Self-employed মানে কি – (Self-employed meaning in Bengali)

Self-employed মানে কি : (Self-employed meaning in Bengali) সেলফ এমপ্লয়েড এই কথাটির সাথে আমরা অনেক বছর আগে থেকেই পরিচিত।

Self-employed মানে কি – (Self-employed meaning in Bengali)
Self-employed মানে কি

কেননা 1916 সাল থেকে এই বিশেষ শব্দটির ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আপনি কি জানেন, Self-employed মানে কি। আপনি কি জানেন সেলফ এম্প্লয়েড এর সুবিধা গুলো কি কি।

হয়তো বা আপনার এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানা নেই। আর সে কারণেই আপনি Self-employed কি তা জানার জন্য গুগলে সার্চ করেছেন।

মূলত সে কারণেই আজকে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিব, Self-employed মানে কি।

এর পাশাপাশি সেল্ফ এমপ্লয়েড এর বৈশিষ্ট্য সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বলবো।

Self-employed মানে কি – (What Is Self employed)

সবার আগে আমাদের জানতে হবে, Self-employed মানে কি। আর আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব সহজ ভাবে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, সেলফ এমপ্লয়েড হলো এমন এক ধরনের বিষয়। যা থেকে মূলত একজন ব্যক্তি নিজের চেষ্টায় জীবিকা নির্বাহ করার জন্য যাবতীয় কাজ করে থাকে।

আর এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের নিয়োগকর্তা কিংবা বেতন মজুরি ইত্যাদি কাজে আসে না। আর যখন আপনিও এমন কোন কাজ করবেন। তখন সেটা সেল্ফ এমপ্লয়েড এর আওতায় পড়বে।

আপনি আরোও দেখুন…

মনে করুন, আপনি একজন ব্যক্তি এবং আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলে কাজ করতে হবে।

এর পাশাপাশি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন বা কাজের মজুরি দিবে। আর সেখান থেকে আপনি যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করবেন।

তা দিয়ে আপনাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। কিন্তু সেলফ এমপ্লয়েড এর ক্ষেত্রে আপনি অনেক ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন।

কারণ সেলফ এমপ্লয়েড এর জন্য কোন ধরনের নিয়োগকর্তা কিংবা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকে না।

আপনি কোন চাকরি করেন না অথচ আপনি নিজের উদ্যোগে একটি ব্যবসা শুরু করেছেন।

এবং সেই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে চান, আর আপনার এমন ব্যবসা করার উদ্যোগ কে বলা হবে সেলফ এমপ্লয়েড।

যেখানে আপনি কোন নিয়োগকর্তার আওতায় থাকবেন না। বরং নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখে কোন ব্যবসা করবেন। কিংবা অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করবেন।

তখন তাকে বলা হবে, সেলফ এমপ্লয়েড। আশা করি, এবার আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, Self-employed মানে কি।

সেলফ-এমপ্লয়েড-এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Self-employed)

উপরের আলোচনা থেকে আমরা Self-employed মানে কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

এবং সেখানে আমি আপনাকে বলেছি যে, আপনি একজন মানুষ হয়ে যখন কোন নিয়োগকর্তার আওতায়।

তাদের দেওয়া নির্দিষ্ট বেতন মজুরির ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করার পরিবর্তে।

নিজের উদ্যোগে স্বাধীনতা বজায় রেখে অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজ কিংবা কোন ধরনের ব্যবসা করবেন। তখন তাকে বলা হবে, সেলফ এমপ্লয়েড।

কিন্তু এই সেলফ এমপ্লয়েড এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে গুলো সম্পর্কে আপনার জেনে নেয়াটা অতি প্রয়োজনীয়। তো চলুন, এবার সেলফ এমপ্লয়েড এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. সেলফ এমপ্লয়েড এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, নিজের জীবনধারণের জন্য নিজের শর্ত অনুযায়ী জীবিকা নির্বাহ করা। যেখানে অন্য কোন ব্যক্তির কোন ধরনের হস্তক্ষেপ থাকবে না।
  2. যারা সেলফ এমপ্লয়েড এর সাথে যুক্ত তারা জীবিকা নির্ধারণ করার জন্য একজন ব্যক্তির অধীনে মালিকানা রাখে। তবে অধিকাংশ সময় এই ধরনের কাজে একজন ব্যক্তিই পুরো কাজ টি পরিচালনা করে থাকে।।
  3. সেলফ ইমপ্লয়েড এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কখনোই অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনি আয় করা অর্থের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করতে পারবেন।
  4. যেহেতু সেলফ এমপ্লয়েড এর ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি পুরো কাজটি পরিচালনা করে। সেহেতু লাভ কিংবা লস এর ঝুঁকি সেই ব্যক্তিকেই বহন করতে হয়।
  5. আর এই ধরনের কাজে সর্বদাই একজন ব্যক্তি কে ইনভেস্ট করতে হয়। হয়তো বা মানুষ বা কাজ হিসেবে এই ইনভেস্ট করার পরিমাণ কম অথবা বেশি হয়ে থাকে।
  6. যারা সেলফ এমপ্লয়েডের সাথে যুক্ত তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ পরিচালনা করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এবং নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী তার কাজ গুলো কে পরিচালনা করতে পারে।

তো উপরের আলোচনায় আপনি সেলফ এমপ্লয়েড এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারছেন।

যেখানে এটা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনি যখন সেলফ এমপ্লয়েড এর আওতায় থাকবেন। তখন আপনি কোন ধরনের ব্যক্তির আন্ডারে কাজ করবেন না।

অর্থাৎ যা করবেন নিজে থেকে করবেন, এবং যা সিদ্ধান্ত নিবেন নিজে থেকেই নিতে পারবেন।

সেলফ-এমপ্লয়েড-এর সুবিধা (Advantages of Self-employed)

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, Self-employed মানে কি।  এর পাশাপাশি আমি আপনাকে সেলফ এমপ্লয়েড এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি।

তো আপনি কি জানেন, সেলফ এমপ্লয়েড এর অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। মূলত যখন আপনি সেলফ এমপ্লয়েড এর আওতায় থাকবেন।

তখন কিন্তু আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর এই সুবিধা গুলোর জন্যই বর্তমান সময়ে এই ধরনের সেলফ এমপ্লয়েড এর চাহিদা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলুন এবার সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি একাই সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক

সেলফ এমপ্লয়েড এর যতগুলো সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এখানে আপনি সব কিছুর নিয়ন্ত্রক হিসাবে থাকবেন। মনে করুন।

আপনি কোন একটি ব্যবসা শুরু করলেন। সে ক্ষেত্রে সেই ব্যবসার মালিক হবেন আপনি। আর সে জন্য আপনি আপনার সেই ব্যবসাটি।

নিজের বুদ্ধি এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অন্য কোন ব্যক্তি এসে আপনাকে কোন ধরনের পরামর্শ কিংবা সিদ্ধান্ত দিবেনা।

বরং এখানে আপনি সম্পূর্ণ নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনার ব্যবসাকে পরিচালনা করার জন্য কোন নিয়ম গুলোর পরিবর্তন করা হবে।

এবং কোন নিয়ম গুলো যুক্ত করতে হবে। তার সকল সিদ্ধান্ত আপনি একাই নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি হবে। সেটি হল, আপনি আপনার নিজের জীবনের লক্ষ্য নিজেই নির্বাচন করতে পারবেন।

অর্থাৎ কিভাবে আপনি আপনার সেলফ এমপ্লয়েড এর মধ্যে থাকা। কাজটি করে জীবিকা নির্বাহ করবেন। তার সকল ধরনের সিদ্ধান্ত গুলো আপনি একাই নির্বাচন করতে পারবেন।

এবং আপনার পেশার তাগিদে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটা ভারসাম্য নিয়ে আসতে পারবেন। যে সুবিধা টি শুধুমাত্র সেলফ এমপ্লয়েড এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়।

আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পেশা নির্বাচন করতে পারবেন

দেখুন আমরা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম স্বপ্ন দেখে থাকি। হয়তবা কেউ ডক্টর হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আবার এমন অনেকে আছেন যারা ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে।

ঠিক তেমনিভাবে আমাদের সমাজে আপনি খুব কম পরিমাণ লোকদের দেখতে পারবেন। যারা নিজের ইচ্ছাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়।

কারণ আপনি আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষকে দেখতে পারবেন। যারা নিজে থেকেই কিছু একটা করতে চায়। কেননা তারা কখনোই অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে চায় না।

তো যে মানুষগুলো নিজের কর্মসংস্থান নিজেই তৈরি করতে চায়। তাদের জন্য উপযুক্ত একটি মাধ্যম হবে, সেলফ এমপ্লয়মেন্ট।

কারণ এখানে আপনি নিজেই নিজের বস। যার ফলে আপনি যে স্বপ্নটি দেখেন। সেই স্বপ্ন অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। যেমন, আপনি ব্যবসায়িক হওয়ার স্বপ্ন দেখলে।

সেটা খুব সহজেই হতে পারবেন। আবার আপনি যদি বড় কোন কোম্পানির মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তাহলে আপনি সেটিও হতে পারবেন।

অর্থাৎ এখানে আপনার বাধা দেওয়ার মতো কেউ থাকবে না। এবং সকল সিদ্ধান্ত আপনি নিজে সুস্থ মস্তিষ্কে ভেবেচিন্তে তারপর নিতে পারবেন।

এ কারণে এই বিশেষ সুবিধাটি কে সেলফ এমপ্লয়েড এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।

আপনি নিজেই নিজের কাজের সময়সূচী তৈরি করতে পারবেন

দেখুন সেলফ এমপ্লয়েড এর আরো একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। আর সেই সুবিধা টি হল, এখানে আপনি নিজের কাজের সময়সূচী নিজে তৈরি করতে পারবেন।

কেননা যেহেতু আপনি আপনার পুরো কাজটি পরিচালনা করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাধা ধরা কোন নিয়মে আবদ্ধ করার মতো কেউ থাকবে না।

যার ফলে আপনি আপনার সময়সূচী অনুযায়ী আপনার কাজ কে পরিচালনা করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনার একটি কোম্পানি আছে। এখন আপনার কোম্পানি তে থাকা কর্মচারীরা সেই নিয়মে অফিসে আসা যাওয়া করবে।

যেটা আপনি নির্ধারণ করে দিবেন। আর আপনি আপনার কোম্পানি তে কখন প্রবেশ করবেন। সেটার জন্য কাউকে জবাবদিহিতা করতে হবে না।

মূলত যখন আপনি সেলফ এমপ্লয়িড এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন।

কারণ তখন আপনার পুরো সময়টা থাকবে আপনার হাতের মুঠোয়। যার ফলে আপনি আপনার সুবিধা মতো, আপনার জীবনের মূল্যবান সময় গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

সহকর্মী পছন্দ করার সুবিধা পাবেন

কেমন হতো যদি আপনি আপনার স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে একই জায়গাতে চাকরি করতে পারতেন। নিশ্চয়ই অনেক ভালো হতো তাইনা।

কিন্তু লেখাপড়া শেষ করে যখন আমরা কোথাও চাকরি করার সুযোগ পাই। তখন আমাদের বন্ধু মহলের সবার চাকরির স্থান ভিন্ন ভিন্ন শহরে হয়ে যায়।

কিন্তু সেলফ এমপ্লয়েড এর ক্ষেত্রে আপনি এমনটা লক্ষ্য করতে পারবেন না। কারণ এখানে আপনি আপনার নিজের পছন্দমত সহকর্মী নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। 

অর্থাৎ আপনি চাইলে আপনার যে কোন ফ্রেন্ড অথবা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে আপনার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

কারণ আপনি যদি নিজেই কোন একটি ব্যবসার মালিক হন। তাহলে আপনি আপনার সহকর্মী হিসেবে যে কোন ব্যক্তিকে পছন্দ করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর এই বিশেষ সুবিধাটি আপনি অন্য কোথাও না পেলেও। সেলফ এমপ্লয়েড এর ক্ষেত্রে অবশ্যই এই সুবিধাটি দেখতে পারবেন।

আপনি নিজেই নিজের কাজের পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন

দেখুন আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটি অংশ হলো পরিবেশ। অর্থাৎ আপনি যে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন।

তার সবকিছুই আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে। কিন্তু পরিবেশ যদি আপনার খারাপ লাগে। তাহলে কিন্তু আপনি কোন ভাবেই কোন কিছুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন না।

আর আপনি যদি সেলফ এমপ্লয়েড হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি বিশেষ একটি সুবিধা নিতে পারবেন।

সেটি হল, আপনি আপনার কাজের পরিবেশ নিজের ইচ্ছামত তৈরি করতে পারবেন।

যখন ধরুন, আপনি যদি কোন একটি কোম্পানি তে চাকরি করার সুযোগ পান। তাহলে সেই কোম্পানি থেকে আপনাকে যে পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে বলবে।

আপনাকে অবশ্যই তাদের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিবেশ এর মধ্যে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি নিজের পছন্দের মত পরিবেশ নাও পেতে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি সেলফ এমপ্লয়েড হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি বিশেষ এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন। কারণ এখানে তো আপনি আপনার বস।

আর সে কারণে আপনি যেভাবে পছন্দ করেন। সেভাবে পরিবেশ তৈরি করে আপনি আপনার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

সেলফ-এমপ্লয়েড-এর অসুবিধা (Disadvantages of Self-employed)

এতক্ষণ এর আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি Self-employed মানে কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে সেলফ এমপ্লয়েড এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

কিন্তু আপনার একটা বিষয় জেনে রাখতে হবে। সেটি হল, সেলফ এমপ্লয়েড এর অনেক ধরনের অসুবিধা রয়েছে। আর আপনি যদি এই সেলফ এমপ্লয়েড এর দিকে ঝুকে পড়েন।

তবে তার আগে আপনাকে সেলফ এমপ্লয়েড এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তো চলুন এবার ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক, সেলফ এমপ্লয়েড এর অসুবিধা গুলো কি কি।

নিজের ব্যক্তিগত সময়

তো উপরে আমরা জানতে পেরেছি, সেলফ এমপ্লয়েড এর ফলে। আমরা পুরো কাজ নিজেই পরিচালনা করতে পারব। কিন্তু এই পরিচালনা করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে সময় ব্যয় করতে হবে।

কিন্তু এই সময় ব্যয় করতে করতে আপনি এতটাই বেশি সহ ব্যয় করে ফেলবেন।

যার ফলে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না যে, আপনি অন্যদের কে সময়মতো পরিচালনা করতে গিয়ে। নিজের সময় গুলো কিভাবে নষ্ট করে ফেলেছেন।

মনে করুন, আপনি একটা কোম্পানির মালিক। সেক্ষেত্রে একটি কোম্পানি কে পরিচালনা করার দায়িত্ব তখন সম্পূর্ণ আপনার একার উপর থাকবে।

আর কোম্পানির মালিক হওয়ার কারণে আপনাকে দিনরাত এক করে পরিশ্রম দিয়ে। আপনার সেই কোম্পানিটি পরিচালনা করতে হবে।

এর ফলে আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনে এতটাই সময়হীন হয়ে পড়বেন। যার ফলে নিজের অজান্তেই আপনার পরিবার এবং অন্যান্য পারিপার্শ্বিক জগতের কথা একবারই ভুলে যাবেন।

কেননা এর ফলে একটা সময় গিয়ে আপনার শরীর এবং মনের অবস্থা দুটোই অনেক ক্ষতির দিকে অগ্রসর হবে।

বিচ্ছিন্ন জীবন

মনে করুন, আপনি কোথাও চাকরি করেন। এখন আপনাকে রোজ একটি প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। এবং সেখানে গিয়ে আপনার চাকরি রিলেটেড যে সকল কাজ রয়েছে, সেগুলো করতে হবে।

কিন্তু এই কাজ করার সময় আপনি আরো ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। এর পাশাপাশি তাদের সাথে দীর্ঘদিন কার করার ফলে।

আপনাদের মধ্যে নতুন একটা জগত সৃষ্টি হবে। যেটা হবে আপনার চাকরির জগত। যেখানে আপনাদের কাজ থাকবে, ছুটি থাকবে, আড্ডা দেওয়ার মতো জায়গা থাকবে।

অপরদিকে আপনি সেলফ এমপ্লয়েড হলে এই সুবিধা টি পাবেন না।

কারণ টা আমি উপরেই বলে দিয়েছি। সেটা হল, আপনি আপনার একটি কোম্পানি তে থাকা কর্মচারীদের সময় নির্ধারণ করতে করতে।

নিজের সময় টা কিভাবে ব্যয় করবেন, সেটা বুঝে উঠতে পারেন না। যার ফলে সেলফ এমপ্লয়েড এর সাথে যুক্ত থাকা বেশিরভাগ মানুষরা একাকীত্ব ভোগে।

আর আপনি তো বেশ ভালো করে জানেন, একটা মানুষ যখন একাকী অনুভব করে। তখন সেই মানুষ টি কতটা ডিপ্রেশন এর মধ্যে থাকে।

তো যারা সেলফ এমপ্লয়েড হতে চান। যারা নিজের কর্মসংস্থান নিজেই করতে চান। তারা অবশ্যই এই বিষয়টি একবার হলেও চিন্তা করে দেখবেন।

সেলফ এমপ্লয়েড নিয়ে আমাদের শেষ কথা

আজকে সেলফ এমপ্লয়েড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন, Self-employed মানে কি।

তবে এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি আমি আপনাদের সেলফ এমপ্লয়েড এর সুবিধা। এবং সেলফ এমপ্লয়েড এর অসুবিধা গুলো জানিয়ে দিয়েছি। 

আশা করি, আজকের এই পুরো আলোচনাটি পড়ার পর। আপনার সেলফ এমপ্লয়েড সম্পর্কে আর কোন ধরনের অজানা বিষয় থাকবে না।

আপনি আরোও পড়ুন…

তবে আপনি যদি উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে তা জানিয়ে দিবেন।

আর আপনি যদি অজানা বিষয় গুলো কে খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।

এর পাশাপাশি যদি আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার কোন মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে তা জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার লেখা এই আর্টিকেল টি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top