Google AdMob কি | গুগল এডমোব থেকে আয় করার উপায়

গুগল এডমোব থেকে আয় : Google Admob কি? কিভাবে অ্যাপস এর মাধ্যমে গুগল এডমোব এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আয় করা যায়?

এ সম্পর্কে বিভিন্ন ব্লগ এবং ফেসবুকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ব্যাপারে দেখেছি। আমি ভেবে দেখলাম আমাদের বাংলা আইটি ব্লগে যারা নিয়মিত ভিজিট করে তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি হেল্পফুল হবে।

তাই গুগল এডমোব সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো।

admob কি? এডমোব থেকে আয়
গুগল এডমব কি?

আমি প্রায় ৩ বছর ধরে কাজ করছি। সেই সুবাদে এডমোব সম্পর্কে বেশ অভিজ্ঞতাও আমার আছে। যারা এডমব সম্পর্কে কিছুই জানেনা তাদের জন্য গুগল এডমোব কি নিয়ে বিস্তারিত নিয়ে আজকের আর্টিকেল। 

এই আর্টিকেলে মাধ্যমে আমি চেস্টা করবো, এডমোব সম্পর্কিত যতো বিষয় আছে। সেই বিষয়গুলোকে স্টেপ বাই স্টেপ বোঝানোর। সেজন্য সময় নিয়ে, আমার লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন। 

গুগল এডমোব (AdMob) এমন একটি মাধ্যম। যেখান থেকে আপনি বিপুল পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারন, AdMob হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এড (Ad) নেটওয়ার্ক।

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা মূলত গুগল এডসেন্স এবং গুগল এডমোব কে একই কাতারে ফেলে দেন।

সবাই মনে করে, যেহুতু এই দুটোই গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট এবং এই দুটো থেকেই ইনকাম করা যায়। সেহুতু এই দুটোই এক জিনিস। 

হ্যাঁ! আপনার ধারনা ঠিক। তবে এই দুটি মাধ্যম থেকে ইনকাম গেলেও, ইনকামের পদ্ধিতটা একটু ভিন্ন।

তাই শুরুতে জেনে নেয়া উচিত, গুগল এডমোব কি (Google Admob ki0) এবং কিভাবে গুগল AdMob থেকে ইনকাম করা যায়।

গুগল এডমোব (AdMob) কি?

এডমোব হলো গুগল থেকে ইনকাম করার উপযুক্ত একটি মাধ্যম। আমরা সবাই জানি, বর্তমানে গুগল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সার্চ ইন্জিন। এর পাশাপাশি গুগল হলো পৃথিবীর বৃহৎ একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক।

যখন আপনি আপনার তৈরি করা কোনো এপস (Apps) এর মাধ্যমে গুগলের সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে প্রচার করবেন ৷ তখন গুগল থেকে আপনাকে একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে ৷

যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা এপস থেকে গুগলের সেই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানোর পর  কি পরিমান ইনকাম হচ্ছে ৷

গুগল আপনার কাজের উপর ভিওি করে কি পরিমান রেভিনিউ শেয়ার করছে ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখতে পারবেন। আর এই ভার্চুয়াল একাউন্টকে বলা হয় গুগল এডমোব।

কিন্তু এখানে আপনার মনে একটি প্রশ্ন থাকতে পারে। যে গুগল এডমোব তো বুঝলাম। কিন্তু গুগল এডসেন্সকে কেন আলাদা বলা হলো। তাই চলুন,এবার সে বিষয়ে একটু জেনে নেয়া যাক। 

গুগল এডমোব এবং এডসেন্সের মধ্যে পার্থক্য কি? 

গুগল এডমোব (AdMob) এবং এডসেন্স এই দুটোই গুগলের নিজস্ব প্রেডাক্ট। আর এটাও সত্যে যে গুগলেে বিজ্ঞাপন প্রচার করে। গুগল তাদেরকে এডসেন্স এবং এডমোবের মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তুু এরপরও এই এডমোব ও এডসেন্সকে ভিন্ন বলা হয় কেন?

আপনার জন্য আরো পোস্ট…

সত্যি বলতে এডমোব এবং এডসেন্স ভিন্ন নয় বরং, এই দুটি মাধ্যম থেকে ইনকাম করার পদ্ধতিটা ভিন্ন। বিষয়টা একটু খুলে বলি। 

  • এডসেন্স (AdSense) 

যখন আপনি একটি ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব থেকে গুগলের পাবলিশার হিসেবে কাজ করবেন ৷ তখন গুগল থেকে আপনাকে একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে।

যেখানে আপনি কত টাকা ইনকাম করছেন, গুগল আপনাকে কিরকম রেভিনিউ শেয়ার করছে ইত্যাদি বিষয় গুলো দেখতে পারবেন। 

  • এডমোব  (AdMob)

কিন্তু অপরদিকে যদি আপনি Android Apps থেকে গুগলের পাবলিশার হিসেবে কাজ করবেন। তখন গুগল থেকে আপনাকে একটি ভার্চুয়াল এডমোব (AdMob) একাউন্ট দেয়া হবে।

যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা Apps থেকে কত টাকা ইনকাম করছেন। গুগল আপনাকে কত পার্সেন্ট রেভিনিউ শেয়ার করছে ইত্যাদি বিষয়াদি গুলো দেখতে পারবেন। 

অর্থ্যাৎ, এডসেন্স এবং এডমোবের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো। এডসেন্স নিয়ে কাজ করতে হলে, অবশ্যই আপনার একটি ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।

আর এডমোব (AdMob) নিয়ে কাজ হলে, অবশ্যই আপনার নিজের একটি বা একের অধিক Apps থাকতে হবে।

আশা করি এই দুটোর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা এতক্ষণে বুঝে গেছেন। এবার প্রশ্ন হলো, আপনি এডমোব নিয়ে কাজ করেন অথবা এডসেন্স নিয়ে কাজ করেন।

কিন্তুু গুগল কেন আপনাকে টাকা দিবে? এবার এ বিষয়টি সম্পর্কে একটু আলোচনা করবো। 

গুগল কেন আপনাকে টাকা দিবে?

আমরা সবাই জানি গুগল পৃথিবীর বৃহত্তম একটি সার্চ ইন্জিন। গুগলের এতো বেশি ইউজার রয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো অনলাইন কোম্পানিতে নেই।

সেজন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের পন্যের প্রচারের জন্য গুগলকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই সেইসব কোম্পানি মালিকেরা গুগলকে প্রচুর পরিমাণে টাকা দেয় তাদের পন্যের প্রচার করার জন্য।

এখন গুগল এইসব পন্যের প্রচার করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এবং এই বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা এপসের মাধ্যমে।

তাদের এই বিজ্ঞাপন গুল প্রচারের কারনে গুগল তাদের পাবলিশারদের সাথে কিছু পার্সেন্ট রেভিনিউ শেয়ার করে। এই রেভিনিউ থেকে পাবলিশাররা খুব সহজেই গুগল থেকে ইনকাম করতে পারে। 

অর্থ্যাৎ এই সিস্টেমে গুগল নিজে ইনকাম পাশাপাশি, আমাদের মতো আমজনতাও গুগলের সেই ইনকাম থেকে কিছু পরিমান রেভিনিউ পেয়ে থাকি।

এবার আমরা জেনে নিবো, কিভাবে আপনিও এডমোবের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

কিভাবে এডমোব থেকে ইনকাম করা যায়? 

ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো, এডমোবের সাহায্য ইনকাম করা। আমি এরকম ডজন খানেক ব্যাক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো৷ যারা এই এডমোব (AdMob) থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পেরেছে৷

যদি আপনিও এডমোব থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনার নিজের তৈরি করা এক বা একাধিক Android Apps থাকতে হবে।

এবং অবশ্যই সেই Apps এর নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকতে হবে। তাহলে আপনি এডমোব থেকে ইনকাম করতে পারবেন

যখন আপনার নিজের তৈরি কোনো Apps থাকবে। তখন আপনি গুগলের পাবলিশার হিসেবে দাবি করার জন্য Apply করবেন ৷ যদি আপনার তৈরি করা এপসটি তাদের সম্পূর্ণ গাইডলাইন অনুযায়ী তৈরি করা হয়ে থাকে।

তাহলে গুগল তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জনৃয রাজি হবে। এবং এরপর থেকে আপনিও সেই Apps থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

AdMob থেকে টাকা আয় করার উপায়

এতক্ষণ ধরে আপনি জানলেন, গুগল এডমোব কি এবং কেন আপনাকে AdMob টাকা দিবে। এখন প্রশ্ন হলো, শুধু কি এপস তৈরি করলেই গুগল আপনাকে টাকা দিবে?

না, এপস তৈরি হলো প্রথম ধাপ। এডমোব (AdMob) থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে আরও কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এবার সেই ধাপ গুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

এডমোব (AdMob) থেকে ইনকাম করার জন্য ৪(চার) টি ধাপ রয়েছে। 

  • App Creation
  • App Publishing 
  • App Approval 
  • Earn Money 

আমার দৃষ্টিকোন থেকে আপাততো এই চারটি ধাপ অতিক্রম করে, গুগল এডমোব (AdMob) থেকে ইনকাম করা সম্ভব।এবার এই চারটি ধাপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সর্বপ্রথম ধাপ হলো,

  • App Creation 

যদি আপনি এডমোব থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনার নিজের তৈরি একটি এপস থাকতে হবে। যে Apps এ গুগলের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। 

  • App Publishing 

যখন আপনার নিজের তৈরি করা Android apps থাকবে। এর পরের কাজ হলো, সেই Apps কে ইউজারদের জন্য পাবলিশ করা। আর আমরা তো সবাই জানি, এপস পাবলিশ করার সবচেয়ে উওম প্ল্যাটফর্ম হলো Google Play Store.

আর যদি আপনি এডমোব থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনার তৈরি করা Apps টি অবশ্যই গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করতে হবে।

  • App Approval 

গুগল প্লে স্টোরে আপনার তৈরি করা এপসটি পাবলিশ করার পর, আপনাকে AdMob Approval নিতে হবে।

অর্থ্যাৎ, যখন আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার তৈরি করা Apps টি মানুষ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করছে।

তখন আপনি গুগলের কাছে Request করবেন, যেন তারা তাদের বিজ্ঞাপন গুলো আপনার তৈরি করা সেই Apps এ দেখায়।

  • Earn Money 

এবার আপনার কাজ শেষ। এখন শুধু আপনার এডমোব (AdMob) একাউন্টের ড্যাশবোর্ড চেক করবেন যে আপনার ইনকাম কেমন হচ্ছে।

এখন মূল বিষয় হলো, একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুব সহজেই তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু একটি Apps তৈরি করা কিন্তুু মোটেও সহজ নয়। Apps তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম এবং অনেক কোডিং সম্পর্কে জানতে হয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

তাই বলে কি, আপনার এডমোব থেকে ইনকাম করার স্বপ্নটা ধুলিষাৎ হয়ে যাবে? -না, এপস তৈরি করার অনেক গুলো পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যার মাধ্যমে আপনার যদি কোনো দক্ষতা না থাকে।

তারপরেও আপনি Android Apps তৈরি করতে পারবেন। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

কিভাবে নিজেই Android Apps তৈরি করে এডমোব থেকে ইনকাম করবেন? 

আপনি নিজেই Android তৈরি করে গুগল এডমোব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে সমস্যা হলো Apps তৈরি করার জন্য Programming language শিখতে হয়।

কিন্তুু যারা একেবারে নতুন তাদের পক্ষে এসব প্রোগ্রামিং ল্যাংঙ্গুয়েজ শিখতে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে।

তবে আজকে আমি এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে বলবো। যার মাধ্যমে আপনি কোনো প্রকার দক্ষতা ছাড়াই, যেকোনো ধরনের Android Apps তৈরি করতে পারবেন।

Android App তৈরি করার জন্য ২ টি পদ্ধিত আছে। যথাঃ

  1. Programming Language দিয়ে এবং 
  2. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে 

চলুন এবার এই ২ টি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

Programming Language দিয়ে মোবাইলের এপ (App) তৈরি

Android App তৈরি করার জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংঙ্গুয়েজ হলো সবচেয়ে উওম পদ্ধতি। কোডিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত Apps তৈরি করতে পারবেন। এরকম কিছু জনপ্রিয় Programming Language হলো, 

  • JAVA (জাভা)

এন্ড্রয়েড মোবাইলের এপস Build ও Development করার জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হলো, Java. এটি হলো অফিশিয়াল ল্যাংঙ্গুয়েজ, যার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের মোবাইল এপস তৈরি করা সম্ভব।

আপনি জানলে অবাক হবেন, বর্তমান সময়ে Google Play Store এর প্রায় বেশিরভাগ এপস এই JAVA দিয়েই তৈরি করা।

যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন, এবং আপনার পছন্দমতো Android Apps তৈরি করতে চান। তাহলে JAVA দিয়েই শুরু করতে পারবেন। 

  • Kotlin (কটলিন)

এটি হলো গুগলের অফিশিয়াল Language. যা গুগল সর্বপ্রথম প্রকাশ করে ২০১৯ সালে। যদি আপনার JAVA শিখতে অনেক কঠিন মনে হয়। তাহলে আপনি জাভার অল্টারনেট হিসেবে Kotlin Programming language শিখতে পারবেন।

কারন, জাভার সাথে Kotlin এর বেশ সমন্বয় রয়েছে। আর যারা নতুন, তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত Language হলো Kotlin. 

  • C++  (সি++)

C++ দিয়েও আপনি যেকোনো ধরনের Android Apps কে বিউল্ড এবং ডেভলোপ করতে পারবেন। তবে যারা একবারেই নতুন, তাদের জন্য C++ শেখাটা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়বে। কেননা, অন্যান্য Programming Language এর মধ্যে C++ কে একটু কঠিন মনে হয়েছে আমার কাছে। 

  • C#

যদি আপনি JAVA-র সাথে অন্য কোনো Programming Language এর সম্বনয় করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম যে নামটি আসবে, সেটি হলো C#. সবচেয়ে মজার বিষয় হলে, C# এর বিশাল কালেকশন রয়েছে। তাই আপনার কোডিং সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে সমস্যা হলে। সাথে সাথেই সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। 

  • Python (পাইথন)

আমার দৃষ্টিকোন থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে সহজ language হলো, Python. এই ল্যাঙ্গুয়েজের বিশেষ গুন হলো, যে কেউ এই ল্যাঙ্গুয়েজের সাহায্য শুধু Android apps নয়, বরং বৃহৎ বৃহৎ ওয়েবসাইটও তৈরি করা সম্ভব।

আপনি জানলে অবাক হবেন, আমরা এতোক্ষন যে গুগল এডমোব এর কথা বলছি। সেই গুগলও কিন্তুু এই Python Language দিয়েই তৈরি করা হয়েছে। 

  • Html, Css, Javascript 

হয়তবা আপনি এতোদিনে শুনে আসছেন, html/css/javascript দিয়ে শুধুমাএ ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু আজকে জেনে নিন, এই Language দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস কে Build এবং Development ও করা সম্ভব।

তবে হ্যাঁ, যদি আপনি html/css/javascript দিয়ে আপনার পছন্দমতো Android Apps তৈরি করতে চান।

তাহলে আপনাকে Adobe PhoneGap framework ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। 

বর্তমানে ব্যবহারগত এবং জনপ্রিয়তার দিক থেকে এই Programming Language এর সাহায্য যেকোনো ধরনের Android Mobile Apps তৈরি করা সম্ভব।

কিন্তু আপনি চাচ্ছেন, এসব কোডিং না শিখেই আপনার মনের মতো Apps তৈরি করবেন। তাহলে এর পরের আলোচিত বিষয় গুলো আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কারন এবার আপনি জানতে পারবেন, কিভাবে দক্ষতা ছাড়াই মোবাইল এপ তৈরি করা সম্ভব। 

নিজেই android app তৈরি করার কিছু ওয়েবসাইট

যারা কোনো প্রকার কোডিং না শিখে বিনা পরিশ্রমে মোবাইল এপস তৈরি করে গুগল এডমোব (AdMob) থেকে ইনকাম করতে চান। তাদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। প্রফেশনাল Android Apps তৈরি করা যায়। এমন কিছু ওয়েবসাইট হলো,

  • Appy Pie

কোনো দক্ষতা ছাড়াই ফ্রিতে মোবাইল Apps তৈরি করার জন্য অন্যতম ওয়েবসাইট হলে Appy Pie.যদি আপনার অনলাইন সম্পর্কে একটু হলেও ধারনা থাকে।

তাহলে আপনি খুব সহজেই খুব ভালো মানের Apps তৈরি করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটের সবচেয়ে ভালো দিক হলে, আপনি অনেক প্রিমিয়াম Feature একদম বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন Appy Pie থেকে। 

  • BuildFire

জনপ্রিয়তার দিক থেতে BuildFire কোনো অংশেই কম নয়। তাদের ডাটাবেজ অনুযায়ী ব্যবসায়িক দিক থেকে প্রায় ৩০ হাজার Apps Developed করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

যদি আপনি ছোটো খাটো কোম্পানি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য Android Apps তৈরি করতে চান। তাহলে BuildFire হবে সবচেয়ে উপযুক্ত একটি ওয়েবসাইট। 

  • Shoutem

অসংখ্য টেমপ্লেট, অসংখ্য ডিজাইনের কালেকশন নিয়ে অনেক বছর ধরে Apps তৈরির সুবিধা দিয়ে আসছে এই ওয়েবসাইটটি।

ছোটো-ছোটো এপস থেকে শুরু করে মিডরেন্জ এপস পর্যন্ত যেকোনো ক্যাটাগরির এপস তৈরি করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে।

শুধুমাএ Drag & Drop করেই অসাধারণ ডিজাইনের Apps তৈরি করতে পারবেন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। 

  • AppMachine

যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, ভাই উপরে আলোচিত সবগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ওয়েবসাইট কোনটি।

তাহলে আমি বলবো, সবচেয়ে Perfect Website হলো AppMachine.এই সাইট থেকে একদম প্রফেশনালদের মতো এপস তৈরি করা সম্ভব। সত্যি বলতে আমি নিজেও এই সাইট থেকে এখনও Android Apps তৈরি করি।

সেই সুবাদে এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমার বেশ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। আমার জানামতে এই সাইটের মালিক নেদারল্যান্ডসের একজন ওয়েব ডেভলপার।

তিনি আমাদের মতো আমজনতার কথা চিন্তা করেই এমন সুন্দর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন।

AppMachine থেকে বিনামূল্যে অনেক ভালো মানের Android Apps তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনাল টাইপের এপস তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে তাদের প্রিমিয়াম Plans এ যুক্ত হতে হবে।

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে মানসম্মত Android Apps তৈরি করা সম্ভব। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন, তাহলে আরও অনেক ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হলো, আপনি একটা Apps তৈরি করলেই গুগল আপনাকে টাকা দিবে? -না, গুগল এডমোবের গাইডলাইন অনুযায়ী। আপনার তৈরি করা সেই এপসটিকে অবশ্যই Google Play Store এ পাবলিশ করতে হবে। 

কিভাবে নিজেই একটি এপস তৈরি করবেন। সেটা তো এতক্ষণে জেনে গেছেন। তাইনা?

এবার জেনে নিন, কিভাবে আপনার তৈরি করা সেই এপসকে গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করবেন। 

কিভাবে Google play store এ app জমা দিবেন

শুরুতেই একটা কথা বলে নেই। Play Store এ App Published করার জন্য আপনার বেশ কিছু জিনিস থাকতে হবে। যেমন,

  1. একটি Google Play Console একাউন্ট
  2. Apk File 
  3. App icon: 512×512
  4. Apps Screenshot: 2 or 3 Image
  5. Featured Image:1024×500

আপাততো আপনার কাছে এই পাঁচটি জিনিস থাকতে হবে। এবার চলুন, প্লে স্টোরে এপস আপলোড করার প্রক্রিয়া গুলো জেনে নেই। 

Step-1: Upload App in Play Store 

যখন আপনার Apps তৈরি করা হয়ে যাবে। তখন সেই এপসটিকে মাএ ৮ টি ধাপে, গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করতে পারবেন। যেমন,

  1. প্রথমে একটা Developer Account খুলতে হবে। 
  2. এরপর আপনাকে Google Wallet Merchelant একাউন্ট খুলতে হবে। এই একাউন্ট কে আপনার পূর্বে তৈরি করা Developer একাউন্টের সাথে কানেক্ট করতে হবে।
  3. এরপরে আপনার কাজ হবে, Apps টিকে প্লে স্টোরে আপলোড করা। 
  4. আপলোড করা পরে Android Package Kit আপলোড করতে হবে। 
  5. Store Listing এর প্রস্তুুত করা৷ 
  6. এপসটিতে Content Rating যুক্ত করা। 
  7. Price এবং Distribution Model সিলেকশন করে,
  8. সর্বশেষ এপসটিকে চুড়ান্তভাবে Published করতে হবে। 

[PRO Tips: কিভাবে App published করতে হয়। সে সম্পর্কে যদি বিস্তারিত লিখি। তাহলে আর্টিকেলটা অনেক বড় হবে। তাই এ বিষয়টি জানতে YouTube ফলো করুন]

যখন আপনি সফলভাবে আপনার নিজের তৈরি করা Apps কে প্লে স্টোরে আপলোড করবেন। তারপরের কাজ হলো, আপনার আপলোড করা সেই Apps টি তে যেন গুগল বিজ্ঞাপন দেখায়। সেই জন্য গুগলকে ইনফর্ম করা।

যদি আপনি গুগল এডমোব (AdMob) থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার Android apps কে মনিটাইজ করতে হবে।

আর মনিটাইজ করার পর থেকে আপনি এডমোব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে রাখা উচিত। হয়তবা আপনি আবেগের বশে হোক কিংবা আমার এই আর্টিকেল পড়ার পড়ার পর একটি এপস তৈরি করলেন ৷

কিন্তু গুগলের আন্ডারে একজন পাবলিশার হিসেবে কাজ করার জন্য Apply করলেন।

আপনি অবশ্যয় পড়বেন…

কিন্তু গুগল সেই Request কে রিজেক্ট করলো। এভাবে বারবার Request পাঠানোর পড়েও রিজেক্ট করতে পারে।

তখন আপনি হয়তবা হতাশ হয়ে যেতে পারেন। তখন আপনার মনে হবে, গুগল কেন আপনার Apps এ বিজ্ঞাপন দিতে রাজি হচ্ছে না।

এর প্রধান কারন হলো, আপনি গুগল এডমোবের গাইডলাইন ফলো করেননি। তাই AdMob এর গাইডলাইন গুলো সম্পর্কে আপনার আগে থেকেই ধারনা থাকতে হবে।

গুগল এডমোব (AdMob) গাইডলাইন

দেখুন, পৃথিবীতে যতো অনলাইন কোম্পানি আছে। তার মধ্যে গুগল সবচেয়ে বিশ্বস্ত একটি কোম্পানি। সেজন্য গুগল থেকে ইনকাম করার জন্য, আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।

আর আপনার Apps মনিটাইজ করার জন্য Request করার পর। গুগলের টিম আপনার Apps টিকে ম্যানুয়ালি রিভিউ করবে।

যদি তারা দেখে আপনার এপসটি তাদের গাইডলাইন অনুসরন করেনি। তাহলে গুগল কখনই আপনাকে মনিটাইজ দিবে না।

তো চলুন এবার জেনে নেই, এডমোব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কি কি নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।

যদি আপনার তৈরি করা এপসটিতে নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্ক থাকে। তাহলে তা গুগলের পলিসি ভায়োলেন্স এর আন্ডারে পড়বে। যেমন,

  1. Malicious or unwanted software
  2. Child sexual abuse imagery
  3. Copyrighted content
  4. Trademarks
  5. illiegal requirement

আমার মনে হয়, গুগলের এই নিয়ম গুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত। কেননা, যদি আপনি মনিটাইজ করতে না পারেন। তাহলে এডমোব থেকে আপনি ইনকামও করতে পারবেন না। 

  • Malicious or unwanted software

যদি আপনি Hacking/Virus জাতীয় কোনো Mobile Apps তৈরি করেন। তাহলে গুগলের কাছে সেইসব এপস পলিসি ভায়োলেন্স এর আওতায় পড়বে। আর এমন কোনো Apps কে গুগল কখনোই মনিটাইজ করে না। 

  • Child sexual abuse imagery

এটি সবচেয়ে ইমপোর্টেন্ট পয়েন্ট। দেখুন সেক্স বৈধতা পেলেও, Child Sex (শিশু যৌন) কিন্তুু ভয়াবহ মাএার ক্রাইম। সেজন্য এই সম্পর্কিত কোনো বিষয় যদি আপনার Apps এ থাকে। তাহলে গুগল আপনার এপসকে মনিটাইজ করবে না।

  • Copyrighted content

গুগলের আন্ডারে কাজ করার জন্য সবার আগে যে ২ টি শব্দ আসে। তা হলো Copyrighted content (কপিরাইট কন্টেন্ট)।

সত্যি বলতে গুগল কখনই কোনো কপরিটাইটেড কন্টেন্ট কে সাপোর্ট করে নি। আর বর্তমানেও করে না। তাই আপনার Apps  এ যদি কোনো ধরনের কপিরাইট কনটেন্ট থাকে।

তাহলে গুগল কখনই আপনার এপসকে মনিটাইজ করবে না। 

  • Trademarks

সবচেয়ে বড় ইস্যুর নাম হলো, ট্রেডমার্ক। যদি আপনার Trademarks সম্পর্কে কোনো ধারনা না থাকে। তাহলে আমার এই সাইটে এ নিয়ে বিস্তারিত দেয়া আছে।

আপনি চাইলে ট্রেডমার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে নিতে পারবেন। শুধু এইটুকুই বলবো, অন্যের রেজিষ্ট্রি করা কোনো ফাইল বা কন্টেন্টকে নিজের প্রজেক্ট/কাজে ব্যবহার করা সম্পূর্ন বে-আইনি।

  • illiegal requirement

গুগল কখনই কোনো ইলিগ্যাল বিষয়কে সাপোর্ট করেনা। তাই চেষ্টা করবেন সবসময় লিগ্যাল ওয়েতে কাজ করার।

আপনি এতোক্ষন ধরে জানলেন, এডমোব কি? কিভাবে নিজেই Apps তৈরি করে ইনকাম করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তুু এখন একটা প্রশ্ন হলো, আপনি এডমোব থেকে কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন?.

যদি এ বিষয়ে আপনার জানার ইচ্ছা থাকে। তাহলে পরবর্তী অংশ গুলো মনোযোগ সহকারে দেখবেন।

সবার আগে আপনাকে জানতে হবে, কিভাবে একটি এডমোব (AdMob) একাউন্ট খুলতে হয়। কারন, যদি আপনার এডমোব একাউন্ট না থাকে।

তাহলে আপনি ইনকামও করতে পারবেন না। তাই এবার আমরা জানবো যে, কিভাবে এডমোব একাউন্ট খুলতে হয়।

কিভাবে এডমোব (AdMob) একাউন্ট তৈরি করবেন?

সত্যি বলতে এডমোব একাউন্ট তৈরি করা খুব সহজ। শুধু আপনার একটি ভ্যালিড Gmail id থাকলেই যথেষ্ট। শুধুমাএ একটি জিমেইল দিয়ে কিভাবে এডমোব একাউন্ট তৈরি করবেন। এবার তা স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো। 

  1. সর্বপ্রথম আপনাকে যেতে হবে www.admob.com এই ওয়েবসাইটে। এটি হলো গুগল এডমোবের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।
  2. এরপর আপনাকে Sign Up বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনার জিমেইল দিয়ে Start Now এ ক্লিক করতে হবে। 
  3. আপনার Country & Time Zone সেট করে নিতে হবে। এবং নিচে সুইপ করলে দেখতে পারবেন,এডমোবের কিছু Terms & Conditions দেয়া আছে। আপনি সেগুলোকে ভালোভাবে পড়ে তারপর পাশে থাকা বক্সটিতে টিক মার্ক দিয়ে Next এ চলে যাবেন।
  4. এবার আপনি বিভিন্ন Verification এর অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেগুলো সিলেক্ট করতে হবে। 
  5. এরপর আপনার মোবাইল নম্বর চাইবে। এখন আপনি আপনার Country Code দিয়ে আপনার নম্বরটি বসিয়ে দিবেন। এবং আপনার নম্বরটি ভেরিফাই করে নিবেন। 
  6. ভেরিফাই করার পর আপনার এডমোব একাউন্ট তৈরি করা সম্পন্ন হবে। এরপর আপনি সরাসরি আপনার AdMob Dashboard এ চলে যাবেন। 

ধরে নিলাম আপনি সঠিকভাবে এডমোব একাউন্ট তৈরি করতে পেরেছেন। এবার আপনাকে জানতে হবে, কিভাবে এডমোব থেকে দ্বিগুণ পরিমান ইনকাম করবেন। 

এডমোব এর ইনকাম কিরকম হয়?

দেখুন গুগলের আন্ডারে কাজ করলে আপনি আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। এখানে কোনো ধরাবাঁধা নেই। এখন আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন, তা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে কাজ করবেন তার উপর।

এডমোব নিয়ে তো অনেক মানুষ কাজ করে। তাই বলে কি সবার ইনকাম সমান হয়?  – না, এমন অনেক মানুষ আছে যারা লক্ষ লক্ষ টাকা এডমোব থেকেই ইনকাম করতে পেরেছে।

কারন তারা আসলে জানে যে, কোন টিপস গুলো ফলো করলে যে কেউ এডমোব থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবে। 

এখন আমি আপনাদের সেরকম কোনো টিপস দিবো না। যা ফলো করে আপনিও লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে আমি দীর্ঘ ৩ বছর যেভাবে এডমোব (AdMob) নিয়ে কাজ করছি। এবং এখনও কাজ করে ইনকাম করছি। সেখান থেকে ছোট ছোট অভিজ্ঞতা গুলো আপনার সাথে শেয়ার করবো। 

AdMob থেকে বেশি আয় করার উপায়

এডমোব থেকে বেশি বেশি ইনকাম করার জন্য, আপনাকে মোট ৩ টি বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। যেমন,

  • Apps Category 
  • Targeted Audience 
  • Popularity 

যেহুতু আপনার মূল উদ্দেশ্য হলো,  AdMob থেকে ইনকাম করা। সেহতু এই তিনটি বিষয়ে অবশ্যই আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকা উচিত। 

  1. Apps Category 

এডমোব থেকে আপনার ইনকাম কিরকম হবে। তা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আসলে আপনি কোন ক্যাটাগরির এপস তৈরি করবেন, তার উপর। আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আপনার Apps টি বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক নাকি অন্য কিছু।

দেখুন এপসের জনপ্রিয়তা যতো বেশি বৃদ্ধি পাবে। আপনার এপস ব্যবহারকারির সংখ্যাটাও ঠিক ততোটাই বৃদ্ধি পাবে।

আর এই ব্যবহারকারীর উপরেই ডিফেন্ড করবে। আসলে আপনি কত টাকা এডমোব (AdMob) থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এখন দেখা গেলো, আপনি এমন একটা বিষয় নিয়ে এপস তৈরি করলেন। যে বিষয়ের প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ নেই।

তাহলে কিন্তু আপনার এপস মনিটাইজ হলেও, আপনার ইনকামের কিন্তুু তেমন উন্নতি হবে না। তাই চেস্টা করবেন এমন কোনো বিষয় নিয়ে Apps তৈরি করার। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি থাকবে। 

  • Targeted Audience

গুগল এডমোব থেকে আপনার কেমন ইনকাম আসবে। তার বেশিরভাগই নির্ভর করবে, আসলে আপনি কোন বয়সের অডিয়্যান্সকে টার্গেট করেছেন। বিষয়টি একটু ক্লিয়ার করে বলি। 

দেখুন যখন আপনি আপনার এপসকে গুগল এডমোব এর সাহায্য মনিটাইজ করবেন ৷ তখন গুগল রোবট পুনরায় আপনার Apps টিকে রিভিউ করবে।

শুধুমাত্র এই বিষয়টি জানার জন্য যে,আপনার এপসটি কোন বয়সের মানুষরা বেশি ব্যবহার করছে।

আমাদের ব্লগের আরো পোস্ট…

কারন মনিটাইজ করার পর আপনার এপসে বিজ্ঞাপন দেখানো, এটি গুগলের দায়িত্ব হয়ে পড়ে। তাই গুগল রোবট চেস্টা করে উপযুক্ত মানুষের জন্য উপযুক্ত বিজ্ঞাপন দেখানোর।

কারন, একটি ১০ বছরের বাচ্চাকে Software Related কোনো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যেমন কোনো লাভ হবেনা।

ঠিক তেমনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে বাচ্চাদের খেলনার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।

আর এটাও জেনে রাখুন, বাচ্চাদের দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে আপনি যে পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। তার থেকে বেশি ইনকাম আসবে প্রাপ্ত বয়স্কদের দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে।

তাই এপস থেকে ইনকাম করার আগে অবশ্যই এই বিষয়টি আপনার মাথায় রাখতে হবে ৷

  • Popularity 

জনপ্রিয় বস্তুকে সবাই পছন্দ করে। ঠিক তেমনি আপনার তৈরি করা এপসও বেশ জনপ্রিয় হতে হবে। যেমন, Tiktok apps যদি এতোটা জনপ্রিয়তা না পেতো।

তাহলে Likee Apps কে মানুষ এতোটা প্রাধান্য দিতো না। তবে কোনো Apps তখনি জনপ্রিয়তা পাবে। যখন তার মধ্যে কিছু গুনাবলি থাকবে। যেমন,

  • সহজ ইন্টারফেস
  • বাগ বিহীন 
  • সিকিউরিটি প্রটেকশন 
  • বিশ্বস্ততা

যদি আপনি আপনার তৈরি করা Apps এ এইসব গুনাবলি বিদ্যমান থাকে। তাহলে আপনার Apps এর জনপ্রিয়তা পাওয়ার সুযোগটা অনেক অংশেই বেড়ে যাবে। 

কিভাবে এডমোবের টাকা হাতে পাব?

ওয়েট, এবার আসবো আসল টপিকে। আপনি অনেক কষ্ট করে একটি Apps তৈরি করলেন। তারপর সেই এপসে মনিটাইজ চালু করলেন। এবং সর্বশেষ আপনি সেই এপস থেকে এডমোব একাউন্টের মাধ্যমে ইনকাম করলেন।

এখন মূল প্রশ্ন হলো, আপনি যে টাকা গুলো ইনকাম করবেন। সেই টাকা কিভাবে উওলন করবেন?

সত্যি বলতে, এপস থেকে যে পরিমান টাকা ইনকাম হবে। সেই টাকা গুলো কিন্তুু সরাসরি আপনার হাতে পাবেন না।

আপনার উপার্জিত টাকা সর্বপ্রথম আপনার এডমোব (AdMob) একাউন্টে জমা হবে। এবং যখন আপনার এডমোব একাউন্টে 100$ বা তার বেশি $ যুক্ত হবে।

তখন আপনি সেই টাকা আপনার Bank Account এর মাধ্যমে উওলন করতে পারবেন। 

আমাদের শেষকথা

এডমোব (AdMob) হলো ইনকাম করার উপযুক্ত একটি মাধ্যম। যদি আপনি সঠিকভাবে এই মাধ্যমটিকে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনিও ছোট ছোট ইনকাম থেকে শুরু করে একদিন অনেক টাকার মালিক হতে পারবেন।

শুধু একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি সৎ উপায়ে সঠিকভাবে যেখানেই পরিশ্রম করুন না কেন। আপনার সফলতা একদিন আসবেই।

অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন্য উপায় আমাদের বাংলা আইটি ব্লগে আর্টিকেল আছে। আপনি চাইলে সেগুলা পড়ে নিতে পারেন।

আজকের আর্টিকেল নিয়ে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পাড়েন। আমরা আপনার কমেন্টের সঠিক উত্তর দিব।

আর আমাদের আর্টিকেল কেমন লাগে কমেন্টে জানালে নতুন নতুন অনলাইন আয় নিয়ে লিখতে আগ্রহ বাড়ে।

10 thoughts on “Google AdMob কি | গুগল এডমোব থেকে আয় করার উপায়”

  1. মাহমুদুল

    ভাইয়া এ্যপস এর এড কি ব্লক করা যায়? ধরি,আমি টিকটকের কোন এড আমার এ্যপস এ দিব না, তখন টিকটক যদি আমার এ্যপস এ এড দিতে চায় তখন ওগুলো কি ব্লক দেওয়া সম্ভব?

    1. আমার মনে হয় যাবে ।। সিউর বলতে পারলাম না কারণ আমি বন্ধ করি নাই ।। আপনি দেখুন বন্ধ করার অপশন আছে । একটু খুজে দেখুন …

    2. না, আপনি চাইলেই স্পেসিফিক কোনো কোম্পানির Ads কে ব্লক করতে পারবেন না। তবে আপনি চাইলে যেসব Adult Ads রয়েছে। সেগুলো কে Blocked করে রাখতে পারবেন৷

      ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য

  2. মোঃ সোহরাব হোসাইন

    ভাইয়া, এডমোব এর মনিটাইজ পেতে কোন প্রকার শর্তাবলি আছে কি? যেমন -এডসেন্স এর নিয়ম ১০০০ সাবস্ক্রাইব ও৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম।
    ব্যাবসায়িক এপস বানিয়ে আয় করা যাবে কিনা?

    1. এরকম কোন নিয়ম নেই তবে… আপনার এপ প্লে স্টরে পাবলিশ থাকা লাগবে কিন্তু এডাল্ট এপ এ পাবেন না …

  3. আচ্ছা,, ভাইয়া আমি যদি ওয়েবসাইট থেকে কোন টেক্সট কপি করে আমার এপ্সে দেই তাহলে কি সেটা কপিরাইট হবে।

  4. আচ্ছা ভাইয়া, আমি যদি আপনার উল্লেখিত সাইট থেকে অথবা কারও স্ক্রীপ্ট দিয়ে andriod studio দিয়ে app তৈরি করে সেই এপ্স এ কোনো বই লিখে দেই। অথবা wallpaper collect করে দেই তবে কি কপিরাইট ধরবে?

    1. Fahim montasir

      আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া!!! আমি কিভাবে আমার এপ এ এডড যুক্ত করবো???এড কি অটোমেটিক যুক্ত হবে?? নাকি আমাকেই যুক্ত করানো লাগবে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top