হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে | জেনেনিন সকল তথ্য বাংলাতে

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে : How To Apply For Home Loan in Bengali ? আমরা অনেক সময় জানতে চাই যে, হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে।

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে
হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে

আবার আমরা অনেক সময় Home Loan কি সে সম্পর্কে জানতে চাই। তো আজকে আপনি হোম লোন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন।

মূলত হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে, তার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে। এবং কত দিনের মধ্যে আপনি হোম লোন পাবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তার প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে আজকে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। আর আপনি যদি আজকের আলোচিত হোম লোন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান।

তাহলে আপনাকে একটু হলেও মনোযোগ দিয়ে আজকের পুরো লেখা টি পড়তে হবে।

হোম লোন কি?

হোম লোন যাকে বাংলা ভাষায় বলা হয়ে থাকে, গৃহ ঋণ। আর এই গৃহঋণ মূলত একজন ব্যক্তি তার নিজস্ব সম্পত্তি বন্ধক রেখে নিতে পারবে।

কেননা হোম লোন এর মধ্যে রয়েছে সাশ্রয়ী সুদের হার। এবং আপনি চাইলে দীর্ঘ সময় ধরে এই ঋণের টাকা শোধ করতে পারবেন।

আর যখন আপনি হোম লোন নিবেন। তখন আপনাকে এই ঋণের টাকা গুলো সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক ভিত্তিতে পেমেন্ট করতে হবে।

এবং যখন আপনি আপনার সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করবেন।

তখন আপনার ব্যাংকের মধ্যে জমা করে সেই সম্পত্তির নথিপত্র গুলো ফিরে পাবেন। মূলত এই ধরনের ঋণ কে বলা হয়ে থাকে, হোম লোন।

কেন হোম লোন নিবেন?

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে এই বিষয়টির আগে আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি কেন হোম লোন নিবেন।

তো এই হোম লোন নেয়ার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, যখন আপনি হোম লোন বা গৃহঋণ নিবেন।

তখন আপনার ঋণের উপরে যে সুদের হার থাকবে, সেটা কিন্তু অনেক সাশ্রয়ী।

এর পাশাপাশি ঋণ নেওয়ার পরে আপনি ঋণের টাকা গুলো সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কিংবা মাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।

এবং যখন আপনি আপনার সম্পূর্ণ ঋণের টাকা গুলো পরিশোধ করতে পারবেন।

তখন ব্যাংকের কাছে জমা থাকা আপনার সম্পত্তির নথিপত্র কিংবা অন্যান্য নথিপত্র গুলো পুনরায় ফেরত নিতে পারবেন।

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে ?

এতক্ষণ থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, হোম লোন কি। তো এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে।

অর্থাৎ আপনি একজন সাধারণ ব্যক্তি, এখন কিভাবে আপনি হোম লোনের জন্য আবেদন করবেন।

এবং কিভাবে আপনি হোম লোন নিবেন সে বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়া টা অত্যন্ত জরুরী।

তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে।

ঋণের আবেদন পত্র পূরণ করে নিজের নথি যুক্ত করুন

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে যারা আসলে এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলবো যে, সর্ব প্রথম আপনাকে ঋণের আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

আর যখন আপনি ঋণ নেওয়ার আবেদন পত্র সংগ্রহ করবেন। তখন সেই আবেদন পত্রের মধ্যে যে সকল তথ্য আপনাকে দিতে হবে।

সে গুলো সব সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এর পাশাপাশি আপনাকে যে সকল ডকুমেন্টস যুক্ত করতে বলবে। আপনি অবশ্যই খুব সতর্কতার সহিত সেই নথি গুলো যুক্ত করবেন।

তবে যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হয়ে হোম লোন এর জন্য আবেদন করবেন।

তখন আপনাকে বেশ কিছু তথ্য এবং ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। আর সে গুলো হলো:

  1. যে ব্যক্তি হোম লোনের জন্য আবেদন করবে। সেই ব্যক্তির পুরো নাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।
  2. লোনের জন্য আবেদন করার ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
  3. সেই সাথে যে ব্যক্তি হোম লোন এর জন্য আবেদন করবে। সেই ব্যক্তির মাসিক আয় কত এবং বাৎসরিক আয় কত তা ঋণের আবেদন পত্রে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  4. সেই সাথে ঋণ নেয়ার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন, তা জানিয়ে দিতে হবে।
  5. যে ব্যক্তি আবেদন করবে সেই ব্যক্তির কোথায় কর্মসংস্থান রয়েছে সেটা উল্লেখ করতে হবে।
  6. ঋণ এর জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ কেমন। এবং তার গৃহস্থ অর্থায়নের উন্নয়ন কেমন সেটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে।

মূলত উপরে আপনি যে সকল নিয়ম গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হল হোম লোন নেওয়ার প্রাথমিক কাজ।

অর্থাৎ হোম লোন নেওয়ার সময় আপনাকে যে ঋণের আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেই আবেদন পত্রে যে সকল তথ্য দিতে হবে।

সে গুলো নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তবে এ গুলো ছাড়াও আপনাকে আরো বেশ কিছু নথিপত্র যুক্ত করে দিতে হবে। আর সেই নথি পত্র গুলো হলো:

  1. আপনি হোম লোন নেয়ার ঋণ আবেদন পত্রে যে আয় এর কথা উল্লেখ করবেন সেটির প্রমাণপত্র লাগবে।
  2. আপনি দেশের বৈধ নাগরিক কিনা সেটা প্রমাণ করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।
  3. আপনি ঋণের আবেদনপত্রে যে বয়স উল্লেখ করেছেন সেটির প্রমাণ দিতে হবে সেটা হতে পারে আপনি আপনার সার্টিফিকেট লাইসেন্স কিংবা আপনার জন্ম সনদ দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন।
  4. ঋণের আবেদনপত্রের মতে আপনার যে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা থাকবে সেই শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
  5. সেই সাথে আপনাকে ব্যাংক এর বিবরণী প্রদান করতে হবে।
  6. আবার সময় অনুসারে আপনার সম্পত্তির বিভিন্ন প্রকারের ডকুমেন্টস দেখানোর প্রয়োজন হতে পারে।

যারা আসলে জানতে চান যে, হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে। তাদের জন্য সর্বপ্রথম যে সকল কাজ করা উচিত। সেই গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

মূলত হোম লোন নেয়ার জন্য যে ঋণের আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হয়, সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এর পাশাপাশি সেই আবেদন পত্রের সাথে কি কি নথিপত্র এর প্রয়োজন হয়, সে গুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে।

চলুন এবার হোম লোন নেয়ার পরবর্তী ধাপ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রসেসিং ফি দিন

আপনি যখন কোন ব্যাংক কিংবা কোন সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ করবেন। তখন সবাই আপনার থেকে কিছুটা হলেও ফরম পূরণ করার পরিবর্তে নির্দিষ্ট একটি ফি নিবে।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি হোম লোন নিতে যাবেন। তখন আপনাকে কিছু পরিমাণ প্রসেসিং ফি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।

তবে যেহেতু আপনি হোম লোন নিবেন, সেহেতু অবশ্যই আপনার হোম লোন নেয়ার প্রসেসিং ফি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর এবার আমি আপনাকে সেই বিষয় টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

যখন আপনি হোম লোন নিতে যাবেন তখন আপনার এই প্রসেসিং ঠিক মূলত 0.25% থেকে শুরু করে 0.50% পর্যন্ত হতে পারে।

তবে আপনি যদি দেখতে পারেন যে, হোম লোন নেয়ার সময় আপনার প্রসেসিং ফি এর পরিমাণ কয়েক গুণ বেশি মনে হয়।

তাহলে আপনাকে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করতে হবে। এবং যদি আপনার এই প্রসেসিং ফি সত্যিকার অর্থেই বেশি নেওয়া হয়ে থাকে।

তাহলে তারা আপনাকে সেই বিষয় টি সম্পর্কে জানিয়ে দিবে, এবং সমাধান করে দিবে।

ব্যাংকের সাথে আলোচনা করে নিন

যখন আপনি হোম লোন নিতে যাবেন তখন সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ঋণের আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। সেই সাথে আপনাকে বেশ কিছু নথিপত্র যুক্ত করতে হবে।

আর যখন আপনি এই যাবতীয় ডকুমেন্টস এবং তথ্য গুলো দিবেন। তারপরে কিছু দিন আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।

কারণ ব্যাংক কতৃপক্ষ আপনার এই যাবতীয় তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই করবে।

আর এই যাচাই বাছাই করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ দিন পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে।

যার পরে আপনাকে ব্যাংক থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। অথবা ব্যাংক এর সাথে যুক্ত থাকা কর্মকর্তারা আপনার স্থায়ী ভবন পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারে।

কেননা তারা যখন কাউকে ঋণ দেয়, তখন তার আর্থিক অবস্থা সহ দেখে নেয়। যাতে করে তারা বুঝতে পারে যে, সে ব্যক্তি ঋণ নেওয়ার পরে তা পরিশোধ করতে পারবে কি না।

এবং যখন দেখবে যে আপনার যাবতীয় তথ্যগুলো সঠিক সেগুলোকে কোন প্রকারের জানিয়ে তিনি তখন কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে আপনার সাথে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা করবে।

নথির মূল্যায়ন করা

আপনার একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আর সেই বিষয় টি হলো যে, শুধুমাত্র আপনি হোম লোন এর জন্য আবেদন করেছেন বিষয় টা আসলে এমন নয়।

বরং আপনার মত এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা প্রতিদিন এই হোম লোন এর জন্য আবেদন করে থাকেন।

তো যখন একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে আপনি হোম লোন নেয়ার জন্য আবেদন করবেন।

তখন আপনার দেওয়া ডকুমেন্টস এবং তথ্য গুলো যাচাই করার জন্য বেশ কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর আপনি যত নির্ভুলভাবে আপনার নথি গুলো প্রদান করবেন।

ঠিক তত দ্রুত আপনার কাজ টি সম্পন্ন হবে। এছাড়াও প্রতিটি ব্যাংক ঋন গ্রহণ কারীদের যাবতীয় তথ্য গুলো যাচাই বাছাই করতে একটু হলেও সময় নিয়ে থাকে।

তবে আপনি যদি কোন প্রকার অসৎ উপায় অনুসরণ করেন। এবং কোন ধরনের জাল নথিপত্র প্রদান করেন।

সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার লোন পাওয়ার বিষয় টি অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।

আর সে কারণে মূলত যখন আপনি হোম লোন নিবেন, তখন আপনার যে সকল তথ্য গুলো দিবেন। এবং যে নথি পত্র গুলো দিবেন, সে গুলো তে যেন কোন প্রকারের জালিয়াতি না থাকে।

তো এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক যে হোম লোন নেয়ার জন্য এমন কোন ধরনের নথিপত্র গুলো দেয়ার প্রয়োজন হয়।

এবং এই নথিপত্র গুলোর সাথে আর কি কি ডকুমেন্টস দিতে হবে।

  1. আপনার সাথে যোগাযোগ করার মতো একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে।
  2. আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি আসলে কোথায় চাকরি করেন সেই প্রতিষ্ঠান এর নাম উল্লেখ করতে হবে।
  3. অবশ্যই আপনাকে নিয়োগ কর্তার প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে।
  4. প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ নাম্বার টি সঠিক ভাবে দিতে হবে।
  5. আপনার বাসস্থানের ঠিকানা দিতে হবে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে ঠিকানা সহ, আপনি যদি আগে অন্য কোথাও বসবাস করতেন সে ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

হোম লোন নেওয়ার সময় নথিপত্র কে অনেক মূল্য দেওয়া হয়ে থাকে। আর সে কারণে আপনি যদি নথি পত্রের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল করেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

সে ক্ষেত্র কিন্তু আপনার লোন নেওয়ার ব্যাপারে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর সে কারণেই উপরে আমি আপনাকে নথি পত্রের মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।

আশা করি আপনি এই আলোচনার মাধ্যমে হোম লোন নেয়ার ক্ষেত্রে নথি পত্রের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ঋণ অনুমোদন এর প্রক্রিয়া

যখন আপনি উপরের কাজ গুলো সঠিক ভাবে করবেন। তখন ব্যাংক কর্মকর্তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে যে আপনাকে লোন দেওয়া হবে কি না।

এবং আপনার ঋণ নেওয়ার আবেদন পত্র টি গ্রহণ করা হবে কিনা। মূলত এটা ব্যাংক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।

তবে আপনি যদি আপনার হোম লোন নেওয়ার আবেদন পত্রটি সঠিক রাখেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে আর কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

কিন্তু আপনি যদি কোন ধরনের নথি পত্র কিংবা আপনার দেওয়া তথ্যের মধ্যে কোন ধরনের ভুল করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার লোন পাওয়া টা অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে।

তবে হোম লোন নেওয়ার আবেদন করার পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে সকল বিষয় গুলোর দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। সেই বিষয় গুলো হলো:

  1. যে ব্যক্তি আবেদন করেছে, সেই ব্যক্তির অভিজ্ঞতা বয়স এবং যোগ্যতা।
  2. আবেদনকারী ব্যক্তির সাথে ব্যাংকের মধ্যে যে লেনদেন রয়েছে, তা যথাযথ ভাবে পরীক্ষা করা হয়।
  3. হোম লোন নেয়ার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির মাসিক এবং বার্ষিক আয় কত তা চেক করা হয়।
  4. আপনি যদি কোন ব্যবসার সাথে নিযুক্ত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার ব্যবসার ধরন কি সেটি নিরীক্ষণ করা হয়।
  5. সেই সাথে আপনি ঋণ নেওয়ার পরে এই ঋণের টাকা সহ ঋণের টাকা অনুযায়ী যে সুদ আসবে। সেটি শোধ করতে পারবেন কিনা সেটি যাচাই করা হয়।

তো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে আপনার যে সকল বিষয় গুলো মাধ্যমে ঋণদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সেই বিষয় গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আর আপনি যখন হোম লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই এই বিষয় গুলো নির্ভুল ভাবে প্রদান করার চেষ্টা করবেন।

যাতে করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাকে কোন ধরনের সন্দেহ না হয়।

অফার লেটারের প্রক্রিয়াকরণ

সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, যখন আপনি হোম লোন নেওয়ার জন্য এই যাবতীয় প্রক্রিয়া গুলো সম্পন্ন করবেন।

তখন ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি প্রত্যায়িত অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। এখনো হয়তোবা আপনি ভাবছেন যে, সেই প্রত্যায়িত অফার লেটার এর মধ্যে কি কি থাকবে।

তো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো যে, সেই লেটারের মধ্যে কি কি থাকবে।

  1. আপনাকে যে ঋণ প্রদান করা হবে সেই মোট ঋণের উপর সুদের হার উল্লেখ করা থাকবে।
  2. আপনি যে ঋণ গ্রহণ করবেন, সেই ঋণের মেয়াদ কত বছর পর্যন্ত সেটির বিবরণী উল্লেখ থাকবে।
  3. ঋণ পরিশোধের ধরন কি রকম হবে সেটা পরিস্কার ভাবে লেখা থাকবে।
  4. হোম লোনের মেয়াদ কত বছর পর্যন্ত, হোম লোনের পলিসি গুলো কি কি এবং শর্তাবলী গুলো কি সে গুলো অফার লেটারের মধ্যে উল্লেখ থাকবে।
  5. অবশ্যই সেই প্রত্যায়িত অফার লেটার এর মধ্যে স্বীকৃতি পত্র থাকবে।
  6. আপনাকে যে ঋণ প্রদান করা হয়েছে সেই ঋণের সুদ এর ক্ষেত্রে কি রকম সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা উল্লেখ থাকবে

তো হোম লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে আপনাকে যে প্রত্যায়িত অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। তার মধ্যে যে সকল বিষয়বস্তু থাকবে।

সেই বিষয় বস্তু গুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, হোম লোন নেওয়ার এই প্রত্যায়িত অফার এটা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

একটি আইনি চেক দ্বারা সম্পত্তির কাগজ পত্রের প্রক্রিয়াকরণ

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে সত্যি বলতে এই হোম লোন পেতে গেলে আপনাকে অনেক গুলো কাজ করতে হবে।

আর যখন আপনি উপরের এই যাবতীয় কাজ গুলো করবেন। তখন কিন্তু আপনাকে হোম লোন প্রদান কারী ব্যাংক, আইনি ভাবে আপনার সম্পত্তির কাগজপত্র গুলো যাচাই-বাছাই করবে।

যেমন ধরুন, যে আপনি একজন লোন গ্রহণকারী হিসেবে আপনার যে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে। সেই ঠিকানার মধ্যে যে সম্পত্তি রয়েছে সেই সম্পত্তিটুকু একান্ত আপনার কিনা, তা যাচাই-বাছাই করবে।

তো ব্যাংক থেকে আপনার এই ধরনের প্রয়োজনীয় সম্পত্তি গুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই বাছাই সম্পন্ন করবে।

ঋণের চূড়ান্ত চুক্তি ও স্বাক্ষর করা

যখন আপনি হোম লোন নেওয়ার জন্য উপরোক্ত কাজ গুলো সম্পন্ন করবেন। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে আপনার সাথে চূড়ান্ত ভাবে চুক্তি করবে।

আর সেই চুক্তিপত্রের মধ্যে স্টাম্প লাগিয়ে সে গুলো তে আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে। আর যখন আপনি এই চুক্তি পত্রের মধ্যে স্বাক্ষর করবেন।

তখন আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে ব্যাংক আপনাকে এই হোম লোন দেয়ার জন্য একেবারেই প্রস্তুত।

এবং আপনাকে কবে ঋণ প্রদান করা হবে সে বিষয় টি সম্পর্কে আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে।

এবং তারা আপনাকে বলে দিবে যে, এই ঋণ বিতরণ কবে শুরু হবে।

ঋণ বিতরণ

এটি হলো হোম লোন নেওয়ার সর্বশেষ ধাপ। অর্থাৎ উপরের ধাপ গুলো তে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জমা দিবেন।

এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে আপনার দেওয়া এই তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।

এবং যাচাই-বাছাই শেষে যদি আপনার দেওয়া নথিপত্র এবং তথ্যের মধ্যে কোন ধরনের ভুল বা জালিয়াতি পাওয়া না যায়। তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে ঋণ দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রদান করবে।

এবং সবশেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার নথিপত্র গুলো যাচাই বাচাই করবে। তারপরে চুক্তিপত্রের মধ্যে আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে।

আর সব শেষে ব্যাংক থেকে আপনাকে হোম লোন বিতরণ করা হবে।

হোম লোন নিয়ে আমাদের শেষ কথা

হোম লোন নেওয়ার জন্য আমরা অনেকেই চেষ্টা করে থাকি। কেননা যখন আপনি হোম লোন গ্রহণ করবেন।

তখন আপনার সুদের পরিমাণ অনেক সাশ্রয়ী থাকবে। তো সে কারণে মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, হোম লোন কি এবং এই হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তো আপনি যদি আজকের আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আমাদের দীর্ঘ বিশ্বাস যে হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার তথ্য জানতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের ব্যাংক সম্পর্কিত অজানা তথ্য গুলো সবার আগে পেতে চাইলে। আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ পুরো লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top