝতে পারবেন যে। আপনার নিকট সেই পরিমাণ টাকা নেই, যে পরিমাণ টাকা আপনি অলরেডি খরচ করে ফেলেছেন।

তো এক্ষেত্রে আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাকি তে খরচ করতে পারবেন। কেননা সেই সময় আপনি যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবেন সেটা সম্পূর্ণ ব্যাংক থেকে প্রদান করা হবে।

সুবিধা নং-৩: মূলত যখন আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করবেন। তখন আপনাকে কোন প্রকারের সুদ প্রদান করতে হবে না।

তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত যে। সুদ তখনই প্রদান করতে হয় না যদি আপনি আপনার ব্যয় করা টাকা গুলো ব্যাংকের মধ্যে সঠিক সময়ে পরিশোধ করে দেন।

কিন্তু আপনি যদি আপনার ব্যয় করা সেই টাকা গুলো সঠিক সময়ে ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধ করতে না পারেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে কয়েক গুণ বেশি সুদের ভার বহন করতে হবে।

সুবিধা নং-৪: আপনি একজন মানুষ হিসেবে যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন। তখন আপনি সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন প্রকারের অফার পাবেন।

যেমন, আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনে থাকি। আর এ ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য গুলো আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকেন।

তাহলে আপনি বিশেষ ছাড় পাবেন যা মূলত সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

সুবিধা নং-৫: এই সবকিছুর পাশাপাশি আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন। তখন আপনি বিশেষ একটি পয়েন্ট ব্যবস্থার সুযোগ পাবেন।

অর্থাৎ আপনি আপনার সেই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যত বেশি আর্থিক লেনদেন করবেন। আপনার সেই কার্ডের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পয়েন্ট জমা হবে।

এবং পরবর্তী সময়ে আপনি সেই পয়েন্ট গুলো কে অর্থে রূপান্তর করতে পারবেন। এবং সে গুলো দিয়ে আপনার কেনাকাটা করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা সমূহ

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন। তবে এই সুবিধা গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

সেটি হল যে, ক্রেডিট কার্ডের যেমন সুবিধা আছে ঠিক তেমনি ভাবে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। আর সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।

যাতে করে এই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আপনার কোন কিছু অজানা না থাকে। তাই চলুন এবার তাহলে ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অসুবিধা-১: দেখুন ক্রেডিট কার্ড মানে হল ঋণ। আর আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত নিজের অজান্তেই এই ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে থাকে।

কারণ যখন আপনার কাছে এই ক্রেডিট কার্ড থাকবে। তখন আপনি আপনার ইচ্ছামত ব্যয় করতে পারবেন। কারণ সে সময় আপনার করা ব্যয় টাকা গুলো ব্যাংক থেকে প্রদান করা হবে।

আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ইচ্ছামত টাকা ব্যয় করবেন। যার ফলে আপনার ঋণের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

অসুবিধা-২: সুদ সব ধর্মেই হারাম। কেননা যে সুদ প্রদান করে সে যেমন অপরাধী। ঠিক তেমনি ভাবে যে সুদ গ্রহণ করে সেও সমান অপরাধী।

তো আপনি যখন এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন। তখন আপনি নিজের অজান্তেই এই সুদের সাথে জড়িয়ে যাবেন। কেননা যখন আপনি এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তখন অবশ্যই আপনাকে এই ক্রেডিট কার্ড এর বিভিন্ন কাজের জন্য আপনাকে সুদ প্রদান করতে হবে। যার ফলে আপনি নিজেও এই রকম একটি হারাম কাজের সাথে যুক্ত হয়ে যাবেন।

অসুবিধা-৩: যখন আপনার নিকট ক্যাশ টাকা থাকবে। তখন আপনি আপনার সেই টাকার উপর ভিত্তি করে খরচ করবেন।

কিন্তু আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড এর উপর নির্ভর করে খরচ করবেন। তখন আপনার ব্যয়ের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যাবে।

কারণ যখন পকেটে টাকা থাকবে তখন আপনি যে হিসেব নিয়ে খরচ করবেন। সেই হিসাব টা কিন্তু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময় করতে হবে না।

যার ফলে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে আপনার ব্যয় এর পরিমাণ ঠিক কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে

অসুবিধা-৪: একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী বেশ ভালো করে জানে যে। এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

যেমন, আপনি যখনই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করবেন। তখন আপনাকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার ফি প্রদান করতে হবে।

সেই সাথে যখন আপনি ব্যাংকে গিয়ে দেরিতে টাকা পরিশোধ করবেন। তখনও আপনাকে এক্সট্রা ফি দেওয়ার প্রয়োজন হবে।

এর পাশাপাশি আপনি আরো অনেক ধরনের এক্সট্রা ফি দেখতে পারবেন। যে গুলো মূলত ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার এর হয় ?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ক্রেডিট কার্ড কি এবং ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি কি।

তো এবার আমি আপনাকে মূল বিষয় টি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আর সেই বিষয় টি হলো যে, [su_highlight background=”#9b51e0″]ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার এর হয়ে থাকে। মূলত আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড করতে যাবেন। তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড দেখতে পারবেন।[/su_highlight]

তো এবার আমি সেই সকল প্রকার ভেদ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে আপনি জানতে পারেন ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার এর হয়ে থাকে।

লো-ইনকাম আর্নারের ক্রেডিট কার্ড

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকার নিচে ইনকাম করে থাকে। তো যে মানুষ গুলো এই লিমিটের মধ্যে প্রতি মাসে ইনকাম করে থাকে।

তাহলে তার জন্য এই ধরনের লো-ইনকাম আর্নারের ক্রেডিট কার্ড দেয়া হয়ে থাকে। আর আপনি যদি এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার ফলে বার্ষিক চার্জ অনেক কম দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। আর আপনাকেও এই শর্ত গুলো সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।

ট্রাভেল ক্রেডিট কার্ড

আপনি যদি খুব ঘন ঘন এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করে থাকেন। তাহলে আপনি এই ধরনের ট্রাভেল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

মূলত যদি আপনি এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। তাহলে যখন আপনি এক দেশ থেকে অন্য আরেক টি দেশে ভ্রমণ করতে যাবেন।

তখন আপনার এয়ার লাইন্সের ক্ষেত্রে যে টাকা বুকিং দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সেই টাকা আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি সেই সময় আপনাকে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক লেনদেন করার সময়। আপনি এই ধরনের ট্রাভেল ক্রেডিট কার্ড গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

শপিং ক্রেডিট কার্ড

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবেন। যারা মূলত অনলাইনে কেনাকাটা করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন।

তো আপনিও যদি সেই মানুষের মতো অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ক্রেডিট কার্ড হবে শপিং ক্রেডিট কার্ড।

যার মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোনো অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মধ্যে পেমেন্ট করতে পারবেন। সেই সাথে আপনি যদি এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে শপিং করেন।

তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের রিওয়ার্ড পাবেন। যে রিওয়ার্ড গুলোর মাধ্যমে আপনি পুনরায় অনলাইনে শপিং করতে পারবেন।

এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড

যদি আপনি প্রতিনিয়ত বিদেশ যাওয়া আসা করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে।

আপনি বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। মূলত যদি আপনার নিকট এই ধরনের এয়ারলাইন ক্রেডিট কার্ড থাকে।

তাহলে আপনি বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সের বুকিং নিজের ঘরে বসে করতে পারবেন। আর আপনি যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই কাজ টি করেন।

তাহলে আপনি বিশেষ কিছু রিওয়ার্ড পাবেন। এবং আপনি যত বেশি এয়ারলাইন বুকিং করার জন্য এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন।

আপনার রিওয়ার্ড এর পয়েন্ট ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

রিওয়ার্ডস ক্রেডিট কার্ড

যদিওবা সব ধরনের ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি আলাদা ভাবে রিওয়ার্ডস ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।

সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে বিশেষ ধরনের রিওয়ার্ড প্রদান করা হবে। যেগুলো আপনি আপনার প্রয়োজনে টাকায় কনভার্ট করে নিতে পারবেন।

এবং সে গুলো পরবর্তী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। মূলত এটি হলো এই ধরনের রিওয়ার্ড ক্রেডিট কার্ডের বিশেষ সুবিধা।

ক্যাশব্যাক ক্রেডিট কার্ড

যেহেতু আমরা বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে থাকি। সেহেতু আমরা এই ক্যাশব্যাক এর সাথে বিশেষ ভাবে পরিচিত।

মূলত এই ধরনের ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ অফার প্রদান করা হবে। এবং এই অফার গুলো আপনার ব্যয়ের উপর নির্ভর করবে।

অর্থাৎ যখন আপনি তাদের এই অফার গুলো অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে লেনদেন করবেন। তখন আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাশব্যাক পাবেন। মূলত এটি হলো ক্যাশব্যাক ক্রেডিট কার্ড এর মূল বৈশিষ্ট্য।

ফুয়েল ক্রেডিট কার্ড

যদি আপনার নিকট গাড়ি থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার সেই গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই ফুয়েল এর প্রয়োজন হবে।

আর আপনি যদি এই ফুয়েল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফুয়েল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে।

কেননা যখন আপনি আপনার গাড়ির জন্য ফুয়েল কেনার সময় এই ক্রেডিট কার্ড গুলো ব্যবহার করবেন।

তখন আপনি বিশেষ অফারে ক্যাশব্যাক পাবেন। সেই সাথে আপনার রিওয়ার্ড পাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে।

এন্টারটেইনমেন্ট ক্রেডিট কার্ড

আমাদের মধ্যে যে মানুষ গুলো মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করে। কিংবা অন্য কোথাও কনসার্টের অনুষ্ঠান হলে দেখতে যায়। তাদের জন্য এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে।

মূলত এই ধরনের এন্টারটেইনমেন্ট ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে পেমেন্ট করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

আর যখন আপনি এই ধরনের কাজে উক্ত ক্রেডিট কার্ড গুলো ব্যবহার করবেন। তখন আপনি রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন।

সেক্যুরেড ক্রেডিট কার্ড

আজকের আলোচিত সর্বশেষ ক্রেডিট কার্ড এর নাম হল সেক্যুরেড ক্রেডিট কার্ড।

মূলত এ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার জন্য আপনাকে আপনার একাউন্টে নগদ অর্থ ডিপোজিট করে রাখতে হবে। আর যখন আপনার ক্রেডিট স্কোর খারাপ হবে।

তখন আপনার এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড গুলো স্কোর বাড়িয়ে দিতে সহায়তা প্রদান করবে।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড কি এবং ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

যদি আপনার এই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত সঠিক ধারণা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

আপনি আরোও দেখুন…

সেই সাথে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তা সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো জানতে পেরেছেন। আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

2 thoughts on “ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি – সুবিধা ও অসুবিধা (Types of credit cards)”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top