শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব | শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি : শেয়ার বাজার কি এবং কেন আপনি শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত হবেন (How to start trading in share market).

শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব | শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি

শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়। শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে, শেয়ার কেনার কতদিন পর বিক্রি করা যায় সে সম্পর্কে আমি পূর্বের আর্টিকেলে বিস্তারিত বলেছি।

তো সেখানে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে, কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করব এবং নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার কেমন হবে। 

আর আপনি যদি শেয়ার বাজারের মধ্যে বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

মূলত আজকে আমি আপনাকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি, শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা এবং শেয়ার ক্রয় পদ্ধতি  গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সহজ। এবং শেয়ার বাজার থেকে ইনকাম বা আয় করার বিষয় টি অনেক সহজ।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তো যদি আপনি এই বিষয় টি মনে করে থাকেন। তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এটি মোটেও সহজ কাজ নয়।

বরং যখন আপনি নিজে থেকে শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। এবং আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন।

তখন বুঝতে পারবেন যে, শেয়ার বাজার থেকে আয় করা কতটা কষ্টের কাজ এবং শেয়ার বাজার নতুন নিয়ম গুলা কি কি জানতে পারবেন।

শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব?

How to invest in share market ? যদিওবা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার বিভিন্ন রকম পদ্ধতি রয়েছে।

তবে এবার আমি আপনাকে চমৎকার একটি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আর সেটি হল, আপনি ব্রোকার হাউস এর মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। কারণ একটা বিষয় আপনার জেনে রাখা উচিত।

সেই বিষয় টি হলো, ব্রোকার হাউস একাউন্ট এমন একটি মাধ্যম। যেখানে আপনি একটি ব্রোকার নাম্বার এবং একটি বিও একাউন্ট নাম্বার দিয়ে।

খুব সহজেই শেয়ার বাজারের মধ্যে থাকা শেয়ার গুলো কেনাবেচা করতে পারবেন। আর যখন আপনার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকবে।

যখন আপনার এই বিষয় গুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হবে। তখন কিন্তু আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন।

অন্যদিকে আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে না জানেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তাই অবশ্যই আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে পুনাঙ্গ ধারণা নিবেন। তারপরে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করবেন।

তো চলুন এবার সেই পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেওয়া যাক।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে। আপনি যখন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এবং যখন আপনার এই বিষয় গুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা থাকবে।

এবং আপনি এই বিষয় গুলো তে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। তখন কিন্তু আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন।

তো শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে কোন পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে। এবং কোন বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে।

সে গুলো নিয়ে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব। আপনি অবশ্যই নিচের আলোচনা গুলো একটু হলেও মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

একটি বিও একাউন্ট তৈরি করুন

যদি আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান।

তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আর সেই অ্যাকাউন্টের নাম হলো, বিও। তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

যে, আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার এই ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কি লাভ হবে?

দেখুন আপনি শেয়ার বাজারে নতুন নাকি পুরাতন সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, আপনি চাইলে সরাসরি শেয়ার বাজারে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না।

কারণ এই ধরনের সিস্টেম এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। সে কারণে আপনাকে একটি মাধ্যম এর সাহায্য শেয়ার বাজারে কেনাবেচা করতে হবে। আর সেই মাধ্যম টি হল, বিও।

মূলত যখন আপনার কাছে একটি বিও অ্যাকাউন্ট থাকবে। তখন আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী শেয়ার বাজার কেনাবেচা করতে পারবেন।

তবে যখন আপনি শেয়ার বাজার এর মধ্যে কেনাবেচা করার জন্য। এই বি ও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন। তখন আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চার্জ প্রদান করতে হবে।

কারণ যেহেতু আপনি এখান থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেহেতু অবশ্যই আপনাকে কিছু ব্যয় করতে হবে।

প্রাইমারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ

দেখুন আপনি মোট দুই ধরনের শেয়ার বাজার এর বিনিয়োগ দেখতে পারবেন। আর সেগুলো হলো, প্রাইমারি শেয়ার বাজার বিনিয়োগ এবং সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ।

তো এবার আমি আপনাকে প্রাইমারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

দেখুন আপনি বর্তমান সময়ে মোট যত গুলো প্রাইমারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ দেখতে পারবেন।

তার সব গুলোই মূলত আইপিও এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। আর কোন একটি কোম্পানি তার শেয়ার বরাদ্দ তখনই করবে।

যখন এই আইপিও এর মাধ্যমে অতিরিক্ত পরিমাণে আবেদন গ্রহণ করা হবে। যখন এই আবেদনের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

যখন একটি কোম্পানি তার নিজের চাহিদা মেটাতে পারবে। ঠিক তখনই উক্ত কোম্পানি টি তার নিজের শেয়ার বিক্রি করবে।

তবে আপনি প্রাইমারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন। নাকি সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

বরং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো, আপনি যখন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনাকে আরও একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

সেই সাথে আপনার নিকট কার্যকরী কিছু ট্রেডিং করার একাউন্ট রাখতে হবে।

সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ

তো উপরে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। সে কথাটি হল, আপনি মোট দুই ধরনের শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ দেখতে পারবেন।

প্রথম টি হলো প্রাইমারি শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগ। এবং দ্বিতীয় টি হল, সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগ। তো যখন আপনি সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন।

তখন আপনাকে বিশেষ কিছু কাজ করতে হবে। যে গুলো নিয়ে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব।

ধাপ ১: ডিম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলা

যখন আপনি সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনার প্রধান এবং প্রথম কাজ হবে, একটি ডিম্যাড অ্যাকাউন্ট তৈরি করা।

যদিও বা উপরের বিও অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে। আপনি শেয়ার বাজারে লেনদেন করতে পারবেন। কিন্তু তার থেকে অধিক পরিমাণ সুবিধা পাবেন।

যখন আপনি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে লেনদেন করবেন। সেই সাথে আপনার নিকট একটি ট্রেডিং একাউন্ট থাকতে হবে।

আর আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে আপনার বেশ ভালো করেই জানা থাকবে। যে, শেয়ার বাজারে লেনদেন করার ক্ষেত্রে ট্রেডিং একাউন্ট এর গুরুত্ব কতটুকু।

এবং এই ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলোর সাথে অবশ্যই আপনি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে রাখবেন। যার মাধ্যমে আপনি আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

ধাপ ২: শেয়ার নির্বাচন করা

একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে যখন আপনি শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনাকে গুরুত্বের সাথে শেয়ার নির্বাচন করতে হবে।

আর সে কারণে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং একাউন্ট এর মধ্যে প্রবেশ করবেন। এবং আপনার ব্যক্তিগত আইডি দিয়ে লগইন করবেন।

তখন আপনি সবার আগে ওয়াচ লিস্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন। যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির মধ্যে থাকা স্টক গুলো যথেষ্ট বিচক্ষণতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

আর আপনি যখন এই কাজটি করবেন। তখন আপনি আপনার চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী শেয়ার কিনতে পারবেন। তবে আপনি যখন এই ধরনের শেয়ার কিনবেন।

তখন আপনার একাউন্টের মধ্যে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফান্ড থাকতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনার একাউন্টে অর্থ না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি শেয়ার কিনে নিতে পারবেন না।

ধাপ ৩: প্রাইস পয়েন্ট নির্বাচন করা

দেখুন এক এক মানুষের ট্রেডিং একাউন্ট এর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পরিমানে ফান্ড থাকতে পারে। যেমন, আপনি যদি বেশি পরিমাণ ফান্ড বিনিয়োগ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রাইস পয়েন্ট নির্বাচন করতে হবে। যাতে করে আপনি আপনার একাউন্টে থাকা ফান্ড অনুযায়ী শেয়ার এর তালিকা দেখতে পারেন।

এবং সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত শেয়ার এর মধ্যে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে এটা যে শুধুমাত্র বেশি পরিমাণ ফান্ড থাকলেই করতে হয় বিষয় টা আসলে এমন নয়।

মূলত এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী এবং ফান্ড অনুযায়ী প্রাইস পয়েন্ট নির্ধারিত করে দিবেন।

এবং পরবর্তী সময়ে আপনি সেই প্রাইস এর সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ এর লিস্ট দেখতে পারবেন।

ধাপ ৪: লেনদেন সম্পূর্ণ করা

তো সর্বশেষ ধাপে আপনাকে লেনদেন সম্পূর্ণ করতে হবে। আর যখন আপনি এই লেনদেনের মধ্যে বিনিয়োগ করবেন।

তখন একটা সময় গিয়ে আপনি উক্ত বিনিয়োগ করার মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে আয় করতে পারবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন।

যখন আপনি শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার সবদিক যথেষ্ট বিবেচনা করবেন। তারপরে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন।

ডিম্যাট বা ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে যে যে নথি প্রয়োজন

তো উপরে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো, যখন আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার এক বা একাধিক ডিম্যাট একাউন্ট থাকতে হবে।

এবং অবশ্যই আপনার নিকট ট্রেডিং একাউন্ট থাকতে হবে। তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, ডিম্যাট বা ট্রেডিং একাউন্ট খোলার জন্য কি কি নথির প্রয়োজন হয়। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  1. যে ব্যক্তি আবেদন করবে তার পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
  2. এর পাশাপাশি উক্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র এর প্রয়োজন হবে।
  3. যে ব্যক্তি আবেদন করেছে সেই ব্যক্তির স্থির আয় এর পরিমাণ সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  4. এবং উক্ত আবেদনকারী ব্যক্তি জীবিকা সংক্রান্ত যে সকল বিষয় রয়েছে, সে গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে।
  5. আর আপনি ব্যাংক অথবা ব্রোকার এর মাধ্যমে স্বীকৃত ঠিকানার প্রমাণ পত্র দিতে হবে।
  6. আবেদনকারী ব্যক্তির সচল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।

তো যখন আপনার কাছে উপরোক্ত এই নথি গুলো থাকবে। তখন আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট অথবা ট্রেডিং একাউন্ট খুলতে পারবেন।

এবং সেই অ্যাকাউন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি?

আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চাইবেন। তখন আপনাকে কোন কোন পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে।

এবং আপনার নিকট কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলো থাকতে হবে। সেই বিষয়টি নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তবে যখন আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন। তখন একটা কথা সর্বদা মাথায় রাখবেন। সে কথাটি হল, শেয়ার বাজার থেকে আয় করা মোটেও সহজ কাজ নয়।

এ ক্ষেত্রে আপনার যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতার প্রয়োজন হবে। সেই সাথে আপনার মধ্যে পর্যাপ্ত ধৈর্য থাকতে হবে।

তাহলে আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে অধিক পরিমাণ লাভ করতে পারবেন। অন্যথায় আপনাকে শেয়ার বাজার থেকে ছিটকে পড়তে হবে।

তাই অবশ্যই আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার সময়। সব দিক পর্যাপ্ত বিবেচনা করে তারপর শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন।

স্টক মার্কেট থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়ার টিপস

উপরের বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো কি কি।

এবং সেই পদ্ধতি গুলোর মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সে গুলো অনুসরণ করে আপনিও কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

তবে এবার আমি আপনাকে স্টক মার্কেট থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়ার টিপস গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অর্থাৎ আমরা যারা শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করি।

তাদের সবার ইচ্ছা থাকে, স্টক মার্কেট থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া। তো কিভাবে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

সেই কাজের কিছু টিপস শেয়ার করার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনার পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যময় করে তুলুন

দেখুন আপনি যদি স্টক মার্কেট থেকে ভালো রিটার্ন পেতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। এবং সেই পোর্টফলিও টি বৈচিত্র্যময় করে তুলতে হবে।

আর যখন আপনি আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করার কথা ভাববেন। তখন অবশ্যই আপনার পোর্টফলিও টি এমন ভাবে করবেন।

যাতে করে শেয়ার বাজার এর মধ্যে কেনাবেচা করার সময়। আপনার সংকট কালীন সময়ে সেটি সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।

আপনার বিনিয়োগকারী প্রোফাইল বুঝুন

আপনি যখন শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার বিনিয়োগকারী প্রোফাইল বোঝার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ আপনি যে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন।

তার ঝুঁকি আপনি নিতে পারবেন কি না। সেইসাথে আপনার ক্ষমতার সাথে প্রোফাইল মিলছে কিনা। সে বিষয়টার দিকে যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্ব দিবেন।

এর পাশাপাশি এর মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে। আপনি যে পরিমাণ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন, সেটি আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা।

একটা বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করুন

দেখুন সব ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করা উত্তম। সেক্ষেত্রে যখন আপনি শেয়ার বাজারের মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনাকে বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

আর যখন আপনি এই ধরনের বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করবেন। তখন কিন্তু আপনি যথেষ্ট বিচার বিবেচনা করে নির্দিষ্ট কোন শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশই কম থাকবে। এবং আপনি অনেক বেশি রিটার্ন পাবেন।

জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন

দেখুন আমি আপনাদের একটা কথা বারবার বলেছি। সেই কথা টি হল, শেয়ার বাজার কেনাবেচা করার সময়। সবদিক যথেষ্ট বিচার বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

তো সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার মধ্যে ধৈর্য থাকতে হবে। এবং ধৈর্য সহকারে কোন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।

আর যখন আপনার মধ্যে এই ধরনের ক্ষমতা গুলো থাকবে। তখন কিন্তু আপনি যথেষ্ট বিচার বিবেচনা করে শেয়ার বাজারে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সেরা অ্যাপের তালিকা

আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাকে বলেছি যে। আপনি যখন শেয়ার বাজার এর মধ্যে বিনিয়োগ করবেন।

তখন আপনার বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট সহ ট্রেডিং একাউন্টের প্রয়োজন হবে। আর এবার আমি আপনাকে সেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের অ্যাপ এর তালিকা প্রদান করব।

আপনি চাইলে উক্ত অ্যাপ গুলো দিয়ে শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করতে পারবেন।

  1. Zerodha Kite Trading App,
  2. 5Paisa Mobile Trading App,
  3. Upstox Pro Trading App,
  4. FYERS Market Trading App,

তো উপরে আমি আপনাকে মোট চার টি শেয়ার বাজারে ট্রেডিং অ্যাপস এর নাম উল্লেখ করেছি। তো আপনি তাইলে এই ধরনের ট্রেডিং অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে।

আপনার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। কেননা এ গুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং অ্যাপস রয়েছে।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি ও আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা মূলত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানেনা।

আর যে মানুষ গুলো এই বিষয় টি সম্পর্কে জানে না। তাদের কে উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্যই আজকের আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তো আশা করি আজকের আলোচনা থেকে আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের ব্যবসা রিলেটেড আরও অজানা কিছু জানতে চাইলে। অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য।

4 thoughts on “শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব | শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি”

  1. ব্যবসার আইডিয়া

    সুন্দর লেখা। বেশ কিছু উপকারি তথ্য রয়েছে। আশা করছি এরকম আরও নতুন লেখা শেয়ার করবেন।

    1. ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য এবং আমাদের ব্লগে ব্যবসা নিয়ে আরো অনেক আর্টিকেল আছে আপনি পোড়তে পারেন ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top