দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত – (সঠিক সময় সীমা)

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত : (How many hours a day mobile should be used) বর্তমান সময় কে বলা হয়ে থাকে, মোবাইল এর যুগ।

কারণ মোবাইল আবিষ্কারের পর থেকে আমরা ক্রমাগত ভাবে এতটাই মোবাইলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছি।

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত - (সঠিক সময় সীমা)
দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত

যেখানে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, আমরা দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে 6 থেকে 8 ঘন্টা পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু আপনি কি জানেন, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত অথবা বেশি মোবাইল দেখলে কি হয় ? হয়তোবা আপনি নিজেও মোবাইল ব্যবহার করেন।

অথচ এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না যে, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত, মোবাইল দেখলে কি ক্ষতি হয়

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

আর আজকে আমি আপনাকে উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।

তো চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত এবং মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার।

আমরা কেন বারবার মোবাইল ব্যবহার করতে চাই ?

একটি মানুষের মস্তিষ্ক বিভিন্ন প্রকারের উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। তবে তার মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হলো, ডোপামিন।

মূলত একজন ব্যক্তি যখন ভালো কোন পরিবেশের মধ্যে থাকে। তখন তার মধ্যে থাকা এই ডোপামিন প্রচুর পরিমাণে ক্ষয় হতে থাকে।

আর যখন কোন একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকা এই ডোপামিন অনেক বেশি পরিমাণে ক্ষয় হবে। তখন সেই ব্যক্তি টি আলাদা একটা অনুভূতি অনুভব করবে।

তো এখন হয়তোবা ভাবছেন যে, আমরা কেন বারবার মোবাইল ব্যবহার করতে চাই। এ প্রসঙ্গে আমি কেন ডোপামিন এর কথা বলছি?

তো যদি আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে। তাহলে শুনে নিন……

বিশেষ একটি গবেষণার মাধ্যমে এটা জানা গেছে যে। আজকের দিনে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে।

আর এই ধরনের প্লাটফর্ম গুলো তে একজন সুস্থ মানুষের ডোপামিন ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয় হতে থাকে।

যার ফলে নিজের অজান্তে সেই মানুষ টি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলেও। সে কখনোই এটি অনুভব করতে পারে না।

কারণ তার মধ্যে থাকা ডোপামিন অতিরিক্ত ক্ষয় হয়েছে বলে। সে মোবাইলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে।

এবং এই প্লাটফর্ম গুলো তে একটিভ থাকার কারণে সে যে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে। তা কখনোই সে বুঝতে পারে না। 

যার ফলে কিন্তু একটা মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করে। এবং আপনি অথবা আমি আমরাও কিন্তু এভাবেই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে মোবাইলে সময় ব্যয় করে থাকি।

অথচ আমরা এই বিষয় টি সম্পর্কে জানিনা যে আমাদের দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত।

একটানা মোবাইল বা স্ক্রিনের সামনে সময় কাটালে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে?

একজন মানুষের দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত সে সম্পর্কে আজকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে তার আগে আমি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

সেটি হল, আপনি যদি একটানা মোবাইল স্ক্রিনের মধ্যে সময় কাটান। তাহলে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে।

মোবাইল ফোনের অপকারিতা বিতর্ক এবং অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল এবার আমি আপনাকে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

তো আপনি যদি প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন। এবং মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

তাহলে কিন্তু আপনার মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিবে। যেমনঃ

চোখের সমস্যাঃ যখন আপনি অতিরিক্ত সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন। তখন আপনার প্রধান যে সমস্যা টি হবে, সেটি হল চোখের সমস্যা।

কেননা মোবাইল কিংবা কম্পিউটার এর মতো ডিভাইস গুলোর স্ক্রিন থেকে এক ধরনের বেগুনি রশ্মি বের হয়। যা আমাদের চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

আর সে কারণে দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার ফলে প্রথমত চোখের সমস্যা হয়ে থাকে।

শরীরের বিভিন্ন অংশের সমস্যাঃ একটা বিষয় ভেবে দেখুন, আমরা মোবাইল হাতে নিয়ে ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন।

সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মধ্যে পিঠ ব্যথা, ঘাড় ব্যথা কিংবা কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর এই ধরনের সমস্যা গুলো সর্বদাই দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।

অনিদ্রা এবং মাথা ব্যথাঃ আপনি একটা বিষয়ে নিশ্চিত থাকবেন, যে ব্যক্তি রাতের অন্ধকারেও দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে।

সেই ব্যক্তির মধ্যে অবশ্যই অনিদ্রার সমস্যা এবং মাথা ব্যথার সমস্যা থাকবে। কারণ দীর্ঘ সময় মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে।

মোবাইল থেকে বের হওয়া অতি বেগুনি রশ্মি চোখের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে।

সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়াঃ বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা সর্বদাই মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে।

যেমন, খাওয়ার সময় মোবাইলের দিকে তাকায়, গল্প করার সময় মোবাইলের দিকে তাকায়। এমনকি টয়লেটে গেলেও মোবাইল সাথে নিয়ে যায়।

কিন্তু আপনি একটা বিষয় ভেবে দেখুন। আপনি একজনের সঙ্গে কথা বলতে গেছেন। এখন যদি সে সর্বদাই মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আপনার সাথে কথা বলে। তাহলে কি আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন?

শরীরের ফিটনেস হারিয়ে ফেলাঃ একজন সুস্থ মানুষের কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। কিন্তু যারা অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করে।

তারা এই বিষয়টি কখনোই মাথায় রাখে না। বরং অনেকেই দেখা যায়, ভোররাত পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করে। এবং সকালে দুই এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে পরের দিন আবার কাজে যায়।

যার ফলে সেই মানুষটি তার শরীরের ফিটনেস ক্রমাগত ভাবে হারিয়ে ফেলে।

অন্যান্য সমস্যাঃ দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহারের ফলে আরও বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয়।

যেমন, শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া, মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়া। সেইসাথে নিজের আত্মসম্মান নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়ে থাকে।

এছাড়াও এমন অনেকে আছেন, যারা মূলত দীর্ঘদিন মোবাইল ব্যবহারের ফলে তার শোয়া বসার ভঙ্গি পূর্বের তুলনায় অনেকটা বদলে গেছে।

এর পাশাপাশি অনেকেই হাঁটার সময় একটু কুজো ভাব করে হাঁটতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তো আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার মধ্যে কি কি সমস্যা হতে পারে।

সেই সমস্যা গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আর আপনি যদি এই সমস্যা গুলো থেকে দূরে থাকতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত।

আর এবার আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিব যে, আপনার আসলে দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত।

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত?

আজকের আলোচনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যেমন, সবার শুরুতেই আমি আপনাকে বলেছি যে।

আমরা কেন অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করি। এর পাশাপাশি আপনি যদি দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনার কি কি সমস্যা দেখা দিবে সেই সমস্যা গুলো কে উল্লেখ করেছি।

তো এই সমস্যা গুলো সম্পর্কে জানার পরে। আপনারা অনেকেই এখন জানতে চাইবেন যে, আমাদের দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত।

তো এবার আমি আপনাকে এই বিষয় টি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

দেখুন এটা আমার দৃষ্টিকোণ এবং বিখ্যাত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন ব্যক্তির 24 ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে দুই ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করা ভালো।

তবে এর বাইরে যদি সেই ব্যক্তি আরো অধিক সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করে। তাহলে কিন্তু উক্ত ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আর সে জন্য যে সময় গুলো তে আপনি বিনা কারণে মোবাইল ব্যবহার করবেন। সেই সময় গুলো আপনি অন্য কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন।

আর যখন আপনি অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। তখন কিন্তু আপনার মোবাইল ব্যবহার করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে।

কিন্তু আপনি যদি নিজের অজান্তেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। এবং ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

তাহলে কিন্তু আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি করে বসবেন।

কারণ ইতোমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন যে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে। একটি মানুষের মধ্যে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রাক-কিশোর, কিশোর-কিশোরী ও প্রাপ্ত বয়স্কদের মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা

দেখুন আপনি যদি একজন সুস্থ মানুষ হয়ে থাকেন। এবং দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার পরেও যদি আপনার কোন ধরনের সমস্যা না হয়।

সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু সময় মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এতে আপনার খুব বেশি একটা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন।

যারা মূলত কিছু সময় মোবাইল ব্যবহার করার পরে, তার মাথা ঘোরা, মাথা ধরা কিংবা চোখে ঘোলা দেখার মত সমস্যায় পড়ে।

তারা কখনোই দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না।

আপনি আরোও পড়ুন…

আর আপনি যদি একজন অল্প বয়সী কিশোর কিশোরী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি আগে থেকেই মোবাইল ব্যবহার করার এই সতর্কতা গুলো জেনে রাখবেন।

যাতে করে আপনি নিজের অজান্তেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে না পড়েন। আর এই আসক্তির ফলে যেন আপনার শরীরে কোন ধরনের সমস্যা দেখা না দেয়।

তাই চেষ্টা করবেন দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই থেকে তিন ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করার। আর এর বাইরে যখন আপনি মোবাইলে সময় ব্যয় করবেন।

সেটি বন্ধ করার চেষ্টা করবেন। আর এই নিয়ম গুলো কিন্তু অল্প বয়সী থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

অর্থাৎ আপনার বয়স কম বা বেশি সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করছেন।

আর যে কোন ব্যক্তি দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করুক না কেন। তার মধ্যে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই।

শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা

আপনি যদি বর্তমান সময়ের ছোট ছোট শিশুদের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, তারা কিন্তু অনেক ছোট থেকেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

কেননা আমরা প্রাপ্ত বয়স্করা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে। শিশুরাও কিন্তু এই বদভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

কিন্তু যারা এমনটা করছেন তারা নিজের অজান্তেই নিজের শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছেন।

কেননা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে যে অপকারিতা গুলো আছে। সে সম্পর্কে কিন্তু আপনিও ভালো করে জানেন।

তো এখন আপনি যদি শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, শিশুদের মোবাইল ব্যবহার না করাই সবচেয়ে উত্তম।

কেননা ছোট ছোট শিশু ফুলের মত হয়ে থাকে। আর এই অবস্থায় তারা নিজে কে বিকশিত করতে থাকে। কিন্তু সেই সময় যদি তারা ভুল বশত মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

তাহলে কিন্তু তার পরিণাম যে কতটা ভয়াবহ হবে সেটা আপনি ঠান্ডা মস্তিষ্কে একবার চিন্তা করে দেখবেন।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

আলোচনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, একজন মানুষের দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত।

এবং সেই মানুষ টি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করে। তাহলে তার মধ্যে কি কি সমস্যা দেখা দিবে সে বিষয় গুলো কে ধাপে ধাপে জানিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।

তো এবার আমি আপনাকে মোবাইল ফোনের ক্ষতি করে দিক থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানিয়ে দিব। যাতে করে আপনি যদি মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েন।

তাহলে খুব সহজেই এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি।

  1. যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন, তখন আপনার মোবাইল টি ভুলেও বালিশের নিচে রাখবেন না। বরং আপনার বিছানা থেকে কয়েক ফিট দূরত্বে মোবাইল টি রেখে দিবেন।
  2. মোবাইলে যখন কথা বলবেন, তখন অবশ্যই হেডফোন দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন। এতে করে কানে মোবাইল লাগিয়ে কথা বলার সময় যে রেডিয়েশন এর ক্ষতি হয়। সেটা থেকে বেঁচে যাবেন।
  3. যদি পারেন তাহলে ঘুমানোর আগে আপনার মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে রেখে দিবেন।
  4. মোবাইল সর্বদাই পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  5. আপনার যখন অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে। ঠিক সেই সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন।
  6. কোন ধরনের আবদ্ধ ঘর কিংবা ছোট্ট ফ্ল্যাট এর রুম অথবা গাড়ির মধ্যে মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এই সময়ে অতিরিক্ত মাত্রায় রেডিয়েশন প্রতিফলিত হয়।
  7. যখন দেখবেন আপনার ফোনের সিগনাল খুব দুর্বল এবং আপনার ব্যাটারি এর চার্জ খুব কম। সে সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না।
  8. ছোট ছোট শিশু কিংবা গর্ভবতী নারীদের কাছ থেকে সর্বদাই মোবাইল দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।
  9. যখন মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করবেন। তখন আগে থেকেই একটি সময় নির্ধারণ করবেন যে, আপনি এই সময় পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করবেন।

তো আপনার মধ্যে যদি অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার আসক্তি থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই উপরের এই বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।

যাতে করে আপনি আপনার মধ্যে থাকা মোবাইল আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। এবং অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে যে ক্ষতি গুলো হয়। সেই ক্ষতি গুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

Q: মোবাইল দিনে কত ঘন্টার বেশি না চালানোই ভালো?

A: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, মোবাইল দিনে কত ঘন্টার বেশি না চালানো ভালো।

তো তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব যে, প্রয়োজন ছাড়া আপনি কখনোই মোবাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না। এবং যদি আপনার অতিরিক্ত বেশি প্রয়োজন হয়।

তাহলে দৈনিক দুই ঘন্টা এর বেশি মোবাইল ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন।

Q: দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উত্তম?

A: একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বনিম্ন ২ ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করা উত্তম। তবে আপনি যদি এর বাইরে অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন।

তাহলে কিন্তু সেটি আপনার মোবাইল আসক্তি তে রূপান্তর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

Q:প্রতিদিন কত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো?

A: বিষয় টা খুব হাস্যকর মনে হলেও, এমন অনেক মানুষ রয়েছেন। যারা জানতে চায় প্রতিদিন কত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

তো তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব যে, মোবাইল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের পক্ষে কখনোই ভালো নয়। অর্থাৎ আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন।

সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।

Q:অতিরিক্ত সময় মোবাইল ব্যবহারে নানা সমস্যা গুলো কি কি?

A: যখন আপনি অতিরিক্ত সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন। তখন আপনার যে সকল সমস্যা দেখা দিবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, চোখের সমস্যা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা।

অনেক সঠিক ঘুম না হওয়া এবং সেই সাথে আপনার খাবারের উপর অরুচি জেগে যাবে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে একজন মানুষের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার শুরু হতে পারে।

Q:রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহার, অজান্তেই করছেন নিজের সর্বনাশ।

A: হ্যাঁ! যারা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করে। তারা কিন্তু জানে না দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত। আর সে কারণে সে ধীরে ধীরে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

আর যখন সে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন তার শরীরের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা হয়। কিন্তু যখন এই সমস্যা গুলোর প্রভাব অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়।

তখন সে বুঝতে পারে যে, সে নিজের অজান্তে কি সর্বনাশ করেছে।

Q:ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন কতটুকু দূ্রত্বে রাখা প্রয়োজন?

A: যখন আপনি ঘুমোতে যাবেন, তখন ভুল করেও আপনার বালিশের আশেপাশে কিংবা বালিশের নিচে মোবাইল রাখবেন না।

বরং ঘুমোতে যাওয়ার সময় আপনার ঘুমানোর জায়গা থেকে কমপক্ষে কয়েক ফিট দূরত্বে আপনার মোবাইল টি রেখে দিবেন।

Q: মোবাইল অ্যাপে দিনের কতটুকু সময় ব্যয় হয়?

A: একটি মানুষ তার মোবাইলে সময় ব্যয় করার মূল কারণ হলো সেই মোবাইলে ইন্সটল করে থাকা বিভিন্ন প্রকারের অ্যাপস।

যেমন, আপনার মোবাইলে যদি ফেসবুক কিংবা ইউটিউব এর অ্যাপস গুলো ইন্সটল করা থাকে। তাহলে আপনি যদি ৩০ মিনিট করে একটি অ্যাপস এরমধ্যে সময় ব্যয় করেন।

তাহলে কিন্তু আপনার এক ঘন্টা সময় এই দুটি অ্যাপস নষ্ট করে দিবে। ঠিক এভাবেই আপনি যত বেশি ইন্সটল করবেন, আপনার মোবাইলে সময় ব্যয় করার পরিমান তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আমরা যারা অধিকাংশ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করি। তাদের মনে বারংবার একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আর সেই প্রশ্নটি হল, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত। 

আর আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে বলেছি যে, আপনি দিনে সর্বনিম্ন ২ ঘন্টা পরে মোবাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

আর এর বেশি সময় ধরে যদি আপনি মোবাইল ব্যবহার করেন। তাহলে কিন্তু এটি আপনার মোবাইল আসক্তি তে রূপান্তর হয়ে যাবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর একবার যদি আপনি মোবাইল আসক্তিতে পড়ে যান। তাহলে কিন্তু আপনার নিজের অজান্তেই শরীরের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা দেখা দিবে।

যে সমস্যা গুলো প্রকারভেদে স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

তো এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান। তাহলে চেষ্টা করবেন আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করার।

সেই সাথে আমাদের এই লেখা গুলো সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধরনের মতামত থাকে। তাহলে সেটা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আজ আর নয়, দেখা হবে অন্য কোনো আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

4 thoughts on “দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত – (সঠিক সময় সীমা)”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top