ট্রেডিং কি | ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি – (Trading meaning in Bengali)

ট্রেডিং কি : Trading meaning in Bengali. আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত জানতে চায় যে, ট্রেডিং কি।

ট্রেডিং কি | ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি – (Trading meaning in Bengali)
ট্রেডিং কি (Trading meaning in Bengali)

এছাড়াও আপনি এমন অনেক মানুষ কে দেখতে পারবেন। যাদের মনের ভেতরে এই ধরনের ট্রেডিং ব্যবসা নিয়ে ভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে।

আবার অনেকেই এই ধরনের ট্রেডিং ব্যবসা কে তার অর্থ উপার্জন এর একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ধরে থাকে। তো আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, Trading ki।

এর পাশাপাশি ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দিবো।

আর সে জন্য অবশ্যই আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। যেন আপনি ট্রেডিং কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন।

ট্রেডিং কি বা ট্রেডিং কাকে বলে | Trading in Bengali

সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, Trading কি। আর [su_highlight background=”#9b51e0″]সহজ কথায় ট্রেডিং বলতে বুঝানো হয়, বিভিন্ন ধরনের শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট এর মধ্যে যে সকল ব্যবসা করা হয়।[/su_highlight]

[su_highlight background=”#9b51e0″]তাকে বলা হয়ে থাকে, ট্রেডিং ব্যবসা। যেমন টা বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই শেয়ার ব্যবসা করে থাকি।[/su_highlight]

আর ঠিক একই পদ্ধতি তে কাজ করে থাকে এই ধরনের ট্রেনিং ব্যবসা গুলো। কারণ এই ধরনের ব্যবসা গুলো করার জন্য একজন ব্যক্তি কে সর্বপ্রথম বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয়।

এবং বিনিয়োগ করার পরবর্তী সময়ে পুনরায় সেই ব্যক্তি তার বিনিয়োগ করা সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

আর এই ধরনের বিশেষ ব্যবসা কে বলা হয়ে থাকে, ট্রেডিং ব্যবসা।

তবে আপনি যদি ট্রেডিং ব্যবসা করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

সেটি হল, এই ধরনের ট্রেডিং ব্যবসা গুলো নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। অর্থাৎ আপনি চাইলেই নির্দিষ্ট কোন একটি সময়ের জন্য একটি কোম্পানির শেয়ার কিনে নিতে পারবেন।

এবং আপনি আপনার বিনিয়োগ করা এই শেয়ার পরবর্তী সময়ে বিক্রি করতে পারবেন।

এছাড়াও সাধারণ দিক থেকে এই ধরনের শেয়ার কেনাবেচা করার অন্যতম সময় হলো সকাল 9:30 থেকে বিকাল 3:30 পর্যন্ত।

অর্থাৎ এর মধ্যে আপনাকে ট্রেডিং এর যাবতীয় লেনদেন গুলো সম্পন্ন করতে হবে।

ট্রেডিং এর সুবিধা কি কি ?

ট্রেডিং কাকে বলে বা ট্রেডিং ব্যবসা কি সেই বিষয় টি নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, ট্রেডিং এর সুবিধা গুলো কি কি। অর্থাৎ আপনি যদি ট্রেডিং করেন তাহলে কোন কোন দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

এবার আমি আপনাকে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব। যাতে করে আপনার ট্রেডিং ব্যবসার সম্পর্কে কোন কিছু অজানা না থাকে।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, ট্রেডিং এর সুবিধা গুলো কি কি।

ট্রেডিং এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়

তো আপনার একটা বিষয় জেনে রাখা উচিত। সেটি হল ট্রেডিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

আর আপনি যখন এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য বিনিয়োগ করবেন।

তখন আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল করতে পারবেন। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হলোঃ

  1. ট্রেডিং হলো এমন একজন মাধ্যম। যেখানে একজন ব্যক্তি তার অর্থের বিনিময় এর সাহায্যে জিনিসপত্র কিংবা অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
  2. ট্রেডিং সব দেশের মানুষের জন্য উপকারী। যদিও বা অনেক সমালোচক এই ট্রেডিং ব্যবসা কে অবৈধ কিংবা অনুমতি প্রদান করেনা। কিন্তু ট্রেডিং এর তত্ত্ব অনুযায়ী এটি হলো অনেক উপকারী একটি মাধ্যম।
  3. অর্থনীতি বিদরা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনামূল্যে ট্রেডিং এর সুপারিশ করে থাকেন।

উপরে আপনি বেশ কিছু ট্রেডিং এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করতে পারছেন। মূলত এই বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি।

এগুলো হলো ট্রেডিং এর বেশ কিছু সুবিধা। আর আশা করি, আপনি ট্রেডিং এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি।

ট্রেডিং এর প্রকারভেদ- ট্রেডিং কত প্রকার

আমরা এতক্ষনের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি, ট্রেডিং কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে বেশ কয়েক টি ট্রেডিং এর সুবিধা জানিয়ে দিয়েছি।

কিন্তু আপনি কি জানেন, ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি। হয়তোবা আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা এই বিষয় টি সম্পর্কে জানে না।

আর এই অজানা মানুষ গুলোর উদ্দেশ্যে বলবো। বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং দেখতে পারবেন।

আর এবার আমি ধাপে ধাপে আপনাকে সকল প্রকার ট্রেডিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানিয়ে দিব।

ট্রেডিং কৌশলের উপর ভিত্তি করে

যেহেতু আপনি ট্রেডিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান। সেহেতু আপনাকে বলব যে, কৌশলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং কে মোট দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

আর সে গুলো হল, মোমেন্টাম ট্রেডিং এবং মিন রেভের্শনের ওপর ভিত্তি করে।

তো এই প্রকারভেদ গুলো আসলে কি তা জানতে হলে আপনাকে নিচের আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

মোমেন্টাম ট্রেডিং

আপনি মোট যত ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ দেখতে পারবেন। তার মধ্যে মোমেন্টাম ট্রেডিং হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা এই ট্রেডিং এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা এমন কিছু কৌশল অনুসরণ করে। যার মাধ্যমে চলমান সময়ের মধ্যে কোন একটি ট্রেডিং এর সাথে যুক্ত থাকা ব্যবসা এর।

সাম্প্রতিক মূল্য বেড়ে যাওয়ার শক্তির উপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে।

কেননা মোমেন্টাম ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেক বেশি শতাংশ এবং ভলিয়ম মুভার এর সাথে যুক্ত থাকা স্টক গুলো খোঁজাখুঁজি করে।

এবং যখন তারা এই ধরনের স্টক গুলো কে খুঁজে পায়। তখন ব্যবসায়ীরা এই ধরনের ট্রেডিং থেকে পছন্দ করা মুনাফা অর্জন করার চেষ্টা করে থাকে।

তবে এই ধরনের মোমেন্টাম ট্রেডিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়ীরা বিশেষ কৌশল অনুসরণ করে।

যে সকল ট্রেডিং এর স্টক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, সে গুলো কে কিনে নেয়। এবং যে সকল স্টক এর চাহিদা নিম্নমুখী রয়েছে।

সে গুলো কে লাভের আশায় বিক্রি করে দেয়। মূলত এটি হলো মোমেন্টাম ট্রেডিং এর মূল উদ্দেশ্য।

মিন রেভের্শন এর উপর ভিত্তি করে

উপরে আপনি কৌশলের উপর ভিত্তি করে যে ট্রেডিং এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হলো, মিন রেভের্শন।

কারণ মোমেন্টাম ট্রেডিং এর মধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি।

যে বিনিয়োগকারীরা এই ধরনের ট্রেনিং ব্যবসা করার সময় উর্ধ্বমুখী স্টক গুলো কে কিনে নেওয়ার জন্য বিনিয়োগ করে।

এবং যে সকল স্টক নিম্নমুখী রয়েছে সে গুলো কে লাভের আশায় বিক্রি করে দেয়।

কিন্তু যখন আপনি মিন রেভের্শন এদিকে লক্ষ্য করবেন। তখন দেখতে পারবেন যে, এখানে কিন্তু যে সকল স্টক এর নিম্নমুখী ছিল।

সেই স্টক গুলো পুনরায় ঊর্ধ্ব মুখী হতে শুরু করে। এবং এই কাজটি করার জন্য বিশেষ কৌশল অনুসরণ করা হয়। আর মোমেন্টাম ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে উচ্চ লাভের সম্ভাবনা থাকলেও।

আপনি যদি মিন রেভের্শন এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, এখানেও কিন্তু সাফল্যের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে।

তবে লাভের দিক থেকে এই ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে সম্ভাবনা একটু হলেও কম থাকে।

সময় সীমার উপর ভিত্তি করে

তো উপরে আমরা জানতে পারলাম যে, কৌশলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং কে মোট দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

এবং এতক্ষণ এর আলোচনায় আমি আপনাকে সেই দুটি প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।

তো এবার আমি আপনাকে সময় সীমার উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় সে সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, সময়সীমা এর উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি।

স্ক্যাল্পিং

যখন কোন একজন ট্রেডিং এর ব্যবসায়ী তার এই ট্রেডিং ব্যবসা থেকে ছোট ছোট করে মুনাফা অর্জন করার চিন্তাভাবনা করে।

এবং একাধিক বার এই ধরনের ট্রেডিং থেকে অল্প অল্প করে মুনাফা যোগ হয়। মূলত এই ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ কে বলা হয়ে থাকে, স্ক্যাল্পিং।

আর এই ধরনের ট্রেডিং এর কাজ গুলো সম্পন্ন করার জন্য বিট আস্ক স্প্রেড কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ডে-ট্রেডিং

আপনি ট্রেডিং এর যত গুলো প্রকারভেদ দেখতে পারবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল, ডে ট্রেনিং।

কেননা এই ধরনের ট্রেডিং ব্যবসায়ীরা একাধিকবার ছোট ছোট দাম এর পরিবর্তন গুলোর সুযোগ নিয়ে থাকে। এবং একই দিনে অধিক পরিমাণ ট্রেডিং এর মধ্যে বিনিয়োগ করে।

এর পাশাপাশি অতিরিক্ত লাভ এর আশায় একই দিনে একাধিকবার ট্রেডিং বিক্রি করে থাকে।

আর সে কারণে এই ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ কে বলা হয়ে থাকে, ডে ট্রেডিং।

এর পাশাপাশি এই ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক এর চেয়ে অধিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

সুইং ট্রেডিং

সুইং ট্রেডিং এর সাথে ডে ট্রেডিং এর যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে। কেননা এই ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে একই নিয়মে দামের পরিবর্তনের সুবিধা নেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি এই ধরনের সুইং ট্রেডিং গুলো অনেক স্বল্প মেয়াদী হয়ে থাকে।

কেননা এই ধরনের বিশেষ ট্রেডিং গুলো সর্বনিম্ন একদিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আর এই ধরনের ট্রেডিং গুলোর ক্ষেত্রে দামের অনেক পরিবর্তন হয়।

সে ক্ষেত্রে যারা ট্রেডিং ব্যবসায়ী রয়েছে তারা এই বিশেষ সুযোগ টি কে গ্রহণ করে, এবং ট্রেডিং ব্যবসা থেকে খুব স্বল্প পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে পারে।

পজিশনাল ট্রেডিং

আপনি যে সুইং ট্রেডিং দেখতে পাচ্ছেন। তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ট্রেডিং ব্যবসা হল, পজিশনাল ট্রেডিং।

কারণ এতক্ষণ থেকে আপনি যে সকল ট্রেডিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সে গুলো মূলত অনেক স্বল্প মেয়াদী হয়ে থাকে।

অর্থাৎ এই ধরনের ট্রেডিং গুলো সর্বনিম্ন একদিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

অপরদিকে আপনি যদি পজিশনাল ট্রেডিং এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, এই ধরনের ট্রেডিং ব্যবসা গুলো অনেক দীর্ঘ হয়ে থাকে।

এবং এই ধরনের ট্রেডি গুলো অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানবেন। যে সকল ট্রেডিং অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

সেই সকল ট্রেডিং গুলো তে মুনাফা লাভ করার সম্ভাবনা আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।

বিশ্লেষণ প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে 

উপরে আপনি মোট যত গুলো ট্রেডিং এর প্রকারভেদ দেখতে পাচ্ছেন। আশা করি, এগুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তো এবার আমি আপনাকে বিশ্লেষণ প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে যে সকল ট্রেডিং রয়েছে। সেই ট্রেডিং গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, বিশ্লেষণ প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কি কি ট্রেডিং এর প্রকারভেদ রয়েছে।

টেকনিকাল ট্রেডিং

যারা মূলত দীর্ঘদিন থেকে ট্রেডিং ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছেন। তারা বেশ ভালো করে জানবেন যে, টেকনিক্যাল ট্রেডিং মূলত এই ব্যবসার যাবতীয় কিছুর তথ্য গুলো গ্রাফ বা চার্ট এর মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে।

তো যখন একটি গ্রাফ এর মধ্যে থাকা লাইন গুলো ক্রমাগত ভাবে একসাথে চলার চেষ্টা করে। কিংবা এই লাইন গুলো ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

তখন কিন্তু এক ধরনের স্টক কিনে নেওয়া কিংবা স্টক বিক্রি করার বিশেষ একটি সংকেত প্রদান করে। মূলত এই ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।

সে কারণে এই ধরনের ট্রেডিং কে বলা হয়ে থাকে, টেকনিকাল ট্রেডিং।

ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং

এবার আমি আপনাকে যে ট্রেডিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বলব। তার নাম হলো ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং। মূলত এই ট্রেডিং এর মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ীর কি পরিমান আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে।

কেমন আয় এর প্রত্যাশা করছে, এর পাশাপাশি কি পরিমান স্টক বিভাজন রয়েছে। তার সম্পূর্ণ বিষয় গুলো কে সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করে এবং যথাযথভাবে পরীক্ষা করে।

এর পাশাপাশি আপনি ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে মৌলিক বিশ্লেষণ এর দীর্ঘ মেয়াদী কার্যক্রম লক্ষ্য করতে পারবেন।

এছাড়াও এই ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ এর ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি মূল্যের উঠানামা স্টক গুলো কে সর্বদাই এড়িয়ে চলে।

টেক্নো ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং

আমরা এতক্ষন থেকে যে, ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সেই প্রকারভেদ গুলো তে কিছু কিছু ট্রেডিং মৌলিক বিষয় গুলো কে গুরুত্ব দেয়।

আবার কিছু কিছু ট্রেডিং রয়েছে, যে গুলো প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

কিন্তু টেক্নো-ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে আপনি ভিন্ন বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা এই ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে মৌলিক বিষয় গুলোর উপর বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি। প্রযুক্তিগত বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে একজন ব্যবসায়ী মৌলিক বিষয় গুলোর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে, কোন একটি স্টক বাছাই করে।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই স্টক সম্পর্কে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ করে। এবং উক্ত ট্রেডিং ব্যবসা থেকে লাভ করার জন্য নতুন নতুন কৌশল গঠন করে।

অ্যাসেট ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে

উপরের আলোচনা থেকে আপনি মোট যত ধরনের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তার সর্বশেষ প্রকারভেদ এর নাম হল, অ্যাসেট ক্লাস। তো এর উপর ভিত্তি করে আসলে কি কি ধরনের ট্রেনিং রয়েছে।

এবার আমি আপনাকে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, অ্যাসেট ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে কোন কোন ধরনের ট্রেডিং এর প্রকার রয়েছে।

ইকুইটি ট্রেডিং

এবার আমি আপনাকে ভিন্ন ধর্মী একটি ট্রেডিং সম্পর্কে জানিয়ে দিব। আর সেটি হল, ইকুইটি ট্রেডিং। মূলত এই ধরনের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্টক গুলো কে কেনাবেচা করা হয়ে থাকে।

আর এই কেনাবেচার মাধ্যম কে বলা হয়ে থাকে, ইকুইটি ট্রেডিং।

আর এই ধরনের ট্রেডিং গুলো স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে পাবলিক কোম্পানির কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার গুলো কিনে নেয়।

এবং অতিরিক্ত লাভ করার আশায় বিনিয়োগ করা সেই শেয়ার গুলো কে বিক্রি করে দেয়। যাকে বলা হয়ে থাকে, ইকুইটি ট্রেডিং।

কমোডিটি ট্রেডিং

ট্রেডিং ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো, কমোডিটি ট্রেডিং। কেননা এই ধরনের ট্রেডিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্যের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়ে থাকে।

এবং এই পণ্য গুলো কে আরো চার টি ভাগে ভাগ করা হয়। চলুন এবার তাহলে সেই পণ্যের ভাগ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. যে সকল ধাতু পণ্য রয়েছে, সে গুলো কে আলাদা ভাবে ভাগ করা হয়। যেমন, প্লাটিনাম, তামা, সোনা, রুপা ইত্যাদি।
  2. যে সকল পণ্য শক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল, তেল, অপরিশোধিত তেল ইত্যাদি।
  3. কৃষি কাজের মধ্যে বেশ কিছু পণ্য রয়েছে। সেগুলো হল, তুলা, চিনি। কফি, গম, চাল, ভুট্টা ইত্যাদি।
  4. বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশুর মাংস। যেমন, শুয়োরের পেট চর্বি, শুকর সহ আরো বিভিন্ন পশুর মাংস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তো কমোডিটি ট্রেডিং এর মধ্যে যে সকল পণ্য রয়েছে। সেই পণ্য গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি আপনি এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

ক্রিপ্টো ট্রেডিং

আজকের আলোচিত সর্বশেষ ট্রেডিং এর প্রকারভেদ এর নাম হল, ক্রিপ্টো ট্রেডিং। মূলত আমরা অনেকেই ক্রিপ্টো কারেন্সি সম্পর্কে জানি।

আর যখন একজন ব্যক্তি অধিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করার জন্য। ভবিষ্যৎ মূল্যের উপর ভিত্তি করে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করবে।

তখন এই ধরনের ট্রেডিং কে বলা হয়ে থাকে, ক্রিপ্টো ট্রেডিং।

ট্রেডিং নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি যে, ট্রেডিং কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে সকল প্রকারের ট্রেডিং এর প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি।

আশা করি, আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি Trading কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের ট্রেডিং রিলেটেড আরো অজানা কিছু জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আপনার কমেন্ট পাওয়া মাত্রই আমি উক্ত বিষয়টি নিয়ে নতুন কোন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করব।

আর ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

2 thoughts on “ট্রেডিং কি | ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি – (Trading meaning in Bengali)”

  1. কম টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে চাইছি কোন ট্রেডিং করা ভালো হবে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top