অ্যানিমেশন কি | Animation এর কাজ কি | What Is Animation in Bengali?

অ্যানিমেশন কি : What Is Animation in Bengali?  অ্যানিমেশন এর কাজ কি? মানুষের যেমন ভিডিও দেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অ্যানিমেশন কি | Animation এর কাজ কি | What Is Animation in Bengali?
অ্যানিমেশন কি

ঠিক তেমনি ভাবে আজকের দিনে আপনি প্রচুর পরিমাণে অ্যানিমেশন কার্টুন এর চাহিদা লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা এই অ্যানিমেশন হল এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে কোন স্থির চিত্র কে চলমান রূপ দেয়া সম্ভব হয়।

কিন্তু আমরা অনেকেই অ্যানিমেশন ভিডিও দেখতে পছন্দ করার পরেও। আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন।

যারা মূলত, অ্যানিমেশন কি (what is animation) তার সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। হয়তো বা আপনিও এই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানতে চান।

আর সে কারণেই আপনি animation কি, ফিল্ম এবং অ্যানিমেশন সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের মধ্যে সার্চ করেছেন।

আর যদি তাই হয় তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গা তে চলে এসেছেন। কারণ আজকে আমি আপনাকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব যে, অ্যানিমেশন বলতে কি বুঝায়

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

তবে আজকের আলোচনা তে শুধুমাত্র অ্যানিমেশন কি এই বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত বলবো না। বরং এর বাইরেও অ্যানিমেশন সম্পর্কে আমাদের আরো অনেক কিছু জানার আছে।

যেমন, এই অ্যানিমেশন এর উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে। অ্যানিমেশন কত প্রকার ও কি কি

সেই সাথে আমি আপনাকে অ্যানিমেশন এর বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

আর আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

অ্যানিমেশন কি ? (What Is Animation in Bengali)

তো আজকে আমি অ্যানিমেশন সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো বিশদ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

তবে সবার শুরুতেই আমাদের জানতে হবে যে অ্যানিমেশন কি ? (What Is Animation in Bengali).

আর আমি যদি এই বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করি। তাহলে বলব যে, অ্যানিমেশন হলো বিশেষ এক ধরনের প্রক্রিয়া।

যার মাধ্যমে কোন একটি গল্প কে চলমান চিত্রের রূপ দেয়া সম্ভব হয়।

যেমন ধরুন, আপনি একজন লেখক এবং আপনি আপনার লেখা কে একটু অন্য ভাবে বর্ণনা করতে চান।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অ্যানিমেশন কে বেছে নেন। তাহলে আপনি চলমান কিছু চিত্রের মাধ্যমে আপনার লেখা গল্পটি কে বর্ণনা করতে পারবেন।

আবার যদি এই অ্যানিমেশন কি সেই বিষয়টি কে আরেকটু অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত করি। তাহলে বলব যে, অ্যানিমেশন হলো বেশ কিছু স্থির চিত্র কে চলন্ত রূপ দেয়ার বিশেষ প্রক্রিয়া।

যাতে করে সেই স্থির চিত্র গুলো কে জীবন্ত বলে মনে হয়। আর আপনি যদি অতীতের দিন গুলোর অ্যানিমেশন এর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে আপনি এই বিষয় টি বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। কেননা সেই সময়ে বিভিন্ন চিত্র আঁকা হতো। এবং সেই চিত্র গুলো কে বিশেষ কিছু স্লাইডের মাধ্যমে একত্রিত করে চলমান রূপ দেয়া হতো।

আর সে কারণেই অ্যানিমেশন কে স্থির চিত্রের চলমান জীবন্ত রূপ এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।

অ্যানিমেশন উৎপত্তি বা অ্যানিমেশনের ইতিহাস

প্রত্যেক টা সৃষ্টির পিছনে তার উৎপত্তির একটা ইতিহাস রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে আমরা বর্তমান সময়ে যে অ্যানিমেশন গুলো দেখতে পাই।

সেই অ্যানিমেশন এর উৎপত্তির ইতিহাস রয়েছে। যেহেতু আপনি আজকের আর্টিকেলে অ্যানিমেশন কি সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন।

সেহেতু অবশ্যই আপনাকে এর উৎপত্তির ইতিহাস সম্পর্কে একটু ধারণা রাখতে হবে। যাতে করে আপনার অ্যানিমেশন সম্পর্কে কোন কিছু অজানা না থাকে।

তাহলে চলুন এবার Animation ki এর উৎপত্তির ইতিহাস সম্পর্কে একটু আলোকপাত করা যাক।

সবার শুরুতেই আপনার জেনে রাখা উচিত যে। এই অ্যানিমেশন শব্দ টি মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ।

এই ল্যাটিন শব্দের Anima এর উপর নির্ভর করে আমরা আজকে অ্যানিমেশন শব্দটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে এই Anima শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো আত্মা।

আর যখন আপনি এই শব্দটির সাথে Animate যুক্ত করে দিবেন। তখন উক্ত শব্দের অর্থ দাঁড়াবে যে,  আত্মা দান করা অথবা প্রাণ দান করা।

কেননা উপরের আলোচনা তে অ্যানিমেশন কি সেখানে আমি আপনাকে বলেছি যে। একসাথে অনেক গুলো স্থির চিত্র কে যখন জীবন্ত রূপ দেয়া হয়।

তখন তাকে অ্যানিমেশন বলা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে সেই স্থির চিত্র গুলোর মধ্যে আত্মা দান করার বিষয় টি এখানে বোঝানো হয়েছে।

অ্যানিমেশন কত প্রকার – অ্যানিমেশনের প্রকারভেদ

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, অ্যানিমেশন কি। এবং অ্যানিমেশন এর উৎপত্তি সম্পর্কে। তো আপনি যদি উপরের আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন।

তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত সব ধরনের অ্যানিমেশন কে একই মনে করে থাকে।

আসলে বিষয় টা কিন্তু মোটেও এমন নয়। বরং আপনি যদি একটু ভালো ভাবে খেয়াল করেন।

তাহলে আপনি অ্যানিমেশন এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার দেখতে পারবেন। তো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো যে, অ্যানিমেশন কত প্রকার ও কি কি।

চলুন তাহলে এবার সে সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক এনিমেশন কত প্রকার ও কি কি। এবং প্রত্যেক টি অ্যানিমেশন এর পার্থক্য গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক।

বর্তমান সময়ে আমরা যেসব অ্যানিমেশন দেখতে পাই। সে গুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের পার্থক্য রয়েছেম অর্থাৎ এক একটি অ্যানিমেশন এক এক ধরনের হয়ে থাকে।

আর এই পার্থক্য গুলোর উপর ভিত্তি করে অ্যানিমেশন কে বেশ কয়েক টি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন:

  1. ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন।
  2. ২ডি অ্যানিমেশন।
  3. ৩ডি অ্যানিমেশন।
  4. মোশন গ্রাফিক্স।
  5. স্টপ মোশন।

তো আমরা বর্তমান সময়ে মোট যত গুলো অ্যানিমেশন দেখতে পাই। তাদের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে বা প্রকারভেদ রয়েছে।

সে গুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি। তবে এই প্রকারভেদ গুলো নাম দেখলেই হবে না। বরং এই প্রতি টা অ্যানিমেশন এর আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে।

চলুন এবার তাহলে সেই প্রকারভেদ অনুযায়ী কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন কি

সচরাচর আমরা সিনেমার মধ্যে যে অ্যানিমেশন গুলো দেখতে পাই। সে গুলোর একেবারে প্রাচীনতম রূপ হল ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন।

বল বাহুল্য যে এই ধরনের অ্যানিমেশন কে আবার সেল এনিমিশন বলা হয়ে থাকে। যখন এই ধরনের অ্যানিমেশন গুলো কে তৈরি করা হয়।

তখন সর্বপ্রথম একটি স্বচ্ছ কাগজের মধ্যে উক্ত অ্যানিমেশন এর চিত্র গুলো কে ভালোভাবে আঁকা হয়। যেমন ধরুন, আপনি কোন একটি গল্প কে অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে বর্ণনা করতে চান।

সে ক্ষেত্রে আপনার গল্প অনুযায়ী এই অ্যানিমেশন করা চিত্র গুলো কে আঁকতে হবে।

সেই সাথে আপনি আসলে কোন ধরনের অ্যানিমেটেড সিকোয়েন্স এর মাধ্যমে আপনার গল্প টি বর্ণনা করবেন।

তা পূর্বে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। এবং তার জন্য আপনাকে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ ভাবে এনিমেট করার জন্য ফ্রেম তৈরি করতে হবে।

যদি আমরা ছোটবেলার কথা চিন্তা করি। তাহলে সেই সময়ে আমরা টিভির মধ্যে আলাদিন কিংবা দা লায়ন কিং এর মত অনেক ধরনের অ্যানিমেশন দেখতাম।

মূলত এই ধরনের বাস্তবিক অ্যানিমেশন গুলো কে বলা হয়ে থাকে, ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন। যা মূলত পূর্ব থেকেই সিকুয়েন্স অনুযায়ী চিত্র আঁকা হয়।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই চিত্র গুলো কে animate করে বাস্তবিক রূপ প্রদান করা হয়।

আর সে কারণেই এই ধরনের ছবি তে আঁকা চিত্র কে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন।

2D অ্যানিমেশন (ভেক্টর)

যদি আপনি নিয়মিত অ্যানিমেশন দেখে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এই ভেক্টর অ্যানিমেশন এর সাথে পরিচিত থাকবেন।

কেননা এই ধরনের ভেক্টর অ্যানিমেশন এর ক্ষেত্রে কোন প্রকার গ্রাফিক্স রেজুলেশন নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না।

কারণ অনেক ছোট ছোট বিন্দুর মাধ্যমে এই ধরনের চিত্র গুলো কে তৈরি করা হয়ে থাকেম এবং এই ছোট ছোট বিন্দু গুলোর সাহায্য একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রের রূপ প্রদান করা হয়।

তবে এই ধরনের ২ ডি অ্যানিমেশন গুলো কে  আবার ট্রাডিশনাল অ্যানিমেশন এর আওতায় ধরলেও কোন প্রকার ভুল হবে না।

আর আপনি যদি এই ধরনের ২ ডি অ্যানিমেশন তৈরি করার কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনি বিশেষ একটি সুবিধা ভোগ করবেন।

সেটি হলো যে, আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত ছবির আকার তৈরি করতে পারবেন। 

3D অ্যানিমেশন

উপরে আপনি মোট যত গুলো অ্যানিমেশন এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সে গুলো মূলত হাতের মাধ্যমে ছবি আঁকতে হয়।

তারপরে সেই ছবি গুলো কে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে animate করা হয়ে থাকে। যার ফলে আমরা সেই ধরনের অ্যানিমেশন গুলো দেখতে পাই।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বর্তমান সময়ে থ্রিডি অ্যানিমেশন এর চাহিদা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মূলত এই ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার হাতে ছবি আঁকতে হবে না।

বরং আপনি কম্পিউটারে ব্যবহার করা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বিভিন্ন টুলস দিয়ে উক্ত অ্যানিমেশন গুলো তৈরি করতে পারবেন।

আর এই ধরনের অ্যানিমেশন গুলো কে এতটাই জীবন্ত করা যায় যে। আপনি বাস্তবিক এর সাথে অ্যানিমেশনের খুব একটা পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন না।

যার ফলে আজকের দিনে এই ধরনের থ্রিডি অ্যানিমেশন এর চাহিদা আরো ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোশন গ্রাফিক্স

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল অ্যানিমেশন দেখতে পাই। মূলত এই ডিজিটাল অ্যানিমেশন এর মধ্যে অন্যতম হলো মোশন গ্রাফিক্স।

এই ধরনের মোশন গ্রাফিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন আপনি যখন কোন একটি সিনেমার ট্রেইলর দেখবেন।

তখন আপনাকে এ ধরনের মোশন গ্রাফিক্স গুলো দেখানো হবে।

আপনি আরোও পড়ুন…

সেই সাথে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে আরো অনেক ধরনের কাজে এই ধরনের মোশন গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে আপনি যদি এই মোশন গ্রাফিক্স কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

তাহলে আপনি আপনার অ্যানিমেশন গুলোকে একবারে উঁচু লেভেলে নিয়ে যেতে পারবেন।

স্টপ মোশন

অ্যানিমেশন জগতের অপরিচিত একটি নাম হলো, স্টপ মোশন। মূলত এতক্ষণ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে। একটি অ্যানিমেশন তৈরি করার জন্য বিভিন্ন চিত্র আঁকতে হয়।

তারপরে সেই চিত্র গুলো কে এনিমেট করে জীবন্ত রূপ দেওয়া হয়। তবে আপনি যদি স্টপ মোশন এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে একটু ভিন্নতা দেখতে পারবেন।

কেননা এই ধরনের স্টপ মোশন ভিডিও তৈরি করার জন্য অনেক গুলো ফ্রেম নিয়ে কাজ করতে হয়। এবং প্রতিটা ফ্রেমে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র কে রাখতে হয়।

তারপরেই আপনি এই ধরনের স্টপ মোশন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। আর সময়ের সাথে সাথে অ্যানিমেশন এর অন্যান্য প্রকারভেদ গুলোর তুলনায়।

এই ধরনের স্টপ মোশন ভিডিও ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে।

অ্যানিমেশন শেখার জন্য কি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, অ্যানিমেশন কি। এবং অ্যানিমেশন কত প্রকার ও কি কি।

এখন এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি। এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, অ্যানিমেশন শেখার জন্য কি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন হয়।

সত্যি বলতে আপনি যদি অ্যানিমেশন শিখতে চান। তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন বাধ্যতামূলক শিখতে হবে বিষয় টা এমন নয়। বরং আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন না শিখেন।

তারপরেও আপনি খুব সহজেই অ্যানিমেশন এর কাজ গুলো করতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ! আপনি যদি আপনার অ্যানিমেশন কে চরম লেভেলে পৌঁছে দিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা রাখতে হবে।

সেক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার যে সফটওয়্যার গুলো রয়েছে। সেই সফটওয়্যার এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

যেমন, এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর মত সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে আপনার একটু ধারণা রাখলেই।

আপনি অ্যানিমেশন এর যাবতীয় কাজ গুলো করতে পারবেন।

আর সে জন্য আপনাকে পুরোপুরি ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার প্রয়োজন পড়বে না।

অ্যানিমেশনের সুবিধা-অসুবিধা

এতক্ষন থেকে অ্যানিমেশন সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। তো এই আলোচিত আলোচনা গুলো জানার পাশাপাশি।

এবার আপনার সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করার চেষ্টা করব। মূলত একজন ব্যক্তি যখন অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করবে। তখন সেই ব্যক্তি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করবে।

আবার কার্যক্ষেত্রে যখন কোন একজন ব্যক্তি অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করবে। তখন সেই ব্যক্তি বিশেষ কিছু অসুবিধা ভোগ করবে।

আর সে কারণে এবার আমি আপনাকে অ্যানিমেশন এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনার অ্যানিমেশন সম্পর্কিত কোন কিছু অজানা না থাকে।

তাহলে চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অ্যানিমেশনের সুবিধা

যখন আপনি একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে এই অ্যানিমেশন এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন:

  1. আপনি যে কোনো বয়সেই অ্যানিমেশন শিখতে পারবেন।
  2. যদি আপনার অ্যানিমেশন সম্পর্কে পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি দেশ কিংবা বিদেশে চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
  3. অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে আপনি আপনার চিন্তা চেতনা কে বাস্তবিক অর্থে সৃজনশীল রূপ প্রদান করতে পারবেন।
  4. অ্যানিমেশন সবচেয়ে লাভজনক একটি পেশা। আবার এই পেশা কে সৃজনশীল পেশার সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।
  5. যদি আপনার অ্যানিমেশন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা থাকে। তাহলে আপনি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার পাবেন।

তো আপনি যদি অ্যানিমেশন এর সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনি যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর বাইরে আপনি বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

চলুন এবার তাহলে অ্যানিমেশন এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অ্যানিমেশনের অসুবিধা

যদিও বা অ্যানিমেশন এর তেমন অসুবিধা নেই। তবে যখন আপনি নিজেকে এই অ্যানিমেশন এর সাথে যুক্ত করবেন। তখন মনে রাখতে হবে যে, আপনাকে এই কাজ গুলো দীর্ঘ সময় ধরে করতে হবে।

যেমন, আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন অ্যানিমেশন শিখতে চাইবেন। তখন আপনাকে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে।

সেই সাথে একটি অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করার সময় দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনার শরীরের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি আপনার শরীরের যত্ন নিয়ে অ্যানিমেশন এর কাজ গুলো করতে পারেন। তাহলে খুব বেশি একটা অসুবিধা দেখতে পারবেন না।

অ্যানিমেশন কোর্স কোথায় থেকে করবেন?

অ্যানিমেশন এর কোর্স করার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনি অ্যানিমেশন শিখতে চাচ্ছেন। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে অ্যানিমেশন শিখতে পারবেন।

যেমন, আপনি বিভিন্ন আইটি সেন্টার থেকে অ্যানিমেশন শিখে নিতে পারবেন। অথবা যদি আপনার আইটি সেন্টারে যাওয়া সম্ভব না হয়।

এবং আপনি যদি নিজের ঘরে বসে অ্যানিমেশন এর কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন কোর্স কিনে নিতে হবে।

তারপরে সেই কোর্স গুলো তে থাকা ভিডিও দেখে দেখে আপনাকে অ্যানিমেশন শিখতে হবে। বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক ধরনের প্লাটফর্ম পাবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

যারা মূলত এই ধরনের অ্যানিমেশন কোর্স বিক্রি করে থাকে। আর যখন আপনি তাদের কাছ থেকে অ্যানিমেশন কোর্স কিনবেন।

তখন অবশ্যই তাদের বিষয়ে সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করবেন। তারপরে আপনি অ্যানিমেশন কোর্স কিনবেন।

ব্যবসার ক্ষেত্রে অ্যানিমেশন এর গুরুত্ব

যদি আপনি ব্যবসার ক্ষেত্রে অ্যানিমেশন এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি বলব যে, বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে অ্যানিমেশন এর যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব রয়েছে।

কেননা আপনার যদি কোন ব্যবসা থাকে। এবং আপনি যদি সেই ব্যবসা কে অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে অ্যানিমেশন এর সহায়তা নিতে হবে।

কেননা বর্তমান সময়ের মানুষ অ্যানিমেশন দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর আপনি যদি তাদের পছন্দের বিষয় কে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসার প্রচার করেন।

তাহলে আপনি আপনার ব্যবসায়িক দিক থেকে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

বাংলাদেশের প্রথম অ্যানিমেশন সিনেমার নাম কি :

মুজিব আমার পিতা হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এর প্রথম animation ফ্লিম। কোনো  বাইরের দেশের সহযোগিতা ছাড়াই এ দেশেই বানালো হলো বাংলাদেশের এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন ছবি।

আমাদের শেষ কথা

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে অ্যানিমেশন দেখলেও। অ্যানিমেশন কি তার সঠিক সংজ্ঞাটা অনেকেই জানিনা।

আর সে কারণে মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি অ্যানিমেশন কি।

এবং অ্যানিমেশন সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো কে বিশদ ভাবে জেনে নিতে চান।

তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top