জেনে নিন ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য সমূহ সকল কিছু বাংলাই । বাংলা আইটি ব্লগ

ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য : বর্তমান সময়ে ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ই কমার্স । কারণ এখনকার দিনে মানুষ অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে।

ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য সমূহ
ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য সমূহ

আর সে কারণে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কেনাকাটা করার জন্য। অধিকাংশ মানুষ এখন ই-কমার্স কে একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নির্ধারণ করেছে ।

কারণ এমন অনেক ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর যখন মানুষ ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে ।

তখন অনেক মানুষ এই ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কেনাকাটা করার পদ্ধতি কে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আপনি যদি উন্নত বিশ্বের দিকে ভালো ভাবে লক্ষ্য করেন ।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, তারা এখন অধিকাংশ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কে এই ধরনের ই-কমার্স এর মাধ্যমে কেনাকাটা করে থাকে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই ধরনের ই কমার্স এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ।

সে কারণে মূলত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

ই-কমার্স কাকে বলে? What is e-commerce

প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, এই ই কমার্স আসলে কি। তো এই ই কমার্স হলো এক ধরনের ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ কে পরিষেবা প্রদান করার একটি বিশেষ মাধ্যম।

অর্থাৎ আমরা আমাদের প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আর যখন এই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কেনা কাটা গুলো সম্পন্ন করতে পারব।

তখন সেই কেনাকাটা করার মাধ্যম কে বলা হবে, ই-কমার্স। আর ই-কমার্স শুধুমাত্র কেনাকাটার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

বরং একটি পণ্য ক্রয় করার পরে যে আর্থিক লেনদেন করার প্রয়োজন হয়। সে টাও আপনি ই কমার্স এর সাহায্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।

তো এই ই-কমার্স প্রক্রিয়ায় মূলত দুইটি স্তর থাকে। বাস্তব জীবনে আমরা যেমন একটি মার্কেটে যাই, তারপরে সেই মার্কেট থেকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট গুলো কিনে নেই।

তারপরে অর্থ প্রদান করি। ঠিক একই ভাবে আপনি ই-কমার্স এর ক্ষেত্রেও এভাবে পণ্য ক্রয় করে নিতে পারবেন।

তবে সে জন্য আপনাকে আর মার্কেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি নিজের ঘরে বসে আপনার পছন্দের পণ্য গুলো কে সিলেক্ট করতে পারবেন।

এবং অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করার মাধ্যমে আপনি সেই পছন্দের পণ্য গুলো কে কিনে নিতে পারবেন।

সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো, এই ধরনের পণ্য গুলো হাতে পাওয়ার জন্য আর আপনাকে মার্কেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি নিজের ঘরে বসে সেই পণ্য গুলো পেয়ে যাবেন।

ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ই কমার্স কি। তো এই আর্টিকেলের শুরুতে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম।

আর সেই কথাটি হলো যে, আপনি বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য দেখতে পারবেন।

এবং এই ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলোর কারণেই মানুষ এখন অনলাইনে কেনা কাটা কে বিশ্বাস করে থাকে।

আর এবার আমি আপনাকে সেই ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলো এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

যে বৈশিষ্ট্য গুলোর কারণে ই-কমার্স ক্রমাগত ভাবে আরও অধিক পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারছে।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সর্বব্যাপীতা (Ubiquity)

ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে এটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন, মনে করুন আপনি কোন একটি মার্কেটে দোকান দিলেন।

এখন আপনি শুধুমাত্র সেই সব কাস্টমারদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে পারবেন। যারা আপনার সেই মার্কেটের আশেপাশে থাকে।

এর বাইরে কিন্তু আপনি অন্য কোন জেলা বা অন্য কোন দেশে আপনার দোকানে থাকা প্রোডাক্ট গুলো সেল করতে পারবেন না।

কারণ মানুষ কখনো এত দূর থেকে গিয়ে আপনার থেকে প্রোডাক্ট কিনতে চাইবে না। তবে আপনি যদি ই-কমার্স এর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে ই-কমার্স যেহেতু একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান।

সেহেতু এই ই-কমার্স এর মধ্যে থাকা প্রোডাক্ট গুলো গোটা বিশ্বের কাস্টমারদের নিকট পৌঁছানো সম্ভব হবে।

কারণ ই-কমার্স এর মধ্যে এই ধরনের এরিয়ার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। অর্থাৎ আপনি একজন বাংলাদেশী হওয়ার পরেও অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন।

অথবা ইন্ডিয়ান কোন ই কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট গুলো কিনে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন বাধা ধরার সীমাবদ্ধতা নেই।

আর সে কারণে এই ই-কমার্স ব্যবসাকে এক ধরনের সর্বব্যাপী ব্যবসা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

কারণ এই ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর স্থায়িত্ব কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ হলেও।

উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানুষ পণ্য ক্রয় করতে পারবে।

ইউনিভার্সাল স্ট্যান্ডার্ড (Universal standard)

আপনি মোট যত গুলো ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, ইউনিভার্সাল স্ট্যান্ডার্ড (Universal standard).

কারণ যখন কোন একটি ই-কমার্স প্রতিষ্টান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তখন সেই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশের মানুষের চাহিদা কে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, বর্তমানে সময়ে আমাজন হল গোটা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্টান।

তো এখন যদি আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে অ্যামাজন এর মধ্যে প্রবেশ করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশ এর মানুষের যে সকল প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হয়। সেই প্রোডাক্ট গুলো উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।

আবার আপনি যদি ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মতো দেশ গুলোর কথা চিন্তা করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো এই ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।

তো এটা মূলত গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষের চাহিদা কে মেটাতে পারে।

এবং এই ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে যেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজন কে মেটাতে পারে।

সেই দিকটা কে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। আর সে কারণে আমি আপনাকে উপরে এই কথাটি বলেছি।

যে আপনি মোট যত গুলো ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য দেখতে পারবেন। তার মধ্যে ইউনিভার্সাল স্ট্যান্ডার্ড হলো অন্যতম।

যা মূলত বিভিন্ন দেশের মানুষের প্রয়োজন কে সনাক্ত করতে পারে। এবং সেই প্রয়োজন মেটানোর জন্য কাজ করে থাকে।

তথ্যের ঘনত্ব (Information density)

এই ইন্টারনেট এর যুগে একজন ব্যবহারকারীর তথ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যদি আপনি বিশ্বের বড় বড় দেশের হ্যাকারদের কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনি স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন যে অধিকাংশ হ্যাকাররা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য গুলো কে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

আর এটার মূল কারণ হলো যখন আপনি কোন একজন ব্যক্তির তার প্রয়োজনীয় ডেটা বা তথ্য গুলো কে জানতে পারবেন।

তখন আপনি সেই ব্যক্তির যাবতীয় বিষয় গুলো আগে থেকেই বুঝতে পারবেন।

আর এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর কারণে খুব কম অর্থ ব্যয় করার মাধ্যমেই মানুষের চাহিদা কে বুঝতে পারা যায়।

কারণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে মানুষের ভবিষ্যৎ চাহিদা গুলো কে বোঝার জন্য।

অর্থাৎ মানুষ কখন কোন ধরনের প্রোডাক্ট গুলো কিনতে পছন্দ করে। কখন কোন প্রোডাক্ট গুলোর ব্যবহার অধিক হয়।

এইসব বিষয় গুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে।

আর অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, ইন্টারনেট এর এই যুগে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুব পরিমাণ ব্যয় করার মাধ্যমে মানুষের চাহিদা এবং ব্যবহারিক ডেটা গুলো খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। 

ব্যক্তিগতকৃত পরিষেবার অধিকার (Personalization)

আচ্ছা বলুন তো আপনি দুই বছর আগে যখন মার্কেট করেছিলেন। তখন কোন কোন প্রোডাক্ট গুলো কিনেছেন?

আপনি কি এখন সেই প্রোডাক্ট গুলোর নাম বলতে পারবেন? হ্যাঁ! আমি নিশ্চিত যে আপনাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি থাকবেন।

যারা ভুলে গেছেন যে দুই বছর আগে তারা কি কি মার্কেট করেছিলো। কিন্তু আপনি যখন এই ই-কমার্স এর মাধ্যমে কোন পণ্য কিনে নিবেন।

তাহলে আপনি বছরের পর বছর যাওয়ার পরেও তা আপনি দেখতে পারবেন। কেননা একজন গ্রাহক কোনো একটি ই-কমার্স প্রতিষ্টান থেকে কোন প্রোডাক্ট গুলো কিনবে।

এবং সেই প্রোডাক্ট গুলো কেনার সময় সহো ইত্যাদি বিষয় গুলো তাদের হিস্টোরির মধ্যে জমা করে রেখে দেয়।

এবং কোন একজন গ্রাহক যখন ইচ্ছা তখন তাদের এই হিস্ট্রি চেক করে নিতে পারে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আর এভাবে আপনি যখন কোন এটি ই-কমার্স প্রতিষ্টান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কিনে নিবেন। এবং সেই প্রোডাক্ট টি যদি আপনার ভালো লাগে।

তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি একই প্রোডাক্ট গুলো আবার কিনে নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি কয়েক বছর আগে কোন কোন প্রোডাক্ট গুলো কিনেছেন।

সে গুলোর দাম কত ছিল ইত্যাদি বিষয় গুলো যাচাই-বাছাই করতে পারবেন। আর এটি হল ই-কমার্স এর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।

আর এই বৈশিষ্ট্য এর ফলে একজন গ্রাহক যখন ই-কমার্স থেকে তার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কিনবে। তখন সেই সুবিধা টি ভোগ করতে পারবে।

উভয় পক্ষের কথোপকথনের সুবিধা (Interactivity)

বাস্তবিক জীবনে আমরা যেমন কোন একটি পণ্য ক্রয় করার জন্য মার্কেটে যাই।

এবং মার্কেটে যাওয়ার পরে বিভিন্ন দোকানের মালিকের সাথে কথা বলি। তারপরে মালিক তাদের স্টকে থাকা প্রোডাক্ট গুলো আমাদের কে দেখায়।

এবং যেসব প্রোডাক্ট আমাদের ভালো লাগে। সেই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে আমরা দামা দামি করি। সব শেষে দাম এবং মানের দিক থেকে যেসব প্রোডাক্ট আমাদের ভালো লাগে।

সে গুলো আমরা কিনে নেই। মূলত এই একই সুবিধা গুলো আপনি ভোগ করতে পারবেন। যখন আপনি ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কে কিনে নিবেন।

এবং এই কাজ টি করার জন্য আপনাকে আর নিজের সময় ব্যয় করে মার্কেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি নিজের ঘরে বসে মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে থাকা আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলতে পারবেন।

যেমন ধরুন, কোন একটি ই-কমার্স প্রতিষ্টান এর মধ্যে থাকা একটি প্রোডাক্ট আপনার অনেক বেশি ভালো লাগলো।

এখন আপনি যদি সেই ই- কমার্স প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতে চান। তাহলে আপনি খুব সহজেই তাদের সাথে কথা বলতে পারবেন।

এবং আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। কেননা প্রতিটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে এমন অনেক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

যারা শুধুমাত্র কাস্টমারদের সাথে কথোপকথন করার জন্য থাকে। এবং তাদের কাছ থেকে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন।

চেকআউট করা সহজ (Easy checkout)

একটা কথা আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আর সেই কথাটি হলো যে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো আজকে এত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারত না।

যদি না চেক আউট করা সহজ হতো। অর্থাৎ আপনি একজন কাস্টমার এখন আপনি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর কোন একটা প্রোডাক্ট পছন্দ করলেন।

এবং সে প্রোডাক্ট টি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেন। কিন্তু আপনি কেনার সময় দেখলেন যে সেখানে প্রোডাক্ট কেনার পরে যে অর্থ প্রদান করতে হয়।

তা অনেক জটিল একটি পদ্ধতি। তাহলে কিন্তু আপনি সেই ই কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন না।

কারন আমরা আর্থিক লেনদেন খুব সহজ ভাবে করতে পছন্দ করি। আর যখন মানুষ এই ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো তে অর্থ প্রদান করার সময় জটিলতা অনুভব হয়।

তাহলে কিন্তু মানুষ ক্রমাগত ভাবে এই ই-কমার্স থেকে বিমুখ হয়ে যেত।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষ এই ই-কমার্স প্রতিষ্টান গুলো তে অনলাইন এর মাধ্যমেই তাদের লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আপনি একজন কাস্টমার হিসেবে যদি আপনার নিকট ক্রেডিট কার্ড থাকে। তাহলে আপনি সেই কার্ডের মাধ্যমে থেকে লেনদেন করতে পারবেন।

অথবা আপনার নিকট যদি ডেবিট কার্ড, পেপাল, পেওনিয়ার ইত্যাদি থাকে। তাহলেও আপনি সে গুলোর মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট কেনার পরে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পেমেন্ট করতে পারবেন। এর পাশাপাশি বিশেষ একটি ব্যবস্থা রয়েছে, যাকে বলা হয়ে থাকে ক্যাশ অন ডেলিভারি।

মূলত এটি হলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট কেনার জনপ্রিয় একটি পেমেন্ট মাধ্যম।

ব্লগ ও নিবন্ধের বিভাগ (Unified blogs & article sections)

মনে করুন, আপনি একটি মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন। এখন কি আপনি সরাসরি মার্কেটে গিয়ে মোবাইল চয়েস করবেন? নাকি আপনি আগে থেকেই আপনার মোবাইলের বিস্তারিত জানবেন?

অবশ্যই আপনি আগে থেকেই আপনার পছন্দ করা মোবাইল টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। তার পরে আপনি সরাসরি মার্কেটে গিয়ে সেই মোবাইল টি কিনবেন।

আর এমনটা শুধু আপনি নয় বরং আপনার মত যারা নিয়মিত মার্কেট থেকে প্রোডাক্ট কিনে নেয়। তারা সবাই এই কাজ টি করে থাকে।

কারণ একজন ব্যক্তি যখন কোন একটি প্রোডাক্ট কিনবে। তখন সে ব্যক্তি যদি উক্ত প্রোডাক্টটির নাম লিখে গুগলে সার্চ করে।

তাহলে গুগল থেকে উক্ত প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবে। আর আপনি যাতে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

এই কাজটা কিন্তু ই-কমার্স প্রতিষ্টান খুব ভালোভাবে করার চেষ্টা করে।

কারণ গুগলে আমরা এই ধরনের প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এবং ব্লগ থেকে জানতে পারি।

আর এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করে থাকে এই কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো। যাতে করে মানুষ তাদের পছন্দের প্রোডাক্ট গুলো কেনার আগে গুগল থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারে।

আর সে কারণেই আমরা যখন কোন একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবি। এবং সেই মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য গুগলে সার্চ করি।

তখন সেই মোবাইল সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারি। আর এই কাজটা করার জন্য ই-কমার্স এর যথেষ্ট পরিমাণে অবদান রয়েছে।

রিপোর্টিং টুল (Reporting tool)

যদিও বা এই বৈশিষ্ট্য টি একজন কাস্টমারের ক্ষেত্রে খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না।

তবে ই কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর ক্ষেত্রে এ ধরনের রিপোর্টিং টুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এই রিপোর্টিং টুলস হল এমন একটি বিষয়। যার মাধ্যমে কোন একজন গ্রাহক যখন কোন প্রকার অভিযোগ করবে।

তা মূলত এই ধরনের রিপোর্টিং টুলস এর মধ্যে এসে জমা হবে। এবং এই অভিযোগ গুলো যখন ই-কমার্স প্রতিষ্টান এর কর্মকর্তার নিকট পৌঁছাবে।

তখন তারা কাস্টমারদের থেকে আসা অভিযোগ গুলো সমাধান করার চেষ্টা করবে।

যেমন ধরুন, আপনি একজন কাস্টমার হয়ে যখন কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করবেন।

তখন অনেক সময় দেখা যায় যে, পেমেন্ট করার পরেও সেই প্রোডাক্ট টি কেনা সম্ভব হয় না। কারণ টাকা পাঠিয়ে দেয়ার পরও দেখায় যে আপনি কোন প্রকারের টাকা সেন্ড করেন নি।

তো এখন আপনি কি করবেন? অবশ্যই আপনি রিপোর্ট করবেন। আর আপনি যখন আপনার সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট করবেন।

তখন সে গুলো রিপোর্টিং টুলস এর মধ্যে গিয়ে জমা হবে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যখন একজন কাস্টমারের অভিযোগ গুলো এই ধরনের রিপোর্টিং টুলস এর মধ্যে গিয়ে জমা হয়। তখন নির্দিষ্ট একটি ই-কমার্স প্রতিষ্টান সেই অভিযোগ গুলো কে দেখে।

এবং সে গুলোর সমাধান করার জন্য চেষ্টা করে। এবং যখন একটি ই-কমার্স প্রতিষ্টানে থাকা কর্মকর্তা আপনার এই অভিযোগ গুলো দেখবে।

তখন তারা অতি দ্রুত তার সমাধান করার চেষ্টা করবে। যা মূলত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য ও কিছু কথা

ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ যেন তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কেনাকাটা করতে পারে। সে কারণে বিশেষ এক ইন্টারনেট পরিষেবার নাম হলো, ই-কমার্স।

আর সময়ের সাথে সাথে এই ধরনের ই-কমার্স ইন্টারনেট পরিষেবা ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয়তা এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে।

মূলত সে কারণেই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাকে ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হয়েছে।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো কে খুব সহজ ভাষায় জানতে হলে।

অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

1 thought on “জেনে নিন ই-কমার্স এর বৈশিষ্ট্য সমূহ সকল কিছু বাংলাই । বাংলা আইটি ব্লগ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top