টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন । টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস

টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন : Who First Discovered Television বর্তমান সময়ে আপনি খুব কম মানুষ খুঁজে পাবেন, যাদের বাড়িতে টেলিভিশন নেই।

টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন । টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস
টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন

কারণ আমরা আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততম জীবনের মধ্যে। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নিজের ঘরে থাকা টেলিভিশন কে ব্যবহার করে থাকি।

তবে আপনি কি জানেন, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন? আপনি কি জানেন কত সালে এই বিনোদনের মাধ্যম টি আবিষ্কার করা হয়েছিল?

আপনি আরোও দেখুন…

যদি আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কারন আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, টিভি কে আবিষ্কার করেন। এবং কত সালে টিভি আবিষ্কার করা হয়েছিল।

টিভি কি ? (What Is Television in Bengali)

দেখুন টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে অবশ্যই জানবো। তবে তার আগে আমাদের একটু ধারণা নিতে হবে যে, টিভি কি বা টেলিভিশন কাকে বলে।

তো টেলিভিশন এই শব্দ টি মূলত দুইটি ভাষা থেকে এসেছে। এবং টেলিভিশন মূলত দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে প্রথম টি হল “টেলি”- যা গ্রিক শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এবং তার পরের যে “ভিশন”- শব্দ টি রয়েছে। সেটি ল্যাটিন ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে। আর এই দুটি শব্দ মিলে “টেলিভিশন”- কথাটির উৎপত্তি হয়েছে।

এখান থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, টেলিভিশন শব্দ টি হল একটি ইংরেজি শব্দ। তবে আমাদের বাংলাদেশে এই টেলিভিশন নামক ইংরেজি শব্দটির অর্থ হল, দুরদর্শন যন্ত্র।

যার মাধ্যমে আমরা ভিডিও চিত্র এর পাশাপাশি শব্দ শুনতে পাই। আর এই ধরনের বিশেষ যন্ত্র কে বলা হয়ে থাকে, টেলিভিশন।

আশা করি, টিভি কি আপনি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন।

টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন ? কত সালে আবিষ্কার হয়?

টিভি কাকে বলে তা আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি। আর এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন।

আর টেলিভিশন আবিষ্কার এর ইতিহাস থেকে জানা যায়। ১৯২৬ সালে জন লগি বেয়ার্ড নামের একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ছিলেন।

যিনি সর্বপ্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেছেন। তবে এই টেলিভিশন আবিষ্কার হওয়ার অনেক আগে থেকে, বিভিন্ন বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছিলেন।

এবং তাদের গবেষণা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার সমন্বয়ে। সব শেষে ১৯২৬ সালে এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সর্ব প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।

যেমন, টেলিভিশন আবিষ্কার এর পূর্বে ১৮৬২ সালে সর্বপ্রথম স্থির ছবি পাঠানো সম্ভব হয়েছিল।

আর এই কাজটি করা হয়েছিল, একটি তারের মাধ্যমে। যখন বিজ্ঞানীরা এই কাজ টি করতে সফল হয়েছিল।

তখন তারা টেলিভিশন আবিষ্কার এর দিকে আরো মনোযোগী হয়ে ওঠে। এরপরে ১৮৭৩ সালে দুইজন বিজ্ঞানী বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স সিগনাল এর সাহায্য ছবি পাঠানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।

এবং সবশেষে ১৯২৬ সালে জন লগি বেয়ার্ড প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস

History of Discovered Television উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, টিভি কাকে বলে।

এবং টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন। তো এবার আমি আপনাকে টেলিভিশন আবিষ্কার এর ইতিহাস জানিয়ে দিব। যেখান থেকে আপনি স্পষ্ট ধারণা নিতে পারবেন যে,

  1. কিভাবে টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছিল? 
  2. কত সালে টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছিল? এবং 
  3. কে সর্বপ্রথম এই টেলিভিশন আবিষ্কারের কথা চিন্তা করেছিল? 

তো চলুন এবার তাহলে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার জন্য, টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক।

যদি আপনি টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, ১৮৬২ সাল থেকে মানুষের মধ্যে টেলিভিশন আবিষ্কারের চিন্তা ভাবনা ছিল।

এবং পরবর্তীতে মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কোন একটি যন্ত্র তৈরি করার জন্য। তো যখন সর্বপ্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছিল।

তখন সেগুলো দেখতে আজকের মত ছিলনা। বরং সেই সময়কার মডেলের টেলিভিশন গুলো টেলিস্কোপ এর মত কাজ করতো। আর মেকানিক্যাল টিভি আবিষ্কার হওয়ার সময় কাল হলো, ১৯২০ সাল এর শুরুর দিকে।

তবে উপরের আলোচনায় আমি বলেছি যে, টেলিভিশন সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন, জন লগি বেয়ার্ড। তবে এই ব্যক্তির পাশাপাশি আরো একজন বিজ্ঞানী ছিলেন।

যার টেলিভিশন আবিষ্কার এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ অবদান রয়েছে। আর এই ব্যক্তির নাম হলো, চার্লস ফ্রান্সিস জেনকিনস। এবং তিনি হলেন একজন আমেরিকান উদ্ভাবক।

যার এই টেলিভিশন আবিষ্কার এর পেছনে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবে অবাক করার মত বিষয় হলো যে, এই ব্যক্তিদের আগেও মেকানিক্যাল টিভি আবিষ্কার করেছিলেন, পল গটলিব লিপকো নামক একজন ব্যক্তি।

তিনি যখন এই মেকানিক্যাল টিভি আবিষ্কার করেছিলেন। তখন তার নাম টেলিভিশন বা টিভি ছিল না। বরং সেই সময় তিনি অন্য একটি নাম দিয়েছিলেন।

সেই নামটি হল, ইলেকট্রিক টেলিস্কোপ। কারণ সেই সময়কার টেলিভিশন গুলো মূলত টেলিস্কোপ এর মত কাজ করত। যার কারণে তিনি তার আবিষ্কার করা টেলিভিশন এর এমন নামকরণ করেছিলেন।

তারপরে টেলিভিশন এর মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছিল। কারণ ১৯০৭ সালে টেলিভিশন এর মধ্যে যান্ত্রিক স্ক্যানিং সিস্টেম এর সাথে ক্যাথড রে টিউব যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

যা মূলত আমরা এখন পর্যন্ত যে সকল টেলিভিশন রয়েছে। সে গুলো তে এই ধরনের ক্যাথড রে টিউব দেখতে পাই।

এবং তার ঠিক ২০ বছর পরে অর্থাৎ ১৯২৭ সালে বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম ইলেকট্রিক টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছিল।

আধুনিক টেলিভিশন-এর যাত্রাপথ

দেখুন উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে টেলিভিশন আবিষ্কার এর ইতিহাস জানিয়ে দিয়েছি।

তবে সেই ইতিহাসের মধ্যে একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। সেটি হল, আধুনিক টেলিভিশন এর যাত্রা পথ নিয়ে কোন ধরনের কথা বলা হয়নি।

তো এবার আমি আপনাকে আধুনিক টেলিভিশন এর যাত্রা পথ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

রঙিন টেলিভিশন

টিভি আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ সাদা কালো স্ক্রীন এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখতে পেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই টেলিভিশন এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছিল।

আর আপনি যদি ১৯৫০ দশকের কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে দেখবেন সেই সময় সর্বপ্রথম রঙ্গিন টেলিভিশন এর আবিষ্কার হয়েছিল।

এবং উক্ত সময়ে সাদা কালো স্ক্রিনের চাইতে রঙ্গিন টেলিভিশন এর মধ্যে ভিডিও চিত্র খুব স্পষ্টভাবে দেখা যেত। আর এই কারণে সে সময় মানুষের মধ্যে রঙ্গিন টেলিভিশন ব্যবহার করার শুরু হয়েছিল।

ডিজিটাল টেলিভিশন

যখন সাদা কালো টেলিভিশন ছেড়ে মানুষ রঙিন টিভি দেখাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তারপরে ডিজিটাল টেলিভিশন এর উদ্ভাবন হয়।

আর যখন ডিজিটাল টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছিল। তখন পূর্বে থাকা টেলিভিশন গুলোর চাইতে অনেক বেশি উন্নত মানের ফিচার প্রদান করা হয়েছিল।

কেননা এই ধরনের ডিজিটাল টেলিভিশন এর মাধ্যমে একটি চ্যানেল থেকে অন্য আরেক টি চ্যানেল পরিবর্তন করা যেত।

এর পাশাপাশি এই ধরনের টেলিভিশন গুলো তে ফ্রিকুয়েন্সি কে বিশেষ ভাবে ব্যবহার করা হতো। তবে এই ধরনের ডিজিটাল টেলিভিশন গুলো আবিষ্কার হওয়ার পর সাথে সাথেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।

বরং যখন এই ধরনের ডিজিটাল টেলিভিশন গুলো আবিষ্কার করা হয়েছিল, এবং মার্কেটে ছেড়েছিল। তার পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তাদের জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হয়েছিল।

স্মার্ট টেলিভিশন

যখন সাদা কালো টিভির পরে রঙিন টিভি আসে। তখন মানুষ রঙিন টিভি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরে যখন ডিজিটাল টেলিভিশন আসে।

তখন মানুষ ক্রমাগত ভাবে ডিজিটাল টেলিভিশন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে প্রযুক্তি তো আর থেমে থাকে না, এবং গবেষকরা তো তাদের গবেষণা বন্ধ করে রাখে না।

সে কারণে টেলিভিশন কে উন্নত প্রযুক্তি ক্রমাগত ভাবে আরো উন্নত থেকে উন্নতর এর দিকে ধাবিত করেছে। কারণ এর পরবর্তী সময়ে, স্মার্ট টেলিভিশন এর আবিষ্কার করা হয়েছিল।

যখন ডিজিটাল টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়। তখন আরো উন্নত টেলিভিশন আবিষ্কার করার পথ প্রশস্ত হয়ে গেছিল।

যার কারণে অতীতের দিন গুলো তে টেলিভিশন এর মধ্যে ক্যাথোড রে টিউব ব্যবহার করা হলেও। এই ধরনের স্মার্ট টেলিভিশন গুলো তে এলইডি এবং এলসিডি স্ক্রিন ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল।

যার ফলে টিভি আধুনিক থেকে আরও বেশি অত্যাধুনিক হয়ে পড়ে। এবং মানুষ বিনোদন উপভোগ করার জন্য এই ধরনের টিভি নামক যন্ত্রগুলো ব্যবহার করতে থাকে।

3D টেলিভিশন

আমি উপরে আপনাকে বলেছি যে, প্রযুক্তি কখনোই থেমে থাকে না। বরং প্রযুক্তি উন্নত থেকে আরো উন্নতর এর দিকে ধাবিত হয়ে থাকে।

কেননা স্মার্ট টেলিভিশন এরপরে থ্রিডি টেলিভিশন এর যুগ চলে আসে। আর এই ধরনের টেলিভিশন গুলো তৈরি করা হয় ইলেকট্রন মেকানিক্যাল এবং ক্যাথোড রে টিউব এর সাহায্য।

তবে এই ধরনের টেলিভিশন গুলো তে ভিডিও চিত্র দেখতে হলে, থ্রিডি মিডিয়া এর প্রয়োজন হয়। যার মাধ্যমে আপনি একই সাথে থ্রিডি ফাইল সহ থ্রি ডি চলচ্চিত্র গুলো দেখতে পারবেন।

টেলিভিশন কিভাবে কাজ করে?

টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে আমরা উপরেই বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এর পাশাপাশি আমরা টেলিভিশন সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জেনেছি।

যে গুলো আমাদের আগে অজানা ছিল। তো সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য। এবার আমি আপনাকে টেলিভিশন কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

আপনি আরোও জনাতে পারবেন… 

অর্থাৎ আমরা আমাদের ঘরের মধ্যে যে টেলিভিশন গুলো ব্যবহার করি। সে গুলো আসলে কিভাবে কাজ করে, এবার আমি আপনাকে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

টিভি সিগন্যাল

আমরা আমাদের সামনে যে সকল টেলিভিশন গুলো দেখি। সে গুলো মূলত বৈদ্যুতিক সংকেত কে ব্যবহার করে কাজ করা হয়ে থাকে।

যেমন, আমরা টিভি তে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও চিত্র দেখতে পাই। তো এই ধরনের ভিডিও চিত্র গুলো টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি গুলো কে এক ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত এর সাহায্য পরিবর্তন করে থাকে।

যার ফলে আমরা টেলিভিশন এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চিত্র দেখতে পাই। এবং সে কারণে এই ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত এর মাধ্যমে পরিবর্তিত হওয়া ছবি গুলো কে বলা হয়ে থাকে, ভিডিও সংকেত। 

আর এই ধরনের সংকেত গুলো খুব ছোট ছোট বিন্দু আকারে পিক্সেল এর সাহায্য ছবি গুলো কে বহন করে থাকে।

এর পাশাপাশি একটি টেলিভিশন এর মধ্যে থাকা ক্যামেরা মাইক্রোফোন। এই ধরনের ভিডিওর মধ্যে থাকা শব্দ গুলো কে বৈদ্যুতিক সংকেতে পরিবর্তন করে নেয়।

যাকে বলা হয়ে থাকে, অডিও সিগন্যাল। আর এই দুই এর মিলন কে বলা হয়ে থাকে, টিভি সিগন্যাল। যার সাহায্য টেলিভিশন কাজ করে থাকে।

টিভি ডিসপ্লে

আমরা প্রতিটা টেলিভিশনের মধ্যে একটি করে ডিসপ্লে দেখতে পাই। মূলত যার মাধ্যমে আমরা টেলিভিশন এর মধ্যে সম্প্রচার হওয়া বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখি।

তো এই ধরনের ভিডিও চিত্র গুলো প্রদর্শন করার জন্য ভিডিও সংকেত কে। ইলেকট্রন নামক অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা রশ্মি তে রূপান্তরিত করা হয়।

এর পাশাপাশি একটি টেলিভিশন এর পর্দার পিছনের মধ্যে যে সকল রশ্মি গুলো আলোকিত করে। তা মূলত টিভির পিকচার টিউবের সাহায্য করা হয়ে থাকে।

সেই সাথে একটি টিভির পর্দার মধ্যে ছবি তৈরি করার জন্য একটি টেলিভিশন এর পর্দার উপরে যে সকল পিক্সেল গুলো থাকে। সে গুলো কে রং বদল করা হয়।

এর পাশাপাশি সেই টিভিতে যখন লাউডস্পিকার এর কাছে অডিও সংকেত পাঠানো হয়। ঠিক তখন সে শব্দ কে পুনরায় উৎপাদন করে এবং সেই উৎপাদিত হওয়ার শব্দ গুলো আমরা টেলিভিশন থেকে শুনতে পাই।

টেলিভিশন (টিভি) সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য

আমরা এতক্ষণ ধরে জানতে পারলাম টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন। এবং টেলিভিশন কিভাবে কাজ করে। তো এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি।

এবার আমি আপনাকে টিভি সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য বলব। যে গুলো দেখার পর আপনার অনেক ভালো লাগবে।

এবং এই মজার তথ্য গুলো জানার পাশাপাশি, আপনি টেলিভিশন সম্পর্কে অনেক সাধারণ জ্ঞানের উত্তর জেনে নিতে পারবেন।

চলুন এবার তাহলে টেলিভিশন সম্পর্কে মজার তথ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

TV Unknown Fact: টেলিভিশন আবিষ্কার হয় ১৯২৬ সালে। এবং যে ব্যক্তি এই বিশেষ যন্ত্র টি আবিষ্কার করেছিলেন। সে ব্যক্তি এই টেলিভিশন এর নাম দিয়েছিলেন, টেলিভাইজর।

TV Unknown Fact: যখন তিনি এই টেলিভিশন আবিষ্কার করেছিলেন। তখন তিনি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করেছিলেন।

যেমন, এক জোড়া কাঁচি, মোটা সুই, সাইকেলের লাইট এর লেন্স, চা পরিবহন করার জন্য বক্স। এর পাশাপাশি তিনি আঠা ও মোম ব্যবহার করেছিলেন।

TV Unknown Fact: জন লগি বেয়ার্ড যখন প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেছিলেন। এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন।

কিন্তু তখন কোন ব্যক্তি এটা বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। এবং সবাই অবাক হয়ে গেছিলেন, কারণ তারের সাহায্য ছাড়া কিভাবে একটি বক্স এর মত দেখতে যন্ত্রের মধ্যে ছবি দেখা যায়।

TV Unknown Fact: পৃথিবীতে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন রকমের টেলিভিশন আবিষ্কার করেছেন। তবে গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় টেলিভিশন এর সাইজ হল ১০৫ ইঞ্চি।

আর এই বৃহৎ টেলিভিশন টি আবিষ্কার করেছেন স্যামসাং কোম্পানি।

TV Unknown Fact: যখন টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছিল। তখন সবাই এটি কে টেলিভিশন নামে ডাকতো।

তবে 1948 সালের পর থেকে মানুষ এই বিশেষ যন্ত্র কে টিভি নামে ডাকা শুরু করেছিল। এবং বর্তমান সময়েও আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত টেলিভিশন কে টিভি বলে থাকে।

TV Unknown Fact: আমরা বর্তমানে টেলিভিশন এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। কিন্তু এই পৃথিবী তে যখন সর্বপ্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার হয়।

তারপরে প্রথম বিজ্ঞাপন টি ছিল, একটি ঘড়ির কোম্পানির। এবং এই বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য কোম্পানি কে ব্যয় করতে হয়েছিল ৯ ডলারের মত।

TV Unknown Fact: আমেরিকার টিভি ব্যবহারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে। প্রায় ৯৯ শতাংশ পরিবারের মধ্যে একটি করে টিভি রয়েছে।

এর পাশাপাশি ৬৬ শতাংশ পরিবারের মধ্যে একের অধিক অর্থাৎ দুই বা তিনটি করে টিভি সেট রয়েছে।

TV Unknown Fact: আমরা এখন টেলিভিশন কন্ট্রোল করার জন্য রিমোট ব্যবহার করি। আর সর্বপ্রথম এই রিমোট আবিষ্কার করা হয়েছিল, ১৯৫৫ সালে।

TV Unknown Fact: আর যখন প্রথম দিকে রিমোটের মাধ্যমে টিভি কন্ট্রোল করা হতো। তখন রিমোটের সাথে একটি তার এবং টিভির সাথে আরেক টি তার যুক্ত করে দেওয়া হতো।

যেমন টা বর্তমান সময়ে আমরা ইউএসবি ক্যাবল এর ক্ষেত্রে করে থাকি। উপরে আপনি টিভি সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য জানতে পেরেছেন।

যে তথ্য গুলো এর আগে আপনার কাছে অজানা ছিল। আশা করি আপনি এই মজার তথ্য গুলো জানার মাধ্যমে। টিভি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। 

কিছু আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এর নাম

টেলিভিশন কে আবিস্কার করেন তা তো আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি। কিন্তু এবার আমি আপনাকে এমন কিছু আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এর নাম বলবো। যে গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

Q: রেডিও কে আবিষ্কার করেন?

A: রেডিও আবিষ্কার করেন, Guglielmo Marconi.

Q: রঙিন টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন?

A: রঙ্গিন টেলিভিশন আবিষ্কার করেছেন, John Logie Baird.

Q: মোবাইল কে আবিষ্কার করেন?

A: মোবাইল আবিষ্কার করেছেন, Martin Cooper.

Q: কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন?

A: কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন, Charles Babbage. 

Q: টেলিভিশন কত সালে আবিষ্কার করেন?

A: ১৯২৬ সালে সর্বপ্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করা হয়েছে।

Q: উড়োজাহাজ কে আবিষ্কার করেন?

A: উড়োজাহাজ আবিষ্কার করেছেন, Wright Brothers.

টেলিভিশন আবিষ্কার নিয়ে কিছুকথা

বর্তমান সময়ে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হলো, টেলিভিশন। তবে আমরা প্রতিনিয়ত টেলিভিশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখলেও।

অনেকেই জানিনা যে, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন। মূলত সে কারণেই আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের বিভিন্ন আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করুন।

কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো কে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top