ব্যবস্থাপনা কাকে বলে | কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে | What Is Management in bengali

ব্যবস্থাপনা কি বা ব্যবস্থাপনা কাকে বলে : (What Is Management in Bengali). আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে, Management কাকে বলে বা ব্যবস্থাপনা মানে কি ?

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে । ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

এবং এই ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব যে, ব্যবস্থাপনার মূলনীতি গুলো কি কি।

আর যদি আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। কিংবা আপনার যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে।

তাহলে আজকের আলোচিত এই আলোচনা গুলো আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার।

যাতে করে আপনার এই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোন কিছু অজানা না থাকে। এবং আমি যথাযথ চেষ্টা করব যে, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।

সে বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে ফুটিয়ে তোলার। যদি আপনার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে। তাহলে আপনার জন্য ব্যবস্থাপনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে এমন কিছু কৌশল থাকে। যখন আপনি সেই কৌশল গুলো কে সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে পারবেন।

তখন আপনি আপনার ব্যবসা রিলেটেড যে সমস্যা গুলো রয়েছে। সে গুলো কে ধাপে ধাপে সমাধান করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

আর সত্যি বলতে যে মানুষ গুলো আজকে ব্যবসায়িক দিক থেকে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। তারা সবাই এই ব্যবস্থাপনা কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে।

আর এই ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা কি 

[su_highlight background=” #ffd4a1″]Management কি – ব্যবস্থাপনা হল নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সংস্থার কাজ পরিকল্পনা, সংগঠিত, নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া। ব্যবস্থাপনা কর্পোরেট নীতি তৈরি এবং সংস্থার সংস্থান, পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার ইন্টারলকিং ফাংশন নিয়ে গঠিত। ম্যানেজমেন্টকে একটি সামাজিক প্রক্রিয়া হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।[/su_highlight]

যা প্রদত্ত উদ্দেশ্য পূরণে একটি এন্টারপ্রাইজের পরিচালনার অর্থনৈতিক এবং কার্যকর পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব জড়িত।

এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন উপাদান এবং ক্রিয়াকলাপ নিয়ে গঠিত যা পূর্ব-নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের দিকে পরিচালিত হয়।

মূলত এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে খুব সহজ ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব যে, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

কিভাবে আপনি আপনার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য। এই ব্যবস্থাপনা কে কাজে লাগাবেন।

আর আপনি যদি এই সব যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে চান। তাহলে আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

আর দেরি না করে চলুন সরাসরি সেই ব্যবস্থাপনার জগতে হারিয়ে যাওয়া যাক।

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে (What is management in Bengali)

যদিওবা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনার সাথে ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় আছে।

তার সব গুলো বিষয় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব। তবে সবার শুরুতে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় টি সম্পর্কে জানতে হবে।

সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি হলো, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে। অর্থাৎ এই ব্যবস্থাপনা কাকে বলে যখন আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

তাহলে চলুন সবার শুরুতে জেনে নেওয়া যাক যে, ব্যবস্থাপনা কি।  একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে জড়িত থাকে।

যেমন সেই প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য, উক্ত প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মী থাকবে তাদের নিয়োগ। এর পাশাপাশি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সাধনের জন্য উপযুক্ত সংগঠন এবং নির্দেশনা জড়িত।

তবে এই সকল বিষয় কে যখন আপনি একত্রে করবেন। তখন তাকে বলা হবে, ব্যবস্থাপনা। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর যাবতীয় কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করবেন। 

একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যবস্থাপনা।

আর আপনি এই ব্যবস্থাপনা কে যতটা সঠিক ভাবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করতে পারবেন। আপনার সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক ততটাই সামনের দিকে অগ্রসর হবে।

কেননা আপনি আসলে কত টা সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তা আপনার এই ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ ভাবে নির্ভর করবে।

তাই একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার অবশ্যই এই ব্যবস্থাপনার ওপর যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিত।

ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। তো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা মূলত জানতে চায় যে, ব্যবস্থাপনা কত প্রকার। আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব।

যে ব্যবস্থাপনার আসলে কোন প্রকারভেদ নেই। বরং ব্যবস্থাপনার বেশ কিছু মূলনীতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনার মোট তিন টি স্তর রয়েছে।

যেমন, উচ্চ পর্যায়ের স্তর, মধ্যম পর্যায়ের স্তর এবং নিম্ন পর্যায়ের স্তর। আর আপনি ব্যবস্থাপনার মূলনীতি এবং ব্যবস্থাপনার সকল স্তর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে হলে। আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

কারণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে সকল মূলনীতি এবং স্তর রয়েছে। সে গুলো কে নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ?

আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে এই প্রসঙ্গে আমি আপনাকে বলব যে। আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হল, হেনরি ফেওল।

এবং এই বিখ্যাত ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক ব্যবস্থা হল পূর্ব থেকে অনুমান করা এবং পরিকল্পনা করা।

এর পাশাপাশি সেই অনুমান এবং পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে সংগঠন, নির্দেশনা এবং সমন্বয় সাধন করা।

আর এই সব কিছু কে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কে বলা হয়ে থাকে, আধুনিক ব্যবস্থাপনা।

আশা করি আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি এই স্বল্প আলোচনা থেকে পরিষ্কার ভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন।

কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।

সে সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এখন আপনাকে যে বিষয় টি সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হল কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।

আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে। কোন একটি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে যে সাধারণ ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

সেই সাধারণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে অংশ গুলো তে মানবীয় দিক নিয়ে কাজ করে। তাকে বলা হয়ে থাকে কর্মী ব্যবস্থাপনা।

আশা করি, কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

অর্থ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

মূলত কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এর সাথে পুরো ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি যে সকল আর্থিক কর্মকান্ড যুক্ত থাকে।

এবং সেই আর্থিক কর্মকাণ্ডের জন্য সঠিক পরিকল্পনা, সঠিক সংগঠন এবং পরিকল্পিত নির্দেশনা এর সকল প্রক্রিয়া কে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করাকে বলা হয়ে থাকে অর্থ ব্যবস্থাপনা।

মূলত কোন একটি প্রতিষ্ঠান এর অর্থ ব্যবস্থাপনা এর মধ্যে সাধারণ ব্যবস্থাপনার নীতি সমূহের প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

আশা করি অর্থ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি এই আলোচিত আলোচনা থেকে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

যখন কোন একটি ব্যবসা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাদ্য সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এবং সেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে সকল নিয়ম কানুন এবং আইন তৈরি করা হয়। মূলত তাকে বলা হয়ে থাকে খাদ্য ব্যবস্থাপনা।

আর এই খাদ্য ব্যবস্থাপনার সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল ১৯৪২ সালে। মূলত সেই সময়ে খাদ্যের অভাব পূরণ করার জন্য জাপানে এই খাদ্য ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছিল।

অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

কোন একটি অফিসের যাবতীয় কার্যাবলী সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য। সেই অফিস কর্তৃক বিশেষ কিছু ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন করে থাকে।

মূলত এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই অফিসে সকল কার্যাদি, যাবতীয় নিয়ম সঠিক ভাবে মান্য করা হয়ে থাকে।

আর এইসব বিষয় কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি অফিসের মধ্যে সকল ব্যবস্থাপনা এর উদ্ভব হয়। তাকে বলা হয়ে থাকে অফিস ব্যবস্থাপনা।

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

20 শতকের গোড়ার দিকে, শিল্পায়ন ক্রমবর্ধমান ছিল এবং সংস্থাগুলি দক্ষতা এবং উত্পাদনশীলতা বাড়ানোর উপায়গুলি অনুসন্ধান করছিল।

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা, যা টেলোরিজম নামেও পরিচিত। এই ব্যবস্থাপনা শৈলী তথ্য এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজের প্রক্রিয়া অপ্টিমাইজ করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য হল একটি কাজ করার একটি সর্বোত্তম উপায় খুঁজে বের করা এবং তারপর সেই প্রক্রিয়াটিকে প্রমিত করা।

এটি সময় এবং শ্রমের অপচয় দূর করে দক্ষতা বাড়ায়। এটি নিশ্চিত করে যে সমস্ত কর্মী একইভাবে কাজটি করছেন তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি গুণমান নিশ্চিত করে।
এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য, বৈজ্ঞানিক পরিচালকরা কাজের প্রক্রিয়াগুলি বিশ্লেষণ করতে এবং অদক্ষতা সনাক্ত করতে ডেটা ব্যবহার করেন।

তারপরে তারা এই সমস্যাগুলি মোকাবেলার জন্য সমাধানগুলি বিকাশ করে এবং সেগুলি কার্যকর কিনা তা পরীক্ষা করে।

যদি একটি সমাধান সফল হয়, এটি বাস্তবায়িত হয় এবং জিনিসগুলি করার নতুন আদর্শ উপায়ে পরিণত হয়।

এছারাও ব্যবস্থাপনার আরোও প্রকার আছে যেমন,

  • অটোক্র্যাটিক ম্যানেজমেন্ট
  • ডেমোক্র্যাটিক ম্যানেজমেন্ট
  • লাইসেজ-ফেয়ার ম্যানেজমেন্ট
  • ভিশনারি মানাজেমেন্ট
  • সারভেন্ট লিডারশিপ মানাজেমেন্ট

ব্যবস্থাপনার মূলনীতিগুলো কি কি?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে। এবং এর পাশাপাশি আমি আপনাকে বেশ কিছু ব্যবস্থাপনা এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

তবে উপরে আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল যে, ব্যবস্থাপনার বেশ কিছু মূলনীতি রয়েছে। তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যে এই ব্যবস্থাপনার মূল নীতি গুলো কি কি। আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এবার আলোচনা টি আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

কারণ এবার আমি ব্যবস্থাপনার মূলনীতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো আপনি যদি একান্ত ভাবেই ব্যবস্থাপনার মূলনীতি গুলো কি কি সে সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বেশ কিছু ব্যবস্থাপনার মূলনীতি এর সাথে পরিচিত করাতে পারবো। যেমন:

  1. কার্যবিভাগ 
  2. কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব 
  3. শৃঙ্খলা অথবা নিয়মানুবর্তিতা 
  4. আদেশের ঐক্য 
  5. নির্দেশনার ঐক্য 
  6. সাধারণ স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা 
  7. পারিশ্রমিক 
  8. কেন্দ্রিকরণ 
  9. জোড়া মই শিকল 
  10. বিন্যাস 
  11. সাম্য 
  12. চাকরির দায়িত্ব 
  13. উদ্যোগ 
  14. একতাই বল

তো উপরে আপনি যে পয়েন্ট গুলো দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো হলো ব্যবস্থাপনার মূলনীতি। আর এই মূলনীতি গুলো মেনে আপনাকে ব্যবস্থাপনার সকল কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পন্ন করতে হবে।

আশা করি এই আলোচিত আলোচনা থেকে ব্যবস্থাপনার মূলনীতি গুলো কি কি। সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জেনে নিতে হবে।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি হলো, ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কি। অর্থাৎ যদি ব্যবস্থাপনা না থাকে তাহলে কি কি প্রভাব পড়বে একটি ব্যবসা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর উপর।

আর এবার আমি সেই ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এই আলোচনা থেকে আপনি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন যখন আপনার কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে। তখন আপনাকে অবশ্যই সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে।

অর্থাৎ কিভাবে আপনি আপনার ব্যবসা কে পরিচালনা করবেন। সেই ব্যবসার মধ্যে কি পরিমান জনবল নিয়োগ দিবেন। এবং তাদের মধ্যে কেমন নিয়ম শৃঙ্খলা থাকবে।

এর পাশাপাশি সেই ব্যবসা পরিচালিত করার সময় যেসব সমস্যা আসবে। সেই সমস্যা গুলো কে কিভাবে আপনি ধাপে ধাপে সমাধান করবেন। তার সবকিছু ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে থাকে।

আর যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি এই ব্যবস্থাপনা কে গুরুত্ব দিবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই বিষয় গুলো কে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

আর যখন এই বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। তখন আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারবেন না।

অর্থাৎ আপনার কাছে সফলতা এসে ধরা দিবে না। তাই যদি আপনি আপনার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফলতা পেতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ব্যবস্থাপনার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। কেননা অন্যান্য ক্ষেত্র গুলোর চাইতে ব্যবস্থাপনা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

সঠিক প্ল্যানিং করা

ব্যবস্থাপনার মধ্যে আপনি যে সকল ধাপ দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিক প্লানিং করা। অর্থাৎ আপনি যখন কোন একটি কাজ করবেন।

তার পূর্বে আপনি যে পরিকল্পনা করবেন। তাকে বলা হয়ে থাকে, ব্যবস্থাপনার প্লানিং। আর এই প্লানিং অনেক সময় স্বল্পমেয়াদী আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে।

তবে আপনার ক্ষেত্রে এই প্লানিং স্বল্প মেয়াদি হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি হবে। সেটা মূলত আপনার ব্যবসা ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করবে।

আর যখন আপনি আপনার এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সঠিক প্লানিং করতে পারবেন। তখন আপনি আপনার উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন।

》সঠিক প্লানিং করার উদ্দেশ্য: 

  • প্ল্যানিং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়তা করে।
  • ফোকাস ও সঠিক দিকনির্দেশের ক্ষমতা দেয়।

তো ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব হিসেবে যে প্ল্যানিং এর বিষয় টি রয়েছে। সেটি আসলে কতটা ভূমিকা পালন করে। তা নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

এবং এই আলোচনা থেকে আপনি ব্যবস্থাপনার প্লানিং এর অংশটুকু সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

অর্গানাইজিং

এই পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সফল করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের সংস্থাগুলো তাদের ভূমিকাকে আরো জোরদার করার জন্য বিশেষ কিছু গ্রুপ তৈরি করে।

এবং প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যায় এর পাশাপাশি একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে সকল পরিকল্পনা থাকে।

সেই পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে কাজ করে আর এই অর্গানাইজিং এর ফলে আরো বেশ কিছু উদ্দেশ্য সাধিত হয় যেমন

》অর্গানাইজিং এর উদ্দেশ্য:

  • রিসোর্সের সর্বোত্তম ব্যবহার।
  • দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা মেনে চলা।

মূলত ব্যবস্থাপনার মধ্যে আপনি যে অর্গানাইজিং করার অংশটি লক্ষ্য করতে পারবেন। সেটি মূলত উপরোক্ত উদ্দেশ্যে পূরণ করার জন্য করা হয়ে থাকে।

স্টাফিং

একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে স্টাফিং অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ সেই প্রতিষ্ঠানে সঠিক কর্মীদের নির্বাচন করা। এবং সেই কর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করা।

এর পাশাপাশি সেই কর্মীদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং তাদের কে সঠিক ব্যবহার করার মধ্যে এই স্টাফিং কাজ করে থাকে।

আর একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে এই স্টাফিং এর আরো বেশ কিছু উদ্দেশ্য সাধন করে থাকে। যেমন:

》স্টাফিং এর উদ্দেশ্য:

  1. কাজের জন্য সবচেয়ে যোগ্য কর্মী পাওয়া।
  2. কাজ সম্পন্ন করা ও চাপ কমানো

তো ব্যবস্থাপনার মধ্যে আপনি যে স্টাফিং এর অংশটি দেখতে পারবেন। সেটি যে উদ্দেশ্য সাধন করে। তা নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

এবং এই আলোচনা থেকে আপনি ব্যবস্থাপনার মধ্যে স্টাফিং নামক অংশটির গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ডিরেক্টিং

মূলত যখন আপনার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে। এবং সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য যে নেতৃত্ব প্রদান করা হয়ম তাকে বলা হয়ে থাকে ডিরেক্টিং।

আর এটি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ একজন লিডার থাকবে এবং সেই লিডারের অধীনস্থ আরব বেশ কিছু স্টাফ এবং কর্মচারী থাকবে।

আর সেই লিডারের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী তারা তাদের কার্য সম্পন্ন করবে। এর ফলে কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সকল উদ্দেশ্য সাধনের দিকে ধাবিত হবে।

আর এই ডিরেক্টিং এর আরো বেশ কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন কোন একটি কোম্পানিতে ডিরেক্টিং রাখার কারণ হলো:

》ডিরেক্টিং এর উদ্দেশ্য:

  1. ভালো কম্যুনিকেশন গড়ে তোলা।
  2. সংস্থাকে প্রবাহমান রাখা।

তো কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট হিসেবে ডিরেক্টিং এর যে উদ্দেশ্য গুলো রয়েছে। তা নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

এবং আপনি এই আলোচনা থেকে জানতে পারবেন যে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিরেক্টিং এর গুরুত্ব কতটুকু।

কন্ট্রোলিং

কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য কতটুকু সফল হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্য সফলের জন্য কি পরিমাণ কাজ করা হচ্ছে।

তা গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করার নাম হল কন্ট্রোলিং। মূলত এই অংশ থেকে একটি কোম্পানির আয় ব্যয় ইত্যাদি যাবতীয় হিসাব করা হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি তাদের উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য সকল কাজ করার দরকার। তা নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। তবে এই কন্ট্রোলিং এর আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন:

》কন্ট্রোলিং এর উদ্দেশ্য:

  1. অগ্রগতি নিরীক্ষণ করে উন্নতি আনা।
  2. কর্মীদের দায়বদ্ধ রাখা।

আর কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রোলিং এর যে সকল কার্যাদি রয়েছে। তা নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি যদি জানতে চান যে, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে কন্ট্রোলিং এর কাজ কি। তা আপনি উপরের এই আলোচনা থেকে জেনে নিতে পারবেন।

ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি ?

আর্টিকেল এর এই পর্যন্ত আপনি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন। সবার শুরুতেই আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।

এর পাশাপাশি আমি আপনাকে ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে ধারণা দিয়েছি।

তো এই সকল বিষয়ে জানার পরে এখন অনেকেই ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি সে সম্পর্কে জানার ইচ্ছা জেগে থাকবে।

তো আপনি যদি এই ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি সে সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এবার আমি আপনাকে সেই বৈশিষ্ট্য গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

মূলত ব্যবস্থাপনার মূল বৈশিষ্ট্য হলো কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সকল কার্যাদি কে মেইনটেইন করা। অর্থাৎ সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে সকল উদ্দেশ্য রয়েছে।

সেই উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা। যেমন সেই প্রতিষ্ঠানে কেমন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের কে কি ভাবে পরিচালনা করা হবে।

এর পাশাপাশি কি কি পরিকল্পনা থাকবে। এবং সেই পরিকল্পনা কতদূর অগ্রসর হচ্ছে। তা কন্ট্রোল করার যাবতীয় বিষয় গুলো হল ব্যবস্থাপনার মূল বৈশিষ্ট্য।

যাতে করে সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার উদ্দেশ্য সফল করার ধাপ গুলো কে সঠিক ভাবে অতিক্রম করতে পারে।

ব্যবস্থাপনার স্তরগুলো কি কি ?

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সে সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই বিষয় টি হল যে ব্যবস্থাপনার স্থল গুর কি কি।

তো এই আলোচনায় আমি আপনাকে বলব যে ব্যবস্থাপনার মূলত তিনটি স্তর রয়েছে। যেমন, উচ্চস্তর, মধ্যম স্তর এবং নিম্নস্তর।

আর এবার আমি সেই ব্যবস্থাপনার তিন প্রকারের স্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে আপনার এই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোন কিছু অজানা না থাকে।

তাহলে চলুন এবার ব্যবস্থাপনার স্তর গুলো সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ স্তর

মূলত এই ব্যবস্থাপনার স্তর এর মধ্যে কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সভাপতি, সহ-সভাপতি, পরিচালক এবং মহাপরিচালক নিযুক্ত থাকে।

এই স্তর এর মধ্যে মূলত বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে, নীতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ, নেতৃত্ব প্রদান করা হয়। এবং সেই সব গুলো সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

ব্যবস্থাপনার মাধ্যম স্তর

একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে মধ্যম স্তর রয়েছে। সেই মধ্যম স্তর গুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার বিভাগ এবং শাখা নির্বাহী এবং অফিসারগণ নিযুক্ত থাকে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

মূলত সর্বোচ্চ স্তর থেকে যে সকল নীতি নির্ধারণ করা হয়। যে সকল পরিকল্পনা করা হয়। সে গুলো কে সম্পাদন করার জন্য এই স্তরে থাকা ব্যক্তিরা কাজ করে যায়।

ব্যবস্থাপনার নিম্ন স্তর

ব্যবস্থাপনার এই নিম্ন স্তরের মধ্যে উক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ফোরম্যান কিংবা সুপারভাইজার এবং ইনচার্জ নিযুক্ত থাকে। তো যারা মূলত এই কাজে নিযুক্ত থাকে।

তারা শ্রমিকদের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এবং শ্রমিকরা যাতে ঠিকমতো তাদের কাজ করে সে গুলোর তদারকি করে।

ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের শেষকথা

যারা আসলে জানতে চেয়েছিলেন যে, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের এই আর্টিকেল এর মধ্যে আমি আপনাকে ব্যবস্থাপনা কাকে বলে। সে বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

আশা করি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে উক্ত আর্টিকেল থেকে পরিস্কার ধারণা নিতে পারবেন। আর আপনি যদি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরো অজানা কিছু জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top