সেভিংস একাউন্ট কি | সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি – (সেরা ১০টি)

সেভিংস একাউন্ট কি : (What is saving account in Bengali) সেভিংস একাউন্ট কাকে বলে এবং সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি।

সেভিংস একাউন্ট কি | সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি
সেভিংস একাউন্ট কি

এই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে। Saving account ki আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন টি জেগে থাকে।

তো এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট হল, আপনার আয় করা অর্থ সঞ্চয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম।

অর্থাৎ আপনি একটি ব্যাংকের মধ্যে আপনার অর্থ জমা করতে পারবেন, এই সেভিংস একাউন্ট এর মাধ্যমে।

এর পাশাপাশি আপনি এই আপনার সেভিংস একাউন্টে যত টাকা জমা রাখবেন। তা আপনি আপনার প্রয়োজন মতো উত্তোলন করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

মূলত যে পদ্ধতিতে ব্যাংকের মাধ্যমে নিজের আয় করা টাকা গুলো জমা করা হয়। সেই পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে, সেভিংস অ্যাকাউন্ট। চলুন এবার বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক যে, saving account কি।

সেভিংস একাউন্ট কি ?

তো যারা আসলে জানতে চান, সেভিংস একাউন্ট কি। তাদের উদ্দেশ্য করে বলবো যে, Savings Account হল এটি ইংরেজি শব্দ।

আর এই ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ হলো, “মৌলিক অ্যাকাউন্ট”। তবে ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে সেভিংস শব্দের অর্থ হল, সঞ্চয় করা।

এর পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট শব্দের অর্থ হল, হিসাব। যার পুরো অর্থ দাঁড়ায়, সঞ্চয়ী হিসাব।

অর্থাৎ [su_highlight background=”#e5b29b”]যখন আপনি কোন একটি ব্যাংকের মধ্যে একাউন্ট তৈরি করে। সেই একাউন্ট এর মধ্যে আপনার আয় করা অর্থ সঞ্চয় করবেন। তখন ব্যাংকের ভাষায় আপনার একাউন্ট কে বলা হবে, সেভিংস একাউন্ট মূলত। এই পদ্ধতিতে মানুষ নিজেদের অর্থ গুলো সঞ্চয় করতে পারে। সে কারণে অনেকেই নিজের অর্থ জমা রাখার জন্য। বিকল্প উপায় হিসেবে, ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলে থাকে।[/su_highlight]

এবং সেই একাউন্টে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের অর্জন করা অর্থ গুলো জমা করে রাখে। তো saving account কি আশা করি এই স্বল্প আলোচনার মাধ্যমে আপনি পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন।

চলুন এবার সেভিংস একাউন্ট এর সংজ্ঞা জেনে নেওয়া যাক।

সেভিংস একাউন্ট-এর সংজ্ঞা

উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে সেভিংস একাউন্ট কি সে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

এবং সেখানে বলেছি, যখন আপনি কোন ব্যাংকের মধ্যে নিজের অর্থ গুলো জমা করে রাখবেন। তখন আপনার সেই ব্যাংক একাউন্ট কে বলা হবে, সেভিংস একাউন্ট।

এবার আমি আপনাকে সেভিংস একাউন্ট এর সংজ্ঞা জানিয়ে দিব। যেন সেভিংস অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আপনার কোন ধরনের অজ্ঞতা না থাকে।

কোন নির্দিষ্ট একটি ব্যাংকের মধ্যে টাকা জমা করে রাখা। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেই টাকা উত্তোলন করা।

এই ধরনের ব্যাংকিং পরিষেবার জন্য যখন একজন ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। তখন সেই একাউন্ট কে বলা হয়ে থাকে, সেভিংস একাউন্ট।

অনলাইন সেভিংস একাউন্ট কাকে বলে?

এতক্ষণের আলোচনায় সেভিংস একাউন্ট কি এবং সেভিংস একাউন্ট এর সংজ্ঞা বলা হয়েছে। আর যেহেতু এখন আপনি অনলাইনের যুগে বসবাস করছেন।

সেহেতু অবশ্যই আপনি আরও এক ধরনের সেভিংস একাউন্ট এর নাম শুনে থাকবেন। আর সেই সেটি হল, অনলাইন সেভিংস অ্যাকাউন্ট।

তো যখন আপনি এই একাউন্টের কথা প্রথম জানবেন। তখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেটি হল, অনলাইন সেভিংস অ্যাকাউন্ট কাকে বলে? চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন অনলাইন সেভিংস অ্যাকাউন্ট কথাটির অর্থ হলো, ব্যাংকিং রিলেটেড যে সকল বিষয় গুলো রয়েছে। সেগুলো আপনি নিজের ঘরে বসেই করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আগেকার দিন গুলো তে আপনার ব্যাংক এর মধ্যে কত টাকা জমা আছে, কত টাকা আপনি উত্তোলন করেছেন।

এই বিষয় গুলো জানার জন্য সরাসরি ব্যাংকে যেতে হতো। কিন্তু এখন আপনি চাইলে ব্যাংকের মধ্যে থাকা সেভিংস একাউন্ট এর। যাবতীয় কাজ গুলো নিজের ঘরে বসে করতে পারবেন।

আর এই ধরনের অনলাইন সেভিংস অ্যাকাউন্ট গুলো ব্যবহার করার জন্য। অবশ্যই আপনার কাছে একটি মোবাইল অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে।

যার মাধ্যমে আপনি নিজের ঘরে বসে। অনলাইন সেভিংস একাউন্ট এর যাবতীয় ব্যাংকিং কাজকর্ম গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

আশা করি, অনলাইন সেভিংস একাউন্ট কি সে সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি ?

সেভিংস একাউন্ট কি এবং অনলাইন সেভিংস একাউন্ট কি। আশা করি, এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন ধরনের প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না।

কারণ উপরে আমি এই বিষয় গুলো কে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। তো আপনারা যারা নিজের অর্থ সঞ্চয় করতে চান।

তারা যদি সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে নিজের আয় করা টাকা গুলো সঞ্চয় করে রাখেন। তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর এবার আমি আপনাকে সেভিংস একাউন্টের সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি।

সেভিংস একাউন্টের সেরা ১০ টি সুবিধা

যদিওবা সেভিংস একাউন্ট এর অনেক সুবিধা রয়েছে। তবে এবার আমি ধাপে ধাপে, সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুবিধা গুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করব।

যেগুলো সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়াটা অতি প্রয়োজনীয়।

আপনার অর্থের সুরক্ষা

আমরা সবাই জানি যে, ব্যাংক হল অর্থ সুরক্ষাকারী একটি মাধ্যম। যেখানে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার আয় করা অর্থ গুলো সঞ্চয় করতে পারবেন।

মূলত আপনি তাদের কে আপনার অর্থ প্রদান করবেন। এবং তারা খুব সতর্কতার সহিত আপনার সেই অর্থের নিরাপত্তা প্রদান করবে।

এতে করে আপনার আয় করা টাকা, চুরি হওয়া, ছিনতাই হওয়া কিংবা দুর্যোগের কারণে ক্ষতি হওয়ার মতো কোনো ধরনের সমস্যার সম্ভাবনা থাকবে না।

যেমন ধরুন, আপনি আপনার জীবনে আয় করা টাকা গুলো নিজের ঘরে সঞ্চয় করে রেখেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়।

সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ঘরবাড়ি সহ সঞ্চয় করা অর্থ গুলো হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ব্যাংকের মধ্যে সেভিংস একাউন্ট করে।

আপনার আয় করা অর্থ গুলো সঞ্চয় করে রাখেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার সঞ্চয় করা অর্থের নিরাপত্তা প্রদান করবে।

ধারাবাহিক ভাবে সুদের হার প্রদান

মনে করুন, আপনি প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা আয় করেন। সেগুলো নিজের ঘরে সঞ্চয় করে রাখলেন। এভাবে কয়েক মাস যাওয়ার পর আপনি দেখতে পেলেন।

আপনি যেটুকু টাকা সঞ্চয় করে রেখেছেন, সেটুকু টাকা জমা রয়েছে। কেননা সেখানে টাকা বৃদ্ধি হওয়ার মত কোন সুযোগ নেই।

অপরদিকে আপনি যদি কোন একটি ব্যাংক এর মধ্যে সেভিংস একাউন্ট তৈরি করে। সেখানে আপনার আয় করা টাকা গুলো সঞ্চয় করে রাখেন।

তাহলে কিন্তু নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে, আপনার সেই টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

অর্থাৎ যখন আপনি একটি ব্যাংকের মধ্যে সেভিংস একাউন্ট তৈরি করবেন। তখন ব্যাংক আপনাকে নির্দিষ্ট একটা সময় বলে দিবে।

এবং আপনি যদি সেই সময় পর্যন্ত আপনার অ্যাকাউন্টের মধ্যে টাকা সঞ্চয় করতে থাকেন। তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার জমাকৃত অর্থের উপর ভিত্তি করে।

আরো কিছু টাকা লাভ হিসেবে প্রদান করবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার টাকা বৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

যা আপনি সঞ্চয় করার অন্য কোন মাধ্যম থেকে এমন সুযোগ পাবেন না।

বিলম্বে অর্থ প্রদানের পরিষেবা দেওয়া

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে সেভিংস একাউন্ট থেকে। আপনি আপনার অর্থ গুলো যে কোনো সময়ে উত্তোলন করতে পারবেন।

অর্থাৎ জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন ধরনের বিপদ আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাৎক্ষণিক মুহূর্তে আপনি অন্যান্য কোন মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা না পেলে।

আপনি আপনার সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে যে পরিমাণ টাকা জমা রেখেছেন। তা আপনি উত্তোলন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি সেই টাকা ব্যয় করে আপনার সমস্যা গুলোর সমাধান করতে পারবেন।

সহজ অর্থ ব্যবস্থাপনা

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা মনে করেন যে, ব্যাংক এর সাথে আর্থিক লেনদেন করার জন্য খুব ঝামেলায় পড়তে হয়।

তো যারা আসলে এমন টা ভেবে থাকেন, তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ একটি ব্যাংক এর মধ্যে যখন আপনি সেভিংস একাউন্ট তৈরি করবেন।

এবং সেই একাউন্টে আর্থিক লেনদেন করবেন। তখন আপনাকে কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না।

কারণ একটি সেভিংস একাউন্ট থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি চাইলে আপনার সেই সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে জমা থাকা অর্থ গুলো। অন্য আরেক টি ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

আর এই আর্থিক লেনদেনের কাজগুলো করার জন্য। কোন ধরনের ঝামেলা হয় না। যার ফলে আপনি অর্থ সঞ্চয় করার দিক থেকে বাড়তি একটা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

সহজ লোনের ব্যবস্থা

আপনি সেভিংস একাউন্ট এর যত গুলো সুবিধা দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, সহজ লোনের ব্যবস্থা।

অর্থাৎ যখন আপনার একটি সেভিংস একাউন্ট থাকবে। তখন কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে আপনি একজন বিশ্বাস যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত থাকবেন।

এবং যখন আপনি আপনার সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী অর্থ সঞ্চয় করবেন। তখন ব্যাংক আপনাকে আরও অধিক বেশি প্রাধান্য দিবে।

সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে উক্ত ব্যাংক থেকে লোন এর টাকা নিতে পারবেন।

এবং সেই লোন এর টাকা আপনি পরবর্তী সময়ে পরিশোধ করে দিতে পারবেন। তবে তার আগে অবশ্যই আপনার একটি সেভিংস একাউন্ট থাকতে হবে।

এবং আপনি আপনার সেভিংস একাউন্টে যে পরিমাণ টাকা জমা করার কথা নির্ধারণ করেছেন। সেই টাকা অবশ্যই নিয়ম মত জমা করতে হবে।

এতে করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে আপনি আরো বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবেন। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।

স্বয়ংক্রিয় বিল পরিশোধ করা

দেখুন আমাদের প্রতিনিয়ত কোন না কোন ধরনের বিল দেওয়ার প্রয়োজন হয়। যেমন, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল সহ ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে বিল পরিশোধ করি।

আর এই ধরনের বিল গুলো পরিশোধ করার জন্য। আমাদের প্রতি মাসে ব্যাংক কিংবা বিল জমা দানকারী প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু যখন আপনার কাছে একটি সেভিংস একাউন্ট থাকবে। তখন আপনাকে আর ক্লান্ত হয়ে ব্যাংক কিংবা বিল পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

কারণ আপনার এই যাবতীয় কাজের দায়িত্ব তখন ব্যাংক বহন করবে। আর আপনি যদি সেভিংস একাউন্ট এর এই সুবিধাটি ভোগ করতে চান।

তাহলে আপনার সেই অ্যাকাউন্টের সাথে ডেবিট কার্ড যুক্ত করে দিতে হবে। আর যখন আপনি এই কাজটি করবেন।

তখন নিজের ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন বুথ থেকে। আপনার বিভিন্ন বিল গুলো পরিশোধ করতে পারবেন।

আর আপনার পরিশোধ করা টাকা গুলো সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।

টাকা ফেলা-তোলার অবাধ সুবিধা

দেখুন যারা আসলে জানতে চান, সেভিংস একাউন্ট করার মূল কারণ কি। তারা শুনে রাখুন, আপনার প্রতি মাসে আয় করা অর্থ গুলো অল্প অল্প করে সঞ্চয় করার।

অন্যতম একটি মাধ্যম হলো, সেভিংস একাউন্ট। যেখানে আপনি আপনার টাকা নিশ্চিন্তে সঞ্চয় করে রাখতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে যে টাকা গুলো থাকবে। সেগুলো আপনি আপনার যে কোনো ধরনের বিপদের সময় তুলতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও আছে…

কেননা সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে এমন কোন বাধা ধরা নেই। যেখানে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টাকা জমা রাখতেই হবে।

তাই আপনার সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে যে পরিমাণ টাকা থাকুক না কেন।

আপনি আপনার সব প্রয়োজনে সেই টাকা গুলো তুলতে পারবেন। মূলত এটি হলো, সেভিংস একাউন্ট এর অন্যতম একটি সুবিধা।

অনলাইনে টাকার লেনদেন ট্র্যাক করা

এবার আপনি একটা বিষয়ে চিন্তা করে দেখুন। আপনি প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা গুলো আয় করেন।

সে গুলো আসলে কি কি কাজে ব্যয় করেন তার সব হিসেব গুলো কি আপনার কাছে থাকে? নিশ্চয়ই এমন অনেক আর্থিক খরচ রয়েছে।

যেগুলো কখনোই আমাদের ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে পড়ে না। আর সে কারণে মাসে শেষে যখন আমাদের আয় ব্যয় এর হিসাব করি।

তখন কিন্তু বুঝতে পারিনা যে, এই চলমান মাসে আমার আসলে কত টাকা ব্যয় হলো।

কিন্তু যখন আপনার একটি সেভিংস একাউন্ট থাকবে। তখন আপনি খুব সহজেই অনলাইনে টাকার লেনদেন ট্রাক করতে পারবেন।

অর্থাৎ এখন প্রতিটা ব্যাংক অনলাইন এর সুবিধা প্রদান করেছে। সে ক্ষেত্রে আপনি নিজের ঘরে বসে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে দেখতে পারবেন।

আপনি আসলে কোন কোন সময় কত টাকা করে উত্তোলন করেছেন। আর এটা জানার পর, আপনি খুব সহজেই আপনার মাসিক ব্যয়ের হিসাব জানতে পারবেন।

সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে ?

আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি, সেভিংস একাউন্ট কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে বেশ কিছু সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুবিধা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

তো এই বিষয় গুলো জানার পর এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেই প্রশ্নটি হল, সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।

অর্থাৎ যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবেন। তখন কিন্তু আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে।

আর আপনি যখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো প্রদান করবেন। তখন তারা সে গুলোর মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে।

আপনার নামে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে। তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।

ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণপত্র

তো আপনি যখন একজন নতুন ব্যক্তির হিসেবে কোন একটি ব্যাংক থেকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে যাবেন।

তখন সবার প্রথমে আপনার ব্যক্তির পরিচয় এর প্রমাণপত্র দিতে হবে। আর এই প্রমাণপত্র দেওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস ব্যবহার করতে পারবেন।

যে গুলোর সাহায্য আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে একজন বৈধব্য ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে পারবেন। আর সেই ব্যক্তিগত পরিচয় এর প্রমাণ পত্রের ডকুমেন্ট গুলো হলঃ

  1. ড্রাইভিং লাইসেন্স 
  2. কর্মচারী আইডি 
  3. ব্যাংক পাসবুক 
  4. রেশন কার্ড 
  5. ভোটার আইডি কার্ড 
  6. পাসপোর্ট ইত্যাদি।

তো উপরে আপনি যে ডকুমেন্ট গুলোর নাম দেখতে পাচ্ছেন। মূলত এগুলো হলো ব্যাংকের কাছে ব্যক্তিগত পরিচয় পত্রের ডকুমেন্টস।

আর যখন আপনি এগুলো ব্যাংক এর মধ্যে জমা দিবেন। তখন তারা বিশ্বাস করবে যে, আপনি একজন বৈধ নাগরিক।

এবং আপনারা নামে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

ব্যক্তির ঠিকানার প্রমাণপত্র

উপরের ডকুমেন্টস গুলো দিয়ে আপনি প্রমাণ করতে পারবেন যে, আপনি একজন বৈধ নাগরিক।

তবে এর পাশাপাশি আপনাকে আরও কিছু প্রমাণপত্র দিতে হবে, সে গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আপনার স্থায়ী ঠিকানার বৈধতা দেখাতে হবে।

মনে করুন, আপনি একজন বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশ এর বৈধ নাগরিক। সেক্ষেত্রে আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। 

আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অন্য কোন ডকুমেন্টস দিতে হবে না। কেননা আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় পত্রের মধ্যে যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা থাকবে।

এর বাইরে আর সেভিংস একাউন্ট তৈরি করার জন্য কোন ধরনের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় না। আশা করি, সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তা আপনি বুঝতে পেরেছেন।

FAQ – Saving Account

Q: সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও কারেন্ট অ্যাকাউন্টের মধ্যে কী পার্থক্য কি?

A: সেভিংস একাউন্ট কে বলা হয়ে থাকে, ব্যক্তিগত একাউন্ট। আর যারা কারেন্ট একাউন্ট তৈরি করে, তারা আসলে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির মালিক কিংবা ব্যবসায়িক।

আর এই দুটো অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে মূল পার্থক্য হল, সীমাবদ্ধতা।

কারণ একটি সেভিংস একাউন্টের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ লেনদেন এর সীমাবদ্ধতা থাকে। অপরদিকে কারেন্ট একাউন্ট এর মধ্যে এই ধরনের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।

Q: ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা এবং চার্জ?

A: যদি আপনার একটি ইসলামিক ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট থাকবে। তখন আপনি যাবতীয় সুবিধা গুলো ভোগ করার পাশাপাশি। আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চার্জ দিতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে যদি 10 হাজার টাকার বেশি অর্থ জমা থাকে। তাহলে আপনাকে বছরের প্রতি ছয় মাস পর পর ১০০ টাকা করে চার্জ দিতে হবে।

এবং যদি আপনার সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা থাকে। তাহলে আপনার চার্জ হবে, ২০০ টাকা।

Q: ডিপোজিট একাউন্ট কি?

A: আপনি যখন কোন একটি ব্যাংকের মধ্যে সঞ্চয়ী হিসাব খোলার জন্য একাউন্ট তৈরি করবেন।

তখন আপনি সেই একাউন্টের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করে রাখতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি আপনার প্রয়োজন মতো উত্তোলন করতে পারবেন।

মূলত এই ধরনের সেভিংস একাউন্ট কে বলা হয়ে থাকে, ডিপোজিট একাউন্ট।

Q: সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

A: সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আপনার দুইটি প্রমাণপত্রের প্রয়োজন পড়বে। একটি হল, আপনার জাতীয় পরিচয় এর প্রমাণপত্র। এবং অন্যটি হলো, আপনার স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র।

Q: কারেন্ট একাউন্ট কাকে বলে?

একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সাধারণত প্রাথমিক কিছু টাকা জমা দিয়ে খোলা হয় এবং তহবিল সঞ্চয় করার জন্য একটি নিরাপদ জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

নগদ বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে যে কোনো সময় বর্তমান অ্যাকাউন্ট থেকে তহবিল উত্তোলন করা যেতে পারে।

উপরন্তু, একই ব্যক্তির মালিকানাধীন অন্যান্য অ্যাকাউন্ট থেকে বেতন প্রদান বা স্থানান্তরের মতো সরাসরি আমানতের মাধ্যমে অর্থ একটি চলতি অ্যাকাউন্টে জমা করা যেতে পারে।

একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে ওভারড্রাফ্ট, ঋণ এবং বর্ধিত সময়ের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করার জন্য সুদের হার।

সেভিংস একাউন্ট নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, সেভিংস একাউন্ট কি সে বিষয়টি নিয়ে আজকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি।

তো আশা করি, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি সেভিংস একাউন্ট এর সকল অজানা বিষয় গুলো জেনে নিতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার সেভিংস একাউন্ট সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে। তাহলে তা নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

আর আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি ব্যাংকিং রিলেটেড অজানা তথ্য গুলো এই ওয়েবসাইটের মধ্যে পাবলিশ করার। তাই আপনি যদি ব্যাংকিং সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চান।

তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো তে নজর রাখবেন।

যাতে করে সবার আগে আপনি ব্যাংকিং আপডেট গুলো জানতে পারেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top