সোশ্যাল মিডিয়া কি | Social media এর কাজ কি (Social media in Bengali)

সোশ্যাল মিডিয়া কি : What is social media in Bengali. বর্তমান সময়ে যে মানুষ গুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষ এবং বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া কি | Social media এর কাজ কি (social media in Bengali)
সোশ্যাল মিডিয়া কি

কিন্তু এই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করার পরেও আপনি যদি হঠাৎ করে একটি মানুষ কে জিজ্ঞেস করেন ।

বলুন তো, সোশ্যাল মিডিয়া কি বা সামাজিক মিডিয়া কি। তাহলে কিন্তু সেই মানুষ টি এই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। 

কারণ আমরা প্রযুক্তির এই যুগে এতটাই ফাস্ট হয়ে গেছি।

যার কারণে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলেও, অনেকেই জানিনা যে, Social Media কি বা সোশ্যাল মিডিয়া কাকে বলে

তো আজকে আমি আপনাকে এই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। প্রথমত সামাজিক মিডিয়া কি এবং সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কি বুঝায়  সে সম্পর্কে বলবো।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

এরপরে আমি আপনাকে এই সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করব।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, সোশ্যাল মিডিয়া কি (Social media ki)

Social Media এর অর্থ কি?

Social Media হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ, সংযোগ এবং তথ্য বিনিময়ের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহারকারীদের তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা এবং বিষয়বস্তু ভাগ করে নেওয়ার  ব্যবস্থা করে দেয়।

Social Media বিভিন্ন রকম আছে, যেমন:

  • Social Networking Sites: Facebook, Twitter, Instagram, LinkedIn ইত্যাদি।
  • Microblogging Sites: Twitter, Tumblr, Pinterest ইত্যাদি।
  • Content Sharing Sites: YouTube, Flickr, Reddit ইত্যাদি।
  • Review Sites: Yelp, TripAdvisor ইত্যাদি।
  • Messaging Apps: WhatsApp, Facebook Messenger, Telegram ইত্যাদি।

বাংলায়, Social Media এর অর্থ হল “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

সোশ্যাল মিডিয়া কি বা কাকে বলে ?

সহজ কথায় বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক এক ধরনের বিশেষ প্রযুক্তি।

যে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা ভার্চুয়াল ভাবে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

এর পাশাপাশি এই ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক কে কাজে লাগিয়ে। আমরা আমাদের চিন্তা চেতনা, অনুভূতি এবং যাবতীয় যোগাযোগ এর কাজ গুলো অনলাইনে করতে পারি।

আর এই বিশেষ প্রযুক্তি কে বলা হয়ে থাকে, সোশ্যাল মিডিয়া।

যেমন, আমরা এখন অধিকাংশ মানুষ ফেসবুক এর মত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। তো এই ফেসবুক হল এক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া।

ঠিক একই ভাবে আপনি আরো অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দেখতে পারবেন। যে গুলো আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি।

আর সেই সব গুলো মিডিয়া কে বলা হয়ে থাকে, সামাজিক মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়া।

তবে এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করতে হলে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য গুলো প্রদান করতে হয়। যার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়।

এবং আমরা সেই একাউন্টের মাধ্যমে ইন্টারনেট ভিত্তিক এই মিডিয়া সাহায্য পরিচিত কিংবা অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি।

আর সে কারণেই বলা হয়ে থাকে, সোশ্যাল মিডিয়া হল বিশেষ এক ধরনের উন্নত প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের যোগাযোগ অক্ষুণ্য রাখতে পারি।

Social Media এর কাজ কি?

উপরের ছোট্ট আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া কি।

তো এই বিষয় টি জানার পরে এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে যে, social media এর কাজ কি।

তো আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্রকারের কাজ রয়েছে।

আর এই কাজ গুলোর জন্যই মূলত আমরা অধিকাংশ মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করে থাকি। যেমনঃ

  1. আপনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য দূরের ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
  2. আপনার প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ফাইল যেমন, ছবি, গান, ভিডিও ইত্যাদি। খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে আদান প্রদান করতে পারবেন।
  3. সোশ্যাল মিডিয়া কে বিনোদন এর একমাত্র উপায় হিসেবে ধরে নিতে পারবেন।
  4. আপনার কি কি মতামত রয়েছে, সেটি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন।
  5. নির্দিষ্ট কোন কোম্পানি বা ব্রান্ড সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
  6. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারবেন।
  7. প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়া এর কাজ কি তার কিছু অংশ আমি উপরে তুলে ধরেছি। তবে এর বাইরেও আপনি অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া এর কাজ দেখতে পারবেন।

যে গুলো সম্পন্ন করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করে থাকি।

সোশ্যাল মিডিয়া কেন ব্যবহার করা হয়?

যদিও বা উপরে আমি সোশ্যাল মিডিয়া এর বেশ কিছু কাজ নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু তারপরেও আমরা অনেকেই জানতে চাই, সোশ্যাল মিডিয়া কেন ব্যবহার করা হয়। 

আসলে সোশ্যাল মিডিয়া কেন ব্যবহার করা হয়, এটা নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা একটা মানুষ একেক উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন।

যেমন, আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।

আবার এমন অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন।

তো সোশ্যাল মিডিয়া এর কাজের ক্ষেত্রে যেমন ভিন্নতা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া এর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

তবে বর্তমান সময় আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করি। তারা অধিকাংশ মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। 

এছাড়াও এখন অনলাইন এর সহজলভ্যতা হওয়ার কারণে, অনেক কোম্পানি বা ব্রান্ড রয়েছে।

যারা তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো তে বিজ্ঞাপন প্রচার করে। যাতে করে তাদের কোম্পানির প্রসার হয়।

তো এভাবেই এক এক ক্ষেত্রে আপনি ভিন্ন ভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এর ব্যবহার লক্ষ্য করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া তে কি করতে পারব?

বাস্তব জীবনে মানুষ যেমন বিভিন্ন রকমের কাজ করতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া এখন হল একটি ভার্চুয়াল পৃথিবী।

যেখানে আপনি এমন অনেক কিছুই করতে পারবেন। যেমন, আমরা বাস্তবিক জীবনে একজন মানুষের সাথে আরেক জন মানুষ গল্প করে কথা বলতে পারি।

ঠিক একই ভাবে এখন আপনি চাইলে ভার্চুয়ালি পদ্ধতি তে অন্য আরেক জন ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারবেন।

তবে সোশ্যাল মিডিয়া শুধুমাত্র কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এর বাইরেও এমন আরও অনেক রকমের কাজ রয়েছে। যে গুলো আপনি সোশ্যাল মিডিয়া তে করতে পারবেন। যেমনঃ

  1. বিনোদনঃ আজকের দিনে বিনোদন মানেই হল সোশ্যাল মিডিয়া তে ভিড় করা। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে আপনি বিনোদনের সবকিছুই পেয়ে যাবেন।
  2. যেখানে সরাসরি বিভিন্ন প্রকারের প্রোগ্রাম, টিভি শো, মুভি, স্পোর্টস, গেমিং সবকিছুই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে খুঁজে পাবেন।
  3. মিডিয়া শেয়ারঃ সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোনো কিছু অন্যের সাথে শেয়ার করা যায়। মনে করুন, আপনি এখন কোথাও ঘুরতে গেছেন।
  4. এখন আপনি সেখানে একটি ভিডিও তৈরি করে। খুব সহজেই আপনার পরিবারের মানুষদের দেখাতে পারবেন। যে আপনি এখন কোথায় আছেন।
  5. রিভিউ ও মতামতঃ অনেক সময় লক্ষ্য করবেন যে, কিছু কিছু কথা আমাদের মনে জাগ্রত হলেও। সে গুলো আমরা কাউকে বলতে পারি না।
  6. কিন্তু আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। তাহলে কিন্তু আপনার মনের সব কথা আপনি খুলে বলতে পারবেন। এবং এই কথা গুলো আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
  7. যোগাযোগঃ সোশ্যাল মিডিয়া এর অন্যতম ব্যবহার হল মানুষের সাথে যোগাযোগ করা। আমরা অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করি।
  8. একজন ব্যক্তি আরেক জন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করার জন্য। আর সোশ্যাল মিডিয়া হল এমন একটি মাধ্যম। যেখানে খুব সহজেই দূর দূরান্তে থাকা মানুষদের সাথে যোগাযোগ অক্ষুণ্য রাখা যায়।

তো আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনি আসলে কি কি করতে পারবেন। সে বিষয় গুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

তবে এ গুলো ছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়া তে অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। যে গুলো নিয়ে অন্য আরেক দিন বিস্তারিত আলোচনা করব।

সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এতক্ষণের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, সোশ্যাল মিডিয়া কি। এবং এই সোশ্যাল মিডিয়া তে আমরা কি কি কাজ করতে পারব।

তো এবার আমি আপনাকে এই সোশ্যাল মিডিয়া এর উপকারিতা ও অপকারিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

অর্থাৎ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বেশ কিছু উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর এইসব উপকার ভোগ করার জন্যই আমরা পাগলের মত সোশ্যাল মিডিয়া গুলো কে ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে বিপুল পরিমাণে অপকারিতা রয়েছে।

আর আপনি একজন সতর্ক মানুষ হয়ে অবশ্যই এই সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

তো চলুন এবার তাহলে এই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা

উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সে কথা টি হল, সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া এর মধ্যে অপকারিতাও লক্ষ্য করতে পারবেন।

কিন্তু সবার শুরুতে আমি আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানাবো।

এবং এর পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়া এর অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানব। তো চলুন এবার ধাপে ধাপে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সম্পর্ক তৈরী করা

আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন। তখন একটা বিষয় বেশ ভালো ভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর সেই বিষয় টি হলো, সোশ্যাল মিডিয়া তে খুব সহজেই অপরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা যায়।

বাস্তবিক জীবনে যেমন আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হই, তাদের সাথে ঘনিষ্ট হই। 

ঠিক তেমনি ভাবেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে অনলাইনে মাধ্যমে তেমন বিভিন্ন অপরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন।

এবং সেই মানুষ গুলোর সাথে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হতে পারবেন। মূলত এটি হলো সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় একটা উপকারী দিক।

পারদর্শিতা ভাগ করে নেওয়া

দেখুন এক একটা মানুষ একেক বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনার মধ্যে যদি কোন বিষয়ে প্রতিভা থাকে।

তাহলে আপনি সেই প্রতিভার বিকাশ এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে করতে পারবেন।

কেননা সোশ্যাল মিডিয়া তে খুব দ্রুত যে কোনো কিছু ভাইরাল হয়ে যায়। 

সেক্ষেত্রে আপনার যদি সত্যিকার অর্থেই কোন বিষয়ে প্রতিভা থাকে। এবং আপনি যদি সেই প্রতিভা এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে বিকশিত করতে চান।

তাহলে কিন্তু আপনার এই কাজটি তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি সহজ হবে। আর আপনার এই প্রতিভার গুন আপনি গোটা বিশ্বের মানুষের নিকট পরিচিত করতে পারবেন।

দৃশ্যমান হওয়া

বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বিশেষ একটি ফিচার রয়েছে।

অর্থাৎ আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহার করেন এবং ফেসবুকের মধ্যে থাকা কোন ভিডিও কিংবা পিকচার যদি আপনার পছন্দ হয়।

তাহলে কিন্তু সেটি আপনি বিভিন্ন গ্রুপ কিংবা নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করতে পারবেন।

তো আপনার মধ্যে যদি কোন ধরনের প্রতিভা থাকে। এবং আপনি যদি সেগুলো ভিডিও করে ফেসবুকের মধ্যে আপলোড করেন।

তাহলে কিন্তু যে মানুষ গুলো আপনার এই প্রতিভা কে বুঝতে পারবে। যে মানুষ গুলো এই প্রতিভা কে ভাল বাসবে।

তারা কিন্তু অবশ্যই আপনার ফেসবুকের মধ্যে আপলোড করা ভিডিও গুলো শেয়ার করবে।

আর এভাবে আপনি গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে দৃশ্যমান হতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারবেন।

নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা

দেখুন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষিত হওয়ার একটা বিরাট সুযোগ রয়েছে।

তো এখন হয়তোবা আপনার মাথায় একটু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, শিক্ষিত হওয়ার জন্য তো স্কুল কলেজ আর পড়াশোনা করার দরকার।

তাহলে মানুষ কি ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শিক্ষা লাভ নিতে পারবে? তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনুন…

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

সোশ্যাল মিডিয়া তে আপনি বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলতে পারবেন। বিভিন্ন মানুষের সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তো যখন আপনি এভাবে বিভিন্ন মানুষ সম্পর্কে জানবেন, বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলবেন। তখন কিন্তু আপনার অনেক অভিজ্ঞতা হবে।

আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন, অনেক কিছু শিখতে পারবেন। মূলত এই পদ্ধতিতে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে পারবেন।

যখন খুশি সংযুক্ত হওয়া সম্ভব

সোশ্যাল মিডিয়া তে আপনি খুব দ্রুত অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারবেন। যে কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি অধিক সংখ্যক মানুষের সাথে যোগাযোগ তৈরি করতে পারবেন। যারা কখনোই আপনার পূর্ব পরিচিত ছিল না।

আর এই সুবিধাটি মূলত আপনি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো তে দেখতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিক

আমি উপরেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল, সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন উপকারী দিক রয়েছে।

ঠিক তেমনি ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আর এবার আমি আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো বলার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. বাস্তব এবং ভার্চুয়াল জীবন : দেখুন আমাদের একটা কথা অবশ্যই মানতে হবে। আর সেটা হল, বাস্তব জীবন আর ভার্চুয়াল জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
  2. আর আমরা অনেকেই আছি, যারা মূলত বাস্তবিক জীবনের চাইতে সোশ্যাল মিডিয়া জীবন কে অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

অথচ সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে সময় লাগবে না। এমন অনেকেই আছেন, যারা মূলত সোশ্যাল মিডিয়া লাইফ কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে, তার রিয়েল লাইফে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

আর এটি হল সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় একটা ক্ষতিকর দিক।

  1. হারিয়ে ফেলার ভয়ঃ যখন আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আসক্ত হয়ে পড়বেন। তখন আপনার ভেতরে থাকা নিরাপত্তা হীনতা এর অনুভূতি গুলো অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
  2. আর সেই সময় আপনার মনে হবে যে, আপনার চাইতে অন্যান্য মানুষেরা অনেক বেশি সুখে আছে। এবং আপনি সবচেয়ে বেশি দুঃখে আছেন।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন মানুষের অনুভূতি গুলো অনুভব করতে গিয়ে। আপনি নিজের অজান্তেই নিজের প্রতি উদ্বেগ তৈরি করে ফেলবেন।

যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য কখনোই ভালো দিক নয়। কেননা এর ফলে মানুষের মধ্যে ডিপ্রেশন এর শুরু হয়।

  1. একাকীত্বঃ যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করবেন। তখন মনে হবে যে, আপনি অন্য একটা পৃথিবীতে চলে এসেছেন।
  2. এবং সেই পৃথিবীর মানুষের সাথে কথা বলছেন। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যখন আপনি রিয়েল লাইফে আসবেন। তখন কিন্তু আপনার একটা একাকীত্ব অনুভব হবে।

আর এই একাকিত্বের মাত্রা যখন আরো কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তখন আপনি প্রচুর পরিমাণে ডিপ্রেশনে পড়ে যাবেন।

যা আপনাকে কখনোই সুস্থ মস্তিষ্কে থাকতে দিবে না। এবং সর্বদাই আপনার মাথায় দুশ্চিন্তা আসবে।

  1. সাইবার বুলিং: দেখুন আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকালে দেখতে পারব যে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, ঠাট্টা করছে।
  2. অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার ভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে, ট্রালিং। তো যখন এই ধরনের ট্রালিং করা হয়, তখন কিন্তু সেটাকে বলা হয়ে থাকে, সাইবার বুলিং। 

আর আপনি যদি কখনও এই ধরনের সাইবার বুলিং এর শিকার হন। তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

কেননা এই ধরনের সমস্যা গুলো একজন ব্যক্তি কে এতটাই মানসিক চাপে ফেলে দেয়। যা আসলে আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।

তো সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক গুলোর পাশাপাশি যে সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা বা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রয়েছে।

সেগুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে আপনি চেষ্টা করবেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে আসক্ত না হওয়ার।

এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার। তাহলে আপনি এ ধরনের সমস্যা গুলো থেকে রেহাই পাবেন।

১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম

এবার আমি আপনাকে মোট ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম বলবো। কেননা আমরা উপরের আলোচনা জানতে পেরেছি, সোশ্যাল মিডিয়া কি।

তো এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম বলুন। তাহলে কিন্তু হঠাৎ করে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সমস্যা হবে।

তাই এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, দশ (১০) টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম।

  1. Facebook
  2. Twitter
  3. Instagram
  4. Youtube
  5. Pinterest
  6. Linkedin
  7. Snapchat
  8.  Reddit
  9. Whatsapp
  10. WeChat

তো উপরে আপনি মোট দশটি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম দেখতে পাচ্ছেন। যদি কখনো আপনার এ প্রশ্নের উত্তর বলার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে আপনি এই দশটি নাম বলে দিবেন।

Faqs

সোশ্যাল মিডিয়া কবে থেকে শুরু হয়

সোশ্যাল মিডিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৬ সালে শুরু হয়, যখন আন্দ্রু ওয়েইনরিচ ছয় ডিগ্রি নামে একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট চালু করেন। ছয় ডিগ্রি ব্যবহারকারীদের তাদের বন্ধু এবং পরিচিতদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করতে দেয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন ভালো

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালো কারণ এটি মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং সংযোগের একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। এটি দূরত্বের বাধা দূর করে এবং মানুষকে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত হতে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজ কি

গত ১০ বছরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি প্রযুক্তি, ব্যবহারকারীর আচরণ এবং ব্যবসার অনুশীলনগুলিকে প্রভাবিত করেছে।

প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এই পরিবর্তনগুলি সোশ্যাল মিডিয়াকে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ করে তুলেছে।

এটি আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার, নতুন লোকেদের সাথে সংযোগ স্থাপন করার, তথ্য পেতে এবং বিনোদন পাওয়ার একটি উপায়।

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, যেহেতু বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।

সেহেতু আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে যে, সোশ্যাল মিডিয়া কি বা সামাজিক মিডিয়া কি।

তো আজকে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে, সোশ্যাল মিডিয়া কি।

আপনি আরোও পড়ুন…

তো আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সবার আগে পেতে চাইলে। অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top