হার্ডওয়্যার কি ? কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর পরিচিতি 

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বলতে কি বুঝায় ?  হার্ডওয়ার কত প্রকার ও কি কি ? মোবাইল হার্ডওয়্যার কি – যারা মূলত কম্পিউটার ব্যবহার করে।

তাদের জন্য এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

হার্ডওয়্যার কি ? কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর পরিচিতি 
হার্ডওয়্যার কি ? কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর পরিচিতি

কেননা, আপনি যে ডিভাইস টি ব্যবহার করছেন। সেই ডিভাইসে থাকা হার্ডওয়্যার সম্পর্কে যদি পূর্নাঙ্গ ভাবে না জানেন। তাহলে কিন্তুু আপনি বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন। 

শুধু তাই নয়, এগুলো ছাড়াও আরও অনেক রকমের বিষয় আছে।

যেমন, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি, হার্ডওয়্যার এর কাজ কি এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মিলে কি তৈরি হয়

এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়াটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।

হ্যালো বন্ধুরা, Bangla it blog এর হার্ডওয়্যার কি নিয়ে লেখা নতুন একটি আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হার্ডওয়্যার কি -তা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করবো। 

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি | Know about Hardware 

হার্ডওয়্যার কি এই আলোচনায় আপনি জানতে পারলেন যে, কম্পিউটার কে সম্পূর্ন করতে যেসব কিছুর প্রয়োজন হয়। তাকে বলা হয়, হার্ডওয়্যার

কিন্তুু আপনি যদি নামের অর্থগত দিক গুলোর দিকে নজর দেন। তাহলে কিন্তুু আপনি অনেকখানি ভিন্নতা খুজে পাবেন ৷ চলুন এবার সেই ভিন্নতা নিয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করা যাক।

আপনি আরো পড়ুন…

দেখুন, বর্তমান সময়টা যেন প্রযুক্তির সাথে সমান তালে প্রতিযোগীতা করে আসছে। আর সেই সুবাদে কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে ৷

আর এই আপডেট করার জন্য কম্পিউটার ডিভাইসে থাকা Hardware গুলোর মধ্যে নানাবিধ প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে।

মূলত হার্ডওয়্যার এর Hard কথাটির বেশ কিছু দিক আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, যদি কোনো কম্পিউটার ডিভাইস এর এক বা একাধিক পার্ট খারাপ বা নষ্ট হয়ে যায়।

তখন কিন্তুু এই পার্ট গুলোকে বদল বা পরিবর্তন করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। আর সেই কারনেই মূলত এই Hard শব্দটির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

হার্ডওয়্যার কি? | What is hardware? 

সাধারন অর্থে আপনার ব্যবহার করা কম্পিউটার ডিভাইস এর মধ্যে যেসব ic, circuit, component থাকে। সেগুলো কে বলা হয় হার্ডওয়্যার।

মূলত আপনি চাইলে হার্ডওয়্যার কে স্পর্শ বা ছুঁয়ে দেখতে পারবেন ৷ এবং প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে সেই হার্ডওয়্যার কে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

যেমন, একটি কম্পিউটার এর মধ্যে কিন্তুু অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়। যেমন, এক বা একাধিক মনিটর থাকবে।

একটি সিপিইউ (CPU) থাকবে, এছাড়াও মাউস, কিবোর্ড ইত্যাদির সমন্বয়ে কিন্তুু একটি কম্পিউটার কে সম্পূর্ন ডিভাইস বলা হবে।

তো কম্পিউটারে ব্যবহার করা এই সব কিছুকে বলা হয় হার্ডওয়্যার৷ যেগুলো একটি কম্পিউটার এর জন্য অপরিহার্য অংশ।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি ?

সাধারন অর্থে কম্পিউটারে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। যে যন্ত্রপাতি গুলো আপনি নিজের প্রয়োজনে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন ৷

যাদের উপস্থিতি আপনার কম্পিউটারে সর্বদাই থাকে। তাকে বলা হয়, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।

আপনি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার হিসেবে এমন অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি দেখতে পারবেন ৷ যেমন, একটি কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি আছে।

মাউস, কিবোর্ড, মনিটর, সিপিইউ, জিপিইউ এসব কিছুই হলো একটি কম্পিউটার এর অপরিহার্য অংশ। 

তো কম্পিউটারে যেসব যন্ত্রপাতির উপস্থিতি আছে।

যেমন, মনিটর, মাউস, কিবোর্ড ইত্যাদি। মূলত এগুলো কে বলা হয় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার। আশা করি এই বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারছেন। চলুন এবার অন্য টপিকে আলোচনা করা যাক। 

মোবাইল হার্ডওয়্যার কি? 

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি এ বিষয়টি জানার পর আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হলো কম্পিউটারে তো Hardware আছে।

কিন্তুু মোবাইলে কি হার্ডওয়্যার আছে? – যদি থাকে তাহলে মোবাইল হার্ডওয়্যার কাকে বলে? চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

একটি কম্পিউটার এর মতো আপনি মোবাইল ডিভাইসেও অনেক রকমের যন্ত্রপাতি বা পার্টস দেখতে পারবেন।

যেমন, Charging Port, Battery, Headphone ইত্যাদি। যেগুলো ছাড়া আপনি একটি মোবাইল কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না।

তো কম্পিউটার এর মতো মোবাইল ডিভাইস গুলো তে যেসকল পার্টস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত সেই সব পার্টস এর সমন্বয় কে বলা হবে মোবাইল হার্ডওয়্যার। 

হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য 

হার্ডওয়্যার কি এটি তো আপনি জানতে পারলেন। এবার আমাকে একটা প্রশ্নের উওর দিন তো। এই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কি এক জিনিস? – নাকি এই দুটো আলাদা আলাদা অংশের সমন্বয়?

দেখুন আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত Hardware এবং Software কে একই বিষয় মনে করে।

কিন্তুু এটা দুঃখজনক হলেও সত্যে যে, এই দুটো কিন্তুু এক বিষয় নয়৷ যদি আপনি এই দুটো কে একই বিষয় মনে করেন। তাহলে বলবো আপনার ধারনা সম্পূর্ন ভুল।

কারন, হার্ডওয়্যার হলো যন্ত্রাংশের সমন্বয়। এগুলোকে আপনি আপনার চাহিদা মতো স্পর্শ করতে পারবেন। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে এগুলো কে অদল বদল করতে পারবেন।

কোনো কিছু নষ্ট হয়ে গেলে আপনি এগুলো কে পরিবর্তন করতে নিতে পারবেন। অর্থ্যাৎ আপনি হার্ডওয়্যার এর উপস্থিতি দেখতে পারবেন।

অপরদিকে সফটওয়্যার এর দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্যে করতে পারবেন। কেননা, Software অনেকটা দৃশ্যমান হলেও আপনি চাইলে কিন্তুু এগুলো কে স্পর্শ করতে পারবেন না।

কেননা, সফটওয়্যার কোনো যন্ত্রপাতি এর অংশ নয়। কারন বিভিন্ন Programming Language দিয়ে কোডিং করার মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার কে তৈরি করা হয়।

সেজন্য আপনি চাইলেও সফটওয়্যার কে স্পর্শ করতে পারবেন না।

তবে সফটওয়্যার আর হার্ডওয়্যার এর পার্থক্য শুধু স্পর্শের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে।

তবে সেগুলো আমি অন্য একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। কেননা, আমাদের আজকের মূল টপিক হলো হার্ডওয়্যার কি। 

হার্ডওয়্যার এর কাজ কি ?

Software নিয়ে লেখা আর্টিকেলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলো নিজের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করিয়ে নিতে পারি।

যেমন, আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার করা ইচ্ছা হলো। তখন আপনি কম্পিউটার কে নির্দেশ করলেন যে, একটি ব্রাউজার চালু করার জন্য।

আপনার জন্য আরো লেখা…

আর সাথে সাথে আপনার কম্পিউটারে একটি Browser চালু হবে। এবং আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

কিন্তুু স্বল্প সময়ের জন্য আপনি কখনও চিন্তা করে দেখেছেন যে, এই কম্পিউটার কিভাবে আপনার নির্দেশ গুলো কে ডিটেক্ট করতে পারে?

আর কিভাবে আপনার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে পারে?

যদি না জানেন, তাহলে শুনুন….

আমরা যখন আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার গুলো কে নির্দেশ করি। তখন এগুলো সবার আগে সেই কম্পিউটারে থাকা সফটওয়্যার গুলো ডিটেক্ট করে নেয়।

এরপর Software এ যে যে সিগন্যাল গুলো থাকে। সেই অনুযায়ী হার্ডওয়্যার কে নিয়ে কাজ করিয়ে নেয়।

যেমন, আপনি যদি কোনো একটি কম্পিউটারে Sound Box সেটআপ করেন। তাহলে কিন্তুু বিনা কারনে আপনার সেই সাউন্ড বক্সটিতে গান বাজবে না।

কারন যতক্ষন না আপনার কম্পিউটারে থাকা সফটওয়্যার আপনার সাউন্ড বক্স কে সিগন্যাল প্রদান করবে না। ততোক্ষণ আপনার বক্সে কোনো প্রকার গান শুনতে পারবেন না। 

এখন যদি আপনি হার্ডওয়্যার এর কাজ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে বলতে হবে যে, সফটওয়্যার মূলত একজন ইউজার এর সাথে হার্ডওয়্যার এর সংযোগ স্থাপন করে।

আর হার্ডওয়্যার এর মূল কাজ হলো Software থেকে আসা নির্দেশ গুলো কে সঠিক ভাবে পালন করা। আর এর কারনে আমরা আমাদের কম্পিউটার কে নিজের চাহিদা মতো ব্যবহার করতে পারি। 

হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি হার্ডওয়্যার রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন৷ আশা করি উপরে আলোচিত আলোচনা গুলো আপনি বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তো এখন আপনার যে বিষয়টি জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি। চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

তো আপনি যদি হার্ডওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনি ২ ধরনের হার্ডওয়্যার দেখতে পারবেন।

অনেকে বলবে যে, কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার কে শুধু দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।  যেমনঃ 

  1. External Hardware এবং 
  2. Internal Hardware

এখন যদি এই দুটোকে সংঙ্গায়িত করতে যাই। তাহলে বলতে হবে যে, কম্পিউটার এর বাইরে যেসব যন্ত্রাংশ দেখা যায়। তাকে বলা হয়, External Hardware.

এবং কম্পিউটার এর ভেতরের দিকে যেসব যন্ত্রাংশ থাকে তাকে বলা হয় Internal Hardware. 

০১| External Hardware কাকে বলে? 

সহজ কথায় কম্পিউটার এর বাহ্যিক দিকে সংযুক্ত থাকা হার্ডওয়্যার গুলো কে বলা হয় External Hardware. অর্থ্যাৎ যে গুলো কে আপনি বাইরে থেকে দেখতে পারবেন।

এবং আপনার প্রয়োজনের তাগিদে সেগুলো কে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন। তাকে বলা হয়, এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার।

হুমমম এটা তো আমরা সবাই বুঝলাম যে, বাহ্যিক দিক থেকে নির্ণয় করা হার্ডওয়্যার গুলোকে এক্সটারনার হার্ডওয়্যার বলা হয়।

আপনি অবশ্যয় পড়ুন…

কিন্তুু এই External Hardware আসলে কোন গুলো? – চলুন এবার সে নিয়ে একটু আলোক পাত করা যাক।

তো এমন অনেক হার্ডওয়্যার আছে। যেগুলো কে External Hardware বলা হয়ে থাকে। যেমনঃ 

  1. মনিটর (Monitor)
  2. মাউস (Mouse)
  3. কি-বোর্ড (Keyboard)
  4. প্রিন্টার (Printer)
  5. স্পিকার (Speaker)
  6. বায়াস (BIOS)
  7. ইউপিএস (UPS)
  8. বাস (Computer Bus)
  9. ফ্ল্যাশ ড্রাইভ (Flash Drive)
  10. বায়ার (Buffer)

উপরে আপনি যে সমস্ত হার্ডওয়্যার এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। সেগুলো মূলত এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার এর আওতায় পড়ে। চলুন এবার ইন্টারন্যাল হার্ডওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক। 

০২| Internal Hardware কাকে বলে? 

যদি আমি সহজ কথায় ইন্টারন্যাল হার্ডওয়্যার কে সংঙ্গায়িত করি। তাহলে বলবো, কম্পিউটার ডিভাইসে ব্যবহার করা অভ্যন্তরিন যন্ত্র বা যন্ত্রের অংশকে বলা হয় Internal Hardware.

এসব ডিভাইস এর ভেতরে থাকে যার ফলে এদেরকে অভ্যন্তরিন হার্ডওয়্যার বলা হয়ে থাকে।

উদাহরণ হিসেবে আপনাকে এমন অনেক এক্সামপল দেয়া যাবে। যেগুলো মূলত Internal Hardware এর আওতা ভুক্ত। যেমনঃ 

  1. Motherboard 
  2. Random Access Memory 
  3. Power Supply 
  4. Hard Drive 
  5. Optical Drive 
  6. Card Reader
  7. Optical Drive
  8. Central Processing Unit
  9. Graphics Processing Unit
  10. Solid-State Drive

তো উপরে আপনি যেসব হার্ডওয়্যার এর নাম দেখতে পাচ্ছেন।

সেগুলো মূলত অভ্যন্তরীন অর্থ্যাৎ Internal Hardware এর আওতাভুক্ত। যেগুলো মূলত একটি ডিভাইস এর ভেতরে অবস্থান করে থাকে। 

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি? 

উপরের আলোচনা থেকে আপনি হার্ডওয়্যার এর দুটি ভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন।

কিন্তুু আপনাকে যদি এখন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তাহলে এর উওরে আপনি কি বলবেন? – নিশ্চই আপনি বলবেন যে, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কে ২ ভাগে ভাগ করা যায়, তাইতো?

শুনুন, যদি আপনি শুধুমাএ হার্ডওয়্যার এর প্রকারভেদ খুজতে যান ৷

তাহলে আপনি এই দুটি ভাগ সম্পর্কে জানতে পারবেন ৷ কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো ৷ কম্পিউটার ডিভাইস এর হার্ডওয়্যার কে মূলত মোট ৫টি ভাগে ভাগ করা সম্ভব ৷ যেমনঃ 

  1. Input Hardware 
  2. Processing Hardware 
  3. Output Hardware
  4. Storage Hardware
  5. Communication Hardware

হয়তবা এটা দেখার পর আপনি বেশ দ্বিধায় পড়ে যেতে পারেন ৷ কেননা, আপনি শুরুর দিকে জানলেন যে, আমরা হার্ডওয়্যার কে ২ টি ভাগে ভাগ করেছি।

আবার এখনও আরও ৫টি ভাগে ভাগ করেছি। এর কারন আসলে কি? 

যদি আপনি এই কারন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আপনাকে পরবর্তী আলোচনা গুলো একটু হলেও মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তো চলুন এবার সেই আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। 

১| Input Hardware কাকে বলে? 

সাধারন অর্থে যেসব ডাটা Raw Data গুলো কে ইনপুট করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেগুলো কে বলা হয় Input Hardware.

সত্যি বলতে এগুলো মূলত সাধারন ভাবে ইনপুট হার্ডওয়্যার এর আওতাভুক্ত।

তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই যে Raw Data ব্যবহার করার জন্য যে ইনপুট হার্ডওয়্যার রয়েছে।

সেগুলো আসলে কি কি? – চলুন এবার আপনার সেই বিষয়টিও ক্লিয়ার ভাবে আলোচনা করা যাক।

সত্যি বলতে Raw Data এর ক্ষেএে এমন অনেক ধরনের ইনপুট হার্ডওয়্যার রয়েছে।

এবং এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো raw data তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ Text, Image, Audio Visual Recoding ইত্যাদি।

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন আমরা কম্পিউটারে যে কিবোর্ড ব্যবহার করি। সেটি মূলত সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা ইনপুট হার্ডওয়্যার এর মধ্যে একটি। 

০২| Processing Hardware কাকে বলে? 

আমরা সবাই জানি যে, প্রসেসিং হলো একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অর্থ্যাৎ আমরা যখন কোনো কাজ করি।

তখন কম্পিউটার কিন্তুু সেই কাজটি কে প্রসেস করে। এবং তারপরই কিন্তুু আমরা মনিটরে সেই কাজের রেজাল্ট দেখতে পাই।

আর এই Processor এর সবচেয়ে অপরিহার্য একটি অংশ হলো মাইক্রোপ্রসেসর। যা আপনার নির্দেশকে প্রথমে নিজের কাছে ডিটেক্ট করবে।

এবং এরপরে আপনার দেওয়া নির্দেশিত কাজ গুলো পর্যায়ক্রমে প্রসেস করবে।

বলা যায়, একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই Processing Hardware.

তবে সঠিকভাবে প্রসেসিং করার জন্য এই প্রসেসর এর Unit গুলো কে আবার ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

💡Control Unit: এই ইউনিটে মূলত প্রসেসর কি কি কাজ করছে। তার একটা পর্যবেক্ষন করার জন্য তদারকি করা হয়ে থাকে ৷

যার ফলে প্রসেসর যদি কোনো সময়ে ওলট পালট কাজ করে। তাহলে সেটা খুব সহজেই ডিটেক্ট করে এই Control Unit.

💡 Logic Unit: সচারচর যেসব গানিতিক অপারেশন রয়েছে। সেগুলো নির্ভুল ভাবে প্রসেসিং করার কাজটি করে থাকে এই Logic Unit.

আপনি এমন অনেক গানিতিক অপারেশন দেখতে পারবেন। যেমনঃ যোগ,গুন, বিয়োগ, ভাগ, সংযোজন ইত্যাদি। 

💡 Register / Cash Unit: অন্যান্য ইউনিট গুলোর তুলনায় রেজিষ্টার / ক্যাশ ইউনিট অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে।

কেননা, একটি ডিভাইস যখন কোনো কিছু কে প্রেসসিং করে। তখন এই ইউনিট টি Control ইউনিট এর নির্দেশনা কে অনুসরন করে। 

০৩| Output Hardware কাকে বলে? 

সহজ ভাষায় যেসব ডেটা বা তথ্য আমাদের সামনে দৃশ্যমান বা প্রদর্শিত হয়৷ সেগুলো যার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

তাকে বলে Output Hardware. অর্থাৎ, আমরা প্রতিনিয়ত কম্পিউটার ডিভাইস গুলো তে কাজ করি। সেগুলোর ফলাফল প্রদর্শন করাই হলো আউটপুট হার্ডওয়্যার এর মূল কাজ।

যেমন ধরুন, আপনি ফটোশপে কোনো ছবি এডিট করার কাজ করছেন। তো যখন আপনি সেই ছবিতে বিভিন্ন ধরন এর ইডিট করার পর তার মধ্যে কি কি পরিবর্তন হচ্ছে।

সেটা মূলত Output Hardware এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। 

০৪| Storage Hardware কাকে বলে? 

এটা খুব সহজ একটা হিসেব, যা খুব সহজে যে কেউ বুঝে নিতে পারবে। কেননা, আমরা কম্পিউটারে ব্যবহার করার সময় যেসব ডাটা আদান প্রদান করা হয়।

তার প্রায় বেশির ভাগ ডাটা মূলত জমা হয়ে থাকে। আর এই ডাটা জমা করার কাজটি করে থাকে এই Storage Hardware.

তবে আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, একটি কম্পিউটার ডিভাইস কিভাবে আমার Data গুলো কে জমা করে রাখে? –

তাহলে শুনুন…

একটি স্টোরেজ হার্ডওয়্যারে কিন্তুু ডাটা জমা করার জন্য অনেক গুলো অংশ রয়েছে। যেমন, Ram, Rom, RDM, DRAM, Associative Memory ইত্যাদি।

আশা করি এবার বিষয়টি সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন৷ 

০৫| Communication Hardware কাকে বলে? 

একটি কম্পিউটার ডিভাইস যে শুধুমাএ তথ্য জমা রাখার কাজ করে।

বিষয়টা কিন্তুু এমন নয়, বরং আপনার কোনো Data জমা রাখার পাশাপাশি সেই তথ্য কে অন্য কোনো স্থানে স্থানান্তরিত করার কাজটিও করে থাকে এই Communication নামক হার্ডওয়্যারটি।

আপনি চাইলে এর মাধ্যমে আপনার যে কোনো ডাটা কে এক স্থান থেকে অন্য কোনো স্থানে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন ৷

তো এখন জানার বিষয় হলো যে, কিভাবে একটি ডিভাইস আপনার দেয়া তথ্য কে একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করতে পারে? – তাহলে শুনুন….

এমন অনেক ধরনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিভাইস রয়েছে। যেগুলো আপনার দেয়া ডাটাকে ট্রান্সফার করার কাজে অনেক গুন বেশি সহায়তা করে থাকে ৷ যেমনঃ

  1. Modem
  2. Switch
  3. Repeater 
  4. Bridge
  5. Router
  6. Getway

তো উপরোক্ত ডিভাইস গুলোর নাম শুনেই হয়তবা বুঝে গেছেন যে, কিভাবে একটি কম্পিউটার ডিভাইস আমাদের ডাটা কে অন্য স্থানে ট্রান্সফার করতে পারে।

আর যদি এখনও না বুঝে থাকেন। তাহলে আপনাকে বোঝার ক্ষমতা আমার নেই। 

হার্ডওয়্যার আপগ্রেড (hardware upgrade) মানে কি?

যখন একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর কোনো হার্ডওয়্যার কে পরিবর্তন করা হয়। কিংবা কাজের সুবিধার কথা বিবেচনা করে তার মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয় ৷

তখন তাকে সহজ কথায় বলা হয়, হার্ডওয়্যার আপগ্রেড। চলুন বিষয়টি আরেকটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করি। যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয়।

আপনি আরো দেখুন…

মনে করুন, আপনি একটা নতুন কম্পিউটার কিনলেন ৷ এবার কিছুদিন পর আপনার মনে হলো যে, আপনার পিসিতে শুধুমাএ 4GB Ram আছে।

কিন্তুু এই Ram দিয়ে আপনি কাজ করতে সুবিধা পাচ্ছেন না। সেজন্য আপনি আরও একটি অতিরিক্ত Ram যুক্ত করে দিলেন। মূলত আপনি যে কাজটি করলেন। এটাকেও বলা হবে, হার্ডওয়্যার আপগ্রেড।

শুধুমাএ নতুন কিছু ইনসার্ট করার ক্ষেএেই নয়। বরং আপনার ডিভাইসের কোনো যন্ত্রাংশ যখন নষ্ট হয়ে যাবে।

তখন আপনাকে পুনরায় একটা নতুন যন্ত্রাংশ কিনে নিয়ে তারপর আপনার পিসিতে সেট করতে হবে। মূলত এটাও হলো Hardware Upgrade. 

হার্ডওয়্যার কি – এ নিয়ে আমাদের শেষকথা

আজকের আর্টিকেলে আমি হার্ডওয়্যার কি তা নিয়ে একেবারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সত্যি বলতে আপনার যদি Hardware রিলেটেড জিরো নলেজ থাকে।

তারপরও আপনি এই আর্টিকেল থেকে সবকিছু অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কিন্তুু এরপরও যদি আপনার মনে কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

আমি যথেষ্ট চেষ্টা করবো আপনার সমস্যা গুলোর সমাধান করার জন্য।

বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top