উদ্যোক্তা মানে কি? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কি

সফল উদ্যোক্তার গল্প শুনতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কারন যারা আজকের দিনে সফল উদ্যোক্তা। তাদের দেখেই মূলত ছোটখাটো উদ্যোক্তা রা উৎসাহিত হয়।

আর তাদের এই সফলতা দেখে অনুপ্রানিত হয়ে অনেক নবীন উদ্যোক্তা এর সূচনা ঘটে। কিন্তুু অন্যের দেখে অনুপ্রানিত হওয়ার পর যারা নবীন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চায়।

উদ্যোক্তা মানে কি? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কি
উদ্যোক্তা মানে কি? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কি

তারা কি সবাই সফল উদ্যোক্তা হতে পারে? -না! সবাই নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও। সবাই কিন্তুু সফল উদ্যোক্তা হতে পারে না।

বরং কিছু মানুষ আছেন, যারা তাদের বুদ্ধিমওা এবং পরিশ্রমের বিনিময়ে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

আর যারা নিজের বুদ্ধিমওা কে কাজে লাগাতে পারে না। তাদের মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে হয়।

তবে প্রশ্ন হলো যে, যখন একদল মানুষ নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে। তখন আরেকদল মানুষ কিসের জন্য সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথ থেকে ছিটকে পড়ছে?

এই মানুষ গুলোর ব্যার্থতার ঘানি টানার কারন কি?

দেখুন, যারা আজকের দিনে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পেরেছেন। তারা এমন কিছু উপায় অনুসরন করেছেন। যার মাধ্যমে তাদের সফল হওয়ার পথ আরও প্রসস্ত হয়ে গেছে।

কিন্তুু যারা এই উপায গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করেনি। মূলত তাদেরকেই এই পথ থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে।

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো কি কি?

হুমমম যদি আপনি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কারন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ভাবে জানতে পারবেন।

তাই কোনো প্রকার স্কিপ না করে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন ৷ তাহলে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সব উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

উদ্যোক্তা কি ?

সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, উদ্যোক্তা কি? তাহলে পরবর্তী আলোচনা গুলো আপনার বোঝার জন্য অনেক সুবিধা হবে। দেখুন যদি আমি উদ্যোক্তা কে সংঙ্গায়িত করে বলি, তাহলে বলবো

যখন আপনি কোনো ছোটো বা বড় ব্যবসা করার উদ্যোগ নিবেন। এবং যখন আপনি সেই উদ্যোগকে পূরন করার নিমিওে একনাগারে চেস্টা চালিয়ে যাবেন ৷ তখন আপনাকেই বলা হবে একজন উদ্যোক্তা।

আপনার জন্য আরো লেখা…

যেমন ধরুন, আপনি একটা জুতো তৈরি করার কোম্পানি দিলেন। এবং সেখানে কাজের জন্য বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ নিয়োগ দিলেন।

তো এখানে যেহুতু আপনি একটা কোম্পানি কে দাড় করানোর চেস্টা করছেন। সেহুতু এখানে আপনি নিজেই একজন উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন।   

উদ্যোক্তা মানে কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা উদ্যোক্তা কি সে সম্পর্কে জানলাম। তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে আসলে, উদ্যোক্তা মানে কি? আর বর্তমান সময়ে যাদেরকে উদ্যোক্তা বলা হয় ৷

তারা আসলে কি কি কাজ করে? – চলুন এবার সে নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সাধারন অর্থে উদ্যোক্তা হলো এমন এক ধরনের ব্যক্তি। যে কিনা সর্বদাই নতুন নতুন ব্যবসা করার আইডিয়া বের করে থাকে। আর যদি নতুন কোনো ব্যবসার আইডিয়া না থাকে।

তাহলে পুরাতন কোনো ব্যবসা কে নতুন রুপে সাজিয়ে তোলে।

তবে আপনি যদি ভাবেন যে, একজন উদ্যোক্তা শুধু নতুন বিজনেস করার আইডিয়া খুজে থাকে। তাহলে আপনি একেবারে ভুল ভাববেন।

কারন একজন উদ্যোক্তা তার নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুজে বের করার পাশাপাশি সেই ব্যক্তি উক্ত আইডিয়া গুলোকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যেও কাজ করে থাকে। 

নারী উদ্যোক্তা কি?

যদি আপনি পূর্বের দিন গুলোর কথা চিন্তা করেন ৷ তাহলে সেই সময়ে আপনি কিন্তুু কোনো নারী উদ্যোক্তা কে খুজে পাবেন না। কিন্তুু বর্তমান সময়ে এই নারী উদ্যোক্তার পরিমানটা অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে।

তাই মূল আলোচনাতে যাওয়ার আগে আপনার অবশ্যই এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত। সহজভাবে বলতে গেলে, যখন কোনো নারী বা মহিলা তাদের নিজ উদ্যোগে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করবেন।

তখন সেই ধরনের উদ্যোক্তা কে বলা হবে নারী উদ্যোক্তা। যারা প্রতিনিয়ত নতুন বিজনেস এর আইডিয়া তৈরি করে থাকে আমি আগেও বলেছি যে, পূর্বের দিন গুলোর তুলনায় আজকের দিনে অনেক বেশি পরিমানে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তাছাড়া বাংলাদেশ এর অর্থ সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপট কে আরও মজবুত করার জন্য অনেক নারী উদ্যোক্তার অবদান রয়েছে। আর যার কারনে গত ১৯ নভেম্বর কে নারী উদ্যোক্তা দিবস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। 

আপনি কেন উদ্যোক্তা হবেন? 

এখন উপরের আলোচনা গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আপনি কেন উদ্যোক্তা হবেন? আর আপনি একজন উদ্যোক্তা হতে পারলে আপনি কি কি বেনিফিট পাবেন?

-চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

তো যদি আপনি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে চান ৷ তবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এমন বেশ কিছু কারন রয়েছে। যেমন, 

নিজের বুদ্ধিমওার বিকাশের নিমিওে 

যদি আপনি উপরের আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন। তাহলে এতোক্ষনে আপনি এটা জেনে গেছেন যে, একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই চৌকস হতে হবে।

আর আপনার মধ্যে যথেষ্ট সৃজনশীলতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

এখন আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা মূলত নিজ উদ্যোগে কোনো ব্যবসা করার জন্য সবসময় চেস্টা করে থাকে। তারা চায় নিজের ভবিষ্যত কে আরও সফল করার জন্য একটা কিছু করার জন্য।

মূলত এই ধরনের মানুষ গুলো অন্যান্য মানুষের তুলনায় একটু বেশি এডভান্স হয়ে থাকে। যার কারনে সেই মানুষ গুলোর সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেশি থাকে।

আর এই ধরনের সৃজনশীল মানুষ গুলোর প্রতিভা বিকাশের নিমিওে অবশ্যই তাদের একজন উদ্যোক্তা হওয়া উচিত। 

কর্মসংস্থান বিকাশ এর জন্য 

দেখুন আপনি যদি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে নিজের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থান তৈরি করার সুযোগ করে দিতে পারবেন।

যা দেশের বেকারত্ব নিধনে অনেক গুন সহায়তা করবে। কারন যদি আপনি ব্যবসা করার জন্য বড় কোনো কোম্পানি তৈরি করেন। তাহলে সেই কোম্পানি তে শুধু আপনি একাই কাজ করবেন না।

বরং আপনার কাজকে আর দ্রুত গতিতে করার জন্য এমন কর্মক্ষম মানুষের প্রয়োজন হবে।

এর ফলে আপনাকে বিভিন্ন কর্মক্ষম মানুষদের কে নিয়োগ দিতে হবে। যার কারনে অনেকেই আপনার ব্যবসার কাজে তৈরি করা কোম্পানি তে কাজ করতে পারবে।

এবং তাদের যে বেকারত্বের ঘানি টানতে হচ্ছিলো। সেখান থেকে তারা একেবারে মুক্তি পেয়ে যাবে। 

উদ্যোক্তার কি কোনো প্রকারভেদ আছে?

যেহুতু আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মুল টপিক হলো উদ্যোক্তা। সেহুতু আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই উদ্যোক্তার কি কোনো প্রকারভেদ আছে? –

আর যদি প্রকারভেদ থেকেও থাকে, তাহলে উদ্যোক্তা কে মোট কত ভাগে ভাগ করা সম্ভব? – এবার চলুন তাহলে সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

আপনি যদি প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে বলবো আপনি উদ্যোক্তা দের অবস্থা ভেদে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারবেন। যেমনঃ 

  • নবীন উদ্যোক্তা 
  • মাঝ পর্যায়ের উদ্যোক্তা
  • পুরাতন উদ্যোক্তা

তো আক্ষরিক অর্থে আমরা উদ্যোক্তাদের মোট ৩ টি ভাগে ভাগ করতে পারি। চলুন এবার উপরোক্ত প্রকারভেদ সম্পর্কে স্বল্প করে জেনে নেয়া যাক। 

নবীন উদ্যোক্তা কাকে বলে? 

সাধারন অর্থে নবীন শব্দটির অর্থ হলো, নতুন। মূলত যারা সম্পূর্ন নতুন ভাবে কোনো বিজনেস বা ব্যবসা করার আইডিয়া বের করে। এবং সেই ব্যবসাকে সফল করার জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে থাকে। তাদেরকে মূলত বলা হয়ে থাকে নবীন উদ্যোক্তা। 

মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তা কাকে বলে? 

নবীন উদ্যোক্তাদের থেকে একটু উপরে রয়েছে মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের অবস্থান। যেখানে তারা নিজস্ব কোনো উদ্যোগ নিয়ে অলরেডি কোনো ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।

এবং সেই ব্যবসা করার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু সময় ব্যয় করে ফেলেছে। আর সেজন্যই মূলত তাদেরকে বলা হয়, মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তা। 

অভিজ্ঞ (পুরাতন) উদ্যোক্তা 

হেডলাইন দেখেই হয়তবা বুঝে গেছেন যে, আমি এবার কোন ধরনের উদ্যোক্তার কথা বলবো। মূলত যারা দীর্ঘদিন ধরে নানা রকমের নতুন বা পুরাতন ব্যবসা কাজের ক্ষেএে জড়িত থাকে।

যাদের এই ব্যবসা রিলেটেড অনেক নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করতে পারে। তাদেরকেি বলা হয় পুরাতন উদ্যোক্তা। 

একজন উদ্যোক্তার কাজ কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা উদ্যোক্তা কি এবং এই রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং আমার বিশ্বাস যে আপনি উপরের সব গুলো আলোচনা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন ৷

তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, যখন আপনি একজন উদ্যোক্তা হবেন। তখন আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে।

তো যখন আপনি একজন উদ্যোক্তা হবেন৷ তখন আপনাকে আপনার উদ্যোগকে সফল করার নিমিওে আপ্রান চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর সেই সুবাদে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। যেমন, 

ব্যবসার ফলাফল অনুমান করা

একজন উদ্যোক্তার প্রধান কাজ হলো, সুদুরপ্রসারি চিন্তা ভাবনা করা। কারন আপনি যে ব্যবসাটি করতে চান। সেই ব্যবসার ভবিষ্যৎ ফলাফল আপনাকে বর্তমানেই অনুমান করতে হবে।

আর আপনার এই অনুমান যতোটা কার্যকর হবে। ঠিক ততোটাই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথ প্রসস্ত হবে।

যেমন ধরুন আপনি আপনার আইডিয়া থেকে নতুন কোনো একটা ব্যবসা করার চিন্তা করলেন। এখন সেই ব্যবসা থেকে ভবিষ্যতে আপনি লাভ করতে পারবেন কিনা।

সেটা যদি বর্তমানে অনুমান করতে না পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ বিপাকে পড়ে যেতে হবে।

তাই একজন উদ্যোক্তার প্রধান কাজ হলো সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনা করা। এবং ভবিষ্যতের ফলাফল সম্পর্কে অনুমান করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।  

নিজের উদ্যোগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা 

মনে করুন অতিরিক্ত আবেগের বশে আপনি কোনো একটা ব্যবসা করার আইডিয়া বের করলেন। এবং কিছুদিন পর আপনি সেই আইডিয়া অনুযায়ী কোনো একটা ব্যবসা শুরু করে দিলেন।

কিন্তুু তার কিছুদিন পর দেখা গেলো যে, আপনি আপনার ব্যবসা কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। তাহলে কিন্তুু আপনার ব্যবসা তে লাভ করার চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

আর সেজন্য একজন উদ্যোক্তার মূল কাজ হলো, তার উদ্যোগ কে সফল করার জন্য সঠিকভাবে পরিচালনা করা। যার মাধ্যমে সেও একদিন সফল উদ্যোক্তা তে পরিনত হতে পারবে। 

নতুন নতুন বিজনেস আইডিয়া বের করা 

নিজে একজন উদ্যোক্তা হয়ে কোনো একটি ব্যবসা শুরু করলেন। তাই বলে কি আপনি শুধুমাএ সেই ব্যবসার কাজেই পড়ে থাকবেন? -না যদি আপনি এমনটা করেন। তাহলে আপনার জন্য একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে পড়বে।

তাই আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে সর্বদাই সৃজনশীল হতে হবে। আপনাকে সবসময় নতুন কোনো বিজনেস আইডিয়া খুজে নিতে হবে।

যেন সেই বিজনেস থেকে কম ব্যয় করে অধিক পরিমান লাভ করা সম্ভব হয়। তাহলে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

আর এজন্যই মূলত একজন উদ্যোক্তার প্রধান এবং প্রথম কাজ হলো নিত্য নতুন বিজনেস আইডিয়া খুজে বের করা। এবং পুরোনো ব্যবসা কে কিভাবে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে নেয়া যায়। সে নিয়ে নতুন কোনো উপায় বের করা। 

তাৎক্ষনিক সমস্যার সমাধান খুজে বের করা

সচারচর আমরা যখন কোনো সমস্যার মধ্যে পড়ি৷ তখন আমরা একেবারে ঘাবড়ে যাই। যার কারনে আমরা কখনই সেই সমস্যার সমাধান বের করতে পারি না। কিন্তুু আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন।

তাহলে আপনাকে কখনই কোনো বিপদে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। বরং আপনাকে সুস্থ মস্তিষ্কে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান খুজে বের করতে হবে।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

কারন আপনি যখন কোনো ব্যবসা করবেন। তখন আপনার সামনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভাবন হবে। যেগুলো আপনার সফলতার পথে বাধা হয়ে দাড়াবে ৷

কিন্তুু আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে। সুস্থ মস্তিষ্কে সেই সব সমস্যা গুলোর সমাধান বের করা। 

নতুন উদ্যোক্তা উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

যাক, এতোক্ষনে আমরা উদ্যোক্তা সম্পর্কিত অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশা করি আপনিও সেই আলোচনা গুলো ক্লিয়ারভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আর যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে উপরের আলোচনা গুলো পুনরায় আরেকবার পড়ুন ৷ তা নাহলে পরের তথ্য গুলোর কিছুই বুঝতে পারবেন না।

তো ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবার আমরা জানবো যে, আপনি যদি একজন নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে এমন বেশ কিছু নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

যেগুলো জানলে আপনিও অন্যদের মতো সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

তাই চলুন এবার আমরা জেনে নেই যে, একজন নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো কি কি। 

সঠিক ব্যবসার বিষয়ে ভাবুন

সঠিক ব্যবসা এর বিষয় সমন্ধে চিন্তা ভাবনা করাটা একজন নতুন উদ্যোক্তার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মূলত এই বিষয়টিকে তেমন কোনো গুরুত্ব দেয় না।

কিন্তুু একজন নতুন উদ্যোক্তা হলে আপনাকে এই বিষয়টি র উপর যথেষ্ট ফোকাস রাখতে হবে।

কারন যখন আপনি কোনো নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাববেন ৷ তখন আপনাকে নানাবিধ বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট নজর রাখতে হবে। যেমন, 

  • আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করছেন?
  • ব্যবসাতে কি পরিমান ইনভেষ্ট করতে হবে?  
  • কি পরিমান কর্মচারি লাগবে? 
  • এই ব্যবসার ভবিষ্যত কেমন হবে? 
  • আপনি সেই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন কি না? ইত্যাদি 

তো নতুন কোনো ব্যবসা আইডিয়া খুজে পাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে উপরে থাকা এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

তাহলে আপনাকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে পারবেন। 

আপনার নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করুন 

দেখুন এটা সত্য যে আমাদের সবার মাঝে কোনো না কোনো প্রতিভা আছে। কিন্তুু আমরা নিজেরাই সেই প্রতিভা বিকাশ করতে পারিনা। যার কারনে আমাদের ভেতরে থাকা সুপ্ত প্রতিভা গুলি আর বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না।

ঠিক তেমনি আপনি যদি একজন নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিজের কৌশল গুলো কে প্রাধান্য দিতে হবে।

কারন যেহুতু আপনি নিজেও একজন উদ্যোক্তা হতে চান ৷ সেহুতু অবশ্যই আপনার নিজের মধ্যে কোনো না কোনো বিজনেস আইডিয়া আসবে।

এখন আপনি নতুন বলে সেই আইডিয়া গুলোকে যে অবহেলা করবেন। বিষয়টা আসলে এমন নয় বরং আপনার নিজস্ব সেই আইডিয়া গুলোকেও যথেষ্ট প্রাধান্য দিতে হবে। 

আত্মবিশ্বাস এবং মনের জোর রাখতে হবে

একটা কথা সারাজীবন এর জন্য মাথায় রাখবেন। সেটি হলো, কোনো কাজে সফলতা পাওয়ার আগে। আপনাকে সেই কাজের অসফল ধাপ গুলোকে অতিক্রম করতে হবে।

আর যখন আপনি সেই অসফল হওয়ার ধাপ গুলো কে সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারবেন। ঠিক তখনি আপনি উক্ত কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই অসফল ধাপ গুলো অতিক্রম করার সময় ছিটকে পড়ে যায়। তাদের মনে অসংখ্য হতাশা এসে বাধা পড়ে যায়।

যার কারনে তারা কোনোভাবেই সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারে না।

কিন্তুু যদি আপনি একজন নতুন উদ্যোক্তা হতে চান। তাহলে মাথায় রাখবেন, আপনাকে কিন্তুু বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তুু সেই বাধা গুলোকে অতিক্রম করার সময় কখনই হতাশ হয়ে পড়বেন না।

বরং আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। আপনার মনে জোর রাখতে হবে। তাহলে আপনিও একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। 

সুস্থ মস্তিষ্কে ব্যবসার পরিকল্পনা করা

পরিকল্পিত পরিকল্পনা ছাড়া আপনি কোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। যে কাজে আপনি সুষ্ঠভাবে পরিকল্পনা করতে পারবেন। আপনি সেই কাজে অবশ্যই সফলতা অর্জন করে নিতে পারবেন।

আর এই পরিকল্পনার ধাপটি হলো সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায়।

কেননা আপনি নতুন মানুষ হিসেবে যখন আপনি উদ্যোক্তার জগতে পর্দাপন করবেন। তখন সেটি আপনার কাছে একটি যুদ্ধক্ষেএের ন্যায় বর্নিত হবে।

আর কোনো যুদ্ধ তে জয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। তাহলে আপনি সেই উদ্যোক্তা নামক জীবন যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন।

আর পরিকল্পনা করার সময় আপনার মূল টার্গেট হতে হবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার। যেন সব কিছু মিস হয়ে গেলেও আপনার টার্গেট মিস না হয়। সেই অনুযায়ী আপনাকে সুস্থ এবং সবল মস্তিষ্কে পরিকল্পনা করতে হবে। 

ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন করা ভীষন জরুরি

উপর এর হেডলাইনটি দেখার পর হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই ব্যবসার রেজিষ্ট্রেশন আবার কি জিনিস? আর ব্যবসা করার ক্ষেএে এই রেজিষ্ট্রেশন কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? –

তো এবার সেই বিষয়টি নিয়ে একটু খোলামেলা আলোচনা করা যাক।

দেখুন রেজিস্ট্রেশন হলো, আপনার নিজস্ব মালিকানার একটি পরিচয় পত্র। যার মাধ্যমে আপনি এটা প্রকাশ করতে পারবেন যে, কোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এর সম্পূর্ন পরিচালক আপনি নিজেই।

এবং তা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। যার সুবিধা আপনি তখনি পাবেন যখন আপনি আপনার কোম্পানি কে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

কারন ব্যবসা করার পথিমধ্যে যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়। তাহলে কিন্তুু আপনাকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তুু আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে রেজিস্ট্রেশন করেন।

তাহলে কিন্তুু এই জাতীয় আইনি সমস্যা গুলো আপনার ধারের কাছেও ঘেষতে পারবে না। তাই অবশ্যই আপনার ব্যবসার রেজিষ্ট্রেশন করার চেস্টা করবেন। 

ব্যবসায় নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে 

মনে করুন আপনি কোনো একটা ব্যবসা করছেন। কিন্তুু আপনার ব্যবসাতে কোনো কাষ্টমার আসছে না। তাহলে কি আপনি সেই ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারবেন? -না, কারন আপনি যাদের উদ্দেশ্য পন্য উৎপাদন করবেন।

তারা যদি আপনার কাছে পন্য নিতে না আসে। তাহলে আপনার সেই পন্য গুলো জলে ভেসে যাবে।

তাই একজন নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার কারনে প্রথমে আপনাকে আপনার ব্যবসা রিলেটেড এক বা একাধিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

অর্থ্যাৎ আপনার ব্যবসার কাজে যেসব পন্য ব্যবহার করবেন। সেই পন্যের ক্রেতাদের নিকট আপনাকে পৌঁছাতে হবে। তাদের কাছে আপনার ব্যবসাটি পরিচিত করতে হবে।

আর যখন তারা আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে। ঠিক তখনি তারা আপনার ব্যবসার পন্য কিনতে আগ্রহী হবে। আর সে কারনেই মূলত একজন নতুন উদ্যোক্তার প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি করা। 

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র

যাক দেখতে দেখতে আমরা এই আর্টিকেল এর মুল আলোচনা তে ফিরে এসেছি। এখন আপনি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

যার জন্য মূলত এতক্ষন ধরে আপনি অপেক্ষা করে আছেন। তো চলুন এবার আমরা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র গুলো নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করি।

দেখুন প্রত্যেকটা কাজে সফল হওয়ার জন্য কিছু ধাপ থাকে। আপনাকে সেই কাজে সফলতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই সেই ধাপ গুলো কে অতিক্রম করতে হবে।

ঠিক তেমনি আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু কিছু বিষয়ের দিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখতে হবে। যেমন, 

০১| লিডার (leader) হতে হবে

কোনো ব্যবসাতে কি পরিমান লাভ বা ক্ষতি হবে। সেটা কিন্তুু সম্পূর্ন নির্ভর করে ঐ ব্যবসার পরিচালক এর উপর। আর পরিচালক কতটুকু কাজ সম্পাদন করতে পারবে।

তার প্রায় বেশিরভাগ অংশ নির্ভর করে ঐ ব্যবসার কাজে নিযুক্ত থাকা লিডার এর উপর।

তবে আপনার কোনো ব্যবসাটি যদি একান্তই আপনার নিজস্ব হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যবসার লিডার হতে হবে।

আর শুধু Leader হলেই হবে না। বরং আপনাকে একজন বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল লিডার হতে হবে। তাৎক্ষনিক কোনো সমস্যাকে নিমিষেই সমাধান করার মতো দক্ষতা থাকতে হবে।

সব সময় মনে রাখবেন, আপনার কথা মতো যেহুতু পুরো ব্যবসাটি পরিচালিত হচ্ছে। সেহুতু আপনার কথা গুলোও অনেক ভেবে চিন্তে তারপর বলতে হবে। 

০২| Problem solver হতে হবে

সমস্যা যেখানে আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। সেখানে কোনো সমস্যা কে দেখে ভয় পাওয়া হলো রীতিমতো বোকামির মতো কাজ। বরং আমরা যদি সমস্যা কে ভয় না পেয়ে জয় করার চেস্টা করি।

তাহলে আমাদের আর কোনো সমস্যা কে ভয় পেতে হতো না। আর এই কথাটি আপনাকে ততো দিন মাথায় রাখতে হবে, যতোদিন আপনি নিজেকে উদ্যোক্তার সাথে নিযুক্ত করবেন।

আমি উপরের আলোচনা তে বলেছি যে, অসফল হওয়ার ধাপ গুলো অতিক্রম করার পর আপনি সফলতার মুখ দেখতে পারবেন। ঠিক তেমনি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার পথেও কিন্তুু নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তাই বলে কি আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন? – না, কখনই নয়। বরং আপনাকে সেই সমস্যা গুলো সমাধান করার জন্য উঠে পড়ে লাগতে হবে। তাহলে আপনি একদিন ঠিকি সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। 

০৩| সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে কাজে নামুন

উদ্যোক্তা হওয়ার পথে কোনো কাজকে অসম্পূর্ণ রাখা নিছক বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। কারন খেলার মাঠে নেমে যদি আপনি আবার মাঠের বাইরে চলে আসেন।

তাহলে উক্ত খেলায় যে আপনার পরাজয় নিশ্চিত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখবে না।

তাই যখন আপনি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোনো ব্যবসা শুরু করবেন। তখন আপনাকে পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পরেই কাজে নামতে হবে।

কিন্তুু আপনি যদি পুরোপুরি তৈরি না হয়েই কাজে নামেন। তাহলে পথিমধ্যে যে নতুন সমস্যা গুলো উদ্ভাবন হবে। সেগুলোর সাথে প্রতিযোগীতা করার মতো ক্ষমতা আপনার আর থাকবে না।

তাই আপনি যে ব্যবসা করতে চান। আগে সেই ব্যবসার জন্য নিজেকে একেবারে তৈরি করে নিবেন। 

০৪| নিজের লক্ষ্য সেট করুন

একটি বন্দুকের গুলি তখনি আপনার শিকারিকে গুলিবিদ্ধ করতে পারবে। যখন আপনি সেই শিকারির প্রতি নিজের লক্ষ্যেক সেট করতে পারবেন। অন্যথায় আপনার গুলি সেই শিকারীর ধারের কাছেও যেতে পারবে না।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি কোনো ব্যবসা করবেন। তখন সবার আগে আপনার নিজের লক্ষ্যকে সেট করতে হবে। আপনার প্রধান টার্গেট হতে হবে সেই ব্যবসা থেকে আয় করা।

আপনার প্রধান লক্ষ্য হতে হবে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার। তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

০৫| সঠিক মার্কেটিং এর কৌশল

দেখুন প্রত্যেকটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পেছনে কৌশল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যে কাজে আপনি যতোটা কৌশল অবলম্বন করতে পারবেন।

সেই কাজে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা ঠিক ততোটাই বৃদ্ধি পাবে। ঠিক তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনেও কিন্তুু অনেক রকমের কৌশল আছে। কিভাবে আপনি আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করবেন।

কিভাবে কাস্টমাদের আপনার ব্যবসার পন্য গুলোর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবেন। এই সব গুলো বিষয় সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

০৬| রিস্ক (risk) নিতে শিখতে হবে

“No pain, No gain”- একজন সফল উদ্যোক্তা হতে গেলে আপনাকে কখনই এই কথাটির সাথে একমত হওয়া যাবে না। আর যদি আপনি ব্যবসায়িক ক্ষেএের কথা চিন্তা করেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে নানাবিধ রিস্ক নেয়ার মতো মানসিকতা থাকতে হবে।

আপনি আরো পড়ুন…

দেখুন যারা আজকের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তারা সবাই বলে থাকে যে, জীবনে রিস্ক নিতে শেখ, তাহলেই সফলতা কে অনেক কাছ থেকে ছুঁতে পারবে।

তাই আপনি যখন কোনো ব্যবসা করবেন। তখন অবশ্যই সেই ব্যবসাতে রিস্ক নিবেন। কারন রিস্ক ছাড়া সফলতা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। 

০৭| আত্মবিশ্বাস থাকাটা অনেক জরুরি

যে মানুষ গুলোর নিজের প্রতি বিশ্বাস নেই, সেই মানুস গুলো সর্বদার জন্য আত্মবিশ্বাস হীনতায় ভুগে থাকে। কিন্তুু একটা কথা না বললেই নয় যে, আপনাকে কখনই আত্মবিশ্বাসহীন হওয়া যাবে না।

আপনাকে সর্বদা নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। আপনার সামনে অনেক সময় অনেক রকম বাধা আসবে। তাই বলে একেবারে হতাশ হয়ে পড়বেন না।

বরং আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করতে হবে। তাহলেই আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। 

আমাদের শেষকথা

আজকের আর্টিকেলে আমি উদ্যোক্তা কি এবং সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র গুলো নিয়ে বিষয়ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সেই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

এরপরও উদ্যোক্তা বিষয়ক কোনো কিছু জানার থাকে। তাহলে ছোট্ট করে এই আর্টিকেলের নিচে একটা কমেন্ট করবেন।

বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 

2 thoughts on “উদ্যোক্তা মানে কি? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় কি”

    1. ধন্যবাদ আপনাকে । এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিসিট করুন ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top