ব্যবসা কি । ব্যবসা কাকে বলে । কত প্রকার ও কি কি (Business in bengali)

ব্যবসা কি বা ব্যবসা কাকে বলে : (What is business in bengali) আমরা সবাই জানি যে, টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন রকমের পথ রয়েছে।

ব্যবসা কি । ব্যবসা কাকে বলে । কত প্রকার ও কি কি | (Business in bengali)
ব্যবসা কি । ব্যবসা কাকে বলে

যেমন একটি ব্যক্তি চাইলে চাকরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

আবার একজন ব্যক্তি চাইলে চাকরি করার বিপরীতে ব্যবসা করার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবে।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত ব্যবসা করে নিজে কে স্বাবলম্বী করতে চায়। আর যখন তারা এই ব্যবসা করতে চায়।

তখন তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উদ্ভব হয়। যেমন, ব্যবসা কি ( bebsa kake bole ), ব্যবসার সংজ্ঞা কি এবং ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি।

আর তাদের এই প্রশ্নের উত্তর গুলো দেওয়ার জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

কেননা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসা রিলেটেড যাবতীয় বিষয় গুলো একবারে পরিষ্কার ভাবে জেনে নিতে পারবেন।

[su_highlight background=” #ffd4a1″]ব্যবসা, একটি এন্টারপ্রাইজ বা একটি কোম্পানি হিসাবেও পরিচিত, একটি সাংগঠনিক সত্তা যা ভোক্তাদের জন্য পণ্য এবং পরিষেবা প্রদানের সাথে জড়িত।  ব্যবসাগুলি অলাভজনক বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হতে পারে[/su_highlight]

ব্যবসাগুলি পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে প্রচলিত, যেখানে তাদের বেশিরভাগই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এবং অন্যান্য পণ্য, পরিষেবা বা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকদের পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করে।

আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে, চাকরির বাজারে বর্তমানে কি পরিমানে প্রতিযোগিতা করতে হয়। কারণ আজকের দিনে চাকরি পাওয়া টা যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেই কারণে অনেকেই এখন ব্যবসার প্রতি ঝুকে পড়ছে। কারণ ব্যবসা হল এমন একটি মাধ্যম। যাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে।

আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমেই একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। তবে যে কেউ এই ব্যবসা শুরু করলে সফল হতে পারবে বিষয় টা আসলে এমন নয়।

বরং এই ব্যবসার মধ্যেও আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। যে গুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আর এই বিষয় গুলো জানার পর যদি আপনার মনে হয় যে।

আপনি সফল ভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

মূলত ব্যবসার রিলেটেড এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর আপনি যদি নতুন ব্যক্তি হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে চান। এবং ব্যবসা রিলেটেড যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান।

তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার। যাতে করে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত কোন কিছু অজানা না থাকে।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। এবং জেনে নেওয়া যাক যে, ব্যবসা কি এবং ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি।

ব্যবসা কি / ব্যবসা কাকে বলে – (What is business in Bengali)

যদি আপনি ব্যবসা করে নিজের জীবন কে স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসা কি বা ব্যবসা কাকে বলে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে।

আর এই ব্যবসার সংজ্ঞা টা মূলত একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। তবে আমার যুক্তি মতে ব্যবসা কাকে বলে সে সম্পর্কে এবার বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো এই ব্যবসা হল কোন একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন। কিংবা নির্দিষ্ট কোন একটি সংগঠন অথবা কোন একটি শিল্প বাণিজ্য কার্যক্রমের সাথে নিযুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া।

মূলত একে বলা হয়ে থাকে ব্যবসা। আর অবাক করার মত কিছু হলো যে, এই ব্যবসা (Business) শব্দ টি সর্বপ্রথম তিন হাজার বছর আগে ব্যবহার করা হয়েছিল।

বিষয়টা সত্যিই অবাক করার মতো, তাইনা?

ব্যবসার সংজ্ঞা কি – (Definition of Business)

উপরের ছোট্ট আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ব্যবসা কাকে বলে। তো এবার অনেকের মনে হয় একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আর সেটি হলো যে, ব্যবসার সংজ্ঞা কি। আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

কারণ এবার আমি আপনাকে ব্যবসার সংজ্ঞা কি তা বলার চেষ্টা করব। “সহজ কথায় বলতে গেলে ব্যবসা হল এমন এক ধরনের কার্যকলাপ।

যার মাধ্যমে এক বা একাধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। অপর দিকে এই ব্যবসা হল বিশেষ একটি সংগঠন।

কোন একটি মানুষের উদ্যোক্তা হওয়ার মনোভাব। এবং শিল্প বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সমন্বয় কে বলা হয়ে থাকে ব্যবসা।

ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি – (Types of business)

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ব্যবসা কি অথবা ব্যবসা কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি যেহেতু আপনি ব্যবসা করতে চান।

সেহেতু অবশ্যই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য জানতে হবে। আর সেটি হল যে, ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি। মূলত যখন আপনি ব্যবসা করতে যাবেন।

তখন আপনার সামনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রকারভেদ চলে আসবে। এবং সেই সময় আপনি আসলে বুঝে উঠতে পারবেন না।

যে। কোন ধরনের ব্যবসা ভালো এবং কোন ধরনের ব্যবসা খারাপ। আর সে কারণেই আমি পূর্বেই আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যে, ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি। সেই সাথে কোন ধরনের ব্যবসা তে কি রকম কাজ করতে হয়। সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

উৎপাদন ব্যবসার (Manufacturing business)

যখন আপনার নিজস্ব কোন উৎপাদিত পণ্য থাকবে। তখন আপনি এই ধরনের উৎপাদন ব্যবসা করতে পারবেন।

মূলত প্রথমত আপনাকে এই ব্যবসা করার জন্য নির্দিষ্ট কোন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। তারপরে আপনাকে সেই পণ্য গুলো বাজারজাত করতে হবে।

তবে এই ধরনের উৎপাদন ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনার দক্ষ জনবল থাকতে হবে। এবং আপনি যদি এই ধরনের ব্যবসা করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে মোটা অংকের মূলধন ইনভেস্ট করতে হবে। তাহলে আপনি এই ধরনের উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

এবং যদি আপনি আপনার উৎপাদন ব্যবসা কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

খুচরো ব্যবসা (Retail business)

বর্তমান সময়ে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা রয়েছে এই ধরনের খুচরো ব্যবসার। মূলত আপনি যদি স্বল্প মূলধনে অতি দ্রুততার সাথে কোন ব্যবসা শুরু করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে খুচরো ব্যবসার দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি একটা মূলধন ব্যয় করার প্রয়োজন পড়ে না।

আর আপনি যদি এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে চান। তাহলে প্রথমত আপনাকে পাইকারি হিসেবে কোন প্রোডাক্ট কিনে নিতে হবে।

এবং তারপরে আপনাকে সেই প্রোডাক্ট গুলো গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে হবে। এখানে আপনি পাইকারি দামে যে প্রোডাক্ট গুলো কিনবেন।

তার থেকে অধিক দামে আপনি গ্রাহকদের কাছে সেই প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে। উক্ত ব্যবসা থেকে লাভ করতে পারবেন। আর সে কারণেই আপনাদের মত এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা মূলত ব্যবসা শুরু করার জন্য এই ধরনের খুচরো ব্যবসা করে থাকে।

সেবা ব্যবসা (Service business)

এই ব্যবসার নামটা শুনে হয়তো বা আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে। সেবা আবার কোন ধরনের ব্যবসা হয় নাকি। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, বর্তমান সময়ে এই ধরনের সেবা ব্যবসা ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। যেমন ধরুন, আমরা যখন নতুন কোন জায়গায় যাই।

তখন পাঠাও কিংবা উবার এর মতো বিভিন্ন ধরনের রাইট শেয়ারিং দেখতে পাই। মূলত এগুলো হলো সেবা ব্যবসার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

ঠিক একইভাবে আপনি যদি ইভেন্ট প্লানিং কিংবা ক্যাটারিং ব্যবসার দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, এই ধরনের ব্যবসা গুলো কিন্তু সেবা ব্যবসার আওতাভুক্ত।

তো তাইলে আপনিও এই ধরনের সেবা ব্যবসা করতে পারবেন। এবং এই ধরনের ব্যবসা করে আপনি আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।

তবে আপনি যদি সেবা ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনাকে মোটা অংকের মূলধন ইনভেস্ট করতে হবে।

হাইব্রিড ব্যবসা (Hybrid business)

মূলত একটি ব্যবসার মূলনীতি হল আপনাকে কোন একটি পণ্য উৎপাদন করতে হবে। এরপরে সেই পণ্যটি বিক্রি করতে হবে।

সেই সাথে আপনার পণ্যের মাধ্যমে যেন কাস্টমারদের সেবা প্রদান করা হয়। সে বিষয়টিও লক্ষ্য করতে হবে। আর যখন আপনি এই তিন টি বিষয় কে ফোকাস রেখে কোন ধরনের ব্যবসা করবেন।

তখন সেই ব্যবসা কে বলা হবে, হাইব্রিড ব্যবসা। আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ধরনের হাইব্রিড ব্যবসা করতে পারবেন।

তবে বিষয় টা এমন নয় যে, হাইব্রিড ব্যবসা করার জন্য আপনাকে এই তিন ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

বরং এর মধ্যে একটি অথবা দুটি বাদ পড়লেও আপনি খুব সহজেই হাইব্রিড ব্যবসা করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনার একটি ফার্নিচার এর শোরুম আছে। এবং আপনি সেই ফার্নিচার গুলো বিভিন্ন কাস্টমার এর নিকট বিক্রি করেন।

এক্ষেত্রে আপনার যে ফার্নিচার তৈরি করার কোম্পানি থাকতে হবে।

বিষয়টা আসলে এমন নয় বরং আপনি পাইকারি দামে ফার্নিচার কিনে নিয়ে। সে গুলো কাস্টমারদের নিকট বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

এর পাশাপাশি আপনি যদি কাস্টমারদের কাছ থেকে পুরাতন ফার্নিচার গুলো কিনে নেন। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার কাস্টমারদের সেবা প্রদান করতে পারবেন।

মূলত এভাবে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর হাইব্রিড ব্যবসা করতে পারবেন।

ডিলারশিপ ব্যবসা

আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে, অন্যান্য ব্যবসা গুলোর তুলনায় ডিলারশিপ ব্যবসা ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে।

কেননা এই ধরনের ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। আর সে কারণেই যদি আপনার মূলধনের পরিমাণ বেশি হয়।

সে ক্ষেত্রে আপনি চোখ বন্ধ করে ডিলার শিপ ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। মূলত আপনি যদি এই ধরনের ডিলারশিপ ব্যবসা করেন।

তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি এলাকা কিংবা অঞ্চল এর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে হবে। 

এবং আপনার নিকট থাকা পণ্য গুলো পাইকারি অথবা খুচরো কাস্টমারদের নিকট বিক্রি করতে হবে।

তবে যখন আপনি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের আওতায় ডিলারশিপ এর ব্যবসা করবেন।

তখন আপনি সেই কোম্পানির যাবতীয় পণ্য গুলো বিক্রি করা এবং বল্টন করার দায়িত্ব পালন করবেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো রাখতে হবে। এর বাইরে আপনি অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট রাখতে পারবেন না।

ব্যবসার প্রকৃত এবং গঠন এর ওপরে লক্ষ্য রেখে প্রকারভেদ

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ব্যবসা কি এবং ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এ গুলোর বাইরেও আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

যে বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করে একটি ব্যবসা কে আরো বেশ কয়েক টি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।

আর যেহেতু আপনি একজন ব্যবসায়ী হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।

সেহুতু অবশ্যই আপনার গঠন অনুযায়ী এই ব্যবসার প্রকার ভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া টা অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

তাই চলুন এবার ব্যবসার প্রকৃত এবং গঠন এর ওপরে লক্ষ্য রেখে প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

একক মালিকানা কি (Sole-proprietorship)

আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা দেখতে পারবেন। তবে যখন আপনি নিজে থেকেই কোন ব্যবসা শুরু করবেন। এবং আপনার ব্যবসার সাথে অন্য কেউ যুক্ত থাকবে না।

তখন আপনার সেই ব্যবসা কে বলা হবে একক মালিকানার ব্যবসা। কেননা এই ধরনের ব্যবসার মালিক শুধুমাত্র আপনি হবেন। এর বাইরে আর কেউ থাকবে না।

আর আপনার ব্যবসা কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

সেটা শুধুমাত্র আপনি একাই নিবেন। তবে আপনি যদি এই ধরনের একক মালিকানা ভুক্ত ব্যবসা করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার পূর্ব থেকেই ব্যবসা সম্পর্কিত যাবতীয় ধারণা গুলো পরিষ্কার ভাবে থাকতে হবে।

তাহলে আপনি এই ধরনের একক মালিকানা সংযুক্ত ব্যবসা করতে পারবেন।

অংশীদারিত্ব  কি (Partnership)

যখন আপনি কোন একটি ব্যবসা শুরু করবেন। এবং আপনার সেই ব্যবসার সাথে আরো অধিক মানুষ যুক্ত থাকবে।

অর্থাৎ আপনার সাথে পার্টনারশিপ হিসাবে থাকবে। তখন সেই ব্যবসা কে বলা হবে অংশীদারিত্ব ব্যবসা।

মূলত এই ধরনের ব্যবসাতে একই সাথে অধিক মানুষ সমান মূলধন ব্যয় করে থাকে। এবং এই ব্যবসা কে পরিচালনা করার জন্য যে সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হয়।

সে গুলো কখনোই একান্ত ভাবে নেওয়া সম্ভব নয়। বরং যারা যারা এই ব্যবসার সাথে পার্টনারশিপ হিসেবে যুক্ত থাকে।

তাদের সবার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই ব্যবসা টি পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণেই একে বলা হয়ে থাকে অংশীদারিত্ব ব্যবসা। যারা মূলত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একবারে নতুন। তাদের জন্য এই ধরনের ব্যবসা যথপযুক্ত বলে আমার মনে হয়।

কোম্পানি কি (Company)

কোন একজন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে ভিন্ন এক ধরনের ব্যবসা করতে পারবে। আর সেই ভিন্নধর্মী ব্যবসার নাম হল, কোম্পানি।

মূলত আপনি চাইলে কোন একটি কোম্পানি তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই কোম্পানি তে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট উৎপাদন করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি এই ধরনের প্রোডাক্ট উৎপাদনকারী কোম্পানি তৈরি করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

আর এই ধরনের ব্যবসা মূলত একক ভাবে করা যায়। আবার আপনি চাইলে পার্টনারশিপ হিসেবেও এই ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো।

যে, আপনি যদি এ ধরনের ব্যবসা করতে চান।

তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার অনেক বেশি পরিমাণে মূলধন এর প্রয়োজন হবে। তাহলে আপনি খুব ব্যবসা টি সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

ক্ষুদ্র ব্যবসা কাকে বলে?

যখন আপনি কোন একটি ব্যবসা খুব স্বল্প পরিসরে শুরু করবেন। এবং সেই ব্যবসা টি শুরু করার জন্য খুব কম পুঁজির প্রয়োজন হবেম তখন সেই ব্যবসা কে বলা হবে, ক্ষুদ্র ব্যবসা।

যেমন, আমরা অনেকেই কুটির শিল্প এর নাম শুনে থাকি। মূলত এই ধরনের স্বল্প পরিসরে যে ব্যবসা গুলো পরিচালনা করা হয়। সেই ব্যবসা গুলো কে বলা হয়ে থাকে ক্ষুদ্র ব্যবসা।

আর আপনি যদি এই ধরনের ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনি খুচরা পাইকারি দামে কোন প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে। সে গুলো কে কাস্টমারের নিকট বিক্রি করতে পারবেন।

অথবা আপনি চাইলে কুটির শিল্পের মত ছোট ছোট প্রোডাক্ট উৎপন্ন করে সে গুলো বিক্রি করতে পারবেন।

সামাজিক ব্যবসা কি?

সামাজিক ব্যবসা এই ব্যবসাটির নাম শোনার পরেই অনেকেই জানতে চায় যে, সামাজিক ব্যবসা কি। তো যদি আপনার মনে হয় এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব, যে ব্যবসা গুলোর মধ্যে মুনাফা অর্জন করা মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং সেবা প্রদান করা মূল উদ্দেশ্য।

সেই ধরনের ব্যবসা গুলো কে বলা হয়ে থাকে সামাজিক ব্যবসা। অতীতের দিন গুলোতে এই ধরনের সামাজিক ব্যবসার তেমন একটা প্রভাব ছিল না।

কিন্তু বর্তমান সময়ে ক্রমাগত ভাবে সামাজিক ব্যবসার প্রভাব বিস্তার পেতে শুরু করেছে।

অংশীদারি ব্যবসা কি?

যখন আপনি কোন একটি ব্যবসার মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কে নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে বৈধ উপায়ে উপার্জন করার ব্যবসা দেখতে পারবেন।

মূলত এ ধরনের ব্যবসা কে বলা হয়ে থাকে অংশীদারি ব্যবসা। আর একটি অংশীদারি ব্যবসার মধ্যে ২ জন থেকে ২০ জন সদস্য পর্যন্ত যুক্ত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় ব্যবসা কি?

এবার আপনাকে বলব যে, রাষ্ট্রীয় ব্যবসা কি। মূলত এই ধরনের ব্যবসার সাথে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকে। কেননা এই ব্যবসা গুলো রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত হয়।

রাষ্ট্রীয় ব্যবসাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যে কোনো উদ্যোগ বা কার্যকলাপ যা সরকার রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বা জনসাধারণকে পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে নিযুক্ত করে।

এবং যখন রাষ্ট্রের মাধ্যমে কোন একটি ব্যবসা কে পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তখন সেই ব্যবসা কে বলা হয়ে থাকে, রাষ্ট্রীয় ব্যবসা।

ব্যবসায়ের অবস্থান বলতে কি বুঝায়

প্রতিটি ব্যবসার একটি অবস্থান থাকে, তা সে একটি ফিজিক্যাল স্টোরফ্রন্ট, অফিস স্পেস বা অনলাইন।

একটি ব্যবসার অবস্থান তার সাফল্য বা ব্যর্থতার উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক অবস্থান গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

ভুল অবস্থান গ্রাহকদের জন্য ব্যবসা খুঁজে পাওয়া কঠিন বা কর্মীদের খুশি রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।

একটি নতুন ব্যবসার জন্য একটি অবস্থান নির্বাচন করার সময়, বিবেচনা করার অনেক কারণ আছে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

প্রথম ধাপ হল এই এলাকায় কোন ধরনের ব্যবসা রয়েছে এবং গ্রাহক ওভারল্যাপের সম্ভাবনা আছে কিনা তা নির্ধারণ করা।

এলাকার জনসংখ্যা এবং ব্যবসায় সমর্থন করার জন্য গ্রাহক বেস যথেষ্ট বড় কিনা তা বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল ভাড়া বা সম্পত্তি ক্রয়ের খরচ, সেইসাথে যেকোন জোনিং বিধিনিষেধ যেটি হতে পারে।

একটি ব্যবসা কোথায় সনাক্ত করতে হবে সেই সিদ্ধান্তটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

ব্যবসা সম্পর্কিত আমাদের শেষ কথা

“ব্যবসা কি” অথবা “ব্যবসা কাকে বলে”- আশা করি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি একবারে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

কেননা উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে ব্যবসা কি তার প্রত্যেক টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি ব্যবসা কত প্রকারের হয় সে সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছি।

তবে আপনি যদি ব্যবসার সফল উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আমি আপনার কমেন্ট পাওয়ার মাত্রই ব্যবসার সফল হওয়ার উপায় গুলো নিয়ে। পরবর্তী আর্টিকেলে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top