টেলিগ্রাম কি ? এই অ্যাপ এর সুবিধা কি [What is Telegram in Bengali]

টেলিগ্রাম কি :  (What is Telegram in Bengali) ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা হওয়ার কারণে এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম দেখতে পাই।

টেলিগ্রাম কি ? এই অ্যাপ এর সুবিধা কি [What is Telegram in Bengali]
টেলিগ্রাম অ্যাপ এর সুবিধা কি
তবে এই সকল মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে অন্যতম হলো, টেলিগ্রাম। যার সাহায্য আপনি একবারে নিরাপত্তার সাথে আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে মেসেজিং করতে পারবেন।

এবং আপনি টেলিগ্রাম এর মধ্যে যে সকল ডেটার এক্সেস দিবেন। সে গুলো একবারে সুরক্ষিত থাকবে। মূলত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম এর নাম হলো, টেলিগ্রাম।

আর আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, টেলিগ্রাম কি, টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করার নিয়ম কি। সেই সাথে আমি আপনাকে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো জানিয়ে দিব।

আপনি আরোও দেখুন…

তো আপনি যদি এই টেলিগ্রাম সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

তাহলে আপনি জানতে পারবেন টেলিগ্রাম কি এবং টেলিগ্রাম একাউন্ট খোলার নিয়ম কি।

টেলিগ্রাম কি ? (What is Telegram app in Bangla)

Telegram কি যদি আমি এই বিষয়টি কে এক কথায় উত্তর দেই। তাহলে বলব, এটি হলো ম্যাসেজিং বা চ্যাটিং করার অন্যতম একটি অ্যাপস।

যার সাহায্য আপনি আপনার প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে মেসেজিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। মূলত আমরা অধিকাংশ মানুষ যোগাযোগ করার জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকি।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি চাইলে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। টেলিগ্রাম নামক মেসেজিং অ্যাপস এর সাহায্য আপনার কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।

তবে মেসেজিং করার জন্য অন্যান্য অ্যাপস গুলোর তুলনায় টেলিগ্রাম হলো অন্যতম। কেননা যারা এই বিশেষ প্ল্যাটফর্ম কে পরিচালনা করে।

তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ব্যবহারকারীরা নিরাপত্তার সহিত এই অ্যাপস কে ব্যবহার করে। তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো আদান প্রদান করতে পারবে।

এক্ষেত্রে তাদের তথ্য চুরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। এবং এই প্ল্যাটফর্মটি আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ম্যাক, উইন্ডোজ অথবা লিনাক্স যে কোন ধরনের ডিভাইসের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

টেলিগ্রাম চ্যানেল কি?

টেলিগ্রাম কি তা আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন। তবে যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে টেলিগ্রাম নামক এই মেসেজিং অ্যাপস ব্যবহার করবেন।

তখন আপনি নতুন একটি শব্দের সাথে পরিচিত হবেন। আর এই নতুন শব্দটি হল, টেলিগ্রাম চ্যানেল। মূলত আপনি একজন টেলিগ্রাম ইউজার হিসেবে।

আপনিও বিভিন্ন ধরনের টেলিগ্রাম চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন। তবে এই চ্যানেল তৈরি করার আগে আপনাকে টেলিগ্রাম চ্যানেল কাকে বলে সে সম্পর্কে জানতে হবে।

মনে করুন, আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে ফেসবুক মেসেঞ্জার এর মধ্যে ফেসবুক গ্রুপ নামের একটি অপশন রয়েছে।

যেখানে আপনি একই সাথে অনেক গুলো ব্যক্তি কে যুক্ত করতে পারবেন। এবং তাদের সাথে মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।

ঠিক একই ভাবে আপনি টেলিগ্রাম এর মধ্যে একটি চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই চ্যানেলের মধ্যে আপনি অসংখ্য টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের যুক্ত করতে পারবেন।

আর যখন আপনার কাছে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থাকবে। এবং সেই চ্যানেলের মধ্যে অসংখ্য টেলিগ্রাম ইউজার থাকবে।

তখন আপনি একটি মাত্র মেসেজ করলে সেই চ্যানেলের সাথে যুক্ত থাকা সকল ব্যক্তিরা আপনার মেসেজ টি দেখতে পারবে। এবং তারা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার টেলিগ্রাম মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারবে।

মূলত এই ধরনের বিশেষ একটি ফিচার এর নাম হল, টেলিগ্রাম চ্যানেল। যার সাহায্য আপনি একই সময়ে অধিক পরিমাণ মানুষের সাথে মেসেজিং করতে পারবেন।

Telegram এর কাজ কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, টেলিগ্রাম কি এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল কি। তো এখন আপনাকে জানতে হবে, টেলিগ্রাম এর কাজ কি।

অর্থাৎ আমরা অনলাইনের বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে থাকি। এবং সেই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো না কোনো কারণ থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে এই টেলিগ্রাম এর কাজ কি এবং কেন আমরা টেলিগ্রাম ব্যবহার করব। সে সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।

তো সবার শুরুতেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, টেলিগ্রাম হল একটি ক্লাউড ভিত্তিক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় ব্যক্তিদের সাথে মেসেজ এর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে পারব।

তবে শুধুমাত্র মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখার জন্য টেলিগ্রাম নামক এই প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠা হয়নি।

বরং আপনার ডিভাইসের মধ্যে যখন টেলিগ্রাম নামক এই বিশেষ অ্যাপস টি ইন্সটল করা থাকবে।

তখন আপনি মেসেজের মাধ্যমে আপনার প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ করার পাশাপাশি। আরো বিভিন্ন ধরনের ফিচার দেখতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আমরা হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে। মেসেজ, কল অথবা বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।

যেমন, পিকচার, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি টেলিগ্রাম এর মধ্যে এই যাবতীয় সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

সে ক্ষেত্রে আপনি যে ব্যক্তির সাথে টেলিগ্রাম এর মধ্যে যোগাযোগ করবেন। সেই ব্যক্তির নিকট অবশ্যই একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট থাকতে হবে।

আর যখন আপনার পরিচিত ব্যক্তির নিকট একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট থাকবে। তখন আপনি সেই ব্যক্তির সাথে মেসেজিং করতে পারবেন।

তাকে টেলিগ্রাম থেকে ভিডিও কল কিংবা অডিও কল দিতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে তার সাথে বিভিন্ন ধরনের ডাটা আদান প্রদান করতে পারবেন।

যেমন, ছবি, ভিডিও, অডিও, স্টিকার ইত্যাদি। আশা করি, টেলিগ্রাম এর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার তথ্য পেয়ে গেছেন। চলুন এবার টেলিগ্রাম সম্পর্কে অন্যান্য বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

টেলিগ্রামের এর বৈশিষ্ট্য

টেলিগ্রাম কি তা আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি। এর পাশাপাশি টেলিগ্রাম এর কাজ কি, টেলিগ্রাম চ্যানেল কাকে বলে সে সম্পর্কে জেনেছি।

তো ধারাবাহিক ভাবে এবার আমরা জানবো, টেলিগ্রামের বৈশিষ্ট্য কি। অর্থাৎ অনলাইন এর মধ্যে থাকা প্রতিটা প্ল্যাটফর্মের কোনো না কোনো বৈশিষ্ট্য থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি টেলিগ্রাম ব্যবহার করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে টেলিগ্রাম এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

  • সহজ যোগাযোগ মাধ্যমঃ যখন আপনি টেলিগ্রাম ব্যবহার করবেন। তখন আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার প্রয়োজনীয় বার্তা গুলো আদান প্রদান করা যাবে।
  • এবং আপনি যে সকল বার্তা বা তথ্য আদান প্রদান করবেন। সে গুলো একবারে নিরাপদ থাকবে।
  • সার্বজনীন মাধ্যমঃ দেখুন আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করেন নাকি মোবাইল ব্যবহার করেন সেটা বড় কথা নয়।
  • বরং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, আপনি আপনার যে কোনো ধরনের ডিভাইস থেকে। এই টেলিগ্রাম নামক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টি ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ এই প্ল্যাটফর্ম টি সকল ধরনের ডিভাইস এর জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
  • এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্মঃ আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কোন ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করেন। তখন তারা আপনার যাবতীয় ডেটা গুলোর এক্সেস নিয়ে তাদের সার্ভার এর মধ্যে জমা করে রেখে দেয়।
  • কিন্তু আপনি যদি টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে এই প্লাটফর্ম টি সম্পূর্ণ এনক্রিপটেড। অর্থাৎ এখানে আপনার ডাটা গুলোর গোপনীয়তা বজায় থাকবে।
  • স্বল্প স্টোরেজঃ আমরা যখন অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া এর অ্যাপস গুলো ইন্সটল করি। তখন কিন্তু আমাদের ডিভাইসের মধ্যে অনেক বড় একটা অংশ জুড়ে এই অ্যাপস গুলো রানিং থাকে।
  • কিন্তু টেলিগ্রাম এর মধ্যে আপনি এরকম কোন কিছু দেখতে পারবেন না। বরং এই অ্যাপস টি আপনার মোবাইল এর মধ্যে ইন্সটল করে রাখলে। তা শুধুমাত্র ১০০ এমবির কম জায়গা নিবে।
  • ক্লাউড স্টোরেজঃ মূলত যখন আপনি আপনার ডিভাইস এর মধ্যে টেলিগ্রাম নামক এই অ্যাপ টি ইনস্টল করে রাখবেন।
  • তখন আপনি মেমোরি কার্ড থেকে কোন ধরনের ডেটা ডিলিট করা ছাড়াই। আপনি তা টেলিগ্রাম এর ক্লাউড স্টোরে জমা করে রেখে দিতে পারবেন। যার ফলে আপনার বাড়তি চাপ কমে যাবে।
  • বিনামূল্য প্ল্যাটফর্মঃ আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারণ এই টেলিগ্রাম নামক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টি আপনি একবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • সেক্ষেত্রে আপনাকে এই অ্যাপস টি ব্যবহার করার জন্য। আপনাকে কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না। যা আমাদের মতো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক ভালো একটা দিক।

তো টেলিগ্রাম এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি তা আপনি উপরে দেখতে পাচ্ছেন। এবং আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মেসেজিং প্লাটফর্ম টেলিগ্রামের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি। 

টেলিগ্রাম এর ইতিহাস | History of Telegram

টেলিগ্রাম কি এবং Telegram আসলে কি বা কি কাজে লাগে। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো যেহেতু আজকে আপনি Telegram কি সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু অবশ্যই আপনাকে টেলিগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে।

কেননা বর্তমান সময়ে টেলিগ্রাম হল জনপ্রিয় একটি ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম। তবে এই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য টেলিগ্রাম এর বিরাট একটা ইতিহাস রয়েছে। যা এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো।

তো টেলিগ্রাম এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০১৩ সালে। আর এই বিশেষ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টি তৈরি করেছিল, নিকোলাই ও পাভেল দূরভ নামের দুইজন ব্যক্তি।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

যারা মূলত রাশিয়ান বংশোদ্ভূত। আর যখন এই টেলিগ্রাম নিয়ে কাজ করা হয়। তখন নিকোলাই একাধিক ডেটা সেন্টারের সাথে কাজ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

যার ফলে তিনি এই টেলিগ্রাম নামক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম কে যথেষ্ট পরিমাণ অপটিমাইজ এবং সুরক্ষিত করতে পেরেছেন। আর সে কারণেই তিনি এই বিশেষ মেসেজের প্লাটফর্ম কে সর্ব সাধারণ এর জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।

মূলত আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তারা সর্বদাই চাই নিজের তথ্য গুলো যেনো সুরক্ষিত থাকে। এবং নিজের শেয়ার করা তথ্য গুলো তে যেন যথেষ্ট পরিমাণে গোপনীয়তা বজায় থাকে।

আর এই দিকটা বিশেষ ভাবে খেয়াল রেখেছিলেন টেলিগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিরা। মূলত সে কারণে বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের প্রায় ৬০০ মিলিয়ন এর বেশি মানুষ। মেসেজিং করার জন্য টেলিগ্রাম নামক এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার করে থাকে।

টেলিগ্রাম এর সুবিধা এবং অসুবিধা

এতক্ষণ ধরে আমরা জানতে পেরেছি, টেলিগ্রাম কি। এবং সেই সাথে আমি টেলিগ্রাম এর ইতিহাস কে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

তো এই যাবতীয় বিষয় গুলো জানার পর। এবার আমি আপনাকে টেলিগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

অর্থাৎ আপনি যখন টেলিগ্রাম নামক এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টি ব্যবহার করবেন। তখন বেশ কিছু সুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর এই বিশেষ সুবিধা গুলোর জন্যই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। এখন নিজের প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করে আসছে।

তাই সবার শুরুতেই আমি আপনাকে টেলিগ্রামের সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব আর আপনি যদি এই সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে টেলিগ্রাম নামক এই বিশেষ মেসেজিং প্লাটফর্মটি ব্যবহার করতে হবে। আর সেই সুবিধা গুলো হলোঃ 

  • টেলিগ্রাম গ্রুপঃ দেখুন আপনি যদি মেসেজিং করার জন্য অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে সেই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সর্বোচ্চ 200 থেকে 300 জন মানুষ নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা সম্ভব।
  • অপরদিকে আপনি টেলিগ্রামের মাধ্যমে ২ লক্ষ পর্যন্ত মানুষ কে। একই গ্রুপে যুক্ত করে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। আর এই সুবিধাটি আপনি শুধুমাত্র টেলিগ্রাম এর মধ্যে দেখতে পারবেন।
  • প্রাইভেট মেসেজিং এর সুবিধাঃ যখন আপনি টেলিগ্রাম নামক এই অ্যাপস টি ব্যবহার করবেন। তখন দেখতে পারবেন যে, এই অ্যাপসের মধ্যে প্রাইভেট মেসেজিং এর অপশন রয়েছে।
  • যার বলে আপনি আপনার প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে। যে কোনো ধরনের তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারবেন। এবং আপনার শেয়ার করা তথ্য গুলো একবারে সুরক্ষিত থাকবে।
  • সকল ডিভাইসে উন্মুক্তঃ টেলিগ্রাম হল এমন এক ধরনের মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। যা আপনি আপনার সকল ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • অর্থাৎ আপনি এন্ড্রয়েড ব্যবহার করলে তার মধ্যেও টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আইফোন, কম্পিউটার এর মত সকল ধরনের ডিভাইসের মধ্যে। খুব সহজেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করা যায়। কেননা এটি সকল ডিভাইস এর জন্য উন্মুক্ত।
  • বিনামূল্য প্ল্যাটফর্মঃ দেখুন আমরা ইন্টারনেটের মধ্যে যে সকল অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকি। সে গুলোর মধ্যে এমন কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আছে।
  • যে গুলো ব্যবহার করার জন্য পেইড সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। অপরদিকে আপনি যখন টেলিগ্রাম ব্যবহার করবেন। তখন কিন্তু আপনাকে কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
  • ফাইল ট্রান্সফারঃ ইন্টারনেট এর মধ্যে যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোন ধরনের বড় সাইজের ফাইল শেয়ার করতে যাবেন।
  • তখন কিন্তু তারা আপনাকে সেই অনুমতি দিবে না। কিন্তু যখন আপনি টেলিগ্রাম ব্যবহার করবেন। তখন আপনি দেখতে পারবেন যে, এর সাহায্য সর্বোচ্চ ১.৫ জিবি ফাইল পর্যন্ত ট্রান্সফার করা সম্ভব। যা সত্যি অবাক করে দেওয়ার মতো।
  • পার্সোনাল ডাটা স্টোরেজঃ টেলিগ্রাম এর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। মূলত যখন আপনি আপনার ডিভাইসের মধ্যে এই টেলিগ্রাম কে ইন্সটল করে রাখবেন।
  • তখন কিন্তু সেই অ্যাপ্লিকেশন টি তথ্য জমা রাখার জন্য। আপনার ফোন মেমোরি বা মেমোরি কার্ড এর স্পেস দখল করবে না। বরং আপনার ব্যবহার করা ডেটা গুলো টেলিগ্রাম এর নিজস্ব ক্লাউড সার্ভারে গিয়ে জমা হবে।

তো টেলিগ্রাম ব্যবহার করার ফলে আপনি আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই টেলিগ্রামের সুবিধা গুলো সম্পর্কে উপরের বিস্তারিত বলা হয়েছে।

আশা করি আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তবে যখন আপনি নিজে থেকে টেলিগ্রাম ব্যবহার করবেন।

তখন এর বাইরেও আপনি আরো অনেক ধরনের টেলিগ্রামের সুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

কিভাবে টেলিগ্রাম ব্যবহার করা যায় ?

টেলিগ্রাম কি এবং টেলিগ্রাম এর কাজ কি তা উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তো এই বিষয় গুলো জানার পরে এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেটি হল, কিভাবে টেলিগ্রাম ব্যবহার করা যায়। আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, আপনি খুব সহজেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে সবার আগে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে যেতে হবে। এবং সেখানে গিয়ে “Telegram”- লিখে সার্চ করতে হবে।

এরপর আপনি যে অ্যাপস টি দেখতে পারবেন। সেটি আপনার ফোনের মধ্যে ইনস্টল করে নিবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে ওয়েব ব্রাউজিং এর মাধ্যমে টেলিগ্রামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে উক্ত মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টি ব্যবহার করতে পারবেন।

টেলিগ্রাম একাউন্ট খোলার নিয়ম

একজন ব্যক্তি চাইলে মাত্র কয়েকটি স্টেপ অনুসরণ করে খুব সহজেই টেলিগ্রাম একাউন্ট খুলতে পারবে।

আর আপনি যেন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই টেলিগ্রাম একাউন্ট খুলতে পারেন। সে কারণে এবার আমি আপনাকে টেলিগ্রাম একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জানিয়ে দিবো।

আপনি অবশ্যই নিচে উল্লেখিত স্টেপ গুলো অনুসরণ করে টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন।

  1. সবার প্রথমে আপনাকে টেলিগ্রাম নামক অ্যাপস টি ইন্সটল করতে হবে।
  2. এরপর সেই অ্যাপস টি ওপেন করতে হবে।
  3. যখন আপনি প্রথমবার টেলিগ্রাম এর মধ্যে প্রবেশ করবেন। তখন আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
  4. এরপরে আপনার সেই মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। 
  5. সেই কোড টি দিয়ে আপনাকে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
  6. তার পরবর্তী ধাপে আপনার নাম প্রদান করতে হবে।

তো আপনি যদি উপরের এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

এবং সেই টেলিগ্রাম একাউন্ট দিয়ে আপনি আপনার পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।

টেলিগ্রাম সম্পর্কে কিছুকথা

সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি যত আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে। ঠিক ততটাই এই উন্নত প্রযুক্তি আমাদের মানব জীবনে প্রভাব ফেলছে।

সে কারণে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম এর সাথে পরিচিত হচ্ছি। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো খুব সহজেই করতে পারি।

আর তার মধ্যে অন্যতম হলো, টেলিগ্রাম। কেননা এর সাহায্যে ঝামেলা ছাড়াই নিরাপত্তার সাথে আমাদের ডেটা গুলো আদান-প্রদান করতে পারব।

আপনি আরোও জনাতে পারবেন…

এবং আমাদের প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে পারব।

তবে এই টেলিগ্রাম সম্পর্কে যদি আপনার মনের মধ্যে আরও কোন অজানা বিষয় থাকে। এবং আপনি যদি সেই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আপনার কমেন্ট পাওয়া মাত্রই আমি উক্ত বিষয়টি নিয়ে নতুন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করব। আর ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য।

আজ আর নয়, দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

4 thoughts on “টেলিগ্রাম কি ? এই অ্যাপ এর সুবিধা কি [What is Telegram in Bengali]”

  1. টেলিগ্রামে প্রাইভেট চ্যানেল লিংক ছাড়া কেউ দেখতে পারে?
    প্রাইভেট চ্যানেলের ভিডিও একাধিক ভিউজ সো করার কারণ কি?
    এতে কি অন্যরা প্রাইভেট ডকুমেন্টস গুলা অন্য কেউ দেখার পসিবিলিটি আছে??

    1. banlaitblog Staff

      আপনার প্রাইভেট চ্যানেল এর ডেটা তখনি দেখা সম্ভব হবে। যখন আপনি কাউকে সেই চ্যানেলের এক্সেস দিবেন।

      তাই যদি আপনার চ্যানেলে এমন কোনো ডেটা রাখতে চান। যেগুলো অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

      সেই চ্যানেল এর সব কিছু প্রাইভেসি হাইড করে রেখে দিবেন। ধন্যবাদ

  2. একটি নাম্বার থেকে কয়টি টেলিগ্রাম একাউন্ট চালানো যায়?
    আমার নাম্বার থেকে খোলা সব টেলিগ্রাম একাউন্ট কি একসাথে ডিলিট করতে পারব?

    1. একটি একাউন্ট থেকে একটি একাউন্ট খুলা যাবে। আর একবার ডিলেট করলেই হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top