বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল, নিয়ম এবং উপায় গুলো জেনে রাখুন

বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল : Sales Growth Strategy. বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি দেখতে পারবেন।

বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল, নিয়ম এবং উপায় গুলো জেনে রাখুন
বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল, নিয়ম

তবে এই কোম্পানি গুলোর মধ্যে যারা বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো জানে। তারা সর্বদাই গোটা বিশ্ব জুড়ে টপ অফ দা কোম্পানি হিসেবে পরিচিত।

কারণ এই ধরনের কোম্পানি গুলো যে কোনো ধরনের প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক ভালো ফলাফল করতে পারে। যার কারণে তারা আজ গোটা বিশ্ব জুড়ে মার্কেটিং করছে।

তো আপনি যদি কোন ব্যবসা করেন কিংবা আপনার যদি কোন কোম্পানি থাকে। তাহলে আজকের এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ আজকে আমি আপনাকে এমন কিছু বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল, সেলস বৃদ্ধির কৌশল এবং বিক্রয় প্রসারের কৌশল সম্পর্কে বলবো।

আপনি আরোও দেখতে পারবেন…

যে গুলো আপনার অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত যদি আপনার ব্যবসার বিক্রি বৃদ্ধি করতে চান। চলুন এবার তাহলে সেই বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো কি?

দেখুন আপনি যদি ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সেই ব্যবসার মধ্যে থাকা প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে হবে।

আর এভাবে আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার উন্নতি ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে যখন কোন নতুন ব্যবসা শুরু করা হয়।

তখন বেশ কিছু বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল অনুসরণ করতে হয়। যাতে করে সেই ব্যবসা টি উন্নতির দিকে ধাবিত হয়। আর সেই বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো হলোঃ

  1. পণ্যের গুণগত মান রাখুন,
  2. সঠিক মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করুন,
  3. আকর্ষণীয় অফার প্রদান করুন,
  4. প্রয়োজনে প্রচার এর কাজ করুন,
  5. কাস্টমারদের খোঁজ খবর রাখুন,
  6. অতিরিক্ত পণ্য কিনতে বাধ্য করুন,
  7. অনলাইন রিভিউ এর সুবিধা নিন,
  8. কাস্টমারদের প্রোডাক্ট কেনার প্রতি নজর দিন,
  9. প্রোডাক্ট টু মার্কেট ফিট করুন

উপরের তালিকায় আপনি বিক্রয় বৃদ্ধি কৌশল গুলো দেখতে পাচ্ছেন। চলুন এবার এই কৌশল গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো কে কিভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পণ্যের গুণগত মান রাখুন

আপনি যদি আপনার ব্যবসার মধ্যে থাকা প্রোডাক্ট এর বিক্রি বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে অবশ্যই সেই প্রোডাক্ট মানসম্মত হতে হবে।

কারণ মানুষ এমন কোন ধরনের পণ্য কিনবে না, যে গুলোর কোয়ালিটি খারাপ। তাই আপনার ব্যবসার মধ্যে থাকা প্রোডাক্ট গুলোর গুণগতমান রাখার চেষ্টা করবেন।

যাতে করে কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করে ভালো রেজাল্ট পায়। এবং পরবর্তী সময়ে আপনার সেই প্রোডাক্ট গুলো কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।

মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার পণ্যের গুণগতমান বজায় রাখতে না পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি ক্রমাগত ভাবে মার্কেট থেকে ছিটকে পড়বেন।

সেই সাথে সর্বদাই আপনি আপনার প্রতিযোগীদের দিকে খেয়াল রাখবেন। তারা কেমন কোয়ালিটির প্রোডাক্ট মার্কেটে ছাড়ছে।

এবং যারা কাস্টমার তারা কোন ধরনের প্রোডাক্ট গুলো বেশি ব্যবহার করছে। সে গুলো অবশ্যই যাচাই বাছাই করে আপনার প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি নির্ধারণ করবেন।

সঠিক মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করুন

আপনি ততক্ষণ আপনার ব্যবসা কিংবা কোম্পানি কে টিকিয়ে রাখতে পারবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি স্মার্ট কৌশল অনুসরণ করতে পারবেন।

আর ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের কৌশল অনুসরণ করে থাকি। কিন্তু আপনাকে শুধুমাত্র কৌশল অনুসরণ করলেই হবে না।

বরং প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হলে স্মার্ট কৌশল অনুসরণ করতে হবে। সেজন্য আপনাকে পেশাদারী মার্কেটিং কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

আর সেজন্য আপনার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে খুব মনোযোগ দিয়ে ভাবতে হবে যে, আপনার যারা প্রতিযোগী রয়েছে।

তারা তাদের প্রোডাক্টের মধ্যে কেমন কোয়ালিটি দিচ্ছে। এবং তাদের মার্কেট এর মধ্যে থাকা প্রোডাক্ট গুলোর চাহিদা কেমন রয়েছে।

মূলত এরপর আপনাকে এমন কিছু করতে হবে। যাতে করে প্রতিযোগীদের যে আপনার প্রোডাক্ট এর সেল বৃদ্ধি হয়।

প্রোডাক্ট টু মার্কেট ফিট করুন

আপনার ব্যবসার মধ্যে যে সকল প্রোডাক্ট রয়েছে। সেই প্রোডাক্ট গুলো মানুষ তখনই কিনবে যখন তাদের বাজেট এর সাথে সামঞ্জস্য থাকবে।

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যবসা করার সময় ভাবতে হবে। আপনি কোন ধরনের কাস্টমারদের টার্গেট করে আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটে ছাড়বেন।

এবং যখন আপনার প্রোডাক্ট গুলো মার্কেটে ছাড়বেন। তখন আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভাবতে হবে। সেটি হলো, আপনার সেই প্রোডাক্ট মার্কেট ফিট আছে কিনা।

অর্থাৎ আপনি যে ধরনের কাস্টমারদের টার্গেট করে আপনার প্রোডাক্ট গুলো মার্কেটে ছেড়েছেন।

তারা আপনার প্রোডাক্ট এর বাজেট অনুযায়ী কিনতে পারবে কিনা। সেটা অবশ্যই আপনাকে ভাবতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনাকে একটা কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

সেটা হল, আপনার যারা প্রতিযোগী রয়েছে। তারা যে বাজেট এর মধ্যে প্রোডাক্ট মার্কেটে ছেড়েছে।

তার থেকে কম বাজেটে আপনার প্রোডাক্ট গুলো মার্কেটে ছাড়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে আপনি কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।

আর যখন মানুষ দেখবে যে, অন্যান্য কোম্পানি গুলোর তুলনায়। আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো গুণগত মানের দিক থেকে ভালো।

এর পাশাপাশি বাজেটের দিক থেকে যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে। তখন কিন্তু মানুষ ক্রমাগত ভাবে আপনার প্রোডাক্ট কেনার প্রতি আগ্রহী হবে।

কাস্টমারদের প্রোডাক্ট কেনার প্রতি নজর দিন

যখন আপনি কোন ব্যবসা শুরু করবেন। এবং আপনার ব্যবসার মধ্যে থাকা প্রোডাক্ট এর সেল বৃদ্ধি করার চিন্তা করবেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে একটা বিষয় ভাবতে হবে। সেই বিষয় টি হলো, কাস্টমার কেন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে। অর্থাৎ এমন কোন কারণ রয়েছে।

যে গুলো পূরণ করার জন্য কাস্টমার নিজের অর্থ ব্যয় করে আপনার প্রোডাক্ট কিনবে। আর এই বিষয়টির দিকে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্ব দিতে হবে।

কেননা এটি হলো বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম।

মনে করুন, আপনার ঠান্ডা পানীয় তৈরি করার একটি কোম্পানি রয়েছে। এখন মানুষ যদি আপনার সেই পানি খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে।

তাহলে কিন্তু মানুষ আপনার সেই পানীয় পছন্দ করবে। অপর দিকে যদি মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ না হয়। মানুষ যদি আপনার পানীয় পান করে স্বস্তি না পায়।

সে ক্ষেত্রে কিন্তু মানুষ আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে না। তো সেজন্যই আপনাকে সবার আগে ভাবতে হবে যে, মানুষ কেন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে।

অনলাইন রিভিউ এর সুবিধা নিন

যখন আপনার একটি ব্যবসা থাকবে কিংবা আপনার একটি কোম্পানি থাকবে। তখন অবশ্যই আপনাকে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে।

সেটি হল, আপনি যত প্রচার করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার প্রসার ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

আর সময়ের সাথে সাথে আপনার ব্যবসার কৌশল গুলো আরো অ্যাডভান্স লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেননা এখন হলো অনলাইন এর যুগ।

সেজন্য আপনাকে অনলাইন রিভিউ এর সুবিধা নিতে হবে।

হয়তোবা এখন আপনি ভাবছেন যে, এই অনলাইন রিভিউ আবার কি জিনিস। তো যদি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে না বুঝে থাকেন।

তাহলে শুনুন, মনে করুন আপনার একটি মোবাইল কোম্পানী রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার সেই কোম্পানি থেকে যে সকল নতুন নতুন মডেলের মোবাইল তৈরি হয়।

সে গুলো সম্পর্কে ইন্টারনেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পজেটিভ রিভিউ থাকবে। আর যখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই পজেটিভ রিভিউ গুলো দেখবে।

তখন তাদের মধ্যে আপনার মোবাইল কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।

আর যখন আপনি আপনার ব্যবসায় প্রোডাক্ট এর রিভিউ তৈরি করবেন। তখন অবশ্যই ভিডিও রিভিউ এর দিকে বেশি গুরুত্ব দিবেন।

কারণ মানুষ এখন ভিডিও দেখতে অনেক পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে অনলাইনে ভিডিও রিভিউ প্রচার করেন।

সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

অতিরিক্ত পণ্য কিনতে বাধ্য করুন

আপনি এতক্ষণ ধরে মোট যতগুলো বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে এবার আমি আপনাকে অনেক কার্যকরী একটি বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল জানিয়ে দিব।

সেটি হল কাস্টমারদের অতিরিক্ত পণ্য কিনতে বাধ্য করা। এক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। আর আপনি যদি সেই কৌশল গুলো কে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট এর বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন।

এখন হয়তো আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হল, আপনি কিভাবে কাস্টমারদের অতিরিক্ত পণ্য কিনতে বাধ্য করবেন?

আপনার জন্য আরোও লেখা…

কেননা তাদের যতটুকু প্রয়োজন তারা ঠিক ততটুকুই ক্রয় করবে। এক্ষেত্রে তো তাদের কে আর জোর করে পণ্য দেওয়া সম্ভব নয়।

তো আপনি যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে একটু ঠান্ডা মস্তিষ্কের চিন্তা করতে হবে। এবং আমার কথা ভালোভাবে বুঝতে হবে।

মনে করুন, আপনার একটি সাবান এর কোম্পানি রয়েছে। এবং প্রচুর পরিমাণ মানুষ আপনার কোম্পানির সাবান ব্যবহার করে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি এই সাবান এর সাথে সাথে আপনার কোম্পানিতে তৈরি হওয়া শ্যাম্পু অফার হিসেবে দেন।

তাহলে কিন্তু কাস্টমাররা আপনার শ্যাম্পু ব্যবহার করবে। এবং তারা যদি আপনার শ্যাম্পু থেকে ভালো ফলাফল পায়। তাহলে পরবর্তী সময়ে তারা এই শ্যাম্পু গুলো কিনতে আগ্রহী হবে।

কাস্টমারদের খোঁজ খবর রাখুন

আপনি যদি আপনার ব্যবসার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে শুধুমাত্র আপনার কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট উৎপন্ন করা।

আর সেই প্রোডাক্ট গুলো মার্কেটে সাপ্লাই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না। বরং এর বাইরে আপনাকে আরও বেশ কিছু কাজ করতে হবে।

আর সেই কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আপনাকে নিয়মিত কাস্টমারদের খোঁজ খবর রাখতে হবে। এবং তাদের বেশ কিছু বিষয়ের দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।

যেমন, যারা আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনছে। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন।

তাদের কাছে জেনে নিবেন যে, আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলে, তাদের কতটুকু সাশ্রয় হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই প্রোডাক্ট গুলো মানসম্মত হচ্ছে কিনা।

কিংবা আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলে। গ্রাহকরা কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা। এই যাবতীয় বিষয় গুলো আপনাকে সঠিক ভাবে জেনে নিতে হবে।

আর যখন আপনি এই কাজ টি নিয়মিত করবেন। তখন কিন্তু গ্রাহকদের কাছে আপনি আলাদা একটা প্রাধান্য পাবেন।

কেননা যখন গ্রাহকরা জানতে পারবে যে একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরে। তার ফিডব্যাক গ্রাহকদের থেকে নিচ্ছে।

তখন কিন্তু তাদের মনে আপনার কোম্পানি সম্পর্কে একটা পজিটিভ ধারণা তৈরি হবে। যা আপনার কোম্পানির বিক্রয় বৃদ্ধিতে অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে।

প্রয়োজনে প্রচার এর কাজ করুন

দেখুন আমি উপরেই একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল আপনি আপনার ব্যবসার প্রসার ঠিক ততো বেশি করতে পারবেন।

যতো বেশি আপনি প্রচার করতে পারবেন। কারণ মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে না।

ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনার কোম্পানি থেকে উৎপাদন হওয়া প্রোডাক্ট গুলো কিনবে না। কিন্তু যখন আপনি তাদের কাছে আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার করবেন।

তখন অনেক মানুষ আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে।

কিন্তু যখন আপনি আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে ভাবতে হবে যে, কোন মাধ্যমে প্রচার করলে।

আপনার কোম্পানির প্রসার অতি দ্রুত হবে। যেমন, এখন অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন এর মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে হবে যে, এমন কোন মাধ্যম রয়েছে। যেখানে আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের বিচরণ রয়েছে।

তবে যেহেতু এখন অনলাইন এর যুগ। তাই অবশ্যই আপনাকে আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য। অনলাইন মাধ্যম কে বেছে নিতে হবে।

আর এখন অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপন প্রচার করার কাজ করা যায়। আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্ট অনুযায়ী কাস্টমারদের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে।

আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে মানুষ আপনার কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারবে।

এতে করে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

আকর্ষণীয় অফার প্রদান করুন

অফার যার মাধ্যমে কাস্টমারদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করা সম্ভব। আর আপনি যেহেতু আপনার প্রোডাক্ট এর বিক্রি বৃদ্ধি করতে চান।

সেহেতু অবশ্যই আপনাকে এই পদ্ধতি টি অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যত ভালো অফার দিতে পারবেন। কাস্টমার আপনার দিকে ঠিক তত বেশি আকৃষ্ট হবে।

আর এই অফার দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার কোম্পানির মধ্যে থাকা নতুন নতুন প্রোডাক্ট গুলোর ব্যবহার বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

যে কারণে এই কৌশল কে সেরা বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পাই যে একটি ফ্রিজ কিনলে টিভি ফ্রি। এক্ষেত্রে সেই কোম্পানি তার ফ্রিজ বিক্রি করার পাশাপাশি।

তাদের কোম্পানি তে উৎপাদন হওয়া টিভি খুব স্বল্প পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে অফারে দিয়ে ব্যবহার বাড়িয়ে নিচ্ছে।

আর যখন গ্রাহকরা সেই ফ্রিজের সাথে অফারে পাওয়া টিভি ব্যবহার করে ভালো লাগবে। তখন পরবর্তী সময়ে তারা সেই টিভি কেনার জন্য খোঁজ করবে।

এতে করে অফার এর মাধ্যমেও প্রোডাক্ট বিক্রি বৃদ্ধি করা যায়। সেই সাথে নতুন প্রোডাক্ট এর ব্যবহার চালু করা যায়।

অনলাইনে বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল

বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা মূলত অনলাইনে ব্যবসা করে থাকেন।

তো আপনি ব্যবসা অনলাইনে করছেন নাকি অফলাইনে করছেন সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারছেন কি না।

তো আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করেন। এবং অনলাইনে বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনাকে নিচের কৌশল গুলো অনুসরণ করতে হবে।

  1. সর্বপ্রথম অনলাইন এর মধ্যে বড় কমিউনিটি তৈরি করার চেষ্টা করুন।
  2. মনে রাখবেন, অনলাইন এর মধ্যে কাস্টমারদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ।
  3. তাই যে করেই হোক, আপনি আপনার কোম্পানির প্রতি বিশ্বস্ততা তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
  4. যতটুকু সম্ভব আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন প্রচার করার চেষ্টা করবেন। যাতে করে অনেক মানুষ আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে।
  5. অনলাইনে থাকা বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট এর পজিটিভ রিভিউ ভিডিও তৈরি করুন।
  6. যদি পারেন তাহলে অন্যান্য মানুষদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ করে দিন।
  7. আপনার প্রোডাক্ট এর মান গুণগত রাখার চেষ্টা করুন।

তো আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করেন এবং বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরের এই কয়েক টি নিয়ম যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে মেনে চলতে হবে।

তাহলে আপনি অনলাইনে ব্যবসার বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন।

বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে কিছু কথা

আপনি যখন কোনো ব্যবসা করবেন। তখন অবশ্যই আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট গুলো আশানরূপ বিক্রি হতে হবে। কারণ যদি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি না হয়।

তাহলে কিন্তু আপনার কোম্পানি মার্কেট থেকে ছিটকে পড়বে। আর এই প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

যে গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

মূলত আজকে আমি আপনার সাথে সেরকম কিছু বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল শেয়ার করেছি। যদি আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আজকের আলোচিত বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। 

আর এই ধরনের ব্যবসা রিলেটেড অজানা বিষয় গুলো সবার আগে জানতে হলে। আমাদের সাথে থাকবেন।

ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আমার লেখা বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল গুলো পড়ার জন্য। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top