ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে ইনকাম করার উপায়

ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করাটা খুব জরুরি একটি বিষয়। লেখাপড়া করার পাশাপাশি আপনি যদি পার্ট টাইম জব করে বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।

তাহলে অন্ততপক্ষে আপনার নিজের পকেটমানি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অনেক চাহিদা নিজে থেকেই পূরন করতে পারবেন।

ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে ইনকাম করার উপায়
ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে ইনকাম করার উপায়

বাস্তবিক জীবনে যারা মূলত যারা অধ্যায়নরত অবস্থাতে থাকেন। তাদের জীবনে অনেক ধরন এর অভাব অনটন থাকে। কারন তারা বাবা মা এর কাছ থেকে যে পরিমান টাকা পায়। সেই টাকার পরিমান কিন্তুু অনেক সীমিত হয়ে থাকে।

কেননা, কোনো অভিভাবক তাদের সন্তানদের প্রয়োজন এর বাইরে টাকা দিতে চায় না।

তবে এক্ষেএে বাবা মা এর কোনো দোষ নেই। কারন তারা সর্বোচ্চ চেস্টায় যতটুকু সম্ভব তাদের সন্তানদের খুশি রাখার চেস্টা করে। আর একজন সন্তান এর যতটুকু প্রয়োজন, তার সবটুকুই পূরন করার আপ্রান চেস্টা করে যায়।

কিন্তুু সমস্যা বাধে অন্য জায়গায়। কারন ছাএ জীবনে ব্যয় করার মতো অনেক সময় থাকে। কিন্তুু সময় কাটানোর মতো অর্থ ছাএদের হাতে থাকে না।

কারন প্রত্যেক বাবা মা তাদের সন্তানদের শুধু প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা দিয়ে থাকে। এখন কেউ যদি সেই টাকা গুলো সময় না ফুরোতেই শেষ করে ফেলে। তাহলে বাবা মায়ের কাছে বকুনি খেতে হবে।

অপরিদকে আপনি যদি ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করেন। তাহলে খুব সহজেই আপনার এই ধরন এর সমস্যা থেকে একেবারে নিস্তার পেয়ে যাবেন।

কারন ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করতে পারলে আপনি অনেক দিক থেকে বেনিফিট পাবেন। একদিকে আপনি ছাএজীবনে পার্ট টাইম জব করলে নিজের পকেটমানি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত চাহিদা গুলো মিটাতে সক্ষম হবেন।

আজকের আর্টিকেলটি মূলত সেই উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছে। একজন ছাএ তার অধ্যায়নরত সময় গুলো তে কি কি পার্ট টাইম চাকরি করে টাকা আয় করবে। তার প্রত্যেকটা বিষয় কে আজ স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

সেই সাথে আপনি কিভাবে খুব সহজে ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি খুজে পাবেন এবং কিভাবে ছাএজীবনে পার্ট টাইম জব করে বেশি টাকা আয় করবেন। এ সব গুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

তো যদি আপনিও একজন ছাএ হয়ে থাকেন। এবং আপনিও পড়াশোনা করার পাশাপাশি ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

তাই কোনো প্রকার স্কিপ না করে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে আজকের পর থেকে আপনিও অন্যদের মতো পার্ট টাইম চাকরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

পার্ট টাইম চাকরি মানে কি?

নিজের ব্যস্ত জীবন এর বাড়তি সময় গুলোতে বসে না থেকে কোনো কাজ করে টাকা আয় করার পদ্ধতি কে বলা হয়, পার্ট টাইম চাকরি। সেটা হতে পারে আপনার ছাএজীবন এর ব্যস্ত সময়।

কিংবা আপনার চাকরি জীবন এর ব্যস্ত সময়। এই সময় গুলোর মধ্যে অবসর সময়ে কোনো কাজ করে টাকা আয় করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়, Part Time Job.

এমন অনেক ছাএ বা ছাএী আছেন। যারা লেখাপড়া করা অবস্থায় অনেক অবসর সময় কাটান। কিন্তুু মাস শেষে যখন টাকার প্রয়োজন পড়ে, তখন নিজের বাবা মা এর উপর চাপ প্রয়োগ করেন।

এখন সেই ছাএ/ছাএীরা যদি টুকটাক পার্ট টাইম জব করে। তাহলে কিন্তুু বাবা মা এর উপর টাকা নেয়ার চাপটা একটু হলেও কমে যাবে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

অপরদিকে শুধুমাএ যে ছাএ জীবন ছাড়া পার্ট টাইম জব করা যায় না। বিষয়টা এমন নয়, বরং আপনি চাকরি করার পাশাপাশি ও আলাদা ভাবে পার্ট টাইম চাকরি করে বাড়িত আয় করে নিতে পারবেন। 

ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করা জরুরি কেন?

যারা মূলত চাকরি করার পাশাপাশি আরও বাড়িত ইনকাম করে। তাদের বিষয়টা কিন্তুু অন্য রকম এর। কিন্তুু একজন স্টুডেন্ট তার ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কারন আমরা সবাই জানি যে, ছাএ জীবনে ব্যয় করার মতো অনেক সময় থাকলেও। তাদের হাতে ব্যয় করার মতো যথেষ্ট টাকা থাকে না।

এছাড়াও আরও অনেক কারন আছে। যে কারন গুলোর জন্য একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে টাকা ইনকাম করাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ। চলুন এবার সে বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

০১ঃ নিজের চাহিদা পূরন করার জন্য

যারা অর্থনীতি নিয়ে গবেষনা করে, তাদের মতে মানুষ এর অভাবের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। একটি অভাব পূরন হওয়ার সাথে সাথে আরও একটি অভাব এর জন্ম নিয়ে থাকে।

আর এই যুক্তিটির তাদের ক্ষেএে শতভাগ মিল খুজে পাওয়া যায়। যারা মূলত এখনও ছাএ জীবনে অবস্থান করে আছেন। কারন এই ছাএজীবন এ আপনার কাছে যে পরিমান টাকা থাকে। সেগুলো কিন্তুু আপনার বাবা মা দিয়ে থাকে।

কিন্তুু খুব কম পরিমান অভিবাক আছেন, যারা তাদের সন্তানদের প্রয়োজন এর চাইতে বেশি পরিমানে টাকা দেয় অপরদিকে বাবা মা এর এই টাকার পরিমান অনেক সীমিত হয়ে থাকে।

আপনি যদি প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি টাকা ব্যয় করেন। তাহলে আবার আপনার বাবা মা এর কাছে টাকার জন্য আবদার করতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে যে কত রকম কথা শুনতে হবে। সেটা তো নিশ্চই অনুমান করতে পেরেছেন।

আর প্রত্যেকটা মানুষ এর জীবনে কিন্তুু প্রয়োজন এর চাইতে বাড়তি অনেক চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা গুলোর অনেকটাই ছাএজীবনে পূরন করা সম্ভব হয়না অর্থের অভাবে।

আর এই চাহিদা গুলো কে পূরন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীর তার ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে টাকা আয় করাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

০২ঃ বাড়তি সময় কে কাজে লাগানোর জন্য 

আচ্ছা, আপনি কি এমন কোনো স্টুডেন্ট দেখাতে পারবেন। যারা মূলত দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা পড়াশোনা করে? – না! এমন স্টুডেন্ট এর সংখ্যা অতি নগন্য।

আর যদি আমাদের আনাচে কানাচে এমন স্টুডেন্ট থাকতো। তাহলে আমাদের দেশে এমন অনেক প্রতিভাবান জন্ম নিতো।

তবে আমাদের দেশে কি পরিমান প্রতিভাবান জন্ম নিচ্ছে, সেটা আমাদের ভাবার বিষয় নয়। বরং একজন ছাএ তার অধ্যায়নরত জীবনে কি পরিমান অবসর সময় ব্যয় করে, সে সম্পর্কে জানাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

তো পড়াশোনা করার পাশাপাশি ছাএজীবনে কিন্তু অনেক অবসর সময় সময় কাটিয়ে দেই। এখন আপনি যদি পড়াশোনা করার পাশাপাশি স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব গুলো করেন।

তাহলে আপনার বাড়তি সময় গুলো কে কাজে লাগাতে পারবেন। এবং এই বাড়তি সময় গুলোকে কাজে লাগিয়ে এক্সট্রা ইনকাম জেনারেট করে নিতে পারবেন। 

০৩ঃ নিজের অভিজ্ঞতা কে বাড়ি নেয়া যায় 

ছাএ জীবনে একটা বিষয় হরহামেশাই দেখা যায়। সেটি হলো, ক্লাশের সবচেয়ে খারাপ স্টুডেন্ট গুলো কোনো একটা সময় ক্লাশের টপে থাকা স্টুডেন্ট এর থেকেও ভালো পজিশন এর চাকরি হয়। এর কারন কি সেটা বলতে পারবেন? – এর প্রধান কারন হলো অভিজ্ঞতা। 

 

আপনি পার্ট টাইম জব বলুন কিংবা কিংবা ফুল টাইম জব বলুন। যখন আপনি কোনো স্থানে চাকরি করবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম এর মানুষদের সাথে মেলামেশা করতে হবে। 

 

কোন স্থানে কিভাবে চলতে হবে, কোন মানুষ গুলোর সাথে কিরকম ব্যবহার করতে হবে। যখন আপনি কোথাও কাজ করবেন। তখন কিন্তুু আপনার এই বিষয় গুলো সম্পর্কে একটা বাড়তি অভিজ্ঞতা হবে। আর এ অভিজ্ঞতা একটা সময় আপনাকে অনেক দুরে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। 

 

কারন এই অভিজ্ঞতার জোরে আপনি একটা সময়ে বড় কোনো স্থানে জব করার সুযোগ পাবেন। কেননা, আপনি পড়াশোনা করা অবস্থাতেই বিভিন্ন পরিবেশ এর সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে শিখে যাবেন। যা আপনার লেখাপড়া শেষে চাকরি জীবনে অনেক হেল্পফুল হবে। 

কিভাবে পার্ট টাইম চাকরি করবেন?

এতক্ষন ধরে আমরা “পার্ট টাইম চাকরি কি” এবং “কেন আপনি ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করবেন” – সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সেই আলোচনা গুলো পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

 

তো সেই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা জানবো যে, কিভাবে একজন ছাএ তার ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে বাড়তি টাকা আয় করতে পারবে। 

 

দেখুন, আপনি আসলে কিভাবে Part Time Job করবেন। সেটা বেশ কিছু বিষয় এর উপর নির্ভর করবে। যেমন, আপনি কখন কখন অবসর থাকেন, এবং আপনি কোন ধরন এর পার্ট টাইম জব করবেন। মূলত এই দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আপনাকে পার্ট টাইম চাকরি করতে হবে। 

 

প্রথমত আপনাকে নিজে থেকে খুজে নিতে হবে আসলে আপনি কোন সময় গুলো অবসরে কাটিয়ে দেন। যেহুতু আপনি এখনও স্টুডেন্ট অবস্থাতে আছেন। সেহুতু সবার আগে আপনাকে পড়াশোনা কে প্রাধান্য দিতে হবে। এবং পড়াশোনার সময় গুলো বাদে এমন কোন সময় গুলোতে আপনার অন্যান্য কাজ করলেও কোনো সমস্যা হবে না। সেই সময় গুলোতে পার্ট টাইম চাকরি করার জন্য ধার্য করতে হবে। 

 

এরপর আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি আসলে কোন টাইপ এর পার্ট টাইম জব করতে চান। কারন আপনি যদি এই ধরনের জব করতে চান। তাহলে আপনার সামনে এমন অনেক ধরনের জব চলে আসবে। যেমন, কিছু জব আছে যেগুলো তে অধিক সময় দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আবার কিছু জব আছে, যেগুলোতে অধিক পরিমানে সময় দিতে হবে। 

 

আবার কিছু কিছু জব আছে, যেগুলো আপনি অফলাইনে করতে পারবেন। আবার কিছু পার্ট টাইম জব আছে, যেগুলো করার জন্য আপনাকে অনলাইন এর উপর নির্ভর করতে হবে। অবশ্য অনলাইন এর একটা বিশেষ সুবিধা আছে। সেটি হলে আপনি ঘরে বসে পার্ট টাইম জব গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। 

 

তো আপনার অবসর সময় এবং কাজের জব এর বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই আপনাকে পার্ট টাইম জব করতে হবে। যেখান থেকে আপনি বাড়তি টাকা আয় করার সুযোগ করতে পারবেন। 

ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার উপায় গুলো কি কি? 

যাক এবার আসবো মূল টপিকে। এতোক্ষনে আমরা পার্ট টাইম জব সম্বলিত অনেক তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আশা করি সেই বিষয় গুলি সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়েছেন। তবে উপরের আলোচনা গুলি না বুঝে থাকলে পুনরায় আরেকবার পড়ুন। তাহলে পরবর্তী বিষয় গুলো বুঝতে আপনার সুবিধা হবে। 

 

তো যদি আপনি পার্ট টাইম জব করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার সামনে দুটি পদ্ধতি আসবে। যেমন, একটি হলো Online Part Time Job এবং অন্যটি হলো Offline Part Time Job. এখন চলুন এই দুই ধরনের জব সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

 

💡অনলাইন পার্ট টাইম জবঃ সচারচর আপনি যে জব গুলো নিজের ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে করতে পারবেন। সেই জব গুলো কে বলা হয় অনলাইন পার্ট টাইম জব। আর বর্তমানে এই ধরন এর জব এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। 

 

💡অফলাইন পার্ট টাইম জবঃ যে জব গুলো করার জন্য আপনার ইন্টারনেট কানেকশন এর প্রয়োজন হবে না। এবং এই ধরনের কাজ গুলো করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় থাকতে হবে। সেগুলো কে বলা হয়, অফলাইন পার্ট টাইম জব। 

 

তো আপনি চাইলে Online বা Offline যেকোনো ধরন এর পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। এটা মূলত সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে যে, আপনি আসলে কোন ধরনের জব এর জন্য সময় দিতে পারবেন। 

অফলাইন পার্ট টাইম জব করে টাকা আয় করার উপায়

বর্তমানে এমন অনেক ধরনের জব রয়েছে। যেগুলো আপনি অফলাইন বা কোনো প্রকার ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই করতে পারবেন। আর আজকের দিনে এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে। যারা মূলত এই পার্ট টাইম অফলাইন জব গুলো করে বেশ ভালো পরিমানে টাকা আয় করে আসছে। 

 

তো নিচে আমি বেশ কিছু অফলাইন স্টুডেন্ট পার্ট টাইম জব এর লিষ্ট দিচ্ছি। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো এক বা একাধিক জব করতে পারবেন। এবং এই জব গুলো করে বেশ ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। 

No.1: প্রাইভেট টিউটর জব 

সত্যি বলতে প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে আর তেমন কিছু বলার প্রয়োজন হবে না। কারন আপনার নিজের বন্ধু মহল এর মধ্যে এমন অনেকেই থাকবে। যারা মূলত এই কাজটি করে মাস শেষে বেশ মোটা অংকের টাকা আয় করে আসছে। তবে অনেকেই মনে করে যে, টিউশনিতে অনেক কম টাকা পাওয়া যায়। আসলে বিষয়টি কিন্তুু সেরকম নয়। 

 

কারন, আপনি নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি যখন অন্য কোনো স্টুডেন্টদের পড়াবেন। তখন টাকা আয় করার পাশাপাশি আপনার বিভিন্ন সাবজেক্ট এর উপরে যথেষ্ট নলেজ থাকবে। যা আপনার পরবর্তী চাকরি নেয়ার ক্ষেএে অনেক গুন সাহায্য করবে। 

 

তবে অনেকের কাছে প্রাইভেট টিউশনি কে অনেক ছোট মনে করলেও আমার ক্ষেএে এই কাজটি কখনই ছোট নয়। কারন একজন ছাএকে পড়ানোর জন্যও কিন্তুু নিজের মধ্যে যথেষ্ট মেধার প্রয়োজন হয়। আর যখন আপনি অন্যান্য ছাএদের পড়াবেন। তখন আপনারও সেই বিষয় এর প্রতি যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। 

 

আর যেহুতু টিউশনি করার কথা আসলো। সেহুতু একটা কথা আপনার অবশ্যই জানা উচিত। সেটি হলো, যারা নিয়মিত টিউশনি করায়। তারা চাকরির ভাইবা তে অন্যান্য ছাএদের তুলনায় অনেক গুন এগিয়ে থাকে। কারন তারা সর্বদার জন্য বিভিন্ন সাবজেক্টে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পেরেছেন। 

আপনি আরো পড়ুন…

তবে প্রাইভেট টিউটর হতে গেলে আপনার ফিজিক্স, ক্যামেষ্ট্রি, গনিত, ইংরেজি বিষয় গুলোতে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই এই পার্ট টাইম জবটি খুজে পাবেন। 

No.2: রাইড শেয়ারিং জব 

সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আমরাও প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছি। আর এই প্রযুক্তির বদৌলতে এখনও রাইড শেয়ারিং এর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে রয়েছে।

যার ফলে আপনার বা আমার মতো এমন হাজার হাজার স্টুডেন্ট এই রাইড শেয়ারিং জব করে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করে আসছে।

তবে যেহুতু আপনি রাইড শেয়ারিং জব করে টাকা আয় করতে চান। সেহেতু অবশ্যই আপনার একটা নিজস্ব বাইক এর প্রয়োজন হবে। যার মাধ্যমে আপনি মানুষ কে রাইড দিতে পারবেন।

যদি আপনার কাছে একটি বাইক থাকে। তাহলে আপনি আমাদের দেশের বর্তমান রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্ম রয়েছে যেমন, Uber, Pathao ইত্যাদিতে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো, এই প্লাটফর্ম গুলোতে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনার কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হবে না।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক ছাএ আছেন। যারা এই কাজটি করতে লজ্জাবোধ করে। আশে পাশের মানুষ কি বলবে, সেটি নিয়ে চিন্তা করে।

কিন্তুু আপনারও যদি এমন লজ্জাবোধ হয় তাহলে আজ থেকেই এই লজ্জাকে দুরে ফেলে দিন। কারন বর্তমানে অনেক মানসম্পন্ন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাএরা এই জব করে টাকা আয় করে আসছে। 

No.3: হোটেল / রেস্টুরেন্ট / ফ্যাশন হাউস জব

অফলাইন পার্ট টাইম জব এর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় খন্ডকালীন জব রয়েছে। সেটি হলো বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট / হোটেল বা ফ্যাশান হাউজে জব করা।

যে জব গুলো করে আপনি একটা মোটা অংকের টাকা পার্ট টাইম চাকরি করে আয় করে নিতে পারবেন। যাদের চলাফেরা, কথা বলা ইত্যাদিতে স্মার্টনেস আছে৷ তারা খুব সহজেই এই জব গুলোতে জয়েন হতে পারে।

তবে জয়েন হওয়াটা তেমন বড় বিষয় নয়। মূল সমস্যা হলো অনেকেই এই কাজ গুলো করতে লজ্জাবোধ করে থাকে। অনেকেই ভাবে যে, এই কাজ গুলো করলে নিজের মান সম্মান থাকবে না।

মানুষ তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। তবে আপনি যদি এমনটা ভেবে থাকেন। তাহলে এসব ভাবনা কে আজ থেকেই দুরে ঠেলে দিন ৷

এর কারন হলো, “কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত না”। আর আপনার যদি এই পার্ট টাইম চাকরি গুলো একেবারেই পছন্দ না হয়। তাহলে শুনুন, আমাদের দেশ থেকে যেসব স্টুডেন্টরা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে লেখাপড়া করতে যায়।

তারাও কিন্তুু বিদেশে গিয়ে এই কাজ গুলো করে থাকে। আবার এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে, যারা মূলত বিদেশে এই জব গুলো করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেয়। 

No.4: ফটোগ্রাফি জব 

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন বর্তমানে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল একটি জব হলো ফটোগ্রাফি করা। যদি আপনার ফটোগ্রাফি করার শখ থাকে। তাহলে আপনি এই জবটি করেই মাস শেষে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আর এই জবটি আপনি চাইলে অনলাইন বা অফলাইন এই দুইভাবেই করতে পারবেন। তবে আপনার হাতে যদি একটা ডিএসএলআর (DSLR) থাকে। তাহলে আপনার জন্য এই জবটি করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

আপনি আরো দেখুন…

কারন এমন অনেক ফটো স্টুডিও আছে, যেগুলোতে ফটোগ্রাফি করার জন্য একদম প্রফেশনাল মানের ফটোগ্রাফার দেরকে নিয়োগ দেয়া হয়।

সেখানে আপনি আপনার সুবিধামতো চুক্তিভিত্তিক অথবা পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি হয়তবা লক্ষ্য করেছেন যে, বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠান গুলো তে নিজের আনন্দঘন মূহুর্ত গুলোকে ক্যামেরাবন্দি করার জন্য একজন ফটোগ্রাফার কে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।

আর এই কাজের জন্য একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার প্রায় ১০-৩০ হাজার টাকা ডিমান্ড করে থাকে। তাহলে একবার ভেবে দেখুন যে, এই কাজটি করে আপনি কি পরিমানে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই আমার তো ক্যামেরা আছে। কিন্তুু আমি তো প্রফেশনালদের মতো ফটোগ্রাফি করতে পারিনা। তাহলে শুনুন…

আপনি খুব সহজেই মাএ কয়েকদিন এর মধ্যে ফটোগ্রাফি শিখে নিতে পারবেন। বর্তমানে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। যেখান থেকে আপনি মাএ ৭ দিনেই ফটোগ্রাফি সম্পর্কে অনেক ধারনা নিতে পারবেন।

যেগুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনিও অন্যান্য ফটোগ্রাফার দের মতো টাকা আয় করতে পারবেন।

[💡NOTE: কিভাবে ফটো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করবেন। এই নিয়ে আমার ব্লগে ইতি পূর্বে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা আছে।

তো উপরের জব গুলো মূলত অফলাইন Part Time Job এর জন্য একেবারে উপযুক্ত। তাই চাইলে আপনি এই জব গুলো করে নিজের জন্য বাড়তি কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

তবে এগুলো যদি আপনার তেমন পছন্দ না হয়ে থাকে। তাহলে নিজে আলোচিত ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি এর অনলাইন জব গুলো করার চেস্টা করতে পারবেন। 

অনলাইন পার্ট টাইম জব করে টাকা আয় করার উপায়

ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি হিসেবে অফলাইন এর পাশাপাশি অনলাইন সেক্টর গুলোতেও অনেক ধরনের জব রয়েছে। যে জব গুলো আপনি নিজের ঘরে বসে করতে পারবেন।

এবং নিজের ঘরে বসে কাজ করেই বেশ ভালো পরিমান টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন।

একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, অনলাইন পার্ট টাইম জব গুলোকে আমি অন্যান্য আর্টিকেল এ বেশ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যদি সেগুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই উক্ত আর্টিকেল গুলো পড়ে নিবেন।

তো চলুন এবার আমরা ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে আয় করার জন্য বেশ কিছু অনলাইন জব সম্পর্কে জানবো। যে গুলো থেকে আপনিও অন্যদের মতো প্রচুর পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

No.1: ব্লগিং থেকে টাকা আয়

অনলাইন এর একটি মুক্ত পেশার নাম হলো ব্লগিং। যেখানে আপনি নিজের ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন। এবং সেই কাজের বিনিময়ে আপনি প্রচুর পরিমান টাকা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে। যারা আজকের দিনে নিজেকে ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত করে নিজের জন্য একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পেরেছে।

আপনাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট পাওয়ার জন্য অনেক ভালো লেখালেখি করে থাকে।

কিন্তুু আপনি তো ভালো করেই জানেন যে, ফেসবুকের এসব লাইক আপনার বাস্তবিক জীবনে কোনো কাজে আসবে না। বরং সেই লেখা গুলো যদি আপনি কোনো একটা ব্লগে লেখেন। তাহলে আপনি সেই লেখার বিনিময়ে টাকা আয় করে নিতে পারবেন ৷ 

আবার অন্যদিকে আপনি ব্লগে সেই লেখা গুলো পাবলিশ করার পর যদি আপনার ব্লগের লিংক গুলো ফেসবুকে শেয়ার করেন। তাহলে আপনি আপনার ব্লগে হিউজ পরিমান ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।

আর আপনার ব্লগে যতো বেশি ভিজিটর থাকবে, আপনার ব্লগ থেকে ইনকাম এর পরিমান ঠিক ততোই বেশি হবে।

[💡PRO TIPS:ব্লগ কি” এবং “ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করা যায়“- এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ]

No.2: ইউটিউব থেকে ইনকাম

ব্লগিং এর অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। যেখানে আপনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করে মাস শেষে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে নিতে পারবেন।

যেহুতু আপনি একজন ছাএ, সেহুতু আপনার কোনো না কোনো বিষয়ে অবশ্যই দক্ষতা থাকবে। এখন আপনি যদি সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও তৈরি করেন।

এবং সেই ভিডিও গুলোকে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। তাহলে আপনি সেই Youtube Channel থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

আর ইউটিউব সম্পর্কে মনে হয়না আপনাকে বেশি কিছু বলতে হবে। কারন যেহেতু আপনি গুগল থেকে আমার ওয়েবসাইটে এসেছেন। সেহুতু অবশ্যই আপনি দৈনিক কিছুটা সময় হলেও ইউটিউব এ ব্যয় করে থাকবেন।

আবার অনেকেই আছেন যারা, দিনের অনেক সময় ইউটিউবে ব্যয় করে থাকেন।

এখন আপনার এই ব্যয় করা সময় গুলোতে যদি আপনি নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে কোনো একটা টপিকে ভিডিও তৈরি করেন। এবং সেই ভিডিও গুলোকে আপলোড করেন।

তাহলে এই কাজটি আপনি পার্ট টাইম জব হিসেবে করেই বাড়তি আয় করে নিতে পারবেন।

[💡PRO TIPS: ” ইউটিউব কি” এবং “কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন“- সে নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ]

No.3: গ্রাফিক্স ডিজাইন জব 

অনলাইন সম্পর্কে যদি আপনার টুকটাক ধারনা থেকে থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই কোনো না কোনো ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর নাম শুনে থাকবেন।

কারন বর্তমান সময়ে এমন অনেকেই আছেন যারা Freelancing করেই নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পেরেছেন।

আর এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম এর জনপ্রিয় একটি সেক্টর হলো গ্রাফিক ডিজাইন। যেখানে আপনার ডিজাইন শৌলির দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিমান টাকা অনলাইন হতে আয় করে নিতে পারবেন।

কেননা, যতোই দিন অতিবাহিত হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা দিন কে দিন বেড়েই চলেছে।

অনলাইন এর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে এখনকার দিনে প্রচুর পরিমানে গ্রাফিক্স রিলেটেড জব দেখতে পাওয়া যায়। যে জব গুলো করার বিনিময়ে প্রচুর পরিমান টাকা পাওয়া সম্ভব।

তাই আপনি চাইলে গ্রাফিক ডিজানকে আপনার পার্ট টাইম জব হিসেবে নির্ধারন করে নিতে পারবেন।

[💡PRO TIPS: ” গ্রাফিক ডিজাইন কি” এবং “কেন আপনার গ্রাফিক ডিজাইন শেখা উচিত“- জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ]

No.4: ওয়েব ডিজাইন জব

গ্রাফিক ডিজাইনে এর মতো আরও একটি জনপ্রিয় জব হলো ওয়েব ডিজাইন। যেখানে আপনি আপনার কোডিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আর ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি হিসেবে ওয়েব ডিজাইন একটি উপযুক্ত জব হবে আপনার জন্য।

কারন বর্তমানের উন্নত বিশ্বে এখন একটি ওয়েবসাইট থাকাটা প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়িয়েছে। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে ব্যবসা বানিজ্য পর্যন্ত প্রায় সবক্ষেএেই এখন ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর এজন্য বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে একজন ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদাও আকাশচুম্বী। যাদেরকে হাই ডিমান্ড দিয়ে ওয়েব ডিজাইন রিলেটেড কাজ গুলো করিয়ে নেয়া হয়।

এখন আপনি যদি পড়াশোনা করার পাশাপাশি এই ধরনের জব গুলো করেন। তাহলে আপনি ছাএ অবস্থাতেই বেশ ভালো পরিমান টাকা অনলাইন হতে আয় করে নিতে পারবেন।

[💡PRO TIPS:কিভাবে আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখবেন “- এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।]

No.4: প্রোডাক্ট সেল করার জব 

আপনি হয়তবা ফেসবুকে একটা বিষয় দেখে থাকবেন। সেটি হলো লাইভে এসে অনেকেই তাদের পন্য গুলো বিক্রি করে। যেমন, অনেক মেয়েরা ফেসবুক লাইভে এসে মেয়েদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুলো বিক্রি করে।

কিন্তুু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, কেন তারা নিজের খেয়ে এভাবে ফেসবুকে এসে তাদের প্রোডাক্ট গুলো কে বিক্রি করে?

এর প্রধান কারন হলো, এমন অনেকেই আছেন যারা মূলত নিজের তৈরি করা পন্য গুলো কে ফেসবুক প্রোমোশন এর মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা আয় করে থাকে।

আবার এমন অনেকেই আছেন যারা মূলত অন্যান্য শপ এর পন্যগুলোকে বিক্রি করে সেখান থেকে কমিশন নিয়ে থাকে।

তো আপনার ফেসবুকে অযথা ব্যয় করা সময় গুলোতে হুদাই ব্যয় না করে। আপনিও যদি এই ধরনের অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করার কাজ করেন।

তাহলে আপনি এই ছোট্ট কাজটি করার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমান টাকা পার্ট টাইম জব করে আয় করতে পারবেন। 

No.05: ভিডিও এডিটিং জব 

অনলাইন সেক্টরে ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি জব এর নাম হলো ভিডিও এডিট করা। যেখানে আপনি নিজের ঘরে বসে ভিডিও এডিট করবেন।

এবং সেই কাজের মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

এখন আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা মনে করে যে ভিডিও এডিট এটা কোনো কাজ হলো। এটা তো খুব সহজ একটা কাজ। যদি আপনিও এমনটা ভেবে থাকেন। তাহলে বলবো আপনার ধারনা সম্পূর্ন ভুল।

আপনি অবশ্যয় পরবেন…

কারন ভিডিও এডিটিং এর অনেক গুলো ধাপ রয়েছে। যেমন, এনিমেশন, মোশন গ্রাফিক্স, সাউন্ড মিক্সিং ইত্যাদি।

তো আপনার যদি ভিডিও ইডিট সম্পর্কে দক্ষতা থাকে। তাহলে কিন্তুু আপনি এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পার্ট টাইম জব হিসেবে অনলাইন কিংবা অফলাইনে কাজ করেই অনেক টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

আমাদের শেষকথা 

দেখুন শেষকথা বলতে তেমন কিছু নেই। কারন এরকম নিত্যনতুন আর্টিকেল আমি নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকি। যেমনটা আজকে আপনি ছাএজীবনে পার্ট টাইম চাকরি সম্পর্কে জানতে পারলেন।

আজকের আর্টিকেলর ভিতরে কিছু বোঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার কমেন্ট এর যথাযথ উত্তর দিব।

আর এমন সব ইউসফুল আর্টিকেল পেতে চাইলে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top