ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি – (Cash Credit / CC loan in Bengali)

সি সি লোন কি : আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। কিংবা আপনার যদি কোন কোম্পানি থাকে।

ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি – (Cash Credit / CC loan in Bengali)
সি সি লোন কি

তাহলে অবশ্যই আপনি এই সি সি লোন (CC Loan কী) এর কথা শুনে থাকবেন। কেননা এই সি সি লোন হল এমন একটি ঋণ প্রদান করার প্রক্রিয়া।

যেখানে আপনি স্বল্প মেয়াদের জন্য আপনার ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে লোন নিতে পারবেন। আর সে কারণেই আমাদের মতো এমন অনেক ব্যক্তি আছেন।

যারা মূলত জানতে চায় যে, এই সি সি লোন কি (What is cash credit loan). এবং এই ধরনের সি সি লোন নেওয়ার জন্য কোন কোন ধরনের ডকুমেন্টস লাগে।

তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নিতে চান। তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গা তে চলে এসেছেন।

মূলত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে সিসি লোন সম্পর্কিত যে সকল বিষয় রয়েছে।

তার প্রত্যেক টি বিষয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। আর আপনি যদি এই সি সি লোন সম্পর্কিত অজানা বিষয় গুলো জেনে নিতে চান।

তাহলে আপনাকে আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। দেখুন আমরা সবাই জানি যে, ব্যাংক থেকে বিভিন্ন প্রকারের লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।

তবে তার মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি লোন প্রদান করার প্রক্রিয়া হল এই সি সি লোন।

যেখানে আপনি অনেক স্বল্প মেয়াদের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যাংক থেকে আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য এই ধরনের লোন নিতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

মনে করুন, আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। এবং চলমান সময়ে আপনার মূলধনের অনেক ঘাটতি হয়ে গেল।

সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার সেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে এই ধরনের স্বল্প মেয়াদী সি সি লোন নিতে পারবেন।

তবে আপনি যদি এরকম সি সি লোন নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। সেই সাথে এই ধরনের সি সি লোন কি।

এবং এই রকম সি সি লোন থেকে আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কি কি বেনিফিট পাবেন। সে গুলো সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে।

তো আর দেরি না করে চলুন এবার সেই সি সি লোন সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ক্যাশ ক্রেডিট / সি সি লোন কি ?

যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে সি সি লোন এর যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।

সেহেতু সবার প্রথমেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, এই ধরনের সিসি লোন কি। তো যদি আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে সহজ ভাষায় বলবো যে।

সিসি লোন হলো ব্যাংক অনুমোদিত এক ধরনের স্বল্প মেয়াদী ঋণ প্রকল্প।

যে ঋণ টি মূলত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর সাথে সংযুক্ত কোম্পানি গুলো কে স্বল্প সময়ের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।

এতে করে সেই প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটে থাকে। সচরাচর এই ধরনের সি সি লোন গুলো মূলত ১২ মাস মেয়াদী হয়ে থাকে।

অর্থাৎ আপনি যদি এই ধরন এর লোন নিয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী বারো মাসের মধ্যে উক্ত লোন এর টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে।

তো যদি আপনার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে। এবং আপনি যদি আপনার সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর উপর ভিত্তি করে এই ধরনের সি সি লোন নিয়ে থাকেন।

তাহলে আপনি যে পরিমাণ অর্থ এই লোন থেকে নিতে পারবেন। সেগুলো আপনি আপনার ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে কাঁচামাল সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি এই লোন এর টাকা গুলো আপনার ব্যবসায়িক যে সকল অন্যান্য ক্ষেত্র রয়েছে। সেই ক্ষেত্র গুলো তে ব্যবহার করতে পারবেন।

যদিও বা এই ধরনের ঋণ গুলো অনেক স্বল্প মেয়াদী হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি চাইলে এই লোন নেয়ার পরে পরবর্তী বারো মাসের মধ্যে উক্ত লোনের টাকা গুলো পরিশোধ করে দিতে পারবেন।

ক্যাশ ক্রেডিট লোনের বৈশিষ্ট্য

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে সি সি লোন কাকে বলে। তো আপনি যদি উপরের এই আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, আপনি এই সি সি লোন সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তো সিসি লোন কি এ বিষয় টি জানার পাশাপাশি।

এবার আপনাকে এই সি সি লোন এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কেননা যখন আপনি একজন ব্যবসায়ী কিংবা একজন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে সি সি লোন নিতে যাবেন।

তখন আপনি এই লোনের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখতে পারবেন। তো এবার আমি আপনাকে সেই বৈশিষ্ট্য গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনি সি সি লোন সম্পর্কিত সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় গুলো জেনে নিতে পারেন তো।

চলুন এবার তাহলে সেই ক্যাশ ক্রেডিট লোনের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ঋণের সীমা

যদিও বা একজন ব্যক্তি তার ইচ্ছামত সিসি লোন নিতে পারবে। তবে এখানে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কেননা একজন ব্যক্তি হিসেবে যখন আপনি এই ধরনের সিসি লোন নিতে যাবেন।

তখন অবশ্যই আপনার ধার নেওয়ার ক্ষমতা এবং ঋণ এর যোগ্যতা যাচাই বাছাই করা হবে। তো যখন আপনি এই ধরনের সিসি লোন নিবেন।

তখন আপনাকে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক প্রথমত আপনার ঋণ নেয়ার ক্ষমতা যাচাই করে দেখবে। যদি তারা এই যাচাই করে দেখার পরে বুঝতে পারে যে।

আপনি ঋণ নেয়ার জন্য উপযুক্ত। এরপরে আপনার যোগ্যতা বিবেচনা করবে। এইসব কিছু বিবেচনা করার পরে যদি আপনি তাদের সিসি লোন নেয়ার জন্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন।

তাহলে কিন্তু আপনি তাদের ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদে এই ধরনের সিসি লোন নিতে পারবেন।

মূলত একেই বলা হয়ে থাকে সিসি লোন এর সীমাবদ্ধতা। আশা করি বিষয় টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

বর্তমান ব্যালেন্সের উপর সুদ

যখন আপনি অন্য কোন ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধর্মী কোন লোন নিয়ে থাকবেন। তখন কিন্তু আপনাকে সেই লোনের টাকার উপর ভিত্তি করে সুদ প্রদান করতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি সিসি লোন নিয়ে থাকেন। তাহলে এখানে আপনি একটু হলেও ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা এখানে আপনাকে শুধুমাত্র সুদ প্রদান করতে হবে আপনার নগদ ক্রেডিট একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর।

অর্থাৎ আপনার সেই নগদ ক্রেডিট একাউন্টে যে পরিমাণ টাকা ব্যালেন্স হিসেবে থাকবে। সেই পরিমাণ টাকার উপর আপনাকে সুদ প্রদান করতে হবে।

কিন্তু অন্যান্য লোনের ক্ষেত্রে আপনাকে কখনোই সেই লোনের টাকার উপর ভিত্তি করে সুদ প্রদান করতে হবে না। মূলত এটি হলো সিসি লোন এর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।

ন্যূনতম প্রতিশ্রুতির মূল্য

যদিও বা এই সি সি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ খুব বেশি একটা লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু যখন আপনি এই স্বল্প মেয়াদি সি সি লোন নিবেন।

তখন আপনাকে লোন নেওয়ার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম একটা মূল্য প্রদান করতে হবে। মূলত এই ধরনের মূল্য প্রতি টা লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকে।

যখন আপনি এই ধরনের টাকা তুলবেন। তখন আপনাকে এই স্বল্প পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে।

তবে যদিও বা এর পরিমাণ অতি নগণ্য সে ক্ষেত্রে আপনার খুব বেশি একটা প্রভাব পড়বে না।

আনুষাঙ্গিক নিরাপত্তা

আপনি এই সি সি লোনের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলোর পাশাপাশি আনুষঙ্গিক নিরাপত্তার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা একজন ব্যক্তি  যখন এই ধরনের সি সি লোন নিতে যায়। তখন তাকে সি সি লোন প্রদান কারী ব্যাংকের নিকট জামানত বা নিরাপত্তা প্রদান করতে হয়।

আর আপনি বাংলাদেশ এর যে কোন ব্যাংক থেকে সিসি লোন নিন না কেন। প্রতি টা ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি শর্ত প্রদান করা হবে।

মূলত আপনাকে অবশ্যই এই শর্ত গুলো সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে। আর এইসব কিছুই মিলে একটা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

যাকে মূলত সি সি লোন এর ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক নিরাপত্তা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

ক্রেডিটের সময়কাল

আমি উপরে আপনাকে একটি কথা বলেছি। আর সে কথাটি হল যে এই ধরনের সি সি লোন গুলো মূলত অনেক স্বল্পমেয়াদি হয়ে থাকে।

অর্থাৎ আপনি যদি এই ধরনের সিসি লোন নিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোধ করে দিতে হবে।

এবং যখন আপনি তাদের এই লোন পরিশোধ করতে পারবেন। তারপর পরবর্তী সময়ে আপনি পুনরায় আবার আপনার ইচ্ছামত লোন নিতে পারবেন।

তবে যদি আপনি সঠিক ভাবে লোন পরিশোধ করে দিতে পারেন। তাহলে সেই লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় আপনাকে বিবেচনা করবে।

এবং আপনি যদি আবার লোন নিতে চান। তাহলে তারা আপনাকে পরবর্তী তে আপনার ইচ্ছা মতো যত খুশি ততবার লোন প্রদান করবে।

সি সি লোনের সুবিধা

যদি আপনি আর্টিকেল এর এই পর্যন্ত এসে থাকেন। তাহলে আপনি সি সি লোন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

কেননা প্রথমে আমি আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, সি সি লোন কি। এর পাশাপাশি সি সি লোন এর মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

যে গুলো কে নিয়ে উপরে আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি। তো আপনি যদি উপরের এই আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আমার যথেষ্ট বিশ্বাস আছে যে, এই পর্যন্ত আপনার সি সি লোন নিয়ে অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে গেছে।

তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

সেটি হল যদি আপনি সিসি লোন নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

তো এবার আমি আপনাকে সেই সি সি লোনের সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কার্যকরী মূলধন অর্থায়নের উৎস

দেখুন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর বিভিন্ন কারণে কোন একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য আর্থিক সংকট হবে এটাই স্বাভাবিক একটি বিষয়।

কিন্তু যখন আপনি এই ধরনের কোন সমস্যার মধ্যে পড়বেন। এবং যদি আপনার ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সকল পথ বন্ধ হয়ে যায়।

তখন আপনি এই ধরনের সি সি লোন এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ী কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করতে পারবেন। মূলত এই সি সি লোন এর মাধ্যমে নগদ অর্থের উৎস তৈরি করা যায়।

যার ফলে আপনি আপনার ব্যবসায়ী কার্যক্রম গুলো একবারে সক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালনা করতে পারবেন। এবং তার জন্য যেসব প্রয়োজনে অর্থের প্রয়োজন হয়।

তা আপনি সি সি লোন এর মাধ্যমে মেটাতে পারবেন।

সহজ ব্যবস্থাপনা

যখন আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে আপনার প্রয়োজনে সিসি লোন গ্রহণ করবেন। তখন আপনি দেখতে পারবেন যে এই ধরনের লোন নেয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা জটিলতা নেই।

বরং একজন ব্যক্তি চাইলে খুব সহজেই যে কোনো ব্যাংক থেকে মাত্র কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে সিসি লোন গ্রহণ করতে পারে। তবে শুধুমাত্র একজন লোন গ্রহণ কারীর পক্ষেই নয়।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

বরং যে ব্যাংক থেকে আপনাকে এই ধরনের সি সি লোন প্রদান করা হবে। সেই ব্যাংক মাত্র কয়েক টি পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে। আপনাকে এই ধরনের সি সি লোন প্রদান করতে পারবে।

কেননা এই ধরনের লোন নেয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে জামানত হিসেবে উক্ত ব্যাংকের মধ্যে রাখতে হবে। আর যখন আপনি আপনার জামানত রাখবেন।

তখন ব্যাংক আপনার যোগ্যতা এবং ক্ষমতা বিবেচনা করার পরে সি সি লোন প্রদান করবে। যা খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া।

নমনীয়তা

মূলত এই ধরনের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আপনি একজন কোম্পানির মালিক হিসেবে আপনার প্রতি যথেষ্ট পরিমাণে নমনীয়তা প্রদান করা হবে।

এবং আপনার নগদ ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট থেকে ধার নেয়া সীমা অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত। আপনি আপনার চাহিদা মত টাকা তুলতে পারবেন।

অপর দিকে যদি আপনি এই ব্যাংক এর মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে নগদ জমা রাখেন। সে ক্ষেত্রে আপনি সুদের ক্ষেত্রেও অনেক নমনীয়তা দেখতে পারবেন।

কেননা আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে নগদ জমা হয়ে থাকে। তাহলে আপনার সুদের পরিমাণ অনেক কমে যাবে।

মূলত এইসব নমনীয় বিষয় গুলো আপনি ভোগ করতে পারবেন।

কর ছাড় সম্ভব

কোম্পানি এর সামগ্রিক কর এর বোঝা কমানোর বিষয় টি তে সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। মূলত এই করের বোঝা কমিয়ে দেয়ার জন্য সুদের পেমেন্টের উপর কর কমিয়ে দেওয়া হয়।

যখন আপনি একজন কোম্পানির মালিক হয়ে নির্দিষ্ট কোন একটি ব্যাংক থেকে সিসি লোন গ্রহণ করবেন। তখন আপনি এই ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর যদি আপনি আপনার এই কর এর বোঝা অনেক হালকা করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার কোম্পানির অতিরিক্ত তহবিল সিসি লোন নেওয়া ব্যাংকের মধ্যে গিয়ে জমা করতে হবে।

তাহলে আপনি এই ধরনের বিশেষ সুবিধা টি ভোগ করতে পারবেন।

সুদ

সি সি লোন নেয়ার মানে হলো আপনি সেই নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ ধার হিসেবে নিলেন। আর যখন আপনি অন্য কোন ব্যাংক থেকে লোন তুলবেন।

তখন কিন্তু সেই লোন এর টাকার উপর ভিত্তি করে সুদ প্রদান করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি সি সি লোন নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কোন প্রকার অতিরিক্ত হারে সুদ প্রদান করার প্রয়োজন হবে না।

বরং আপনি এখানে শুধু মাত্র নূন্যতম কিছু কমিটমেন্ট ফি প্রদান করে উক্ত সি সি লোন নিতে পারবেন।

আর এই ধরনের লোনের ক্ষেত্রে আপনাকে আর বাড়তি টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না।

সি সি লোনের অসুবিধা

উপরের আলোচনা থেকে আপনি সি সি লোন কি এবং সি সি লোনের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেই সাথে আমি আপনাকে এই সি সি লোন এর সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তো আপনি যদি উপরোক্ত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি একবারে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তবে এই সবকিছু জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেটি হলো যে, সিসি লোনের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

যে গুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। চলুন এবার তাহলে সেই সি সি লোনের অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সুদের উচ্চ হার

যদি আপনি এই ধরনের সি সি লোন গ্রহণ করেন। তাহলে আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর সেই বিষয় টি হলো যে, এই ধরনের সি সি লোন এর ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। মূলত আমরা যখন অন্যান্য ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের লোন নিয়ে থাকি।

সেই লোন গুলো নেওয়ার পরে যে পরিমাণ সুদ প্রদান করার প্রয়োজন হয়। তার থেকে অতিরিক্ত হারে এই ধরনের সি সি লোন এর ক্ষেত্রে সুদ এর পরিমাণ দেখতে পারবেন।

ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি চার্জ

মূলত আপনি একজন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যখন এই ধরনের সিসি লোন গ্রহণ করবেন। তখন আপনি নগদ ক্রেডিট ব্যবহার করুন অথবা না করুন।

আপনার কাছ থেকে কিন্তু ঠিকই একটি প্রতিশ্রুতি চার্জ কেটে নেওয়া হবে। যা অনেকের কাছে বেশ অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সুরক্ষার ক্ষেত্রে জটিলতা

আমি উপরেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হলো যে, যখন আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে সি সি লোন গ্রহণ করার জন্য।

নির্দিষ্ট কোন ব্যাংকের মধ্যে যোগাযোগ করবেন। তখন তারা আপনার বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করবে। যেমন, আপনার ঋণ গ্রহণ করার ক্ষমতা আছে কিনা।

এবং আপনার এই ঋণ গ্রহণ করার জন্য যোগ্যতা আছে কিনা। এবং তারপরে কিন্তু এই ধরনের সি সি লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।

আর আপনি যদি নতুন কোন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার এই ধরনের সি সি লোন বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

কেননা অধিকাংশ ব্যাংক নতুন কোম্পানি গুলো কে এই ধরনের সি সি লোন প্রদান করতে চায় না।

অর্থের অস্থায়ী উৎস

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জেনেছি যে, এই ধরনের সি সি লোন মূলত অনেক স্বল্প মেয়াদি হয়ে থাকে।

কেননা যখন আপনি এই ধরনের লোন গ্রহণ করবেন। তারপর ১২ মাসের মধ্যেই আপনাকে এই ঋণ গুলো পরিশোধ করে দিতে হবে।

সে ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছেন। যারা মূলত এত কম সময়ের মধ্যে লোন নিয়ে খুব বেশি একটা নির্ভরশীল হতে পারে না।

সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তারা যে কাজের জন্য ঋণ গ্রহণ করে। সেই কাজ সম্পন্ন না হওয়ার আগেই উক্ত ঋণ টি পরিশোধ করে দিতে হয়।

আমাদের শেষ কথা

তো আমরা যারা এই সি সি লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা টি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে সি সি লোন এর যে সকল বিষয়ে রয়েছে। তার প্রতি টি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

আপনি আরোও দেখুন…

তো আপনি যদি আজকের এই আলোচিত আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন। তাহলে আপনার এই সি সি লোন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সম্পর্ক পরিষ্কার ধারণা চলে এসেছে।

আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top