স্টার্টআপ কি | Startup এর কাজ কি | Startup Meaning in Bengali

স্টার্টআপ কি : (What Is Startup in Bengali) যখন কোন কিছুর মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসার লক্ষ্যে নতুন কোন ব্যবসা আইডিয়া আসে।

স্টার্টআপ কি | Startup এর কাজ কি | Startup Meaning in Bengali
স্টার্টআপ কি

এবং সেই আইডিয়া কে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট কিংবা বড় পরিসরে কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায়। তখন তাকে বলা হয়, স্টার্টআপ।

যা আমাদের বাংলা ভাষায় বলা হয়, উদ্যোক্তা। তবে এই স্টার্টআপ এর মাধ্যমে যেহেতু নতুন ব্যবসার আইডিয়া এর উদ্ভব হয়।

সেহেতু এই ধরনের ব্যবসার মাধ্যমে কাস্টমার নতুন নতুন প্রোডাক্ট এর সাথে পরিচিত হয়।

তো আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে, স্টার্টআপ (Startup ki) কি।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

এবং সেই সাথে আমি আপনাকে স্টার্টআপ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। এর পাশাপাশি আপনি একজন ব্যক্তি হয়ে কিভাবে স্টার্টআপ শুরু করবেন।

সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক Startup কি বা Startup কাকে বলে।

স্টার্টআপ কি ? (Startup Meaning in Bengali)

[su_highlight background=”#e5b29b”]সহজ কথায় বলতে গেলে যখন কোন একটি নতুন ব্যবসা করার আইডিয়া আসে। এবং সেই ব্যবসার আইডিয়াটির মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বৃহৎ কিংবা স্বল্প পরিসরে এক বা একাধিক ব্যবসা শুরু করা হয়। এবং সেই ব্যবসার মাধ্যমে যখন কাস্টমাররা নতুন নতুন প্রোডাক্টের সাথে পরিচিত হয়। তখন সেই ধরনের ব্যবসার প্রক্রিয়া কে বলা হয় থাকে, স্টার্টআপ। [/su_highlight]

কারণ এই ধরনের স্টার্টআপ এর মাধ্যমে এমন কিছু করা হয়, যা পূর্বে কখনোই সম্ভব হয়নি। আর এর কারণেই মানুষ এই ধরনের ব্যবসা থেকে নতুন নতুন প্রোডাক্টের সাথে পরিচিত হয়।

এবং সেই ধরনের প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়। আর এমন নতুন নতুন ব্যবসার উদ্ভব কে বলা হয় থেকে, স্টার্টআপ।

যা আমাদের বাংলাদেশ এর ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, উদ্যোক্তা। যার মাধ্যমে নতুন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়।

এর পাশাপাশি মানুষ তাদের এই ব্যবসা থেকে নতুন নতুন পণ্য এর সাথে পরিচিত হয়। আশা করি স্টার্টআপ কি সে সম্পর্কে আপনি পরিস্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

স্টার্টআপ বলতে কি বুঝায় – (What Is Startup)

দেখুন একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হওয়ার শুরুর দিকে বেশ কিছু প্রাথমিক বিষয় রয়েছে। যে বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হয়।

এর পাশাপাশি উক্ত বিষয় গুলোর সাথে একটি কোম্পানির যাবতীয় কাজ গুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তো যখন আপনি কোন ধরনের স্টার্টআপ শুরু করবেন।

তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট এর চাহিদা এবং যোগান সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

কারণ প্রতিটা কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের কোম্পানি থেকে উৎপাদিত হওয়া প্রোডাক্ট গুলোর চাহিদা কেমন রয়েছে। তা বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হয়।

তবে এই আলোচনা থেকে এখন হয়তো বা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে। নতুন কোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা মানে কি, স্টার্টআপ?

আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব যে, না। প্রতিটা নতুন কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হওয়া মানেই স্টার্টআপ নয়।

বরং আপনার সদ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া কোম্পানি থেকে যখন এমন কোন ধরনের প্রোডাক্ট উৎপন্ন হবে। যা মূলত এর আগে কোন কোম্পানি উৎপাদন করেনি।

এবং যখন আপনার এই প্রোডাক্ট এর চাহিদা যথেষ্ট পরিমাণে থাকবে। তখন কিন্তু আপনার সেই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া কে স্টার্টআপ হিসেবে ধরা হবে।

স্টার্টআপ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য

এতক্ষণের আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন যে, স্টার্টআপ কি এবং স্টার্টআপ বলতে কি বুঝায়।

তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে স্টার্টআপ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা আপনি স্টার্টআপ এর মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারবেন।

তবে তার মধ্যে যে গুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান। সে গুলো নিয়ে এবার আমি কথা বলার চেষ্টা করব। তো চলুন এবার স্টার্টআপ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. স্টার্টআপ সর্বদাই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আইনি অবকাঠামো সহ, তাদের ব্যবসার অবস্থান সম্পর্কে সর্বদাই সতর্ক থাকে।
  2. যে প্রোডাক্টের উৎপাদন করা হয় সেই প্রোডাক্ট এর চাহিদা কতটুকু রয়েছে তা বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হয়।
  3. স্টার্টআপ সর্বদাই চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট উৎপাদন করার দিকে যথেষ্ট পরিমাণে ফোকাস রাখা হয়।
  4. স্টার্টআপ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ঝুঁকি থাকে। কারণ এই ধরনের প্রোডাক্ট এর আগে কেউ উদ্ভাবন করেনি।
  5. এই ধরনের স্টার্টআপ এর মধ্যে ব্যর্থতা বা লস হওয়ার সম্ভাবনা অধিক থাকে।
  6. মূলত স্টার্টআপ এর জন্য যে পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। সে গুলো বিভিন্ন ধরনের ঋণ, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

তো স্টার্টআপ এর প্রধান যে বৈশিষ্ট্য গুলো রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি স্টার্টআপ এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

চলুন এবার স্টার্টআপ রিলেটেড অন্যান্য বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্টার্টআপ শুরু কিভাবে করবেন ?

যদিও বা উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে স্টার্টআপ কি এবং স্টার্টআপ এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

তো এখন এই বিষয় গুলো জানার পরে এমন অনেকেই জানতে চাইবেন যে। কিভাবে স্টার্টআপ শুরু করা যায়।

তাই চলুন এবার তাহলে এই বিষয় টি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। এবং কিভাবে স্টার্টআপ শুরু করা যায় সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

শুরুতেই আপনাকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। সেটি হল যে, আপনি যখন কোন ধরনের ছোট কিংবা বড় ব্যবসা শুরু করতে যাবেন।

তখন অবশ্যই আপনার মধ্যে যথেষ্ট পরিকল্পনা, অনেক পরিশ্রম করার মানসিকতা। সেই সাথে পর্যাপ্ত মূলধন ইনভেস্ট করার মত সামর্থ্য থাকতে হবে।

আর তারপরে আপনি আপনার স্বপ্নের ব্যবসা টি চালু করতে পারবেন। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনার স্টার্টআপ শুরু করার কথা মাথায় আসবে।

তখনও কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে সঠিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

স্টার্টআপ শুরু করার প্রক্রিয়া

দেখুন আমি উপরের আলোচনা তে আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল, আপনি যখন স্টার্টআপ শুরু করবেন।

তখন কিন্তু আপনাকে বিশেষ কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। যাতে করে আপনার উদ্দেশ্য গুলো সফল হয়। আর সেই প্রক্রিয়া গুলো নিয়ে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব।

যাতে করে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারেন যে, কিভাবে স্টার্টআপ শুরু করা যায়।

দারুণ আইডিয়া দিয়ে শুরু করুন

সবকিছুর ক্ষেত্রে আপনি যদি উপযুক্ত আইডিয়া খুঁজে নিতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি উক্ত কাজটি তে সফলতা লাভ করতে পারবেন।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন স্টার্টআপ শুরু করবেন। তখন কিন্তু আপনাকে দারুন সব আইডিয়া সংগ্রহ করতে হবে। এবং সেই আইডিয়া গুলো কে কাজে লাগিয়ে।

আপনার স্টার্টআপ এর যাবতীয় প্রক্রিয়া গুলো সম্পন্ন করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। তবে স্টার্টআপ শুরু করার জন্য আপনাকে এমন সব আইডিয়া বের করতে হবে।

যার ফলে কাস্টমাররা যেন তাদের চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারে। আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয় দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

যেমন, আপনার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান থেকে যে সকল প্রোডাক্ট উৎপাদন করা হয়। সেই প্রোডাক্ট গুলোতে সর্বদাই নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে দিতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনার যে সকল প্রোডাক্ট রয়েছে। সেই প্রোডাক্ট গুলোর গঠন পূর্বের তুলনায় পরিবর্তন করে রাখতে হবে।

যাতে করে কাস্টমার সেই প্রোডাক্ট এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এবং আপনার এই প্রোডাক্টের মাধ্যমে নতুনত্ব খুঁজে পায়।

ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরী করুন

পূর্ব পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন স্টার্টআপ শুরু করার কথা ভাববেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি যদি ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেন।

তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই বিষয়ে রয়েছে। অর্থাৎ কোন একটি ব্যবসা শুরু করার সময় অবশ্যই আপনাকে যথেষ্ট বিচার বিবেচনা করে পরিকল্পনা করতে হবে।

এবং পরবর্তী সময়ে এসে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তবে এখন জানার বিষয় হলো যে, আপনি যখন স্টার্টআপ শুরু করবেন।

তখন আপনাকে কোন ধরনের পরিকল্পনা গুলো করতে হবে। তো আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, আপনার স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানের ফাইন্যান্স অপারেশন, মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার ইন্ডাস্ট্রি।

এই যাবতীয় বিষয় গুলো পরিকল্পনার মধ্যে রাখতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

ফান্ডিং এর পথ নিরাপদ করুন

আমরা সবাই জানি যে, ব্যবসা করার মূল অবকাঠামো হলো, ইনভেস্টমেন্ট। অর্থাৎ আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত ইনভেস্টমেন্ট করতে পারবেন না।

ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। আর একই চিত্র আপনি স্টার্টআপ এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে পারবেন।

কারণ কোন ধরনের স্টার্টআপ শুরু করার ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। তবে এক এক মানুষের ক্ষেত্রে এই ধরনের ইনভেস্টমেন্ট এর পরিমাণ এক এক রকম হয়ে থাকে।

আপনি জানতে পারবেন…

মূলত সেটা নির্ভর করবে আপনি আসলে কোন ধরনের স্টার্টআপ শুরু করতে চাচ্ছেন তার ওপর।

তবে আপনি যখন স্টার্টআপ শুরু করবেন, তখন অবশ্যই আপনার ফান্ডিং এর পথ নিরাপদ রাখবেন।

নিজেকে কার্যকরী ও সঠিক মানুষদের সাহচর্যে রাখুন

আমাদের সবার একটা বিষয় বেশ ভালো করেই জানা থাকবে। আর সেই বিষয় টি হলো, কোন একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন রকম মানুষ এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কেননা আপনি একজন মানুষ হয়ে কখনোই একটি কোম্পানি কে পরিচালনা করতে পারবেন না।

সে ক্ষেত্রে আপনার কোম্পানি টি সচল রাখার জন্য কনস্ট্রাক্টর, সহ প্রতিষ্ঠাতা, পেশাদারী বিমা প্রদানকারী, হিসাব রক্ষক ইত্যাদি এর প্রয়োজন হবে।

তবে যখন আপনি এই ধরনের মানুষ গুলোর সাহায্য আপনার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কথা চিন্তা করবেন।

তখন অবশ্যই আপনি এমন মানুষ গুলো কে নির্ধারণ করবেন। যারা আপনার স্টার্টআপ এর জন্য একবারই উপযুক্ত এবং কার্যকরী।

যারা আপনার প্রতিষ্ঠান কে সফলতার দিকে অগ্রসর করতে পারবে। এমন সঠিক মানুষদের সহচর হিসেবে রাখার চেষ্টা করবেন।

সমস্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন

স্টার্টআপ শুরু করার সময় অবশ্যই আপনাকে সমস্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন, আপনি যখন কোন ধরনের স্টার্টআপ শুরু করবেন।

তখন অবশ্যই আপনার প্রতিষ্ঠান এর নামটি নিবন্ধন থাকতে হবে। সেই সাথে আপনার ব্যবসার লাইসেন্স, টেক্স আইডি, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি থাকতে হবে।

আর যখন আপনার কাছে এই ধরনের আইনি ডকুমেন্টস গুলো থাকবে। তখন আপনি পরবর্তী সময়ে একটা বিশেষ সুরক্ষা পাবেন।

যাতে করে পরবর্তী সময়ে যদি কোন আইনি ঝামেলা হয়। তাহলে আপনি আপনার এই ধরনের ডকুমেন্ট গুলো প্রদান করতে পারেন।

মার্কেটিং কৌশল তৈরী করুন

যে কোনো কাজে আপনি যত দক্ষতার সহিত কৌশল তৈরি করতে পারবেন। আপনি সেই কাজ টি তে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ঠিক তেমনি ভাবে স্টার্টআপ শুরু করার ক্ষেত্রেও আপনাকে একই বিষয় এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যখন স্টার্টআপ শুরু করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এমন ধরনের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। যা মূলত আপনার মার্কেটিং এর কাজে সফলতা নিয়ে আসতে পারে।

এর পাশাপাশি আপনার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার খ্যাতি বৃদ্ধি করার জন্য। এই ধরনের কৌশল গুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্টার্টআপ ব্যবসার সুবিধা এবং অসুবিধা

আপনি যদি স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করেন। তাহলে আপনি সুবিধা এবং অসুবিধা দুটিই লক্ষ করতে পারবেন।

তো এবার আমি আপনাকে স্টার্টআপ ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনার এই বিষয় টি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে। চলুন সবার আগে স্টার্ট আপ ব্যবসার সুবিধা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

স্টার্টআপ ব্যবসার সুবিধা

দেখুন আপনি যদি স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যে সুবিধা গুলোর তালিকা এবং বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • দ্রুততাঃ দেখুন প্রতিটা ব্যবসার মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হয়। ঠিক তেমনি যখন আপনি স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করবেন।
  • তখন আপনাকে প্রতিনিয়ত কৌশল বদলাতে হবে। কেননা এই ধরনের স্টার্টআপ ব্যবসা গুলোর ক্ষেত্রে পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • দক্ষতাঃ বিভিন্ন ধরনের স্টার্টআপ ব্যবসা গুলো খুব স্বল্প পরিসরে হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যবসা গুলোর ক্ষেত্রে লোক বলের পরিমাণ খুব কম প্রয়োজন হয়।
  • যার ফলে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য। আপনি খুব সহজেই আপনার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  • এর পাশাপাশি আপনার কোম্পানি তে যে সকল জনবল থাকবে। তারাও কিন্তু তাদের যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।
  • এতে করে আপনি সহ আপনার কোম্পানির জনবল সবাই স্টার্টআপ ব্যবসার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
  •  বহুমুখীতা ও নমনীয়তাঃ যেহেতু এই ধরনের স্টার্টআপ ব্যবসার জনবল খুব কম হয়। সেহেতু বিভিন্ন ধরনের কাজ গুলো এই কম জনবল দিয়ে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
  • এর ফলে যখন একই কাজ একজন ব্যক্তি বিভিন্ন পদ্ধতি তে করে। তখন তার ভুল গুলো শুধরে নেয়ার সুযোগ থাকে।
  • যার ফলে একটা সময় আপনি এই স্টার্ট আপ ব্যবসার কাজ গুলো ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে করতে পারবেন।

উপরে আপনি বেশ কিছু স্টার্টআপ ব্যবসার সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারছেন। তবে এ গুলোর বাইরে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

চলুন এবার তাহলে স্টার্টআপ ব্যবসার অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্টার্টআপ ব্যবসার অসুবিধা

আপনার বেশ ভালো করেই জেনে রাখা উচিত যে। স্টার্ট আপ ব্যবসার যেমন সুবিধা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে স্টার্টআপ ব্যবসার বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

আর এবার আমি আপনাকে স্টার্টআপ ব্যবসার অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

  • ঝুঁকিঃ যদি আপনি স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে অবশ্যই একটা বিষয় মাথায় রাখবেন।
  • আর সেই বিষয়টি হলো যে, এই ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকি রয়েছে। আর এখানে এত বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
  • যে আপনার সঠিক কৌশল গুলো অনেক সময় অকার্যকর হয়ে পড়বে। তাই স্টার্টআপ ব্যবসা করার আগে অবশ্যই এই ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিবেন।
  • মূলধনের স্বল্পতাঃ যেহেতু এই ধরনের স্টার্টআপ ব্যবসা গুলো কম বাজেটের মধ্যে হয়ে থাকে।
  • সেহেতু হঠাৎ করে যখন আপনার প্রতিযোগী হিসেবে বড় কোন কোম্পানি আসবে। তখন কিন্তু আপনি দিশেহারা হয়ে পড়বেন।
  • এবং সেই সময় যদি আপনি আপনার বাজেট বৃদ্ধি করতে না পারেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে মার্কেট থেকে ছিটকে পড়তে হবে।
  • বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাঃ মানুষ সর্বদাই পুরাতন ব্রান্ড এর প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।
  • এক্ষেত্রে আপনি যখন স্টার্ট আপ ব্যবসার মাধ্যমে নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন। সেই সময় মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্ট গুলো ততটা ভালো নাও লাগতে পারে।
  • সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে বিপাকে পড়তে হবে। এবং স্টার্টআপ ব্যবসার লস স্বীকার করতে হবে। 

উপরে আপনি বেশ কয়েক টি স্টার্টআপ ব্যবসার অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারছেন। তবে এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের স্টার্টআপ ব্যবসার অসুবিধা রয়েছে।

আপনার জন্য আরোও আছে…

যদি আপনি সে সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

স্টার্টআপ নিয়ে আমাদের কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে। আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, স্টার্টআপ কি এবং স্টার্টআপ ব্যবসার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।

তো আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি স্টার্টআপ কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো নিয়মিত জানতে হলে, আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমাদের এই লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top