অহংকার কাকে বলে | অহংকারী মানুষ চেনার ৫টি উপায়

অহংকার কাকে বলে : অহংকার  কি (What is Arrogance) আমরা প্রতিনিয়ত অহংকার কিংবা অহংকারী এই দুটো শব্দ শুনে থাকি।

অহংকার কাকে বলে | অহংকারী মানুষ চেনার ৫টি উপায়
অহংকার কাকে বলে

তবে আপনি কি বলতে পারবেন যে, অহংকার কাকে বলে? আপনি কি বলতে পারবেন, এই অহংকার কত প্রকার ও কি কি?

মূলত আলোচিত এই আলোচনায় আমি এই বিষয় টি নিয়েই বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, অহংকার কাকে বলে।

আমরা সামাজিক জীব। আর সে কারণে আমাদের সমাজে বিভিন্ন মানুষের সাথে বসবাস করতে হয়।

আর যেহেতু আমরা বিভিন্ন মানুষের সাথে বসবাস করি। সেহেতু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকেন। যাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অহংকার থাকে।

এবং সমাজের অন্যান্য মানুষ গুলো সেই মানুষটি কে অহংকারী মানুষ হিসেবে পরিচিত করে থাকে। তবে যারা একটি মানুষ কে অহংকারী বলে থাকে।

তাদের কে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, বলুন তো অহংকার কাকে বলে। তাহলে কিন্তু সেই মানুষ টি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে না।

কেননা আমরা আমাদের কথার মধ্যে অনেক কিছু বলি। যার সঠিক উত্তর টি আমাদের কাছে অজানা থেকে যায়।

ঠিক তেমনি ভাবে এই অহংকার হল তেমনি একটি শব্দ। যার সদ উত্তর আমরা অনেকেই জানিনা।

মূলত আজকে আমি আপনাকে এই অহংকার সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

যদিও বা আমি আমার এই ওয়েব সাইটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড কনটেন্ট পাবলিশ করি।

আপনার জন্য আরো লেখা…

কিন্তু আজকে আমি ভিন্ন একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করব। যাতে করে আপনি টেকনোলজি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি। এইসব যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন।

আর সে কারণেই আজকে আমি আপনাকে স্পষ্ট ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব যে, অহংকার কাকে বলে, অহংকারের লক্ষণ কি, অহংকার দূর করার উপায়।

অহংকার কত প্রকার ও কি কি। তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নিতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

অহংকার কাকে বলে ? 

সবার শুরুতেই আপনাকে জেনে নিতে হবে, যে অহংকার কাকে বলে (What is Arrogance).

তো এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ বসবাস করেন।

যাদের মধ্যে এক ধরনের অতিমাত্রিক শ্রেষ্ঠত্ব মনোভাব রয়েছে। আর এই মনোভাব তারা তাদের মধ্যে এমনভাবে পালিত করে।

যার ফলে তারা সমাজে বসবাস কৃত অন্যান্য মানুষদের অনেক ছোট মনে করে। মূলত এই ধরনের মানুষ কে বলা হয়ে থাকে, অহংকারী।

আর এরকম অতি মাত্রিক শ্রেষ্ঠত্ব মনোভাব কে বলা হয়ে থাকে, অহংকার।

চলুন বিষয়টি কে আর একটু সহজ ভাবে খুলে বলার চেষ্টা করি। দেখুন আপনি এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত নিজেকে অনেক বড় মনে করে থাকে।

যেহেতু তিনি তার মনের মধ্যে এই ধরনের শ্রেষ্ঠত্ব মনোভাব লুকায়িত করে রেখেছেন। সেহেতু অবশ্যই তিনি অন্যান্য মানুষকে হেয় করবেন এটাই স্বাভাবিক।

আর যখন কোন একজন মানুষের মধ্যে এই ধরনের হেয় প্রতিপন্ন করার মতো মনোভাব থাকে। তখন তার মধ্যে অহংকার এর সৃষ্টি হয়।

যার ফলে সে হয়ে যায় সবার সামনে একজন অহংকারী মানুষ।

আশা করি অহংকার কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি এই আলোচনা থেকে একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

অহংকার এর সমার্থক শব্দ কি ?

উপরের ছোট্ট আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, অহংকার কাকে বলে। তবে এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, অহংকার এর সমার্থক শব্দ কি। তো এই অহংকার এর সমার্থক শব্দ হল, দম্ভপুূর্ণ, গৌরবান্বিত, আত্মাভিমান, অহমিকা।

আশা করি এবার আপনি অহংকার এর সমার্থক শব্দ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। চলুন এবার তাহলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

এবং জেনে নেওয়া যাক যে, অহংকার কত প্রকার ও কি কি।

অহংকার কত প্রকার? 

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে অহংকার কাকে বলে। এবং অহংকার এর সমার্থক শব্দ কি।

তো এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে বলুন তো, অহংকার কত প্রকার।

তাহলে হয়তো বা আপনি বেশ চিন্তায় পড়ে যাবেন। কেননা এতদিন থেকে আপনি শুধুমাত্র অহংকার শব্দটি শুনে এসেছেন। এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করে এসেছেন।

কিন্তু এই অহংকার এর প্রকারভেদ আছে। এ কথাটি শোনার পর আপনিও বেশ অবাক হয়ে যাবেন। মূলত বিষয় টি অবাক করার মতো হলেও সত্য।

যে, অহংকার এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। আর এবার আমি আপনাকে সেই প্রকারভেদ গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, অহংকার কত প্রকার ও কি কি।

ব্যক্তিগত অহংকার (Individual arrogance)

সচরাচর যে অহংকার মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাকে বলা হয়  ব্যক্তিগত অহংকার। মূলত এই ধরনের অহংকার কমবেশি সবার মধ্যেই থাকে।

যেমন, আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। আর যদি আপনার সেই চাকরিতে প্রোমোশন হয়। তাহলে আপনার নিজের মধ্যে একটা গর্ববোধ তৈরি হবে।

এবং সেই সময়ে আপনি আপনার নিচু পদে কর্মরত চাকরিজীবীদের একটু হলেও অন্য দৃষ্টিতে তাকাবেন।

মূলত এই ধরনের অহংকার কে বলা হয়ে থাকে ব্যক্তিগত অহংকার। যা মূলত কমবেশি সব ধরনের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। 

অপর দিকে যখন কোন একজন ব্যক্তি অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়। তখন তার মধ্যে এক ধরনের দাম্ভির্য তৈরি হয়। কেননা সে যেহেতু অনেক সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছে।

সেহেতু তার মধ্যে একটা ব্যক্তিগত অহংকার কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই দিক থেকে বিবেচনা করলে বলা যায় যে। আমরা অধিকাংশ মানুষ এই ব্যক্তিগত অহংকারে আবদ্ধ।

যার প্রতিফলন সময়ের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে থাকে।

প্রতিযোগিতা মূলক অহংকার (Competitive Arrogance)

অন্যান্য সব অহংকারের মধ্যে বেশ পরিচিত একটি অহংকার হল প্রতিযোগিতা মূলক অহংকার। যেমন ধরুন, সমাজে বসবাস করার সময় আপনি এমন অনেক মানুষ কে দেখতে পারবেন।

যারা মূলত সর্বদাই অন্যান্য মানুষদের তুলনায় নিজে কে অনেক বেশি সক্ষম মনে করে থাকে। যেমন ধরুন, আপনি কোন একটি কাজ করছেন এবং সেই কাজে আপনার সময় লাগছে।

অপর দিকে সেই ব্যক্তি টি যদি আপনাকে দেখে। তাহলে সে ভাববে যে, সে যদি আপনার এই কাজ টি করত। তাহলে খুব দ্রুততার সাথে কাজ টি করতে পারত।

মূলত সে নিজেই নিজের কৃতিত্ব কে বড় করে দেখার চেষ্টা করে থাকে। আর এই ধরনের অহংকার কে বলা হয়ে থাকে, প্রতিযোগিতামূলক অহংকার।

বিরোধী অহংকার (Antagonistic Arrogance)

মানুষের মধ্যে মোট যত পরিমাণে অহংকার দেখা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো বিরোধী অহংকার। কেননা আপনার মধ্যে যদি এই ধরনের অহংকার বিরাজমান থাকে।

তাহলে আপনি সর্বদাই অন্যান্য মানুষদের কে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এবং যখন আপনি সমাজে বসবাস করা অন্যান্য মানুষদের হেয় প্রতিপন্ন করবেন।

এর ফলে তারা যে কষ্ট পাবে, সেই কষ্ট দেখে আবার আপনি আনন্দ লাভ করবেন।

আর সে কারণেই এই ধরনের অহংকার কে সবচেয়ে ক্ষতিকর হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

আর যারা মূলত এই ধরনের অহংকারে আবদ্ধ। তারা সর্বদাই অন্যান্য মানুষদের সাথে বিরোধ তৈরি করে।

যার ফলে মানুষ এই ধরনের বিরোধী অহংকার মন ভাপন্ন ব্যক্তির কাছে সর্বদাই অপমানিত হয়ে থাকে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

মূলত এগুলো হলো অহংকার এর প্রকারভেদ। যা আমি উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

এবং এই আলোচনা থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে অহংকার কত প্রকার ও কি কি। তো এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অহংকার নিয়ে আপনাকে আরো অনেক কিছু জেনে নিতে হবে।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

অহংকারী মানুষের বৈশিষ্ট্য কি?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, অহংকার কাকে বলে। সেই সাথে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

যে, অহংকার কত প্রকার ও কি কি। তবে এ বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

আর সেটি হলো যে একটি অহংকারী মানুষের বৈশিষ্ট্য কিরকম হয়। আর যদি আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে অহংকারী মানুষের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

তো চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় টি সম্পর্কে বিশদ ভাবে আলোচনা করা যাক। এবং জেনে নেওয়া যাক যে, অহংকারী মানুষের বৈশিষ্ট্য কি।

  1. সত্যি কথা বলতে যে মানুষ গুলোর মধ্যে অহংকার বিরাজমান থাকে। সেই মানুষ গুলো সব কাজেই নিজে কে শ্রেষ্ঠ ভেবে থাকে। এবং তারা সব সময় মনে করে যে অন্যান্য মানুষদের তুলনায় তারা অধিক সক্ষম।
  2. একজন অহংকারী ব্যক্তি সচরাচর নিজে কে অদম্য এবং স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে করে থাকে। যা আসলে সংজ্ঞার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
  3. যারা মূলত সত্যিকার অর্থেই অহংকারী ব্যক্তি। তারা কখনোই অন্যান্য মানুষদের সময় কে গুরুত্ব দেয় না। অন্যান্য মানুষদের কাজ কে গুরুত্ব দেয় না। বরং তারা নিজেকে সর্বস্ববা মনে করে থাকে।
  4. যখন কোন একটি অহংকারী ব্যক্তির সামনে অন্য কোন মানুষ তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে আসে। তখন সেই অহংকারী ব্যক্তি তার সেই যোগ্যতা কে কোন প্রকারে মূল্যায়ন করে না।
  5. বরং সে তার থেকে অধিক যোগ্যতা প্রদর্শন করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
  6. একজন অহংকারী ব্যক্তি অন্যান্য মানুষদের সর্বদাই নিচু চোখে তাকিয়ে থাকেন। কেননা তার দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি হলেন একমাত্র ব্যক্তি।
  7. যিনি সব কাজে পারদর্শী এবং অন্যান্য মানুষ গুলো তার কাছে একবারে তুচ্ছ।

তো একটি অহংকারী মানুষের মধ্যে যে সকল বৈশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান থাকে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

এবং আপনি যদি এই বৈশিষ্ট্য গুলো অন্য কোন ব্যক্তির মধ্যে লক্ষ্য করতে পারেন। তাহলে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে, সেই ব্যক্তি প্রকৃত পক্ষেই অহংকারী।

এবং এইসব ব্যক্তিদের থেকে সর্বদাই নিজে কে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।

অহংকারী মানুষ চেনার ৫ টি উপায়

এতক্ষণের আলোচনায় আপনি অহংকার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন। অহংকার কাকে বলে, অহংকার কত প্রকার ও কি কি।

সেই সাথে আমি আপনাকে অহংকারী মানুষদের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আপনাকে যদি এখন বলা হয় যে আপনি কিভাবে অহংকারী মানুষ চিনবেন।

তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। হয়তো বা না! আর সে কারণেই এবার আমি আপনাকে অহংকারী মানুষ চেনার উপায় গুলো শেয়ার করব। ।

যাতে করে আপনি খুব সহজেই অহংকারে আবদ্ধ থাকা ব্যক্তিদের চিনতে পারেন। এবং সেই ব্যক্তিদের থেকে নিজে কে দূরে রাখতে পারেন।

চলুন এবার তাহলে সেই অহংকারী মানুষ চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সর্বদা নিজের বড়াই করা

যখন আপনি কোন একজন ব্যক্তির মধ্যে অত্যাধিক বড়াই এর বিষয় টি লক্ষ্য করতে পারবেন।

তখন আপনি বুঝে নিবেন যে, সেই ব্যক্তি প্রচন্ড ভাবে অহংকারের মধ্যে নিমজ্জিত।

আর এই ধরনের অহংকারের বড়াই বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন, অনেকের প্রচুর পরিমাণে সম্পত্তি থাকতে পারে।

আর সে কারণে সে তার নিজের সম্পত্তির অহংকার করতে পারে।

আবার অনেকের বড় কিছুতে অর্জন থাকতে পারে। আর এই অর্জনের ফলে তার মধ্যে অহংকার থাকতে পারে।

আর এই ধরনের অহংকারী ব্যক্তিরা সর্বদাই নিজেকে এতটা উঁচু স্তরে নিয়ে যেতে চায় যে। সে তার নিচু স্তরে থাকা ব্যক্তিদের কোন ভাবেই সম্মান প্রদান করে না।

বরং সর্বদাই তার নিজের অর্জন করা সাফল্য নিয়ে অহংকার করে থাকে। 

বিষয়টি কে যদি আরেকটু সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করি।

তাহলে বলব যে, মনে করুন আপনি কোন একজন অহংকারী ব্যক্তি কে অভিনন্দন জানাতে চান।

কিন্তু সেই অহংকারী ব্যক্তি টি আপনার অভিনন্দন কে সাদরে গ্রহণ করার বিপরীতে। সে আপনার সাথে প্রতিযোগিতা মূলক আচরণ করল।

এতে করে আপনি কষ্ট পেলেন। কিন্তু আপনার কষ্ট দেখে সে কখনোই অনুতপ্ত হবেনা।

বরং সে আপনার কষ্ট কে উপভোগ করার চেষ্টা করবে। আর এরাই হলো প্রকৃত পক্ষে অহংকারী ব্যক্তি।

যে মানুষ গুলোর দ্বারা সমাজের কোন উপকার হয় না। বরং সমাজের মানুষ সর্বদাই তাদের কাছে অপমানিত হয়ে থাকে।

অন্যদের সাথে অশালীন ব্যবহার করা

যে মানুষ গুলোর মনে প্রচুর পরিমাণে অহংকার বিদ্যমান থাকে। তারা সব সময় অন্যান্য মানুষের উপর চাপ প্রয়োগ করে থাকে।

এবং তার থেকে নিচু স্তরে থাকা ব্যক্তিদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে। কেননা তাদের মনে এতটাই গাম্ভীর্য থাকে যে। তারা মনে করে যে, সেই সময়ে সে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

এবং সে বাদে যারা আছে তারা একেবারেই গুরুত্বহীন।

আর সেজন্যই সেই অহংকারী ব্যক্তি উক্ত সময়ে তার থেকে নিচু স্তরে থাকা ব্যক্তিদের উপর চাপ প্রয়োগ করার একটা মনোভাব তৈরি করে। 

এবং এর ফলে সে সবসময় সেই নিচু স্তরে থাকা ব্যক্তিদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে থাকে।

আর যখন এই ধরনের ব্যক্তিরা ক্রমাগত ভাবে তাদের মধ্যে থাকা এই অহংকার কে প্রকাশ করে।

তখন সেই ব্যক্তি গুলো কখনোই সমাজে অন্যান্য মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না। বরং এই ধরনের অহংকার যাদের মধ্যে রয়েছে।

তারা সর্বদাই মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে যায়। যা আসলে একটি মানুষের ক্ষেত্রে কখনোই কাম্য নয়।

নিজের ক্ষমতাকে সর্বদা প্রকাশ করা

মনে করুন, আপনি সহ আরো কয়েকজন মানুষ একসাথে বসে গল্প করছেন। এবং সেখানে একজন ব্যক্তি বারংবার তার নিজের ক্ষমতাকে প্রকাশ করার চেষ্টা করছে।

অর্থাৎ তার কথার মধ্যে এমন কিছু প্রকাশ পাচ্ছে যে সেখানে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হলো সে নিজেই। এবং তার সাথে সেখানে অবস্থানরত কোন ব্যক্তি পেরে উঠতে পারবে না।

যদি এমনটা দেখে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে ভেবে নিবেন। সে ব্যক্তি অহংকার নামক অন্ধকারে একবারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।

কেননা এই ধরনের অহংকারী ব্যক্তিরা সর্বদাই নিজের ক্ষমতা কে প্রকাশ করার চেষ্টা করে। এবং সে আসলে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যে। তার মত ক্ষমতাধর ব্যক্তি আর দ্বিতীয় টি নেই।

এবং সে এতটাই ক্ষমতাধর যে তার সাথে সহজে কেউ পেরে উঠতে পারবে না। এবং সে চাইলে যে কোন কিছু মুহূর্তেই করে ফেলতে পারে।

আর এই ধরনের ব্যক্তিদের থেকে সর্বদাই নিজেকে দূরে রাখবেন। কেননা এরা একটা সময় আপনার বিপদের মূল কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

নিজেকে সব সময় সঠিক মনে করে

ভুল হল মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন সে কোন না কোন সময় অবশ্যই ভুল করবে।

কিন্তু যাদের মধ্যে অহংকার বিরাজমান রয়েছে। তারা কখনোই তাদের নিজের ভুল কে স্বীকার করবে না। বরং সে যা কিছু করবে তা সঠিক মনে করবে।

এবং তার ভুল গুলো কে সঠিক প্রমাণ করার জন্য যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত থাকবে। এবং যে করেই হোক তার ভুল গুলো কে সঠিক প্রমাণ করেই ছাড়বে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যদি আপনি আপনার বন্ধু মহলে কিংবা আপনার আশেপাশে এমন কোন মানুষ কে দেখেন। তাহলে অবশ্যই তার সাথে যুক্তি তর্ক করা বন্ধ রাখবেন।

কেননা আপনি কোন ভাবেই তার সাথে যুক্তি তর্ক দিয়ে জিততে পারবেন না। বরং তার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

অহংকার নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, মানুষ হিসেবে আমাদের কখনোই অহংকার করা ঠিক নয়। বরং আমাদের অহংকার বিহীন ভাবে বেঁচে থাকাই হলো মূল উদ্দেশ্য।

তবে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা প্রকৃত পক্ষেই অহংকারী এবং এই মানুষ গুলো সর্বদাই আমাদের সামাজে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে।

মূলত আপনি যাতে এই অহংকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। সে কারণে আমি আপনাকে অহংকার কাকে বলে এবং অহংকার কত প্রকার ও কি কি।

সেই বিষয় গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তো আপনি যদি মানুষের কাছে প্রিয় হতে চান।

তাহলে অবশ্যই এই অহংকার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

Article info collected from Wikipedia.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top